গ্যাস
সিলেটের আরেকটি কূপে গ্যাসের সন্ধান
সিলেট গ্যাস ফিল্ডের ৭ নম্বর কূপে গ্যাসের সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়েছে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল)।
এখান থেকে দৈনিক ৭ থেকে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পরীক্ষামূলকভাবে উত্তোলন হচ্ছে। কূপের ১২০০ মিটার গভীরতায় এ গ্যাস পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নতুন জায়গায় গ্যাসের সন্ধান
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, গত ১৪ আগস্ট ৭ নম্বর কূপের একটি স্থানের ২ হাজার ১০ মিটার গভীরতায় দৈনিক ৬ থেকে ৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ৭ নম্বর কূপের আরেকটি স্থানের ১ হাজার ২০০ মিটার গভীরতায় দৈনিক ৭ থেকে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া গেছে।
তিনি আরও বলেন, এর আগেও সিলেট গ্যাস ফিল্ডসের অন্যান্য কূপ থেকে পাওয়া দৈনিক ৬০ থেকে ৭০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। ৭ নম্বর কূপ থেকে পাওয়া গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।
এছাড়া এ বছরের ২৪ মে খননকাজ শেষে কৈলাশটিলা গ্যাস ক্ষেত্রের ৮ নম্বর কূপে দৈনিক ২১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়।
এদিকে কূপের ৩ হাজার ৪৪০ থেকে ৫৫ হাজার ফুট গভীরতায় গ্যাস পাওয়া যায়। ২৭ জানুয়ারি রশিদপুরের ২ নম্বর কূপে গ্যাসের নতুন স্তরের সন্ধান মেলে। যার পরিমাণ প্রায় ১৫৭ বিলিয়ন ঘনফুট।
সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের উৎপাদনে থাকা কূপগুলো থেকে এখন প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে প্রায় ১০০ মিলিয়নের বেশি ঘনফুট গ্যাস।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি বছরের মধ্যে আরও কয়েকটি প্রকল্পের কাজ শেষ করে তারা সেই উৎপাদনকে ১৫০ মিলিয়ন ঘনফুটে নিয়ে যেতে চায়। আর সরকারের বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী ২০২৫ সালের মধ্যে সব কাজ শেষ করতে পারলে শুধু এই কোম্পানি থেকেই প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে ২৫০ মিলিয়ন গ্যাস যুক্ত করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে নতুন কূপে গ্যাসের সন্ধান
১ মাস আগে
গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন কম, সারাদেশে বাড়ছে লোডশেডিং
গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্রগুলোতে বিদ্যুৎ উৎপাদন এখনও প্রত্যাশিত মাত্রার চেয়ে কম থাকায় সারাদেশে লোডশেডিং বাড়ছে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকাল ৩টায় দেশে ১৪ হাজার ৭৫০ মেগাওয়াটের চাহিদা ছিল কিন্তু লোডশেডিং হয়েছে ১ হাজার ৮৭৪ মেগাওয়াট।
পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসির দাপ্তরিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ওই সময় দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছিল ১২ হাজার ৭৮৮ মেগাওয়াট।
আরও পড়ুন: গ্যাস সংকট: ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কবলে দেশ
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এদিন সন্ধ্যায় চাহিদা বেড়ে ১৫ হাজার ৯০০ মেগাওয়াট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে যে কারণে লোডশেডিং বাড়বে।
প্রচণ্ড গরমের মধ্যে ঢাকার অনেক এলাকার বাসিন্দাদের কয়েক দফা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সম্মুখীন হতে হয়েছে।
রাজধানীর উত্তরার বাসিন্দা আব্দুর রশিদ জানান, দিনের শুরুতেই সকাল ১১টায় এক ঘণ্টার লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
রাজধানীর গুলশান, মোহাম্মদপুর, মালিবাগসহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকেও একই ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গ্যাসের পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছেন না বলে জানান বিপিডিবির কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ সিলেট নগরবাসী
