বিশ্ব
মুষলধারে বৃষ্টিতে টেক্সাসে বন্যা, অন্তত ২৪ জনের প্রাণহানি
মুষলধারে বৃষ্টিতে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের গোয়াডালুপ নদীর আকস্মিক বন্যায় অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছেন। পানির উচ্চপ্রবাহে আটকেপড়া কয়েক ডজন বাসিন্দাকে উদ্ধারে হন্তদন্ত হয়ে চেষ্টা করছেন উদ্ধারকর্মীরা। কেউ কেউ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাতে ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান এমন খবর দিয়েছে। বৃষ্টির পানিতে ফুলে-ফেঁপে ওঠা গোয়াডালুপ নদীর তীরে খ্রিস্টান মেয়েদের গ্রীষ্মকালীন শিবির থেকে ২৩ থেকে ২৫ জনের হদিস মেলেনি।
মাত্র কয়েক ঘণ্টার ভারী বৃষ্টিতে মৃত্যু ও বিপর্যয়ের মুখে পড়ে অঞ্চলটির বাসিন্দারা। তাদের ভাষ্যে, ‘কয়েক মাসের বৃষ্টি যেন কয়েক ঘণ্টায় নেমে এসেছে।’ এতে নদীর তীরবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দা ও শিশুদের গ্রীষ্মকালীন শিবিরগুলো আক্রান্ত হয়েছে।
দ্রুতপ্রবাহিত পানির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নৌকা ও হেলিকপ্টার ব্যবহার করে উদ্ধার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
স্থানীয় কেরি কাউন্টি এলাকার বিভিন্ন অংশে বন্যার কারণে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া সংস্থা। এই কাউন্টির শেরিফ ল্যারি লেইথা বলেন, এই ‘ধ্বংসাত্মক’ বন্যায় এখন পর্যন্ত ২৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
এরআগে স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে টেক্সাসের লেফটেন্যান্ট গভর্নর ড্যান প্যাট্রিক বলেন, ‘খ্রিস্টান মেয়েদের বেসরকারি একটি গ্রীষ্মকালীন শিবিরের ২৩ জনের হদিস মেলেনি। ক্যাম্প মিস্টিক নামের শিবিরটিতে তখন সাড়ে ৭০০ মেয়ে ছিল।’
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় ইরানের হাসপাতালগুলোতে ‘রক্তবন্যা’
ওই এলাকা থেকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নিখোঁজদের অনুসন্ধানে উদ্ধার অভিযানে কয়েকশ জরুরি কর্মী কাজ করছেন ও ১৪টি হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ছয় কিংবা ১০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজন বয়স্ক ও কয়েকটি শিশু রয়েছে। তাদের পরিচয় নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।’
টেক্সাসের এই বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবগত আছেন জানিয়ে ড্যান প্যাট্রিক বলেন, ‘বন্যার্তদের জন্য যা কিছু করার দরকার তা তিনি (ট্রাম্প) করতে বলেছেন।’
উদ্ধার অভিযানে কয়েকশত সেনা সদস্যও অংশ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। পাঁচ থেকে দশ ইঞ্চির সমপরিমাণ বৃষ্টি হওয়ার পর অঞ্চলটি প্লাবিত হয়েছে। এ সময়ে কের ও কেন্ডাল কাউন্টি বরাবর ধীর গতির ঝড়ও বয়ে গেছে।
এদিকে সামাজিকমাধ্যমে নিখোঁজদের ছবি পোস্ট তাদের খোঁজ চাচ্ছেন অভিভাবকরা। বন্যাপ্রবণ হিল কাউন্টি অঞ্চলে শতবছর ধরে গ্রীষ্মকালীন শিবির স্থাপন করা হয়। দ্য লোন স্টার স্টেইট থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার শিশু এসব শিবিরে অংশ নেয়।
১৬৩ দিন আগে
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ‘ইতিবাচক’ সাড়া দেওয়ার দাবি হামাসের
ইসরায়েলের সঙ্গে সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দেওয়ার কথা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তবে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে আরও আলোচনার প্রয়োজন বলে দাবি করেছে তারা। শুক্রবার (৪ জুলাই) এক বিবৃতিতে হামাস এ তথ্য জানিয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় সম্মতি দিয়েছে কি না, হামাসের সর্বশেষ বিবৃতি থেকে তা স্পষ্ট নয়। যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিশ্চিত করতে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প। এ বিষয়ে আলোচনা করতে আগামী সপ্তাহে হোয়াইট হাউসে যাচ্ছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
তবে, হামাস বেশ কিছুদিন ধরে বলে আসছে, ২১ মাস ধরে চলা গাজা যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধের নিশ্চয়তা ছাড়া সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে যেতে রাজি নয় তারা।
আরও পড়ুন: গাজার জনাকীর্ণ ক্যাফেতে ইসরায়েলের ৫০০ পাউন্ডের বোমা হামলা
যুদ্ধ বন্ধে চেষ্টা চলছে
গত মঙ্গলবার (১ জুলাই) এক বিবৃতিতে ট্রাম্প দাবি করেন, ‘ইসরায়েল ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি দিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্র সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবে।’
