ব্যবসা
ডলার সংকটে সৌদি আরবের কাছে মূল্য পরিশোধের বাড়তি সময় চেয়েছে বাংলাদেশ: সালমান এফ রহমান
সম্প্রতি সৌদি আরব সফরকালে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বাংলাদেশের ডলার সংকটে মূল্য পরিশোধের বাড়তি সময় চান।
সৌদি আরব থেকে জ্বালানি আমদানির জন্য দীর্ঘ সময়ে অর্থ প্রদানের সুবিধার্থে এই অনুরোধটি করা হয়।
দেশে ফেরার পর মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ৩ দিনের সফরের চিত্র তুলে ধরেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সৌদি আরব থেকে জ্বালানি আমদানির অর্থ পরিশোধের জন্য আমাদের ৪৫ দিনের সময়সীমা রয়েছে। ডলারের ঘাটতি বিবেচনায় এটি এক বছর পর্যন্ত বাড়ানো আমাদের জন্য বেশ সুবিধাজনক হবে। সৌদি কর্মকর্তারা এই প্রস্তাব বিবেচনায় নিতে সম্মত হয়েছেন।’
আরও পড়ুন: রমজানে নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে না: সালমান এফ রহমান
রহমান ইসলামিক মিলিটারি কাউন্টার টেরোরিজম কোয়ালিশনের (আইএমসিটিসি) বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থান ও এ জাতীয় কাজকে ন্যায্যতা দেওয়ার ক্ষেত্রে ইসলামের অপব্যবহারের বিষয় উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসের কোনো ধর্ম নেই এবং আইএমসিটিসির মাধ্যমে ইসলামী দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করে আমরা সন্ত্রাসবাদের দ্বারা ইসলামের অবমাননার বিরুদ্ধে লড়াই করার লক্ষ্য রাখছি।’
উপদেষ্টা গাজায় চলমান সংকটের সর্বসম্মত নিন্দার পাশাপাশি অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে সাক্ষাতের মাধ্যমে সমাধানের জন্য একটি সম্মিলিত আহ্বানের কথা তুলে ধরেন। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দুর্দশার বিষয়টিও সমাধান করার অঙ্গীকার করা হয়।
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে রহমান বাংলাদেশে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় সৌদি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সৌদি আরবকে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল বরাদ্দ দিতে আগ্রহী। তাদের বিনিয়োগমন্ত্রী এই প্রকল্প নিয়ে উৎসাহ দেখিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: সালমান এফ রহমান আবারও বিজয়ী
২০২৬ সাল পর্যন্ত রপ্তানি প্রণোদনা অব্যাহত রাখার আহ্বান এফবিসিসিআইয়ের
রপ্তানি খাতে নগদ প্রণোদনা সুবিধা ২০২৬ সাল পর্যন্ত বহাল রাখতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘যেহেতু ২০২৬ সাল পর্যন্ত নগদ সহায়তা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে, তাই এটি বজায় রাখা প্রয়োজন।’
সম্ভব হলে কিছু ক্ষেত্রে প্রণোদনা বাড়াতেও তিনি মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআইয়ের বিদেশি বিনিয়োগ কমিটির চেয়ারম্যান হলেন ওয়াহিদ রায়হান
৩ ফেব্রুয়ারি এফবিসিসিআই সভাপতি মন্ত্রণালয়ে এ চিঠি দেন।
এলডিসি স্ট্যাটাস থেকে উত্তরণের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে তৈরি পোশাক ও চামড়াসহ ৪৩টি রপ্তানি খাতের নগদ সুবিধা চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ছয় মাসের জন্য বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
আরও পড়ুন: রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের প্রতি এফবিসিসিআইয়ের আহ্বান
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে
জানুয়ারি শেষে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের নিচে নেমে এসেছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ প্রকাশিত তথ্যে উঠে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী ৩১ জানুয়ারি দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার। যা গত ৩১ ডিসেম্বর ছিল ১৭ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, জানুয়ারি শেষে দেশের মোট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ০৯ বিলিয়ন ডলার।
আইএমএফের ব্যালেন্স অব পেমেন্ট অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে করা হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভ তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবহারযোগ্য, অন্যদিকে বিনিয়োগের আদায় সাপেক্ষে মোট রিজার্ভও ব্যবহারযোগ্য।
বাংলাদেশের মতো একটি ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির জন্য ছয় মাসের আমদানি ব্যয়ের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ যথেষ্ট বলে মনে করা হয়।
তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, বিদ্যমান রিজার্ভ দিয়ে বাংলাদেশ প্রায় চার মাসের আমদানি বিল পরিশোধ করতে সক্ষম হবে।
২০২১ সালের আগস্টে বাংলাদেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
দেশের সঙ্কুচিত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানোর লক্ষ্যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিদেশে অবস্থানরত ও কর্মরত লাখ লাখ বাংলাদেশি প্রবাসীর কাছ থেকে আরও বেশি রেমিট্যান্স আকৃষ্ট করতে রেমিট্যান্স পাঠানোর নিয়ম বা বিধি শিথিলসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১১ দফা রোডম্যাপ
খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে এবং ব্যাংক কার্যক্রমে সুশাসন নিশ্চিত করতে ১১ দফা রোডম্যাপ ঘোষণা বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু ফরাহ মো. নাসের ইউএনবিকে বলেন, রবিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বোর্ড সভায় ব্যাংকগুলোতে করপোরেট সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এই রোডম্যাপ অনুমোদন করা হয়েছে এবং খেলাপি ঋণ কমানোর একটি গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে এভিয়েশন হাবে পরিণত করার রোডম্যাপ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
নাসের বলেন, ঋণখেলাপিরা নানা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। যেমন- নতুন জমি, বাড়ি, গাড়ি কেনা এমনকি নতুন ব্যবসা খোলার ক্ষেত্রে অযোগ্য বলে বিবেচনা করা হবে।
নাসের বলেন, ‘সামগ্রিক খেলাপি ঋণ ৮ শতাংশে নামিয়ে আনতে এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিচালনা পর্ষদ। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের খেলাপি ঋণের অনুপাত যথাক্রমে ১০ শতাংশ ও ৫ শতাংশ কমানো এবং জালিয়াতি, প্রতারণার মাধ্যমে বেনামী ঋণ বিতরণ ও সীমার অতিরিক্ত ঋণ বিতরণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
আরও পড়ুন: রোডম্যাপ অনুযায়ী বাংলাদেশকে শ্রম অধিকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে হবে: ইইউ
রাইট অব (অবলোপন) ঋণ ৩ বছর থেকে ২ বছর পর্যন্ত করা হয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে খেলাপি হওয়ার আগে শতভাগ প্রভিশন রাখার নতুন নিয়ম চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে ৪ হাজার ৩৩০০ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ কমে যাবে।
তিনি বলেন, রাইট অব ঋণ আদায়ের জন্য ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সমন্বয়ে একটি ইউনিট গঠন করতে হবে।
ঋণ আদায় না হওয়া পর্যন্ত স্ট্রেসড অ্যাসেট (খেলাপি ঋণ) আলাদা ব্যালেন্স শিটে দেখাতে হয়।
আরও পড়ুন: ক্লাসরুমের জন্য নতুন এআই রোডম্যাপ প্রকাশ করল ইউনেস্কো
বস্ত্র ও পোশাক শিল্পের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উদ্ভাবন নীতি উন্মোচন
প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব বাজারে টিকে থাকতে পোশাক শিল্পে সহায়তা করার লক্ষ্যে উদ্ভাবন ও পণ্য বৈচিত্র্যকে তুলে ধরেছে টেক্সটাইল টুডে ইনোভেশন হাব (টিটিআইএইচ)।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে একটি পূর্ণাঙ্গ ম্যানুয়েল উপস্থাপন করেছে টিটিআইএইচ; যা উদ্ভাবনী প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে ব্যবহৃত হচ্ছে।
শ্রম ব্যয় বৃদ্ধি, স্বল্প ব্যয়ের দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি, উচ্চ উৎপাদন ব্যয়, গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকট, বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতি এবং বিশ্বব্যাপী ভূ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক শিল্প এখন অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে।
এক্ষেত্রে টিটিআইএইচ বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও পোশাক শিল্পে উদ্ভাবনী কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ), ইয়র্কার্স ট্রেড অ্যান্ড মার্কেটিং সার্ভিস কোম্পানি এবং টেক্সটাইল টুডে ইনোভেশন হাব এবং ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ১৮তম ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল টেক্সটাইল অ্যান্ড গার্মেন্টস মেশিনারি এক্সিবিশনের (ডিটিজি) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ইনোভেশন কনফারেন্স ২০২৪-এ টিটিআইএইচ 'ম্যানুয়াল ফর ইমপ্লিমেন্টেশন অব ইনোভেশন প্রজেক্টস' (এমআইআইপি) প্রকাশ করেছে।
