বিশ্ব
কানাডার নির্বাচনে জয় পেল প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির লিবারেল পার্টি
কানাডার ফেডারেল নির্বাচনে জয় পেয়েছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির লিবারেল পার্টি। কানাডার ব্রডকাস্টিং করপোরেশন এমনটিই জানিয়েছে। দেশটির অর্থনীতি ও সার্বভৌমত্বের প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকির কারণে সোমবারের (২৮ এপ্রিল) নির্বাচনের ফলাফলে নাটকীয় পরিবর্তন এসেছে।
চলতি বছরের শুরুতে দেশটিতে আবাসন খরচ বৃদ্ধি ও ক্রমবর্ধমান অভিবাসনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পদত্যাগের পর লিবারেলদের হেরে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু দেশটির সার্বভৌমত্ব ও অর্থনীতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হুমকিতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে নাগরিকরা। এর ফলে তাদের মাঝে এক ধরনের জাতীয়তাবাদ গড়ে উঠে। এর ফলেই লিবারেলদের পতনমুখী অবস্থার অবসান হয়—যা দলটিকে চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে সাহায্য করেছে।
নির্বাচনের আগে ভ্যাঙ্কুবারে প্রাণঘাতি গাড়ির ধাক্কায় হতাহতের পর নির্বাচনী প্রচারণা কয়েক ঘণ্টা স্থগিত রাখা হয়েছিল। এই ঘটনার সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের সম্পৃক্ততাকে উড়িয়ে দিয়ে জড়িত স্থানীয় এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। আটক ব্যক্তি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন বলে জানায় পুলিশ।
বেশ কিছুদিন ধরে কানাডা জীবনযাত্রার ব্যয় সংকটের মধ্যে রয়েছে। এছাড়া ট্রাম্পের ব্যাপক শুল্কারোপের হুমকি ও উত্তর আমেরিকার গাড়ি নির্মাতাদের কারখানা কানাডা থেকে সরিয়ে নেওয়ার ইচ্ছা দেশটির অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। এতে অর্থনীতি ক্ষতির মুখে পড়ে।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের মোকাবিলায় কানাডা কাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিচ্ছে?
নির্বাচনের জরিপে দেখা যায় ৩৪৩টি আসনের মধ্যে কনজারভেটিভ পাটির চেয়ে বেশি আসনে জয় পাবে কার্নির লিবারেল পার্টি। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি যে লিবারেলরা অন্তত ১৭২ আসন জিতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে—নাকি আইন পাসের জন্য অন্য কোনো ছোট রাজনৈতিক দলের ওপর নির্ভর করতে হবে।
কানাডায় যেভাবে নির্বাচন হয়
কানাডায় ভোটাররা সরাসরি তাদের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করেন না। ভোটাররা ৩৪৩টি নির্বাচনী জেলায় কেবল হাউস অফ কমন্সে তাদের স্থানীয় প্রতিনিধি নির্বাচন করেন।
হাউস অফ কমন্সে যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে, সেই দলের নেতা সরকর গঠন করবে এবং তিনিই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
তবে যদি কোনো দলই প্রয়োজনীয় সংখ্যক আসনে জয়লাভ করতে না পারেন, তাহলে সবচেয়ে বেশি আসন পাওয়া দল বিরোধী অন্য দলের সমর্থন নিয়ে সংখ্যালঘু সরকার গঠন করবে। তবে বিরল ঘটনা হলো— দুই বা ততোধিক দল আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি করে জোট সরকার গঠন করতে পারে।
লিবারেল দলের কার্নি ও কনজারভেটি দলের পোইলিভর উভয়ই বলেছেন, নির্বাচিত হলে তারা কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয় পুনর্বিবেচনা করবেন—যাতে উভয় দেশের অর্থনীতির অনিশ্চয়তা কেটে যায়।
যুক্তরাজ্যের নাগরিন নন এমন প্রথম ব্যক্তি হিসেবে কার্নির ব্যাংক অব ইংল্যান্ড পরিচালনা করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এর আগে তিনি কানাডার কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিচালনা করেছেন।
আরও পড়ুন: কানাডাকে ‘সত্যিকার অর্থে’ ৫১তম অঙ্গরাজ্য করতে চাচ্ছেন ট্রাম্প: ট্রুডো
কানাডার নাগরিকদের নিয়ে ট্রাম্পের উপহাস
নির্বাচনের দিন কানাডার নাগরিকদের নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে উপহাস করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, তিনি নিজেই ব্যালটে আছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাজ্য হওয়া উচিৎ কানাডাকে। যুক্তরাষ্ট্র ভুলবশত কানাডাকে ভর্তুকি দেয় বলেও দাবি করেন তিনি।
পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘কানাডা রাজ্য না হওয়াটার কোনো মানে নেই।’
নির্বাচনের দিন কানাডার রেকর্ড ৭৩ লাখ ভোটার ভোট দিয়েছেন।
২৩০ দিন আগে
ইউক্রেনে ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা রাশিয়ার
