বিজ্ঞান-ও-প্রযুক্তি
স্মার্টফোনে ভূমিকম্প সতর্কতা চালু করবেন যেভাবে
টেক জায়ান্ট গুগল ২০২০ সালে নিজেদের যোগাযোগ পরিষেবা অ্যান্ড্রয়েডের নতুন সুবিধা হিসেবে চালু করে স্থানভিত্তিক ভূমিকম্প-অ্যালার্ম। প্রথম দিকে শুধু যুক্তরাষ্ট্র কেন্দ্রিক চালু হলেও ধীরে ধীরে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোকেও এই প্রযুক্তির আওতায় আনা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের অ্যান্ড্রয়েড গ্রাহকরাও এই সুবিধা পাচ্ছেন। বেশ আগে থেকে ভূমিকম্পের পূর্বাভাস না দিলেও স্মার্টফোনের এই অ্যালার্ম সিস্টেমটি দুর্যোগকালে তাৎক্ষণিকভাবে সাবধান করতে পারে। চলুন, স্মার্টফোনে ভূমিকম্প সতর্কতা ব্যবস্থা সক্রিয় করার পদ্ধতিটি জেনে নেওয়া যাক।
স্মার্টফোনে ভূমিকম্প সতর্কতা চালু করার পদ্ধতি
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ক্ষেত্রে
প্রথমেই স্মার্টফোনে ইন্টারনেট ব্যবস্থা চালু করার জন্য মোবাইল ডাটা বা ওয়াইফাই অন করে নিতে হবে। সেই সাথে ‘লোকেশন’ও অন করে নেওয়া আবশ্যক।
ইন্টারনেট ও লোকেশন কার্যকর হওয়ার পর চলে যেতে হবে ফোনের 'সেটিংস' অপশনে। নতুন যে স্ক্রিনটি আসবে সেখানে থেকে স্ক্রল করে খুঁজে বের করতে হবে ‘সেফটি অ্যান্ড ইমারজেন্সি’। এই অপশন নিয়ে যাবে ‘আর্থকোয়্যাক অ্যালার্ট’ শিরোনামের একটি স্ক্রিনে। সেখান থেকে ‘আর্থকোয়্যাক অ্যালার্ট’ অন করে দিলেই সক্রিয় হয়ে যাবে ভূমিকম্প সতর্কীকরণ ব্যবস্থা।
এই স্ক্রিনের নিচের দিকে আরও রয়েছে ‘ডেমো’ ও ‘লার্ন আর্থকোয়্যাক সেফটি টিপস’। ‘ডেমো’তে গেলে ভূমিকম্পের সময় স্মার্টফোনটি ঠিক কীভাবে সাবধান করবে তার একটা মহড়া দেখা যাবে। এখানে অ্যালার্মের রিংটোনটি বেজে ওঠে এবং ভূকম্পনের মাত্রা ও দূরত্ব জানানোর পাশাপাশি তাৎক্ষণিকভাবে করণীয়গুলো সংক্ষেপে প্রদর্শিত হয়।
আরো পড়ুন: ভূমিকম্প সহনীয় স্থাপনা নির্মাণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে: গণপূর্তমন্ত্রী
আর ‘লার্ন আর্থকোয়্যাক সেফটি টিপস’ অপশনটি ভূমিকম্পকালীন সময়ের জন্য নয়। ভূমিকম্পের সময় তাৎক্ষণিকভাবে কি কি পদক্ষেপ নিতে হবে এই অপশন থেকে তা আগে থেকে জেনে রেখে সতর্ক থাকা যাবে।
‘লার্ন আর্থকোয়্যাক সেফটি টিপস’-এ ক্লিক করলে সরাসরি গুগল সার্চ ইঞ্জিনে নিয়ে যাওয়া হবে। গুগলে নির্দিষ্ট কোনো কিছুর ব্যাপারে জানতে হলে গুগল সার্চ বক্সে সেই বিষয়টি টাইপ করতে হয়। কিন্তু এই ফিচারটি টাইপ করা ছাড়াই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘আর্থকোয়্যাক সেফটি ইনফরমেশন’-এর জন্য ফলাফল দেখাবে। সেখান থেকে ভূমিকম্পকালীন নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।
সাধারণত গুগল প্লে স্টোর বা অ্যান্ড্রয়েড মডেল সমর্থিত অধিকাংশ ফোনেই এই ধাপগুলো প্রায় একইরকম থাকে। তবে কোনো কোনো অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ‘সেটিংস’-এ ‘সেফটি অ্যান্ড ইমারজেন্সি’ অপশনটি নাও থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে ফিচারটি পাওয়া যেতে পারে ‘লোকেশন’-এ। অর্থাৎ ফোনের ‘লোকেশন’ অন করার পর ‘সেটিংস’-এ আর ফিরে আসতে হবে না। ‘লোকেশন’ স্ক্রিনেই আরও নিচে স্ক্রল করে সরাসরি পাওয়া যাবে ‘আর্থকোয়্যাক অ্যালার্ট’ অপশনটি।
এখানে উল্লেখ্য যে, এই সুবিধাটি অ্যান্ড্রয়েড-৫ বা তার উপরের সংস্করণের ফোনগুলোর জন্য। এর মধ্যে আবার অ্যান্ড্রয়েড-১২-এর নিচের সংস্করণগুলোর জন্য আর্থকোয়্যাক অ্যালার্ম অন করার প্রক্রিয়ায় কিছুটা ভিন্নতা থাকতে পারে।
আইফোনের ক্ষেত্রে
অ্যাপলের ডিভাইস ব্যবহারকারীদের ফোনের ‘সেটিংস’ থেকে যেতে হবে ‘নোটিফিকেশন’-এ। তারপর নতুন স্ক্রিনটিতে স্ক্রল করে খুঁজে বের করতে হবে ‘ইমারজেন্সি অ্যালার্ট্স’। এই অপশনটি টগল্ করার সাথে সাথেই সক্রিয় হয়ে যাবে আর্থকোয়্যাক অ্যালার্ম।
আরো পড়ুন: ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধারকাজের উপযোগী অবকাঠামো তৈরি করতে হবে: মন্ত্রী
এই সতর্কতা ব্যবস্থাটি কীভাবে কাজ করে
গুগলের আর্থকোয়্যাক অ্যালার্ট সিস্টেম নির্দিষ্ট দূরত্বে ভূপৃষ্ঠের কম্পন যাচাই করে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা পাঠিয়ে থাকে। ভূ-কম্পন যাচাইয়ের জন্য গুগলের কেন্দ্রীয় সার্ভারের প্রয়োজন পড়ে ভূমিকম্পের তথ্য সংগ্রহের। এর জন্য গুগল অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের স্মার্টফোনে থাকা অ্যাক্সিলারোমিটার ব্যবহার করে। এটি এমন এক সেন্সর যেটি তাৎক্ষণিভাবে ভূ-ত্বকের কম্পন এবং ভূপৃষ্ঠের ওপর স্থির কোনো স্থাপনার কম্পন শনাক্ত করতে পারে।
আর্থকোয়্যাক অ্যালার্ম চালু থাকা অবস্থায় এরকম কোনো কম্পন ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি সরাসরি গুগলের সার্ভারে তথ্য পাঠাতে থাকে। এভাবে নির্দিষ্ট এলাকার অনেকগুলো ফোন থেকে একই সময়ে ভূ-কম্পনের তথ্য পেলে গুগল সার্ভার বুঝতে পারে যে ভূমিকম্প হচ্ছে। একই সাথে সার্ভারটি ভূ-কম্পনের উৎপত্তিস্থল থেকে ফোনগুলোর দূরত্ব এবং ভূমিকম্পের মাত্রাও হিসাব করে নিতে পারে।
সংগৃহীত তথ্যগুলো প্রক্রিয়াকরণের পর সার্ভার ভূমিকম্পের কাছাকাছি থাকা প্রতিটি অ্যান্ড্রয়েড ফোনে সতর্কতা পাঠিয়ে দেয়। ভূমিকম্পের মাত্রার ওপর পাঠানো এই সতর্ক সংকেত দুই ধরনের হয়ে থাকে।
১/ বি অ্যাওয়ার
২/ টেক-অ্যাকশন
আরো পড়ুন: জরাজীর্ণ সব ভবন ভেঙ্গে ভূমিকম্প সহনীয় করার পরিকল্পনা
বি অ্যাওয়ার সংকেত
রিখ্টার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা সর্বোচ্চ ৪ দশমিক ৫ পর্যন্ত থাকলে এই সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়। ফোনের ভাইব্রেশন, ভলিউম ও ‘ডু নট ডিস্টার্ব’ সেটিংসের মাধ্যমে জানানো হয় এই অ্যালার্ট।
টেক অ্যাকশন সংকেত
ভূমিকম্পের মাত্রা যখন ৪ দশমিক ৫ ছাড়িয়ে যায়, তখন দেয়া হয় এই অ্যালার্ট। ‘ডু নট ডিস্টার্ব’ ফিচার বন্ধ হয়ে ফোনের সম্পূর্ণ স্ক্রিন জুড়ে প্রদর্শিত হয় এই সংকেত। এ সময় উচ্চ স্বরে একটানা বাজতে থাকে ফোনের নোটিফিকেশন সাউন্ড।
পরিশিষ্ট
স্মার্টফোনে ভূমিকম্প সতর্কতা চালু থাকলে জরুরি অবস্থার সময় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ থাকবে। ফিচারটি ব্যবহারের জন্য অপারেটিং সিস্টেমের ভার্সনটি ন্যূনতম অ্যান্ড্রয়েড-৫ হওয়া আবশ্যক। এর ওপরে অ্যান্ড্রয়েড-১২ পর্যন্ত অ্যালার্ম ব্যবস্থা সক্রিয় করার ইন্টারফেস কিছুটা ভিন্ন হবে। তবে অ্যান্ড্রয়েড বা আইফোন যেটাই হোক না কেন, প্রতি ক্ষেত্রে এই অ্যালার্ম চালু রাখার জন্য ফোনের লোকেশন অবশ্যই ‘অন’ রাখতে হবে। সেই সাথে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ থাকাও জরুরি।
আরো পড়ুন: বিশ্বের শীর্ষ ১০ ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ
৫০২ দিন আগে
ফেসবুক কবে চালু হবে, জানা যাবে বুধবার
ফেসবুকসহ সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কবে ও কখন থেকে ফের চালু হবে, তা আগামীকাল (বুধবার) বেলা ১১টার পর জানা যাবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ ও আইসিটিপ্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ৭ মন্ত্রী, ৪ সচিব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী।
সামাজিকমাধ্যমগুলো কবে চালু করা হবে, জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগামীকাল (বুধবার) বেলা ১১টার পর জানাতে পারব। টিকটক, ইউটিউব ও ফেসবুকের কাছে একটি ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। মৌখিক ও লিখিতভাবে জবাব দিতে বলা হয়েছে তাদের। এরইমধ্যে টিকটক আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের জানিয়েছে, তারা উপস্থিত হয়ে মৌখিক ও লিখিতভাবে জবাব দিতে চায়।’
তিনি বলেন, ‘তবে ফেসবুক ও ইউটিউব বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) কোনো জবাব দেয়নি। যে কারণে আগামীকাল এই তিন প্রতিষ্ঠানকে যথাক্রমে সকাল ৯টা, ১০টা ও বেলা ১১টায় বিটিআরসিতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাই আগামীকাল বেলা ১১টার পর তাদের কাছ থেকে ব্যাখ্যা পেয়ে তা বিশ্লেষণ করে, আর না পেলেও আমরা আলোচনাসাপেক্ষে সিদ্ধান্ত জানাতে পারব।’
৫০৩ দিন আগে
মোবাইলে ফোর-জি চালু, বন্ধ থাকছে ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপ-টিকটক
রবিবার (২৮ জুলাই) বেলা ৩টা থেকে চালু হয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট ফোর-জি।
তবে বন্ধ থাকছে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও টিকটক। এছাড়া ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবায় ইউটিউব দেখা গেলেও মোবাইল ইন্টারনেট সেবায় ইউটিউব দেখা যাবে না।
মোবাইল অপারেটর ও বিটিআরসি সূত্রে জানা যায়, আজকের বৈঠকে অপারেটরদের ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে রবিবার সকালে মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক একই তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: বিকাল ৩টা থেকে চালু হবে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা: পলক
তিনি বলেন, সব গ্রাহক ৩ দিনের জন্য ৫ জিবি ইন্টারনেট বোনাস পাবেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফেসবুক, টিকটক, ইউটিউবসহ সামাজিক মাধ্যমে চিঠি দিয়েছে বিটিআরসি। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ঢাকায় এসে তাদের প্রতিনিধিকে লিখিত বা ব্যাখ্যা দিতে হবে। তাদের সঙ্গে আলোচনার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পলক বলেন, ফেসবুক তাদের পলিসি অনুযায়ী যেসব কনটেন্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্লক করে দেওয়ার কথা, সেগুলো সাবলীলভাবে প্রচার করে যাচ্ছে। সেসব কনটেন্টের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। কেন তারা ব্যবস্থা নেয়নি, সেটা জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে তাদের প্রতিনিধিদের বিটিআরসিতে তলব করা হয়েছে। তাদের সশরীরে এসে ব্যাখ্যা দিতে হবে।
আপাতত ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক বন্ধ থাকছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাদের কাছে বিটিআরসি নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে যে ব্যাখ্যা চেয়েছে, তা স্পষ্ট করে না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে অবাধে তাদের কার্যক্রম খুলে দেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্তে অনড় থাকবে সরকার।
এর আগে সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত প্রতিমন্ত্রী দেশের চারটি মোবাইল অপারেটর কোম্পানি, চারটি মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস), অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিফোন অপারেটর বাংলাদেশের (অ্যামটব) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকে ছিলেন আইসিটি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদসহ নিয়ন্ত্রক সংস্থার কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা আজ রাতেই পুরোপুরি চালু হতে পারে: পলক
৫০৫ দিন আগে
বিকাল ৩টা থেকে চালু হবে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা: পলক
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আজ বিকাল ৩টা থেকে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা চালু করা হবে।
রবিবার (২৮ জুলাই) মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তথ্যমন্ত্রী।
এছাড়াও গ্রাহকরা ৩ দিনের জন্য ৫ জিবি ইন্টারনেট বোনাস পাবেন বলে জানান তিনি।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘ফেসবুক তাদের পলিসি অনুযায়ী যেসব কনটেন্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্লক করে দেওয়ার কথা, সেগুলো সাবলীলভাবে প্রচার করে যাচ্ছে। সেসব কনটেন্টের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে।
আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে তাদের প্রতিনিধিদের বিটিআরসিতে তলব করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ফেসবুক, টিকটক ও ইউটিউবসহ সামাজিক মাধ্যমগুলোকে চিঠি দিয়েছে বিটিআরসি। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ঢাকায় এসে তাদের প্রতিনিধিকে সরাসরি ব্যাখ্যা দিতে হবে। তাদের সঙ্গে আলোচনার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সে পর্যন্ত ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক বন্ধ থাকছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের কাছে বিটিআরসি নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে যে ব্যাখ্যা চেয়েছে, তা স্পষ্ট করে না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে অবাধে তাদের কার্যক্রম খুলে দেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্তে অনড় থাকবে সরকার।’
এর আগে সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক দেশের চারটি মোবাইল অপারেটর কোম্পানি, চারটি মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস), অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিফোন অপারেটর বাংলাদেশের (অ্যামটব) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এসময় আরও ছিলেন আইসিটি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদসহ নিয়ন্ত্রক সংস্থার কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা আজ রাতেই পুরোপুরি চালু হতে পারে: পলক
গত শনিবার তিনি দাবি করেন, ইচ্ছাকৃতভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়নি, তিনটি ডেটা সেন্টার ও কয়েকশ কিলোমিটার ক্যাবল পোড়ানোর কারণে ইন্টারনেট বিঘ্নিত হয়েছে।
এসব ঘটনায় শুধু টেলিযোগাযোগ খাতেই ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে এবং সবমিলিয়ে শত শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে কিছু কিছু জায়গায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা আংশিকভাবে চালু হয়েছিল।
আরও পড়ুন: অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে সাময়িকভাবে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ: পলক
৫০৫ দিন আগে
রাতের মধ্যে ৭০-৮০% ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু হবে: আইএসপিএবি
বুধবার দিবাগত রাতের মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করা হবে বলে জানিয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)।
আইএসপিএবি সভাপতি এমদাদুল হক ইউএনবিকে বলেন, তারা আজ রাতের মধ্যে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পুরোপুরি চালু করার লক্ষ্য নিয়ে করছেন।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের সব জায়গা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের আওতায় আসবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। আশা করছি ৭০-৮০ শতাংশ এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হবে।’
গতকাল রাতে কিছু এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক করা হয়। সরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়েছে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আজ বিকেলে বিটিআরসি ভবনে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলবেন।
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালের মধ্যে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট
‘ব্রডব্যান্ড কেবল অপসারণ সময়োপযোগী নয়’
৫০৯ দিন আগে
হ্যাকিং প্রতিরোধ: অনলাইন কেনাকাটায় ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে সাবধানতা
অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইন কেনাকাটায় লেনদেনের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম ক্রেডিট কার্ড। প্রযুক্তির বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে সংস্পর্শ এবং নগদবিহীন লেনদেনেও অবদান রাখছে ব্যাংকিং কার্ডগুলো। তবে উপযোগিতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যুগপৎভাবে বাড়ছে ক্রেডিট কার্ড হ্যাকিং প্রবণতা। ক্রমবর্ধমান এই অনলাইন জালিয়াতির ঘটনাগুলো প্রতিদিনই আর্থিক ক্ষতির ঝুঁকিকে ক্রমশ আশঙ্কাজনক করে তুলছে। এই সাইবার অপরাধ নিরসনে প্রশাসনিক পদক্ষেপের পাশাপাশি প্রত্যেক কার্ড হোল্ডারের ব্যক্তিগত পর্যায় থেকেও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। তাই চলুন, অনলাইনে আর্থিক লেনদেনের নিরাপত্তার স্বার্থে ক্রেডিট কার্ড হ্যাকিং থেকে মুক্ত থাকার উপায়গুলো জেনে নেই।
ক্রেডিট কার্ড হ্যাকিং প্রতিরোধে করণীয়
শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার
ইন্টারনেটের বিভিন্ন কার্যক্রমগুলোতে ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চিরাচরিত উপায় হচ্ছে পাসওয়ার্ড। বড় ও ছোট হাতের অক্ষর, সংখ্যা ও বিশেষ কিছু অক্ষরের সংমিশ্রণে (যেমন @, !, #,* ) নিমেষেই একটি একক ও জটিল পাসওয়ার্ড তৈরি করা যায়।
পাসওয়ার্ড তৈরির এই বৈচিত্র্যপূর্ণ সংকেতগুলোকে একত্রে বলা হয় আলফা-নিউম্যারিক ক্যারেক্টার। প্রাথমিকভাবে হ্যাকারদের জন্য এগুলো চুরি করা বেশ কঠিন। পাসওয়ার্ড হিসেবে জন্মদিন, নাম বা মোবাইল নাম্বার বেশ জনপ্রিয় হলেও এগুলো খুব সহজে অনুমানযোগ্য। আর হ্যাকারদের জন্য এই গোপনীয়তা ভাঙা কোনো ব্যাপারই নয়।
আরও পড়ুন: ডিএসএলআর ক্যামেরা খুঁজছেন? কেনার আগে জেনে নিন ফিচার ও দাম
তাই এই তথ্য ব্যবহার না করে আলফা-নিউম্যারিক ক্যারেক্টার দিয়ে গোপন কোড বানিয়ে তা মনে রাখা উচিৎ। নিদেনপক্ষে ব্যক্তিগত কোনো ডায়েরী বা প্যাডে লিখে রাখা উচিৎ। একাধিক কার্ড বা অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে।
টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন চালু রাখা
পাসওয়ার্ড সুরক্ষাকে আরও একধাপ বাড়িয়ে নিতে এখন সব থেকে প্রচলিত উপায় হচ্ছে টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন বা টু-এফএ। এই ব্যবস্থায় একটি অথেন্টিকেশন অ্যাপ থেকে সম্পূর্ণ একক একটি কোড শুধুমাত্র একবার কিছু সময়ের জন্য গ্রাহকের মোবাইল ডিভাইসে প্রেরণ করা হয়। সেই কোড নির্ভুল ভাবে টাইপ করতে পারলে বিভিন্ন সেবা প্রদানে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের অনুমতি মিলে। পাসওয়ার্ডের পাশাপাশি এই কোড প্রদানের বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত থাকায় পদ্ধতিটির নাম টুএফএ। অবশ্য এই কোড ছাড়াও টু-এফএ ব্যবস্থায় বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তা বেষ্টনী ব্যবহার করা হয়। যেমন বায়োমেট্রিক যাচাইকরণ যেমন আঙ্গুলের ছাপ বা মুখমন্ডল স্ক্যান, অ্যাপ-ভিত্তিক অথেন্টিকেটর যেমন গুগল অথেন্টিকেশন।
ক্রেডিট কার্ড স্টেটমেন্ট নিয়মিত পর্যবেক্ষণ
প্রযুক্তি-বর্হিভূত এই স্টেটমেন্ট চেক করার বিষয়টি অনেক আগে থেকেই কার্ড হোল্ডাররা অনুসরণ করে আসছেন। এটি সরাসরি কোনো নিরাপত্তা ব্যূহ না হলেও অবিলম্বে অননুমোদিত লেনদেন শনাক্ত করার মাধ্যমে গ্রাহক দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারেন।
আরও পড়ুন: আপনার মোবাইলটি অবৈধ নয়তো? অফিসিয়াল ফোন যাচাই করার উপায়
মাস শেষে ব্যাংক কর্তৃক প্রদানকৃত কার্ড স্টেটমেন্টে নিয়মিত চোখ রাখলে সন্দেহজনক চার্জ বা লেনদেনগুলো ধরা পড়ে। অতঃপর তা নিয়ে ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। এ সময় ব্যাংক থেকে প্রাথমিকভাবে সেই সন্দেহজনক চার্জগুলো যাচাই করে প্রয়োজনে কার্ড ফ্রিজ করা হয়।
পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহারে ভিপিএন ব্যবহার
বর্তমানে দেশ জুড়ে উন্নত ইন্টারনেট সুবিধার ফলে শপিং মল ও রেস্টুরেন্টের মতো পাবলিক প্লেসগুলোতে অনেকেই ওয়াই-ফাই ব্যবহারের দিকে ঝুঁকে পড়েন। হ্যাকাররা পাবলিক নেটওয়ার্ক থেকে শেয়ারকৃত ব্যক্তিগত তথ্য আটকাতে পারে। তাই এ ধরনের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ক্রেডিট কার্ড দিয়ে কোনো কিছু কেনা মানেই কার্ডের গোপন তথ্যগুলো অনাবৃত হয়ে যাওয়া।
এই তথ্য চুরির ঝুঁকি কমাতে পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহারের সময় প্রিমিয়াম কোয়ালিটির ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহার করা যেতে পারে। ভিপিএনগুলো তথ্যের আদান-প্রদানকে এনক্রিপ্ট করে ফেলে, যা অনেকটা সুরক্ষিত বাক্সে লুকিয়ে কাউকে কোনো কিছু দেওয়ার মতো। ফ্রি ভিপিএনগুলো ব্যবহারে তথ্যের গোপনীয়তায় কিছুটা সন্দেহের অবকাশ থাকে বিধায় এই ঝুঁকি না নেয়াই উত্তম।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাসরুট খুঁজে পেতে দরকারি কিছু মোবাইল অ্যাপ
ফিশিং স্ক্যাম থেকে দূরে থাকা
বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রায় সময় নানা ধরনের চিত্তাকর্ষক বা লোভনীয় পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ব্যক্তিগত তথ্য চাওয়া হয়। ফিশিং স্ক্যাম নামে পরিচিত এই বিজ্ঞাপনগুলো মূলত ইন্টারনেট ব্যবহারকারিদের সংবেদনশীল তথ্য পাওয়ার জন্য সাইবার অপরাধীদের প্রতারণামূলক প্রচেষ্টা। এই স্ক্যামগুলোতে প্রায়শই প্রতারণামূলক ইমেল, টেক্সট বার্তা বা বিভিন্ন ওয়েবসাইট জড়িত থাকে। এগুলোতে ব্যবহারকারিদের ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করতে বা ক্ষতিকারক লিঙ্কগুলোতে ক্লিক করতে বলা হয়।
ফিশিং স্ক্যামের শিকার হওয়া এড়াতে ইন্টারনেট ব্রাউজ করার সময় সাবধান থাকা জরুরি। সন্দেহজনক প্রেরকের ঠিকানা, সংবেদনশীল তথ্যের জন্য অপ্রত্যাশিত অনুরোধ বা মাত্রাতিরিক্ত চিত্তাকর্ষক বার্তাগুলোই ফিশিংয়ের পরিচয় বহন করে। ফিশিং মুক্ত সাইটগুলোতে সরাসরি যোগাযোগের নম্বর দেওয়া থাকে যেখানে ফোন করে পণ্য বা সেবার সত্যতা যাচাই করা যায়। তাই অনলাইন শপিংয়ের সময় কোনো কিছু দ্বারা প্রলুব্ধ না হয়ে সতর্কতার সঙ্গে প্রতিটি বিষয় খতিয়ে দেখা উচিৎ।
ডিভাইস সুরক্ষিত রাখা
বর্তমানে যে কোনো জায়গা থেকে ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট ও কার্ড ব্যবহারের জন্য প্রতিটি ব্যাংকেরই রয়েছে মোবাইল অ্যাপ ও ওয়েব প্ল্যাটফর্ম। ফলে কম্পিউটারের পাশাপাশি ছোট-বড় বিভিন্ন ডিভাইসে কার্ড ও অ্যাকাউন্টের তথ্যগুলো জমা থাকে। তাই ডিভাইসগুলো বিভিন্ন ধরনের ম্যালওয়্যার বা ভাইরাস আক্রমণ থেকে রক্ষা করা অপরিহার্য। এই লক্ষ্যে ডিভাইসের অপারেটিং সিস্টেম, সফ্টওয়্যার ও অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রামগুলোকে সবসময় আপ-টু-ডেট রাখা জরুরি।
আরও পড়ুন: দামি ফ্ল্যাগশিপ ফোন কেনার সুবিধা-অসুবিধা
অনেক ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্রাউজের সময় সন্দেহজনক লিঙ্কগুলোতে ক্লিক করার মাধ্যমেও ডিভাইসে ক্ষতিকর ফাইল ঢুকে পড়ে। এছাড়া অজানা উৎস থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করলে তা প্রায় ক্ষেত্রে ডিভাইসের অপারেটিং সিস্টেমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এমনকি এগুলোর মধ্যে তথ্য চুরির জন্য ডিজাইনকৃত ম্যালওয়্যারও থাকতে পারে। কার্ড নিবন্ধিত প্রতিটি ডিভাইসকে সুরক্ষিত রাখতে তাতে অনলাইনে গেম খেলা, মুভি দেখা ও শপিং করার ক্ষেত্রে সাবধান থাকা উচিৎ।
ক্রেডিট কার্ডের তথ্য শেয়ার না করা
অনলাইনে বিভিন্ন সেবা বা পণ্য কেনার সময়মূল্য পরিশোধের জন্য কার্ডের তথ্য প্রদান করতে হয়। বিশেষ করে অনলাইন কোর্স, চ্যানেল সাবস্ক্রিপ্শন ও অ্যাপের মতো বিভিন্ন ডিজিটাল পণ্যের ক্ষেত্রে কার্ডের তথ্যগুলো শেয়ারের পর থেকে সংশ্লিষ্ট সাইটগুলোতে তা সংরক্ষিত থাকে। এ ক্ষেত্রে সাইটগুলোর শর্তাবলি ও গোপনীয়তা নীতিমালা পড়ার পাশাপাশি ফোন করে যোগাযোগ করা উচিৎ।
মূলত গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্যগুলো তারা কতটা নিরাপত্তার সঙ্গে সংরক্ষণ করে তা সুস্পষ্ট ভাব জানা দরকার। বিশ্বখ্যাত সুপ্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ডগুলোর ক্ষেত্রে এ নিয়ে দুশ্চিন্তার অবকাশ থাকে না। কেননা এদের ওয়েবসাইটগুলো নিরাপদ সংযোগ (এইচটিটিপিএস) এবং সিকিউর সকেট লেয়ারের (এসএসএল) মতো নানা ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যবহার করে।
আরও পড়ুন: মোবাইল ফোন হ্যাকিং প্রতিরোধে করণীয়
ক্রেডিট লক ব্যবহার
ব্যাংক কর্তৃক প্রদানকৃত অ্যাপগুলোর অত্যাধুনিক ফিচার হচ্ছে ক্রেডিট লক। এর মাধ্যমে মোবাইল অ্যাপ বা অনলাইন ব্যাঙ্কিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দ্রুত ও অস্থায়ীভাবে কার্ড নিষ্ক্রিয় করা যায়। এর জন্য মোবাইল অ্যাপ বা ব্যাংকের ওয়েব প্ল্যাটফর্মের লগ ইন করতে হয়। অতঃপর কার্ড সিকিউরিটি বা অ্যাকাউন্ট ম্যানেজমেন্ট সেকশনে যেতে হয়। এই সেকশনগুলোর অধীনে ক্রেডিট ‘লক’ বা ‘টেম্পোরারিলি ডি-অ্যাক্টিভেট’ অপশনগুলো থাকে।
ডিভাইসের অপারেটিং সিস্টেম ভেদে সেকশন ও অপশনগুলো ভিন্ন হতে পারে। চূড়ান্তভাবে কার্ড নিষ্ক্রিয় করার পূর্বে কার্ডধারীদের নিরাপত্তা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা, পাসওয়ার্ড প্রদান বা বায়োমেট্রিক যাচাই করা হতে পারে। ক্রেডিট কার্ডটি একবার লক হয়ে গেলে কার্ডধারী একই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তা আনলক না করা পর্যন্ত এটি লেনদেনের জন্য আর ব্যবহার করা যাবে না।
ক্রেডিট কার্ড অ্যালার্ট সক্রিয় রাখা
এই অ্যালার্মটি কার্ড ইস্যূকারীর অনলাইন ব্যাঙ্কিং পোর্টাল বা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সেট আপ করা হয়। নানা ধরনের পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে অ্যালার্মে থাকে কাস্টমাইজেশনের সুবিধা। যেমন আন্তর্জাতিক লেনদেন বা একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের বেশি পরিমাণে লেনদেন সংঘটিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা অ্যালার্মের মাধ্যমে কার্ডধারীকে জানান দিবে। এমন নোটিফিকেশন পাওয়ার মাধ্যমে কার্ডধারী অবিলম্বে ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করে কার্ড ফ্রিজ করার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন।
আরও পড়ুন: ডিপ ফ্রিজ খুঁজছেন? যেসব বিষয় জানা প্রয়োজন
কার্ড টোকেনাইজেশন ব্যবহার
এটি এমন এক নিরাপত্তা প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে কার্ডের তথ্যকে (কার্ড নাম্বার বা মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ) একটি একক টোকেন দিয়ে প্রতিস্থাপন করা যায়। প্রতিটি লেনদেনের জন্য একটি অনন্য টোকেনটি তৈরি হয় এবং কার্ডের প্রকৃত বিবরণের জায়গায় তা স্থলাভিষিক্ত হয়। ফলশ্রুতিতে সংবেদনশীল তথ্যগুলো লুকানো থাকায় কার্ড জালিয়াতির ঝুঁকি থাকে না। যে কোনো হ্যাকিংয়ের বিরুদ্ধে কার্ড টোকেনাইজেশন একটি মোক্ষম সুরক্ষা ব্যবস্থা।
পরিশিষ্ট
অনলাইন কেনাকাটার সময় ক্রেডিট কার্ড হ্যাকিং থেকে দূরে থাকতে উপরোক্ত উপায়গুলো উৎকৃষ্ট ভূমিকা পালন করতে পারে। এগুলোর মধ্যে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ও টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন ব্যবহার এবং ফিশিং স্ক্যাম থেকে দূরে থাকা যথেষ্ট কার্যকরী কৌশল।
উপরন্তু অ্যালার্ট সিস্টেম, কার্ড টোকেনাইজেশন ও ক্রেডিট লকের মতো উন্নত ব্যবস্থা অননুমোদিত লেনদেনের বিরুদ্ধে সুরক্ষার অতিরিক্ত মাত্রা যোগ করে। এরপরেও উপরোল্লিখিত পদ্ধতিগুলোর নিয়মিত অনুশীলন যে কোনো সময় নগদ-বিহীন আর্থিক লেনদেন জনিত আকস্মিক সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
আরও পড়ুন: স্মার্ট টিভি খুঁজছেন? জেনে নিন ফিচার ও দাম
৫২৯ দিন আগে
অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন ট্র্যাক করতে এনবিআরকে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশ
লাখ টাকা দামের অনিবন্ধিত মোবাইল ফোনের ব্যবহারকারীদের খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) নির্দেশ দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন টিআরএনবি (টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টারস নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ) আয়োজিত ‘দেশে মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদনে চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে এ নির্দেশনা দেন।
দেশে ব্যবহৃত নিবন্ধিত মোবাইল ফোনের ডাটাবেইজ বিটিআরসিকে সংরক্ষণ এবং তা প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, এনবিআর ও ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে তাৎক্ষণিক সরবরাহেরও নির্দেশ দেন পলক।
আরও পড়ুন: বিনিয়োগ ছাড়াই নগদের কাছ থেকে ১৪ কোটি টাকা রাজস্ব পেয়েছে সরকার: পলক
প্রতি বছর দেশে প্রায় ৫ কোটি মোবাইল ফোনের চাহিদা থাকে জানিয়ে পলক বলেন, ২০২২ সালে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৩ কোটি মোবাইল ফোন বাংলাদেশে সংযোজন বা উৎপাদন করতে পেরেছিলাম। বিদেশ থেকে আমদানি হয়েছিল, আবার কিছু অবৈধ পথে এসেছে। ২০২৩-২৪ সালে এসে উৎপাদনের সংখ্যাটা কমে গেছে। কিন্তু মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা কিন্তু কমছে না।
পলক আরও বলেন, আমাদের মোবাইলের রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম এবং কাস্টমস থেকে ট্যাক্স পেইড আমদানি করা মোবাইলে ফোনের ডেটাবেজ যেন বিটিআরসিতে সংরক্ষিত থাকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা ভোক্তা অধিদপ্তর অভিযানে গেলে যেন সঙ্গে সঙ্গে তথ্য পেয়ে যায় সেজন্য এই ব্যবস্থা।
তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন থেকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন করছি। আমরা নিয়ন্ত্রণের থেকে সম্প্রসারণের দিকে নজর দিচ্ছি যাতে করে কর্মসংস্থান বাড়ানো যায়, রপ্তানি আয় বাড়ানো যায়। আইনে মোবাইল নেটওয়ার্ক এবং মোবাইল ফোনের বিষয়টি অনুপস্থিত ছিল। আইনে সংযোজন করে অবৈধ হ্যান্ডসেট ব্যবহারকারীদের প্রতিরোধ করে নাগরিকদের সুরক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করছি।
এনইআইআর সিস্টেম আপডেট করা হবে জানিয়ে পলক করেন, এই সিস্টেমে যাতে সবাই রেজিস্ট্রেশন করেন তার জন্য সচেতনতামূলক বার্তার মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হবে। ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য সবাই রেজিস্ট্রেশন করবেন। বিদেশ থেকে কোনো ফোন নিয়ে এলে নিবন্ধন করতে বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিটিসিএলের সম্পদের লাভজনক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে: পলক
পলক বলেন, ‘আর তা না হলে আমরা এনবিআরকে অনুরোধ করব, ডেটাবেজ দেখে যে ফোনের দাম দুই লাখ, এক লাখ, ৫০ হাজার; তারা নিশ্চয়ই ট্যাক্স দেওয়ার যোগ্যতা রাখে। তাহলে এনবিআর সেই ডেটাবেজে ঢুকে অনিবন্ধিত ফোন ব্যবহারকারীদের ট্র্যাক করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। আমরা ব্লক করব না, কিন্তু এনবিআরকে ডাটাবেইজ ব্যবহারের সুবিধা দেব।’
রেগুলোর মার্কেট মনিটরিং করার ইচ্ছা জানিয়ে পলক বলেন, ডিবি প্রধানকে অনুরোধ করব, অবৈধ হ্যান্ডসেট যেগুলো চোরা পথে বা গ্রে চ্যানেলে এসেছে সেগুলোর বিরুদ্ধে যেন একটা অভিযান শুরু করেন।
রপ্তানির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ ক্যাশ ইনসেনটিভ এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ছাড়পত্র নেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে বলেও জানান পলক।
টুজি এবং ফোরজি ফোনের ইন্টিগ্রেশনের দাবির বিষয়ে পলক বলেন, ‘সেটা আমরা বিবেচনা করব। তবে আমরা চাই স্মার্টফোন পেনিট্রেশন বাড়াতে। এক্ষেত্রে সহযোগিতা থাকবে।’
সেমিনারে আরও ছিলেন- বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ, বিটিআরসির মহাপরিচালক মনিরুজ্জামান জুয়েল, রবি আজিয়াটার চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম, বাংলালিংক ডিজিটালের চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান, মটব মহাসচিব লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ জুলফিকার, মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এমআইওবি) সভাপতি জাকারিয়া শাহিদ।
টিআরএনবির সভাপতি রাশেদ মেহেদীর সভাপতিত্বে সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন।
আরও পড়ুন: বুয়েটে ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক ন্যানো ল্যাব স্থাপনের ঘোষণা প্রতিমন্ত্রী পলকের
৫৫০ দিন আগে
বুয়েটে ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক ন্যানো ল্যাব স্থাপনের ঘোষণা প্রতিমন্ত্রী পলকের
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক একটি ন্যানো ল্যাব স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বুয়েটে ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি অত্যাধুনিক ন্যানো ল্যাব স্থাপনের কাজ শুরু করার অনুমতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যেটা ইতোমধ্যেই টেন্ডার প্রক্রিয়ায় চলে গিয়েছে।
২০৪১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত বৈষম্যমুক্ত, জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ অর্জন করার জন্য প্রয়োজন মেধাবী স্মার্ট প্রজন্ম, যারা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ইনস্টিটিউট অব রোবটিক্স এন্ড অটোমেশনের (আইআরএবি) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ ঘোষণা দেন।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ‘বুয়েটের শিক্ষার্থীদের রোবোটিক্স সম্পর্কে আরও বেশি করে শেখা ও জানার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য বুয়েটে ইনস্টিটিউট অব রোবটিক্স অ্যান্ড অটোমেশন আমরা স্থাপন করছি। আগামী ২-৩ দশকে প্রযুক্তি আমাদের সবকিছুর আমূল পরিবর্তন করে দেবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিক্ষাকে খরচ নয়, বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করতেন। আমরা রোবোটিক্সকে শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় নয়, কলেজ, স্কুল, এমনকি প্রাইমারি স্কুল পর্যন্ত নিয়ে যেতে চাই।’
আরও পড়ুন: বিটিসিএলের সম্পদের লাভজনক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে: পলক
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ভাই নির্দেশনা দিয়েছেন রোবোটিক্স, মাইক্রোচিপ ডিজাইনিং, এআই এবং সাইবার সিকিউরিটি এই ৪টি ফ্রন্টিয়ার টেকনোলোজিতে দক্ষ জনবল ও কর্মী তৈরি করতে। আগামীর স্মার্ট পৃথিবীতে স্মার্ট বাংলাদেশের নেতৃত্ব তারাই দেবে যারা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবোটিক্স, মাইক্রোচিপ ও সাইবার সিকিউরিটিতে দক্ষ ও যোগ্য হবে। ভবিষ্যতে আমাদের কোনোকিছুই প্রযুক্তির বাইরে থাকতে পারবে না।’
পলক বলেন, ‘বুয়েটে রোবোটিক্স থেকে শুরু করে সাইবার সিকিউরিটি, মাইক্রোচিপ ডিজাইনিং, এআই, এই চারটি ক্ষেত্রে যেকোনো উদ্যোগ গ্রহণের ক্ষেত্রে যা কিছু সহযোগিতা প্রয়োজন হবে, সেটা ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে আমাদেরকে করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ভাই। আমাদের ছোট আকারের রোবোটিক্স ল্যাব থেকে আজ রোবোটিক্স ইনস্টিটিউট হচ্ছে। ভবিষ্যতে রোবোটিক্সের উদ্ভাবক, গবেষক, স্টার্টআপগুলো এখান থেকেই তৈরি হবে। সঙ্গে সঙ্গে রোবোটিক্সে দক্ষ জনশক্তি আমরা এখান থেকেই গড়ে তুলতে পারব।’
আরও পড়ুন: ৩ বছরেই সফল ইউনিকর্ন স্টার্টআপ নগদ: প্রতিমন্ত্রী পলক
তিনি আরও বলেন, আমরা যদি ইউনিভার্সিটি-ইন্ডাস্ট্রির কোলাবোরেশন না করতে পারি, শিক্ষার্থীদের মাঝে যদি ব্যবসায় উদ্যোক্তার মানসিকতা তৈরি না করতে পারি তাহলে ইনোভেটিভ-স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া কষ্টসাধ্য হবে। বুয়েটে ইনস্টিটিউট অব রোবটিক্স এন্ড অটোমেশন স্থাপনের কাজ শুরু করেছি, আমাদের কাজ এখানেই শেষ নয়, এর পরের ধাপগুলোতে আমরা আরও ভবিষ্যতমূখী প্রযুক্তিতে বুয়েটের শিক্ষার্থীদের দক্ষ ও যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলার নির্দেশনা পেয়েছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রতিমন্ত্রীসহ সব অতিথিকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) তৈরি রোবোসেবা - হেলথ অবজেক্টিভ রোবট।
অনুষ্ঠানে বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার এর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন ও বুয়েটের উপ-উপচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খাঁন।
আরও পড়ুন: জনগণের প্রতি সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির দায় রয়েছে: পলক
৫৫০ দিন আগে
ডিএসএলআর ক্যামেরা খুঁজছেন? কেনার আগে জেনে নিন ফিচার ও দাম