তিনি হামাসকে দ্রুত সমঝোতায় আসার আহ্বান জানান। অন্যথায়, পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হবে বলে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের। এরপর, গতকাল (শুক্রবার) রাতে হামাস এক বিবৃতি দেয়, তারা মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি আলোচনায় ‘ইতিবাচক সাড়া’ দিয়েছে।
গোষ্ঠিটি আরও জানায়, যুদ্ধবিরতির বাস্তবায়নের কাঠামো নিয়ে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত তারা। তবে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়নি।
এ বিষয়ে হামাসের এক কর্মকর্তা বলেছেন, আলোচনা সফল হলে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই যুদ্ধবিরতি শুরু হতে পারে। তবে কতজন ফিলিস্তিনি বন্দির বিনিময়ে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্ত করা হবে এবং যুদ্ধবিরতির সময় গাজায় কী পরিমাণ ত্রাণ প্রবেশ করবে, তা ঠিক করতে আলোচনা দরকার।
তিনি বলেন, হামাস জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে গাজায় ত্রাণের পরিমাণ বাড়ানোর দাবি করেছে।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, যুদ্ধবিরতি শুরু হলে একই সঙ্গে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপারে আলোচনাও শুরু হবে। এ জন্য যুদ্ধবিরতির সময়সীমার ‘বেশি সময়’ প্রয়োজন হলেও ট্রাম্প তা বাড়ানোর নিশ্চয়তা দিয়েছেন।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগের আলোচনাগুলো যুদ্ধের সমাপ্তি নিয়ে হামাস ও ইসরায়েলের মতবিরোধে ভেস্তে গেয়েছিল। নেতানিয়াহু যুদ্ধের প্রথম থেকেই বলে আসছে, ‘হামাসকে সম্পূর্ণ ধ্বংস না করে যুদ্ধ থামানো হবে না।’
আরও পড়ুন: গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইসরায়েল: দাবি ট্রাম্পের
এদিকে, বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাতে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনকারী এয়ারফোর্স ওয়ান বিমানে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে হামাস ইতিবাচক মনোভাব’ দেখিয়েছে, এটি খুবই ভালো বিষয়। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব স্পষ্ট হয়ে যাবে।
তিনি জানান, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে একটি চুক্তি হতে পারে।
১৮ ফিলিস্তিনি নিহত
যুদ্ধবিরতি আলোচনার মধ্যেও ইসরায়েলি আগ্রাসন থামেনি। দোহাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার তথ্যমতে, শুক্রবার মধ্যরাত থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এর আগে, শুক্রবার সকালে ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় অন্তত ১৫ ফিলিস্তিনি নিহত হন। এদিকে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘ক্ষুধাস্ত্র’ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
ত্রাণকেন্দ্রগুলোতে অপেক্ষারত ক্ষুধার্ত ও যুদ্ধপীড়িত বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। স্থানীয় হাসপাতালগুলোর বরাতে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) জানিয়েছে, শুক্রবার সারাদিনে ত্রাণ নিতে গিয়ে অন্তত ২০ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।
জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে, গত এক মাসে গাজায় ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে অন্তত ৬১৩ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের বেশিরভাগ নিহত হয়েছেন ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলোর আশেপাশে।
আন্তর্জাতিক চাপের মুখে গত ২৬ মে থেকে ইসরায়েলের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচটি) নামে নতুন ত্রাণ বিতরণ কাঠামো চালু হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচন: মুসলমানদের মধ্যে আশা জাগাচ্ছেন মামদানি
বিতর্কিত এই ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের সাবেক এক নিরাপত্তা কর্মী বিবিসিকে বলেছেন, ‘আমি দেখেছি যে আমার সহকর্মীরা একাধিকবার নিরস্ত্র ও ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালিয়েছে। এমনকি মেশিনগানের ব্যবহারও করতে দেখেছি। অথচ, তারা কোনো ধরনের হুমকি ছিলেন না।’
তিনি জানান, ‘একবার একটি নিরাপত্তা টাওয়ার থেকে একজন নিরাপত্তাকর্মী কয়েকজন নারী, শিশু ও বৃদ্ধ মানুষের ওপর মেশিনগান দিয়ে গুলি চালায়। যার কারণ তারা কেন্দ্র থেকে ফেরার সময় ধীরগতিতে হাঁটছিলেন!’
