ব্যবসা
নারীদের দক্ষতা উন্নয়নে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার: সিমিন হোসেন
মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি) বলেছেন, নারীদের দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে গতানুগতিক কাঠামো থেকে বেরিয়ে এসে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
শনিবার (৯ মার্চ) সকালে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
‘সাপোর্টিভ ইকোসিস্টেম ফর উইমেন এন্ট্রারপ্রেনারশিপ অ্যান্ড প্রফেশনালস’ শীর্ষক সেমিনারটির আয়োজন করে দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআই।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নারীদের পেছনে ফেলে একটি দেশে সমউন্নয়ন সম্ভব নয়। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী নারীদের প্রযুক্তিগত ও কারিগরি দক্ষতা উন্নয়নে জোর দিয়েছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়। সেই ধারাবাহিকতায়, অপ্রচলিত খাত সমূহে নারীদের দক্ষতা ও সক্ষমতা উন্নয়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি, কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য হ্রাস ও উদ্যোক্তা তৈরিতে নারীদের কারিগরি, প্রযুক্তিগত এবং প্রশাসনিক দক্ষতা উন্নয়নের ওপর জোর দেন সেমিনারে অংশ নেওয়া ব্যবসায়ী নেতারা।
তারা বলেন, দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে দীর্ঘমেয়াদে নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে রাজধানীর পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকার ও বেসরকারি খাতের সমন্বিত উদ্যোগের বিকল্প নেই।
এর আগে স্বাগত বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, একজন নারীকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে পরিবারের উৎসাহ ও সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পুরুষদের অনুরোধ করি আপনার কন্যা, স্ত্রী কিংবা বোনকে উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে সহযোগিতা করুন। কারণ, নারীকে বাদ দিয়ে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়।
রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণের দিক থেকে বিশ্বের ১৪৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম বলেও জানানো হয় সেমিনারে। তবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান যথাক্রমে ১২২, ১২৬ ও ১৩৯ তম।
এমন পরিস্থিতিতে, রাজনীতির পাশাপাশি অন্যান্য সূচকে নারীর অংশগ্রহণ ও উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।
সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতে এফবিসিসিআই তার সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে আশ্বস্ত করেন সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী।
সেমিনারে অংশ নিয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) -এর নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, আয়ের দিক থেকে নারী পুরুষের মধ্যে এখনও একটা বড় বৈষম্য রয়ে গেছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে বিবেচনায় রেখে নারীদের দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগ বৃদ্ধির ওপর জোর দেন তিনি।
এস আলম সুগার মিলের আগুনে চিনির দামে প্রভাব পড়বে না: প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, এস আলম গ্রুপের চিনিকলে অগ্নিকাণ্ডে চিনির সরবরাহ ও দামে কোনো প্রভাব পড়বে না।
বুধবার (৬ মার্চ) প্রতিযোগিতা আইন, ২০১২ এর ওপর এক কর্মশালা শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। রাজধানীর একটি হোটেলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা আগুনে কী পরিমাণ চিনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার প্রাথমিক নিরূপণ সম্পন্ন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে, এই পরিমাণ ২০ থেকে ৩০ হাজার টনের মধ্যে হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে এস আলম সুগার মিলের আগুনে পুড়ে গেছে এক লাখ টন চিনি
তিনি আরও বলেন, ‘রমজানে প্রায় ৩ লাখ টন চিনির প্রয়োজন হলেও কারখানায় আগুনে পুড়ে যাওয়া চিনির পরিমাণ চাহিদার ১০ শতাংশের কম। এ ঘটনায় চিনির বাজার দরে কোনো প্রভাব পড়বে না।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, রমজানে উচ্চ চাহিদা রয়েছে এমন বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে খেজুরসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেবে সরকার।
বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এর অর্থনৈতিক বিষয়ক কর্মকর্তা এলিজাবেথ গাচুরি।
আরও পড়ুন: ৪৮ ঘণ্টায়ও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি এস আলম সুগার মিলের আগুন
এস আলম সুগার মিলের আগুন সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে, ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
আটাব নির্বাচন: আরেফ-আফসিয়া'র গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট প্যানেল জয়ী
অ্যাসোসিয়েশন অব ট্র্যাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ -আটাবের দ্বি-বার্ষিক (২০২৩-২৫) নির্বাচনে সারাদেশে পূর্ণ প্যানেলে জয়লাভ করেছে আবদুস সালাম আরেফ ও আফসিয়া জান্নাত সালেহ'র নেতৃত্বাধীন আটাব গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাজধানীর পুলিশ কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত নির্বাচনে ৩টি প্যানেল অংশ নেয়।
ভোটগ্রহণ শেষে ফল ঘোষণা করেন আটাব নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা।
আরও পড়ুন: বিমানের বিরুদ্ধে ১০ দিনের আল্টিমেটাম সিলেট আটাবের
নির্বাচনে সর্বোচ্চ ৮৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন আফসিয়া জান্নাত সালেহ। তিনি ঢাকা থেকে ৬২৪, চট্টগ্রাম থেকে ১২৫ ও সিলেট থেকে পান ৮৫ ভোট। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮১৪ ভোট পান আবদুস সালাম আরেফ। তিনি ঢাকা থেকে ৬০৬, চট্টগ্রাম থেকে ১২৪ ও সিলেট থেকে পান ৮৪ ভোট পান।
টিকেট সিন্ডিকেট করে মুল্যবৃদ্ধি ও কৃত্রিম সংকট বন্ধ, অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সির সুষ্ঠূ নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ ও অনুমোদনহীন অবৈধ ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা কার্যক্রম বন্ধসহ দেশিয় পর্যটন শিল্পের বিকাশে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয় আটাব গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট।
‘গড়ি তারুণ্যদীপ্ত অভিজ্ঞ সদস্যবান্ধব স্মার্ট আটাব’ এই স্লোগান নিয়ে আবদুস সালাম আরেফ-আফসিয়া জান্নাত সালেহ’র গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট থেকে কার্যনির্বাহী কমিটিতে ঢাকার হয়ে নির্বাচনে জয়ী হন- মোস্তাফিজুর রহমান হিরু, লায়ন মো. শফিক উল্লাহ নান্টু, দিদারুল হক, মো. মনসুর আলম পারভেজ, সবুজ মুন্সি, আতিকুর রহমান, মোহাম্মদ তোয়াহা চৌধুরী, মো. শাহীন উজ জামান, মো. ফজলুল হক, আবুল কালাম আজাদ, কালাম সিকদার , মো. ইফতাখার আলম ভূঁইয়া , এস. এম , বিল্লাল হোসেন সুমন, এ. টি. এম খোরশেদ আলম ও এ এম এম কামাল উদ্দিন।
আরও পড়ুন: ছয় দফা দাবিতে সিলেটে আটাবের গণঅবস্থান
চট্টগ্রাম থেকে মোহাম্মদ আবু জাফর, এইচ. এম মুজিবুল হক সাকুর, মোহাম্মদ ইদ্রিস মিয়া, মোহাম্মদ ওসমান গণি, সৈয়দ মাসুদ হোসেন এবং সিলেট থেকে মো. জিয়াউর রহমান খান রেজওয়ান, আব্দুল হক, নজির আহমেদ আজাদ, মিসির আলী, রুশু চৌধুরী, মো. মোজাম্মেল হোসেন রুবেল, মো. আব্দুল কাদির ও মো. হারুনুর রশীদ।
আটাব গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের প্যানেল লিডার আবদুস সালাম আরেফ বলেন, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সদস্যদের স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ত্ব দিয়ে স্মার্ট আটাব গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।
আফসিয়া জান্নাত সালেহ বলেন, এ বিজয় আটাব সদস্যদের। এ বিজয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের জয়। মন্ত্রণালয়, ট্যুরিজম বোর্ড সহ সকল সরকারি দপ্তরের সঙ্গে সুসম্পর্কের মাধ্যমে সদস্যদের স্বার্থ সংরক্ষণ অতীতের মতো ভবিষ্যতেও কাজ করে যেতে চাই।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল এন্ড টুরিজম এক্সপো আয়োজন করছে আটাব
৭ মাসে ইউরোপে ১৩.৯২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ৭ মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নে তৈরি পোশাক রপ্তানি ১৩.৯২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এ তথ্য জানিয়েছে।
আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১ দশমিক ৩২ শতাংশ বেড়েছে। এ সময় স্পেন, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস ও পোল্যান্ডে রপ্তানি যথাক্রমে ৬ দশমিক ০৫ শতাংশ, ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ, ১১ দশমিক ৭৭ শতাংশ এবং ২০ দশমিক ৩০ শতাংশ রপ্তানি বেড়েছে। তবে, ইতালিতে স্থানীয় পোশাক রপ্তানি কমেছে ১ দশমিক ৮১ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে পোশাক শিল্প গুরুত্বপূর্ণ: সালমান এফ রহমান
অন্যদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৃহত্তম রপ্তানি বাজার জার্মানিতে রপ্তানি দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ের তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে রপ্তানি কমেছে ১৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রপ্তানি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে ৩ দশমিক ৯০ শতাংশ কমেছে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
একই সময়ে, যুক্তরাজ্য ও কানাডায় রপ্তানি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩.৩১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ৮৭১ দশমিক ২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যথাক্রমে ১২ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং শূন্য দশমিক ৬৮ শতাংশ বেড়েছে।
আরও পড়ুন: বস্ত্র ও পোশাক শিল্পের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উদ্ভাবন নীতি উন্মোচন
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি মাসে, অপ্রচলিত বাজারে পোশাক রপ্তানি ১১ দশমিক ৬৯ শতাংশ বেড়ে ৫ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে যা আগের বছরের একই সময়ে ৪ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল।
প্রধান অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়াতে রপ্তানি যথাক্রমে ৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ, ২৩ শতাংশ এবং ১৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেড়েছে। তবে, ভারতে পোশাক রপ্তানি ২১ দশমিক ৮৬ শতাংশ কমেছে।
আরও পড়ুন: রপ্তানিতে নতুন পণ্য বাছাইয়ে কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে পোশাক শিল্প গুরুত্বপূর্ণ: সালমান এফ রহমান
দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং ক্রমাগত উদ্ভাবন ও টেকসই চর্চার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে পোশাক শিল্প গুরুত্বপূর্ণ। এই গতি বজায় রাখার জন্য, আমাদের অবশ্যই স্থায়িত্ব এবং নৈতিক অনুশীলনকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।’
মঙ্গলবার(৫ মার্চ) রাজধানীতে ‘ভিশন বাংলাদেশ এবং পোশাক শিল্পের টেকসই অর্জন এবং প্রতিযোগিতামূলকতা’ শীর্ষক আলোচনা সভার উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
টেকসই অবস্থার দিকে বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য ইইউর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত এবং প্রতিনিধিদলের প্রধান চার্লস হোয়াইটলি। এসময় আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন সহযোগিতা পোশাক শিল্পের মধ্যে নৈতিক অনুশীলন, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং সামাজিক অন্তর্ভুক্তি প্রচারে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।’
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী সদস্য (অতিরিক্ত সচিব) অভিজিৎ চৌধুরী বলেন, ‘পোশাক শিল্পের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং অর্থবহ পরিবর্তনের জন্য সরকার, শিল্প ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের মধ্যে সহযোগিতা অপরিহার্য।’
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাক শিল্পে মূল্য সংযোজনের ওপর জোর দিতে হবে: বিজিএমইএ সভাপতি
সব কর্মীদের জন্য নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ কাজের পরিবেশ তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পৌটিআইনেন।
তিনি বলেন ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য শোভন কর্মপরিবেশ মৌলিক অংশ। ন্যায্য মজুরি, নিরাপদ কাজের পরিবেশ এবং কর্মজীবনে অগ্রগতির সুযোগগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে আমরা শ্রমিকদের মঙ্গল এবং শিল্পের দীর্ঘমেয়াদি সাফল্য নিশ্চিত করতে পারি। যেটি টেকসই ব্যবসাও নিশ্চিত করে।’
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) ভাইস প্রেসিডেন্ট মিরান আলী বলেন, ‘টেকসই অবস্থা কেবল একটি নৈতিক বাধ্যবাধকতাই নয়; এটি ব্যবসায়িক দিক দিয়েও বাধ্যতামূলক। পরিবেশবান্ধব অনুশীলন এবং নৈতিক মানগুলো গ্রহণ করার মাধ্যমে প্রতিযোগিতা বাড়াতে পারি এবং শিল্পের জন্য একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে পারি।’
