ছাত্র
কুমিল্লায় ছাত্রদের ন্যায্য মূল্যের দোকানে ব্যাপক সাড়া
কুমিল্লার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা ন্যায্য মূল্যে নিত্য পণ্য বিক্রি করছে। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে কুমিল্লা নগরীর পূবালী চত্বরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্ররা এই কার্যক্রম শুরু করেন।
নায্যমূল্যে শাক-সবজি কিনতে পেরে খুশি হয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় পূবালী চত্বরে ছাত্রদের ন্যায্য মূল্যের দোকানে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১ টাকা ৮০ পয়সা দরে। আলু ৫৫ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ১০০ টাকা, রসুন ২১০ টাকা, মাঝারি লাউ ৩০ টাকা, কচুরছড়া ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, পটল ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, বাজারে শাকসবজিসহ নিত্য পণ্যের যে ঊর্ধ্বগতি তা কমিয়ে আনতে পাইকারি আড়ৎ থেকে কেনা দামে সাধারণ মানুষের কাছে পণ্য বিক্রি করা শুরু হয়েছে। বাজারে দ্রব্যমূল্য নির্ধারণের যে সিন্ডিকেট আছে তা ভাঙতেই এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। তবে সেক্ষেত্রে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং বাজার মনিটরিং টিমের সহায়তা চেয়েছেন তারা।
শিক্ষার্থী মো. নাজমুল হোসেন জানান, আরও ১০ দিন এই কার্যক্রম চলবে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এবং বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত কুমিল্লার পূবালী চত্বরে এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।
ক্রেতারা জানান, শিক্ষার্থীরা যে দামে বিক্রি করছে তা বাজার থেকে কেজিতে অন্তত ৫ থেকে ১০ টাকা কম মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে। মানুষ স্বল্প মূল্যে যেখানে পাবে সেখান থেকেই বাজার করবে। শিক্ষার্থীরা যে বাজার বসিয়েছে তা সাধারণ মানুষের খুব উপকারে আসবে। প্রশাসনের উচিত বাজার মনিটরিং আরও শক্তভাবে করা।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চাইলেন আসিফ নজরুল
৪ সপ্তাহ আগে
শিগগিরই ছাত্র-শিক্ষক প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনায় বসবেন সেনাপ্রধান
শিক্ষক ও ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে শিগগিরই সরাসরি আলোচনায় বসবেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
আরও পড়ুন: কারফিউ অমান্য করে শাহবাগ অভিমুখে হাজারো মানুষের মিছিল
সোমবার (৫ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় আইএসপিআর।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: দেশ পরিচালনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে: সেনাপ্রধান
বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে দেশ ছাড়লেন শেখ হাসিনা
৩ মাস আগে
বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-ছাত্র সুসম্পর্ক বজায় রাখতে ইআরডিএফবির আহ্বান
আগামীতে উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে শিক্ষা ও গবেষণার প্রসারে দলমত নির্বিশেষে ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক উন্নয়নের আহ্বান জানিয়েছে এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি)।
সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় শিক্ষক-ছাত্রদের বিদ্যমান সুসম্পর্কে যেন কোনো প্রভাব না পড়ে এবং কোনোপ্রকার বিভক্তি না রেখে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উদ্ভূত পরিস্থিতির উন্নয়নে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) এক বিবৃতিতে অনুরোধ করেছেন ইআরডিএফবি সভাপতি ড. সাজ্জাদ হোসেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে ইআরডিএফবির অভিনন্দন