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয় দিবস উপলক্ষে ইউক্রেনে ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে রাশিয়া। সোমবার (২৮ এপ্রিল) এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণার মধ্য দিয়ে তিন বছরের চলমান সংঘাতের অবসানের দিকে অগ্রসর হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হলো।
দেশ দুটির মধ্যে চলমান যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপের মধ্যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই ঘোষণা দিয়েছেন। পুতিন মূলত এক তরফা ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছেন। তবে কিয়েভ তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতির উপর জোর দিয়ে আসছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলেছে, মানবিক কারণে এই যুদ্ধবিরতি আগামী ৮ মে থেকে শুরু হয়ে ১০ মে পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। ১৯৪৫ সালে নাৎসি জার্মানিকে পরাজিত করে মস্কো যে বিজয় অর্জন করেছিল—তা উদযাপন করতেই মূলত এই সময়টিতে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। এই সময়টি রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ছুটির দিন।
গ্রিনিচ মান অনুযায়ী ৭ মে বিকাল ৫টা থেকে শুরু হয়ে ১০ মে বিকাল ৫টা পর্যন্ত স্থায়ী হবে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইউরোপ: ম্যাঁখো
এর আগে ইউক্রেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৩০ দিনের পূর্ণ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হয়—যেটিকে বিভ্রান্তিকর বলে উড়িয়ে দিয়েছিল পুতিন।
মন্ত্রণালয়ের মতে, ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা বলেছেন, ‘রাশিয়া যদি সত্যিকার অর্থে শান্তি চায়, তাহলে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি করতে হবে।’ তিনি বলেছেন, কিয়েভ ‘স্থায়ী, নির্ভরযোগ্য ও অন্তত ৩০ দিনের স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য প্রস্তুত।’
মস্কোর যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে ইউক্রেন প্রস্তুত কিনা তা স্পষ্ট না করে তিনি বলেন, ‘কেন ৮ মে’র জন্য অপেক্ষা করতে হবে? আমরা যদি যুদ্ধবিরতি চাই, তাহলে তা যেকোন তারিখ থেকে ৩০ দিনের জন্য করতে পারি—যাতে এটি বাস্তব হয় এবং তা কেবল প্রদর্শনের জন্য নয়।’
২৩০ দিন আগে
নতুন পোপ নির্বাচন শুরু ৭ মে
পোপ ফ্রান্সিসের উত্তরসূরি নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু হবে আগামী ৭ মে থেকে। সোমবার (২৮ এপ্রিল) ক্যাথলিকরা নতুন পোপ নির্বাচনের জন্য কার্ডিনাল সম্মেলন (পোপ কনক্লেভ) শুরুর এই তারিখ নির্ধারণ করেন।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যের পর প্রথম দিনের অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে কার্ডিনালরা ৫ মে নির্ধারণ করলেও পরে তা দুদিন পিছিয়ে দেওয়া হয়। যাতে গোপন ভোট দেওয়ার আগে একে অপরকে আরও ভালোভাবে জানার সুযোগ পান এবং প্রার্থীর বিষয়ে ঐকমত্য খুঁজে পেতে সহায়ক হয়। আর এই পদক্ষেপটির কারণ হলো সারা বিশ্ব থেকে যাওয়া ক্যাথলিক কার্ডিনালদের সিস্টিন চ্যাপেলে সীমিত করার পর তাদের আর সেই সুযোগটি থাকবে না।
তবে পোপ সম্মেলনটি ৫ মে’র আগেই শুরু করা যেত। অশীতিপর কার্ডিনালরা অনানুষ্ঠানিক অধিবেশনে আরও বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ নিতে এই সময় বাড়িয়েছেন। তারা মঙ্গলবার আবারও মিলিত হবেন।
পোপ হিসেবে ১২ বছর দায়িত্ব পালনের পর মৃত্যু হয় ফ্রান্সিসের। ক্যাথলিক চার্চের নতুন নেতা কে হবেন, তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। ১৩৯ কোটি ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা এই পোপ।
আরও পড়ুন: পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষে দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা
কে হচ্ছেন পরবর্তী পোপ?
এখনো উত্তরসূরি নির্বাচন হয়নি। পোপ নির্বাচনের জন্য কলেজ অফ কার্ডিনালস রয়েছে। এতে জ্যেষ্ঠ ক্যাথলিক পাদ্রিদের অনেককেই নিযুক্ত করেছেন সম্প্রতি মারা যাওয়া পোপ ফ্রান্সিস নিজেই। যারাই মূলত পরবর্তী পোপ নির্বাচন করবেন।
তবে পোপ হওয়ার জন্যও পূরণ করতে হবে কিছু শর্ত। এর মধ্যে একজন প্রার্থীকে অবশ্যই হতে হবে ব্যাপ্টিস্ট ও রোমান পুরুষ ক্যাথলিক। যদিও এর ব্যত্যয় ঘটিয়ে কার্ডিনালরা শতাব্দী ধরে তাদের পদ থেকে এককভাবে কাউকে নির্বাচিত করে আসছেন।
সারা বিশ্বে বর্তমানে ২৪০ জনেরও বেশি কার্ডিনাল রয়েছেন। তারা সাধারণত আজীবন এই পদবি ধারণ করে থাকেন।
কিভাবে নতুন পোপ নির্বাচন হবে?