বিপিডিবি থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ না থাকায় ৪ হাজার ১৬৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না।
পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা জানান, সরকারের পক্ষ থেকে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও সামিট গ্রুপ তাদের এলএনজি টার্মিনালের কার্যক্রম পুনরায় শুরু করতে পারছে না। যে কারণে আমদানি করা সরবরাহ থেকে জাতীয় গ্রিড প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) গ্যাস পাচ্ছে না।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, দেশে প্রায় ৪ হাজার এমএমসিএফডি গ্যাসের চাহিদার বিপরীতে ২ হাজার ৬০৯ দশমিক ৪ এমএমসিএফডি গ্যাস উৎপাদন হয়েছে।
আরও পড়ুন: লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত সিলেট, ভোগান্তিতে পরীক্ষার্থীরা
২ মাস আগে
বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর সরকারের নির্বাহী ক্ষমতা বাতিল
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) গণশুনানি ছাড়াই বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর নির্বাহী ক্ষমতা বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জারি করা গেজেটে বলা হয়েছে, এই সংশোধনীর মাধ্যমে বিইআরসি আইন ২০০৩ এর ৩৪ক ধারা বিলুপ্ত হবে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, গণশুনানি ছাড়াই নির্বাহী ক্ষমতার মাধ্যমে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য নির্ধারণের ক্ষমতা সরকারকে দিয়ে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ৩৪ (ক) ধারা প্রবর্তন করেছিল।
গণশুনানি ছাড়া সরকার গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়াবে না বলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সম্প্রতি যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন এই সংশোধনী আনা হয়েছে।
সর্বশেষ এই সংশোধনীর পর সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ বা গ্যাসের দাম বাড়াতে চাইলে তাকে বিইআরসিতে প্রস্তাব দাখিল করতে হবে এবং এরপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বিইআরসি গণশুনানি করে ৯০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে।
২ মাস আগে
বন্যার সময় বিদ্যুৎ ও গ্যাসজনিত দুর্ঘটনা থেকে সাবধান থাকতে করণীয়
বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে বিপদের মাত্রাকে আরও ভয়াবহ রূপ দিতে পারে গ্যাস ও বিদ্যুতের সংযোগস্থলগুলো। প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে স্বাভাবিকভাবেই এসব বিষয় দৃষ্টির বাইরে থেকে যায়। আর এই অসতর্কতাই বুমেরাং হয়ে পড়ে ধ্বংযজ্ঞের সময়ে। উপরন্তু, পানি বিদ্যুৎ পরিবহনের একটি শক্তিশালী মাধ্যম হওয়ায় বন্যার সময়ে রীতিমতো মৃত্যুদূতে পরিণত হয় বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো। সেইসঙ্গে আশঙ্কা তৈরি হয় গ্যাসের লাইনগুলো ভেঙে যাওয়ার। নিদেনপক্ষে অল্প চিড় ধরলেও এই লোহার পাইপগুলো থেকে ঘটতে পারে ভয়ানক বিস্ফোরণ। এমন বিপজ্জনক পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে হলে যথা সম্ভব তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। চলুন, বন্যার সময় বিদ্যুৎ ও গ্যাস-সংক্রান্ত দুর্ঘটনা এড়াতে কার্যকর পদক্ষেপগুলো জেনে নেওয়া যাক।
বন্যার সময় গ্যাস ও বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা এড়াতে করণীয়
.
অবিলম্বে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা
বন্যা দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব গ্যাস ও বিদ্যুতের প্রধান সংযোগগুলো বন্ধ করে দেওয়া উচিত। বিদ্যুতের ক্যাবল বা তার পানির সংস্পর্শে এসে শর্ট সার্কিট হতে পারে। একই সঙ্গে অতিরিক্ত বন্যায় পানির চাপে গ্যাস পাইপ ভেঙে গ্যাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। এমতাবস্থায় শুধু একটি স্পার্ক-ই যথেষ্ট ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য। এই বিপদ থেকে বাঁচতে অবিলম্বে সব গ্যাস ভাল্ব ও পাওয়ার সুইচ বন্ধ করে দিতে হবে।
যারা এই সুইচ বা ভাল্বের সঙ্গে অপরিচিত তাদের জন্য উৎকৃষ্ট উপায় হচ্ছে এসব উৎস থেকে অতি দ্রুত নিরাপদ দূরত্বে সরে পড়া। এ সময় সঙ্গে কোনো বিদ্যুৎ বা তাপ পরিবাহী কোনো বস্তু রাখা যাবে না। সম্ভব হলে সহায়তার জন্য পেশাদারদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: বন্যা বা ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বেই যেসব খাবার সংরক্ষণ করা জরুরি
বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ বা উত্তপ্ত বস্তু থেকে দূরে থাকা
বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পরে অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ এবং উত্তপ্ত বস্তুর সান্নিধ্য এড়িয়ে চলতে হবে। পাওয়া অফ করার পরেও অনেক বৈদ্যুতিক যন্ত্রের মধ্যে কিছু চার্জ জমা থাকে। সাধারণ অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ না হলেও পানির সংস্পর্শে সেগুলো হুমকির কারণ হতে পারে।
তাছাড়া বিদ্যুৎ সংযোগবিহীন অবস্থায় অধিকাংশ যন্ত্রাংশেরই উত্তাপ কমে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় পৌঁছাতে কিছুটা সময় লাগে। এই সময়েও ঘটতে পারে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা। তাই সর্বাত্মকভাবে এসব সরঞ্জাম থেকে যত দূরে যাওয়া যায় ততই ভালো।
উচ্চ স্থলভাগে অবস্থান নেওয়া
কোমর থেকে গলা পর্যন্ত জলাবদ্ধ এলাকাগুলোতে উঁচু শুকনো জায়গা খুঁজে পাওয়া প্রায় দুঃসাধ্য। এরপরেও নিমজ্জিত বা ভাসমান না থেকে অপেক্ষাকৃত উঁচু স্থলভাগ খোঁজার চেষ্টা চালানো উচিত। কেননা স্থির পানি যত জায়গা জুড়ে বিস্তৃত থাকে বিদ্যুতের সংস্পর্শে তার পুরোটাই বিদ্যুতায়িত হয়ে পড়ে। অতিরিক্ত জলাবদ্ধ জায়গায় পানির নিচে কোথায় কোনো বৈদ্যুতিক চার্জযুক্ত বস্তু আছে কি না তা বোঝা মুশকিল।
আরও পড়ুন: বন্যা পরবর্তী পানিবাহিত রোগ থেকে সতর্ক থাকার উপায়
এছাড়াও একটু উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিলে বানের পানিতে ভেসে যাওয়া অথবা পানির নিচে ধারালো বা শক্ত কোনো কিছুর সঙ্গে ধাক্কা লাগার আশঙ্কা থেকে বাঁচা যায়। তাই পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটময় হওয়ার পরেও মনকে যথা সম্ভব শান্ত রেখে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য নিজের আশেপাশটা ভালোভাবে খেয়াল করতে হবে।
গ্যাস লিক খুঁজে বের করে দ্রুত মেরামত করা
বন্যার সময় তীব্র বেগে প্রবহমান পানির চাপে কিংবা ভারী কোনো জড় বস্তু ভেসে এসে গ্যাস পাইপগুলোতে লেগে চিড় ধরাতে পারে। প্রচণ্ড প্রতিকূল অবস্থায় পুরো পাইপ ভেঙে বা উপড়েও যেতে পারে। এমতাবস্থায় চিড়যুক্ত পাইপগুলো খুঁজে বের করার জন্য ন্যূনতম সুযোগ পাওয়া গেলেও তার সদ্ব্যবহার করা উচিত।
অতঃপর খুঁজে পাওয়ার পর ত্রুটিপূর্ণ পাইপগুলো অবিলম্বে মেরামতের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে সাহায্য নিতে হবে পেশাদারদের। কেননা এর উপর নির্ভর করছে আশেপাশের অনেকগুলো মানুষের জীবন। উন্মুক্ত গ্যাসে সৃষ্ট বিস্ফোরণ ছড়িয়ে যেতে পারে বিশাল জায়গা জুড়ে।
আরো পড়ুন: বন্যাদুর্গতদের সহযোগিতা করার উপায়
ব্যাটারি-চালিত টর্চলাইট ব্যবহার করা
বন্যাকালে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মেঘাচ্ছন্ন আকাশের নিচে দিনের আলো পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ে। ফলে রাতের মতো দিনেও পথ চলতে প্রয়োজন হয় কৃত্রিম আলোর। এই প্রয়োজন পূরণে মোমবাতি বা হারিকেন ব্যবহার করা যাবে না। কারণ অজানা কোনো জায়গায় গ্যাস লিকের ফলে মারাত্মক ঝুঁকির তৈরি হতে পারে। এখানে উৎকৃষ্ট বিকল্প হচ্ছে ব্যাটারি-চালিত টর্চ বা ফ্ল্যাশলাইট, যেগুলোতে আগুন বা চল বিদ্যুৎ সংযোগ কোনোটারই দরকার হয় না।
পরিশিষ্ট
তাৎক্ষণিকভাবে এসব সতর্কতামূলক পদক্ষেপ বন্যার সময় বিদ্যুৎ বা গ্যাস-সংক্রান্ত দুর্ঘটনা এড়াতে অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। যত দ্রুত সম্ভব গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগগুলো বন্ধ করা গেলে শর্ট সার্কিট ও গ্যাস লিকের ব্যাপারে আশঙ্কামুক্ত থাকা যায়। বৈদ্যুতিক উপাদান থেকে দূরে থাকা এবং প্লাবিত অবস্থা থেকে যথেষ্ট উঁচু স্থলভাগে অবস্থান নিয়েও ঝুঁকির মাত্রা কমানো যায়। গ্যাস লিকগুলো সম্ভব হলে শিগগিরই খুঁজে বের করে বন্ধ করা উচিত। অন্যথায়, এমন স্থান থেকে দূরে থাকা এবং আকস্মিক বিস্ফোরণ এড়াতে মোমবাতির পরিবর্তে ব্যাটারি-চালিত ফ্ল্যাশলাইট ব্যবহার করতে হবে।
আরো পড়ুন: বাসা-বাড়ির রান্নায় সিলিন্ডার গ্যাসের খরচ কমাবেন যেভাবে
২ মাস আগে
বাসা-বাড়ির রান্নায় সিলিন্ডার গ্যাসের খরচ কমাবেন যেভাবে
ক্রমাগত দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির নিষ্পেষণে বিপর্যস্ত জনজীবন। নিত্য আহারে প্রয়োজনীয় রান্নার জ্বালানিও এই পীড়নের বাইরে নয়। বিশেষ করে সিলিন্ডার গ্যাসের অস্থির বাজারের তাড়নায় প্রত্যহ ধকল সামলাতে হয় হিসাবি পরিবারগুলোকে। এই অনিশ্চয়তাকে মোকাবিলা করার জন্য চিরায়ত রন্ধন প্রক্রিয়া এবং চুলা ব্যবহারের অভ্যাসে পরিবর্তন আনা অপরিহার্য। তাই চলুন, বাসা-বাড়ির রান্নায় সিলিন্ডার গ্যাসের খরচ কমানোর কিছু উপায় জেনে নেওয়া যাক-
সিলিন্ডার গ্যাস খরচ বাঁচিয়ে রান্না করার ১০টি ব্যবহারিক উপায়
চুলা ব্যবহারের পূর্বে নিয়মিত রান্নার পাত্র ও চুলা পরিষ্কার করা
রান্না বা সিদ্ধ করার পাত্রে লেগে থাকা বিন্দু বিন্দু পানি বাষ্পীভবনের জন্য অতিরিক্ত গ্যাস গ্রহণ করে। একইভাবে পূর্ণ শক্তির তাপ পেতে চুলা ময়লা বিশেষ করে পানিমুক্ত হওয়া প্রয়োজন। উজ্জ্বল নীল বর্ণ মানেই চুলা পূর্ণ শক্তিতে জ্বলছে।
আর, হলুদ বা কমলা শিখা আংশিক অথবা কম শক্তিতে জ্বলনের ইঙ্গিত করে। আর এই হলুদ বা কমলা রঙের শিখা সাধারণত অপরিষ্কার চুলাতেই দেখা যায়। আংশিক দহনের ফলে রান্নার সময় পাত্র গরম করতে আরও বেশি গ্যাসের প্রয়োজন হয়। তাই পরিপূর্ণ তাপশক্তি পাওয়ার জন্য চুলা ও এর উপর বসানো পাত্র দুটোই ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: বর্ষা-বন্যায় বসতবাড়িতে সাপের উপদ্রব মোকাবিলা করবেন যেভাবে
চুলায় বসানোর আগে রান্নার যাবতীয় সামগ্রী প্রস্তুত করে নেওয়া
শাক-সবজিসহ রান্নার যাবতীয় কাঁচামাল ধোয়া, কাটা ও মেশানোর কাজ করতে হবে চুলা জ্বালানোর আগে। এমনকি অনেকে আগে থেকে পাত্র গরম করার উদ্দেশ্যে চুলা জ্বালিয়ে রান্নার সামগ্রী প্রস্তুত করতে থাকেন। এই কাজটিও ঠিক নয়। বরং রান্না শুরুর আগেই সমস্ত কাঁচামাল প্রস্তুত করে চুলার কাছাকাছি রাখতে হবে।
চুলার ওপর পাত্র বসিয়ে তাতে তৈরি কাঁচামালগুলো চড়িয়ে সবশেষে চুলা জ্বালানো উচিত। এতে করে সর্বনিম্ন সম্ভাব্য সময়ের জন্য চুলার চালু রাখার ব্যাপারটি নিশ্চিত করা যায়। তাছাড়া আগে থেকে গরম পাত্রে প্রস্তুতকৃত কাঁচামাল চড়ানোর ক্ষেত্রে অনেক ক্ষেত্রে তা পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
চুলা চালু করার আগে রান্নার সামগ্রী প্রস্তুতের সময় সেগুলোর ছোট ছোট টুকরো করা উচিত। খাবারের ছোট টুকরাগুলো বড়গুলোর চেয়ে দ্রুত সিদ্ধ বা রান্না হয়। কারণ ছোট টুকরোগুলোর আয়তনের তুলনায় তাদের পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল বেশি থাকে, যার কারণে তাপ দ্রুত খাবারগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এই পদ্ধতিটি মূলত শাকসবজি, মাংস এবং অন্যান্য শক্ত উপাদানগুলোর জন্য উপযোগী।
আরও পড়ুন: বন্যা বা ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বেই যেসব খাবার সংরক্ষণ করা জরুরি
রান্নার আগে হিমায়িত খাবার গলিয়ে নেওয়া
