মো. আতিকুল ইসলাম
৬ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র
এ বছর ৬ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে ডিএনসিসি থেকে সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ১০ হাজারের বেশি পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োজিত থাকবে। ডিএনসিসির কাউন্সিলর, কর্মকর্তা ও আমি নিজে মাঠে থাকব।
শনিবার (১৫ জুন) রাজধানীর মোহাম্মদপুর বছিলা কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শনকালে ডিএনসিসি মেয়র এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ভবনের গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা দোকান বন্ধ করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করার জন্য কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে এবং ওয়ার্ড ভিত্তিক তদারকি টিম গঠন করা হয়েছে।
এছাড়া হটলাইন নম্বর রয়েছে যে কেউ যোগাযোগ করতে পারবে বলে জানান ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি আরও বলেন, ডিএনসিসির স্মার্ট পশুর হাটে ক্রেতা ও বিক্রেতারা নিরাপদ লেনদেনের সুবিধা পাচ্ছে। এ বছর ছয়টি হাটে ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, ক্রেতারা ক্যাশ লেনদেন না করে ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন করতে পারছে।
মেয়র বলেন, বিক্রেতা বা খামারিরাও গরু বিক্রির টাকা বহন না করে হাটেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দিতে পারছে। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকলে তাৎক্ষণিক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগও রয়েছে।
তিনি বলেন, কোরবানির পশুর হাটে বিপুল সংখ্যক ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম ঘটেছে। হাটের সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা রেখেছি। সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে কোরবানির পশুর হাটগুলো মনিটরিংয়ের জন্য একটি তদারকি টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিম কোরবানির হাটগুলো মনিটরিং করছে। প্রধান সড়ক বন্ধ করে হাট বসালে এই তদারকি টিম ব্যবস্থা নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: হাটের বর্জ্য ও কোরবানি পশুর বর্জ্য পৃথক ব্যবস্থাপনায় সরানো হবে: মেয়র তাপস
মেয়র আরও বলেন, ঈদের দিন দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু হবে। রাত ৮টার মধ্যে সব বর্জ্য অপসারণ করা হবে। পশুর হাটের বর্জ্য পরিষ্কারের জন্য এবার আর ইজারাদারদের ওপর ভরসা করা হচ্ছে না। সিটি করপোরেশন থেকেই আমরা দ্রুত সময়ে পরিষ্কার করব।
বৃক্ষরোপণে পশুর হাটের গোবর ব্যবহার করা হবে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ডিএনসিসি থেকে ইতোমধ্যে ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম শুরু করেছি। কোরবানির পশুর হাটের গোবর সংগ্রহ করে বৃক্ষরোপণে ব্যবহার করা হবে।
মেয়র বলেন, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত প্যারিস রোড সংলগ্ন মাঠে একসঙ্গে অন্তত ৫০০ গরু কোরবানির আয়োজন করা হয়েছে। যারা এখানে গরু কোরবানি দিতে আসবেন প্রত্যেক গরুর জন্য প্রণোদনা হিসেবে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে এক হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
এছাড়াও ৭ নম্বর ওয়ার্ডে একটি স্থানে অন্তত ১০০ পশু কোরবানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান।
আরও পড়ুন: ‘সুস্থ সমাজ গঠনে খেলাধুলা করতে হবে: ডিএনসিসি মেয়র
৫ মাস আগে
ভবনের গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা দোকান বন্ধ করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র
ভবনের গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা দোকান বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, রাজউক থেকে নকশা অনুমোদনের সময় অনেক ভবনে পার্কিং দেখানো হয়। এসব পার্কিংয়ে গাড়ি পার্ক করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দেখা যায় অনেক ভবনের পার্কিংয়ের জায়গায় দোকান ভাড়া দেওয়া হয়েছে। তারপর গাড়িগুলো পার্কিং করা হচ্ছে রাস্তায়।
বুধবার (৫ জুন) গুলশান-বাড্ডা লিংক রোডে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নেদারল্যান্ডসের শহরগুলোর খালের আদলে ঢাকার খালগুলোর উন্নয়ন করতে চাই: ডিএনসিসি মেয়র
ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় অবৈধভাবে দোকান দেওয়া যাবে না। রাজউককে সঙ্গে নিয়ে আমরা এগুলো বন্ধে অভিযান শুরু করব।
ঈদের পর থেকেই অভিযান শুরু হবে বলে জানান ডিএনসিসি মেয়র।
অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছে ডিএনসিসি মেয়র গুলশান লেকে অবৈধ পয়োবর্জ্যের সংযোগ দেখতে পান।
এসময় তিনি তাৎক্ষণিকভাবে কলাগাছ দিয়ে অবৈধ সংযোগ বন্ধের নির্দেশ দিলে সংযোগটি কলাগাছ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আতিকুল ইসলাম বলেন, শহরের প্রায় সব ভবনেই এয়ারকন্ডিশন (শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র) লাগানো আছে, জেনেরেটর লাগানো আছে। সবাই হাজার হাজার টাকা খরচ করে ঘর ঠান্ডা করার জন্য এসি লাগাচ্ছে কিন্তু অনসাইটে সুয়ারেজ ব্যবস্থাপনা করার বিষয় কেউ চিন্তা করছে না।
তিনি আরও বলেন, নির্বিচারে শহরের খালে, ড্রেনে সুয়ারেজের সংযোগ দিয়ে পানি, বায়ু দূষণ করছে। এগুলো বন্ধ করতে হবে। এসব অবৈধ সংযোগ বন্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব।
মেয়র বলেন, গুলশান ও বারিধারা মাত্র পাঁচ শতাংশ বাড়িতে কমপ্লায়েন্স পেয়েছি। বেশিরভাগ বাড়ির পয়োবর্জ্যের সংযোগ ড্রেনে, খালে দিয়ে রেখেছে। আমি অনেকগুলো ভবনে অবৈধ সংযোগ বন্ধে কলাগাছ দিয়ে দিয়েছিলাম। আমরা এবছর আবারও অভিযান শুরু করব।
জনগণকে ছাদবাগান করার আহ্বান জানান মেয়র। তিনি বলেন, ছাদবাগান করলে ১০ শতাংশ হোল্ডিং ট্যাক্স ছাড়া দেওয়ার বিষয়টি এরই মধ্যে মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে। নীতিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে। নীতিমালা প্রণয়ন হলে হোল্ডিং ট্যাক্স ছাড় দেওয়া হবে।
বক্তৃতা শেষে ডিএনসিসি মেয়র গুলশান বাড্ডা লিংক রোডে একটি গাছ রোপণ করে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
ডিএনসিসি, গুলশান সোসাইটি ও সিটি ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আওতায় গুলশান এলাকায় মোট ৫ হাজার গাছ রোপণ করা হবে।
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সদস্য মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব:), গুলশান সোসাইটির সভাপতি ব্যারিস্টার ওমর সাদাত, সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার, ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মফিজুর রহমান, সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর মোছা. হাজেরা খাতুন এবং আমেনা বেগম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণ রোধে ৫ ঘোষণা মেয়র আতিকের
দক্ষিণখান-উত্তরখানের ৮১ কিলোমিটার রাস্তার নির্মাণকাজ ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন হবে: ডিএনসিসি মেয়র
৫ মাস আগে
জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে কুইক রেসপন্স টিম: ডিএনসিসি মেয়র
জলাবদ্ধতা নিরসনে ৫ হাজার ৩০০ কর্মী নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, প্রতিটি কুইক রেসপন্স টিমে ১০ জন করে মোট ১০০ জন সদস্য কাজ করছে।
আরও পড়ুন: মার্কিন ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীরমার্কিন ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
সোমবার (২৭ মে) বিকালে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেন্টার পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, সকাল থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রায় ১২৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ভারী বৃষ্টিতেও ডিএনসিসি এলাকায় প্রধান সড়কগুলোতে কোথাও দীর্ঘসময় পানি জমে থাকেনি।
এছাড়াও ডিএনসিসির হটলাইন নম্বর ১৬১০৬ নম্বরে প্রাপ্ত ৯৪টি স্পটের জমে থাকা পানি অপসারণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলের সড়কে উপড়ে পরা বড় ও মাঝারি মিলিয়ে মোট ১০৮টি গাছ সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে পুরো কার্যক্রম নগর ভবনের কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেন্টার থেকে সার্বক্ষণিক তদারকি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সতর্কতা সংকেতের কী অর্থ?
ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ কেন, কীভাবে, কারা করেন
৫ মাস আগে
নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের পরিকল্পিত উন্নয়নে প্রকল্পের অনুমোদন: ডিএনসিসি মেয়র
নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, প্রথম ধাপে ৪ হাজার ২৫ কোটি টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া করোনা, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধসহ অন্যান্য কারণে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দায় জমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতিতে অর্থ ছাড় পেতে সময় লাগছে। কিন্তু এই নতুন এলাকায় বহু মানুষের বসবাস। তাদের দুর্ভোগের বিষয় বিবেচনা করে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে ড্রেন ও রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করেছি।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সমস্যা শুনে সমাধান করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র
রবিবার বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে গুলশান নগর ভবনের সম্মেলনকক্ষে নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে ডিএনসিসি মেয়রের সঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও কাউন্সিলদের বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। এই এলাকায় টেকসই উন্নয়নের জন্য ড্রেন নির্মাণ করে তারপর রাস্তা করতে হবে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা ঠিক না হলে রাস্তা করলে জলাবদ্ধতা হবে। সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে না৷ আগামী এক বছর এই নতুন এলাকায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ড্রেনেজ ও রাস্তার কাজ চলবে। আশা করছি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জনগণের চলাচলে কষ্ট দূর হবে।
এসময় ডিএনসিসি মেয়র ড্রেন নির্মাণ ও সড়ক প্রশস্তকরণের জন্য এলাকাবাসী যেন জায়গা ছেড়ে দিয়ে সহযোগিতা করেন সে বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও কাউন্সিলরদের প্রতি আহ্বান জানান।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১১ আসনের সংসদ সদস্য ওয়াকিল উদ্দিন, ঢাকা ১৮ আসনের সংসদ সদস্য খসরু চৌধুরী এবং নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
বৈঠকে ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান এবং আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: ৫৪টি ওয়ার্ডে মাসব্যাপী জনসচেতনতামূলক প্রচার শুরু: ডিএনসিসি মেয়র
খাল দখলকারীদের ধিক্কার জানালেন ডিএনসিসি মেয়র
৬ মাস আগে
বস্তিতে বসবাসকারী বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাস তুরস্কের
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে ডিএনসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে মেয়রের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ করেন তিনি।
সাক্ষাৎকালে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত গত ফেব্রুয়ারি মাসে শক্তিশালী ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত তুরস্কে মানবিক সহায়তা দিয়ে পাশে দাঁড়ানোর জন্য ডিএনসিসি মেয়রকে ধন্যবাদ জানান।
এসময় রাষ্ট্রদূত ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকার বস্তিতে বসবাসকারী বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রতিদিন অসংখ্য জলবায়ু উদ্বাস্তু ঢাকায় প্রবেশ করে। বস্তিবাসীরা প্রতিনিয়ত নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। ডিএনসিসির আওতাধীন বস্তিগুলোতে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে সহযোগিতা প্রয়োজন। সহযোগিতা প্রদান করা হলে এই শিশুরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে।’
আরও পড়ুন: উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে উজবেক উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক
আলাপকালে বস্তিতে বসবাসকারী বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের দক্ষতা বৃদ্ধি, শিক্ষা সহায়তা, প্রশিক্ষণ প্রদান, প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রদানসহ ছোট ছোট খেলার মাঠ নির্মাণে যৌথভাবে কাজ করা বিষয় একমত পোষণ করেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ও রাষ্ট্রদূত রামিস সেন।
এসময় ডিএনসিসি মেয়র এই ধরনের উদ্যোগের ফলে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মেয়র আতিক আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ ভাস্কর্য ও তার নামে একটি পার্ক করা হয়েছে। আবার তুরস্কের জাতির পিতা কামাল আতাতুর্কের নামে ঢাকার বনানীতে একটি সড়ক রয়েছে। এছাড়াও বনানীর সড়কটির সংলগ্ন একটি পার্কও কামাল আতাতুর্কের নামে নামকরণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে অনেক গভীর সম্পর্ক রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতায় ঢাকা ও আঙ্কারা যৌথভাবে কাজ করার মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।’
আরও পড়ুন: ২ দিনব্যাপী বাংলাদেশ ও ভারতের নৌ-সচিব পর্যায়ের সভা শুরু
কুয়েতের নতুন আমিরকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর
১১ মাস আগে
অনুমতি ছাড়া ডিএনসিসি এলাকায় কেউ গাছ কাটতে পারবে না: ডিএনসিসি মেয়র
অনুমতি ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় কেউ গাছ কাটতে পারবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, গাছের গুরুত্ব আমাদের অনুধাবন করতে হবে। দুঃখজনক হলো আমরা অনেকে গাছের গুরুত্ব বুঝি না। পরিবেশ রক্ষায় ও জীবনের জন্য অপরিহার্য অক্সিজেন পেতে গাছের বিকল্প নেই।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে নগর সবুজায়ন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ডিএনসিসি মেয়র।
আরও পড়ুন: খাল পাড়ের অবৈধ স্থাপনা সরাতে হুঁশিয়ারি দিল ডিএনসিসি মেয়র
মেয়র বলেন, আমি বার বার বলেছি, গাছ কাটলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। আমার কাউন্সিলর, ইঞ্জিনিয়ার ও কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি, অনুমতি ছাড়া ডিএনসিসি এলাকায় কেউ গাছ কাটতে পারবে না। গাছ কাটার আগে এলাকাবাসীর সঙ্গে আলাপ করতে হবে। কাউন্সিলরদের সঙ্গে আলাপ করতে হবে। আমাদের সঙ্গে আলাপ করতে হবে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন সড়ক ও ফুটপাতে গাছ লাগানো হচ্ছে। বিভিন্ন বস্তিতে প্রায় পাঁচ হাজার গাছ লাগানো হয়েছে। প্রতিটি গাছকে জিপিআরএস অ্যাপের মাধ্যমে আইডি নম্বর দিয়ে রোপণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গাছে নম্বর দেওয়া ও জিপিআরএস ম্যাপিং করা হচ্ছে। প্রকৌশল বিভাগ এটি তত্ত্বাবধান করছে। বর্জ্য বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছি খালের পাড়ে গাছ লাগাতে হবে। আমরা এখন যে গাছগুলো লাগাচ্ছি একটা সময় পরে সবুজায়ন হবে, গাছে ফুল হবে, ফল হবে, গাছ ছায়া দেবে, অক্সিজেন দেবে।
মেয়র আরও বলেন, গাছ লাগানো অনেক সহজ, কিন্তু পরিচর্যা করে বড় করে তোলা কঠিন। এখন পর্যন্ত আমরা যেসব গাছ লাগিয়েছি, আমাদের কাছে প্রতিটি গাছের ম্যাপিং আছে। গাছ কত ইঞ্চি লাগানো হয়েছে, কীভাবে বড় হচ্ছে ও পরিচর্যা করা হচ্ছে। বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ আছে।
তিনি আরও বলেন, গাছগুলোর পরিচর্যা করা হচ্ছে। আজকে গাছ লাগালে অবশ্যই এর দুই বছর পরে ফল পাওয়া যাবে। আমি নতুন কিছু গাছ লাগাচ্ছি। রসকাউ গাছ রোপন করছি। রসকাউ গাছের ফল পাখির খুবই প্রিয়। আমরা সবুজ ও পাখির কিচিরমিচির দেখতে চাই।
তিনি বলেন, ঢাকাকে দৃষ্টিনন্দন করতে সবুজায়নের পাশাপাশি স্ট্রিট আর্ট করে দিচ্ছি। মগবাজার ফ্লাইওভারের পিলারে স্ট্রিট আর্ট করা হয়েছে।
মেয়র বলেন, মিরপুর জল্লাদখানায় পাকিস্তানিরা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নির্মমভাবে হত্যা করে কুয়ার ভেতরে ফেলে রেখেছিল। সেটি ছিল খুবই ভয়ানক একটি জায়গা। ওখানে ময়লার ভাগাড় ছিল, মাদকাসক্তরা সেখানে নেশা করত। আমরা জল্লাদখানাটি দৃষ্টিনন্দন করে সাজিয়েছি। আপনারা গেলে দেখতে পাবেন শিশুদের জন্য খেলাধুলার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাস্তা বাড়াতে জায়গা ছাড়ার আহ্বান ডিএনসিসি মেয়রের
ডিএনসিসি মেয়রের সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
১ বছর আগে
শহর গড়তে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান ডিএনসিসি মেয়রের
শহর গড়তে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে লাল সবুজের পতাকা এনে দিতে তরুণরাই সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছিল। আমি নিশ্চিত তরুণরা এগিয়ে এলে এই দেশ বদলে যাবে, এই শহর বদলে যাবে। তাই শহর গড়তে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন বাঙালিকে দাবায়ে রাখতে পারবা না। বাঙালিকে দাবায়ে রাখা যায়নি। তরুণরা দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে এলে আজও দাবায়ে রাখা যাবে না।'
দ্রুত কাজ শেষ করে রাস্তা-ঘাট খুলে দেওয়ার নির্দেশ মেয়র আতিকের
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বিজয় সরণি বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরে দ্য আর্থ ও ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশ আয়োজিত গ্লোবাল ইয়ুথ সামিট-২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডিএনসিসি মেয়র এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, 'ক্লাইমেট চেঞ্জ, কোভিড ও কনফ্লিক্ট তিনটি সি এর কারণে পুরো বিশ্ব আজ কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ হচ্ছে, ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ হচ্ছে। যুদ্ধে যে বিপুল অর্থ ব্যয় হচ্ছে এই অর্থ যদি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ব্যবহার হতো তবে পৃথিবী অনেক সুন্দর ও নিরাপদ হয়ে যেত। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরুর বরফ গলে যাচ্ছে। বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলের জেলাগুলোতে লবণাক্ততা বেড়েছে। সেখানে চাষাবাদ করা যায় না। মানুষ জীবিকা নির্বাহের জন্য ঢাকায় চলে আসছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঢাকাশহ পুরো দেশ চ্যালেঞ্জের মুখে। তাই এই ধরনের সামিটের মাধ্যমে ভয়েস রেইজ করতে হবে।'
পরিবেশের ক্ষতি করে উন্নয়ন করা যাবে না: মেয়র আতিক
তিনি বলেন, 'টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে আমাদের সিটি কর্পোরেশনের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। ডিএনসিসি বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে অনেকগুলো লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হয়েছে। ঢাকায় একসময় ৬৩টি খাল ছিল। আমরা গত দুই বছর আগে ওয়াসা থেকে মাত্র ২৯টি খাল বুঝে পেয়েছি, সেগুলোও অবৈধ দখলে। ঢাকা শহরে প্রতি বর্গ প্রায় ৪৯ হাজার মানুষের বসবাস। যদি আমরা প্রশ্ন করি এত নাগরিকের মধ্যে আসলে সুনাগরিক কত জন। নগরের জন্য সুনাগরিকের বিকল্প নেই।'
শহরের সমস্যা সমাধানে যুবসমাজকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, 'আমি চাই আমাদের যুবসমাজ প্রত্যেকে একেকজন মেয়রের ভূমিকা রাখবে। শহরের কোথাও সমস্যা দেখলে সিটি কর্পোরেশকে জানাও। আমাদের সবার ঢাকা অ্যাপে অভিযোগ জানাও। কথা দিচ্ছি দ্রুত সময়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিছুদিন আগে কয়েকজন যুবক মিলে মোহাম্মদপুরে খালের ময়লা পরিষ্কার করে ফেলেছে। যুবকরা দেখিয়ে দিয়েছে খালে মাছ চাষ হবে, খাল দখলমুক্ত হবে। অসাধারণ উদ্যোগ। তরুণরা এভাবে এগিয়ে এস। তোমরা আমার সঙ্গে থাকলে এই শহরের সব খাল মাঠ অবৈধ দখল ও দূষণমুক্ত করব ইনশাআল্লাহ।
রাস্তা বাড়াতে জায়গা ছাড়ার আহ্বান ডিএনসিসি মেয়রের
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, 'বনানীতে দুটি মাঠে ক্ষমতাবান বড়লোকরা চেয়েছিলেন তাদের গাড়ি রাখার জন্য পার্কিং হবে। কিন্তু আমি সেটি হতে না দিয়ে খেলার মাঠ নির্মাণ করে দিয়েছি। কোনো মাঠ অবৈধভাবে দখলে থাকলে আমাকে জানাও যুবকদের সঙ্গে নিয়ে দখলমুক্ত করব। গুলশান বারিধারায় ধনী লোকেরা বসবাস করে। তারা তাদের বাড়ির পয়োবর্জ্যের সংযোগ সারফেস ড্রেনে দিয়ে খাল দূষণ করছে। আমরা অভিযান করে অনেকের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছি। অ্যাট সোর্সে পয়োবর্জ্যের ব্যবস্থা না করলে শহর পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব না। সবাইকে সচেতন হতে হবে, শহরকে ভালোবাসতে হবে।'
অনুষ্ঠানে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুই, ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের সদস্য ও সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি কো-অর্ডিনেটর মো. আখতার হোসেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ ডিপার্টমেন্টের প্রফেসর ড. কাজী মারুফুল ইসলাম, দ্য আর্থের প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ মামুন মিয়া প্রমুখ।
১ বছর আগে
৩ মাসের মধ্যে ডিএনসিসির আওতাধীন নতুন এলাকার সড়ক নির্মাণকাজ শেষ: আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নতুন অন্তর্ভুক্ত এলাকার অন্তত তিনটি প্রধান সড়কের নির্মাণকাজ আগামী তিন মাসের মধ্যে শেষ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন সড়কের জটিলতা ও প্রতিবন্ধকতা নিরসনের লক্ষ্যে রবিবার (৯ জুলাই) বিকালে নগর ভবনে ডিএনসিসি এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের মধ্যে একটি সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মেয়র বলেন, ‘জনদুর্ভোগ কমাতে নতুন এলাকার সড়ক অবকাঠামো ও সিস্টেম উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় তিনটি প্রধান সড়ক: কসাইবাড়ি রোড, আজমপুর রোড ও হরিরামপুর রোড আগামী ৩ মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে।’
এছাড়া প্রকল্পের আওতাধীন অন্যান্য সড়কের উন্নয়ন কাজ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শেষ করতে হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, নতুন এলাকার মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে দ্রুত গতিতে এ প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিতে হবে।
মেয়র বলেন, ‘আমি ওই এলাকার জনগণকে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছি। রাস্তার সীমানার মধ্যে যাদের অবৈধ স্থাপনা আছে, নিজ থেকে সরিয়ে ফেলুন। আমরা সিটি করপোরেশন থেকে কোনো নোটিশ জারি করব না। মালিকরা যদি স্থাপনাগুলো অপসারণ না করে তাহলে সিটি করপোরেশন বুলডোজার দিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করবে।’
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মাসব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযান
উল্লেখ্য, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নতুন অন্তর্ভুক্ত ১৮টি ওয়ার্ডের সড়ক অবকাঠামো ও ব্যবস্থার উন্নয়ন (ফেজ-১) শীর্ষক ৪০২৫.৬২ কোটি টাকার জিওবি প্রকল্পটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড বাস্তবায়ন করছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড আগামী ৯০ দিনের মধ্যে তিনটি প্রধান সড়ক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এছাড়া প্রকল্পের অন্যান্য সড়কের কাজও অল্প সময়ের মধ্যে শেষ হবে।
ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ আমিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শরীফ উদ্দিন, প্রকল্প পরিচালক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহাবুব আলম, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ডিএনসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল
ডিএনসিসির মশকনিধন কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে বিএনসিসি ও স্কাউট
১ বছর আগে
পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকেই দায়িত্ব নিতে হবে: মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্লাস্টিক বোতল প্রতিনিয়ত পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে। বিশেষ করে বেভারেজ কোম্পানিগুলো কোমল পানীয় বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ মুনাফা অর্জন করছে। তারা ব্যবসা করে পরিবেশের দূষণ করবে এটা হতে পারে না। প্লাস্টিক দূষণ রোধ করতে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকেই দায়িত্ব নিতে হবে। তবে জনগণকেও যত্রতত্র প্লাস্টিক বোতল ফেলা বন্ধ করতে হবে।’
শুক্রবার সকালে রাজধানীর মহাখালী টিএন্ডটি মাঠে প্লাস্টিক দূষণরোধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে পরিত্যক্ত প্রায় অর্ধ কোটি প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে তৈরি করা নানা প্রতিকৃতি প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে মেয়র এসব কথা বলেন।
পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডি ক্লিন ‘ সেভ আর্থ সেভ বাংলাদেশ’ শিরোনামে ৯ দিনব্যাপী (৩০ডিসেম্বর ২০২২ থেকে ৭ জানুয়ারি ২০২৩) এই বোতল প্রদর্শনীর আয়োজন করে।
এসময় মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ড্রেন বা লেক পরিষ্কার করতে গেলে আমরা বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক বর্জ্য পাই। এসব প্লাস্টিকের কারণে ড্রেনগুলো ব্লক হয়ে যায়। ফলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এছাড়াও সুয়ারেজ লাইনে পয়ঃবর্জ্যের লাইন দেয়া হয়েছে। ৪ জানুয়ারি গুলশান, বনানী, নিকেতন ও বাড়িধারা এলাকায় অভিযান চালাবো।’
মেয়র আরও বলেন, ‘সৃষ্টিকর্তা মানুষের প্রয়োজনেই জলজ প্রাণী, কচ্ছপ, মাছ, বৃক্ষ সবই সৃষ্টি করেছেন। এগুলো পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। অথচ আমরা নির্দয় হয়ে এগুলো ধ্বংস করছি। যারা ধ্বংস করছে তারা চিন্তা করেন না আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের, তারা চিন্তা করেন না লাল-সবুজের পতাকার। তারা চিন্তা করেন না কষ্টার্জিত এই দেশটার। দেশপ্রেম থাকলে কেউ দেশের ক্ষতি করতে পারে না।'
আরও পড়ুন: মশার প্রজননক্ষেত্র পেলে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ছাড় দেয়া হবে না: আতিকুল ইসলাম
মেট্রোরেলে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বিজয়ের মাসে আমাদের মেট্রোরেল উপহার দিয়েছেন। কিছুদিন আগেই পদ্মাসেতু উপহার দিয়েছেন। অনেকে বলছিলো এগুলো সম্ভব হবে না। কিন্তু আজ সম্ভব হয়েছে। তাই কারও কথায় কান দেয়া যাবে না। মেট্রোরেল, পদ্মাসেতু এগুলো জনগণের সম্পদ। এগুলো পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব সকলের। দয়া করে মেট্রোরেল পরিষ্কার রাখুন, ট্রেন, বাথরুম, প্লাটফর্ম পরিষ্কার রাখুন। আমরাইতো ব্যবহার করবো। এর সুফলতো আমরাই পাব। আমাদেরই সম্পত্তি। এটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখাও আমাদের দায়িত্ব।'
বিডি ক্লিনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে মেয়র বলেন, 'বিডি ক্লিন শুধু নামে না, কথায় না, কাজের মাধ্যমে, ত্যাগের মাধ্যমে, কষ্টের মাধ্যমে তাদের অবস্থান প্রমাণ করেছে। বিডি ক্লিনের সদস্যরা নিজেদের খেয়ে পরের মোষ তাড়িয়ে তারা পরিবেশের জন্য কাজ করছে। এই ছেলেমেয়েরা মাদকাসক্ত না হয়ে, ঘরে বসে স্মার্ট ফোনে সময় নষ্ট করে দেশকে, শহরকে পরিচ্ছন্ন করা জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। সত্যিই প্রশংসনীয়। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে বিডি ক্লিন বর্তমানে একটি ব্র্যান্ড। এটি ইতিমধ্যে সুনাম অর্জন করেছে। এই সুনাম ধরে রাখতে হবে।'
এসময় বিডি ক্লিনকে দশ লাখ টাকা অনুদান দেয়ার ঘোষণা দেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম।