এসময় ড. সাজ্জাদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যখন বাংলাদেশকে উন্নত স্মার্ট অর্থনীতির দিকে এগিয়ে নিচ্ছেন, সেসময় দেশের জনসম্পদ উন্নয়নের কেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পরিকল্পিতভাবে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে। দেশের স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ও জামাত-শিবির ছাত্র আন্দোলনে ভর করে বাংলাদেশ টেলিভিশন, এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেলের মতো মেগা অবকাঠামোতে হামলা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘এই সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছে বহু নিরীহ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। আমরা শিক্ষক সমাজ বিশ্বাস করি, সংঘাত কখনোই সমাধান এনে দেয় না। প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, এই পরিস্থিতির পেছনের সকল কুশীলবকে বিচারের আওতায় আনা হবে। আমরা চাই, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস খোলামাত্রই অতীতের ধারাবাহিকতায় শিক্ষা ও গবেষণায় উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমে উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় অবদান রাখবে।’
দলমত নির্বিশেষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আগামী দিনের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস করেন ইআরডিএফবি সভাপতি।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, অগ্রসরমান বিশ্বে নিজেদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করলে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি সকল অর্জন ম্লান হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: জনগণের প্রত্যাশাকে গুরুত্ব দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে সরকার: ইআরডিএফবির আয়োজনে মোমেন
ইআরডিএফবির আয়োজনে ‘দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গণতন্ত্রের বিজয়’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
৩ মাস আগে
মাদরাসার পাশের পুকুরে ভেসে উঠল নিখোঁজ ছাত্রের লাশ
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলায় মাদরাসার পাশের পুকুরের পানি থেকে শিক্ষার্থীর ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই শিক্ষার্থীর নাম সিয়াম হোসেন (১৪)।
শনিবার (২৭ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার শিতলী গ্রামের শিতলী বেগম রোকেয়া খাতুন নূরানী হাফেজিয়া মাদরাসার পুকুর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে পিকনিকের ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ ২ জনের লাশ উদ্ধার
সিয়াম কালীগঞ্জ উপজেলার পারখিদ্দাহ গ্রামের শামিম হোসেনের ছেলে এবং শিতলী বেগম রোকেয়া খাতুন নূরানী হাফেজিয়া মাদরাসার ছাত্র।
মাদরাসার সুপার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে মাদরাসার পাশের পুকুরে গোসল করতে নামে সিয়াম। গোসল শেষে সবাই মাদরাসায় ফিরে এলেও সিয়াম ফেরেনি। পরে দুপুর ৩টার দিকে পড়ানোর সময় তাকে না পেয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায় সে গোসল করতে নেমে আর ফেরেনি। পুকুরে মাছ ধরার জাল ফেলেও তার খোঁজ মেলেনি। পরে শনিবার সকালে পুকুরে তার লাশ ভেসে ওঠে।
আরও পড়ুন: রাজবাড়ীতে আবাসিক হোটেল থেকে লাশ উদ্ধার
হরিণাকুন্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ওই মাদরাসা ছাত্র সাঁতার জানতো না বলে জানিয়েছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ও তার পরিবারের সদস্যরা। তাই পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজা থেকে ৫ জিম্মির লাশ উদ্ধার করেছে ইসরায়েল
৩ মাস আগে
কোটা আন্দোলনের সফলতা অর্জনে ছাত্রদের উৎসব করা উচিত: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেছেন, কোটা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা যে সফলতা অর্জন করেছেন, সেটা তাদের ধরে রাখতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘কোটা নিয়ে আদালতের মাধ্যমে সুন্দর ও সুষ্ঠু সমাধানে সরকারই উদ্যোগ নিয়েছে। আমি মনে করি, এই আন্দোলনের সফলতা অর্জনে তাদের (ছাত্রদের) উৎসব করা উচিত।’
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।তিনি বলেন, ‘এই অর্জন ধরে রাখতে তারা কিছু পরিপক্ক বিবৃতি দিয়েছেন। যেমন নাশকতা ও সন্ত্রাসকারীদের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। এভাবে তারা যে আস্থা অর্জন করেছেন, সেটা তাদের রক্ষা করতে হবে।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমালোচনা করে আব্দুর রহমান বলেন, ‘ছাত্রদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে যেসব দায়িত্বহীন কথাবার্তা বিএনপি মহাসচিব বলছেন, সেটা অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক। এর মাধ্যমে তারা প্রমাণ করছেন যে নাশকতার সঙ্গে তাদের সম্পর্ক রয়েছে।’