রীতি অনুযায়ী পোপের মৃত্যু হলে বা পদত্যাগ করলে ৮০ বছরের কম বয়সী কার্ডিনালরা পোপ সম্মেলনে ভোট দেন। বাইরের প্রভাবমুক্ত রাখার জন্য পোপদের সম্মেলনটি সিস্টিন চ্যাপেলে সীমাবদ্ধ রাখা হয়। যেখানে সম্ভাব্য পরবর্তী পোপের বিষয়ে আলোচনা করেন কার্ডিনালরা।
পোপ নির্বাচনের জন্য সাধারণত ভোটার সংখ্যা ১২০ জনে সীমাবদ্ধতা থাকলে বর্তমানে যোগ্য ভোটার হিসেবে রয়েছেন ১৩৮ জন। ভোটাররা গোপন ব্যালটে পোপ নির্বাচনে ভোট দিয়ে থাকেন। আর এই নির্বাচন প্রক্রিয়াটি পর্যবেক্ষণ করে থাকেন ৯ জন কার্ডিনাল। তবে ঐতিহ্যগতভাবে পোপ নির্বাচনের জন্য দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের প্রয়োজন হয়। তবে এই শর্ত পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ভোটের কার্যক্রম কয়েক পর্বে অব্যাহত থাকে।
নির্বাচন প্রক্রিয়ায় প্রতিটি পর্বে ব্যালট কেমিক্যাল দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়। এসময় কালো বা সাদা ধোঁয়া তৈরি হয়। যেটি মূলত ফলাফলের সংকেত দেয় বিশ্ববাসীকে। এরমধ্যে কালো ধোঁয়া সংকেত দেয় যে সিদ্ধান্ত হয়নি। আর সাদা ধোঁয়া সংকেত দেয় সিদ্ধান্ত হয়েছে। সর্বশেষ পোপ নির্বাচিত হওয়ার পর একজন শীর্ষ কার্ডিনাল সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকা থেকে নতুন পোপের নাম ঘোষণা করেন।
কত সময় লাগে নতুন পোপ নির্বাচনে?
নতুন পোপ নির্বাচনে কতটা সময় লাগবে তা নির্ভর করে কার্ডিনালদের বিভক্তির ওপর। এই প্রক্রিয়াটি সম্পাদন করতে একদিন বা এক সপ্তাহ এমনকি তারও বেশি সময় প্রয়োজন হতে পারে।
প্রতিদিন সম্মেলনে পোপ নির্বাচনের জন্য চার দফা ভোট দিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করবেন কার্ডিনালরা। ৩৩টি পর্বে ভোটগ্রহণেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হলে শীর্ষ দুই প্রার্থী দ্বিতীয় দফার ভোটে মুখোমুখি হবেন।
সর্বশেষ তিনটি পোপ নির্বাচনে তুলনামূলক কম সময় লেগেছে। এই নির্বাচনগুলোতে মাত্র কয়েক দিন লেগেছে। তবে পোপ নির্বাচনে দীর্ঘ সময় লাগারও ইতিহাস রয়েছে। রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে ১২৭১ সালে পোপ গ্রেগরি দশমকে নির্বাচন করতে সময় লেগেছিল তিন বছর।
আরও পড়ুন: পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে যোগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
নতুন পোপ নির্বাচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত ভ্যাটিকানের সাময়িকভাবে আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করবেন একজন জ্যেষ্ঠ কার্ডিনাল। যাকে বলা হয় ক্যামারলেঙ্গো। ক্যামারলেঙ্গো মূলত পোপ মারা যাওয়ার পর কিংবা পদত্যাগের পর নতুন পোপ নির্বাচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত সময়কালে ভ্যাটিকানের দায়িত্ব পালন করাকে বোঝায়। চার্চের মতবাদ বা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা এই ক্যামারলেঙ্গোর থাকে না।
বর্তমান ক্যামারলেঙ্গো হলেন আয়ারল্যান্ডের বংশোদ্ভুত কার্ডিনাল কেভিন ফারেল। তিনি ভ্যাটিকানের সুপ্রিম কোর্টের প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
সূত্র: বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা
২৩১ দিন আগে
মার্কিন বিমান হামলায় ইয়েমেনে কারাগারে ৬৮ অভিবাসী নিহত
ইয়েমেনে আফ্রিকান অভিবাসীদের বন্দি করে রাখা একটি কারাগারে মার্কিন বিমান হামলায় অন্তত ৬৮ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও ৪৭ জন।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) দেশটির হুতি বিদ্রোহীরা এমন দাবি করেছে। তবে এমন কোনো হামলা চালানো হয়েছে বলে স্বীকার করেনি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী।
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) খবর বলছে, হুতিদের অন্যতম ঘাঁটি বলে খ্যাত ইয়েমেনের সাদা অঞ্চলে এই হামলা হয়েছে। ইয়েমেন হয়ে কাজের সন্ধানে সৌদি আরবে যাওয়া চেষ্টা করা ইথিওপিয়াসহ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা এতে হতাহতের শিকার হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিমান হামলার পর ইয়েমেন ছেড়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধান
এমন এক সময়ে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে, যখন হুতিদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ইরানের সঙ্গে পরমাণু আলোচনা করছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। বিদ্রোহীদের লক্ষ্য এই হামলা চালানোর পর ‘অপারোশন রাফ রাইডার’ নামে চালানো মার্কিন অভিযান নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তোলার সম্ভাবনা তৈরি হলো।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) ভোরে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডের দেওয়া এক বিবৃতিতে কথিত ব্যাপক বিমান হামলায় মার্কিন বাহিনীর জড়িত থাকার নির্দিষ্ট কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। তবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পেট হেগসেথের অনির্ভরযোগ্য সিগন্যাল মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করে আক্রমণ সংক্রান্ত স্পর্শকাতর তথ্য প্রকাশ করায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে আমেরিকায়।
সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছে, ‘কার্যকর অভিযানের নিরাপত্তার খাতিরে আমরা সচেতনভাবে আমাদের চলমান বা ভবিষ্যৎ অভিযানের তথ্য সামান্য প্রকাশ করেছি।’ এতে আরও বলা হয়, ‘আমাদের অভিযান নিয়ে আমরা খুবই সতর্ক, তবে আমরা কী করেছি বা করব—তা সুর্নিদির্ষ্টভাবে প্রকাশ করব না।’
তবে ইয়েমেনের সাদায় হামলার বিষয়ে অ্যাসোসিয়েট প্রেসের কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়নি মার্কিন বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড।
হুথিদের নিয়ন্ত্রিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলার শিকার কারাগারটিতে ১১৫ জন অভিবাসী আটক ছিলেন।
বিদ্রোহীদের বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, হামলায় কারগারে থাকা ৬৮ জন অভিবাসী নিহত ও ৪৭ জন আহত হয়েছেন।
কারাগারে হামলা চালিয়ে অভিবাসীদের হত্যার ঘটনাকে ’খুবই দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে জাতিসংঘের সংস্থা আন্তর্জাতিক অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম)।
সংস্থাটি বলেছে, ‘এই ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষতি এড়াতে এবং তাদের নিরাপত্তা দেওয়ার ও রক্ষা করার সকল প্রচেষ্টা করা অত্যন্ত জরুরি।’
আরও পড়ুন: ইয়েমেনে সন্দেহজনক মার্কিন বিমান হামলা
এর আগে গত ১৮ এপ্রিল রাস ইসা জ্বালানি বন্দরে মার্কিন বাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ৭৪ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও ১৭১ জন ইয়েমেনি। এই হামলাটি মার্কিন হামলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল। তবে ১৮ এপ্রিল বন্দরে চালানো হামলার বিষয়ে আজকের বিবৃতিতে ব্যাখ্যা দিয়েছে সেন্ট্রাল কমান্ড।
২৩১ দিন আগে
চীন-মার্কিন শুল্ক আলোচনায় অগ্রগতির আভাস
চীনের সঙ্গে শুল্ক ইস্যুতে সমঝোতার একটি পথ রয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট। তবে দুই দেশের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যচুক্তি স্বাক্ষর করা সময়সাপেক্ষ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।- খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
স্থানীয় সময় রবিবার (২৭ এপ্রিল) মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এসব বলেন স্কট। মার্কিন অর্থমন্ত্রী জানান, গত সপ্তাহে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বৈঠকের সময় চীনা প্রতিনিধিদের সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি চীনা প্রতিনিধিদের সঙ্গে কিছুটা আলোচনা করেছি। কেবল অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট সম্পর্কিত বিষয়েই এই আলোচনা হয়েছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের তার সমকক্ষ শি জিনপিংয়ের মধ্যে সরাসরি কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা; সে বিষয়ে স্কট নিশ্চিত নন বলে জানান।
এদিকে শুক্রবার (২৫এপ্রিল) পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে অংশগ্রহণের উদ্দেশে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প জানান, শুল্ক নিয়ে চীনের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
আরও পড়ুন: কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘টাইট’দেওয়া যায়, তা বের করতেই ভিয়েতনামে শি: ট্রাম্প
তবে আলোচনার প্রসঙ্গটি প্রত্যাখান করে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রকে কোনো ধরনের ভুল ধারণা সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
অবশ্য চীনের জনগণকে খুশি করতেই দেশটির সরকার আলোচনার বিষয় অস্বীকার করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী।
এদিকে, শনিবার (২৬ এপ্রিল) কাজাখস্তানে এক আঞ্চলিক বৈঠকের ফাঁকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্কের ব্যাপারে বেইজিং আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে চলবে এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে সংহতি বজায় রেখে চলবে।
তিনি বলেন, ‘কিছু দেশ অকারণে বাণিজ্যযুদ্ধ উস্কে দিচ্ছে। নিজেদের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে তারা অন্য দেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছে, এতে তাদের চরম স্বার্থপরতা প্রকাশ পাচ্ছে।’
অবশ্য শুল্ক ইস্যু নিয়ে চীনের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানান স্কট বেসেন্ট। তিনি বলেন, ‘উচ্চ শুল্কহার চীনের ব্যবসার জন্য টেকসই নয়; এটি তারা শিগগিরই বুঝতে পারবে।’