১৬৩ দিন আগে
রোমে গ্যাস স্টেশনে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, আহত অন্তত ২৯
ইতালির রাজধানী রোমের একটি গ্যাস স্টেশনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে, অন্তত ২৯ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মার্কিন দৈনিক দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের খবর অনুযায়ী, শুক্রবার (৪ জুলাই) শহরের পূর্বাঞ্চলের ওই গ্যাস স্টেশনে রাখা জ্বালানির ট্যাংক বিস্ফোরিত হয়।
এদিকে, বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বিস্ফোরণে ১০ পুলিশ কর্মকর্তা এবং একজন অগ্নিনির্বাপক কর্মীসহ কমপক্ষে ২৭ জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, পুরো রোম শহর জুড়ে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
রোম পুলিশ জানায়, রোমের স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে এই বিস্ফোরণ ঘটে। ওই স্টেশনে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) বিক্রি করা হতো।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি রাশিয়ার
বিস্ফোরণের পরের মুহূর্তে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বিস্ফোরণের প্রচণ্ডতায় দেয়ালের প্লাস্টার ছিটকে শত শত গজ দূর পর্যন্ত গিয়ে পড়েছে। আরেকটি ভিডিওতে পাশের একটি ভবনের বাসিন্দা জানালার কাচ ভেঙে পড়ার দৃশ্য এবং একটি দরজার ফ্রেম আলগা হয়ে যাওয়ার ঘটনা তুলে ধরেন।
ইতালির ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র লুকা কারি বলেন, বিস্ফোরণের আগে সেখানে আরেকটি ট্রাক দুর্ঘটনার শিকার হয়। ওই ঘটনার পরই ফায়ার সার্ভিস কর্মী ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। ঠিক তখনই বিস্ফোরণটি ঘটে।
তিনি আরও জানান, ‘ঠিক কী কারণে বিস্ফোরণ হয়েছে—তা এখনও জানা যায়নি। তবে বিস্ফোরণের পর স্টেশনের পেছনের একটি পার্কিং লটে আগুন ধরে যায়। সেখানে জব্দ করা গাড়ি রাখা ছিল।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ও রোমের মেয়র রবার্তো গুয়ালতিরি জানান, তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।
প্রধানমন্ত্রী মেলোনি আহতদের প্রতি সমবেদনা জানান এবং দুর্গত এলাকা নিরাপদ করতে কাজ করা উদ্ধারকর্মীদের ধন্যবাদ জানান।
১৬৪ দিন আগে
আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি রাশিয়ার
২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানের ক্ষমতাগ্রহণ করা তালেবান সরকারকে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে রাশিয়া।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) এক বিবৃতিতে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিবৃতিতে মস্কো জানায়, তারা তালেবান নিযুক্ত নতুন আফগান রাষ্ট্রদূত গুল হাসান হাসানের পরিচয়পত্র গ্রহণ করেছে।
এতে আরও বলা হয়, `আমরা বিশ্বাস করি, ইসলামিক এমিরেট অব আফগানিস্তানের সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার এই পদক্ষেপ দুইদেশের গঠনমূলক সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে।’
আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাশিয়ার সিদ্ধান্তকে একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে সঙ্গায়িত করেছে।
সামাজিক মাধ্যম এক্সে সিদ্ধান্তটিকে স্বাগত জানিয়ে কাবুলে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি ঝিরনভের সঙ্গে বৈঠকের ভিডিও পোস্ট করেন আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকী। ওই ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘এই সাহসী সিদ্ধান্তটি অন্য দেশগুলোর জন্য অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।
এর আগে, চলতি বছর রাশিয়ার সুপ্রিম কোর্ট তালেবানকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’র তালিকা থেকে বাদ দেয়।
২০২১ সালে আফাগানিস্থান থেকে মার্কিন ও ন্যাটো জোটের সেনা প্রতাহ্যারের পর তালেবান সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে। তখন থেকেই গোষ্ঠিটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি করে আসছে। আফগান সরকার বেশ কিছু দেশের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছে। চীন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করলেও এবারই প্রথম কোনো দেশ ইসলামী গোষ্ঠীটিকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল ওয়ানে সম্প্রচারিত এক বক্তব্যে আফগানিস্তানে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি ঝিরনভ জানিয়েছেন, তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ বিষয়ে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের পরামর্শ গ্রহণ করেন।
রাষ্ট্রদূত ঝিরনভ বলেন, ‘আফগানিস্তানের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিকাশে সচেষ্ট রাশিয়া।’
আরও পড়ুন: গাজার জনাকীর্ণ ক্যাফেতে ইসরায়েলের ৫০০ পাউন্ডের বোমা হামলা
যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান
তবে, পশ্চিমা সরকার ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো তালেবান সরকারের কঠোর সমালোচনা অব্যাহত রেখেছে। তাদের অভিযোগ, তালেবান সরকার নারীদের স্বাধীনতা খর্ব করছে। তালেবান সরকার ২০২১ সালে ক্ষমতা দখলের দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে নারীদের চাকরি ও বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং ষষ্ঠ শ্রেণির ওপরে নারীদের শিক্ষাগ্রহণ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ পশ্চিমা গোষ্ঠীগুলোর। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র তালেবান সরকারের শীর্ষ নেতাদের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে। একইসঙ্গে আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৯ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ অবরুদ্ধ করে রেখেছে।
তবে, এর মধ্যেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চালিয়ে গেছে আফগানিস্তান। ২০২৩ সালে একটি চীনা তেল কোম্পানির সঙ্গে তেল উত্তোলনের চুক্তি সই করে তারা। এর আগে, রাশিয়া ২০২২ সালে আফগানিস্তানের সঙ্গে চুক্তিতে সই করে। ওই চুক্তি অনুযায়ী, আফগানিস্তানকে তেল, গ্যাস এবং গম সরবরাহে রাজি হয় তারা।
এদিকে, সিএনএনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি আদায়ের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে তালেবান সরকার। চলতি বছরের শুরুর দিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এই প্রচেষ্টা আরও জোরদার হয়েছে বলে জানা গেছে।
চলতি বছরের মার্চে আফগানিস্তান দুই মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দেয়। একই সময়ে তিন তালেবান নেতা, যাদের যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত মাথার মূল্য কোটি ডলার—তাদের বিরুদ্ধে সেই পুরস্কারও তুলে নেয় মার্কিন সরকার।
সংশ্লিষ্টদের বরাতে সিএনএন জানিয়েছে, তালেবান নেতৃত্ব যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠকে নানা প্রস্তাব দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে দূতাবাসের মতো অফিস খোলার প্রস্তাবও। তবে, যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।
সূত্র: বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা
১৬৪ দিন আগে
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৯৪ ফিলিস্তিনি নিহত
গাজায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলি ও বিমান হামলায় অন্তত ৯৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে অন্তত ৪৫ জন জরুরি মানবিক সহায়তা পাওয়ার আশায় অপেক্ষমাণ ছিলেন।
নিহতের এই সংখ্যা বুধবার রাত ও বৃহস্পতিবার মিলিয়ে গণনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
রাতের বেলা দক্ষিণ গাজায় একটি তাঁবু শিবিরে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুতদের ওপর হামলা চালানো হলে বহু পরিবারের সদস্য নিহত হয়। এতে একটি পরিবারেরই ১৩ জন নিহত হওয়ার খবর জানা গেছে, যাদের মধ্যে ১২ বছরের কম বয়সী ছয় শিশুও ছিল।
ওই ঘটনার পর সরেজমিনে নিহত সন্তান ও নাতি-নাতনিদের লাশের পাশে বসে বিলাপ করতে দেখা যায় ইন্তেসার আবু আসসি নামের এক নারীকে। বিলাপ করতে করতে তিনি বলছিলেন, ‘আমার সন্তান, আমার সন্তান... আমার প্রিয়জন।’
খান ইউনিস শহরের নাসের হাসপাতালের মর্গের মেঝেতে চাদরে মোড়ানো এক শিশুকন্যার কপালে চুমু খেতে দেখা যায় আরেক নারীকে।
গাজা মধ্যাঞ্চলে আল-আকসা শহিদ হাসপাতালের মর্গে ছয় বছর বয়সী বোনের লাশের পাশে বসে ছিল তার ছোট ভাই। স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যায় একটি খাবারের দোকানের পাশে হামলায় তার পরিবারের আরও একজনসহ মোট আটজন নিহত হন।
অন্যদিকে, গাজা সিটিতে বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয় দেওয়া একটি স্কুলে চালানো আরেকটি হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হন।
এই সব হামলার পাশাপাশি প্রায় প্রতিদিনই সহায়তা নিতে গিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে আরও বহু ফিলিস্তিনি নিহত হচ্ছেন।
গাজা মানবাধিকার সংস্থা (জিএইচএফ) পরিচালিত খাদ্য বিতরণকেন্দ্রে যাওয়ার সময় পথে গুলিতে পাঁচজন নিহত হন।
বার্তা অ্যাসোসিয়েট প্রেসের (এপি) সাংবাদিকদের তথ্য অনুসারে, এই সংস্থাটি (জিএইচএফ) একটি নতুন ও গোপনীয় মার্কিন সংস্থা, যারা ইসরায়েলের সমর্থনে গাজাবাসীর জন্য খাদ্য সরবরাহ করছে।
আরও পড়ুন: গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইসরায়েল: দাবি ট্রাম্পের
এ ছাড়াও জাতিসংঘের ত্রাণ বহনকারী ট্রাকের জন্য অপেক্ষারত অবস্থায় গাজাজুড়ে বিভিন্ন স্থানে আরও ৪০ জন নিহত হন বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্মকর্তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে এপি জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনারা প্রায়ই ত্রাণ নিতে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। সেনা নিয়ন্ত্রিত এলাকায় জাতিসংঘের ট্রাক আসার অপেক্ষায় থাকা লোকদের দিকেও গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
গত মে মাসে বিতরণকেন্দ্র খোলার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং শত শত মানুষ আহত হয়েছেন।
বিতরণকেন্দ্রগুলোর দিকে যাওয়ার পথে মোতায়েন থাকা ইসরায়েলি সেনাদের দাবি, তারা কেবল ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য সতর্কতামূলক গুলি ছোড়ে অথবা যারা তাদের খুব কাছাকাছি আসে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এসব কেন্দ্রের নিরাপত্তায় সশস্ত্র মার্কিন ঠিকাদাররাও নিয়োজিত রয়েছে জানিয়েছে তারা।
ক্ষুধাকে ‘যুদ্ধের অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েল!