আরও পড়ুন: মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ প্রাণিসম্পদ খাতের উপর সরাসরি নির্ভরশীল: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল বলেছেন, গ্রেপ্তার করা বন্ধ না হলে এ আন্দোলন থামানো যাবে না। আমার প্রশ্ন হলো, মেট্রোরেল ভাঙচুর, বিটিভিতে নাশকতা এবং এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে আক্রমণ ও নাশকতার উন্মক্ত লালসা যে গোষ্ঠী চালিয়েছে, সেটাকে মির্জা ফখরুল আন্দোলন বলতে চান কি না? আর এটা যদি আন্দোলন হয়, তাহলে কার বিরুদ্ধে সেই আন্দোলন, এটা আমার প্রশ্ন।’
তিনি বলেন, ‘সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে সরকার মোটেও ব্যর্থ নয়। ছাত্ররা কোটা সংস্কারের আন্দোলন করেছেন। ২০১৮ সালে তো প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা বাতিল করেছিলেন। হাইকোর্টের রায়ের আগেও সেই কোটা ছিল। হাইকোর্টের রায়ের পর সরকারই আপিল বিভাগে আপিল করেছে। তারপর সেই আদেশ স্থগিত।’
তিনি বলেন, একটা জিনিসকে শান্তিপূর্ণ সমাধানে আনতে হলে আইনগত কিছু প্রক্রিয়া আছে। যেহেতু একটা বিচারাধীন বিষয় আদালতে ছিল, সেই আদালতের প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে নির্বাহী বিভাগ কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারে না।
আরও পড়ুন: খামারিরাই প্রাণিসম্পদ খাতের প্রকৃত সেলিব্রেটি: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
৩ মাস আগে
চবি-ষোলশহরে কোটাবিরোধী ছাত্রদের উপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ, আহত ১০
চট্টগ্রাম মহানগরীর ষোলশহর রেল স্টেশনে কোটাবিরোধী অন্দোলনরত শিক্ষাথীদের উপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসময় উভয় পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (১৫ জুলাই) বিকাল ৪টা থেকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। এর আগে কয়েক হাজার শিক্ষার্থীরা ঝড়ো হয় ষোলশহর রেল ষ্টেশনে।
সংঘর্ষ শুরু পরপরই যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত যানবাহন বন্ধ ছিল।
এর আগে দুপুরে চবি স্টেশনে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঠেকাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনের চাবি কেড়ে নেয় ছাত্রলীগের কর্মীরা।
আজ ৩টা থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের নগরীর ষোলশহর স্টেশনে বিক্ষোভের ঘোষণা দেয়।
এর আগ দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ক্যাম্পাসে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীরা হামলার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করেছে। হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে দাবি শিক্ষার্থীদের।
এদিকে, ছাত্রলীগের নেতারা ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে যাওয়া শাটল ট্রেন আটকে আন্দোলনের এক সমন্বয়কারীকে ধরে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কোটা আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, দুপুর আড়াইটায় শাটল ট্রেনে করে শিক্ষার্থীরা ষোলশহর স্টেশনে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় চবি ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. ইলিয়াসের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী তাদের লাঠি ও বাঁশ নিয়ে ধাওয়া দেন। অনেকেই ছাত্রলীগের নেতাদের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন। কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঢাবি ক্যাম্পাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী-ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ
এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফিকে ধরে নিয়ে প্রক্টরের কাছে গিয়ে তার ভর্তি বাতিলের দাবি জানান। ছাত্রলীগের নেতারা শাটল ট্রেনের চালককে জিম্মি করে চাবি ছিনিয়ে নেয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা আজ সকালে কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন যে দুপুর আড়াইটার সময় শাটল ট্রেনে করে চট্টগ্রাম শহরের ষোলশহর রেলস্টেশনে সমবেত হবেন। সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশের পর পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক শিক্ষার্থী জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা যাতে শাটল ট্রেনে উঠতে না পারেন, এজন্য ট্রেনের প্রতিটি বগির সামনে ছাত্রলীগ কর্মীরা অবস্থান নেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা ট্রেনে উঠতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে 'ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের' হামলায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত
বিষয়টি নিশ্চিত করে নগরীর ষোলশহর স্টেশন মাস্টার জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের ছেলেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপেক্ষমান শাটল ট্রেনের চালকের কাছ থেকে জোরপূর্বক ট্রেনের চাবি ছিনিয়ে নিয়েছে। এ কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে।’
এদিকে, শাটল ট্রেন থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজের সহ-সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফিকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
জানতে চাইলে চবি ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. ইলিয়াস বলেন, ‘কোটা সংস্কারের পক্ষে যারা আন্দোলন করছে তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলতে গিয়েছিলাম। তারা আন্দোলন করুক সেটাতে আমরা একাত্মতা পোষণ করেছি। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কেউ কটুক্তি করবে সেটা আমরা মেনে নেব না।’
তিনি আরও বলেন, ‘ট্রেন আমরা বন্ধ করিনি। তাছাড়া আমরা কোনো হামলাও করিনি। রাফি নিজেই স্বীকার করেছে সে নিজেই মুক্তিযোদ্ধা কোটার সুবিধা নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে।’
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াতের ভূমিকা উন্মোচিত হয়েছে: ওবায়দুল কাদের
৪ মাস আগে
বগুড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মাদরাসা ছাত্রের মৃত্যু
বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় পেয়ারা পাড়তে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নাকিব হোসেন নামে এক মাদরাসা ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে দুপচাঁচিয়া উপজেলার সিও অফিস মাস্টারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
নিহত নাকিব হোসেন ওই এলাকার নাসির হোসেনের ছেলে এবং স্থানীয় একটি মাদরাসায় পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াশোনা করতেন।
দুপচাঁচিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল ইমরান বলেন, ‘দুপচাঁচিয়া উপজেলার সিও অফিস মাস্টারপাড়া এলাকায় পুকুরের ধারে রয়েছে পেয়ারা গাছ। ওই পেয়েরা গাছ ঘেষেই বৈদ্যুতিক খুঁটি।’
‘নাকিব দুপুরে ওই গাছ থেকে পেয়ারা পাড়তে গিয়ে পা ফসকে যায় এবং নিজের ভারসাম্য রক্ষায় খুঁটির টানা তার ধরে। এতে বিদ্যুতায়িত হয়ে সে পুকুরের পানিতে ছিটকে পড়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের কারও কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে পৃথক স্থানে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাবা-ছেলেসহ নিহত ৩
নড়াইলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হনুমানের মৃত্যু
৪ মাস আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্তির কারণে পিছিয়ে পড়ছে ছাত্ররা
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ছেলে শিক্ষার্থীরা ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এসএসসি ২০২৪ এর ফলাফলে এমন প্রবণতাই দেখা গেছে। কেন স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছেলেরা খারাপ ফল করছে- তা প্রধানমন্ত্রীসহ অনেককেই ভাবতে বাধ্য করেছে।