এমআইআইপি স্ক্র্যাচ একটি কারখানা এবং প্রতিষ্ঠানে উদ্ভাবনী প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য একটি সম্পূর্ণ ম্যানুয়েল। একটি দল তৈরি করতে, উদ্ভাবনের সুযোগ খুঁজে বের করা, উদ্ভাবনী প্রকল্পগুলো পরিচালনা করতে নির্দেশনা দেয় এটি। এছাড়া সমস্যার সমাধান করতে উদ্ভাবনী প্রকল্পটি সফল করতে এবং উদ্ভাবনের প্রতিলিপি বা পরিমাপ করতে এবং সর্বোপরি কারখানায়, উদ্ভাবনী সংস্কৃতি তৈরি করতে ধাপে ধাপে নির্দেশনা দেয়।
ইনোভেশন কনফারেন্স ২০২৪-এর উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন।
এ ছাড়া বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, আইটিইটি প্রেসিডেন্ট শফিকুর রহমান, বিজিএমইএর সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম, বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. আইয়ুব নবী খান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টেক্সটাইল টুডে ইনোভেশন হাবের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক আমিন।
অনুষ্ঠানে ইনোভেশন কনফারেন্স-২০২৪ -এ ইনোভেশন প্রজেক্ট বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ ও উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করা হয়। টেক্সটাইল টুডে ২০১৮ সাল থেকে একটি ইনোভেশন হাব হিসেবে কাজ করছে। এটি তার ‘ব্যবহারিকভাবে পরীক্ষিত উদ্ভাবন মডেলের’ মাধ্যমে কারখানাগুলোকে সক্ষমতা সম্পন্ন করে।
আরও পড়ুন: ১৯ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে ‘খাদি উৎসব-২০২৪’
এই নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতি কারখানাগুলোকে 'ইনোভেশন সার্কেল' নামক উদ্ভাবনী প্রকল্পগুলোর ধারণা, পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশনা দেয়। এর আওতায় রয়েছে সহায়তা, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা এবং বিশেষজ্ঞ নির্দেশনার মাধ্যমে উচ্চ-প্রভাবশালী ক্ষেত্র খুঁজে বের করা যায়। এটি ক্রমাগত উদ্ভাবনের সংস্কৃতিকে উৎসাহিত করে।
'ইমপ্লিমেন্টিং ইনোভেশনস অ্যান্ড ইটস মেথড' শীর্ষক একটি কৌশলগত প্যানেল আলোচনায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আউটপেস স্পিনিং মিলস লিমিটেডের পরিচালক ও বিটিএমের পরিচালক প্রকৌশলী রাজীব হায়দার, এপিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান হাসিব উদ্দিন, সেন্ট্রো টেক্স লিমিটেডের পরিচালক (মার্চেন্ডাইজিং) তৌফিক আনোয়ার, আরক্রোমা বাংলাদেশ লিমিটেডের কান্ট্রি ডিরেক্টর সৈয়দ মোহাম্মদ ইসমাইল, ডাইসিন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমানুর রহমান ও সাউথ ওয়েস্ট কম্পোজিট লিমিটেডের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার শামীম রহমান।
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাকের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করতে এনবিআরকে অনুরোধ জানিয়েছে বিজিএমইএ
আরব আমিরাতের ব্যবসায়ীদের আগ্রহ বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও দক্ষ জনশক্তিতে
বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি নিয়োগ ও বিনিয়োগে আগ্রহী সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা।
এ বিষয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগকারীদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম।
সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা করেন দুবাই চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট ও সিইও মোহাম্মদ আলী রাশেদ লুতাহ এবং মাহবুবুল আলম।
বৈঠকে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল বলেন, 'সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধুর মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অন্যতম অংশীদার হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত সব সময় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে।’
আরও পড়ুন: ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলার পোশাক রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রয়োজন দ্বিগুণ ডেনিম রপ্তানি
তিনি বলেন, ‘আমাদের লাখ লাখ রেমিট্যান্স যোদ্ধা ভাই-বোনেরা সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।’
তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ ও দক্ষ জনশক্তি নিয়োগে এফবিসিসিআইয়ের পূর্ণ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশ সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের ওপর গুরুত্বারোপ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যবসায়ীদের জন্য সম্ভাবনাময় খাতগুলো তুলে ধরেন মাহবুবুল।