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে বলেছে, গাজার সাধারণ নাগরিকদের অনাহারে রাখাকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েল, যা চলমান গণহত্যারই অংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জিএইচএফের বিতরণব্যবস্থা আন্তর্জাতিক উদ্বেগ কমানোর চেষ্টা মাত্র। কারণ নিজেদের নিয়ন্ত্রিত ওই ত্রাণ বিতরণব্যবস্থা ছাড়া জাতিসংঘের পাঠানো ত্রাণ খুবই সীমিত পরিমাণে গাজায় ঢুকতে দিচ্ছে ইসরায়েল।
বিবৃতি অনুসারে, ‘প্রাণঘাতী, অমানবিক ও ব্যর্থ একটি সামরিক সহায়তা কাঠামো বজায় রেখে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ খাদ্যান্বেষণে থাকা নিঃস্ব ফিলিস্তিনিদের মৃত্যু-ফাঁদে ফেলছে।’
অবশ্য অ্যামনেস্টির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এই সংস্থাটি হামাসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাদের সব ধরনের অপপ্রচার অনুসরণ করছে।
ইসরায়েল চায়, জাতিসংঘের বিদ্যমান মানবিক সহায়তা নেটওয়ার্কের পরিবর্তে জিএইচএফ-ই হোক ফিলিস্তিনিদের জন্য প্রধান ত্রাণ বিতরণকারী সংস্থা।
তাদের দাবি, জাতিসংঘের সহায়তার বড় অংশ হামাস ছিনিয়ে নেয়, যদিও ইসরায়েলের এই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন সহায়তা সংস্থা।
জিএইচএফ-কে প্রত্যাখ্যান করে সংস্থাগুলো বলছে, এই সংস্থাটি ফিলিস্তিনিদের প্রয়োজনীয় সহায়তা সরবরাহে ব্যর্থ। এটি ফিলিস্তিনিদের বিপন্ন করে ইসরায়েলের লক্ষ্য বাস্তবায়নের হাতিয়ার মাত্র।
আরও পড়ুন: ত্রাণ সহায়তা নিতে গিয়ে হামলার শিকার হচ্ছে গাজাবাসী
চলতি বছর ইসরায়েল আড়াই মাসের বেশি সময় গাজায় খাদ্যসহ সব ধরনের ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ রেখেছিল। আগে থেকেই ভুগতে থাকা গাজাবাসীকে আরও বেশি অনাহারের দিকে ঠেলে দিয়েছে এই কর্মকাণ্ড। ইসরায়েলের দাবি, এতে হামাসকে চাপ দিয়ে বন্দিমুক্তির আলোচনায় ছাড় দিতে বাধ্য করা সহজ হবে।
মার্চে অবরোধ কিছুটা শিথিল করে ইসরায়েল। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও গাজায় ত্রাণ সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকা প্রতিরক্ষা সংস্থা সিওজিএটি বুধবার জানায়, ১৯ মে থেকে এখন পর্যন্ত ৩ হাজারের বেশি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে।
এই হিসাব অনুযায়ী, দিনে গড়ে মাত্র ২৮টি ট্রাক সেখানে পাঠানো হয়েছে, যেখানে সহায়তাকর্মীরা দিনে কয়েকশ’ ট্রাক প্রয়োজন বলে দাবি করে আসছেন।
তবে নিজেদের কার্যক্রমের সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করে জিএইচএফ বলেছে, তারা ৫ কোটি ২০ লাখের বেশি খাবারের সমতুল্য সহায়তা দিয়েছে। প্রতিটি খাবারের প্যাকেটে ডাল, চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস থাকে, যা একজনের ৫০ বেলার খাবারের সমান।
তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এসব কেন্দ্রে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। লোকজন হুড়োহুড়ি করে খাবারের বক্স ছিনিয়ে নেয়। কেউ একাধিক নেয়, আবার অনেককেই ফিরতে হয় খালি হাতে। পরে এসব বক্স বাজারেও মেলে। সেখানে থেকে কিনতে গেলে হাঁকা হয় আকাশছোঁয়া দাম।
১৬৪ দিন আগে
গাজার জনাকীর্ণ ক্যাফেতে ইসরায়েলের ৫০০ পাউন্ডের বোমা হামলা
গাজা উপত্যকায় সাগরতীরের একটি জনাকীর্ণ ক্যাফেতে ৫০০ পাউন্ড ওজনের একটি বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)।
এ ধরনের শক্তিশালী ও নির্বিচার ধ্বংসাত্মক অস্ত্রের ব্যবহারে একদিকে ব্যাপক বিস্ফোরণ তৈরি করতে পারে, অন্যদিকে বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে ধাতব টুকরা (শ্র্যাপনেল) ছড়িয়ে পড়ে। ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান এমন প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছে।
আন্তর্জাতিক আইনের বরাতে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে, নারী-শিশু ও বয়স্কহ বহু অরক্ষিত বেসামরিক মানুষের উপস্থিতি জেনেও এ ধরনের গোলাবারুদের ব্যবহার নিশ্চিতভাবেই বেআইনি ও এ ঘটনায় যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে।
আল-বাকা নামের ওই ক্যাফের ধ্বংসস্তূপ থেকে বোমাটির খণ্ডাংশের ছবি তুলেছে গার্ডিয়ান। গোলাবারুদ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এমকে-৮২ বোমা। সাম্প্রতিক দশকগুলোতে বিভিন্ন সামরিক অভিযানে ৫০০ পাউন্ড ওজনের এই বোমাটি ব্যবহার করা হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিস্ফোরণে যে বড় ধরনের গর্ত তৈরি হয়েছে, সেটিই বলে দিচ্ছে এটি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এমকে-৮২ এর মতো শক্তিশালী বোমা।
কাফেতে হামলার বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলিক সশস্ত্র বাহিনীর (আইডিএফ) একজন মুখপাত্র। তিনি বলেন, ‘হামলার আগে বিমানের নজরদারির মাধ্যমে বেসামরিক মানুষের ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি কমিয়ে আনতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।’
আরও পড়ুন: ত্রাণকেন্দ্র থেকে ক্যাফে, কোথাও নেই ফিলিস্তিনিদের প্রাণের নিরাপত্তা
চিকিৎসক ও অন্যান্য কর্মকর্তারা বলেন, ‘ওই হামলায় ২৪ থেকে ৩৬ জনের মতো ফিলিস্তিনি নিহত হন। আহত হয়েছেন আরও কয়েক ডজন। নিহতদের মধ্যে একজন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা, একজন শিল্পী, ৩৫ বছর বয়সী এক গৃহিনী ও চার বছরের একটি শিশু রয়েছে।’
জেনেভা কনভেনশনভিত্তিক আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে, ‘বেসামরিক লোকজনের প্রাণহানি ঘটতে পারে বা সামরিক লক্ষ্যের চেয়েও অতিরিক্ত ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে, এমন কোনো সামরিক হামলা করা নিষিদ্ধ।’
চার দশক আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল পারিবারিকভাবে পরিচালিত আল-বাকা ক্যাফে। বিনোদনের জন্য তরুণ ও গাজার পরিবারগুলোর মধ্যে এটির বেশ জনপ্রিয়তা ছিল। কোমল পানীয়, চা ও বিস্কুটের জন্য লোকজন এই ক্যাফেতে ভিড় করতেন।
দোতলা ক্যাফের উপরের ডেক ছিল খোলা। নিচের তলায় সৈকত কিংবা সাগরের দিকে বড় জানালা ছিল। যে কারণে এটির ভেতরের চলাচল উপর থেকেই সুস্পষ্টভাবে দৃশ্যমান ছিল।
মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের গ্যারি সিম্পসন বলেন, ‘কাদের নিশানা করা করা হামলা করা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী তা সুস্পষ্ট করে বলেনি। কিন্তু তারা বলছে যে বেসামরিক হতাহত কমিয়ে আনতে আকাশ থেকে নজরদারি করেছে। এর অর্থ হচ্ছে, তারা জানত যে ওই ক্যাফেটিতে প্রচুর গ্রাহক ছিল।’
আরও পড়ুন: জাপানি দ্বীপপুঞ্জে দুই সপ্তাহে ৯ শতাধিক ভূমিকম্প
‘আইডিএফ অবশ্য জানত যে, আকাশ থেকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে এ ধরনের বড় বোমা হামলা চালালে বহু বেসামরিক লোকজন হতাহত হবেন। কাজেই এমন একটি ভিড়ে ঠাসা ক্যাফেতে এই হামলা ছিল অতিরিক্ত মাত্রায় ও নির্বিচার। যুদ্ধাপরাধ হিসেবে এই ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত।’
১৬৫ দিন আগে
জাপানি দ্বীপপুঞ্জে দুই সপ্তাহে ৯ শতাধিক ভূমিকম্প
জাপানের দক্ষিণাঞ্চলের একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপপুঞ্জে গেল দুই সপ্তাহে ৯ শতাধিক ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এখন সামনে কী ঘটতে যাচ্ছে, সেই আতঙ্কে সেখানকার নাগরিকদের ঘুম পর্যন্ত হারাম হয়ে গেছে। যদিও এসব ভূকম্পে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর আসেনি।
ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান এমন খবর দিয়েছে। ভূমিকম্পের এই প্রবণতা কখন থামবে, তা বলতে পারছে না জাপানের আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বুধবার (৩ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির ভূমিকম্প ও সুনামি পর্যবেক্ষণ বিভাগের পরিচালক আয়াতাকা এবিতা বলেন, ‘গেল ২১ জুন থেকে তোকারা দ্বীপপুঞ্জের সমুদ্রে ভূকম্পনীয় তৎপরতা খুবই সক্রিয়।’
দক্ষিণাঞ্চলীয় কিয়ুশু দ্বীপে পাঁচ দশমিক পাঁচ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হওয়ার পরই তিনি এই সংবাদ সম্মেলন ডাকেন। এই ভূকম্পবিশারদ বলেন, ‘আজ ৪টা পর্যন্ত ভূমিকম্পের সংখ্যা ৯ শতাধিক ছাড়িয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচন: মুসলমানদের মধ্যে আশা জাগাচ্ছেন মামদানি
অঞ্চলটিতে আরও বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে শঙ্কায় বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া উচিত বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
জাপানি সংবাদমাধ্যম দ্য মেইনিচি শিম্পুন জানিয়েছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত আগের ১০ দিনে অঞ্চলটিতে ৭৪০টি ভূমিকম্প নথিভুক্ত করা হয়েছে। সাত মাত্রার ভূমিকম্পের তীব্রতার স্কেলে এক বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার ছিল এগুলো। জাপানে ভূমিকম্পের কাঁপুনির মাত্রা বোঝাতে এই স্কেল ব্যবহার করা হয়, যেখানে সাত হচ্ছে সবচেয়ে শক্তিশালী মাত্রা।
পাঁচ মাত্রার ভূমিকম্প হলে মানুষকে সতর্ক করার জন্য সেটি যথেষ্ট বলে বিবেচনা করা হয়। কারণ, এই মাত্রার ভূমিকম্পে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতে পারে, টাল সামলাতে অবলম্বন হিসেবে কিছু একটা ধরে রাখতে বাধ্য হতে হয়।
