পদত্যাগ
দাবি একটাই, শেখ হাসিনার পদত্যাগ: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দাবি একটাই, হাসিনার পদত্যাগ। ফয়সালা হবে রাজপথে। সেই বাংলাদেশকে ফিরিয়ে দিতে হবে। যেই বাংলাদেশ আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে পেয়েছি, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। শনিবার (২০ মে) বিকালে লালমনিরহাট কালেক্টরেট মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় মির্জা ফখরুল বলেন, ভোট ডাকাত সরকার ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াতে চেয়ে পারেনি, সারের দাম কয়েক দফায় কয়েকগুণ বাড়িয়েছে, আজ মানুষ পেঁয়াজ কিনতে পারছে না, ডিম কিনতে পারছে না। দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে আওয়ামী লীগ দেশের সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করেছে।
তিনি বলেন, আমাদের দলের প্রায় ৪০ লাখ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। সাবেক এমপিসহ হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গুম করেছে। ক্রসফায়ারের নামে নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। অসংখ্য শিশু বাবার জন্য, অসংখ্য স্ত্রী তার স্বামীর জন্য, অনেক মা তার সন্তানের আগমনের প্রতিক্ষা করছে। শেখ হাসিনা সরকার আমাদের এমন দেশ উপহার দিয়েছে।
আরও পড়ুন: 'আপনার সময় শেষ': সরকারের প্রতি ফখরুল
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ উন্নয়নের কথা বলে। সে উন্নয়ন কোথায়? উন্নয়ন তাদের ঘরে। যাদের সাইকেল ছিল না সেই নেতা এখন গাড়ি চালায়। ভূমিহীন নেতারা এখন অসংখ্য আলিসান বাড়ি-গাড়ির মালিক। এই সব তাদের উন্নয়ন। দেশকে ধ্বংস করে নিজেদের উন্নয়ন করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। আমরা বলেছি যে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া এ দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। এজন্য শেখ হাসিনা সরকারকে আগে পদত্যাগ করতে হবে। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায় সরকার গঠন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। নতুন আইন করেছে, নির্বাচন কমিশন কোনো নির্বাচন বাতিল করতে পারবে না। এমন বানানো নির্বাচন কমিশন আমরা চাই না।
ফখরুল বলেন, যারা আমাদের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র কেড়ে নিয়েছে। তাদের আর ক্ষমতায় থাকার সময় নেই। তাদেরকে বিতাড়িত করার সময় এসেছে। ‘কোনঠে বাহে জাগো সবাই’। দাবি একটাই, শেখ হাসিনার পদত্যাগ।
সরকার পতনের আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।
বেগম কালেদা জিয়ার শর্তহীন মুক্তি, দ্রব্যমুল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ও ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজিব প্রধান, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রোকন উদ্দিন বাবুল, যুগ্ন সম্পাদক একেএম মমিনুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেনসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রদূতদের ‘অতিরিক্ত পুলিশ এসকর্ট’ প্রত্যাহার সরকারের ‘চরম দায়িত্বহীনতা’: ফখরুল
এটা সরকারের সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র: খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা প্রসঙ্গে ফখরুল
বরিস জনসনের ঋণ নিয়ে ক্ষোভের মধ্যে বিবিসি প্রধানের পদত্যাগ
যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের জন্য ২০২১ সালের ঋণের ব্যবস্থা করার ক্ষেত্রে নিজের ভূমিকার বিষয়ে স্বার্থের সম্ভাব্য দ্বন্দ্ব প্রকাশ করতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে পদত্যাগ করেছেন বিবিসির চেয়ারম্যান।
শুক্রবার এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন পাওয়ার পর তিনি পদত্যাগ করেন।
সরকারের সুপারিশে বিবিসি পদে নিযুক্ত হওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগে রিচার্ড শার্প ক্রেডিট লাইনের ব্যবস্থা করতে সাহায্য করেছিলেন বলে প্রকাশের পর সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত জাতীয় সম্প্রচারকারী সংস্থাটি রাজনৈতিক চাপের মধ্যে পড়েছে।