ছেলেরা পড়ছে কম, বাইরে ঘুরছে বেশি। ঘরে থাকলেও মোবাইল ফোনে বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ডুবে থাকছে। ফলে পিছিয়ে পড়ছে ছেলেরা। এছাড়া ছাত্রীরা ক্লাসে যেমন মনোযোগী, আবার বাসায় পড়ালেখার ক্ষেত্রেও তাদের তেমন ঘাটতি দেখা যাচ্ছে না। সেই তুলনায় ছাত্রদের মনোযোগ কম। অনেকে মেধাবী, কিন্তু ক্লাসে মনোযোগ না থাকায় পিছিয়ে পড়ছে বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদরা।
শিক্ষাবিদরা বলছেন, ছেলেদের পিছিয়ে থাকার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। এরমধ্যে অন্যতম হলো- ছেলেদের মধ্যে প্রযুক্তি আসক্তি, ক্লাসে অনুপস্থিতি, বাবা-মায়ের অবাধ্য হওয়ার প্রবণতা। ফলে তারা লেখাপড়ায় অমনোযোগী। এদিক থেকে মেয়েরা অনেকটা পরিবারের নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং লেখাপড়ায় বেশ পরিশ্রমী। একই সঙ্গে নারী শিক্ষায় সামাজিক সচেতনতা, বাল্যবিবাহ রোধ ও উপবৃত্তি চালুর মতো সরকারের কার্যকর বেশকিছু পদক্ষেপের কারণে শিক্ষায় মেয়েদের অংশগ্রহণ ও ফলে সফলতা দুটোই বেড়েছে।
আরও পড়ুন: এসএসসি: ৫১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি
কয়েক বছর ধরেই পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, মেয়েদের থেকে ছেলেরা পিছিয়ে। ছাত্রীদের এগিয়ে যাওয়াকে সবাই ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তবে ছাত্ররা ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে।
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, সবদিক দিয়ে এগিয়ে মেয়েরা। মেয়েদের পাসের হার ৮৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ। যেখানে ছেলেরা ৮১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পাওয়ার ক্ষেত্রেও এগিয়ে মেয়েরা। ৯৮ হাজার ৭৭৬ জন জিপিএ-৫ প্রাপ্ত মেয়ের বিপরীতে ছেলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৩ হাজার ৩৫৩ জন।
চলতি বছরের ১২ মে সকালে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'ছেলেরা সংখ্যায় কম এবং কেন ফলাফলে তারা মেয়েদের তুলনায় পিছিয়ে পড়ছে,এর কারণ খুঁজে বের করতে হবে।’ এক্ষেত্রে বেশ তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ছেলেদের সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণ খুঁজে বের করতে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে। পাশের হারে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে। ভালো কথা। কিন্তু আমাদের এ বিষয়ে নজর দিতে হবে।'
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে কিশোর গ্যাং, কেন ছেলেমেয়েরা এ পথে যাবে, এটা তো গ্রহণযোগ্য নয়। তাদের পড়াশোনা করা দরকার, তারা কাজ করতে পারে, বিভিন্ন কাজে যোগ দিতে পারে। কিন্তু এ লাইনে (কিশোর গ্যাং) কেন গেল, সেটা আমাদের বের করতে হবে। সেখান থেকে তাদের বিরত করা, তাদের একটা সুস্থ পরিবেশে নিয়ে আসা, সেটা আমাদের করতে হবে।
এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার প্রসঙ্গে ইউএনবিকে বলেন, ছাত্রীদের জন্য আমরা অনেক বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছি- দীর্ঘদিন ধরে উপবৃত্তি দেওয়া হয়। তবে সেগুলো এখন ছাত্র ও ছাত্রী সবার জন্য সমানভাবে দেওয়া হচ্ছে। তবে সেক্ষেত্রে যদি সেটা যথাযথভাবে কাজ না করে, আমরা সেগুলো পরির্তন করে ছাত্ররাও যাতে সমানভাবে ছাত্রীদের সঙ্গে এগিয়ে যেতে পারে, সেই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমাদের তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেন। ছেলেরা পিছিয়ে পড়ার আর কী কারণ থাকতে পারে আমরা এ বিষয়ে খতিয়ে দেখব।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিরেটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ইউএনবিকে বলেন, ‘ছেলেরা পড়ছে কম, বাইরে ঘুরছে বেশি। পাশাপাশি মোবাইল ফোনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ডুবে থাকছে, ফলে ছেলেরা পিছিয়ে পড়ছে।’
আরও পড়ুন: এসএসসি: এবার পাসের হার বেড়েছে ২.৬৫ শতাংশ
