আন্দোলন
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের পর রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে তারা এ দাবি জানান।
একই সঙ্গে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করারও দাবি জানান তারা।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে বিতর্ক এড়ানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় কেন্দ্রীয় সমন্বয়কের মধ্যে সারজিস আলমও এসব দাবি আদায়ে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে নামার আহ্বান জানান।
সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে দুই দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে সারজিস বলেন, 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একটি স্পষ্ট বার্তা দিতে চায় যে, ‘আবারও প্রয়োজন হলে আমরা আমাদের চোখ দিতে প্রস্তুত, পা দিতে প্রস্তুত, হাত দিতে প্রস্তুত, এমনকি জীবন দিতেও প্রস্তুত।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী ছাত্রলীগের উত্থান সহ্য করা হবে না, কারণ তারা আমাদের ভাইদের হত্যার জন্য দায়ী। প্রাণ দিয়ে হলেও আমরা ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ নামের ফ্যাসিবাদীদের প্রতিহত করার জন্য আজীবন লড়াই করে যাব।’
রাষ্ট্রপতি প্রসঙ্গে আরেক সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, ‘আমরা আমাদের বিপ্লব এই শহীদ মিনার থেকেই শুরু করেছিলাম। ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা বিপ্লবের ভয়ে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছেন। সেদিন আপনি সেটা নিশ্চিত করেছিলেন কিন্তু এখন মিথ্য়ে কথা বলছেন কেন? আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই- খুনি হাসিনা যেভাবে পালিয়ে গেছে, তেমনি ছুপ্পুকেও পদত্যাগ করতে হবে।’
বৃহস্পতিবারের মধ্যে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান মাসুদ।
বর্তমান সংবিধান বাতিলের দাবির কথা উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ না করলে তার সরকারি বাসভবন বঙ্গভবন ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দেন।
আরও পড়ুন: হাসিনাকে পুনর্বাসন করতে চান রাষ্ট্রপতি: বিএনপি
১৬ ঘণ্টা আগে
আন্দোলনের মুখে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি পদে যোগ দিতে না পেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে গেছেন ডা. রোবেদ আমিন
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকে কর্মক্ষেত্রে আসছেন না ডা. রোবেদ আমিন।
গত ১৮ আগস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ড. আমিনকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে কর্মকর্তাদের বিক্ষোভের মুখে তিনি এই পদে বসতে পারেননি।
ড. আমিনের বিরুদ্ধে বিএনপির প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেন বিক্ষোভকারীরা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, তিনি অনেকবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গিয়েছেন কর্মক্ষেত্রে যোগদানের জন্য। তবে তাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
গত ১২ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্যকর্মীদের দাবির মুখে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় অধ্যাপক রোবেদ আমিনকে। তাই অসুস্থতাজনিত কারণ দেখিয়ে তিনি ছুটি নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে রোবেদ আমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘আমি মন্ত্রণালয়ে যাই। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যেতে পারিনি।’
তাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি কি না—এই প্রশ্নের উত্তর তিনি খোলাসা না করে বলেন, ‘আমি আমার জবটাই করি। আমার সঙ্গে সরাসরি কারো সঙ্গে এমন কোনো কথা হয়নি।’
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদত্যাগের দাবিতে বিএনপিপন্থী চিকিৎসক-কর্মচারীদের বিক্ষোভ
অতিরিক্ত মহাপরিচালক হিসেবে নাজমূল হাসান দায়িত্ব পালন করছেন বলে তিনি জানান।
ড. আমিন বরেন, ‘আমি অসুস্থতাজনিত কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি নিয়েছি। ওনাকে যেদিন দায়িত্ব দেওয়া হয়, আমি সেদিনই ছুটির দরখাস্ত দিই। এখনো আমাকে কোনো পদ দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়নি।'
বর্তমান অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাজমুল হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোন একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
