নগরীর ইপিজেড’র মাইট্টাল্লা খালে রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণের সময় ফুটো হওয়া গ্যাস লাইন মেরামত তিনদিনেও শেষ করতে না পারায় গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি বলে জানিয়েছে কর্ণফুলি গ্যাস ডিস্ট্রিভিশন লিমিটেড ।
রবিবার দিনভর মাটি খুঁড়ে বিকালের দিকে পাইপটি বের করা হলেও মেরামত কাজ শুরুর আগ মুহূর্তে মাটি ভেঙে সেটি আবারও চাপা পড়ে। এরপর পাইপ লাইনটি জোড়া লাগানো সম্ভব হয়নি।
এতে করে টানা তিনদিনের মতো গ্যাস না থাকায় বন্দর পতেঙ্গা, হালিশহর থেকে শুরু করে মহানগরীর বেশির ভাগ এলাকায় কয়েক লাখ মানুষকে ভয়াবহ দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। তবে সোমবার বিকালের মধ্যে লাইন মেরামত করে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের কর্মকর্তারা।
অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, পতেঙ্গা-ফৌজদারহাটের গ্যাস সরবরাহ পাইপ লাইন বন্ধ থাকায় নগরীর অন্যান্য এলাকায়ও এর প্রভাব পড়েছে। এতে ওখানকার অধিকাংশ এলাকায় বসতঘর ও হোটেলে রান্না করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া যেসব হোটেলে রান্না হয়েছে সেখানে ভিড় থাকায় অনেকে খাবার কিনতে পারেনি। তবে অল্প কিছু পরিবারে বৈদ্যুতিক চুলা, মাটির চুলা কিংবা ইটের চুলায় রান্না হয়েছে বলে জানা গেছে।
গত শনিবার সকালে ইপিজেড মাইট্টাল্লা খালে রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণের সময় কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ২৪ ইঞ্চি গ্যাসের সরবরাহ লাইন ফেটে যায়।
খবর পেয়ে কেজিডিসিএল ভালভ বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে পুরো পাইপটিকে গ্যাস শূন্য করা হয়। এরপর খালের নিচে মাটির প্রায় ১৪ ফুট গভীরে থাকা পাইপটির ফেটে যাওয়া অংশ বের করে কাজ করার জন্য খালের দু’দিকে বাঁধ দিয়ে পানি সেচ করা হয়। এসময় খালের গভীরে প্রায় ১৫-১৬ ফুট মাটি খোঁড়া হয়। কিন্তু একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে মাটি ধসে পড়ায় সব পরিশ্রম বৃথা যায়।
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের একজন কর্মকর্তা জানান, মাটি ধসে পড়ায় আবারও নতুন করে কাজ করা হচ্ছে। তবে এবার মাটি কাটার আগে প্রতিরোধ ব্যবস্থা মজবুত করা হচ্ছে, যাতে আবার ধসে না পড়ে। সোমবার বিকালের মধ্যে পাইপ মেরামত করে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার খায়ের আহমদ মজুমদার জানান, কাজ গুছিয়ে আনা হয়েছিল। কিন্তু একেবারে শেষ মুহূর্তে মাটি ধসে পড়ায় নতুন করে বিপত্তি দেখা দিয়েছে। তবে আজকের মধ্যে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।