ধনী কানাডিয়ান ব্যবসায়ী স্যাম ব্লিথের কাছ থেকে আট লাখ পাউন্ড বা (দশ লাখ ডলার) লাইন অফ ক্রেডিট এসেছে। যিনি জনসনের সঙ্গে কনজারভেটিভ পার্টির দাতা শার্পের পরিচয় করিয়েছিলেন। জনসন দলের নেতার পাশাপাশি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীও ছিলেন।
শার্প বলেছিলেন যে তিনি নিয়মগুলোর একটি ‘অজান্তে’ লঙ্ঘন করার পরে ‘বিবিসির স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে’ পদত্যাগ করছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি যে এই বিষয়টি কর্পোরেশনের ভাল কাজ থেকে একটি বিভ্রান্তি হতে পারে যদি আমি আমার মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত পদে থাকতাম।’।
আরও পড়ুন: ভারতে বিবিসি’র কার্যালয়ে তৃতীয় দিনের মতো অভিযান, কর ফাঁকির অভিযোগ
শার্প বলেছেন যে নতুন চেয়ারম্যান খোঁজ করা হচ্ছে। জুনের শেষ পর্যন্ত নতুন চেয়ারম্যান না পাওয়া পর্যন্ত তিনি বিবিসিতে তার পদে থাকবেন।
শুক্রবার প্রকাশিত জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডাম হেপিনস্টলের ঘটনার একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে শার্প ‘সম্ভাব্য স্বার্থের দ্বন্দ্ব প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়েছে।’
তদন্তটি ১০০ বছর বয়সী বিবিসির জন্য সর্বশেষ অস্বস্তিকর পর্ব, যা একটি টেলিভিশন সহ সমস্ত পরিবারের দ্বারা প্রদত্ত লাইসেন্স ফি দ্বারা অর্থায়ন করা হয় এবং এর সংবাদ কভারেজের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ হওয়া কর্তব্য।
পাবলিক ব্রডকাস্টার প্রায়শই একটি রাজনৈতিক ফুটবল, রক্ষণশীল সরকারের কিছু সদস্য এর সংবাদ আউটপুটে বামপন্থী তীর্যক দেখেন এবং কিছু উদারপন্থী এটিকে রক্ষণশীল পক্ষপাতিত্বের জন্য অভিযুক্ত করে।
বিবিসি’র প্রধান ক্রীড়া উপস্থাপক ও সাবেক ইংল্যান্ড ফুটবল খেলোয়াড় গ্যারি লিনেকার সোশ্যাল মিডিয়াতে সরকারের অভিবাসন নীতির সমালোচনা করায় বিবিসি মার্চ মাসে বাকস্বাধীনতা এবং রাজনৈতিক পক্ষপাত নিয়ে একটি সমালোচনার মধ্যে পড়েছিল।
ফলে লিনেকারকে স্থগিত করা হয়েছিল এবং তারপরে অন্যান্য ক্রীড়া উপস্থাপক, বিশ্লেষক এবং প্রিমিয়ার লিগের খেলোয়াড়রা সংহতিতে বিবিসি এয়ারওয়েভ বর্জন করার পর তার স্থগিতের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।
আরও পড়ুন: বাংলাসহ ১০ ভাষায় রেডিও সম্প্রচার বন্ধ করছে বিবিসি
আদিবাসীদের সমর্থন করতে পদত্যাগ করলেন অস্ট্রেলিয়ান আইন প্রণেতা
সংসদে তথাকথিত আদিবাসী ভয়েস তৈরির সরকারের প্রস্তাবকে সমর্থন করতে মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার বিরোধী দলের নেতৃত্ব থেকে একজন সিনিয়র আইনপ্রণেতা বিভক্ত হয়েছেন।
ভয়েস তৈরির জন্য অস্ট্রেলিয়ানরা অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে কোনো এক সময় ভোট দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:তাইওয়ানে ৭০ চীনা সামরিক বিমান ও ১১ নৌ জাহাজ শনাক্ত
একটি নির্বাচিত দল যাকে সংসদে আদিবাসীদের স্বার্থের ওকালতি করার জন্য অভিযুক্ত করা হবে কিন্তু আইনে ভোট দেওয়া হবে না।
রক্ষণশীল লিবারেল পার্টির শ্যাডো অ্যাটর্নি-জেনারেল এবং আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ানদের ছায়ামন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন জুলিয়ান লিজার, যাতে তিনি ভয়েস তৈরির পক্ষে ওকালতি করতে পারেন। ছায়া মন্ত্রিসভার সদস্য হিসাবে লিজার সাংবিধানিক পরিবর্তনের বিরোধিতা করতে বাধ্য ছিলেন।
লিজার সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি ভয়েসের সময় এসেছে।’ ‘আমি স্থানীয় এবং আঞ্চলিক সংস্থাগুলো থেকে টানা একটি জাতীয় কণ্ঠে বিশ্বাস করি এবং আমি এই বছর যে গণভোট করা হচ্ছে তাকে সমর্থন করব।’
সিনিয়র আইন প্রণেতারা ভয়েস-এ পার্টি লাইন অনুসরণ করার জন্য বিরোধী দলের নেতা পিটার ডাটনের সমালোচনা করা হয়েছিল।
আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ানদের জন্য প্রাক্তন মন্ত্রী কেন ওয়াট, ভূমিকাটি পূরণ করার জন্য প্রথম আদিবাসী আইন প্রণেতা ভয়েসের বিষয়ে তার অবস্থানের জন্য গত সপ্তাহে লিবারেল পার্টি র সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। গত বছর পার্লামেন্ট নির্বাচনে তার আসন হারান ওয়াট।
লিজার বলেছিলেন যে তিনি নেতা হিসাবে ডাটনের সমর্থক রয়েছেন।
লিজার বলেছিলেন, ‘আমি বিদ্বেষ বা তিক্ততা ছাড়াই পদত্যাগ করছি। আমি একজন অনুগত লিবারেল রয়েছি। পিটার ডাটনের নেতৃত্বে সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
