ছাত্র
প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই প্রতিবেশী যুবকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার যুবক আবু সাঈদ রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার কুমারপুর গ্রামের সামছুল হকের ছেলে। এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় পাস করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য কোচিং করছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বলাৎকারে বাধা দেয়ায় হত্যা করা হয় শিশু তামিমকে
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।
এরপর রবিবার (১৪ জানুয়ারি) ওই যুবকের বিরুদ্ধে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন শিশুটির বাবা।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে শিশু বলাৎকার: যুবককে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, বাবার মামলা দায়ের সঙ্গে সঙ্গে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত যুবক আবু সাঈদকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছেন তারা।
পাশাপাশি বালৎকারের শিকার শিশুটিকে সোমবার দিনাজপুরে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়েছেন তারা। আবু সাঈদকে আদালতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে কিশোরকে বলাৎকারের অভিযোগে পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার
ছাত্রকে বলাৎকারের দায়ে মাদরাসা শিক্ষকের যাবজ্জীবন
ছাত্রকে আছাড় দিয়ে মেরুদণ্ড ভেঙে ফেলার অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে
মাদারীপুরে আট বছরের এক মাদরাসা ছাত্রকে বেদম মারধর করার পর আছাড় মেরে তার মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মাদরাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
গত সোমবার (৬ নভেম্বর) মাদারীপুর সদরের চরমুগরিয়া এলাকার জামিয়া কাসেমিয়া রওতুল উলুম ক্যাডেট কেয়ার মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে হাতির আক্রমণে শিশু নিহত
এদিকে সোমবার (৬ নভেম্বর) ঘটনাটি ঘটলেও বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বিষয়টি জানাজানি হলে আহত ওই শিক্ষার্থীকে চিকিৎসার জন্য রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত শিক্ষার্থী ফায়েজ হাওলাদার মাদারীপুর সদর উপজেলার নয়াচর গ্রামের সবুজ হাওলাদারের ছেলে এবং অভিযুক্ত মেহেদী হাসান জামিয়া কাসেমিয়া রওতুল উলুম ক্যাডেট কেয়ার মাদরাসায় নুরানি বিভাগের শিক্ষক।
স্বজন ও এলাকাবাসী জানায়, সোমবার ভোরে অভিযুক্ত শিক্ষক নাযেরা বিভাগের শিক্ষার্থী ফায়েজকে ঘুম থেকে তুলে শ্রেণিকক্ষে নিয়ে যান এবং সেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে বলেন। কিন্তু শিক্ষকের কথা মতো না দাঁড়িয়ে, শ্রেণিকক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে শিশুটি।
এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ফায়েজকে বেত্রাঘাত করেন মাহাদী হাসান। একপর্যায়ে রাগান্বিত হয়ে ফায়েজকে তুলে আছাড় দেন শিক্ষক মেহেদী হাসান। বিষয়টি কাউকে বললে মেরে ফেলার হুমকিও দেন অভিযুক্ত শিক্ষক।
পরদিন মঙ্গলবার অসুস্থ হয়ে পড়লে ফায়েজকে ভর্তি করা হয় জেলা সদর হাসপাতালে। পরে জানানো হয় তার স্বজনদের। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ধরা পড়ে শিশুটির মেরুদণ্ড ভেঙে গেছে। পরে বুধবার (৮ নভেম্বর) রাতে তাকে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকরা।
এদিকে মাদারীপুর পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম বলেন, আমরা ঘটনাটি তদন্ত করছি। ঘটনার সত্যতা পেলে দোষীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: মহাখালীতে ট্রেনে কাটা পড়ে ৩ শিশু নিহত
পারিবারিক কলহের জেরে খুলনায় বাবার আছাড়ে শিশু নিহত
জাবি ছাত্র ইউনিয়নের আহ্বায়ক কমিটি গঠন
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) সংসদের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে আহ্বায়ক করা হয়েছে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আলিফ মাহমুদকে।
যুগ্ম আহ্বায়ক জানার্লিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের হাসিব জামান, বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের রায়হান শরীফ এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ইসহাক সরকার।
আরও পড়ুন: জাবির ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল স্থগিত