শুল্ক নিয়ে আলোচনা অস্বীকারের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা চীনের মানুষকে এই বার্তা দিতে পারে। চীন ভিন্ন শ্রোতাদের উদ্দেশে এসব বলছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: চীন বাদে সব দেশের ওপর মার্কিন পাল্টা শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত
মার্কিন অর্থমন্ত্রী জানান, প্রথম ধাপে আলোচনায় উত্তেজনা প্রশমিত হতে পারে। এরপরে ১৭-১৮টি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে নীতিগত সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হতে পারে, যেগুলো নিয়ে বর্তমানে আলোচনা চলছে।
তবে দুই দেশের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কোনো বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর হতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
এ সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আলোচনার কৌশলের প্রশংসা করেন স্কট। তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের এই কৌশলকে গেম থিওরিতে কৌশলগত অনিশ্চয়তা বলা হয়। এতে আলোচনার সময় প্রতিপক্ষকে নিজের পরিকল্পনার চূড়ান্ত লক্ষ্য জানানো হয় না।’এই কৌশলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চেয়ে দক্ষ আর কেউ নেই বলে মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী বেসেন্ট।
এমন এক সময় মার্কিন অর্থমন্ত্রী এসব বলেন, যখন শুল্কারোপের কারণে ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা করে দেশটির খুচরা বিক্রেতারা হোয়াইট হাউসকে সতর্ক করেছেন।তারা জানান, এই অতিরিক্ত শুল্কারোপের ফলে দ্রুতই তাদের মজুত পণ্য শেষ হতে চলেছে, পাশাপাশি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দাম বেড়ে যাওয়ার শঙ্কাও প্রকাশ করেন।
ইতোমধ্যেই সৌন্দর্য পণ্য, স্বাস্থ্য পণ্য, বাসাবাড়ির জিনিসপত্র ও খেলনার মতো পণ্যের গড় মূল্য উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে বলে ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
তবে ট্রাম্পের দাবি, শুল্ক শেষ পর্যন্ত মার্কিন করদাতাদের উপকারে আসবে এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, শুল্ক কার্যকর হলে অনেকের আয়কর উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে বা পুরোপুরি বিলুপ্ত হবে। একে তিনি আমেরিকানদের জন্য এক বিশাল সুযোগ (বোনাজা) বলেও উল্লেখ করেন।
এদিকে শনিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের ‘স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন’ অনুষ্ঠানে পৃথক এক সাক্ষাতাকরে মার্কিন কৃষিমন্ত্রী ব্রুক রোলিন্স জানান, ‘শুল্ক ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিয়ত চীনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। চীন ছাড়া অন্যান্য দেশের সঙ্গেও নিয়মিত এই বিষয়ে আলোচনা চলছে।’
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের ‘দাওয়াইয়ে’ এশিয়ার শেয়ার বাজারে ধস
রোলিন্স জানান, বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে সয়াবিন ও শূকরের মাংসের মতো কৃষিপণ্য রপ্তানি সংকটে পড়লে কৃষকদের আর্থিক সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে ট্রাম্প।
তিনি বলেন, ‘আশাকরি এর প্রয়োজন হবেনা। তবে যদি সমস্যা হয়, তবে স্বল্পমেয়াদে আমরা প্রস্তুত আছি।’
হোয়াইট হেউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদেও এমন সহায়তা দেওয়া হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন মার্কিন কৃষিমন্ত্রী।
তবে কৃষকদের সহায়তা প্রয়োজন হবে কি না তা নির্ধারণে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে বলে জানান তিনি। তবে এটির প্রয়োজন হবেনা বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন কৃষিমন্ত্রী ব্রুক।
২৩১ দিন আগে
নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপ মেনে না নেওয়ার সিদ্ধান্ত সিঙ্গাপুরের নেতাদের
সিঙ্গাপুরের নির্বাচনী প্রচারে বিদেশি হস্তক্ষেপ মেনে নেবেন বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন দেশটির রাজনৈতিক নেতারা। দেশটির নির্বাচনে বৈদেশিক হস্তক্ষেপ বন্ধে ২০২১ সালে প্রণীত সংশ্লিষ্ট আইনের অধীনে নিজেদের এই অবস্থান তুলে ধরেন তারা।
স্থানীয় সময় শনিবার (২৬ এপ্রিল) নির্বাচনের প্রচারে অংশ নিয়ে এসব বলেন সিঙ্গাপুরের রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা।-খবর ব্লুমবার্গের।
এর আগে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সিঙ্গাপুরের নাগরিকদের ফেসবুক থেকে বিদেশিদের বিজ্ঞাপন সরিয়ে ফেলতে সামাজিকমাধ্যমটির মূল প্রতিষ্ঠান মেটাকে নির্দেশ দেয় দেশটির সরকার।
সিঙ্গাপুরের নির্বাচন বিভাগ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে, এমন সন্দেহ থেকে ওই পোস্টগুলো সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: তাইওয়ানে অবৈধভাবে বাস করা চীনাদের ওপর ধরপাকড়