লিজার আরও বলেন, ‘ফ্রন্ট বেঞ্চার হিসাবে আজ আমার পদত্যাগ ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে নয়। এটি বিশ্বাসের দড়ি দিয়ে বিশ্বাস রাখার চেষ্টা করা এবং আমি যা তার অংশ।’
উত্তর-পূর্ব উপকূল থেকে টোরেস স্ট্রেট দ্বীপপুঞ্জের আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ানরা মূল ভূখণ্ডের আদিবাসী জনসংখ্যা থেকে সাংস্কৃতিকভাবে আলাদা। দুটি আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ান জনসংখ্যার তিন দশমিক দুই শতাংশ এবং তারা দেশের সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত জাতিগোষ্ঠী।
ভয়েস মূলত ২০১৭ সালে আদিবাসী এবং টরেস স্ট্রেইট দ্বীপবাসীর আইনজীবীদের একটি গ্রুপ দ্বারা প্রস্তাবিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে ৪.৩ মাত্রার ভূমিকম্প
দ. কোরিয়ার সমুদ্রতীরবর্তী শহরে দাবানল, পালিয়েছে শত শত মানুষ
প্রশাসনিক পদ থেকে আরও ৩ চবি শিক্ষকের পদত্যাগ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রক্টর, সহকারী প্রক্টরসহ ১৫ জনের পদত্যাগের একদিন পরেইই আরও তিন শিক্ষক তাদের বিভিন্ন প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
সোমবার (১৩ মার্চ) দুপুরে চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কেএম নুর আহমদ বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেন শিক্ষকেরা।
আরও পড়ুন: চবিতে সাবেক ও বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস ছাড়ার নির্দেশ
পদত্যাগকারীরা হলেন-দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট ও পরিবহন দপ্তারের প্রশাসক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান হলের প্রভোস্ট ড. সুমন বড়ুয়া এবং সহকারী প্রক্টর মুহাম্মদ ইয়াকুব।
সবাই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সহকারী প্রক্টর মুহাম্মদ ইয়াকুব বলেন, আমি আদর্শিকভাবে নতুন প্রক্টরের বিষয়টি মেনে নিতে পারিনি। তিনি বিএনপিপন্থী মানুষ। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রজীবনে উনার ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার গুঞ্জন রয়েছে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে এরকম কাউকে মনোনীত করা আমার পক্ষে মেনে নেয়া সম্ভব নয়। তাই আদর্শগত কারণে আমি পদত্যাগ করেছি।
তবে অন্যরা কেন পদত্যাগ করেছে আমি জানি না।
অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান হলের প্রভোস্ট ড. সুমন বড়ুয়া বলেন, আমি আমার একান্ত ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেছি। আমার সঙ্গে বাকিদের পদত্যাগের কোনো সম্পর্ক নেই। আমি আমার গবেষণা ও শিক্ষার্থীদের সময় দিতে চাই। তাই একটা দায়িত্ব কমিয়ে নিয়েছি।
এর আগে রবিবার (১২ মার্চ) চবি প্রক্টর, সহকারী প্রক্টরসহ ১৮টি পদ থেকে ১৬ জন শিক্ষক পদত্যাগ করেন। পদত্যাগের পরপরই নতুন প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় মেরিন সায়েন্সেস ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নুরুল আজিম সিকদারকে।
এছাড়া শিক্ষক হওয়ার এক মাসের মাথায় মেরিন সায়েন্সেস ইনস্টিটিউটের নতুন প্রভাষক সৌরভ সাহা জয় এবং ওশানোগ্রাফি বিভাগের মোহাম্মদ রোকন উদ্দিনকে সহকারী প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষকদের গণহারে পদত্যাগের বিষয়ে ভিসি অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, তিনমাস আগে থেকে আমি খবর পাচ্ছি, তারা বিভিন্ন জায়গায় মিটিং করছেন এবং প্রশাসন বিরোধী কথা বলছেন। তাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া ছিলো। চেষ্টা করেছি, কিন্তু সবকিছু পূরণ করতে পারিনি। যারা পদত্যাগ করেছে তাদের সবাইকে রবিউল (সাবেক প্রক্টর) নিয়োগ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চবি প্রশাসন থেকে প্রক্টরসহ ১৭ জনের পদত্যাগ
চবি সিন্ডিকেট নির্বাচনে বিএনপিপন্থী সাদা দলের বিজয়
চবি প্রশাসন থেকে প্রক্টরসহ ১৭ জনের পদত্যাগ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রশাসন থেকে প্রক্টরসহ বিভিন্ন দপ্তরের ১৭ জন পদত্যাগ করেছেন।
রবিবার (১২ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমদ।