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করার অঙ্গীকার নিয়ে রবিবার (৮ অক্টোবর) “এসো নষ্ট স্রোতের বিপরীতে সুন্দরের সহযাত্রী হই” এই স্লোগান সামনে রেখে কর্মীসভার মধ্য দিয়ে ছাত্র ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
১৩ সদস্য বিশিষ্ট নবগঠিত এই আহ্বায়ক কমিটির অন্যন্য সদস্যরা হলেন- সাইফুল ইসলাম, আকাশ আহমেদ, ইমন, কাউসার আহমেদ, তানজিম আহমেদ, ফাতেমাতুজ জোহরা, সাব্বির হোসেন। দুইটি পদ কো অপ্ট রাখা হয়েছে।
নবগঠিত কমিটিকে শপথ বাক্য পাঠ করান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি দীপক শীল৷ এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি শাহরিয়ার ইব্রাহিম মিমো, সাংগঠনিক সম্পাদক রেজওয়ান হক মুক্ত এবং সদস্য এ্যানি সেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণের পর নবনির্বাচিত কমিটির নেতারা উপাচার্য অধ্যাপক নুরুল আলম, জাবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল, সাধারণ সম্পাদক ইমরান হিমু এবং প্রেস ক্লাবের সভাপতি শিহাব উদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক হাসিব সোহেল, ছাত্রফ্রন্ট নেত্রী সোহাগী সামিয়াসহ অন্যন্য নেতাদের সঙ্গে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: জাবি ছাত্রাবাসে সাংবাদিককে মারধর
জাবিতে পরীক্ষায় অনিয়ম, শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ
রাবিতে হলের ছাত্রকে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দুই নেতা এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে তার হলরুম থেকে জোরপূর্বক বের করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর ভুক্তভোগী জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের ছাত্র মাহতাব উদ্দিন হলের প্রভোস্টের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা হলেন রাবি শামসুজ্জোহা হল শাখার সাধারণ সম্পাদক মমিন ইসলাম ও রাবি ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক খন্দকার শাহরিয়ার সৌরভ। তারা দু’জনই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর সমর্থক।
আরও পড়ুন: রাবি শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ
লিখিত অভিযোগ মাহতাব বলেন, ‘আমাকে হলের প্রভোস্ট কর্তৃক ৩২৬ নং কক্ষে পুনরায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে শামসুজ্জোহা হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মমিন ইসলাম আমাকে জোর করে রুম থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে এবং বিছানা অন্যত্র ফেলে দেয়। রুম থেকে বের না হলে আমাকে মারধরের হুমকি দেয়। এখন আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর হাতে রাবি শিক্ষার্থী লাঞ্ছিতের অভিযোগ
তবে ছাত্রলীগ নেতা মমিন ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করেন। তাকে কেউ টেনে বের করেনি বলেও জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, প্রভোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসা হয়েছে।
শহীদ শামসুজ্জোহা হলের প্রভোস্ট ইকরামুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি মাহতাবকে ৩২৬ থেকে ১৫৪ নম্বর কক্ষে স্থানান্তর করা হয়েছে। তিনি বুধবার থেকে সেখানে অবস্থান করছেন।
তিনি আরও বলেন,‘যেহেতু মাহতাবকে রুমটি বরাদ্দ করা হয়েছিল, সে সেই কক্ষে থাকবে এবং আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে মাহতাবকে ওই আসনে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করছি।’
আরও পড়ুন: রাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি: ছাত্রলীগ নেতাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
চট্টগ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের মৃত্যু
চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া উপজেলায় বন্যার পানিতে ডুবে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছেন। মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) দুপুরে তার লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।
নিহত জুনায়েদুল ইসলাম জারিফ (১৮) চন্দনাইশস্থ বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি আমিরাবাদ ইউনিয়নের জনকল্যাণ এলাকার জুলফিকার আলী ভুট্টোর ছেলে।
আরও পড়ুন: উলিপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্রের মৃত্যু