ফ্রিজে রাখা কোনো খাবার বের করার সঙ্গে সঙ্গে চুলায় চাপিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। কেননা এ ক্ষেত্রে খাবারটি রান্না করতে সাধারণত দুটি পর্যায়ে তাপের দরকার হয়। প্রথমে জমাট বাঁধা খাবারটিকে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় নিয়ে আসার জন্য এবং তারপর সেটাকে গরম করার জন্য। খাবারের প্রকৃতির ওপর ভিত্তি করে অনেক খাবার গলাতে অনেক বেশি তাপের দরকার হতে পারে। ফলশ্রুতিতে, রান্নার সময়টি দীর্ঘায়িত হয় আর বাড়তে থাকে গ্যাসের খরচও।
তাই রান্নার জন্য নির্ধারিত খাবারটিকে আগে থেকে ফ্রিজ থেকে বের করে গলিয়ে নিতে হবে। এর ফলে খাবারটি আংশিক রান্না বা আধা সিদ্ধ হওয়ার ঝামেলা থাকে না। এমনকি অনেকে ঠান্ডা খাবার অনেকক্ষণ চুলায় রাখতে হবে ভেবে খাবার পুড়িয়ে ফেলতে পারেন। এ ক্ষেত্রে সেই বিড়ম্বনাও নেই। বরং এই প্রক্রিয়াতে খাবারের স্বাদ অটুট থাকে।
এমন রান্নার পাত্র ব্যবহার করা যা সম্পূর্ণভাবে চুলাকে ঢেকে ফেলে
পাত্রটিকে চুলায় এমনভাবে রাখা উচিত, যেন এটি আগুন বের হওয়ার পুরো জায়গাটিকে ঢেকে রাখে। পাত্রের পাশ ঘেঁষে আগুনের শিখা বের হওয়া মানে চুলাটি অনেক বেশি তাপশক্তি নিয়ে জ্বলছে। একই সঙ্গে এই শিখা অতিরিক্ত গ্যাস অপচয়ের বিষয়টিও নিশ্চিত করে।
এই অপচয় রোধের ক্ষেত্রে গোলাকার বা ডিম্বাকৃতির পাত্রের পরিবর্তে সমতল পৃষ্ঠের পাত্র অনেক বেশি কার্যকর। সমতল পৃষ্ঠের পাত্রটি একদম চুলার বার্নারের সমান না হলে স্বাভাবিকভাবেই এই পাত্রের গা ঘেঁষেও শিখা বেরিয়ে আসতে পারে। এমতাবস্থায় আগুন পাত্রের নিচে থাকা পর্যন্ত চুলা কমিয়ে রাখতে হবে। অন্যথায়, এই পাত্রও কোনো কাজে আসবে না।
আরো পড়ুন: বন্যার সময় খাবার পানি পরিশোধিত করার উপায়
আগুন পাত্রের সমতল পৃষ্ঠদেশের সর্বত্র ভালোভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এতে পাত্রের নিচে প্রতিটি অংশে সমান তাপ বিতরণ হয় বিধায় রান্না দ্রুততর হয়। অন্যদিকে, ডিম্বাকৃতি বা গোলাকার তলদেশের পাত্রের সব জায়গায় সমানভাবে তাপ লাগতে পারে না। অসম অংশগুলোতে তাপ পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় রান্নার সময়ও দীর্ঘায়িত হতে থাকে।
যতটা সম্ভব কম তাপে রান্না করা
রান্নাঘরে একসঙ্গে অনেক কাজ করার সময় অনেকেই চুলা একদম বাড়িয়ে দেন। এতে খাবার পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এছাড়া উচ্চ তাপে রান্নার ফলে খাবারের প্রয়োজনীয় পুষ্টি নষ্ট হয়ে যায়। সর্বোপরি, এতে গ্যাসের অনেক অপচয় হয়। তাই সব সময় যতটা সম্ভব কম আঁচে রান্নার চেষ্টা করা উচিত।
যেমন, পানি ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছানোর পরেও চুলা পুরোটা বাড়ানো থাকলে সেই পানি বাষ্পীভূত হয়ে যাবে। ফলে ফুটন্ত পানি পেতে আবার চুলায় পানি চড়াতে হবে। এতে অতিরিক্ত গ্যাস অপচয় হওয়ার পাশাপাশি চরম অবস্থায় পাত্রের পৃষ্ঠদেশ পাতলা হয়ে যেতে পারে। আর ঘন ঘন এমন ঘটনা ঘটলে পাত্র ফুটো হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
তাপ সঞ্চয়ের একটি উপযোগী উপায় হচ্ছে চুলা বন্ধ করার পরে অবশিষ্ট তাপকে কাজে লাগানো।
আরো পড়ুন: বন্যা পরবর্তী পানিবাহিত রোগ থেকে সতর্ক থাকার উপায়
যেমন, ভাত বা পাস্তার মতো খাবারগুলো রান্নার সময় রান্না সম্পন্ন হওয়ার কয়েক মিনিট আগে চুলা বন্ধ করে দেওয়া যায়। অতঃপর অবশিষ্ট তাপে শেষ করা যায় বাকি রান্না। এই প্রক্রিয়া খাবারের মানের ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলে না।
রান্নার সময় পাত্রে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখা
খাবার গরম করার সময় বদ্ধ পাত্রের ভেতর থেকে তাপ বাইরে যেতে পারে না। অন্যদিকে, পাত্রের ওপরে ঢাকনা দেওয়া না থাকলে, যথেষ্ট পরিমাণে তাপ বাতাসে চলে যায়। ফলে হারিয়ে যাওয়া তাপের ঘাটতি পূরণে চুলার অতিরিক্ত তাপের যোগান দিতে হয়। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে পুরো রন্ধন প্রণালী সম্পন্ন হতে অনেকটা সময় লেগে যায়।