পোস্টগুলোতে মালয়েশিয়ার একটি রক্ষণশীল ইসলামিক দল ও দেশটির প্রধান বিরোধীদলের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে বলে জানানো হয়। এছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার এক নাগরিকেরও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়।
সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ জানায়, ফেসবুকে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক অ্যান্ড সিরিয়ার (আইএসআইএস) প্রচারণা চালানোর অভিযোগে ২০২০ সালে ওই অস্ট্রেলীয়র সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছিল।
প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের পর শনিবার দেশটির ক্ষমতাসীন পিপলস একশন পার্টির নির্বাচনী প্রচারকালে দলটির নেতা লরেন্স ওং বলেন, ‘মালয়েশিয়ার একটি রাজনৈতিক দলসহ আরও কিছু বিদেশি চক্র সিঙ্গাপুরের নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে।’
ধর্ম আর রাজনীতিকে এক না করার জন্য সতর্ক করে তিনির বলেন, “বর্ণ কিংবা ধর্মের ওপর ভিত্তি করে কোনো প্রার্থীকে সমর্থন করার ‘খুবই ভয়াবহ’।”
একই দিনে নির্বাচনী প্রচারকালে দেশটির বিরোধীদলীয় ওয়াকার্স পার্টির নেতা প্রিতম সিং জানান, ‘তার দলও নির্বাচনে কোনো বিদেশি হস্তক্ষেপ মেনে নেবে না। সিঙ্গাপুরের যেকোনো বিষয় আমাদের একান্তই নিজস্ব ব্যাপার, অন্য কারো নয়।’
ফেসবুকে প্রার্থীদের বিষয়ে বিদেশি বটগুলোর ভুল তথ্য ছড়ানোর বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন দেশটির আরেক বিরোধীদল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান পল তাম্বুয়াহ। এ ধরনের কার্যকলাপ নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে বলে এসব প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ডিজিটাল ডেভলপমেন্ট ও ইনফরমেশন বিভাগের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ মে। নির্বাচনে বৈদেশিক হস্তক্ষেপ নিয়ন্ত্রণে আইন পাশ করার পর প্রথমবারের মতো এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
২৩২ দিন আগে
তাইওয়ানে অবৈধভাবে বাস করা চীনাদের ওপর ধরপাকড়
চীনা নাগরিকদের মধ্যে যারা অবৈধভাবে তাইওয়ানে বসবাস করছেন, তাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত ২০ জন তাইওয়ানের নাগরিকত্ব বাতিলসহ চীনা বংশোদ্ভূত কয়েক হাজার তাইওয়ানবাসীর নথিপত্রের তদন্ত চলমান রয়েছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে এমন বলা হয়েছে।
তাইওয়ানের আইন অনুযায়ী, দেশটির নাগরিকদের চীনের নাগরিকত্ব রাখার অনুমতি নেই। যেকারণে গত কয়েক দশকে চীনের নাগরিকত্ব থাকায় শত শত বাসিন্দার তাইওয়ানিজ নাগরিকত্ব কার্যত্ বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে শুরু হওয়া এই অভিযান বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। প্রকাশ্যে তিনজন নারীর নাগরিকত্ব বাতিল করেছে তাইওয়ান সরকার। পাশাপাশি দেশটির ১০ হাজারের বেশি নাগরিক; যারা চীনে জন্মগ্রহণ করলেও তাইওয়ানেই স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন, তাদের একটি অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দেওয়ায় এই অভিযানের সমালোচনা শুরু হয়েছে।
নাগরিকদের পরিচয়, আনুগত্য, রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও দেশের নিরাপত্তার মধ্যে সরকার সামঞ্জস্য বজায় রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন অনেক তাইওয়ানিজ।
এই অভিযান ও বিতর্কের সূত্রপাত হয় গত ডিসেম্বরে অনলাইনে প্রকাশিত একটি প্রামাণ্যচিত্রকে ঘিরে। চীন গোপনে তাইওয়ানের মানুষকে তাদের দেশের নাগরিকত্ব প্রদান করছে বলে দেখানো হয় সেখানে।
প্রামাণ্যচিত্রে তিনজন ব্যক্তির তথ্য উপস্থাপন করা হয়, যারা চীনের ফুজিয়ান প্রদেশে গিয়ে বাস করতে শুরু করেছিলেন এবং চীনের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন।
এই প্রামাণ্যচিত্র প্রকাশের পর চীনের এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানায় তাইওয়ান সরকার। তাইওয়ানের ওপর চীনা কর্তৃত্ব বজায় রাখার অপচেষ্টা থেকেই এই কাজ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করে দেশটির মেইনল্যান্ড অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল (এমএসি)।
আরও পড়ুন: অবৈধ অভিবাসীদের বসবাস ও কাজের অনুমতি দেবে স্পেন
প্রামাণ্যচিত্রের সেই তিনজনের মধ্যে একজন সু শিহ। তার ভাষ্যে, ফুজিয়ান প্রদেশে অনেক তাইওয়ানিজ রয়েছে, পাশাপাশি সেখানকার সরকারও উদ্যোক্তাদের নানা রকম ভর্তুকি দিয়ে সহায়তা করেন— এমনটা শুনেই তিনি সেখানে গিয়েছিলেন।
সু জানান, সেখানে গিয়ে চীনের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন বলে জেনেছিলেন তিনি। এটি তার ব্যবসার জন্য সুবিধাজনক হতে পারে ভেবে তিনি আবেদন করেছিলেন বলে দাবি করেন।
তবে তাইওয়ানের আইনে এই নাগরিকত্ব অবৈধ। যদিও সুয়ের দাবি, অনেক তাইওয়ানিজেরই ফুজিয়ানের নাগরিকত্ব রয়েছে, তারা মূলত এখন রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের শিকার।
চীন-তাইওয়ান দ্বন্দ্ব কেন?