স্থানীয়রা জানায়, গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টার সময় অতিবৃষ্টির কারণে নিজ বাড়ি থেকে বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্যদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাবার সময় আমিরাবাদ ইউনিয়নের জনকল্যাণ এলাকায় বন্যার পানির স্রোতে ভেসে যায়। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে পাওয়া যায়নি। পরে মঙ্গলবার তার লাশ পাওয়া যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, পানিতে ডুবে নিখোঁজ এক যুবকের লাশ উদ্ধারের খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফুলবাড়ীতে আম পাড়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে বজ্রপাতে কলেজ ছাত্রের মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে ৫ দিন ধরে নিখোঁজ মাদরাসা ছাত্র
সিরাজগঞ্জে পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ মাদরাসা ছাত্র ইয়াসিন মোল্লা। মঙ্গলবার (৯ মে) বিকালে মাদরাসা থেকে জানানো হয় যে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
ইয়াসিন মোল্লা (১২) বেলকুচি উপজেলার বড়ধুল গ্রামের আব্দুল আজিজ মোল্লার ছেলে ও উপজেলার শেরনগর শাহী মাদরাসার ছাত্র। ইয়াসিন মোল্লা কোরআনের হাফেজ।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে শিশু ধর্ষণের অভিযোগ, অবশেষে থানায় মামলা
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঈদের ছুটি শেষে ওই মাদরাসায় চলে যায় হাফেজ ইয়াসিন। এর মধ্যে একবার সে বাড়িতে আসে এবং আবার মাদরাসায় চলে যায়।
মঙ্গলবার বিকালে মাদরাসা থেকে জানানো হয় ইয়াসিনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি।
বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলছেন, এ বিষয়ে এখনও থানায় অবহিত করা হয়নি। তবে বিষয়টি জানানো হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে ট্রলারডুবি: বরসহ এখনও নিখোঁজ ৪
তেঁতুলিয়া নদীতে ট্রলারডুবে নিহত ১, নিখোঁজ ৪
কানাডায় বাংলাদেশি ছাত্রের লাশ উদ্ধার
কানাডার মন্ট্রিলে তার ভাড়া বাসা থেকে এক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার স্থানীয় পুলিশ ইয়েসিন মোহাম্মদ খান ফাহিমের লাশ মন্ট্রিলের ডাউনটাউনে তার অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার করেছে।
শুক্রবার তার মামা সৈয়দ মোস্তাক আহমেদ ইউএনবিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার বাসিন্দা ফাহিম উচ্চশিক্ষার জন্য তিন বছর ধরে মন্ট্রিলে বসবাস করছিলেন।
মোস্তাক জানান, বাংলাদেশ সময় রবিবার সন্ধ্যায় ফাহিমের মা তার ছেলের সঙ্গে শেষ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সোমবার সকাল থেকে আমার বোন ফোনে ফাহিমের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছিলেন। তিনি তাকে বারবার ফোন করেন এবং তার টেক্সট বার্তা পাঠান। কিন্তু ওপাশ থেকে কোনো জবাব আসেনি। পরে, তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।’
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে নিখোঁজের ৩৭ ঘন্টা পর শিশুর লাশ উদ্ধার
ডেইলি নিউজ মেইলের বিশেষ প্রতিবেদক মোস্তাক বলেন, তারা পরে মন্ট্রিলে ফাহিমের অন্যতম বন্ধু আরিফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তাকে ফাহিমের অ্যাপার্টমেন্টে যেতে অনুরোধ করেন।
ফাহিমের অ্যাপার্টমেন্ট ভেতর থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পেয়ে আরিফুল স্থানীয় পুলিশকে খবর দিলে লাশ উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠায়।
ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
মোস্তাক বলেন, স্বজন এবং স্থানীয় বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের সদস্যরা ফাহিমের লাশ বাংলাদেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে এবং আগামী সপ্তাহে তা দেশে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:খুলনার বিএল কলেজের পুকুর থেকে ছাত্রের লাশ উদ্ধার
খুলনার বিএল কলেজের পুকুর থেকে ছাত্রের লাশ উদ্ধার
খুলনা নগরীর দৌলতপুরের সরকারি বিএল কলেজের পুকুর থেকে এক ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত ওই ছাত্র নাইমুল হোসেন তন্ময় দৌলতপুর দিবা-নৈশ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এবং খালিশপুর নয়াবাটি এলাকার আমির হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে নারীসহ দুইজনের লাশ উদ্ধার
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী কামাল বলেন, মঙ্গলবার সকালে লাশটি উদ্ধারের পর সিআইডি’র ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে দুপুরে আমরা তার পরিচয় নিশ্চিত হয়েছি। পরবর্তীতে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করি।
তিনি আরও বলেন, নিহত ওই যুবক খুলনা দৌলতপুর দিবা নৈশ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি গানবাজনা করতেন। পরিবারের মাধ্যমে আমারা আরও জানতে পেরেছি ওই যুবক নেশাগ্রস্ত ছিলেন।