নিজেদের ওয়েবসাইটে তোকারা গ্রাম জানিয়েছে, ভূমিকম্পের ভয়ে লোকজন ঘুমাতে না পেরে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন।
‘মনে হচ্ছে, গ্রামটি সবসময় কাঁপছে। যে কারণে ঘুমাতে গেলে আতঙ্ক তৈরি হয়,’ বললেন একজন বাসিন্দা। কখন এই ভূমিকম্প শেষ হবে, তা স্পষ্ট না বলে মন্তব্য করেন আরেক বাসিন্দা। তিনি বলেন, ‘সন্তানদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিতে হবে কিনা; সেটা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে।’
সরকারি উপাত্ত থেকে জানা যায়, ২৩ জুন একদিনেই ১৮৩টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ২৬ জুন এই সংখ্যাটি ছিল ১৫; ২৭ জুন ১৬। কিন্তু পরেরদিন থেকে আবার বাড়তে থাকে ভূকম্পের সংখ্যা। ২৮ জুন ৩৪টি ভূমিকম্প হয়েছে, ২৯ জুন ৯৮টি। আর ৩০ জুন ৬২টি ভূমিকম্প হয়েছে।
এরআগে ২০২৩ সালে তোকারা অঞ্চলে একই ধরনের ভূকম্পনীয় প্রবণতা দেখা গেছে। তখন ৩৪৬টি ভূমিকম্প নথিভুক্ত করা হয়েছে।
বিচ্ছিন্ন তোকারা দ্বীপপুঞ্জের সাতটিতে মানুষ বাস করেন। এসব দ্বীপে সবমিলিয়ে ৭০০ বাসিন্দা রয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তোকারা দ্বীপপুঞ্জের আশপাশের অঞ্চলের ভূতাত্ত্বিক গঠন অস্বাভাবিক হওয়ায় সাগরতলের নিচে গিয়ে চাপ জমা পড়ে সহজভাবে, পরে তা ভূমিকম্পের আকারে বেরিয়ে আসে।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ভূকম্পনপ্রবণ দেশগুলোর একটি হচ্ছে জাপান।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্বে আদেশ কার্যকর হচ্ছে
প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অফ ফায়ারের’ পশ্চিম প্রান্ত বরাবর চারটি বড় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত জাপান। সাড়ে ১২ কোটি জনসংখ্যার দেশটির বাসিন্দারা বছরে দেড় হাজারের বেশি ভূকম্পের মুখে পড়েন। যা বিশ্বের মোট ভূমিকম্পের আঠারো শতাংশ।
তবে এগুলোর বেশিরভাগই মৃদু হওয়ায় অবস্থান ও ভূমিকম্পের গভীরতার ওপর ভিত্তি করে ক্ষয়ক্ষতি ঘটে।
১৬৫ দিন আগে
বরখাস্ত হওয়া থাইপ্রধানমন্ত্রী পেলেন সংস্কৃতি মন্ত্রীর দায়িত্ব
থাইল্যান্ডের নতুন মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন দেশটির বরখাস্ত হওয়া প্রধানমন্ত্রী পেতাংতার্ন সিনাওয়াত্রা। এতে দেশটির মন্ত্রিসভার বৈঠকে অংশ নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে তার জন্য। যদিও নিজের অসদাচরণ নিয়ে সাংবিধানিক আদালতের পর্যালোচনার অপেক্ষায় রয়েছেন দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটির এই রাজনীতিবিদ।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ব্যাংককে তেরো সদস্যের থাইল্যান্ডের নতুন মন্ত্রিসভার শপথ হয়েছে। গেল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে থাইল্যান্ডের সিনাওয়াত্রা পরিবারের এই সদস্যকে। একইদিন নতুন মন্ত্রিসভার অনুমোদন দিয়েছেন থাই রাজা। এতে পেতাংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে সংস্কৃতি বিষয়কমন্ত্রী হিসেবে দেখা গেছে।
শপথ অনুষ্ঠানে মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যদের সঙ্গে যখন সরকারি ভবনে আসেন পেতাংতার্ন, তখন তাকে খুব হাসিখুশি অবস্থায় দেখা গেছে। এ সময়ে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্ন নেননি তিনি। নতুন মন্ত্রিসভার নেতৃত্ব দেন ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী সুরিয়া জুংরুংগ্রেয়াংকিত।
পেতাংতার্ন সিনাওয়াত্রার কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রীত্বের কর্তৃত্ব কেড়ে নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে মন্ত্রিসভায় এই রদবদল হয়েছে। সম্প্রতি থাইল্যান্ডের রক্ষণশীল ভুমজাথাই পার্টি ক্ষমতাসীন জোট থেকে বেরিয়ে গেছে। এখন ক্ষমতা ধরে রাখতে ছোট ছোট দলগুলোর কাছ থেকে সমর্থন আদায়ে মরিয়া ক্ষমতাসীন জোট।আরও পড়ুন: ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় থাইপ্রধানমন্ত্রী বরখাস্ত
দেশটিতে নতুন করে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে আসন্ন বাজেটসহ গুরুত্বপূর্ণ আইন প্রণয়নে সরকারের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন পেতাংতার্নের বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রা।
গেল মাসে কম্বোডিয়ার সাবেক নেতা হুন সেনের সঙ্গে পেতাংতার্নের ফোনালাপের পর সাম্প্রতিক রাজনৈতিক এই অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে। এতে তারা দুই দেশের মধ্যকার বিতর্কিত সীমান্ত নিয়ে আলোচনা করেন। ওই ফোনকল ফাঁস হওয়ার পরে পেতাংতার্নের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তার জনপ্রিয়তায়ও ধস নেমেছে।