জানা গেছে, প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া, সহকারী প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলামসহ বিভিন্ন দপ্তরের মোট ১৭ জন পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন রেজিস্ট্রার বরাবর।
আরও পড়ুন: ২২ দফা দাবিতে চবির চারুকলার শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন ও আন্দোলন
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কে এম নূর আহমদ বলেন, আমি পদত্যাগকারীদের তালিকা তৈরি করছি। পরবর্তীতে জানাতে পারব কারা পদত্যাগ করেছেন।
পদত্যাগকারী সহকারী প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম পদত্যাগপত্রের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পদত্যাগের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আমার গবেষণা ও শিক্ষার্থীদের সময় দিতে চাই। তাই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।
এর আগে গত ৭ মার্চ পদত্যাগ করেন চবির প্রথম নারী সহকারী প্রক্টর ও রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মরিয়ম ইসলাম।
আরও পড়ুন: চবির চারুকলা সংস্কারকাজে এক মাস বন্ধ ঘোষণা
চবি ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ম্যালপাসের পদত্যাগ ঘোষণা
মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বিশ্বব্যাংকের ১৩তম প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস স্থানীয় সময় বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) তার পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। এর পরপরই বিশ্বব্যাংক কর্তৃপক্ষ এক ঘোষণায় জানায়, চলতি ২০২৩ সালেই নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা হবে।
ডেভিড ম্যালপাস ২০১৯ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক মনোনীত হয়ে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের (ডব্লিউবিজি) প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের প্রাক্তন সিনিয়র কর্মকর্তা।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম লিঙ্কডইন-এ দেয়া একটি পোস্টে ম্যালপাস বলেছেন, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার চার বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার এক বছর আগেই তিনি জুনের মধ্যে পদত্যাগ করতে চান।
অধুনা-লুপ্ত বিনিয়োগ ব্যাংক বিয়ার স্টার্নসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ম্যালপাস লিখেছেন, ‘আমার মেয়াদকালে আমরা যা অর্জন করেছি, তার জন্য আমি গর্বিত।’
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শনিবার ঢাকায় আসছেন
তিনি লিখেছেন, ‘আমরা দারিদ্র্য হ্রাস করতে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে, সরকারি ঋণের বোঝা কমাতে এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, সামাজিক সুরক্ষা ও চাকরি, লিঙ্গসমতা এবং বিশুদ্ধ পানির সরবরাহসহ মানব উন্নয়নের সকল ক্ষেত্রে জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে কঠোর পরিশ্রম করেছি।’
ম্যালপাসের নেতৃত্বে, বিশ্বব্যাংক গ্রুপ উন্নয়নশীল দেশগুলোতে দ্বিগুণেরও বেশি জলবায়ু অর্থায়ন করেছে, যা ২০২২ সালে রেকর্ড ৩২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
ম্যালপাস বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সক্ষমকরণ ও বৃদ্ধির প্রচেষ্টারও নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার মেয়াদকালে বিশ্বব্যাংক অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য সহায়তা বাড়িয়েছে, একটি মহামারি তহবিল চালু করেছে এবং একটি জলবায়ু পরিবর্তন কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছে।
অন্যান্য অর্জন তুলে ধরে ম্যালপাস কোভিড-১৯ মহামারির প্রতিক্রিয়ায় গ্রুপের ১৫০ বিলিয়ন ডলার এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ ও এর স্পিলওভার প্রভাবের জন্য ১৭০ বিলিয়ন ডলার প্রতিক্রিয়ার কথাও উল্লেখ করেছেন।
তিনি লিখেছেন, ‘আমি অধীর আগ্রহে অর্থনীতি, ব্যবসা, উন্নয়ন এবং বৈশ্বিক অর্থায়নের ক্ষেত্রে একাধিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।’
ম্যালপাস আরও লিখেছেন, ‘আমি আমার ক্যারিয়ারজুড়ে মানুষের জীবন এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করার উপায় খুঁজেছি।’
১৯৪৪ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্বব্যাংক শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জনপ্রশাসন, অবকাঠামো, কৃষি আর্থিক ও বেসরকারি খাতের উন্নয়ন এবং পরিবেশগত ও প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বিনিয়োগে সহায়তা করার জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোকে স্বল্প সুদে ও বিনা সুদে ঋণ এবং অনুদান প্রদান করে।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার ঢাকা আসছেন
মন্দার ‘খুব কাছাকাছি’ বিশ্ব অর্থনীতি: বিশ্বব্যাংক প্রধান
ক্ষমতাচ্যুতি এড়াতে এখনই পদত্যাগ করুন, সরকারকে ফখরুল
দলের পদযাত্রা কর্মসূচিকে সরকারবিরোধী আন্দোলনের নতুন রূপ আখ্যায়িত করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারকে অবিলম্বে ক্ষমতা ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
শনিবার রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় পদযাত্রা কর্মসূচি শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আজ (শনিবার) ঢাকা শহরে এই নীরব প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে আমরা নতুন আন্দোলন শুরু করেছি। জনগণের সঙ্গে একত্রে নীরব মিছিলের মাধ্যমে আমরা এই ভয়ঙ্কর, দানব সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করব।’
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলের মুক্তির দাবি ৬০ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের
বিএনপি নেতা আরও বলেন, অবিলম্বে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে এবং একটি নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে নতুন কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারকে বার্তা দিতে চান তারা।
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘অন্যথায় আপনাদেরকে খুব মর্মান্তিক ক্ষমতাচ্যুতির মুখোমুখি হতে হবে এবং আপনারা পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না।’
দলের চারদিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপি নেতাকর্মীরা নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে বাড্ডার সুবাস্তু নজর ভ্যালি বাজার থেকে রাজধানীর মালিবাগের আবুল হোটেল এলাকা অভিমুখে মিছিল করেন।
দুপুর আড়াইটার দিকে ফখরুল আনুষ্ঠানিকভাবে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন যা চার কিলোমিটার সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিকাল ৪টার দিকে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়।
তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের কোনো উসকানির জবাব না দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করতে বলেন। ‘আমরা এখন পর্যন্ত আমাদের সকল কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করেছি এবং শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের (সরকার) পতন নিশ্চিত করব।’
সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ তুলে বিএনপি নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে হটিয়ে তারা জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনবে।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন কোনও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। তাই, আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে এবং সংসদ ভেঙে দিয়ে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। যাতে মানুষ একটি নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে তাদের ভোট দিতে পারে।’
ফখরুল বলেন, নির্দলীয় প্রশাসনের অধীনে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি ও সরকারকে নির্বাচিত করবে। ‘নির্বাচিত সরকারই দেশ চালাবে।’
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, চাল, তেল, লবণ, ডিমসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় মানুষ কষ্ট পাচ্ছে।
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, দমনমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে জনগণ এখন সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে পারে না। ‘বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা ও কাল্পনিক মামলায় ফাঁসিয়ে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। তারা (সরকার) পুরো বাংলাদেশকে কারাগারে পরিণত করেছে।
