তিনি বলেন, ‘দগ্ধ নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার খোঁজখবর নিয়েছেন এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নিতেও বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই বাংলাদেশ এবং সিঙ্গাপুরে খ্যাতনামা চিকিৎসকরা আমার মেয়ের চিকিৎসার জন্য কাজ করে গেছেন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মমতায় মেয়েকে বাঁচানো যায়নি।’
স্থানীয় সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘হকার্সে’র সংবাদকর্মীরা নুসরাতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করতে গেলে তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ের মৃত্যর পর এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করার জন্য দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি নির্দেশনা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। আর তার ফলশ্রুতিতে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রায় সব আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে।’
মুসা মানিক আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন যে অপরাধী যেই হোক, যে দলেরই হোক না কেন তাদের রেহাই নেই। প্রধানমন্ত্রী একজন নারী হয়ে আরেকজন নারীর পাশে থাকায় বাংলাদেশের সব নারীর কাছ থেকে তিনি কৃতজ্ঞতা পাওয়ার দাবিদার।
‘আমরা আশাবাদী যে প্রধানমন্ত্রী শুরু থেকে যেভাবে এ ব্যাপারে মনোযোগী ছিলেন, শেষ পর্যন্ত মনোযোগী থাকলে কোনো আসামিই রেহাই পাবে না এবং তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে,’ যোগ করেন তিনি।
মাদরাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ২৭ মার্চ আনা যৌন হয়রানির অভিযোগ প্রত্যাহার করতে রাজি না হওয়ায় নুসরাতকে ৬ এপ্রিল মাদরাসার ছাদে ডেকে নিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে যাওয়া নুসরাত ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সাতজন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।