ব্যাংককভিত্তিক অর্থনীতিবিদ টিম লিলাহাফান বলেন, ‘ফেউ থাই পার্টির নেতৃত্বাধীন জোটের ঐক্য নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আসছে দিনগুলোতে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়তে পারে। এরসঙ্গে যোগ হয়েছে থাই-কম্বোডিয়ার মধ্যকার সীমান্ত উত্তেজনা। এতে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা নিয়ে নিতে পারে বলেও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।’
পেতাংতার্ন সিনাওয়াত্রার বিরুদ্ধে অভিযোগের জবাব দিতে ১ জুলাই থেকে ১৫ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিন শেষে বিশেষ মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করতে পারেন ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী সুরিয়া জুংরুংগ্রেয়াংকিত।
১৬৫ দিন আগে
ইন্দোনেশিয়ায় বালির কাছে ফেরিডুবি, নিহত ৪, বহু নিখোঁজ
ইন্দোনেশিয়ার জনপ্রিয় পর্যটন দ্বীপ বালির কাছে একটি ফেরিডুবির ঘটনায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আরও অন্তত ৩৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সময় বুধবার (২ জুলাই) গভীর রাতে পূর্ব জাভার কেতাপাং বন্দর ছাড়ার প্রায় আধঘণ্টা পর ‘কেএমপি তুনু প্রতমা জয়া’ নামের ফেরিটি ডুবে যায়। ফেরিটি ৫০ কিলোমিটার দূরের বালির গিলিমানুক বন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল বলে জানিয়েছে জাতীয় উদ্ধারকারী সংস্থা।
সুরাবায়া সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সি জানিয়েছে, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজন নিহত হয়েছে এবং ২৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও অন্তত ৩৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন, যাদের খোঁজে আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল থেকে ফের উত্তাল সমুদ্রে অভিযান চালাচ্ছে উদ্ধারকারীরা।
ফেরিটিতে ৫৩ জন যাত্রী, ১২ জন ক্রু এবং ২২টি যানবাহন ছিল বলে জানানো হয়েছে।
বানিউয়াঙ্গি পুলিশের প্রধান রামা সামতামা পুত্র বলেন, উত্তাল ঢেউয়ের মধ্যে দীর্ঘ সময় ভেসে থাকার পর অনেককে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, নিখোঁজদের সন্ধানে এখন পর্যন্ত দুটি টাগবোট ও দুটি ইনফ্ল্যাটেবল বোটসহ মোট ৯টি নৌযান অংশ নিয়েছে। প্রায় ২ মিটার (সাড়ে ৬ ফুট) উচ্চতার ঢেউয়ের মধ্যে রাতভর উদ্ধার কাজ চালিয়েছে দলটি।
১৭ হাজারের বেশি দ্বীপ নিয়ে গঠিত ইন্দোনেশিয়া। দেশটিতে ফেরি যোগাযোগের জনপ্রিয় মাধ্যম হলেও প্রায়ই সেখানে নিরাপত্তা বিধিনিষেধ মানা হয় না। এর ফলে নৌ-দুর্ঘটনাও ঘটে হরহামেশা।
১৬৫ দিন আগে
গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইসরায়েল: দাবি ট্রাম্পের
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাশাপশি, হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, হামাস যদি এই চুক্তি মেনে না নেয় তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
এমন এক সময়ে ট্রাম্প এই ঘোষণা দিয়েছেন, যখন তিনি হোয়াইট হাউসে আগামী সোমবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।-খবর এপি ও গার্ডিয়ানের
ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘গাজা নিয়ে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ ও ফলপ্রসূ বৈঠক করেছেন আমাদের প্রতিনিধিরা। ৬০ দিনের একটি অস্ত্রবিরতি চূড়ান্ত করতে প্রয়োজনীয় শর্তে রাজি হয়েছে ইসরায়েল—এই সময়ের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধে আমরা সব পক্ষের সঙ্গে কাজ করবো।’
হামাসকে কাতার ও মিসরীয় মধ্যস্থতাকারীরা চূড়ান্ত প্রস্তাব পৌঁছে দেবেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আশা করছি, মধ্যপ্রাচ্যের ভালোর জন্য হলেও হামাস এই চুক্তি মেনে নেবে। কারণ, চুক্তি না মানলে পরিস্থিতি ভালো হবে না—বরং খারাপের দিকেই যাবে।’
এটিই সবচেয়ে ভালো ও চূড়ান্ত প্রস্তাব বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প, যদিও আগের অভিজ্ঞতার বিবেচনায় হামাসের কাছে তা সন্দেহপ্রবণ মনে হতে পারে। কী কী শর্তে যুদ্ধ বন্ধে রাজি হয়েছে ইসরায়েল, তা এখনো পরিষ্কার না।
এরআগে গেল মার্চে যুদ্ধবিরতি শেষ হয়ে যাওয়ার আগে লড়াই বন্ধে হামাসকে চাপে রাখতে নাটকীয়ভাবে বারবার সময়সীমা বেঁধে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৫৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
হামাস বলছে, যুদ্ধ বন্ধের যেকোনো শর্তে জিম্মিদের ছেড়ে দিতে তারা প্রস্তুত। কিন্তু ইসরায়েল বলছে, হামাসকে ভেঙে দেওয়া ও নিরস্ত্রীকরণ করলেই কেবল এই যুদ্ধ বন্ধ হতে পারে।
১৬৬ দিন আগে