তাদের দলের প্রায় ৩৫ লাখ মানুষ রাজনৈতিক মামলার শিকার হয়েছেন দাবি করে তিনি বলেন, দেশে সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের জন্য এসব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং গ্রেপ্তারকৃত সব নেতাকর্মীকে মুক্তি দিতে হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ২৮, ৩০, ৩১ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে চারদিনের পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।
আগামী ৩১ জানুয়ারি গাবতলী থেকে মিরপুর-১০ মোড় পর্যন্ত মিছিল করবে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি।
এছাড়া ৩০ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থেকে শ্যামপুর এবং ১ ফেব্রুয়ারি মুগদা থেকে মালিবাগ পর্যন্ত পদযাত্রা করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।
আরও পড়ুন: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল হাসপাতালে ভর্তি
মির্জা ফখরুল ও আব্বাসের জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন
পদত্যাগী জেসিন্ডার পরবর্তী কাজ নিয়ে জল্পনা-কল্পনা
চলতি সপ্তাহে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার ঘোষণা দেয়ার পর জেসিন্ডা আরডার্ন এর পরবর্তী কাজ নিয়ে ইতোমধ্যেই জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে।
মাত্র ৪২ বছর বয়সে আইন প্রণেতা হিসেবে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা এবং নেতা হিসেবে সাড়ে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে জেসিন্ডা নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে যাচ্ছেন।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ক্যারিয়ারের সব ধরনের সম্ভাবনা তার জন্য উন্মুক্ত রয়েছে।
জেসিন্ডা বলেছিলেন যে তিনি দায়িত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন, কারণ তার কাছে ‘ন্যায়বিচার করার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ সুযোগ নেই’ এবং তার বাগদত্তা ও চার বছর বয়সী কন্যার সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটানো ছাড়া তার নিজের ভবিষ্যতের জন্য কোনও তাৎক্ষণিক পরিকল্পনাও নেই।
জেসিন্ডা শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমাকে স্বীকার করতে হবে প্রথমবারের মতো গত রাতে আমি দীর্ঘ সময় ভাল ঘুমিয়েছি।’
তিনি জানান, দুঃখ এবং স্বস্তি উভয়ই অনুভব করেছেন তিনি।
অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সহকারী অধ্যাপক স্টিফেন হোডলি বলেছেন যে তিনি কল্পনা করতে পারছেন না যে জেসিন্ডা তার সামর্থ্য এবং দক্ষতা নিয়ে দীর্ঘ সময় বাড়িতে থাকবেন।
হোডলি বলেন, ‘তার সম্ভাবনা আছে, তার ক্ষমতা আছে, তার অনেক কিছু করার গ্রহণযোগ্যতা আছে। কিন্তু আমি ধারণা করি, এই বছরের শেষ নাগাদ সে থেমে যাবে এবং সম্পূর্ণ নতুন ক্যারিয়ার নিয়ে এগুবে।’
আরও পড়ুন: হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ১৪ জন নিহত
হোডলি নিউজিল্যান্ডের আরেকজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী হেলেন ক্লার্কের কর্মজীবনের দিকে ইঙ্গিত করেছিলেন, যিনি উন্নয়ন কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিয়ে জাতিসংঘের শীর্ষ প্রশাসক হয়েছিলেন।
হোডলি বলেছিলেন, ‘জেসিন্ডাকে যেকোনো সংখ্যক জাতিসংঘ বা দাতব্য বা জনহিতকর বা অন্যান্য সংস্থা সম্পৃক্ত করতে পারে।’
‘অনেক, অনেক সম্ভাবনা রয়েছে এবং তার প্রোফাইল এত বেশি হাই যে আমি মনে করি সে নিজেকে মেলে ধরবে।’
জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী জেমস শ ২০০৭ সালে জেসিন্ডার সঙ্গে প্রথম দেখা করেছিলেন এবং বন্ধু হিসেবে থেকেছেন, তিনি বলেছিলেন যে তিনি হতবাক হয়েছিলেন, যখন জেসিন্ডা তাকে পদত্যাগ করার পরিকল্পনার কথা বলেছিলেন। তখন তিনি পুরোপুরি অবাক হননি।
শ বলেছেন, ‘এটি সত্যিই দারুণ পাঁচ বছর হয়েছে।’
একটি আইন প্রণয়ন কর্মসূচির শীর্ষে থাকা শ বলেছেন, ক্রাইস্টচার্চের দু’টি মসজিদে গুলিবর্ষণ, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ২২ জনের মৃত্যু এবং করোনাভাইরাস মহামারিসহ ক্রাইস্টচার্চের দু’টি মসজিদে ব্যাপক গুলিবর্ষণসহ সঙ্কটের একটি সিরিজের মধ্য দিয়ে দেশকে সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য জেসিন্ডার প্রয়োজন ছিল।