ফ্রেমবন্দি মুহূর্তগুলোকে প্রাণবন্ত করে তুলতে ডিএসএলআর ক্যামেরার কোনো জুড়ি নেই। যে কোনো মুহূর্ত ফ্রেমবন্দি করার সময় সৃজনশীলতা চর্চায় স্বাধীনতার স্বাদ দেয় এই ডিজিটাল ক্যামেরাগুলো। কারিগরি সরঞ্জামের দিক থেকে অন্যান্য ক্যামেরাগুলোকে ছাপিয়ে যাওয়ায় প্রত্যেক ফটোগ্রাফিপ্রেমীর স্বপ্ন থাকে এরকম একটি ক্যামেরা সঙ্গে রাখার।
ছবি তোলার সেরা অভিজ্ঞতা লাভের পাশাপাশি উচ্চ-রেজ্যুলেশন সেন্সর এবং বহুমুখী লেন্সগুলোর কারণে দাম বৃদ্ধি পেতে থাকে ক্যামেরাগুলোর। তাই এমন একটি যন্ত্র কেনার ক্ষেত্রে প্রয়োজন সুচিন্তিত বিনিয়োগের। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বে নজর দেওয়া উচিৎ ক্যামেরা সংক্রান্ত কিছু কারিগরি বিষয়ে। সেই বিষয়গুলোর সম্যক ধারণা নেওয়ার পাশাপাশি চলুন, বর্তমান বাজারের জনপ্রিয় কয়েকটি ডিএসএলআর ক্যামেরার দাম ও ফিচার দেখে নেওয়া যাক।
ডিএসএলআর ক্যামেরা কেনার আগে যেসব বিষয়গুলো দেখা উচিৎ
সেন্সর
ক্যামেরার সেন্সর হলো একটি ইলেক্ট্রনিক চিপ, যা আলো ক্যাপচার করে ভিউফাইন্ডারের মাধ্যমে তাকে ফটোগ্রাফে রূপান্তরিত করে। সেন্সর প্রধানত ৩ ধরনের- ফুল-ফ্রেম, ক্রপ বা এপিএস-সি (অ্যাডভান্স্ড ফটো সিস্টেম-টাইপ সি) এবং মিডিয়াম ফর্মেট।
ফুল-ফ্রেম দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে যথাক্রমে ৩৬ ও ২৪ মিলিমিটার। এই সেন্সরের ক্যামেরাগুলো বিস্তৃত টোনাল পরিধিতে বেশ ভালো কাজ করে। অর্থাৎ এগুলোতে আলোকিত বা অন্ধকারাচ্ছান্ন পরিবেশের ছবিগুলো বেশ দক্ষতার সঙ্গে ধারণ করা সম্ভব। ফুল-ফ্রেম ক্যামেরাতে কোনো ক্রপ ফ্যাক্টর থাকে না। এর মানে ভিউফাইন্ডারের মধ্য দিয়ে সামনে যা দেখা যায় অনেকটা অবিকল ঠিক তাই রেকর্ড করা যায়।
আরও পড়ুন: টি২০ বিশ্বকাপ দেখতে স্মার্ট টিভি খুঁজছেন? জেনে নিন ফিচার ও দাম
এন্ট্রি ও মিড-লেভেল ক্যামেরাগুলোতে সাধারণত ক্রপ সেন্সরই বেশি থাকে। পূর্ণ-ফ্রেম থেকে তুলনামূলকভাবে ছোট ও হাল্কা এই সেন্সরগুলোর পরিমাপ ২৩ দশমিক ৫ x ১৫ দশমিক ৬ মিলিমিটার। ক্রপ সেন্সর তার পূর্ব-নির্ধারিত পরিসীমা দিয়ে রেকর্ডকৃত ছবির নির্দিষ্ট অংশকে তুলে ধরে। ফলে অনেক দূর থেকে নির্দিষ্ট কোনো বস্তুর ছবি নেওয়ার ক্ষেত্রে এগুলো দারুণভাবে ফোকাস করতে পারে। তাই এই সেন্সরগুলো বন্যপ্রাণী বা ক্রীড়া ফটোগ্রাফির জন্য উত্তম।
৩টির মধ্যে সবচেয়ে বড় ও ব্যয়বহুল হলো মিডিয়াম ফরম্যাট সেন্সর, যার পরিমাপ ৫৩ দশমিক ৪ x ৪০ মিলিমিটার। সেন্সর বড় হওয়ার কারণে মিডিয়াম ফরম্যাটের ক্যামেরায় বেশি মেগাপিক্সেল থাকে। এতে করে বাস্তব দৃশ্যের রঙ ও আলো-আধারীর খেলার সঙ্গে এই ক্যামেরায় তোলা ছবির পার্থক্য কদাচিৎ ধরা যায়।
তবে মিডিয়াম ফরম্যাটের একটা বড় অসুবিধা হলো ধীরগতির বার্স্ট মুড এবং ফোকাস। অর্থাৎ দ্রুত গতিতে চলমান কোনো বস্তুর শট নেওয়ার ক্ষেত্রে এই সেন্সরের ক্যামেরাগুলো যথেষ্ট বিড়ম্বনায় ফেলতে পারে।
মেগাপিক্সেল
লক্ষ লক্ষ ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র রঙের বিন্দু একত্রে মিশে তৈরি করে একটি ডিজিটাল ছবি। এই বিন্দুগুলোর নাম পিক্সেল। ২২-মেগাপিক্সেলের একটি ক্যামেরায় ধারণকৃত একটি ছবিতে থাকে ২২ মিলিয়ন পিক্সেল। আপাত দৃষ্টে মনে হতে পারে যত বেশি মেগাপিক্সেল, ছবির রেজ্যুলেশন তত বেশি। তবে এটি সম্পূর্ণ সঠিক নয়। সর্বোচ্চ মানের ছবির জন্য পিক্সেলের সংখ্যার সঙ্গে সেন্সরের আকার সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া জরুরি।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহায় ডিপ ফ্রিজ খুঁজছেন? যেসব বিষয় জানা প্রয়োজন
৫০ মেগাপিক্সেলের একটি স্মার্টফোনের ক্যামেরায় যে পরিমাণ পিক্সেল থাকে, তা ৫০ মেগাপিক্সেলের একটি মিডিয়াম ফরম্যাটের ক্যামেরার তুলনায় অনেক কম। কেননা স্মার্টফোনের ক্যামেরার সেন্সর অনেক ছোট। আর সেই ছোট জায়গার মধ্যেই একসঙ্গে থাকে ৫০ মিলিয়ন পিক্সেল। এর ফলে সেন্সরের আলো ধরে রাখার ক্ষমতা কম থাকায় ছবি ক্যাপচারের সময় ফ্ল্যাশ এবং শব্দের আধিক্য থাকে।
অন্যদিকে বড় সেন্সরে পিক্সেলের জন্য যথেষ্ট জায়গা থাকায় ছবির টোনালের গুণগত মান ভালো থাকে, তথা বাস্তব রঙগুলো ছবিতে নিখুঁত ভাবে ফুটে উঠে।
লেন্স
কোনো বস্তুর ছবি তোলার পর ক্যামেরার লেন্সের ভেতরে যে বিন্দুতে বস্তুটির প্রতিবিম্ব তৈরি হয় তাকে ছবির ফোকাল বিন্দু বলা হয়। এই বিন্দু থেকে লেন্সের কেন্দ্রের মধ্যবর্তী দূরত্ব লেন্সের ফোকাল দৈর্ঘ্য নামে পরিচিত। এই দূরত্বটি লেন্সের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, কেননা এর উপর ভিত্তি করে লেন্সের প্রধান দুইটি শ্রেণী রয়েছে। একটি হচ্ছে প্রাইম, এবং অন্যটি জুম লেন্স।
প্রাইম লেন্সের একটি নির্দিষ্ট ফোকাল দৈর্ঘ্য থাকে। এখানে অ্যাপারচার বেশি হওয়ায় ভালো মানের ছবি পাওয়া যায়। যে অংশের মধ্য দিয়ে আলো ক্যামেরায় প্রবেশ করে, সেটিই লেন্সের অ্যাপারচার। এর পরিধি যত বেশি হয়, তত বেশি আলো ক্যামেরার সেন্সরে পৌছতে পারে। ফলশ্রুতিতে ছবিটি বেশি এক্সপোজার পায়।
আরও পড়ুন: চ্যাটজিপিটি বিভ্রাট, বিশ্বজুড়ে ভোগান্তি
অপরদিকে জুম লেন্সে একাধিক ফোকাল দৈর্ঘ্য থাকে। বহুমুখী এই একটি লেন্স থাকলে ক্যামেরার জন্য একাধিক লেন্সের প্রয়োজন পড়ে না।
ফোকাল দৈর্ঘ্যে ৮ থেকে শুরু করে ২ হাজার মিলিমিটার পর্যন্ত হতে পারে। ছোট ফোকাল দৈর্ঘ্যের লেন্সগুলো ছোট বড় প্রাকৃতিক দৃশ্য ও স্থাপত্য ফটোগ্রাফির জন্য ভালো। আর দীর্ঘ ফোকাল দৈর্ঘ্য খেলাধুলা বা বন্যপ্রাণী ফটোগ্রাফির জন্য উপযুক্ত।
আইএসও সংবেদনশীলতা
আলোর প্রতি ক্যামেরার সংবেদনশীলতাকে বোঝাতে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন (আইএসও)-এর সেট করা কিছু সাংখ্যিক মান রয়েছে। এগুলোকে সংক্ষেপে আইএসও বলা হয়। আইএসও সংখ্যা বেশি হওয়া মানে কম আলোতেই ক্যামেরাটি ছবি তুলতে সক্ষম। আইএসও ঘরের ভেতরে ছবি তোলার সময় ফ্ল্যাশের প্রয়োজনীয়তা কমায় এবং ছবিকে বাস্তবিক করে তুলতে পারে। তবে আইএসও’কে পরিবেশে বিদ্যমান আলোর সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় রাখা আবশ্যক। কেননা বেশি আইএসওর কারণে অনেক সময় ছবি নষ্ট হয়ে যায়।
যেমন রাতে বা কম আলোতে খালি চোখে যা দেখা যায়, তা ক্যাপচার করতে ১ হাজার ৬০০ আইএসও যথেষ্ট। তাই ডিএসএলআর বাছাইয়ের সময় আইএসওর রেঞ্জের দিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাসরুট খুঁজে পেতে দরকারি কিছু মোবাইল অ্যাপ
অটোফোকাস সিস্টেম ও বার্স্ট রেট
একটি ভালো ফোকাসিং সিস্টেম স্থির এবং চলমান বিষয়গুলোতে আলাদাভাবে ফোকাস করার সুবিধা থাকে। উপযুক্ত ফোকাসিং সিস্টেম মানে প্রতি সেকেন্ডে ফ্রেম সংখ্যা বেশি (এফপিএস) হওয়া, বেশি ফোকাস পয়েন্ট এবং অটোফোকাস (এএফ) সিস্টেম। মূলত খেলাধুলা এবং অ্যাকশন ফটোগ্রাফি করার সময় কম সময়ে অনেকগুলো শট নেওয়ার প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে এএফ সিস্টেম থাকলে অনেক দুর্দান্ত শট হারিয়ে যাওয়া থেকে রেহাই মিলে।
এফপিএস ক্যামেরার বার্স্ট রেটকে প্রতিনিধিত্ব করে, যেখানে জানা যায় ক্যামেরাটি প্রতি সেকেন্ডে কতগুলো ফ্রেম শুট করতে সক্ষম। খেলাধুলা বা অ্যাকশন ছবির পাশাপাশি বেশি বার্স্ট রেট থাকা পোর্ট্রেইট ছবি ধারণের জন্যও ভালো।
শাটার স্পিড
