বিকাল ৪টার দিকে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে সিটিটিসি প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, ভগিরথপুরের ৫তলা ভবনে অভিযান ৪টার দিকে শেষ হয়েছে। এক নারীসহ দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের আত্মসমর্পণ করতে বলেছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের ওপর গুলি চালায়। পরে শুরু হয় বন্দুকযুদ্ধ। তারা বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে।’
আস্তানা থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং চারটি অবিস্ফোরিত বোমা উদ্ধার করা হয়েছে, যোগ করেন তিনি।
এর আগে সকালে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল (সিটিটিসি) ইউনিট এবং সোয়াট ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযান শুরু করে।
সিটিটিসি ইউনিট সোমবার রাত থেকে সদর উপজেলার মাধবদীতে আরেকটি আস্তানা ঘেরাও করে রেখেছে।
মাধবদী থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম জানান, সোমবার রাত ৯টা থেকে মাধবদীর পৌরসভার অধীনে গঙ্গাপুর এলাকার আফজাল হাজীর সাত তলার বাড়িটি ঘিরে রেখেছে শতাধিক পুলিশ। এছাড়া ভগিরথপুর এলাকার কাপড় ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেনের আরেকটি পাঁচ তলার বাড়িও ঘেরা করা হয়েছে।
রাতে সিটিটিসি দলের সাথে সোয়াট ও ডিএমপির বিশেষ শাখার সদস্যরা যোগ দেয়। পরে মঙ্গলবার সকালে র্যাবের একটি দল তাদের সাথে যোগ দেয়।
সিটিটিসি প্রধান মনিরুল ইসলাম সকাল ৯টায় ভগিরথপুরে পৌঁছান এবং সাংবাদিকদের জানান, তারা ধারণা করছেন ওই বাড়িতে বিস্ফোরকসহ ৩-৪ জন জঙ্গি অবস্থান করছে।
সকাল ১০টা ১০ মিনিটে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, পিপিএম ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পরে লাউড স্পিকারে মনিরুল ইসলাম জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানান।
কোনো সাড়া না পেয়ে বেলা সাড়ে ১১টায় সোয়াট টিম বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে এবং অভিযান শুরু করে।
পুলিশের মহাপরিদর্শক মো. জাভেদ পাটোয়ারী বেলা ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
সদর উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ আলম মিয়া জানান, এর আগে রাতে উভয় বাড়ির ৫০০ গজ আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন।
এদিকে, ভগিরথপুরের বাড়িটির ভাড়াটে হিসেবে সন্দেহভাজন এক জঙ্গিকে আনার অভিযোগে মো. নাজমুল নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।