শ বলেছেন, সর্বোপরি জেসিন্ডা ক্রমবর্ধমান সংখ্যক হুমকির শিকারও হয়েছেন এবং একটি বিষাক্ত, মিসগোইনিস্টিক অনলাইন সংস্কৃতি যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আরও খারাপ হয়েছে।
শ বলেছেন, ‘আমি আশা করি তিনি সৈকতে তার পরিবারের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাটাতে কিছু সময় পাবে।’
তিনি আরও বলেন, জেসিন্ডাকে তিনি বিশ্বাস করেন, যখন তিনি বলেছিলেন যে তার এখনও ভবিষ্যতের জন্য দৃঢ় পরিকল্পনা নেই।
শ বলেছেন, ‘আমি মনে করি সে এই মুহূর্ত থেকে যা চায় তাই করতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জেসিন্ডা আমার দেখা সবচেয়ে নিঃস্বার্থ, দৃঢ়চিত্ত, সর্বজনীন মনের মানুষদের মধ্যে একজন। তাই আমি মনে করব যে যাইহোক না কেন, এটি জনস্বার্থে হবে।’
আরও পড়ুন: প্রথম সপ্তাহে ‘স্পেয়ার’ ৩২ লাখ কপি বিক্রি
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আরডার্নের পদত্যাগের ঘোষণা
নিজের পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন।
তিনি বলেছেন, ‘তিনি অফিস ছাড়ছেন। দেশটির সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বন্দুক হামলায় হত্যাকাণ্ড ও করোনাভাইরাস মহামারির প্রাথমিক পর্যায় পরিচালনার জন্য বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হয়েছেন।’
বৃহস্পতিবার দেশটির উপকূলবর্তী শহর নেপিয়ারে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ৭ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার শেষ কার্যদিবস।
আরডার্নে নিজ দেশে এমন কিছু রাজনৈতিক চাপ এবং এমন কিছু ব্যক্তির কাছ থেকে তিক্ত সমালোচনার মুখোমুখি হচ্ছিলেন। তার আগে দেশটির কোনো নেতা এগুলোর সম্মখীন হননি। তবুও,তার এই ঘোষণা ৫০ লাখ মানুষের দেশটিতে বড় ধরনের ধাক্কা হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
আরডার্ন বলেন,‘অফিসে আমি ষষ্ঠ বছরে পা দিয়েছি এবং এই বছরগুলোতে আমি আমার সব কিছু দিয়েছি।’
তুলনামূলক কম বয়সে ২০১৭ সালে যখন ৩৭ বছর বয়সী আরডার্ন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জয়লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি বিশ্বজুড়ে নারীদের মাঝে অনুপ্রেরণার প্রতীক হয়ে ওঠেন।
ব্যক্তিজীবনে অন্যান্য রাজনীতিবিদদের মতো তিনি বিবাহিত ছিলেন না। খণ্ডকালীন ডিজে হিসেবে কিছু মিউজিক রেকর্ড করেছেন তিনি। সবকিছু মিলিয়েই তিনি এক নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বের সূচনা করেছিলেন।
অনেকেই মনে করেন যে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিরোধী ছিলেন।
২০১৮ সালে অফিসে থাকা অবস্থায় তিনি সন্তান জন্ম দেন। ওই বছরের শেষের দিকে তিনি তার শিশু কন্যাকে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে নিয়ে আসেন।
আরও পড়ুন: আবারও নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আরডার্ন
২০১৯ সালের মার্চে নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে সবচেয়ে অন্ধকার দিনের সম্মুখীন হন আরডার্ন। সেদিন এক শ্বেতাঙ্গ বন্দুকধারী ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে হামলা চালিয়ে ৫১ জনকে হত্যা করে। এ ঘটনায় যারা বেঁচে গিয়েছিলেন এবং দেশটির মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি যেভাবে সহানুভূতি দেখিয়েছেন তা বিশ্বজুড়ে বেশ প্রসংসিত হয়েছে।
৯ মাসেরও কম সময় পরে তাকে আরেকটি ট্র্যাজেডির মুখোমুখি হতে হয়। সেবার হোয়াইট আইল্যান্ড আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের সময় ২২ জন পর্যটক ও গাইড নিহত হন।
আরডার্ন তার দেশে করোনভাইরাস মহামারির প্রাথমিক পর্যায় পরিচালনার জন্যও বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছিলেন।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বলেছন, আরডার্ন বিশ্বকে দেখিয়েছেন কীভাবে মেধা ও শক্তি দিয়ে নেতৃত্ব দিতে হয়।
আলবানিজ টুইট করে জানান, তিনি দেখিয়েছেন যে সহানুভূতি ও অন্তর্দৃষ্টি শক্তিশালী নেতৃত্বের গুণাবলী।
তিনি আরও বলেন, জেসিন্ডা অনেকের অনুপ্রেরণা এবং আমার একজন ভালো বন্ধু।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো টুইটারে আরডার্নকে তার বন্ধুত্ব, সহানুভূতিশীল, শক্তিশালী ও অবিচল নেতৃত্বের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার আরডার্ন ঘোষণা করেন যে নিউজিল্যান্ডের ২০২৩ সালের সাধারণ নির্বাচন ১৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে এবং ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি একজন আইনপ্রণেতা থাকবেন।
