বিচারক
বিচারকের সঙ্গে অশোভন আচরণ: পিপির আইন পেশা পরিচালনার উপর এক মাসের নিষেধাজ্ঞা
বিচারকের সঙ্গে অশোভন আচরণ করায় খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জহিরুল ইসলাম পলাশের আইন পেশা পরিচালনার উপর এক মাসের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুলের পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১০ জুন দিন ধার্য করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসলামপুর পৌর মেয়রকে বরখাস্তের আদেশ হাইকোর্টে স্থগিত
মঙ্গলবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে পিপির পক্ষে ছিলেন- আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।
এর আগে আদালত অবমাননা ও সোশ্যাল মিডিয়াতে বিচারকের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হেয় প্রতিপন্নমূলক বক্তব্য সম্বলিত ভিডিও প্রকাশ করার ঘটনায় হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন পিপি জহিরুল ইসলাম পলাশ।
গত ৩ এপ্রিল ভিডিও প্রকাশের ব্যাখ্যা দিতে আইনজীবী জহিরুল ইসলাম পলাশকে তলব করেন হাইকোর্ট। তাকে সশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার ঘটনায় কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্ব-প্রণোদিত হয়ে ওই আদেশ দেন।
জানা গেছে, গত ৩১ মার্চ খুলনা মেট্রোপলিটন আদালতের বিচারক তরিকুল ইসলাম তাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা ও হেয় প্রতিপন্নমূলক ভিডিও প্রকাশের অভিযোগ এনে প্রধান বিচারপতি বরাবর একটি চিঠি পাঠান।
চিঠিতে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জহিরুল ইসলাম পলাশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানানো হয়।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচন: ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
তাপপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে পরিকল্পনা গ্রহণে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
৫ মাস আগে
মামলা জট কমাতে হলে বিচারকের সংখ্যা বাড়াতে হবে: প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান জানিয়েছেন, মামলা জোট কমাতে হলে বিচারকের সংখ্যা বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে যে পরিমাণ বিচারক থাকা দরকার সেই পরিমাণ বিচারক নেই, তাই মামলার জট থাকবেই।
শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালত প্রাঙ্গণে আসা বিচার প্রার্থীদের জন্য বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দলগুলোকে সহনশীল হওয়ার আহ্বান প্রধান বিচারপতির
তিনি বলেন, দেশে ৯০ থেকে ৯৫ হাজার মানুষের জন্য মাত্র একজন বিচারক। এছাড়া সরকারকে বিচারকের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানান তিনি।
বিচাপতি আরও বলেন, মানুষ সামান্য বিষয়েও কারণে-অকারণে আদালতে মামলা করে, যা বাড়িতে বসেই সামাজিকভাবে সমাধান করা সম্ভব।
তিনি বলেন, মামলার জট কমাতে হলে আমাদের সামাজিক ও পারিবারিক বিচার বা সালিশে জোর দিতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ পারভেজ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানসহ বিচারক ও আইনজীবীরা।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের মামলায় ফখরুলের জামিন আবেদন খারিজ
৮ মাস আগে
বিচারকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারকে চিঠি
সারা দেশের সব আদালত ও ট্রাইব্যুনাল এবং বিচারকদের গাড়ি ও বাসভবনের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও ঢাকার পুলিশ কমিশনারকে চিঠি পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ চিঠি পাঠান।
আরও পড়ুন: বিচারককে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য: দিনাজপুরের মেয়র জাহাঙ্গীরকে এক মাসের কারাদণ্ড
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোতে সারা দেশের বিচারকরা চরমভাবে উদ্বিগ্ন, আতঙ্কিত ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি মহানগর দায়রা জজ আদালত, ঢাকা ও জেলা জজ আদালত এবং খুলনায় বোমা হামলা হয়েছে। ইতোপূর্বে কুমিল্লা আদালতে বিচারকের খাস কামরায় বিচারপ্রার্থীকে হত্যার ঘটনা ও সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোতে সারাদেশের বিচারকেরা চরমভাবে উদ্বিগ্ন, আতঙ্কিত ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। দেশের বিচার ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য দেশের সবগুলো আদালত ও ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণ, বিচারকদের বহনকারী গাড়ি ও বাসভবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অতি জরুরি।
সারা দেশের সবগুলো আদালত ও ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণ এবং বিচারকদের বহনকারী গাড়ি ও বাসভবনের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
