ব্যবসা
ব্যবসায়ীরা ব্যবসা-বিনিয়োগে আস্থা হারিয়ে ফেলেছে- ঢাকা চেম্বার সভাপতি
চাঁদাবাজি, প্রতারণামূলক অনলাইন কার্যক্রমসহ অনিরাপদ পরিবেশের কারণে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা ও বিনিয়োগে আস্থা হারিয়ে ফেলছেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করতে উদ্যোক্তাদের অনিরাপদ পরিবেশ, চাঁদাবাজি, প্রতারণামূলক অনলাইন কার্যক্রম, পণ্য পরিবহন ঝুঁকি, জালিয়াতি প্রভৃতি প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়।’
বুধবার (২১ মে) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ব্যবসা-বাণিজ্য সহজীকরণে উন্নত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার অত্যাবশকীয়তা শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তাসকীন আহমেদ বলেন, ‘নির্বিঘ্নে, স্বচ্ছভাবে ও নিরাপত্তার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনার একটি সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।’ ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ উন্নয়নে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন আছে উল্লেখ করে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতার লক্ষ্যে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। দাবি আদায় গণতান্ত্রিক কার্যক্রমের অংশ হলেও, অর্থনীতির এ কঠিন সন্ধিক্ষণে ব্যবসা পরিচালনার পাশাপাশি জনগনের দৈনন্দিন কার্যক্রম যেন ব্যাহত না হয় সেদিকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান ডিসিসিআই সভাপতি।
এছাড়াও রাজধানী ঢাকার উপর চাপ কমাতে প্রশাসনিক ও বাণিজ্যিক বিকেন্দ্রীকরণ জরুরি, যার মাধ্যমে দেশের প্রান্তিক অঞ্চলের উন্নয়ন আরও সুসংহত হবে বলে জানান তিনি।
ডিসিসিআই’র সাবেক ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি আলহাজ্ব আব্দুস সালাম বলেছেন, ‘ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে আমরা চিন্তিত। ব্যবসায়ীরা নিয়মিত ভ্যাট-ট্যাক্স দিলেও বর্তমানে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করতে হচ্ছে, যা মোটেও কাম্য নয়।’
ডিসিসিআই’র প্রাক্তন সহসভাপতি এম আবু হোরায়রাহ ঢাকা দক্ষিণ এলাকায় পার্কিং সুবিধা বাড়নোর পাশাপাশি দক্ষিণের ট্রাফিক বিভাগের অফিস শান্তিনগর থেকে গুলিস্তানে স্থানান্তরের সুপারিশ করেন। তিনি বৈদ্যুতিক ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলোকে ঢাকা শহরের বাইরে স্থানান্তর করারও সুপারিশ করেন। পাশাপাশি অতিদ্রুত ঢাকা শহরের পরিবহনের কৌশলগত পরিকল্পনা বাস্তবায়নেরও দাবি জানান।
বাংলাদেশ ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মওলা বলেন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থতির পট পরিবর্তনের পর আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতির আশানুরূপ উন্নয়ন হয়নি।
তিনি বলেন, ‘স্থলবন্দরের মাধ্যমে বিদেশ থেকে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে দালালের মাধ্যমে ট্রাক ভাড়া করতে গিয়ে ব্যবসায় ব্যয় বাড়ছে। মৌলভীবাজার এলাকায় অনিয়ন্ত্রিত ট্রাকস্ট্যান্ড থাকায় বাবুবাজার ব্রিজে প্রচন্ড যানজট হচ্ছে, ফলে ব্যবসায়িক কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে।’এ ছাড়াও, লালবাগ, কোতোয়ালি, চকবাজার এলাকার ব্যবসায়ীদের নগদ টাকা পরিবহনে নিরাপত্তার স্বার্থে এসব এলাকায় সান্ধ্যকালীন পুলিশি টহল বাড়ানো দাবি জানান এ ব্যবসায়ী নেতা।
বাংলাদেশ চিনি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী আবুল হাসেম বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য হলেও চিনির উপর সরকারের অতিরিক্ত ট্যাক্স আরোপের ফলে চিনির মূল্য যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে ব্যবসায়ীদের ক্যাপিটাল ইনভেস্টমেন্ট। এ সময়, সরকারের কাছে ট্যাক্স কমানোর দাবি জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের ১৪টি চিনিকল থাকলেও উৎপাদিত চিনি দিয়ে মোট চাহিদার মাত্র ২ শতাংশ মেটানো যায়। এছাড়া, বেসরকারি খাতে চিনিকল আছে মাত্র ৩টি। এ খাতের পাইলট প্রকল্পের আওতায় সরকারের অন্তত ২টি চিনিকল সারা বছর চালানো উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এছাড়া চিনি আমদানি ও উৎপাদন পর্যায়ে সুষম প্রতিযোগিতার পাশাপাশি সাপ্লাইচেইন বৃদ্ধি করা গেলে চিনির দাম কমবে বলে জানান চিনি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি।
মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী সৈয়দ মোহাম্মদ বশির উদ্দিন বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে পুলিশ বাহিনী এখনও সক্রিয় ভূমিকা রাখছে না। চিনি ও ভোজ্যতেল আমদানি সবার জন্য উন্মুক্ত করলে বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়বে, অবৈধ মজুদদারী বন্ধ হবে ও পণ্যের দাম কমবে।
বাংলাদেশ ডাল ব্যবসায়ী সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি নেসার উদ্দিন খান বলেন, ‘কিশোর গ্যাংয়ের নৈরাজ্যে এখন জনজীবনের পাশাপাশি ব্যবসায়ীরাও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন, যা প্রতিরোধে পুলিশ প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ দরকার।