তবে তার মৃত্যু কিভাবে হয়েছে ময়না তদন্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে দৌলতপুর জোনের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আবু জাফর বলেন, তন্ময় ঈদের আগের দিন দুপুর দেড়টার দিকে বাড়ি থেকে বের হন, আর ফিরে আসেনি।
তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এলে সব পরিস্কার হবে।
আরও পড়ুন: সখিপুরে কিশোরের অর্ধঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে দেশে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
বন্ধুদের সঙ্গে নদীতে গোসল করতে যাওয়াই কাল হলো মাদরাসা ছাত্রের
কুষ্টিয়া শহরতলীর মঙ্গলবাড়িয়া বাঁধের কাছে নদীতে বন্ধুদের সঙ্গে গোসল করতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলো হাসান (১৫) নামের এক মাদরাসা ছাত্র।
শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে গড়াই নদ থেকে হাসানের লাশ উদ্ধার করা হয়।
হাসান শহরের কমলাপুর ওয়াজেদ আলী নূরানী হাফিজিয়া মাদরাসার হেফজ শাখার আবাসিক ছাত্র এবং শহরতলীর বটতৈল এলাকার রাশিদুল ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: টাঙ্গন নদীতে গোসল করতে নেমে ২ শিশুর মৃত্যু
জানা যায়, মাদরাসা পড়ুয়া চার বন্ধু পদ্মার শাখা গড়াই নদে গোসলে নেমেছিল। তিন বন্ধু সাঁতরে পাড়ে উঠলেও ওঠতে পাড়েনি এক বন্ধু।
এদিকে নিখোঁজ হওয়ার প্রায় চার ঘন্টা পর তাকে বাড়ি ফিরতে হয়েছে লাশ হয়ে।
একসঙ্গে গোসল করতে নামা সহপাঠী আব্দুল আহাদ জানায়, শহরতলীর মঙ্গলবাড়িয়া বাঁধের কাছে তারা চার বন্ধু মিলে শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে একসঙ্গে গোসল করতে নামে। তারা সবাই সাঁতার জানতো। একযোগে সবাই নদী সাঁতরে এপাড় থেকে ওপাড়ে যায়। কিন্তু এপাড়ে ফিরে আসার সময় হাসান পানিতে তলিয়ে যায়। তারা খুঁজে না পেয়ে আশপাশের লোকদের খবর দেয়। পরে খবর দেয়া হয় ফায়ার সার্ভিসে।
কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক জানে আলম জানান, নিজস্ব ডুবুরি দল না থাকায় খুলনা থেকে ডুবুরি দলকে তলব করা হয়। ডুবুরি দল পৌঁছার আগে তাঁরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় নিখোঁজ ওই মাদরাসা ছাত্রের লাশ খুঁজে বের করার চেষ্টা চালায়।
একপর্যায়ে বিকাল ৪টার দিকে ওই এলাকা থেকেই ডুবন্ত অবস্থায় হাসানের লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: পূণর্ভবা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ ১
চাঁদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষক ও ছাত্র নিহত
চাঁদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষক ও ছাত্র নিহত হয়েছে। চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়কে কুমিল্লাগামী বোগদাদ পরিবহন নামের একটি বাস চাপা দিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) বেলা দুইটার দিকে আঞ্চলিক সড়কের কচুয়া উপজেলার আশ্রাফপুর ইউনিয়নের রসুলপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মোটরসাইকেল চালক মাদরাসার শিক্ষক জাহিদ হোসেন (২৫) ও আরোহী ছাত্র জাহিদ হোসেন (১৩)।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
নিহত শিক্ষক জাহিদ শাহরাস্তি উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের হাজী বাড়ির আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে এবং আরোহী ছাত্র জাবের হোসেন কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার দামাতিয়া গ্রামের সাহাবুদ্দিনের ছেলে।
শিক্ষক জাহিদের বড় ভাই জোবায়ের জানান, দুপুরে শাহরাস্তি বাড়ি থেকে জাহিদ ও তার ছাত্র জাবের মোটরসাইকেলে মাদরাসার দিকে যাচ্ছিল। ঘটনাস্থল রসুলপুর ঘোষের বাড়ির মোড়ে আসলে কুমিল্লাগামী বোগদাদ পরিবহনের একটি বাস তাদেরকে চাপা দেয়। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে তাদের মৃত্যু হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা অলি উল্লা জানান, দুর্ঘটনার পরই কুমিল্লাগামী বোগদাদ বাস (ঢাকা মেট্রো ব-১৫-১৫৯৮৬২) চালক ও তার সহযোগী পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল এলাকায় কিছুক্ষণ যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও পুলিশ আসলে স্বাভাবিক হয়।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইব্রাহীম খলিল বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত দু’জনের লাশ উদ্ধার করে।
এছাড়া ঘাতক বাসটিকে আটক করা হয়েছে। নিহতদের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪
দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ৮