তিনি বলেন, ছেলেদের পিছিয়ে থাকার কারণ তাদের মধ্যে প্রযুক্তি আসক্তি, ক্লাসে অনুপস্থিতি, বাবা-মায়ের অবাধ্যতার প্রবণতা বেশি। ফলে তারা লেখাপড়ায় অমনোযোগী। এদিক থেকে মেয়েরা অনেকটা পরিবারের নিয়ন্ত্রণে থাকে ও লেখাপড়ায় পরিশ্রমী।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি কয়েকটি জরিপ দেখেছি, নিজেও পর্যবেক্ষণ করেছি, স্কুলপড়ুয়া ছেলেটার হাতে বাবা-মা মোবাইল তুলে দিচ্ছে। কিন্তু মেয়েটার হাতে দিচ্ছে না। হয়তো অন্য কোনো চিন্তা থেকে দিচ্ছে না। তাতে মেয়েটা পড়াশোনায় মনোযোগ দিচ্ছে। আর ছেলেটা ফেসবুক, গেমিংয়ে সেটা ব্যবহার করছে। এভাবে ছেলেরা পড়ালেখায় ক্রমেই অমনোযোগী হয়ে পড়ছে। সবকিছুর একটা বয়স ও সময় আছে। একেবারে ষষ্ঠ-সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া একজন ছাত্রের হাতে যখন স্মার্টফোন দেওয়া হচ্ছে, তখন সে এটার সঠিক ব্যবহার কতটা করবে সে প্রশ্ন থেকে যায়।’
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘ছাত্রীদের মধ্যে অনেক সচেতনতা বেড়েছে, দেশের শিক্ষার জগতে তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বলে মনে করি। মেয়েদের কেন পড়তে হবে, সাবলম্বী হতে হবে- তা নিয়ে তো বাংলাদেশে কয়েক দশক ধরে খুব নিবিড়ভাবে কাজ হয়েছে, এখনো হচ্ছে। সেটার তো একটা বড় প্রভাব রয়েছে। এটাই কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা যাচ্ছে। এসএসসি, এইচএসসি বলেন, আর উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বলেন, মেয়েরা এগিয়ে আছে, আর ছেলেরা পিছিয়ে পড়ছে।’
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের প্রধান নির্বাহী রাশেদা কে চৌধুরী ইউএনবিকে বলেন, বর্তমানে ছেলে শিক্ষার্থীরা এখন ব্যাপকহারে ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার করছে। এছাড়া তারা গেমিংয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার করছে। এতে পড়ার সময় তো নষ্ট হচ্ছেই। পাশাপাশি পড়ালেখায়ও অমনোযোগী হয়ে পড়ছে।
তিনি বলেন, নারী শিক্ষায় সামাজিক সচেতনতা, বাল্যবিবাহ রোধ ও উপবৃত্তি চালুর মতো সরকারের কার্যকর পদক্ষেপে শিক্ষায় মেয়েদের অংশ নেওয়া ও ফলে সফলতা দুটোই বেড়েছে।
আরও পড়ুন: এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা-২০২৪: বিদেশি কেন্দ্রে পাস ৮৫.৮৮%
রাশেদা কে চৌধুরী আরও বলেন, ‘ছেলেরা এখন অল্প বয়সে হিরোইজম দেখাতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। তারা কিশোর গ্যাং গড়ে তুলছে। হিরোইজম দেখাতে অনেক ছেলে বাবা-মাকেও তোয়াক্কা করছে না। মেয়েদের মধ্যে যে মূল্যবোধ নিয়ে সচেতনতা বেড়েছে, সেটা ছেলেদের মধ্যেও ছড়িয়ে দিতে হবে। তাদের পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় দায়বদ্ধতা বোঝাতে হবে। তাহলে ছেলেরাও সমানতালে শিক্ষায় এগিয়ে যাবে।’
এছাড়াও কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ছেলেরা প্রযুক্তির ভয়ংকর ছোবলের শিকার। হাতে হাতে স্মার্ট ফোন, বাসায় ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ট্যাবে সারাক্ষণ মগ্ন থাকে। প্রযুক্তির অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে মগজধোলাই হয়ে যাচ্ছে। এদের মেধা-মননে লেখাপড়ার চেয়ে নানা রকম অপসংস্কৃতি ঢুকে যাচ্ছে। স্কুলপড়ুয়াদের মধ্যে কিশোর অপরাধে জড়ানোর প্রবণতা বেড়েছে। ক্লাস ছেড়ে কিশোররা দলবেঁধে ঘুরছে পাড়া-মহল্লায়—এমন চিত্র চোখে পড়ছে সব এলাকায়। অনেকে কম বয়সে জড়িয়ে পড়ছে রাজনীতিতেও। এতে মেধাবী ছাত্ররা পড়ালেখা বিমুখ হয়ে পড়ছে।
শিক্ষকরা আরও জানান, ছাত্রীদের পড়াশোনায় আগ্রহটা বেশি দেখা যায়। তাদের মধ্যে একে-অন্যের চেয়ে কীভাবে ভালো ফলাফল করবে, তা নিয়ে প্রতিযোগিতা বেশি। এজন্য বরাবরই তারা ভালো করছেন।
এছাড়া, মেয়েরা লেখাপড়ায় পরিশ্রমী এবং নারী শিক্ষায় সামাজিক সচেতনতাও বেড়েছে। বাল্যবিবাহ রোধে সরকারের কার্যকর উদ্যোগ এবং মেয়েদের উপবৃত্তির আওতায় আনায় মাধ্যমিক শিক্ষায় অংশ নেওয়া বেড়েছে।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক মঞ্জুর আহমেদ ইউএনবিকে বলেন, ছেলেরা পিছিয়ে যাচ্ছে এটা নিয়ে কোনো গবেষণা নেই। বেশ কয়েক বছর ধরেই দেখছি মাধ্যমিক শিক্ষায় অংশ নেওয়া ও সফলতা দুটোই এগিয়ে আছে মেয়েরা। তবে সম্প্রতি পাড়া-মহল্লায় দেখা যায়, উঠতি বয়সী ছেলেরা কিশোর গ্যাংয়ে জড়িয়ে যাচ্ছে। যে বয়সে স্কুলে সময় দেবে, এর পরিবর্তে সে তখন ক্লাসের বাইরে। আমি মনে করি অভিভাবকরা দায়িত্ব যথাযথ পালন করতে ব্যর্থ। অপরদিকে আমাদের সমাজব্যবস্থায় মেয়েরা ঘরমুখী। পরিবারের চাপের মধ্যে তারা বাসার বাইরে খুব কম সময় যেতে পারে। ফলে তারা বেশি সময় পড়ালেখায় ব্যয় করতে পারছে। যার ফলে ফলাফল ভালো করছে।
