লন্ডনের স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যায় লর্ড আহমেদ অব উইম্বলডনের সাথে এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এত বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় প্রদান আমাদের জন্য এক বিরাট বোঝা। আমরা আলোচনার মাধ্যমেই এ সমস্যার সমাধান করতে চাই।’
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম লন্ডন থেকে মোবাইল ফোনে ইউএনবিকে বলেন, লর্ড আহমেদ রোহিঙ্গা ইস্যুতে সকল প্রকার সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন এবং এ বিষয়টি ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও অবগত রয়েছেন বলে জানান।
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও লর্ড আহমেদ উভয়ই একমত পোষণ করে বলেন, ‘ইসলাম শান্তির ধর্ম এবং সন্ত্রাসবাদকে ইসলাম কখনো সমর্থন করে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে একত্রিত করে এর (সন্ত্রাসবাদ) বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টি করেছে।
বাংলাদেশের বিদ্যমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সকল ধর্মমতের মানুষ এখানে স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারে।
শেখ হাসিনা লর্ড আহমেদকে আরও জানান, ইসলামের প্রকৃত মূল্যবোধ জনগণের কাছে তুলে ধরতে তার সরকার সারাদেশে ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার গড়ে তুলছে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এবং লর্ড আহমেদ ব্রেক্সিট ইস্যু নিয়েও আলোচনা করেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন লর্ড আহমেদ ।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একমাত্র শিক্ষাই নারীর ক্ষমতায়নের নিশ্চয়তা বিধান করতে পারে।’
নারীর ক্ষমতায়নে তার সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬০ শতাংশ শিক্ষক নারীদের থেকে নিয়োগ করছে।’
বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কে উভয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বৈঠকে আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ‘আগামীর দিনগুলোতে এই বন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে।’
বৈঠকে লর্ড আহমেদের সহধর্মিনী সিদ্দিকা আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান এবং যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম উপস্থিত ছিলেন।