সবশেষে মেয়র দেশকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা ও দেশের আইন মেনে দেশসেবার জন্য বিডি ক্লিনের সদস্যদের শপথ পাঠ করান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিডি ক্লিনের প্রতিষ্ঠাতা ফরিদ উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘পুরো দেশে বিডি ক্লিনের প্রায় ৪০ হাজার সদস্য কাজ করছে। পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের পাশাপাশি একটি সুশৃঙ্খল, সুস্থ ও উন্নত মানসিকতাসম্পন্ন জাতি গঠনই এই সংগঠনটির মূল লক্ষ্য। মানসিক পরিবর্তন নিশ্চিত হলেই দেশ পরিচ্ছন্ন হবে, দেশ উন্নত হবে।'
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির অঞ্চল ৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল বাকী এবং ৩০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. নাছির।
দূষণ রোধে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে প্লাস্টিক প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ডিএনসিসি মেয়র।
আরও পড়ুন: গুলশান, বনানী ও বাড়িধারা লেকে মাছ চাষ করা হবে: আতিকুল ইসলাম
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাঙালির চিরকালীন ঐতিহ্য: মেয়র আতিক
১ বছর আগে
১২ ঘণ্টার আগেই কোরবানির বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করা হয়েছে: মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘সকলের সহযোগিতায় পূর্ব ঘোষিত ১২ ঘণ্টার আগেই ঢাকা উত্তর সিটির কোরবানির বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে। সচেতন নাগরিকদের আন্তরিক সহযোগিতায় এটি করতে পেরেছি। আগামী দিনেও ঢাকা শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে জনগণ ও সিটি করপোরেশনকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’সোমবার দুপুরে রাজধানীর গুলশান-২ এ নগরভবনের হল রুমে ডিএনসিসির কোরবানির বর্জ্য অপসারণ সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।এ সময় মেয়র আরও বলেন, ‘ঈদের দিন ৭নং ওয়ার্ডের সাতটি নির্দিষ্ট স্থানে প্রায় ছয় হাজার পশু কোরবানি দেয়া হয়েছে। নিজে সেখানে গিয়ে দেখেছি দুপুরের মধ্যেই ৭নং ওয়ার্ডের শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: দুপুর ২টা থেকে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ শুরু হবে: মেয়র তাপসএবছর কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ৭নং ওয়ার্ড প্রথম হওয়ায় সেখানে পুরস্কার হিসেবে বরাদ্দ বাড়িয়ে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।উল্লেখ্য, এবছর পরীক্ষামূলকভাবে ডিএনসিসির তিনটি ওয়ার্ডের ৯টি নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি দেয়া হয়েছে।নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি হলে উৎসব মুখর পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি খুব অল্প সময়ে বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব উল্লেখ করে আগামী ঈদে প্রতিটি অঞ্চলে নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির আহ্বান করেন ডিএনসিসি মেয়র।তিনি বলেন,'আমরা সিটি করপোরেশন থেকে নির্দিষ্ট স্থানে প্যান্ডেলের ব্যবস্থা করে দেব, মাংস বাসায় পৌছে দেয়ার জন্য গাড়ির ব্যবস্থাও করে দেব। রাস্তায়, ফুটপাতে ও যেখানে সেখানে কোরবানি না দিয়ে আপনারা শুধু দায়িত্ব নিয়ে প্যান্ডেলে এসে পশু কোরবানি দেবেন।'এক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, 'আধুনিক জবাই খানা নির্মাণের জন্য দ্রুতই আমরা পদক্ষেপ নিব৷ সংশ্লিষ্ট বিভাগকে আমি নির্দেশনা দিয়েছি আধুনিক জবাইখানা নির্মাণের জন্য। গাবতলী স্থায়ী পশুর হাটের পাশেই উন্নত দেশের মতো আধুনিক জবাইখানা নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।'
আরও পড়ুন: সাড়ে ৯ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য স্থানান্তর করেছে ডিএসসিসি
দুপুর ২টা থেকে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ শুরু হবে: মেয়র তাপস
২ বছর আগে