তাইওয়ানকে নিজেদের একটি প্রদেশ বলে দাবি করে বেইজিং। অন্যদিকে নিজেদের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে দাবি তাইওয়ানের। এ নিয়ে এই অঞ্চলগুলোর বৈরিতা বহু পুরনো।
সাম্প্রতিক সময়ে উত্তেজনা বেড়েছে আরও কয়েকগুণে। তাইওয়ান শান্তিপূর্ণভাবে চীনের সঙ্গে একীভূত না হলে সামরিক অভিযানের মাধ্যমে অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) সরকার। এমনকি তাইওয়ানের অভ্যন্তরেও সাধারণ নাগরিকসহ সরকার ও সামরিক বাহিনীতে সিসিপি সমর্থিত অনেকে গুপ্তচরবৃত্তি ও তৎপরতা চালান বলে তাইওয়ানের অভিযোগ।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় চীনা নাগরিকসহ নিহত ৫, আহত ৯
তবে অঞ্চল দুটির মধ্যে উত্তেজনা থাকা সত্ত্বেও চীনের অনেক নাগরিকই তাইওয়ানে বসবাস করে আসছিলেন, আবার তাইওয়ানেরও প্রায় এক লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষ চীনে বাস করেন।
তবে গত মার্চে দেশটির অভ্যন্তরে চীনের চলমান গোপন তৎপরতা বন্ধের দাবিতে দুই অঞ্চলের মধ্যে ভ্রমণ ও পুনর্বাসনে কড়াকড়ি আরোপ করেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে। সে সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চীনের কর্তৃত্ব নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে প্রচারণা চালানোর অভিযোগে তিন চীনা বংশোদ্ভূত নারীর ভিসা বাতিল করে তাইওয়ান সরকার। পরে ওই নারীর তাইওয়ানিজ স্বামী ও সন্তানকে ছেড়ে তাকে চীনে ফেরত পাঠানো হয়।
তাইওয়ানের এ পদক্ষেপের সমালোচনা করে দেশটির বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা বলেন, তাড়াহুড়ো করে নথিপত্র ঠিকভাবে যাচাই-বাছাই না করেই লোকজনকে নির্বাসিত করা হচ্ছে। স্থানীয় কিছু মানুষজন অভিযোগ করেন, প্রেসিডেন্ট লাই বাক স্বাধীনতা সীমিত করছেন। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট লাই।
লাই জানান, নাগরিকত্ব বাতিল করার আগে দেশটির সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক, সেনা সদস্যদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে— তাদের কখনো চীনের নাগরিকত্ব ছিল না। তাছাড়া ১০ হাজারের বেশি সাধারণ জনগণকেও চীনের হুকু (স্থায়ীভাবে চীনের থাকার জন্য এটি দরকার) বাতিলের নথি দাখিল করতে বলা হয়। যারা দাখিল করেনি তাদের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ায় অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করা বাংলাদেশিদের ফেরাতে চুক্তি
চলতি মাসের শুরুর দিকে হুকু বাতিলের প্রমাণ দাখিল না করার জন্য তদন্ত শুরু করেছে তাইওয়ানের জাতীয় অভিবাসন সংস্থা (এনআইএ)। এনআইএ জানায়, যারা হুকু বাতিল করার কাগজ জমা দিয়েছেন, তারা পুনরায় তাইওয়ানের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবে।
তবে তাইওয়ানের সাম্প্রতিক এই পদক্ষেপ নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। দেশটির এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক লিও মেই জুন বলেন, এই নির্বাসন অভিযানে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষোভ কাজে লাগিয়ে চীনা সরকারকে তাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের সুযোগ করে দিতে পারে। এতে বেইজিংয়ের প্রপাগান্ডারই বিজয় হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
২৩২ দিন আগে
কাশ্মীর সীমান্তে ফের গোলাগুলি, ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনা চরমে
কাশ্মীর সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে ফের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সময় শনিবার (২৬ এপ্রিল) গভীর রাতে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ২৬-২৭ এপ্রিল রাতে পাকিস্তান সেনারা অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিনা উসকানিতে গুলি ছোড়া শুরু করে। ভারতীয় সেনারা হালকা অস্ত্র ব্যবহার করে কার্যকরভাবে পাকিস্তানকে জবাব দিয়েছে।
অন্যদিকে, চীনের সংবাদসংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, কোনো প্ররোচনা ছাড়াই নিয়ন্ত্রণরেখায় গুলি চালাতে শুরু করে ভারতীয় সেনারা, পরে পাকিস্তানও পাল্টা গুলি চালিয়ে জবাব দিয়েছে।
আরও পড়ুন: মধ্যরাতে খুলনায় যৌথবাহিনী-সন্ত্রাসী গোলাগুলি, আটক ১১, অস্ত্র উদ্ধার
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দিবাগত রাতে কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর দুই দেশের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি হয়। সম্প্রতি অধিকৃত কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।
গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই পর্যটক ছিলেন। এ ঘটনায় পাকিস্তান জড়িত বলে অভিযোগ করেছে চিরবৈরী ভারত। যদিও হামলার সঙ্গে কোনোরকম সংশ্লিষ্টতার দায় অস্বীকার করেছে পাকিস্তান।
পহেলগামের ভয়াবহ ওই হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। জবাবে সিমলা চুক্তি স্থগিত ও ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দেয় পাকিস্তান।
তাছাড়া, হামলার পরে দুই দেশই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের ভিসা বাতিল করে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এতে ভারত ও পাকিস্তানের নাগরিকেরা নিজ নিজ দেশে ফিরে যেতে শুরু করেন।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে ইউপিডিএফ-জেএসএস গোলাগুলিতে নিহত ১
চলমান উত্তেজনা নিরসনে দুই দেশকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে মিত্র দেশ সৌদি আরব ও ইরান। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে দেশদুটির মধ্যে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছে তারা। পাশাপাশি দুই প্রতিবেশীর মধ্যকার এই উত্তেজনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনে তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
২৩২ দিন আগে
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৩৬
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় ৩৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও অনেকে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) দিনভর এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে গাজার সিভিল ডিফেন্স।