আরও পড়ুন: বস্ত্র ও পোশাক শিল্পের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উদ্ভাবন নীতি উন্মোচন
ন্যাশনাল কোঅর্ডিনেশন কমিটি ফর ওয়ার্কার্স এডুকেশনের (এনসিসিডব্লিউই) সভাপতি মেসবাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শ্রমিকরা পোশাক শিল্পের মেরুদণ্ড। তাদের চাওয়া-পাওয়া শোনা এবং তাদের অধিকার সুরক্ষিত করা টেকসই পোশাক শিল্পের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
ইন্ডাস্ট্রি অল বাংলাদেশ কাউন্সিলের সভাপতি আমিরুল হক আমিন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের সম্পৃক্ততার সঙ্গে সরকার, মালিক ও শ্রমিকদের ইতিবাচক ভূমিকা পোশাক শিল্পের মধ্যে সম্প্রীতি ও টেকসই বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘সহযোগিতা এবং উদ্ভাবনের মাধ্যমে, আমরা এমন একটি ভবিষ্যৎ গঠন করতে চাই, যেখানে বাংলাদেশের টেকসই পোশাক শিল্প এবং প্রতিযোগিতা একসঙ্গে কাজ করে।’
আইএলও-আইএফসি বেটার ওয়ার্ক বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বে এবং জিআইজেড এবং ওয়াটারএইডের সহযোগিতায় সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরাম (সাফ)-২০২৪-এর আয়োজন করে বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ।
অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তা, শিল্প নেতা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অংশীজনরা আরও নৈতিক ও পরিবেশবান্ধব পোশাক শিল্পের ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাকের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করতে এনবিআরকে অনুরোধ জানিয়েছে বিজিএমইএ
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক হিসেবে এই খাতে ৪০ লাখেরও বেশি লোক কাজ করেন। বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী পোশাক সরবরাহ শৃঙ্খলে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাফ ২০২৪ এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যেখানে এই খাতের সব কর্মকর্তারা এক হয়ে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোতে আলোচনা করে সমাধানের পথকে তরান্বিত করতে পারেন। একই সঙ্গে এই ফোরাম পোশাক খাতের সেরা উদ্যোগগুলোকে এগিয়ে নিতে উৎসাহিত করেছে। পোশাক খাতকে আরও টেকসই ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিতে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এই ফোরাম।
দিনব্যাপী ফোরামে প্রায় ৫০০ জন দেশি-বিদেশি প্রতিনিধি অংশ নেন।
আরও পড়ুন: ১৯ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে ‘খাদি উৎসব-২০২৪’
বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দাবি এফবিসিসিআইয়ের
দেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধে ব্যবস্থা জোরদারে সরকারের সঙ্গে দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) কাজ করছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির জেষ্ঠ সহসভাপতি আমিন হেলালী।
শনিবার(২ মার্চ) রাজধানীর বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় মোদির শোক
এফবিসিসিআই নেতারা বলেন, দেশের বাণিজ্যিক ভবনগুলোতে অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের সঙ্গে আরও জোরালোভাবে কাজ করতে হবে।
আমিন হেলালীর নেতৃত্বে এফবিসিসিআই প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
এই দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা ব্যবসায়ী হোক বা সরকারি প্রতিষ্ঠান, কমপ্লায়েন্স নিশ্চয়তা ও তদারকির সঙ্গে জড়িত কি না; শাস্তি নিশ্চিতের জোর তাগিদ দেন তিনি।
অগ্নিকাণ্ডকে মনুষ্যসৃষ্ট সংকট উল্লেখ করে এফবিসিসিআই নেতা বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা এড়াতে এখন থেকেই যথাযথ প্রস্তুতি নিতে হবে।আরও পড়ুন: বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ড: বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে থাকা হলো না পটুয়াখালীর জুয়েলের
শিগগিরই ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ ও খেজুরের দাম কমবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
খুচরা বাজারে ভোজ্যতেল প্রতি লিটারের দাম ১৬৩ টাকা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