বাংলাদেশ মনিহারী বণিক সমিতির সহসভাপতি হাজী ফয়েজউদ্দিন বলেন, পুরান ঢাকায় প্রবেশপথগুলো বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচির কারণে বন্ধ থাকায় চকবাজারসহ অন্যান্য জায়গায় পণ্যবাহী ট্রাক যেতে পারছে না। ফলে ব্যবসায়িক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্রস্থল হলেও চকবাজার, মৌলভীবাজার এলাকায় কোন ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় প্রতিনিয়ত যানজট অসহনীয় হয়ে পড়ছে, যা নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ জরুরি।
এছাড়া পণ্য আমদানিতে শুল্কের হার বৃদ্ধি, ব্যাংকের ঋণের শর্ত পূরণ করতে না পারায় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা ঋণ সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে জানান তিনি।
মোহাম্মদপুর টাউনহল কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি লুৎফুর রহমান বাবু বলেন, মোহাম্মদপুরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। এক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকর পদক্ষেপ নেই।
এছাড়াও মোহাম্মদপুর এলাকায় ফুটপাতে অবৈধ দখল উচ্ছেদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি।
ধামরাই ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, ঢাকা শহরের আশপাশে ৩৭০টি ইটভাটা থাকলেও, সরকার ইট ভাটার লাইসেন্স নবায়নের দীর্ঘসূত্রিতার কারণে এ খাতের উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এই বিষয়টির দ্রুত সুরাহার দাবি জানান তিনি।
পুলিশের পক্ষ থেকে মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. মোহাইমেনুল ইসলাম বলেন, ৫ আগস্টের পর বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এটি আরও উন্নতি করতে হবে। তবে এখনও বাণিজ্যিক কার্যক্রমের জন্য উপযুক্ত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করা যায়নি।’
সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে দাবি তার। এছাড়া, কিশোর ও যুবক গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে পুলিশ বরাবরের মতো কঠোর এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
মত বিনিময় সভায় ডিসিসিআই’র ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী, সহ-সভাপতি মো. সালিম সোলায়মান ও পরিচালনা পর্ষদের অন্যান্য সদস্যসহ বেসরকারিখাতের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
২০৮ দিন আগে
আবারও পতন ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির
দ্বিতীয় দিনের পর তৃতীয় কার্যদিবসেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার;সবকটি সূচক কমেছে ঢাকা-চট্টগ্রামের বাজারে, দর হারিয়েছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৪ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়া ভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯৭ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ১২৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০২ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২১৮ কোম্পানির মধ্যে ৫৬ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৩৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ২৪ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭ কোম্পানির।
৩৫ কোম্পানির ২৮ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ৬ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৮৮ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৯২ কোটি টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার কাত্তালি টেক্সটাইল লিমিটেড। অন্যদিকে ১০ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মেঘনা কনডেন্স মিল্ক।
আরও পড়ুন: সূচকের উত্থান-পতনের দোলাচলে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৫ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৮৯ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৭, কমেছে ১০১ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ১৬ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ১০ কোটি টাকা।
৯.৯৮ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ড্যাফোডিল এবং ৯.৮৯ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে আইসিবি।
২১০ দিন আগে
সূচকের উত্থান-পতনের দোলাচলে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে উত্থান দিয়ে শুরু হলেও প্রথম ঘণ্টার পর কমতে শুরু করে লেনদেন সূচক। প্রথম ধাক্কায় বেশিরভাগ কোম্পানির দাম বাড়লেও সূচকের অকস্মাৎ পতনে দোলাচলে ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসইএসও নিম্নমুখী।
বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এ ছাড়া, লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৬০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৭ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
আরও পড়ুন: সাপ্তাহিক পুঁজিবাজার: বেহাল সূচক, ব্যাংক খাতে বিপর্যয়
সব মিলিয়ে প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৬০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
এদিকে, বড় উত্থান দিয়ে লেনদেন শুরু করলেও দুই ঘণ্টার মধ্যে সূচকে ধস নামে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৮২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৭১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৪ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
২১১ দিন আগে
উত্থান দিয়ে লেনদেন শুরু, সূচক বাড়লো দুই বাজারে
টানা তিন কার্যদিবসের পতন কাটিয়ে চলতি সপ্তাহে প্রথম দিনের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগামী ৫ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত টানা দশদিন সরকারি ছুটি থাকবে। দীর্ঘ এ ছুটির সমন্বয়ে ঈদের আগে দুই শনিবার ১৭ মে এবং ২৪ মে শেয়ারবাজারে লেনদেন চালু রাখার ঘোষণা দেয় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
সে হিসাবে চলতি সপ্তাহে শনিবার (১৭ মে) লেনদেন শুরু হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে, যার ধারা বজায় ছিল শেষ অবধি।
সারাদিনের লেনদেনে ডিএসই'র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৩৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়া ভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯৬ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম বেড়েছে। ২৭৭ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই বেড়েছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২১৬ কোম্পানির মধ্যে ১৪৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ৫৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগেরই দাম বেড়েছে। ৫ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
২৬ কোম্পানির ৩৬ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ১৩ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৬২ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৯৬ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার শাইনপুকুর সিরামিকস। অন্যদিকে ৫.৩০ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মার্কেন্টাইল ইসলামি ইনস্যুরেন্স।
আরও পড়ুন: সাপ্তাহিক পুঁজিবাজার: বেহাল সূচক, ব্যাংক খাতে বিপর্যয়
উত্থান চট্টগ্রামের বাজারেও
ঢাকার মতো সূচক বেড়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৫৮ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭৪, কমেছে ৫৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৯ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ১০ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
৯.৯১ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার নিটল ইনস্যুরেন্স কোম্পানি এবং ৯.৮৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে প্রগ্রেসিভ লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি।
২১২ দিন আগে
পুঁজিবাজারে পতন দিয়ে সপ্তাহ শেষ
টানা তিন দিন পতনের মুখে পুঁজিবাজার; সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসেও সবকটি সূচক কমেছে ঢাকা-চট্টগ্রামের বাজারে। দর হারিয়েছে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৫৪ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ২০ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৫টি কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। আজ ৪২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩১৭টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের ‘এ’ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২১৬টি কোম্পানির মধ্যে ১৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে, দর কমেছে ১৮২টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
আরও পড়ুন: ১০ মাসে ৪০২০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি
এ ছাড়া লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগেরই দাম কমেছে। ৩১টি কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে আজ দর বেড়েছে দুটির এবং অপরিবর্তিত আছে তিনটি কোম্পানির।
এদিন ডিএসই ব্লক মার্কেটে ৩১টি কোম্পানির ২৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে স্কয়ার ফার্মা সর্বোচ্চ ২১ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারা দিনে মোট ২৯৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, গত কার্যদিবসে যা ছিল ২৯৪ কোটি টাকা।
৭.৩৮ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে আজ শীর্ষ শেয়ার ছিল সিটি ইনস্যুরেন্স। অন্যদিকে, ৯.৩৮ শতাংশের বেশি দর হারিয়ে তলানিতে ছিল প্রিমিয়ার লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স।
পতন চট্টগ্রামেও
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১৩৭ পয়েন্ট।
সেখানে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০৫টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৩৭টির, কমেছে ১৫১টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ১০ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ১১ কোটি ২২ লাখ টাকা।
