নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার ও বুধবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাকৃতরা হলেন- মো. সাহাবুদ্দিন মুছা (৩৭), মো. মাসুদ রানা (৩৯) ও মো. মুসলিম (২০)।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ লাইন্স সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘ঘটনার পর প্রধান আসামি মুশফিকুরকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি একা হত্যা করেছেন বলে পুলিশকে জানায়। ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে ডিবি পুলিশ জানতে পারে ঘটনায় মুশফিকুরসহ আরও চারজন জড়িত। ভিকটিম মেহেরুন্নেসার মোবাইল ফোন উদ্ধার করার পর অপর চারজনের জড়িত থাকার বিষয়টি জানা যায়। পরে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে। আরও এক আসামির সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। তাকেও দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।’
এর আগে গত বছরের ১৫ জুলাই নগরীর খুলশী থানার আমবাগান ফ্লোরাপাস এলাকার একটি নির্মাণাধীন বাড়ির নিচতলার পানির রিজার্ভ ট্যাংক থেকে অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা মেহেরুন্নেসা ও তার মা মনোয়ারা বেগমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মেহেরুন্নেসার ভাই মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে খুলশী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় পুলিশ নিহত মেহেরুন্নেসার বোনের ছেলে মুশফিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুশফিক পুলিশকে জানিয়েছে পূর্ব শত্রুতা, সম্পত্তি ও নগদ অর্থ পাওয়ার লোভে সে একাই তাদের হত্যা করে। পরে মামলাটি নগর গোয়েন্দা পুলিশের হস্তান্তরের পর ডিবি পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে মুশফিকসহ পাঁচজন হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল।