বঙ্গবন্ধু
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে অ্যাডভান্সড রিসার্চ ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকীতে দেশের গবেষণা ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচনের লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করল অ্যাডভান্সড রিসার্চ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ (এআরএফবি)।
গত শুক্রবার (১৭ মার্চ) জাতির পিতার জন্মদিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই গবেষণা সংস্থার উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।
রাজধানীর আর্মি গলফ ক্লাবে এই অনুষ্ঠানে দেশের বিশিষ্ট গবেষক, চিকিৎসক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর কর্মকর্তা, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও এআরএফবির আত্মপ্রকাশ উপলক্ষ্যে কেক কাটা হয়।
সেদিন জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে নানা বয়সী শিশুরাও অংশ নেয়। পরে আলোচনা সভায় বক্তারা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও দর্শন নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে এই মহান নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। পরে এআরএফবির ১৯ সদস্যের নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী শুক্রবার
এআরএফবির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) মো. ফসিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্বাধীনতা পদকে ভূষিত চিকিৎসক এআরএফবির সহ-সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডা. নুরুন নাহার ফাতেমা বেগম, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর ড. জহিরুল হক, এআরএফবির সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক-গবেষক ড. জহির বিশ্বাস, নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. জালাল উদ্দিন, বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি ওয়াই এম বেলালুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক ড. লতিফুল বারী, দৈনিক ইত্তেফাকের সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ নাদিম, কারিতাস বাংলাদেশের প্রশিক্ষণ ও গবেষণা বিভাগের প্রধান ড. থিওফিল নকরেক, এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লি. এর সাবেক ডিজিএম সেলিনা বানু, চিত্রশিল্পী দেলোয়ার হোসেন, মেটাডোর গ্রুপের কোম্পানি সেক্রেটারি ইসমাইল হোসেন ও সংগীত গবেষক ড. এবিএম রেজাউল রিপন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা পদক পাওয়ায় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. নুরুন নাহার ফাতেমা বেগম, পদোন্নতিতে অতিরিক্ত আইজিপি ওয়াই এম বেলালুর রহমান এবং আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষায় সুযোগ পাওয়ায় আনিকা সুবাহ্ আহমেদকে সন্মাননা ক্রেস্ট দেয়া হয়।
বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে জাতিসংঘে শিশু-কিশোর আনন্দমেলা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ পালনের অংশ হিসেবে শনিবার (১৮ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে দিনব্যপী শিশু-কিশোর আনন্দমেলা অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় সংগীত পরিবেশনা ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে এই আনন্দমেলা শুরু হয়।
পরবর্তীতে জাতির পিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয় এবং জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এছাড়া অনুষ্ঠানে জাতির পিতার জীবন ও কর্মের উপর একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং জাতির পিতার ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কেক কাটা হয়।
শিশু-কিশোর আনন্দমেলায় আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় শিশু-কিশোরেরা বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশের গ্রামীণ দৃশ্য ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলে।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও স্মার্ট বাংলাদেশ’- বিষয়ে শিশু কিশোরদের জন্য বয়সভিত্তিক রচনা প্রতিযোগিতা এবং বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ পাঠ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এসকল প্রতিযোগিতায় অর্ধ শতাধিকেরও বেশি শিশু-কিশোর অংশগ্রহণ করে।
আরও পড়ুন: লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক ও মানবিকতার আদর্শে গড়ে তোলার আহ্বান
অনুষ্ঠানে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বক্তব্য দেন এবং চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতা ও বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ উপস্থাপনে বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেন। রাষ্ট্রদূত মুহিত তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম এবং নিপীড়িত-বঞ্চিত শোষিত মানুষের অধিকার আদায় এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম ও নেতৃত্বের বিষয়সমূহ বিস্তারিত বর্ননা করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন যে ‘শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। একদিন শিশুরাই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’ সে ভালোবাসা থেকেই জাতিসংঘে শিশু সনদ গৃহীত হওয়ার প্রায় ১৫ বছর আগে ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে জাতীয় শিশু আইন প্রণয়ন করেন এবং প্রাথমিক শিক্ষাকে সবার জন্য বাধ্যতামূলক করেন। শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর অপরিসীম স্নেহ ও ভালোবাসাকে স্মরণীয় করে রাখতে ১৯৯৭ সাল হতে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ১৭ মার্চে জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত মুহিত এ বছরের জাতীয় শিশু দিবসের প্রতিপাদ্য– ‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন’ -এর ওপর আলোকপাত করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর পথ ধরে পরবর্তীতে তার মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদশের শিশুদের উন্নয়ন ও সমান অধিকার রক্ষায় যুগান্তকারী সব পদক্ষেপ নিয়েছেন এবং বর্তমান প্রজন্মকে স্মার্ট, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের হাতিয়ার হিসেবে গড়ে তুলছেন। এসময় তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি আধুনিক ও উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন উদ্যোগ ও সাফল্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা একটি চলমান দর্শন এবং এই সোনার বাংলা দর্শনের ধারাবাহিকতার একটি অংশ হলো আজকের স্মার্ট বাংলাদেশ উদ্যোগ।
আরও পড়ুন: লস এঞ্জেলেসে বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন
বক্তব্যের শেষে রাষ্ট্রদূত মুহিত নতুন প্রজন্মকে, প্রবাসে থেকেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে জানা ও ধারণ করার মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের গড়ে তোলায় অবদান রাখার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত মুহিতের বক্তব্যের আগে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
উল্লেখ্য, এই অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব ১৭ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় আয়োজনের পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দেয়া বাণীসমূহ পাঠ করা হয়।
দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে নিউইয়র্কে বসবাসরত শিশু-কিশোরগণ ও তাদের অভিভাবকেরা, স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতারা, বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যরা, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা এবং স্থায়ী মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তান ও পরিবারের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
প্রবাসী বাংলাদেশিরা ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন এবং সার্বিক আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: ডেনমার্কে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও শিশু দিবস উদযাপন
বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর মালামাল নিয়ে বিদেশি জাহাজ মোংলায়
সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীতে নির্মিতব্য বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর পণ্য নিয়ে বাগেরহাটের মোংলা বন্দরে ভিড়েছে পানামা পতাকাবাহী জাহাজ 'এম ভি এভার চ্যাম্পিয়ন'। রবিবার (১৯ মার্চ) বেলা ১১টায় বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে নোঙর করে জাহাজটি।
জাহাজে এক হাজার ৪১১ মেট্রিকটন পণ্য রয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্দেশ উপেক্ষা করে মংলা বন্দরে ঝুঁকিপূর্ণ জাহাজ: দুর্ঘটনার আশংকা
এর আগে গেল ৭ মার্চ ভিয়েতনামের হাই ফং বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে মোংলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে জাহাজটি।
জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট হক অ্যান্ড সন্স লিমিটেডের অপারেশন ব্যবস্থাপক শওকত আলী বলেন, দুপুরে এক হাজার ৪১১ মেট্রিকটন মেশিনারি পণ্য নিয়ে জাহাজটি মোংলা বন্দরে ভীড়েছে। জাহাজের পণ্য খালাস চলছে। দুই দিনের মধ্যে খালাস শেষে নৌপথে সেগুলো যমুনা নদীর ওপর নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে।
এর আগে এই সেতুর এক হাজার ৫৫৬ মেট্রিকটন মেশিনারি পণ্য নিয়ে গত ৫ মার্চ মোংলা বন্দরে আসে হাইডং-৯ নামের জাহাজ।
সেগুলোও ইতোমধ্যে সেতু কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী: ৩ দিনের সফরে মংলায় এসেছে ভারতের যুদ্ধজাহাজ
মংলা-খুলনা রেললাইন প্রকল্প: ১০ বছরেও কাজ শেষ হয়নি, ব্যয় বেড়েছে ১২১ শতাংশ
মুন্সীগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৮ মার্চ) দিবাগত ৩টা থেকে শনিবার সকাল ৮টার মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন স্থানে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার রাত ৩টার দিকে এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস লেনে ষোলঘর এলাকায় এক পথচারীকে দ্রুতগামী একটি গাড়ি চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
নিহত উজ্জ্বল মৃধা (৩৫) শ্রীনগর উপজেলার কুকুটিয়া গ্রামের মানিক মৃধার ছেলে।
অন্যদিকে, রাত সাড়ে ৪টার দিকে শ্রীনগর উপজেলার উমপাড়া এলাকায় এক ট্রাকচালক চাকা মেরামত করার সময় পেছন থেকে অপর একটি ট্রাক তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
নিহত হোসেন আলীর (৩৮) বাড়ি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার ষোলদাগে।
শনিবার সকাল ৮টার দিকে এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস লেনে ষোলঘর বাসস্ট্যান্ডে গোপালগঞ্জগামী একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে কয়েকজন যাত্রী নামার সময় বিপরীতমুখী আরেকটি বাস তাদেরকে চাপা দেয়।
ঘটনাস্থলে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
হাবিবুর রহমান (৬৫) নামে আহত আরেকজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাবিবুরের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায়।
হাঁসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির মোল্লা জানান, অজ্ঞাতপরিচয় এক জনের লাশ থানায় রয়েছে। তার পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
ঝালকাটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্রসহ নিহত ২
লস এঞ্জেলেসে বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন
যুক্তরাষ্টের লস এঞ্জেলেসের বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ উদযাপন করেছে।
দিবসের কর্মসূচি অনুযায়ী লস এঞ্জেলেসে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল সামিয়া আনজুম কনস্যুলেট জেনারেলের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কমিউনিটির নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
আরও পড়ুন: শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে ব্যাংককে শিশু-কিশোরদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা
এরপর তিনি কনস্যুলেট জেনারেলের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ এবং শিশুদের সঙ্গে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
জাতির পিতার জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে কনস্যুলেট জেনারেল আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমুহ থেকে পাঠ শেষে দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রেরিত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
এরপর বঙ্গবন্ধুর ছেলেবেলার ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন এবং দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে কনসাল জেনারেল সামিয়া আঞ্জুম তার বক্তব্যে জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ গঠনে তার অবিস্মরণীয় অবদানের কথা স্মরণ করেন।
তিনি জাতির পিতার জীবন, কর্ম ও অবদান সম্পর্কে আলোচনা করেন এবং শিশু-কিশোরদেরকে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম দ্বারা উজ্জীবিত হয়ে দেশে ও বিদেশে সুনাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে এবং জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গঠনে সবাইকে নিজনিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখারও আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবারের শহিদ সকল সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা এবং দেশের উত্তরোত্তর উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে জাতির পিতার জন্মদিন উপলক্ষে উপস্থিত শিশুদের সঙ্গে নিয়ে কেক কাটেন কনসাল জেনারেল সামিয়া আনজুম।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে মৈত্রী বিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন করতে পারেন হাসিনা-মোদি
বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইন ডিজেল পরিবহনের ব্যাপক উন্নতি ঘটাবে: নয়া দিল্লি
বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী: পটুয়াখালীতে আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০
পটুয়াখালীর বাউফলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ২০জন আহত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে এই সংঘর্ষ হয়।
এদের মধ্যে বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব হাওলাদার গুরুতর আহত অবস্থায় শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবামেক) হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ, মোতালেব ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাউফল পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল পৃথক কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এর মধ্যে ফিরোজ ও মোতালেব একই স্থানে ও সময়ে কর্মসূচি ডাকেন।
এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে র্যাবের গাড়ি ডাকাতি করতে গিয়ে গ্রেপ্তার ৮: র্যাব
উপজেলা যুবলীগ নেতা অরিবিন্দু ইউএনবিকে বলেন, সকাল ১১টার দিকে মোতালেব ও তার অনুসারীরা একটি আনন্দ মিছিল বের করে। মিছিলটি আওয়ামী লীগ কার্যালয় জনতা ভবনের দিকে যাওয়ার সময় পুলিশ উপজেলা পরিষদের গেইটের সামনে তাদের মিছিলে বাধা দেয়। একপর্যায়ে দলের সভাপতি আসম ফিরোজ এমপির ভাইর ছেলে যুবলীগ সভাপতি ফয়সাল আহম্মেদ মনির মোল্লার নেতৃত্বে কয়েকশ নেতাকর্মী এসে তাদের ওপর অস্ত্র নিয়ে হামলা করে।
এসময় পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ ৭-৮ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। শহরের থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এঘটনায় শহরে প্রায় ১ ঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর আসম ফিরোজ এমপির নেতৃত্ব একটি বিশাল আনন্দ মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
বাউফলের ইউএনও জানান, দুই পক্ষকেই সহ অবস্থানের অনুরোধ করা হয়েছিল। তারা আমাকে কথাও দিয়েছিলেন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করবেন। কিন্তু তারা কথা রাখেননি।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, এ কর্মসূচির নিরাপত্তা বিধানের জন্য শহরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। দুই পক্ষ মুখোমুখি হওয়ায় রাবার বুলেট ছুঁড়ে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ইভিএম ব্যালট ইউনিট ছিনতাইয়ের অভিযোগে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে ইসির মামলা
নাসিরনগর সাম্প্রদায়িক সহিংসতা: ১৩ জনের ৪ বছর কারাদণ্ড
জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ উপলক্ষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় তার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
শুক্রবার রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সকাল ১০টা ৪২ মিনিটে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ প্রথমে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তারা জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
আরও পড়ুন: টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে বিসিএস ফরেন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের শ্রদ্ধা
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর একটি কন্টিনজেন্ট গার্ড অব অনার প্রদান করে।
শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিককে সঙ্গে নিয়ে ফার্স্ট লেডি রাশিদা খানম, প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা পৃথকভাবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আবদুল হামিদ ও শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টের অন্যান্য শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাতে অংশ নেন।
মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ এবং আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপতি সমাধি প্রাঙ্গণে রক্ষিত দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সমাধিসৌধ প্রাঙ্গণে পৌঁছলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে অভ্যর্থনা জানান।
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ তাকে হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুন: বাঙালিকে স্বাধীনতা এনে দিয়ে জাতির পিতা রয়েছেন অমর হয়ে: তথ্যমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না: তোফায়েল
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু একজন মহান নেতা ছিলেন। যার জন্ম না হলে এই বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ভোলা জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ইউনেস্কো স্বীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে ভোলায় জেলা আওয়ামী লীগের উদ্দ্যোগে আলোচনা সভায় সিঙ্গাপুর থেকে ভাচুর্য়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্যে তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে: তোফায়েল আহমেদ
তিনি বলেন, আজ আমরা পাকিস্তানের দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ থাকতাম। একটি ভাষণের মধ্য দিয়ে গোটা জাতিকে প্রস্তুত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, রক্ত যখন দিয়েছি। রক্ত আরও দিব। এই দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো। ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলো। আমরা ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলেছি।
তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, এই বছরের শেষে অথবা ২০২৪ সালে প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন। তাই সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। ভোলার প্রত্যেকটি গ্রাম ও শহরকে আওয়ামী লীগের দুর্গে পরিণত করতে হবে। তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল কাদের মজনুর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন, ভোলা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোশারফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি এ্যাডভোকেট জুলফিকার আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিকুল ইসলাম, দৌলতখান উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ বাবুল, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এনামুল হক আরজু, ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইউনুস, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আজিজসহ অন্যান্যরা।
আরও পড়ুন: আমরা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই: জিএম কাদের
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম: তোফায়েল আহমেদ
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শ্রদ্ধা
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব শাব্বির আহমদ চৌধুরীর নেতৃত্বে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানোর সময় মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার এ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম, মিশনসমূহের মহাপরিদর্শক আসাদ আলম সিয়াম এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সারাদেশে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ মঙ্গলবার
সারাদেশে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে স্মরণীয় দিন হিসেবে যথাযোগ্য মর্যাদায় মঙ্গলবার দেশজুড়ে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত হচ্ছে।
২০১৭ সালে জাতিসংঘের শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (ইউনেসকো) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
১৯৭১ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক বিশাল জনসমুদ্রের সামনে যে যুগান্তকারী ভাষণ দিয়েছিলেন, তাতে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলার দামাল ছেলেরা হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন।
লক্ষাধিক স্বাধীনতাকামী জনতার সামনে বঙ্গবন্ধু তার ১৯ মিনিটের অসামান্য ভাষণে শোষক পাকিস্তান সরকারের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করতে জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হওয়ার জন্য অসহযোগ আন্দোলনের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
বিশাল জনসভা থেকে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয় বাংলা’।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক ৭ মার্চ মঙ্গলবার
তার এই ভাষণকে প্রায়ই মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের ঐতিহাসিক গেটিসবার্গের ভাষণের সঙ্গে তুলনা করা হয়।
বঙ্গবন্ধু সেদিন বলেছিলেন, যেহেতু আমরা রক্ত দিতে শিখেছি, আমরা আরও রক্ত দেব। ইনশাআল্লাহ, এদেশের মানুষকে মুক্ত করেই ছাড়ব…ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলব। তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে (শত্রু) মোকাবিলা কর।
সেদিন বঙ্গবন্ধুর দেয়া সেই ভাষণ জাদুমন্ত্রের মতো কাজ করেছিল, যা সমগ্র জাতিকে তৎকালীন পাকিস্তানি সামরিক জান্তার স্বৈরাচারী ও দমনমূলক শাসন থেকে স্বাধীনতার সংগ্রামে যোগ দিতে অনুপ্রাণিত করেছিল।
দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের পাশাপাশি দেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল, রেডিও স্টেশন ও জাতীয় দৈনিকগুলোতে দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের স্মরণে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে দিবসটি পালনের লক্ষ্যে মন্ত্রিসভা ২০২০ সালের ৭ই অক্টোবর ৭ মার্চকে ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’-এর পরিবর্তে ‘ঐতিহাসিক দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ শুধু আমাদের জন্য নয়, সারা বিশ্বের স্বাধীনতাকামী মানুষের জন্য অনুপ্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে। একটি ভাষণ কীভাবে সমগ্র জাতিকে জাগিয়ে তুলতে পারে, স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে পারে, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ তার অনন্য উদাহরণ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের বিশ্ব স্বীকৃতি আজ বাঙালি জাতির জন্য সম্মান ও গৌরবের স্মারক। আমি বিশ্বাস করি 'জয় বাংলা' স্লোগান এবং জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ আমাদের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে অনুপ্রাণিত করবে।
আরও পড়ুন: সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা ৭ মার্চের ভাষণে শতাধিক ভুল: তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে
ঐতিহাসিক ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা