তারা হলেন- মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র শামসুল আরেফিন রাফাত (২১), ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মনিরুজ্জামান মনির (২১) ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মো. আকাশ হোসেন (২১)।
পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক ও হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করলে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. তোফাজ্জল হোসেন এ আদেশ দেন।
গোয়েন্দারা মঙ্গলবার রাজধানী ও আশুলিয়া থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেন।
এর আগে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আবরার হত্যার দায়ে ছাত্রলীগের ১০ নেতা-কর্মীকে সোমবার গ্রেপ্তার করে। তাদের মঙ্গলবার পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৩ সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আবরার হত্যায় ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে তার বাবা বরকতউল্লাহ সোমবার সন্ধ্যায় চকবাজার থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের জন্য মঙ্গলবার ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়।
বুয়েটের ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরারকে (২১) রবিবার রাত ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে বুয়েটের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মো. মাসুক এলাহি তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে আবরারকে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে মারধর করেন ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে বুয়েট ছাত্রলীগ শাখার ১১ নেতা-কর্মীকে সোমবার সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।