নির্বাচনের আগ পর্যন্ত কে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেবেন তা স্পষ্ট নয়।
উপপ্রধানমন্ত্রী গ্রান্ট রবার্টসন ঘোষণা করেছেন যে তিনি লেবার পার্টির নেতৃত্বের লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না।
লেবার পার্টির আইনপ্রণেতারা রবিবার নতুন নেতার জন্য ভোট দেবেন। যদি কোনো প্রার্থীই ককাস থেকে অন্তত দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন না পায়, তাহলে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা চলে যাবে বৃহত্তর দলের সদস্যপদে।
আরডার্ন সুপারিশ করেছেন যে তিনি ৭ ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব শেষ করার সময় পার্টি তার স্থলাভিষিক্ত বেছে নেবে।
আরও পড়ুন: জেসিন্ডা আরডার্নের প্রতি কৃতজ্ঞ তামিম ইকবাল
অভিমানে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছেন ৫ বারের সাংসদ সাত্তার
জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগের পর এবার দলে গুরুত্ব না পাওয়ায় অভিমানে বিএনপির পদও ছাড়লেন আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া।তিনি বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ছিলেন।
বৃহস্পতিবার রাতে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তাঁর ছেলে মাঈনুল হাসান ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। ১১ ডিসেম্বর তিনি জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: যুগপৎ আন্দোলন: বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি গঠন
১ ফেব্রুয়ারি এই শূন্য আসনে উপনির্বাচন হবে।
আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিএনপির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দলটির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তিনি পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
একবার টেকনোক্র্যাট হিসেবে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, ১৯৭৯ সালে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে বিএনপির টিকেটে দুইবার এমপি নির্বাচিত হন।
২০০১ সালের নির্বাচনে জোটকে আসনটি ছেড়ে দিলে টেকনোক্রেট কোটায় তিনি তিন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন।
জীবনের বেশির ভাগ সময় রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে থাকা উকিল সাত্তার এখন বয়সের ভারে ন্যুজ্ব।
এ ব্যাপারে তার ছেলে বলেন, দল বর্তমানে উনাকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না। দলীয় গুরুত্বপূর্ণ কোন সিদ্ধান্ত নিতে উনাকে ডাকছেন না। কিছু জিজ্ঞেস করছেন না। দলের কর্মকাণ্ডে মনে হচ্ছে উনার আর প্রয়োজন নেই।
তাই তিনি নিরিবিলি থাকাটাই শ্রেয় মনে করেছেন। এছাড়া তিনি পরিবারসহ সকল আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে পরামর্শ করেই দল থেকে পদত্যাগ করেছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তুষার বলেন, বাবা আসন্ন উপনির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবেন কিনা এই বিষয়ে আমরা ভাবছি না।
এদিকে প্রবীণ এই নেতা দল থেকে পদত্যাগের গুঞ্জন উঠেছে তিনি আওয়ামীলীগের যোগদান করে আসন্ন সরাইল-আশুগঞ্জ উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার বলেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী পাঁচ বারের সাবেক সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার ভুইয়া নিঃসন্দেহে একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি ও ভাল মানুষ।
তবে তিনি আওয়ামীলীগে যোগদান করে সরাইল-আশুগঞ্জ উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি না বিষয়টি আমার জানা নেই।
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি বলেন, উকিল আব্দুস সাত্তার ভুইয়ার পদত্যাগের বিষয়ে দলীয়ভাবে আমাদের কিছু জানানো হয়নি।
তিনি আওয়ামীলীগে যোগ দিয়ে নির্বাচনে অংশ নিবেন কি না তাও আমি জানিনা।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বিএনপিসহ ৩২টি দলের বিশাল শোডাউন সম্মিলিত আন্দোলনে রূপ নেয়