এছাড়াও রান্না চলাকালীন পাত্রে ঢাকনা থাকলে ভেতরের আর্দ্রতা অক্ষুণ্ন থাকে। ফলে খাবারের গুণগত মান ও স্বাদ নষ্ট হয় না।
পরিমিত পানি ব্যবহার
কি ধরনের খাবার রান্না করা হচ্ছে তার ওপর ভিত্তি করে পানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশ হিসাবি হওয়ার উচিত। কেননা পানি কম হলে যেমন রান্না পরিপূর্ণ হবে না, আবার উপাদানগুলো পানিতে ডুবে গেলে হারিয়ে যেতে পারে কাঙ্ক্ষিত স্বাদ। পাত্রে পরিমিত পরিমাণে পানি দেওয়ার মাধ্যমে কম সময়েই পছন্দসই তাপমাত্রায় পৌঁছানো যায়। আবার পাত্রে একদম কম পানি থাকলেও স্বল্প তাপেই খাবার সিদ্ধ বা রান্না হয়ে যায়। তাই এক্ষেত্রে খাবারের প্রকৃতির দিকে খেয়াল রাখা বাঞ্ছনীয়।
আরো পড়ুন: এমপক্সের কারণ, লক্ষণ, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা
একসাথে একাধিক খাবার তৈরি
আলাদা আলাদা করে ভিন্ন খাবার তৈরি করার বদলে একবারে পাঁচমিশালী করাটা অধিক সাশ্রয়ী উপায়। অবশ্যই এখানে যে খাবারগুলো একই ধরনের তাপমাত্রায় বা পদ্ধতিতে রান্না হওয়ার উপযোগী, সেগুলোকে নির্বাচন করা উচিত। এগুলোকে ওয়ান-পট মিল বা এক পাত্রের খাবারও বলা হয়ে থাকে।
চুলায় দেওয়ার আগে প্রস্তুতিতে বেশ সময় লাগলেও গ্যাসের খরচ বাঁচাতে এটি বেশ কার্যকরী একটি পদ্ধতি।
এছাড়া একটি খাবার থেকে নিঃসৃত তাপকে অন্য একটি খাবার সিদ্ধ করতে কাজে লাগানো যায়। এ ক্ষেত্রে অবশ্য প্রয়োজন হবে বিশেষ পাত্রের, যেখানে উপর-নিচ করে দুটি ভিন্ন খাবার রাখার জায়গা থাকবে।
জ্বালানী-সঞ্চয়ী পাত্র ব্যবহার
ঢালাই লোহা বা তামার মতো পৃষ্ঠ সম্পন্ন পাত্রগুলো তাপকে সমানভাবে বিতরণ করতে পারে। এগুলো সাধারণ রান্নার পাত্রের চেয়ে বেশি সময় ধরে তাপ সঞ্চয় করে রাখতে পারে। ঢালাই লোহা দীর্ঘ সময় ধরে গরম থাকে, যা কম আঁচে রান্নার জন্য বেশ উপযোগী। এমনকি চুলা বন্ধ করে দেওয়ার পরেও অবশিষ্ট তাপ দিয়ে রান্না শেষ করা যায়।
আরো পড়ুন: ঘরে রান্নার কাজে নিরাপদে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের উপায়
আর তামা একটি উৎকৃষ্ট তাপ সঞ্চালনকারী পদার্থ বিধায় এটি দ্রুত উত্তপ্ত হতে পারে এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এই উপকরণগুলো রান্নার সময় কমিয়ে দেয় এবং কম গ্যাস খরচ করেই রান্নায় ভিন্নতা আনা যায়।
পাত্রের নিচে তাপ ধরে রাখার পাথর ব্যবহার
বেশ পুরনো হলেও ঐতিহ্যবাহী এই পদ্ধতিটি গ্যাস ব্যবহারকে সাশ্রয়ী করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট কার্যকর। পাথরের রয়েছে তাপীয় ভর, যার কারণে এগুলো দীর্ঘ সময়ের জন্য তাপ শোষণ করতে পারে। এগুলোর মধ্য থেকে আংশিক মসৃণ ও প্রায় বৃত্তাকারগুলো সংগ্রহ করে বার্নারের ঠিক মাঝের গর্তে একটি বসানো যেতে পারে। অতঃপর চুলায় পাত্র বসিয়ে চুলা জ্বালিয়ে দিলে পাথরটি ধীরে ধীরে উৎপাদিত তাপ শোষণ করতে থাকবে। গরম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাথরটি পাত্রের মধ্যে উষ্ণতা ছড়াতে শুরু করে। এর ফলে অল্প গ্যাসেই উল্লেখযোগ্য পরিমাণে তাপশক্তি পাওয়া যায়।
শেষাংশ
বাসা-বাড়িতে রন্ধন প্রণালী ও চুলা ব্যবহারের এই উপায়গুলো সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহারকে অনেকাংশে সাশ্রয়ী করে তুলতে পারে। চুলায় রান্নার পাত্র বসানোর আগে পরিচ্ছন্নতা, হিমায়িত খাবার গলানো, এবং অল্প পানি ব্যবহারের মতো পূর্বপ্রস্তুতিগুলো স্বল্প সময়ে রান্নার সহায়ক হয়। ঢাকনা এবং সঠিক পাত্র ব্যবহার একদিকে যেমন রান্নাকালীন গ্যাস অপচয় রোধ করে, অন্যদিকে পাত্রের নিচে পাথর ব্যবহার উৎপাদিত তাপ ধরে রাখতে সহায়তা করে।
উপরন্তু, একসঙ্গে একাধিক খাবার রান্না করা গ্যাস সঞ্চয়ের কার্যকরী উপায়। সব মিলিয়ে লক্ষ্য হতে হবে- রান্নার সময়টাকে যথাসম্ভব কমিয়ে আনা এবং অল্প তাপে রান্না শেষ করা।
আরো পড়ুন: শহরে রান্নার জন্য গ্যাসের চুলার সেরা কয়েকটি বিকল্প
৩ মাস আগে