আজ ১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার সামাতা লেদার কমপ্লেক্স এবং প্রায় ১৪ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ছিল যমুনা ব্যাংক।
২১৪ দিন আগে
ফের পুঁজিবাজারে পতন, কমেছে ঢাকা-চট্টগ্রামের সবকটি সূচক
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে পতনের পর তৃতীয় দিনেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমেছে ও লেনদেনে অংশ নেয়া তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম নিম্নমুখী অবস্থায় রয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৮ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়া ভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১০ পয়েন্ট ও বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৭ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯৯ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দামই নিম্নমুখী। ৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২৯২টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’– তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২১৮ কোম্পানির মধ্যে ৩৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৫৩টি ও অপরিবর্তিত আছে ২৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ২১ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১২ কোম্পানির।২২ কোম্পানির ১৬ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। রেনেটা সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
আরও পড়ুন: অর্থবছর শেষ হওয়ার আগেই সর্বোচ্চ রেমিট্যান্সের রেকর্ড
সূচকের পাশাপাশি লেনদেনও কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ২৯৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৪৩ কোটি টাকা। ৯.৯১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার সিটি ইনস্যুরেন্স। অন্যদিকে ৬.৭৭ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এনআরবি ব্যাংক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৭১ পয়েন্ট। লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৬ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৪৪, কমেছে ১২৭টির ও অপরিবর্তিত আছে ২৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ১১ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। ১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে সোনালি লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির শেয়ার এবং ৯.৮২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে কেডিএস এক্সেসোরিস লিমিটেড।
২১৫ দিন আগে
সূচকের উত্থানে চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের লেনদেন
সূচকের উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে শুরু হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম পুঁজিবাজারের লেনদেন। দিনের শুরুতেই আজ (মঙ্গলবার) সবকটি সূচক বেড়েছে।
দেখা গেছে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ ও বাছাইকৃত ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১ পয়েন্ট।
লেনদেন শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ঢাকায় ১৫৭টি কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ১৩২টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯০টি কোম্পানির শেয়ারদর।
সামগ্রিকভাবে ডিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন ৯০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার: সপ্তাহজুড়ে চলল সূচক, লেনদেন ও শেয়ারের মূল্যপতন
ঢাকার মতো চট্টগ্রামেও হয়েছে সূচকের উত্থান। বন্দরনগরীর পুঁজিবাজারে সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৬ পয়েন্ট।
সেখানে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯টির, কমেছে ২৩টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রামের বাজারে ২ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
২১৬ দিন আগে
পুঁজিবাজার: লেনদেন শেষে সূচকের উত্থান, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির দর
পতন দিয়ে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে। দাম বেড়েছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৯ পয়েন্ট। তবে প্রধান সূচক বাড়লেও বাকি দুই সূচকের সুবিধা করতে পারেনি ঢাকার বাজার।
শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৪ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। ১৮৯ কোম্পানির দর বাড়লেও কমেছে ১৬০টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই বেড়েছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২১৬ কোম্পানির মধ্যে ১২২ কোম্পানির দর বেড়েছে। দর কমেছে ৮০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারমূল্য।