শনিবার(২ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নারী উদ্যোক্তাদের এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, চলতি সপ্তাহে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আসবে। ফলে বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এ ছাড়া আগামী দুই দিনের মধ্যে খুচরা বাজারে প্রতি লিটার ভোজ্যতেল ১৬৩ টাকা দরে বিক্রি হবে।
তিনি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ত্রয়োদশ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সঙ্গে তার দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ওএমএস কর্মসূচির জন্য ১.১০ কোটি লিটার সয়াবিন তেল ও ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কিনবে টিসিবি
সেখানে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, তিনি ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ বাংলাদেশকে দিতে চিঠি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। গতকাল তারা সেই চিঠি পেয়েছেন। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, চলতি সপ্তাহ থেকে দেশে পেঁয়াজ আসবে।
শুল্ক ছাড় দিয়ে বাজারে নির্দিষ্ট ধরনের খেজুরের দাম কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাজারে অন্তত ১০ ধরনের খেজুর আছে। এর মধ্যে বস্তায় বস্তায় আসা জায়েদি খেজুরের দাম কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রপ্তানিতে নতুন পণ্য বাছাইয়ে কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
চাকরির জন্য সিভি তৈরিতে যে বিষয়গুলো পরিহার করবেন
কাঙ্ক্ষিত চাকরিটি পাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো সিভি তৈরি, যেখানে প্রতিটি শব্দ অত্যন্ত মূল্যবান। নিয়োগকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য যেখানে সুযোগ থাকে এক অথবা সর্বোচ্চ দুই পৃষ্ঠার মধ্যে নিজেকে উপস্থাপনের। অসম্পূর্ণ সিভি যেমন কাম্য নয়, ঠিক তেমনি অপ্রাসঙ্গিক, অতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনীয় তথ্যের সয়লাবও সিভিকে গুরুত্বহীন করে তোলে। তাছাড়া শব্দের আধিক্যের সঙ্গে থাকে ভুল-ভ্রান্তির আশঙ্কা। এমনকি কোনোভাবে ইন্টারভিউ পর্যন্ত পৌঁছতে পারলেও ঘটতে পারে বিপত্তি। চলুন, জেনে নেওয়া যাক চাকরির সিভিতে ঠিক কোন বিষয়গুলো পরিহার করা জরুরি।
সিভি লেখার সময় যে বিষয়গুলো থেকে বিরত থাকা উচিৎ
বানান ও ব্যাকরণগত ভুল
একটি সিভির উপাদানগুলো চাকরির অঙ্গন, প্রার্থীর দক্ষতা ও সৌন্দর্য্য বোধের সঙ্গে পরিবর্তিত হয়। কিন্তু সবকিছুর উর্ধ্বে প্রতিটি সিভি বানান ও ব্যাকরণগত দিক থেকে নির্ভুল হওয়া আবশ্যক। এই ধরনের ত্রুটিগুলো প্রার্থীর সম্পর্কে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে। কেননা বাক্য গঠনের ন্যূনতম নিয়ম-কানুন অনুসরণের মাঝে আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রতিফলন ঘটে। অনিচ্ছাবশতও যদি তা হয়ে যায়, তখন ধরেই নেওয়া হয় যে খুঁটিনাটি বিষয়গুলোতে তার বিশদ মনোযোগ নেই।
দীর্ঘ প্যারাগ্রাফ দিয়ে শুরু করা
চোখের সামনে একটি সিভি ধরা হলে স্বাভাবিকভাবেই প্রথমে দৃষ্টি পড়ে শিরোনামের দিকে। সিভির একদম উপরের অংশে নামের নিচের এই জায়গাটুকু এক নজরে প্রার্থীর সম্পর্কে ধারণা লাভের প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করে। এখানে পরিচিতি পর্বটা দীর্ঘ হলে এই সিভির বাকি অংশ পড়ার আর আগ্রহ থাকে না। তাই এই সূচনা শব্দগুলো হওয়া উচিৎ সুচিন্তিত, সংক্ষিপ্ত এবং আগ্রহ উদ্দীপক।
আরও পড়ুন: ফুড ব্লগার বা ভ্লগার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার উপায়
এক সময় সিভির শুরুতে ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ বেশ জনপ্রিয় ছিলো। কিন্তু প্রশ্ন যখন কম সময়ে হাজার সিভি দেখার, সেখানে ৩ থেকে ৪ লাইনের প্যারাগ্রাফ পড়া নিতান্তই সময়সাপেক্ষ।
অপ্রাসঙ্গিক দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা
বর্তমানে প্রতিযোগিতাপূর্ণ যুগে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিঃসন্দেহে শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি। কিন্তু একই সঙ্গে এও সত্য যে সময়ের প্রয়োজনে বড় বড় কাজগুলো ভেঙে এখন ছোট ছোট পদের সৃষ্টি হচ্ছে। বিকেন্দ্রীকরণের এই ব্যবস্থায় অগ্রাধিকার পায় কিছু সুনির্দিষ্ট পারদর্শিতা। তাই শুধুমাত্র সেই পারদর্শিতাগুলোকেই অন্তর্ভূক্ত করা উচিৎ, যেগুলো উদ্দিষ্ট চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে চাওয়া হয়েছে।
তাছাড়া স্কুল-কলেজ জীবনের এমন অনেক অর্জন রয়েছে, যেগুলো কোনো ভাবেই উল্লেখিত পদের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। যারা জীবনের প্রথম চাকরির জন্য চেষ্টা করছেন তাদেরও এই বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে। অসামঞ্জস্য তথ্য দিয়ে দুই পৃষ্ঠার সিভি অপেক্ষা প্রত্যক্ষ ভাবে সম্পর্কিত তথ্যে ভরপুর এক পৃষ্ঠার রেজুমিই উত্তম।
আরও পড়ুন: উবার ড্রাইভার অ্যাকাউন্ট সক্রিয় করবেন যেভাবে
অস্পষ্ট সফট স্কিল ও অভিজ্ঞতা
সমস্যা-সমাধানকারী, স্বপ্রণোদিত, শৃঙ্খলাবদ্ধ, পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারা; এরকম সফট স্কিলগুলো অনেকেই তাদের সিভিতে রাখতে পছন্দ করেন। কিন্তু এগুলো জায়গার অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়। এগুলোর পরিবর্তে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে হার্ড স্কিলগুলো দেয়া ভালো; যেমন গাড়ি চালানো, বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও সম্পাদন সফটওয়্যার বা কোনো নির্দিষ্ট মেশিন অপারেশনে পারদর্শিতা। তবে উত্তম পন্থা হলো সফট স্কিলগুলো কীভাবে ব্যবহার করা হয়েছে তা সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করা।
এটি অভিজ্ঞতা প্রদর্শনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। শুধুমাত্র কোম্পানি ও পদবির নাম সংযোজনটাই যথেষ্ট নয়। এক লাইনের মধ্যে উপযুক্ত শব্দ চয়নের মাধ্যমে প্রতিটি বিবরণ শেষ করা উচিৎ।
এক্ষেত্রে বহুল ব্যবহৃত শব্দগুলোর ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরি। যেমন ‘রেস্পন্সিবল’, ‘লিডার’, ‘সাক্সেস’ প্রভৃতি শব্দগুলো খুব বেশি দেখা যায়। অন্যান্য সিভির মত একই শব্দ ব্যবহার করা মানে সিভির বিশেষত্ব নষ্ট করা। এগুলো অল্প কথায় সিভির জায়গা বাঁচায় ঠিক, কিন্তু প্রার্থী সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দিতে পারে না।
আরও পড়ুন: অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আয় করবেন যেভাবে
কিন্তু এর বদলে পরিমাপযোগ্য ফলাফল দেয়া হলে একসঙ্গে দুটো উদ্দেশ্য হাসিল হয়। এক. বহুল ব্যবহৃত শব্দ এড়ানো যায় এবং দুই. নিজের পারদর্শিতার ব্যাপারে সঠিক ধারণা দেওয়া যায়।
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি- রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। ফলে আজ সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এই বন্দরের মাধ্যমে পণ্যবাহী ট্রাক আসা-যাওয়া করেনি।
তবে এই দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি শুরু, দাম নেমেছে ৩০ টাকায়
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দেশে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র শবে বরাত উদযাপন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি থাকায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আনা-নেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে।
আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে আবারও বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।
এদিকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আশরাফুল জানান, বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও এই দুই দেশের মধ্যে সকাল থেকে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এই প্রথম ভারত থেকে নারিকেল আমদানি
রাতেই চিনির মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করল সরকার
পবিত্র রমজানের আগমন ও মানুষের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে চিনির দাম বাড়ানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সরকার তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে।
বৃহস্পতিবার(২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
এতে বলা হয়, প্রতি কেজি চিনির খুচরা মূল্য ১৪০ টাকা আগের মূল্যের ভিত্তিতেই বিক্রি করা হবে।
আরও পড়ুন: স্বর্ণ শোধনাগার শিল্পে ১০ বছরের কর মওকূফ চায় বাজুস
এর আগে সকালে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি) চিনি উৎপাদনকারী রাষ্ট্রায়ত্ত মিলগুলোর কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে প্রতি কেজির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএসএফআইসির উৎপাদিত চিনির আন্তর্জাতিক ও দেশীয় বাজারমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রতি কেজি চিনিতে দাম বাড়ল ২০ টাকা