দেশের সার কারখানায় গ্যাসের সংকট থাকলেও, সারের অভাব হবে না: শিল্পমন্ত্রী
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, ‘সারাদেশের সার কারখানাগুলোতে গ্যাসের সংকট থাকলেও, সারের কোনো সংকট হবে না।’
নরসিংদী পলাশে এশিয়ার সর্ববৃহৎ সার কারখানার পরিদর্শন শেষে শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএসটিআইকে আন্তর্জাতিক মানের করতে সরকার কাজ করছে: শিল্পমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘চাহিদা অনুযায়ী কারখানাগুলোতে গ্যাস সরবরাহ করে সার উৎপাদনের মাধ্যমে কৃষকের সারের চাহিদা মেটানো হবে। এ উদ্দেশ্যে অচিরেই ভোলায় একটি নতুন সার কারখানা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।’
শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সারাদেশেই গ্যাসসহ জ্বালানি সংকট রয়েছে। সেসব বাধা পেরিয়ে কৃষকদের চাহিদা অনুযায়ী সার সরবরাহ করতে সরকার বদ্ধ পরিকর। বর্তমানে আমদানি করতে হলেও অচিরেই সার উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে বাংলাদেশ।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন, নরসিংদী-২ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপ, সংরক্ষিত সংসদ সদস্য মাসুদা সিদ্দিকি রোজী, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা ও বিসিআইসির চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে: শিল্পমন্ত্রী
বাংলাদেশের শিল্পোন্নয়নে বিটাক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে: শিল্পমন্ত্রী
৪ মাস আগে
আনোয়ারা-ফৌজদারহাট গ্যাস পাইপলাইন মেরামত সম্পন্ন, বাড়বে গ্যাস সরবরাহ
আনোয়ারা-ফৌজদারহাট গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ শেষ করেছে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)। ফলে চলমান গ্যাস সংকট প্রশমিত হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ক্ষতিগ্রস্ত ৪২ ইঞ্চি ব্যাসের আনোয়ারা-ফৌজদারহাট পাইপলাইনের মেরামতের কাজ শুক্রবার সকাল ৭টা ২০ মিনিটে সম্পন্ন হয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, আজ (শুক্রবার) দুপুর থেকে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। ৭০ পিএসআইতে বর্তমান সরবরাহের চাপের সঙ্গে মিলিয়ে সঞ্চালন ও চাপ ধীরে ধীরে বাড়ানো হচ্ছে।
এর আগে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে কর্ণফুলী টানেল ও কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানির (কাফকো) মাঝামাঝি স্থানে ৪২ ইঞ্চি ব্যাসের আনোয়ারা-ফৌজদারহাট পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সরবরাহ ৩-৪ দিনের মধ্যে স্বাভাবিক হবে ও গ্যাস সরবরাহ জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে: নসরুল হামিদ
এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেজন্য সব পাইপলাইনের ম্যাপিং করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন জ্বালানি ও খনিজ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
এদিকে তীব্র গ্যাস সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাওয়ায় গত কয়েকদিন ধরে দেশে ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে।
পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসি জানায়, দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহে প্রায় ২০০০ মেগাওয়াট ঘাটতি ছিল।
এই পরিস্থিতির জন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে গ্যাস সরবরাহ মারাত্মকভাবে কমে যাওয়াকে দায়ী করছেন বিদ্যুৎ ইউটিলিটি কর্মকর্তারা।
পেট্রোবাংলার সরকারি হিসাবে দেখা গেছে, আমদানি করা এলএনজি সরবরাহ কমে যাওয়ায় দেশে গ্যাস সরবরাহ কমে দাঁড়িয়েছে দৈনিক ২২৫৩ মিলিয়ন ঘনফুটে (এমএমসিএফডি)।
পিডিবির কর্মকর্তারা জানান, পেট্রোবাংলার এলএনজি সরবরাহ ক্ষমতা ১১০০ এমএমসিএফডি থেকে ২৪৩ এমএমসিএফডিতে নেমে যাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাপকভাবে কমে যায়।