আরও পড়ুন: এসএসসিতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের অভূতপূর্ব সাফল্য, কারিগরির চিত্র উল্টো
৬ মাস আগে
প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই প্রতিবেশী যুবকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার যুবক আবু সাঈদ রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার কুমারপুর গ্রামের সামছুল হকের ছেলে। এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় পাস করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য কোচিং করছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বলাৎকারে বাধা দেয়ায় হত্যা করা হয় শিশু তামিমকে
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।
এরপর রবিবার (১৪ জানুয়ারি) ওই যুবকের বিরুদ্ধে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন শিশুটির বাবা।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে শিশু বলাৎকার: যুবককে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, বাবার মামলা দায়ের সঙ্গে সঙ্গে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত যুবক আবু সাঈদকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছেন তারা।
পাশাপাশি বালৎকারের শিকার শিশুটিকে সোমবার দিনাজপুরে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়েছেন তারা। আবু সাঈদকে আদালতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে কিশোরকে বলাৎকারের অভিযোগে পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার
ছাত্রকে বলাৎকারের দায়ে মাদরাসা শিক্ষকের যাবজ্জীবন
১০ মাস আগে
ছাত্রকে আছাড় দিয়ে মেরুদণ্ড ভেঙে ফেলার অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে
মাদারীপুরে আট বছরের এক মাদরাসা ছাত্রকে বেদম মারধর করার পর আছাড় মেরে তার মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মাদরাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
গত সোমবার (৬ নভেম্বর) মাদারীপুর সদরের চরমুগরিয়া এলাকার জামিয়া কাসেমিয়া রওতুল উলুম ক্যাডেট কেয়ার মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে হাতির আক্রমণে শিশু নিহত
এদিকে সোমবার (৬ নভেম্বর) ঘটনাটি ঘটলেও বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বিষয়টি জানাজানি হলে আহত ওই শিক্ষার্থীকে চিকিৎসার জন্য রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত শিক্ষার্থী ফায়েজ হাওলাদার মাদারীপুর সদর উপজেলার নয়াচর গ্রামের সবুজ হাওলাদারের ছেলে এবং অভিযুক্ত মেহেদী হাসান জামিয়া কাসেমিয়া রওতুল উলুম ক্যাডেট কেয়ার মাদরাসায় নুরানি বিভাগের শিক্ষক।
স্বজন ও এলাকাবাসী জানায়, সোমবার ভোরে অভিযুক্ত শিক্ষক নাযেরা বিভাগের শিক্ষার্থী ফায়েজকে ঘুম থেকে তুলে শ্রেণিকক্ষে নিয়ে যান এবং সেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে বলেন। কিন্তু শিক্ষকের কথা মতো না দাঁড়িয়ে, শ্রেণিকক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে শিশুটি।
এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ফায়েজকে বেত্রাঘাত করেন মাহাদী হাসান। একপর্যায়ে রাগান্বিত হয়ে ফায়েজকে তুলে আছাড় দেন শিক্ষক মেহেদী হাসান। বিষয়টি কাউকে বললে মেরে ফেলার হুমকিও দেন অভিযুক্ত শিক্ষক।
পরদিন মঙ্গলবার অসুস্থ হয়ে পড়লে ফায়েজকে ভর্তি করা হয় জেলা সদর হাসপাতালে। পরে জানানো হয় তার স্বজনদের। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ধরা পড়ে শিশুটির মেরুদণ্ড ভেঙে গেছে। পরে বুধবার (৮ নভেম্বর) রাতে তাকে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকরা।
এদিকে মাদারীপুর পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম বলেন, আমরা ঘটনাটি তদন্ত করছি। ঘটনার সত্যতা পেলে দোষীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: মহাখালীতে ট্রেনে কাটা পড়ে ৩ শিশু নিহত
পারিবারিক কলহের জেরে খুলনায় বাবার আছাড়ে শিশু নিহত
১ বছর আগে