এ অবস্থায় সারাদেশের সবগুলো আদালত ও ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণ, বিচারকদের বহনকারী গাড়ি এবং বাসভবনে সার্বক্ষণিক পুলিশি পাহারা ও পর্যাপ্ত পুলিশ ফোর্স মোতায়েনসহ সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
আরও পড়ুন: তারেক-জোবাইদাকে দোষী সাব্যস্ত করা নিম্ন আদালতের বিচারককে হত্যার হুমকি দিয়ে চিঠি
বগুড়ায় বিচারকের সই জাল করে আসামিদের অব্যাহতি, সাবেক পেশকারসহ গ্রেপ্তার ৫
১০ মাস আগে
বগুড়ায় বিচারকের সই জাল করে আসামিদের অব্যাহতি, সাবেক পেশকারসহ গ্রেপ্তার ৫
বগুড়ায় বিচারকের সই জাল করে মাদক মামলার আসামিদের অব্যাহতি দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে বগুড়া মুখ্য বিচারিক হাকিম (সিজিএম) আদালতের কর্মচারীসহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৭ অক্টোবর) বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- সিজিএম আদালতের বেঞ্চ সহকারী কামরুজ্জামান, জারীকারক এম এ মাসুদ, তার শ্যালক হারুন অর রশিদ (সাজন), সদ্য অবসরপ্রাপ্ত পেশকার আব্দুল মান্নান ও মোক্তার হোসেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ২ শিক্ষার্থীকে জিম্মি করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
গ্রেপ্তার বাদে অন্য চার আসামি হলেন- অবসরপ্রাপ্ত পেশকার আব্দুল মান্নানের ছেলে আবু সাহেদ, নিশিন্দারা এলাকার ওহেদুজ্জামান মাসুদ, নওগাঁর আয়েশা আক্তার শিমু ও মরিয়ম আক্তার নিপু।
জানা যায়, মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মাকসুদুর রহমান বাদি হয়ে ৯জনকে আসামি করে মামলাটি করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পেশকার আব্দুল মান্নানের ছেলে আবু সাহেদসহ পাঁচজন ২০২০ সালের একটি মাদক মামলার আসামি। চলতি বছরের ১৪ মে এই মামলার আসামিদের সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ছিল। মামলার আরেক আসামি আয়েশা আক্তার শিমু জামিন নিয়ে পলাতক ছিলেন। তবে সেদিন আবু সাহেদ, মোক্তার হোসেন, ওয়াহেদুজ্জামান হাজিরা দেন। আর মরিয়ম আক্তার নিপুর পক্ষে তাদের আইনজীবী আদালতে সময় প্রার্থনা করেন। সাক্ষী না থাকায় বিচারক জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মির্জা শায়লা আসামিদের সময় প্রার্থনা মঞ্জুর করে আরেকটি দিন ধার্য করেন।
কিন্তু এই দিন ধার্যের আদেশের নথি আদালত থেকে গায়েব হয়ে যায়। পরবর্তীতে পাঁচ মাস পর ১৪ অক্টোবর বিকালে বেঞ্চ সহকারী আব্দুর রশিদ একটি নথি পান।
এতে দেখা যায়, সাবেক পেশকার আব্দুল মান্নানের ছেলে আবু সাহেদের পক্ষে ফৌজদারি কার্যবিধি ২৪৯ ধারার বিধান মতে ওই মামলার কার্যক্রম স্থগিতের নথিতে আসামিদের অব্যাহতি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া আছে।
বিষয়টি খোঁজখবর করে আদালত কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারে সিজিএম আদালতের বেঞ্চ সহকারী কামরুজ্জামান, জারীকারক এম এ মাসুদ, তার শ্যালক হারুন অর রশিদের (সাজন) যোগসাজশে বিচারকের সই জালিয়াতি করেছেন।
জালিয়াতি মামলার বাদি মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, আব্দুল মান্নান আদালতের পেশকার ছিলেন। তার ছেলে আবু সাহেদ ২৬০ পিস ইয়াবা নিয়ে গ্রেপ্তার হন। সেই মামলার শুনানি ছিল। পেশকার হওয়ার সুবাদে তিনি আদালদের অন্য কর্মচারীদের হাত করে নথি জালিয়াতি করেন।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলি উল্লাহ বলেন, সিজিএম আদালত থেকে বিচারকের সই ও নথি জালিয়াতির ঘটনা পুলিশকে জানানো হয়। পরে সোমবার আদালত থেকে তিন কর্মচারীকের গ্রেপ্তার করা হয়। আর শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে অভিযান পরিচালনা করে আব্দুল মান্নান ও মোক্তার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: ভোলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় ৩৪ জেলে গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
বিচারককে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য: দিনাজপুরের মেয়র জাহাঙ্গীরকে এক মাসের কারাদণ্ড
আদালত অবমাননার দায়ে দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমকে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে, যা অনাদায়ে আরও ৭ দিনের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন। জাহাঙ্গীর আলমকে অবিলম্বে দিনাজপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। আদালত অবমাননার আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক এবং জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
জানা যায়, বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলার হাইকোর্টের রায়কে কেন্দ্র করে আপিল বিভাগের বর্তমান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমকে নিয়ে ইউটিউবে জাহাঙ্গীরের দেওয়া এক বক্তব্যের সূত্রে আদালত অবমাননার অভিযোগে আবেদনটি করা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির তিন সদস্যসহ চার আইনজীবী আবেদনটি করেছিলেন।