ছবি ক্যাপচারের সময় আলোকে প্রবেশ করতে দেওয়ার জন্য ক্যামেরার শাটার উন্মুক্ত হয়। শাটার খোলা থাকার সময়কে কম-বেশি করে ছবিটি কেমন দেখাবে তা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই সময়টির আরও একটি নাম আছে, যা এক্সপোজার টাইম নামে পরিচিত। শাটারের গতি পরিমাপ করা হয় এক সেকেন্ডের ভগ্নাংশ হিসেবে। যেমন, শাটার গতি ১/২ হাজার মানে- শাটারটি এক সেকেন্ডের ২ হাজার ভাগের ১ ভাগের জন্য খোলা থাকে। ভগ্নাংশের নিচের সংখ্যাটি যত বেশি হয়, শাটারও তত দ্রুত গতি সম্পন্ন হয়।
টেকসই কাঠামো
প্রতিকূল পরিবেশে ছবি তোলার জন্য ডিএসএলআর-এর গঠনটি মজবুত হওয়া অপরিহার্য। নানা ধরণের মজবুত উপকরণ দিয়ে তৈরি একটি ডিএসএলআর ধুলাবালি, আর্দ্রতা এবং তাপমাত্রার তারতম্য সহ্য করতে সক্ষম হয়। এতে করে ক্যামেরাটি রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনীয়তা কম পড়ে এবং দীর্ঘ সময় ধরে নিশ্চিন্তে ফটোগ্রাফি করা যায়।
আরও পড়ুন: ওয়াল স্ট্রিটের অনুমান পেছনে ফেলে মুনাফা বেড়েছে এনভিডিয়ার
ব্যাটারির আয়ুষ্কাল
ছবি প্রক্রিয়াকরণের জন্য নানা ধরণের ফাংশন থাকায় একটি ডিএসএলআর ক্যামেরার যথেষ্ট পাওয়ারের দরকার হয়। তাই ছবি তোলার সময় ক্যামেরা যেন আকস্মিক ভাবে বন্ধ হয়ে না যায়, তার জন্য প্রথমেই একটি ভালো মানের ব্যাটারি নেওয়া উত্তম। অধিকাংশ ক্যামেরা আজকাল লিথিয়াম আয়নের মতো রিচার্জেবল ব্যাটারি ব্যবহার করে। এই ব্যাটারিগুলো ক্যামেরা সক্রিয় থাকার জন্য পর্যাপ্ত সময় ধরে শক্তির যোগান দিতে পারে।
ব্র্যান্ডের খ্যাতি
একটি ক্যামেরার কোন কোন বিষয়গুলো খুটিয়ে দেখতে হয় সে ব্যাপারে অনেকেই অনভিজ্ঞ থাকতে পারেন। বিশেষ করে নতুনদের জন্য এই খুটিনাটি যাচাই করে দেখাটা বেশ কষ্টসাধ্য। এই বিড়ম্বনা থেকে এক নিমেষেই মুক্তির উপায় হতে পারে ক্যামেরাটির ব্র্যান্ড কতটা সুপ্রতিষ্ঠিত সেদিকে নজর দেওয়া।
প্রসিদ্ধ ব্র্যান্ডগুলো বৈশিষ্ট্যগত দিক থেকে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক ভাবে স্বীকৃত হয়ে থাকে। শুধু তাই নয়, ক্যাটলগসহ বিজ্ঞাপনগুলো কারিগরি দিক থেকে সুবিধাগুলোর বিস্তারিত বিবরণে সমৃদ্ধ থাকে। সেই সঙ্গে ব্যবহারের ক্ষেত্রে যথাযথ গাইডলাইনেরও ব্যবস্থা রাখে খ্যাতিমান ব্র্যান্ডগুলো। এছাড়া ফার্মওয়্যার আপডেট ও বিক্রয়-পরবর্তী সেবার মতো বিভিন্ন ধরণের গ্রাহক পরিষেবার সুবিধা তো আছেই।
বর্তমান বাজারে প্রচলিত কয়েকটি ডিএসএলআর ক্যামেরা
ক্যানন EOS 4000D
১৮ মেগাপিক্সেল এপিএস-সি সেন্সর সমৃদ্ধ এই ক্যামেরার দাম ৪২ হাজার ৪০০ টাকা। আনুভূমিক ও উল্লম্ব ভাবে সেন্সর প্রায় ২২ দশমিক ৩ মিলিমিটার x ১৪ দশমিক ৯ মিলিমিটার। লেন্স মাউন্টের জন্য আছে ইএফ (ইলেক্ট্রো ফোকাস) অথবা (ইএফ-এস ইলেক্ট্রো ফোকাস- শর্ট ব্যাক ফোকাস)। আইএসও এইচ: ১২৮০১ পর্যন্ত প্রসারণযোগ্য। শাটার অন-অফ সময় ৩০ থেকে ১/৪ হাজার সেকেন্ডে নামিয়ে আনা যায়। ৬ দশমিক ৮ সেন্টিমিটারের এলসিডি মনিটরের ভিউয়িং অ্যাঙ্গেল উল্লম্বভাবে প্রায় ১২০ ডিগ্রি এবং আনুভূমিকভাবে প্রায় ১৩০ ডিগ্রি। শক্তিকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে রিচার্জেবল লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি। বিক্রয় পরবর্তী সার্ভিসের সময়সীমা সর্বোচ্চ ৩ বছর।
আরও পড়ুন: দামি ফ্ল্যাগশিপ ফোন কেনার সুবিধা-অসুবিধা
নিকন D5300
বর্তমানে ২৪ মেগাপিক্সেলের এই ডিএসএলআরটির দাম ৪৩ হাজার টাকা। এতে রয়েছে এপিএস-সি সেন্সর এবং থ্রিডি ট্র্যাকিংসহ ৩৯ পয়েন্ট এএফ সিস্টেম। ১০০ থেকে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার ৬০০ পর্যন্ত সম্প্রসারণযোগ্য আইএসও। এলসিডি মনিটরের পুরুত্ব ৩ দশমিক ২ ইঞ্চি। শাটার স্পিড ৩০ সেকেন্ড থেকে ১/৪ হাজার সেকেন্ড-এ বাড়ানো যায়। বিল্ট-ইন ওয়াইফাই এবং জিপিএসের পাশাপাশি আছে ইউএসবি ২ এবং মিনি টাইপ সি এইচডিএমআই। আরও আছে ফুল এইচডি ভিডিও ক্যাপচার সুবিধা। যে কোনো সমস্যায় রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১ বছর পর্যন্ত ফ্রি সার্ভিস পাওয়া যাবে।
ক্যানন 2000D
২৪ দশমিক ১ মেগাপিক্সেলের এই ডিএসএলআরটির মূল্য ৪৬ হাজার টাকা। সেন্সরের আকার প্রায় ২২ দশমিক ৩ মিলিমিটার x ১৪ দশমিক ৯ মিলিমিটার। শাটারের স্পিড ৩০ থেকে ১/৪ হাজার সেকেন্ড।
আইএসও এইচ: ১২৮০১ পর্যন্ত প্রসারিত করা যায়। লেন্স মাউন্ট ইএফ/ইএফ-এস। ৭ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার এলসিডি মনিটরে ভিউইং অ্যাঙ্গেল রয়েছে প্রায় ১৭০ ডিগ্রি। এছাড়াও ক্যামেরাটি ফুল এইচডি ভিডিও ক্যাপচারের সুবিধা দেয়। মডেলটির জন্য সার্ভিস ওয়ারেন্টি ৩ বছর।
নিকন Coolpix A1000
ওয়াইফাই, ইউএসবি, ব্লুটুথ এবং এইচডিএমআই আউটপুট সম্বলিত ১৬ মেগাপিক্সেলের এই ক্যামেরার দাম ৫০ হাজার টাকা। সিমস টাইপ সেন্সরের আকার ১/২ দশমিক ৩ ইঞ্চি। অপটিক্যাল জুম ক্ষমতা ৩৫গুণ এবং ডিজিটাল জুম ৪গুণ পর্যন্ত। দ্রুতি গতিতে চলমান কোনো বস্তুর শট নেওয়ার জন্য আছে কনট্রাস্ট-ডিটেক্ট এএফ। ১০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ সম্প্রসারণযোগ্য আইএসও এবং এক্সপোজার টাইম ১ থেকে ১/২ হাজার সেকেন্ডে উন্নীত করা সম্ভব। ৩ ইঞ্চি ওয়াইড ভিউইং অ্যাঙ্গেল এলসিডি ডিস্প্লে। সমগ্র ডিভাইসের পাওয়ার হাউস একটি রিচার্জেবল লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি। বিক্রয়-পরবর্তী সার্ভিস ওয়ারেন্টি ৩ বছর।
আরও পড়ুন: আপনার মোবাইলটি অবৈধ নয়তো? অফিসিয়াল ফোন যাচাই করার উপায়
নিকন D3500
৩ ইঞ্চির ওয়াইড ভিউয়িং অ্যাঙ্গেলের এলসিডি স্ক্রিনের এই ডিএসএলআরটির মূল্য ৫০ হাজার টাকা।
সেন্সরের আকার ২৩ দশমিক ৫ মিলিমিটার x ১৫ দশমিক ৬ মিলিমিটার এবং রেজ্যুলেশন ২৪ দশমিক ২ মেগাপিক্সেল। আইএসও কমপক্ষে ১০০ থেকে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার ৬০০। এক্সপোজার টাইম ৩০ থেকে সর্বনিম্ন ১/৪ হাজার সেকেন্ডে কমিয়ে আনা যায়। D3500-এর বিশেষত্বের মধ্যে রয়েছে ওয়াইফাই, ৪ দশমিক ১ ব্লুটুথ, ইউএসবি, টাইপ সি মিনি-পিন এইচডিএমআই, এবং বিল্ট-ইন মাইক্রোফোন। ভিডিওগ্রাফির জন্য আছে ফুল এইচডি ভিডিও রেকর্ডের বৈশিষ্ট্য। দীর্ঘ সময় সক্রিয় থাকার জন্য পর্যাপ্ত শক্তি সরবরাহে নিবেদিত রয়েছে ১টি রিচার্জেবল লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি।
বিক্রয়োত্তর ফ্রি পরিষেবা একটানা সর্বোচ্চ ৩ বছর।
ক্যানন EOS 250D
ব্লুটুথ এবং ওয়াই-ফাই সমৃদ্ধ এই মডেলটির বর্তমান বাজার মূল্য ৬০ হাজার টাকা। ক্রপ সেন্সরের রেজ্যুলেশন ২৪ দশমিক ১ মেগাপিক্সেল। আইএসও সর্বোচ্চ এইচ: ৫১২০০ পর্যন্ত বাড়ানো যায়। এক্সপোজার টাইম ৩০ থেকে ১/৪ হাজার সেকেন্ডে উন্নীত করা সম্ভব। ৭ দশমিক ৭ সেন্টিমিটার এলসিডি মনিটরটি টাচস্ক্রিনের। লেন্স মাউন্ট হিসেবে আছে শুধুমাত্র ইএফ। ডিএসএলআরটির আরও রয়েছে ফোরকে ভিডিও ক্যাপচারের বৈশিষ্ট্য। আর অন্যান্যগুলোর মতো এতেও পাওয়ার হাউস হিসেবে রয়েছে রিচার্জেবল লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি। তবে EOS 250D-এর জন্য ফ্রি পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে ১ বছর।
আরও পড়ুন: মোবাইল ফোন হ্যাকিং প্রতিরোধে করণীয়
শেষাংশ
ডিএসএলআর ক্যামেরা কেনার ক্ষেত্রে প্রথমেই সেন্সর, মেগাপিক্সেল ও লেন্সের মাঝে সামঞ্জস্য বিধান করা জরুরি। মূলত ঠিক কোন ধরণের বিষয় নিয়ে ফটোগ্রাফি করা হবে তা নির্ধারণ করে ক্যামেরা কেনার প্রতি অগ্রসর হওয়া উত্তম। তবে যারা ফটোগ্রাফির প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বাধীনভাবে বিচরণ করতে ইচ্ছুক, তাদের জন্য ক্যানন ও নিকনের এই মডেলগুলো উপযুক্ত হতে পারে। এছাড়া এগুলোর মাধ্যমে একদম নতুনরাও ক্যামেরার কারিগরি বিষয়গুলো চর্চা শুরু করতে পারে।