আরও পড়ুন: গ্যাস সংকট: ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কবলে দেশ
৪ মাস আগে
রূপগঞ্জে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দম্পতি দগ্ধ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে রাকিব হাসান (২২) ও তার স্ত্রী (২০) রুমা আক্তার দগ্ধ হয়েছেন।
উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের সাওঘাট উত্তরপাড়া এলাকায় একটি দোতলা বাড়ির নিচতলায় রবিবার (২৩ জুন) রাত ৩টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: দগ্ধ ২
দগ্ধ রাকিব হাসান একজন গার্মেন্টস শ্রমিক। স্ত্রী রুমা আক্তারকে নিয়ে সাওঘাট উত্তরপাড়া এলাকায় সেলিম মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকেন তিনি। তাদের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব চন্ডিবের দক্ষিণপাড়া এলাকায়।
স্থানীয়রা জানান, ঈদের ছুটি শেষে রাকিব ও তার স্ত্রী রবিবার রাত ১১টা দিকে নিজেদের ভাড়া বাসায় ফেরেন। এদিন রাত ৩টার দিকে ঘরের ভেতরে বিস্ফোরণ হলে মুহুর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এসময় তারা দুজনেই দগ্ধ হন।
রূপগঞ্জের ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আশপাশের লোকজন এসে আগুন নিভিয়ে গুরুতর অবস্থায় রাকিব ও তার স্ত্রীকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেন।’
ওসি জানান, গ্যাসের লাইন লিকেজ থেকে এই বিস্ফোরণ হয়ে হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তদন্তের পর নিশ্চিত করে বলা যাবে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ফখর উদ্দিন বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের কিছু জানা নেই। কেউ আমাদের অবগত করেনি। তবে খোঁজ নিয়ে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আরও পড়ুন: ভাষানটেকে আগুনে একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ
কর্ণফুলীতে মাছ ধরার নৌকায় আগুনে দগ্ধ ৫
৪ মাস আগে
ভাটারায় গ্যাস বিস্ফোরণ: আরও একজনের মৃত্যু
ভাটারায় গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
নিহত রক্সি আক্তার (২০) দুবাইপ্রবাসী সিরাজুল মোস্তফার স্ত্রী এবং কক্সবাজারের আব্দুল মান্নানের মেয়ে।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া জানান, ভোর ৫টা ৫ মিনিটে রাজধানীর বার্ন ইউনিটে তার মৃত্যু হয়। শরীরের ৫৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল তার।
এর আগে বুধবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিরাজুল ও রক্সির ছেলে অয়ন (৩) এবং রক্সির বোন ফুটু আক্তার এবং বৃহস্পতিবার রক্সির বাবা আব্দুল মান্নান (৬০) মারা যান।
গত ১১ জুন রাজধানীর ভাটারা এলাকায় একটি বাড়িতে গ্যাস বিস্ফোরণে আগুন লেগে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হন।
৫ মাস আগে
মালিবাগে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩
রাজধানীর মালিবাগে একটি রেস্তোরাঁয় আগুন লাগার পর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিনজন দগ্ধ হয়েছেন।
বুধবার (২০ মার্চ) সন্ধ্যায় এই বিস্ফোরণ হয়।
আহতরা হলেন- মো. সবুজ, মো. মারুফ (১৬) ও জুলহাস (১৮)। তারা সবাই 'শাহজালাল হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট'-এর কর্মচারী।
তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা সহকর্মী তৌহিদ জানান, সন্ধ্যায় তারা রেস্টুরেন্টের সামনে ইফতার বিক্রি করছিলেন। হঠাৎ গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপ লিকেজ করে আগুন লেগে তিনজন আহত হন।
আরও পড়ুন: কয়লাভর্তি জিম্মি জাহাজ আব্দুল্লাহতে বিস্ফোরণের আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, নিহতদের হাতে-পায়ের বিভিন্ন অংশ পুড়ে গেছে।
তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যু বেড়ে ১৪
৮ মাস আগে