আরও পড়ুন: মেয়র তাপসের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা: শুনানি ১৪ আগস্ট
তারা হলেন- মোহাম্মদ হারুন-উর রশিদ, মাহফুজুর রহমান, মনিরুজ্জামান রানা ও শফিক রায়হান।
গত ১৭ আগস্ট এই আবেদনের শুনানি করে আপিল বিভাগ মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে ২৪ আগস্ট হাজির হতে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে আদালত অবমাননার জন্য জাহাঙ্গীরকে কেন শাস্তি দেওয়া হবে না, সে বিষয়ে তাকে কারণ দর্শাতে বলা হয়।
এরপর ২৪ আগস্ট হাজির হয়ে তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ওইদিন শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) শুনানির তারিখ রাখেন। এদিন সকাল ৯টায় জাহাঙ্গীরকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী তিনি আজ আদালতে হাজির হন।
৩ আগস্ট বিএনপির কর্মসূচি চলাকালে খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধির রায় প্রদানকারী বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন মেয়র জাহাঙ্গীর। ওই বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিষয়টি আদালত অবমাননাকারী দাবি করে আবেদন করেন চার আইনজীবী।
উল্লেখ্য, বিএনপি নেতা দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ২০১১ সালে প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন। ২০২১ সালে টানা তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন তিনি।
আরও পড়ুন: মেয়র তাপসের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা
১ বছর আগে
চট্টগ্রামে বিচারকের ওপর হামলা: নেতার ছেলের কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে বিচারকের ওপর হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা হাজি ইকবালের ছেলে আলী আকবর ইকবালের ৫ বছরের কারাদণ্ড আপিলেও বহাল রেখেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
আপিলে রায় বহালের বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের বেঞ্চ সহকারী নেছার আহম্মেদ জানান, রায় দেওয়ার তারিখ থেকে এক মাসের মধ্যে আসামি আলী আকবর ইকবালকে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ২ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন
আলী আকবর ইকবাল চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্দর থানা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক হাজি ইকবালের ছেলে। জামিন পেয়ে সে লন্ডনে পালিয়ে যায়। জানা গেছে দণ্ডিত আলী আকবর চট্টগ্রামের আলোচিত যুবলীগ কর্মী মহিউদ্দিন হত্যা মামলার আসামি।
৩ বছর আগে ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর নগরীর পতেঙ্গার আউটার রিং রোডে রেসিং করে উল্টোপথে মোটরসাইকেল চালানোর প্রতিবাদ করায় চট্টগ্রামের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ জহির হোসেনের ওপর হামলা করে আলী আকবর ইকবাল ও তার সহযোগিরা। ওই ঘটনায় তাৎক্ষণিক সহযোগী আলী জিসান সহ আকবরকে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটরার পরপরই বিচারক জহির উদ্দিনের গাড়িচালক রাজু শেখ বাদী হয়ে আলী আকবর ও আলী হোসেন জিসানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ২০২০ সালের ২১ ডিসেম্বর আলী আকবর ও তার সহযোগী আলী হোসেন জিসানকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করে পুলিশ।
২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহিউদ্দিন মুরাদের আদালত আলী আকবর ইকবালকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন। অন্য আসামি আলী হোসেন জিসানকে খালাস দেন। এর আগে ২০২১ সালের ৮ মার্চ আসামী পক্ষ আলী আকবরের রায় বাতিল চেয়ে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে আপিল করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে হত্যা: ২ ছিনতাইকারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নাটোরে ধর্ষণ মামলায় সাবেক ইউপি মেম্বারের ২৬ বছরের কারাদণ্ড
১ বছর আগে
তথ্য-প্রযুক্তিসহ পেশাগত প্রশিক্ষণ দিয়ে বিচারকদের দক্ষ করতে হবে: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তিসহ পেশাগত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিচারকদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বিচার পাওয়া জনগণের অধিকার। তাই বিচারক স্বল্পতার কারণে বিচারপ্রার্থীরা যাতে ভোগান্তির শিকার না হয়, সেজন্য জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ প্রক্রিয়া আরও গতিশীল করতে হবে।
সোমবার (৭ আগস্ট) বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিচারক নিয়োগের পাশাপাশি আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তিসহ সময়োপযোগী পেশাগত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিচারকদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে: নবনিযুক্ত দুদক কমিশনারকে রাষ্ট্রপতি
সোমবার বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন-২০২২ পেশ করতে যায়।