তিনি নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত ব্যবসার পরিবেশ নিশ্চিত করার সরকারের প্রতিশ্রুতি হিসেবে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (ইপিজেড) প্রতিষ্ঠা এবং মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্ণফুলী টানেল, পদ্মা সেতু এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো বড় অবকাঠামো প্রকল্পগুলোর সমাপ্তির কথাও তুলে ধরেন।
ইপিজেডে বিনিয়োগকারী জাপান, ভারত ও কোরিয়ার মতো দেশগুলোর সাফল্যের গল্প তুলে ধরে বিনিয়োগের সুযোগ গ্রহণে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল হক। বিশেষ করে চট্টগ্রাম, পায়রা ও মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরে বিপুল বিনিয়োগ সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন তিনি।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মধ্যেও উন্নয়নশীল এশিয়ায় বলিষ্ঠ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস এডিবির
মাহবুবুল আলম বাংলাদেশের পোশাক, সিরামিক, চামড়াজাত পণ্য এবং পাট ও পাটজাত পণ্যের মতো বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত খাতগুলো বিবেচনায় নিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কোম্পানিগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
জবাবে দুবাই চেম্বারের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী রাশেদ লুতাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাবনা যাচাইয়ের জন্য দুবাই চেম্বারের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে একটি টিম গঠন করা হয়েছে। তিনি বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি নিয়োগের বিষয়েও আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এদিকে দুবাই চেম্বারের সভাপতি বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের দুবাইয়ে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।
বৈঠকে এফবিসিসিআই পরিচালক মোহাম্মদ ফায়াজুর রহমান ভূঁইয়া, ফখোরুস সালেহীন নাহিয়ান, আবুধাবি দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, দুবাইস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর আশীষ কুমার সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ডলার এনডোর্সমেন্ট কী, কীভাবে করবেন
অসাধু ব্যবসায়ীদের প্রতি কঠোর হতে এনবিআরের প্রতি অর্থমন্ত্রীর আহ্বান
রাজস্ব আদায় বাড়াতে অসাধুদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে এবং সৎ ব্যবসায়ীদের কর দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করতে কাস্টমস কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
শুক্রবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এনবিআরকে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি এখন বিশ্ববাসীর কাছে স্বীকৃত।
তিনি বলেন, ‘অর্থনীতির সব সূচকে বাংলাদেশ উন্নতি করলেও এখনো আমাদের কর জিডিপি অনুপাত সন্তোষজনক নয়। আশা করি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) করের জিডিপি অনুপাত বাড়ানোর চেষ্টা করবে।’
আলী বলেন, ‘কাস্টমসের অন্যতম প্রধান কাজ বাণিজ্য সহজীকরণ। আমাদের বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়ছে, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাস্টমসকে সত্যিকারের স্মার্ট, আধুনিক ও স্বয়ংক্রিয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’
মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ কাস্টমসের অন্যতম দায়িত্ব উল্লেখ করে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে কাস্টমসের সক্ষমতা বাড়ানো খুবই জরুরি।
এ বিষয়ে কাস্টমস কর্মকর্তারা বিশেষ নজর দেবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ সচিব মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার ও কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার।
এ ছাড়া এনবিআর সদস্য জাকিয়া সুলতানা, মো. মাসুদ সাদিক, হোসাইন আহমেদ ও ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুল মুক্তাদির বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশে সামাজিক নিরাপত্তা নয়, সবার জন্য সামাজিক বিমা চালু করতে হবে: সিপিডি
