তিনি ডিএনসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর এ অনুশাসন বুকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে জনগণকে তার কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রদান করুন।’
স্বাধীনতার মহান স্থপতির ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বুধবার ডিএনসিসি আয়োজিত দোয়ার মাহফিল এবং বঙ্গবন্ধুর কর্ম ও জীবনীভিত্তিক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
দোয়ার মাহফিল ও আলোচনা অনুষ্ঠানটি ডিএনসিসির বিভিন্ন কার্যালয়ে অনলাইনের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। মেয়র এবং সব কর্মকর্তা নিজস্ব দপ্তর থেকে অনলাইনে এতে যোগদান করেন। অন্যদের জন্য ডিএনসিসির বিভিন্ন ফ্লোরে এবং আঞ্চলিক কার্যলয়ে স্ক্রিনে অনুষ্ঠানটি দেখানো হয়।
মেয়র বলেন, ‘জনগণকে কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রদান করাই প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের মূল লক্ষ্য’- বঙ্গবন্ধু এ কথা বিভিন্ন সময়ে স্মরণ করিয়ে দিতেন। বঙ্গবন্ধু তার এ চিন্তাধারার প্রতিফলন ঘটান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ২১(২) অনুচ্ছেদে। এছাড়া ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে দেয়া এক ভাষণে তিনি বলেন, ‘সরকারি কর্মচারীদের মনোভাব পরিবর্তন করতে হবে যে তারা শাসক নন, সেবক।’ ওই দিন তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি কর্মচারীদের জনগণের সাথে মিশে যেতে হবে। তারা জনগণের খাদেম, সেবক, ভাই। তারা জনগণের বাপ, জনগণের ছেলে, জনগণের সন্তান। তাদের এই মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে।’
আতিকুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই স্বপ্ন ও আদর্শকে বাস্তবায়িত করার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর মতো তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন যে জনগণের সেবা করার মাধ্যমে জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করে বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তর করা সম্ভব, বর্তমানে এটাই তার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে মেয়র বলেন, ২০১৬ সালের ১১ আগস্ট সচিবালয়ে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা জনগণের সেবক, জনগণের সেবা করব। জনগণের ঘাম ঝরা অর্থ দিয়েই তো আমাদের বেতন-ভাতা সবকিছু- এ কথাটা যেন এক মুহূর্তের জন্যও ভুলে না যাই। মানুষের সেবার মতো শান্তি দুনিয়ায় আর কিছুতে নেই।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল হাইসহ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।