তিনি বলেন, নারীদের অংশগ্রহণ সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে গেলেও তারা এখনো ঘরে-বাইরে নির্যাতিত হচ্ছেন। এ নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। নারীরা পরিবার তথা সমাজ ও জাতির অন্যতম চালিকা শক্তি।
সহস্রাব্দের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেদের প্রস্তুত করে লিঙ্গ সমতাপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ার কাজে সবাইকে এক সাথে কাজ করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শুক্রবার রাজধানীতে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ মহিলা জজ অ্যাসোসিয়েশনের ২৯তম সাধারণ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির দ্রুত প্রসারের কল্যাণে বিশ্বের যে কোনো দেশের যে কোনো বিষয় এখন হাতের মুঠোয়। তথ্যপ্রযুক্তির এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নারীদের জ্ঞানের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করার পরামর্শ দেন তিনি।
আনিসুল হক জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিচক্ষণ সিদ্ধান্তে ১৯৭৪ সালে প্রথমবারের মতো বিচার বিভাগে নারীদের যোগ দেয়ার বাধা বিলুপ্ত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ২০০১ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ২০১১ সালে আপিল বিভাগে সর্বপ্রথম নারী বিচারপতি নিয়োগ দেন।
তাছাড়া ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে নারীদের অংশগ্রহণ ও সুযোগের সমতা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা হয় বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ মহিলা জজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তানজীনা ইসমাইলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি জিনাত আরা ও সলিসিটর জেসমিন আরা বেগম বক্তৃতা করেন।