৫৫২ দিন আগে
টি২০ বিশ্বকাপ দেখতে স্মার্ট টিভি খুঁজছেন? জেনে নিন ফিচার ও দাম
মারকুটে টি২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপের জ্বরে ভাসছে গোটা দেশ। আর স্মার্ট টিভিতে বিশ্বকাপ দেখা মানে ঘরের মধ্যেই রীতিমতো মিনি স্টেডিয়ামের আমেজ পাওয়া। এইচডি (হাই-ডেফিনিশন) ডিসপ্লে, কালার কন্ট্রাস্ট এবং ডলবি সাউন্ড সিস্টেমে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে ব্যাট ও বলের যুদ্ধে দামামা। শুধু কি তাই! নজরকাড়া ভঙ্গিমায় প্রিয় খেলোয়ারের ছক্কা হাকানো বা উইকেট নিয়ে বোলারের উল্লাস নৃত্য স্মৃতিতে ধরে রাখতে পারে স্মার্ট টিভি। বিশ্বকাপের উত্তেজনা বেড়ে ওঠার সঙ্গে সমান তালে বাড়তে থাকে অত্যাধুনিক এই টিভি কেনার প্রবণতা। এগুলোর মধ্য থেকে সেরাটা বাছাই করতে হলে টিভি সংক্রান্ত কিছু কারিগরি বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। চলুন, সেই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার পাশাপাশি জেনে নেওয়া যাক এ সময়ের মার্কেট কাঁপানো কয়েকটি স্মার্ট টিভির দাম ও ফিচার।
স্মার্ট টিভি কেনার আগে যে বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি
স্ক্রিন সাইজ
টিভি ঠিক কত বড় জায়গায় কত দর্শকের জন্য রাখা হচ্ছে তার ওপর নির্ভর করে নির্ধারণ করতে হয় স্ক্রিন সাইজ। খুব ছোট জায়গায় অতিকায় টিভি যেমন অসঙ্গতিপূর্ণ, ঠিক তেমনি বিশাল ড্রইং রুমে ছোট্ট স্ক্রিনে কোনো কিছু ভালোভাবে দেখা যায় না। অবশ্য এখানে বাজেটকেও আমলে আনা আবশ্যক। স্মার্ট টিভির সর্বাধিক জনপ্রিয় মাপগুলোর মধ্যে রয়েছে ২৪ থেকে ৫৫ ইঞ্চির স্ক্রিন।
ডিসপ্লে
বাংলাদেশে এলইডি এবং কিউএলইডি ডিসপ্লের জনপ্রিয়তার রেশ ধরে নতুন ওএলইডিগুলোও বাজারে বেশ ভালো চলছে। এলইডি (লাইট-এমিটিং ডায়োড) প্রযুক্তির টিভিতে মূলত লাখ লাখ ক্ষুদ্র লাইট অন-অফ হওয়ার মাধ্যমে টিভির চিত্রগুলো তৈরি করে।
কিউএলইডি (কোয়ান্টাম ডট লাইট এমিটিং ডায়োড) টিভিতে সেই এলইডির ক্ষুদ্র লাইটের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয় কোয়ান্টাম ডট। এই ডটগুলো এলইডিগুলোর তুলনায় আরও উজ্জ্বল চিত্র তৈরি করে।
আরো পড়ুন: যেসব ভেন্যুতে আয়োজিত হচ্ছে ২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপ
এরপরেই সব থেকে উন্নত প্রযুক্তির ওএলইডি (অর্গানিক লাইট-এমিটিং ডায়োড) চিত্র প্রদর্শনের ব্যবহার করে ছোট ছোট বিন্দু, যেগুলো সাব-পিক্সেল নামে পরিচিত। সাব-পিক্সেলগুলোর প্রতিটিই স্বাধীনভাবে চিত্র তৈরি করতে সক্ষম। স্বভাবতই ওএলইডিতে বাকি দুটোর তুলনায় সর্বাধিক প্রাণবন্ত অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে এগুলো বেশ ব্যয়বহুলও বটে। মাঝারি মূল্যের মধ্যে কিউএলইডি সেরা ভিজ্যুয়াল প্রদান করে। ভিডিওর মানের দিক থেকে সবার নিচে এলইডি, আর তাই এগুলোর দাম একটু কম হয়ে থাকে।
রেজ্যুলেশন
সেরা ভিজ্যুয়াল পেতে স্ক্রিন সাইজ ও ডিসপ্লের সঙ্গে যে বৈশিষ্ট্যটির সামঞ্জস্য করতে হয় তা হচ্ছে স্ক্রিন রেজ্যুলেশন। বাংলাদেশে সাধারণত ১ হাজার ৮০পি ও ফোরকে রেজ্যুলেশন বেশি দেখা যায়। অপরদিকে বাজারে এইটকে-এর প্রবেশটা অনেকটা ধীর গতির। কারণ এখন পর্যন্ত এত উচ্চ রেজ্যুলেশনের চলচ্চিত্র বা কন্টেন্টের সংখ্যা খুব একটা বেশি নয়। তাছাড়া এগুলোর দামও আকাশচুম্বী।
তবে মার্কেট সবচেয়ে বেশি দখলে রয়েছে ফোরকে বা আল্ট্রা এইচডি স্ক্রিনগুলোর। কেননা অধিকাংশ স্ট্রিমিং পরিষেবাগুলো ফোরকে’তেই কন্টেন্ট দিচ্ছে। গুণগত মানদণ্ডে পিছিয়ে থাকলেও ১ হাজার ৮০পি বা ফুল এইচডিগুলো এখনও টিকে আছে।
রিফ্রেশ রেট
একটি দৃশ্যের প্রতিটি সুক্ষ্ম সুক্ষ্ম উপাদান কত নিখুঁতভাবে প্রদর্শিত হবে তার একটা নিত্যতা হচ্ছে রিফ্রেশ রেট। প্রতি সেকেন্ডে রিফ্রেশের পুনরাবৃত্তিকে হার্ট্জ দিয়ে প্রকাশ করা হয়। ফোরকে স্মার্ট টিভির জন্য একটি আদর্শ রিফ্রেশ রেট হল ৬০ হার্ট্জ। এর অর্থ হচ্ছে- প্রতি সেকেন্ডে ৬০ বার ছবি রিফ্রেশের মাধ্যমে স্ক্রিনটি মসৃণ দৃশ্য প্রদর্শন করতে পারে। সামাজিক মাধ্যমজুড়ে বিশদ চর্চার কারণে এখন অনেকেই ৫০ বা ৬০ হার্ট্জ এবং আগের ৩০ বা ৪০ হার্টজের পার্থক্য ধরতে পারেন। ক্রিকেট খেলায় কোনো উইকেট যাওয়ার সময় ৪০ হার্টজের তুলনায় ৬০ হার্টজে প্রতিটি দৃশ্য সুক্ষ্ম ভাবে লক্ষ্য করা যায়।
আরো পড়ুন: দামি ফ্ল্যাগশিপ ফোন কেনার সুবিধা-অসুবিধা
এইচডিআর সাপোর্ট
ছবির উজ্জ্বল এবং অন্ধকার অংশের মধ্যে অধিকতর স্পষ্ট বৈসাদৃশ্য ধরা পড়ে এইচডিআর (হাই ডাইনামিক রেঞ্জ)-এর মাধ্যমে। এতে করে ছায়াতে কিংবা অন্ধকারে এবং অধিক সূর্যালোকে ঘটা দৃশ্যগুলো স্বাভাবিক দৃশ্যের মতোই ভালোভাবে বোঝা যায়।
শুধু তাই নয়, এইচডিআর-এর রঙের ভারসাম্যতার জন্য দৃশ্যে থাকা বিভিন্ন খুটিনাটি বস্তুর উপর আলাদা ভাবে ফোকাস করা যায়। এরকম আলো-আধারীর দৃশ্যগুলো দেখার ক্ষেত্রে এইচডিআর না থাকা টিভিগুলোতে বেশ পরিশ্রম করতে হয়।
অন্যান্য ডিভাইসের সঙ্গে সংযোগ সুবিধা
একের সঙ্গে দুই বা ততোধিক ডিভাইসের সংযোগ সুবিধার মধ্য দিয়ে প্রযুক্তিগত দিক থেকে আরও বেশি উন্নত হয়ে ওঠে এলইডি টিভি। এইচডিএমআই ও ইউএসবি পোর্ট, ওয়াইফাই এবং ব্লুটুথ ব্যবস্থা গেমিং কন্সোল, বাহ্যিক সাউন্ড সিস্টেম এবং কম্পিউটারের সঙ্গে সংযোগের সুবিধা দেয়। পূর্বে শুধু বাহ্যিক স্পিকার সংযোগ করা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিল এই সংযোগ বৈশিষ্ট্য।
কিন্তু বর্তমানে কম্পিউটারসহ বিভিন্ন মোবাইল ডিভাইস সংযুক্ত করা যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এমনকি অতিরিক্ত পাওয়ার অ্যাডাপ্টারেরও প্রয়োজন পড়ে না। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে, অল্প অল্প করে এমন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশি টিভির দামটাও বাড়তে থাকে।
আরো পড়ুন: আপনার মোবাইলটি অবৈধ নয়তো? অফিসিয়াল ফোন যাচাই করার উপায়
বিল্ট-ইন সাউন্ড সিস্টেম
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভারী সিআরটি মনিটরের জায়গায় স্থান পেয়েছে এলইডি স্ক্রিন। টিভির এই ওজন কমার সঙ্গে ভিজ্যুয়াল কার্যকারিতা বৃদ্ধি পেয়েছে ঠিকই; কিন্তু ক্ষতি হয়েছে সাউন্ড সিস্টেমের দিক থেকে। এখন সাধারণত ডিসপ্লের ফিজিক্যাল ফ্রেমের ভেতরে সাদামাটা স্পিকার দেওয়া হয়। এতে করে টিভি দেখার অভাবনীয় অভিজ্ঞতার কাছে শোনার অভিজ্ঞতা নিছক নগণ্য বনে যায়।
বিশেষ করে মিউজিক সাউন্ডট্র্যাক এবং মুভি সাউন্ড এফেক্টগুলো ভালোভাবে বোঝা যায় না। তাই টিভি কেনার সময় সাউন্ড সিস্টেমের দিকেও নজর দেওয়া উচিৎ।
ন্যূনতম ডলবি অডিও হলে প্রাথমিকভাবে আলাদা করে স্পিকার লাগানোর প্রয়োজন পড়ে না। আর বিল্ট-ইন ডলবি ডিজিটাল প্লাস সম্পূর্ণ না হলেও এর বর্ধিত সাউন্ড ঘর জুড়ে কিছুটা হোম থিয়েটারের আমেজ দিবে।
উন্নত প্রযুক্তি
এখন স্মার্ট টিভি মানেই পুরোদস্তুর একটি কম্পিউটার, যেখানে আছে অপারেটিং সিস্টেম, আভ্যন্তরীণ অ্যাপ এবং ইন্টারনেট-ভিত্তিক পরিষেবা। বর্তমানে ভয়েস কন্ট্রোল বৈশিষ্ট্যও বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে গ্রাহকদের মাঝে। এছাড়া ফেসবুক ব্রাউজের পাশাপাশি নেটফ্লিক্স মুভি স্ট্রিমিং এখনকার অ্যান্ড্রয়েড টিভিগুলোর সাধারণ বৈশিষ্ট্য।
আরো পড়ুন: ঢাকার বাসরুট খুঁজে পেতে দরকারি কিছু মোবাইল অ্যাপ
৫৫৩ দিন আগে