সংস্থাটির মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী গাজার বিভিন্ন এলাকায় বেশকিছু বেসামরিক আবাসিক বাড়ি, জনসমাগমের স্থান ও তাবুকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
বাসাল বলেন, ইসরায়েলি এসব হামলায় গাজা শহরের পশ্চিম ও দক্ষিণে দুটি বাড়িতে হামলায় ১৩ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় উত্তর গাজার বেইত হানুনে তিনজন নিহত হয়েছেন। মধ্য গাজার আল-জাওয়াইদা শহরের একটি বাড়িতে হামলায় দুজন নিহত হয়েছেন।
গাজার দেইল আল বালাহ শহরের একটি ক্যাফেতে হামলায় ৪ জন, মাগাজি শরণার্থী শিবিরের উত্তরে ফিলিস্তিনি জনসমাগমস্থলে ইসরায়েলি হামলায় আরও ৫ জন নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ২১ ফিলিস্তিনি নিহত
মধ্য গাজার আল জাওয়াইদা, খান ইউনিসের আল মাওয়াশিতে ইসরায়েলি গোলাবর্ষণে আরও ৭ জন নিহত হয়েছেন বলে জানান সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র বাসাল।
ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে চলতি বছরের ১৮ মার্চ থেকে গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ হামলা শুরু করে। এতে অন্তত ২ হাজার ১১১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন। আহত হন আরও ৫ হাজার ৪৮৩ জন।
হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের শনিবারের দেওয়া তথ্যমতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় ৫১ হাজার ৪৯৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আর সর্বমোট আহত হয়েছেন ১ লাখ ১৭ হাজার ৫২৪ জন।
ইসরায়েলি বাহিনী এখনো গাজায় সামরিক অভিযান অব্যাহত রেখেছে। গাজার বিভিন্ন এলাকায় হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষ হচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর।
হামাসের সামরিক শাখা আল কাসসাম ব্রিগেড এক বিবৃতিতে বলেছে, শনিবার পূর্ব গাজার শুজাইয়া পাড়ায় একটি বাড়িতে অবস্থানকারী ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে যোদ্ধারা। এতে বেশ কয়েকজন সৈন্য হতাহত হয়েছেন।
গত শুক্রবার দুই ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন বলে শনিবার সন্ধ্যায় পৃথক বিবৃতিতে জানিয়েছে ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) ও ইসরায়েল পুলিশ। ইসরায়েলি নিহতরা হলো সাঁজোয়া যানের কর্পস অফিসার ও প্লাটুন কমান্ডার ইডো ভোলোচ(২১) ও সীমান্ত পুলিশের আন্ডারকভার অফিসার ইতজাক কাহানা (১৯)।
এদিকে চলমান যুদ্ধের মধ্যে হামাস শনিবার একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পাঁচ বছরের যুদ্ধবিরতির শর্তে সমস্ত ইসরায়েলি জিম্মিদের একসঙ্গে মুক্তি দিতে প্রস্তুত হামাস।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৫ ফিলিস্তিনি নিহত
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি সতর্ক করে বলেছে, গাজায় তাদের খাদ্য মজুদ সম্পূর্ণরূপে শেষ হয়ে গেছে। তারা তাদের মজুদের সর্বশেষ খাদ্যটুকু স্থানীয়দের মাঝে বিতরণ করেছেন।
এমতাবস্থায় গাজায় সীমান্ত ক্রসিং খুলে দেওয়ার জন্য ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ১২টি প্রধান সাহায্যকারী সংস্থা।
সূত্র: বিভিন্ন এজেন্সি
২৩৩ দিন আগে
ইরানের বন্দরে বিস্ফোরণে নিহত ১৪, আহত ৭৫০
ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ হরমোজগানের একটি বন্দরে শনিবার সকালে এক ভয়াবহ বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও ৭৫০ জন।
দেশটির সরকারি সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ এই তথ্য জানিয়েছে।
বন্দর আব্বাসে চীনের কনস্যুলেট জেনারেলের মতে, বিস্ফোরণে তিনজন চীনা নাগরিক সামান্য আহত হয়েছেন। চিকিৎসার পর তারা এখন সুস্থ আছেন।
বিস্ফোরণ ও সৃষ্ট বায়ু দূষণের কারণে রবিবার শহরের সমস্ত শিক্ষা কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রাদেশিক রাজধানী বন্দর আব্বাসের গভর্নর আহমেদ পুয়াফার।
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: মধ্যস্থতায় এগিয়ে এলো সৌদি-ইরান
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র হোসেইন জাফরি, আধা-সরকারি ফার্স সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, বন্দরের একটি কন্টেইনারে থাকা রাসায়নিক পদার্থ থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে।
এদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদন্ত শেষ করার আগে ঘটনার কারণ সম্পর্কে ‘তাড়াহুড়ো করে অনুমান’ না করতে সতর্ক করেছেন ইরান সরকারের মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজেরানি।
তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত যা নিশ্চিত হওয়া গেছে, তা হলো বন্দরের এক কোণে সম্ভবত রাসায়নিক পদার্থ ভর্তি কন্টেইনার ছিল।
আধা-সরকারি তাসনিম সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, দ্রুত প্রতিক্রিয়া এবং উদ্ধারকারী দলকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে এবং বন্দরের সমস্ত কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। আহতদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি বিস্ফোরণের তদন্তের পাশাপাশি ঘটনার কারণ খুঁজে বের করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আহতদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করাসহ প্রয়োজনীয় সমন্বয় করতে ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এস্কান্দার মোমেনিকে প্রদেশে পাঠানো হয়েছে।
এই ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় ইরাকি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইরানের সরকার এবং জনগণের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে। নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছে ইরাক সরকার।
আরও পড়ুন: পারমাণবিক কর্মসূচি পুরোপুরি বাদ দিতে হবে ইরানকে: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আল-সুদানির মিডিয়া অফিসের এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়, ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া' আল-সুদানী ইরাকি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল আমির আল-শাম্মারিকে তার ইরানি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সমন্বয় করে ঘটনাটি মূল্যায়ন এবং তাৎক্ষণিক সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
সূত্র: বিভিন্ন এজেন্সি
২৩৩ দিন আগে