দাম বেড়েছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দরে পতন হয়েছে ৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩ কোম্পানির।
২১ কোম্পানির ৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। বেকন ফার্মা সর্বোচ্চ ২ কোটি ২৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচক এবং কোম্পানির শেয়ারের দাম সন্তোষজনক হলেও লেনদেনে সুবিধা করতে পারেনি ডিএসই। সারাদিনে মোট ৩৬৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৬ কোটি টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার নর্দান ইসলামি ইনস্যুরেন্স। অন্যদিকে সাড়ে ৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে বে-লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।
চট্টগ্রামেও উত্থান
ঢাকার মতো সূচক বেড়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮২ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৯১, কমেছে ৭১ এবং অপরিবর্তিত আছে ২০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২১ কোটি টাকার ওপরে।
৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফিনিক্স ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এবং ১০ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে রয়েছে গ্রিন ডেলটা ইনস্যুরেন্স পিএলসি।
২১৭ দিন আগে
অর্থবছর শেষ হওয়ার আগেই সর্বোচ্চ রেমিট্যান্সের রেকর্ড
২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষ হতে এখনো বাকি এক মাস। এর আগেই দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্সের রেকর্ড গড়লো এই অর্থবছর।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত ২৫ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৮ দশমিক ২ শতাংশ বেশি এবং দেশের ইতিহাসে অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় সর্বোচ্চ।
আরও পড়ুন: এপ্রিলে ২৭৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে দেশ
২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। গত অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে এক মাসে হাতে থাকতে ২০২৪-২৫ অর্থবছর রেমিট্যান্সে এই রেকর্ড গড়ল।
এর আগে, চলতি বছরের মার্চে ৩২৮ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা মাসিক হিসাবে এ যাবৎকালে সর্বোচ্চ। এপ্রিলে মোট ২৭৫ কোটি ১৯ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে দেশে, যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
এদিকে, মে মাসের প্রথম ৭ দিনে দেশের ব্যাংকিং চ্যানেলে ৭৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা গত বছর একই সময়ের তুলনায় ২২ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। গত বছর মে মাসের প্রথম সাত দিনে ৬০ কোটি ১০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।
২১৭ দিন আগে
ধস কাটিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে বড় উত্থান
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার আতঙ্কে বড় ধসের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৯৯ পয়েন্ট, যা গতদিনের তুলনায় ২ শতাংশ বেশি। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ২৬ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ শেয়ার ডিএস-৩০ বেড়েছে ২৭ পয়েন্ট।
একদিনের লেনদেনে ডিএসইএসের উত্থান হয়েছে ২.৫০ শতাংশ এবং ডিএস-৩০ এর উত্থান ১.৫০ শতাংশ।
ঢাকার বাজারে লেনদেন হওয়া ৩৯৪ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৭৭ কোম্পানির এবং দাম কমেছে ১০ কোম্পানির। ৭ কোম্পানির শেয়ারের দামে আসেনি কোনো পরিবর্তন।
ক্যাটাগরির হিসাবে ‘এ’, ‘বি’ এবং ‘জেড’— তিন ক্যাটাগরিতেই শেয়ারের দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। এছাড়া লেনদেন হওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে সবকটির।
ডিএসই ব্লক মার্কেটে ২৮ কোম্পানির ১২ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। মিডল্যান্ড ব্যাংক এবং লাভেলো সর্বোচ্চ ১ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
আরও পড়ুন: বড় পতনের পর উত্থান দিয়ে শুরু শেষ কার্যদিবসের লেনদেন
সারাদিনে ৩৬৬ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৫১৬ কোটি টাকা। মূলত শেয়ার বিক্রির চাপ কমায় লেনদেন কমেছে বলে জানিয়েছে ব্রোকারেজ হাউজ সংশ্লিষ্টরা।
ঢাকার বাজারে ৯.৮৬ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে এনআরবিসি ব্যাংকের শেয়ার এবং ৫.৯১ শতাংশ দাম কমে তলানিতে মেঘনা কনডেন্স মিল্ক লিমিটেড।
চট্টগ্রামেও বড় উত্থান
ঢাকার মতোই ভালো উত্থান হয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ১১৩ পয়েন্ট। লেনদেন হওয়া ১৮৯ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৯, কমেছে ৪৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ২১ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে চট্টগ্রামের বাজারে শেষ কার্যদিবসের শীর্ষ শেয়ার দেশবন্ধু পলিমার, ক্রাউন সিমেন্ট এবং এনআরবিসি ব্যাংক। অন্যদিকে ১০ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে ইস্টার্ন ইনস্যুরেন্স কোম্পানি।
২২১ দিন আগে