এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে চোখে কালো ব্যাচ বেঁধে ৩ ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান অস্থির পরিস্থিতি সমাধানের লক্ষ্যে গতকাল বুধবার বিকাল থেকে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের কার্যক্রম শুরু করেন। বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত কাজ শেষ করে সন্ধ্যায় ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন।
কমিটির প্রধান ও ইউজিসির সদস্য মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘আমরা সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব। আমরা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি।’
এদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, জাতির পিতার নামাঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস চ্যান্সেলর খোন্দকার নাসিরউদ্দিন এর সকল অনিয়ম, দুর্নীতি, নৈতিক স্খলন, ভর্তি ও নিয়োগ বাণিজ্য এবং স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনশন এবং অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা। এই আন্দোলনকে একটি মহল ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের তদন্ত কমিটির সুষ্ঠু তদন্ত আশা করে তারা ভাইস চ্যান্সেলরের সকল অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, নিয়োগ ও ভর্তি বাণিজ্য এবং অন্যান্য সকল অপকর্মের সুষ্ঠু তদন্ত করে এর সত্যতা সাপেক্ষে বস্তুনিষ্ঠ ও প্রকৃত প্রতিবেদন দাখিলের দাবি জানান।
দুই সহকারী প্রক্টরের পদত্যাগ
প্রশাসন বিরোধী অহিংস আন্দোলন চলাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের হামলার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির আরও দুই সহকারী প্রক্টর পদত্যাগ করেছেন।
তারা হলেন- কৃষি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. নাজমুল হক এবং ফার্মেসি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. তরিকুল ইসলাম।
পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. নুরউদ্দিন আহমেদ।