সাক্ষাৎকালে জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান নিয়োগ প্রক্রিয়াসহ কমিশনের সার্বিক কার্যক্রম এবং বার্ষিক প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে জানান।
রাষ্ট্রপতি জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের কর্মকাণ্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং কমিশন তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব আগামীতে আরও নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: স্কাউটদের আইসিটিসহ আধুনিক প্রশিক্ষণ দিতে নেতৃবৃন্দের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
বাংলাদেশ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে বদ্ধপরিকর: রাষ্ট্রপতি
১ বছর আগে
আইনজীবী ও বিচারক একে অপরের পরিপূরক: প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, আইনজীবী ও বিচারক একে অপরের পরিপূরক।
তিনি বলেন, বারের সহযোগিতা ছাড়া বেঞ্চ চলতে পারে না। আবার বেঞ্চের সহযোগিতা ছাড়া বার চলতো পারে না।
বুধবার (৩ মে) বিকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: স্বল্প সময়ে বিচারকাজ সম্পন্ন করা বিচারক ও আইনজীবীদের দায়িত্ব: প্রধান বিচারপতি
তিনি বলেন, আদালত পিছিয়ে থাকলে রাষ্ট্রও পিছিয়ে থাকবে। এত বাধার পরেও পদ্মা সেতু হয়েছে। সংবাদপত্রে দেখলাম বিশ্ব ব্যাংকে পদ্মা সেতুর একটি ছবি উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তারা বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেছে। আমরা চাই জুডিশিয়ারিও এসকলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলবে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ১৯৭১ সালের পর ৭২ সালে এ দেশে ১৫২টি প্রেসিডেনশিয়াল রুল জারি হয়। এটা এত দ্রুত সম্ভব হয়েছে কারণ সেই সংসদে আইনজীবীদের সংখ্যা বর্তমানের চেয়ে অনেক বেশি ছিল।
আমি চাই আপনারা পার্লামেন্টে আসুন এবং জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করুন। এই সংসদে যদি একশ’ আইনজীবী থাকত তাহলে সংসদ কত সুন্দর হত।
এছাড়া আমি আশা করব আপনারা পার্লামেন্টে যাবেন।
আরও পড়ুন: দেশের কোর্টগুলোতে প্রায় ৪০ লাখ মামলা বিচারাধীন: প্রধান বিচারপতি
তিনি বলেন, আমি যখন লইয়ারদের সংস্পর্শে আসি তখন আমার মনে হয় আমি তাদেরই একজন। আমি দীর্ঘদিন এই পেশায় ছিলাম। সিনিয়র আইনজীবীদের দেখলে বা কথা বললে মনে হয় তাদের সঙ্গে যদি আরও মিশতে পারতাম আরও অনেক শিখতে পারতাম।
তাদের কাছ থেকে আমাদের অনেক শেখার আছে। বিশেষ করে যারা এখানে জুনিয়র আছেন তাদের।
তিনি আরও বলেন, কোন একটি পাখা দুর্বল হলে পাখি উড়তে পারবে না। যারা আদালতের বারান্দায় ঘুরে সঠিক বিচার পায় না তাদের বিচার নিশ্চিত করা শুধু সরকারের নয়, এটা আইনজীবীদেরও দায়িত্ব।
কত মানুষ এই আদালতে ঘুরে। তারা যদি বলে দেশে আইনের বিচার নেই তাহলে আমরা কষ্ট পাবো।
তাই আসুন আমরা সকলে মিলে চেষ্টা করি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েলসহ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যরা, জেলা প্রশাসক (ডিসি) মঞ্জুরুল হাফিজ ও জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেল প্রমুখ।
পরে প্রধান বিচারপতি নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতে আগত বিচারপ্রার্থীদের জন্য বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন করেন এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আরও পড়ুন: বিচার বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হলে গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে: প্রধান বিচারপতি
১ বছর আগে
বগুড়ার আলোচিত সেই জজের বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত
বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবকদের পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করার অভিযোগের জেরে বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩-এর বিচারক রুবাইয়া ইয়াসমিনের বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে তাকে বিচারিক কার্যক্রম থেকে প্রত্যাহার করে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) আইন মন্ত্রণালয় এবং সুপ্রিম কোর্টের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার (২১ মার্চ)প্রধান শিক্ষিকার কক্ষে দুই শিক্ষার্থীর মাকে বিচারকের (অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ) পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করার ঘটনায় বগুড়া সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ বিক্ষোভ ও রাস্তা অবরোধ করে।
তারা ঘটনার সম্মানজনক বিচার দাবিতে বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দুই দফা সড়ক অবরোধ এবং স্কুলে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ দেখায়।
খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক মো.সাইফুল ইসলাম ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দেন।