'ইনসেপশন অব সোশ্যাল ইন্স্যুরেন্স ফোরাম ইন বাংলাদেশ' শীর্ষক সংলাপে বক্তারা বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির পরিবর্তে সামাজিক বিমা চালুর সময় এসেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ও জিআইজেড এ সংলাপের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিপিডির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য পারভীন মাহমুদ।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে নিতেই সিপিডির অসত্য তথ্যনির্ভর সংবাদ সম্মেলন: তথ্যমন্ত্রী
তারা বলেন, বাংলাদেশের বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে শুধু সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে রাখলেই চলবে না।
বক্তারা বলেন, এখনই সময় সামাজিক বিমা চালুর। সরকারের অ্যাকশন প্ল্যানে বিষয়টি তুলে আনা উচিত বলে মনে করেন তারা।
তারা বলেন, অনেক দেশ ১০০ বছর আগে সামাজিক বিমা চালু করলেও বাংলাদেশ এক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে আছে। সেসব দেশ এখন এই ব্যবস্থার সুফল পাচ্ছে এবং বাংলাদেশের উচিত সেসব দেশের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া।
মূল প্রবন্ধে ড. মোয়াজ্জেম বলেন, জ্ঞানের ঘাটতি দূর করা, ফ্রেমওয়ার্ক ডেভেলপমেন্ট সহজতর করা, স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে নেটওয়ার্ক স্থাপন এবং থিম্যাটিক ক্ষেত্রগুলোতে অগ্রগতি ট্র্যাক করার লক্ষ্যে কাজ করে এসআইএফ (সোশ্যাল ইন্স্যুরেন্স ফোরাম)।
বোধগম্যতা ও বাস্তবায়ন বাড়ানোর জন্য সাংগঠনিক ও অপারেশনাল কর্মপ্রবাহের স্পষ্টতার উপর জোর দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
মোয়াজ্জেম আরও বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে অনেক ফাঁকফোকর রয়েছে, আর যাদের সামাজিক সুরক্ষা পাওয়ার কথা, তারা তা পায় না। যাদের পাওয়ার কথা নয়, তারা পায়।
আরও পড়ুন: এমপিদের সম্পদের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি তদন্ত করতে হবে: সিপিডির মুস্তাফিজুর রহমান
এ বাস্তবতায় সামাজিক বিমা চালু হলে এসব ফাঁকফোকর দূর করা সম্ভব হবে।
দেশে সামাজিক নিরাপত্তা বিমা না থাকায় বিস্ময় প্রকাশ করেন আইএলওর ঢাকা অফিসের চিফ টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট সৈয়দ সাদ হোসেন জিলানি।
এর জন্য তিনি মন্থর আমলাতন্ত্রকে দায়ী করেন। সরকার আট বছর আগে সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল প্রণয়ন করে। তবে তা বাস্তবায়নের গতি খুবই কম বলে জানান তিনি।
এর জন্য তিনি মূলত আমলাতন্ত্রের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার অভাবকে দায়ী করেন।
‘সামাজিক বিমা সবার জন্য; এটি কেবল দরিদ্রদের জন্য নয় কারণ আমাদের প্রত্যেকে বেকারত্ব, অসুস্থতা ও বার্ধক্যের অভিজ্ঞতা হতে পারে', টেক্সটাইল ও চামড়া শিল্পের (ইআইপিএস) শ্রমিকদের জন্য কর্মসংস্থান আঘাত সুরক্ষা প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ড সিলবিয়া পপ।
অনুষ্ঠানের আলোচনা পর্বে দেশের ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন এনজিওর প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
তারা বলেন, দেশে ক্ষুদ্রঋণ ও ক্ষুদ্রবিমা নিয়ে অনেক কাজ হয়েছে এবং অনেক পাইলট প্রকল্প চালু করা হয়েছে। বিমা কোম্পানিগুলোরও নিয়মিত মিনি ইনস্যুরেন্স প্রোডাক্ট থাকে।
এসব প্রকল্প ও কাজের অভিজ্ঞতা সবার সঙ্গে শেয়ার করতে হবে, তাহলে সামাজিক বিমার কাজে গতি আসবে বলে জানান বিভিন্ন এনজিওর প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: সিপিডি কোনো গবেষণা করেনি, তাদের রিপোর্ট নির্জলা মিথ্যাচার: তথ্যমন্ত্রী
বিদ্যুৎকেন্দ্রের বকেয়া পরিশোধের জন্য বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে সরকারের বন্ড চুক্তি সই
বিদ্যুৎ খাতকে স্থিতিশীল করতে বাংলাদেশ সরকার বিশেষ বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ২ হাজার ৬২ কোটি টাকার ব্যবস্থা করেছে। বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর বকেয়া পরিশোধের লক্ষ্যে সিটি ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংকের সঙ্গে বন্ড বিষয়ক চুক্তি করেছে সরকার।
বুধবার সচিবালয়ে বিদ্যুৎ খাতের আর্থিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে সমন্বিত এ চুক্তি সই করা হয়। সিটি ব্যাংকের অনুকূলে ১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকার এবং পূবালী ব্যাংকের অনুকূলে ৭৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার বন্ড চুক্তি করে সরকার।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভর্তুকির টাকা দিতে সরকারের অক্ষমতার কারণে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো তাদের দেনা শোধ করতে পারছে না। যার ফলে কেউ কেউ ঋণখেলাপি হওয়ার পথে চলে গেছে।
আরও পড়ুন: রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের 'গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনি'তে রাশিয়ার রোসাটম থেকে ইউরেনিয়ামের নতুন ব্যাচ গ্রহণ
এ সংকট মোকাবিলায় সরকার ৮ শতাংশ হারে স্পেশাল বন্ড ইস্যু করছে, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত রেপো রেটের সমান। ভবিষ্যতে রেপো হারের যেকোনো উত্থান-পতনের সঙ্গে একইভাবে বন্ডের সুদের হার সামঞ্জস্যপূর্ণ করা হবে।
মেয়াদ শেষে সরকার সুদসহ ব্যাংকের পাওনা মিটিয়ে দেবে এবং পরে এসব বন্ড পুনরুদ্ধার করবে। সাধারণ ১৫-২০ বছর মেয়াদি বন্ডের বিপরীতে, এই বিশেষ বন্ডগুলোর সর্বোচ্চ মেয়াদ ১০ বছর, বিদ্যুৎ খাতের জরুরি প্রয়োজনেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সামিট পাওয়ার, ইউনাইটেড পাওয়ার, কনফিডেন্স পাওয়ার, বারাকা, কুশিয়ারা, ডরিন ও অ্যাক্রন পাওয়ারসহ বিদ্যুৎ খাতের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর পাওনা পরিশোধ করা হবে এই অর্থের মাধ্যমে। অর্থ বিভাগ এ খাতের বকেয়া আরও নিরসনে ব্র্যাক ব্যাংক ও ব্যাংক এশিয়াসহ অন্যান্য ব্যাংকের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে চুক্তির পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছে।
চুক্তির গুরুত্ব নিয়ে বেশ কয়েকটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা আশাবাদী।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত থাকা সত্ত্বেও মেয়াদ বাড়ছে ব্যয়বহুল ভাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের
মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন ১১ নভেম্বর
ডিমের দাম বাড়ানোয় ডায়মন্ড এগ ও সিপিকে জরিমানা
অস্বাভাবিকভাবে দাম বাড়ানোয় ডিম সরবরাহকারী দুই প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে তিন কোটি টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন (বিসিসি)।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগসাজশ করে ডিমের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ডায়মন্ড এগ লিমিটেডকে আড়াই কোটি টাকা এবং সিপি বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেডকে এক কোটি টাকা জরিমানা করেছে কমিশন।
এর আগে প্রতিষ্ঠান দুটির বিরুদ্ধে মামলা করেছিল বিসিসি। মামলার শুনানি শেষে গত ২২ জানুয়ারি কমিশন এ জরিমানার আদেশ দেয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা-লন্ডন সম্পর্ক আধুনিক অংশীদারিত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে: ক্যামেরন
রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে জরিমানার টাকা বিসিসির সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা দিতে হবে। তা না হলে জরিমানার সাথে প্রতিযোগিতা আইনের আলোকে প্রতিদিন এক লাখ টাকা করে যোগ করা হবে।
বাংলাদেশ ডাক কমিশনের নবম সভায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিবেদন এবং '১৫ দিনে ডিম ও মুরগির বাজার থেকে ৫১৮ কোটি টাকা লুট' শিরোনামে অনলাইন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন এবং বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ বিষয়টি তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অভিযোগের সংক্ষিপ্ত বিবরণে বলা হয়, তদন্ত প্রতিবেদনে প্রাথমিকভাবে বাজারে ডিমের বিক্রয়মূল্য অস্বাভাবিকভাবে নির্ধারণ এবং বাজারে ডিমের সরবরাহ সীমিত বা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সিপি বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড, ডায়মন্ড এগ লিমিটেডসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতা আইন লঙ্ঘনে অভিযোগ উঠেছে।
রায়ের সারসংক্ষেপে বলা হয়, তদন্ত প্রতিবেদন এবং আইনজীবীদের লিখিত ও মৌখিক যুক্তিতর্কের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠান দুটিকে জরিমানার আদেশ দেয় বিসিসি।
আরও পড়ুন: গণহত্যার নায়ককে পুরস্কৃত করেছিল এরশাদ-খালেদা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিদেশি সাহায্যপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলো নিয়মিত পর্যালোচনা করবে সরকার