তবু শিক্ষার্থীরা অনড় থাকলে জেলা প্রশাসক জেলা জজের সঙ্গে কথা বলে জানান, ওই বিচারকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এরপর শিক্ষার্থীরা শান্ত হয়।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে শিশুসহ নিহত ৩, আহত ৪
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, প্রধান বিচারপতির নির্দেশক্রমে বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিনকে প্রত্যাহার করে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। তাকে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) মো. মিজানুর রহমানের সাক্ষরে সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বগুড়া সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণি ঘ শাখায় বগুড়া জজ আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ -৩ আদালতের বিচারক বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিন এর মেয়ে জারা পড়াশোনা করে। বিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে থাকে। গত সোমবার ওই কর্মকর্তার মেয়ের শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেয়ার কথা ছিল। তবে নিজেকে জজের মেয়ে পরিচয় দিয়ে সে শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দিতে অস্বীকার করে। এই নিয়ে তার অপর সহপাঠীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ করে বলেন, ওই রাতেই জজের মেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মাধ্যমে তার সহপাঠীদের বস্তির মেয়ে উল্লেখ করে অপমানজনক একটি পোস্ট দেয়।
ওই পোস্টে বিচারকের মেয়ের ৪ জন সহপাঠী পাল্টা উত্তর দেয়। এই নিয়ে ওই জজ সকালে বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুনকে মঙ্গলবার ওই ৪ অভিভাবককে ডাকতে বলেন।
মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে প্রধান শিক্ষকের ডাকে ওই ৪ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে আসেন। ওই সময় সেই কর্মকর্তা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হুমকি দিয়ে জেল দেয়ার কথা বলেন। এই সময় দুই অভিভাবকে ওই জজের পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়। এ খবর ছাত্রীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। তারা এ অপমান মেনে নিতে না পেরে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তারা স্কুলের সামনের দু’দফা রাস্তা অবরোধ করলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে জেলা প্রশাসক বিচারের আশ্বাস দিলে তারা ক্যম্পাসে ফিরে যায়। এরপর স্কুল প্রাঙ্গণে সবাইকে নিয়ে প্রকাশ্যে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বগুড়া জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নিলুফা ইয়াসমিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে ১ জনের মৃত্যুদণ্ড, ২ জনের যাবজ্জীবন
বগুড়ায় কিশোরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
স্ত্রীর মামলায় সেই বিচারকের হাইকোর্টে জামিন
স্ত্রীর করা যৌতুক ও নারী নির্যাতন মামলায় রংপুরের সাবেক জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম দেবাংশু কুমার সরকার ও তার বাবাকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: দুদকের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া ৪৭৩ নথি আদালতে দাখিলের নির্দেশ
শুনানিতে আসামি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমদ ভূঁইয়া।
এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি তাদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক মোস্তফা কামাল।
রংপুরের রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি খন্দকার রফিক হাসনাইন জানিয়েছিলেন, গত বছরের ২২ এপ্রিল ৩০ লাখ টাকা যৌতুক না দেয়ায় শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে ডা. হৃদিতা সরকার তার স্বামী দেবাংশু সরকারসহ চারজনের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এ মামলা করেন।
মামলাটি আদালতের আদেশে পিবিআই তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেছে। তবে বাদী প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করেন।
রফিক হাসনাইন বলেন, ৮ ফেব্রুয়ারি আদালতের বিচারক তদন্তের বিষয়ে পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার জাকির হোসেন ও তদন্ত কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দেবাংশু কুমার সরকার ও তার বাবা সুধাংশু কুমার সরকারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
একইসঙ্গে বাদীর নারাজির আবেদন আংশিক মঞ্জুর করেন আদালত।
আরও পড়ুন: আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক, আদালতে ফিরছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইনজীবীরা
নীরব হত্যা: ৫ শিক্ষার্থীর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
১ বছর আগে