গত ১২ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্যকর্মীদের দাবির মুখে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় অধ্যাপক রোবেদ আমিনকে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেনকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ওইদিন (বৃহস্পতিবার) স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেনকে তার নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হলো।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তাদের অপসারণ দাবি
১ মাস আগে
আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকতে ও খুনিদের শাস্তি নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি ফখরুলের আহ্বান
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) চিকিৎসাধীন আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে গিয়ে এ দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
তিনি বলেন, 'আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি তারা যেন শহীদ ও আহতদের পরিবারকে সহায়তা করে এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করে।’
গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থী ও জনগণকে দমন করতে আওয়ামী লীগ সরকার 'ভয়াবহ গণহত্যা' চালিয়েছে বলে সমালোচনা করেন তিনি।
দলের পক্ষ থেকে এর আগেও ওই হাসপাতালে আন্দোলনে আহতদের দেখতে গিয়েছিলেন বলে জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গুমের ঘটনা জাতিসংঘের নেতৃত্বে তদন্তের আহ্বান ফখরুলের
তিনি বলেন, ‘আমি আজকেও এসেছি এখানে যারা আছেন তাদের পাশে দাঁড়াতে। আমরা দলের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি।’
দেশকে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদমুক্ত করার আন্দোলনে যেসব শিক্ষার্থী ও জনগণ জীবন দিয়েছেন, রক্ত ঝরিয়েছেন, আহত হয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের পতন সত্যিকার অর্থে জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী একটি সরকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
আরও পড়ুন: ফখরুলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, নির্বাচন নিয়ে আলোচনা
ফখরুল বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
এসময় তিনি আহতদের সঙ্গে কথা বলেন এবং দলের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা দেন।
আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।
১ মাস আগে
জুলাই আন্দোলনের প্রত্যাশা বাস্তবায়নে জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠন
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সমাজের বিভিন্ন স্তরের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের মঞ্চ হিসেবে রবিবার আত্মপ্রকাশ করে জাতীয় নাগরিক কমিটি।
ঘোষিত ৫৫ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে আজ। এই কমিটি অংশীজনদের মধ্যে রাজনৈতিক মতাদর্শ উপলব্ধি করে তার নিষ্পত্তির জন্য কাজ করবে এবং সব ধরনের ফ্যাসিবাদকে নির্মূল করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।
সংগঠনের পক্ষে কমিটির আহ্বায়ক মুহাম্মদ নাছিরউদ্দিন পাটোয়ারী এ কমিটি ঘোষণা করেন। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য ছিলেন।
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালের বাণিজ্য মেলা জানুয়ারি মাসেই অনুষ্ঠিত হবে: উপদেষ্টা
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন গত বছর গঠিত বিকল্প ছাত্র প্লাটফর্ম গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আখতার হোসেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পেছন থেকে অগ্রণী ভূমিকা ছিল আখতারের।
১৭ জুলাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে তুলে নিয়ে যায় এবং শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করার আগ পর্যন্ত বন্দি ছিল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী সামান্থা শারমিনকে কমিটির মুখপাত্র করা হয়েছে।
কমিটি গঠন উপলক্ষে এক বিবৃতিতে সামান্থা জানান, আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে তারা কাজ শুরু করেছেন।
নেতারা বলেন, অতি শিগগিরই সব মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ছাত্র নেতৃত্বাধীন অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আলোচনা শুরু করা হবে।
আরও পড়ুন: 'মর্যাদাপূর্ণ ও অনন্য' বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান ইউনূসের
মুখপাত্র বলেন, ‘তৃণমূল পর্যন্ত এই কমিটি সম্প্রসারণের মাধ্যমে আমরা ছাত্র অভ্যুত্থানের শক্তিকে সুসংহত করব এবং বাংলাদেশ পুনর্গঠনের লক্ষ্যে কাজ করব।’
জাতীয় নাগরিক কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- আরিফুল ইসলাম আদিব, সাইফ মোস্তাফিজ, মনিরা শারমিন, নাহিদা সারওয়ার চৌধুরী, সারোয়ার তুষার, মুতাসিম বিল্লাহ, আশরাফ উদ্দিন মাহদী, আলাউদ্দিন মোহাম্মদ, অনিক রায়, জাবেদ রসিন, মো. নিজাম উদ্দিন, সাবহানাজ রশিদ দিয়া, প্রাঞ্জল কোস্তা, মইনুল ইসলাম তুহিন, আব্দুল্লাহ আল আমিন, হুজাইফা ইবনে ওমর, শ্রবনা শফিক দীপ্তি, সায়ক চাকমা ও সানজিদা রহমান তুলি;
আবু রায়হান খান, মাহমুদা আলম মিতু, অলিক ম্রি, সাগুফতা বুশরা মিশমা, সৈয়দ হাসান ইমতিয়াজ, তাসনিম জারা, মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া, আজহার উদ্দিন অনিক, মেসবাহ কামাল, আতাউল্লাহ, এস এম শাহরিয়ার, মনজুর-আল-মতিন, প্রীতম দাস, তাজনুভা জাবিন, অর্পিতা শ্যামা দেব, মাজহারুল ইসলাম ফকির, সালেহ উদ্দিন সিফাত, মুশফিক-উস-সালেহীন, তাহসিন রিয়াজ, হাসান আলী খান, আব্দুল আহাদ, ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, মশিউর রহমান;
ফরহাদ আলম ভূঁইয়া, তানজিল মাহমুদ, এস এম সুজা, আরিফুর রহমান, কানেতা ইয়া লাম লাম, সৈয়দা আক্তার, স্বর্ণা আক্তার, সালমান মুহাম্মদ মুক্তাদির, আকরাম হোসেন।
আরও পড়ুন: সমন্বয়কদের প্রত্যাশা বাস্তবায়ন করবে উপদেষ্টা পরিষদ: উপদেষ্টা
১ মাস আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত আহনাফের শেষ মুহূর্ত স্মরণ করলেন মা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সহিংস সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান বিএএফ শাহীন কলেজের ছাত্র ১৭ বছর বয়সী শাফিক উদ্দিন আহমেদ আহনাফ। গত ৪ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।
আহনাফের মা জারতাজ পারভীন সাফাক জানান, সেদিন আনুমানিক বিকাল ৫টায় আহনাফ গুলিবিদ্ধ হয়।
তিনি বলেন, আন্দোলনের শুরু থেকেই আহনাফ ছাত্রদের সঙ্গে বের হত। কখনো নিষেধ মানেনি। এর আগেও টিয়ারশেল ও রাবার বুলেটের আঘাতে আহত হয়েছে সে। তারপরও সে আন্দোলনে যাওয়া বন্ধ করেনি।
আরও পড়ুন: চার দফা দাবিতে 'প্রতিরোধ সপ্তাহ' ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
জারতাজ বলেন, ‘গত ৪ আগস্ট ঘুম থেকে উঠেই বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সে। আমি আহনাফকে বলি আজকে তুমি কোনোভাবেই বের হতে পারবে না। কালকে লং মার্চে আমার সঙ্গে যেও। কিন্তু সে বলে আমি যাবোই। আমি যেতে চাইলে সাথে না নিয়েই দুপুরের পর চলে যায়।’
আহনাফের মা বলেন, গিটার বাজানো এবং ফুটবল খেলা ছিল ওর শখ। সেদিনও বাসায় ফিরে কাজিনের বাসায় গিয়ে গানের আড্ডা দেওয়ার কথা ছিল। আমি একটু পর পর ফোন দিয়ে খোঁজ নিই। আমার ছেলে রিসিভ করে বলে আমি ৬০ ফিট সড়কে আছি। নিরাপদে আছি। এর ৩০ মিনিট পর ফোন দিলে বলে আমি মিরপুর-১০ নাম্বারে। তখন বললাম, তুমি বলেছিলে যাবা না। একটু পর কারফিউ। তখনো সে বলেছিল আমি নিরাপদে আছি।
তিনি বলেন, এরপর ৫টার আগে আমি কল দিই। আর কেউ ফোন রিসিভ করে না। চিন্তা বাড়তে থাকে আমার। কারণ ও তো প্রথম রিং বাজলেই আমার ফোন রিসিভ করে। ওর বন্ধুদের ফোন দিলে বলে, আন্টি আমরা তো চলে এসেছি। তখন আমি আর আহনাফের বাবা মিরপুর-১০ এর দিকে যাই।
আহনাফের মা বলেন, এর মধ্যে ফেসবুকে একটা ছবি কেউ শেয়ার করেছিল। আহনাফের বন্ধু সেটা আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে পাঠায়। সেটা দেখে নিজের ছেলের লাশ চিনতে পেরে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। ওকে প্রথমে মিরপুরের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে রাখা হয়েছিল। সেখান থেকে জানানো হয় তারা সব লাশ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠিয়েছে। আমরা সেখানে মর্গে আহনাফের লাশ পাই।
আহনাফের খালা নাজিয়া আহমেদ বলেন, আহনাফ বলতো আমার নাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। আমার নামে পুরো বিশ্ব তোমাদের চিনবে। এখন ওর নামেই আমাদের কাছে সবাই আসে। ওর স্কুল ও কলেজের শিক্ষকরা এসে দোয়া করেছেন। কলেজে আমাদের সম্মানিত করা হয়েছে। আমাদের একটাই অনুরোধ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যে ছয়জন সমন্বয়ক আছেন, তারা যেন এসে আহনাফের মায়ের সঙ্গে একবার কথা বলে যায়। একবার তাকে দেখে যায়।
আরও পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার ব্যয় বহন করবে সরকার: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
১ মাস আগে
আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় পূর্ণ সহায়তা দেবে সরকার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অবসরপ্রাপ্ত) বলেছেন, শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন গণআন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় সরকার প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দেবে।
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি এখন মূল চ্যালেঞ্জ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
মঙ্গবার (২০ আগস্ট) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) এবং জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আন্দোলনরত ও চিকিৎসাধীন ব্যক্তিদের পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং তাদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন।
আহতদের উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি করে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের দাবি আমলে নেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
২ মাস আগে
আন্দোলনের মুখে ববির ভিসি-প্রক্টরসহ ২০ জনের পদত্যাগ
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া ও প্রক্টর আবদুল কাইউমসহ ২০ জন।
এছাড়া উপাচার্য ও প্রভোস্ট ছাড়াও পদত্যাগ করেছেন ৪টি হলের প্রভোস্ট, কয়েকজন হাউজ টিউটর, শরীর চর্চা দপ্তরের পরিচালক, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, লাইব্রেরিয়ানসহ শিক্ষক-কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক ও ৭ জন সহকারী পরিচালকের পদত্যাগ
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে ভিসি ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা।
এরপর প্রক্টর আবদুল কাইউম ববির রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি দিয়ে প্রথমে পদত্যাগ করেন। এরপর উপাচার্য বদরুজ্জামান ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণ দেখিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর চিঠি দিয়ে পদত্যাগ করেন।
ববি রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘উপাচার্য ও প্রক্টরসহ মোট ২০ জন পদত্যাগ করেছেন। এ পদত্যাগের কারণে শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ব্যাহত হবে না। পরীক্ষা-ক্লাস নির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হবে।’
তিনি বলেন, ‘তবে উপাচার্য না থাকায় আর্থিক অনুমোদনের ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দেবে। ববির মতো অবস্থা দেশজুড়ে অসংখ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাই মনে করছি অন্তবর্তীকালীন সরকার উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে ববির কার্যক্রমে গতি বৃদ্ধিতে সহায়তা করবেন।’
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুজয় বিশ্বাস শুভ বলেন, ‘উপাচার্য ও প্রক্টর ছাত্র আন্দোলনে অসহযোগিতা করেছেন। আন্দোলন দমাতে ও শিক্ষার্থীদের হয়রানি করতে তারা চেষ্টা চালিয়েছিলেন।’
আরও পড়ুন: সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধ
২ মাস আগে
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদ ছেড়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ নার্সিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদ ছেড়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ নার্সিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ (নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ) মসিউর রহমান।
শনিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মাসুদ পারভেজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিষপানে নার্সিং কলেজ ছাত্রীর মৃত্যু
এর আগে নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা মসিউর রহমানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তার অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করে।
ডা. মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘নার্সিং ইনস্টিটিউট নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের স্বতন্ত্র একটি প্রতিষ্ঠান। আমরা অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’
তবে যতদিন পূর্ণাঙ্গ অধ্যক্ষ (নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ) না আসবে, ততদিন আতিয়া বানু দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানান তিনি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের পেছনে অবস্থিত নার্সিং ইনস্টিটিউটের সামনে বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ইনস্টিটিউটের ইনচার্জ মসিউর রহমান এই প্রতিষ্ঠানে যোগদান করার পর থেকে শিক্ষার্থীদের হোস্টেলে খাবারে অনিয়ম, উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ ও বিল-ভাউচার বাণিজ্যসহ প্রতিষ্ঠানের টাকা আত্মসাৎ করছেন।’
আরও পড়ুন: গাজীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৩ নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
২ মাস আগে
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে 'গণহত্যার' তদন্ত চেয়ে জাতিসংঘে বিএনপির চিঠি
শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন গণআন্দোলনের সময় ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকার যে 'গণহত্যা' চালিয়েছে তার আন্তর্জাতিক তদন্তের জন্য জাতিসংঘে চিঠি দিয়েছে বিএনপি।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুয়েন লুইসের কাছে চিঠিটি হস্তান্তর করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সময় দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানদন্ড বজায় রেখে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তের মাধ্যমে 'অবৈধ' আওয়ামী লীগ সরকারের দ্বারা বাংলাদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে সংঘটিত গণহত্যা ও হত্যার ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটনের জন্য বিএনপি জাতিসংঘকে অনুরোধ করেছে।
চৌধুরী বলেন, চিঠিটি জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় থেকে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপির সহযোগী সংগঠনগুলোর বিক্ষোভ মিছিল, দাবি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ
২ মাস আগে
ফেনীতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে অধ্যক্ষের পদত্যাগ
নানা অভিযোগ এনে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ফেনী কম্পিউটার ইনস্টিটিউের অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী।
সোমবার (১২ আগস্ট) কলেজের উপাধ্যক্ষ সুভদ্রা চৌধুরীর কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে বদলি হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অসদুপায়ের সুযোগ করে দিতেন। পর্দা করার কারণে নারী শিক্ষার্থীদের কটাক্ষ, হোস্টেল-মাঠ সংস্কার না করেও সংস্কারের নামে টাকা আত্মসাৎ এবং আইসিটি নির্ভর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হলেও ল্যাবগুলোতে শিক্ষার্থীদের অনুশীলন করতে না দেওয়াসহ নানা অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষার্থীরা।
সাদিয়া আক্তার নামে টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, তিনি আওয়ামী লীগের মদদপুষ্ট একজন শিক্ষক ছিলেন।
আরও পড়ুন: পদত্যাগ করলেন পাবিপ্রবির উপউপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ
ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ রাজনীতি করার কারণে অনেক সাধারণ শিক্ষার্থী তাদের হাতে নির্যাতিত হলেও তিনি কখনোই এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেননি। সব সময় নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বলে পরিচয় দিতেন। আমরা মেয়েরা পর্দা করার কারণে বিভিন্ন সময় হেনস্থার শিকার হয়েছি।
আবদুর রহমান নামে প্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষক বলেন, শিক্ষার্থীরা স্যারের বিরুদ্ধে অনেকগুলো অভিযোগ এনে পদত্যাগ দাবি করেছে। প্রথমে তিনি পদত্যাগে অস্বীকৃতি জানালেও পরে বাধ্য হয়ে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন।
ফেনী কম্পিউটার ইনস্টিটিউটের উপাধ্যক্ষ সুভদ্রা চৌধুরী বলেন, রবিবার শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলন করে। পরে সোমবার বিকালে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উপস্থিতিতে অধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী আমার কাছে অধ্যক্ষের দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন। কলেজের সার্বিক পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।
অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মাজাহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সাবেক ও বর্তমান কিছু শিক্ষার্থী সোমবার বিকালে ক্যাম্পাসে হট্টগোল শুরু করেন। তারা আমার পদত্যাগ দাবি করে একটি কাগজে সই করতে বলেন। সম্মানের কথা ভেবে সেই কাগজে সই করে দিয়েছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে আমাকে অন্যত্র বদলির বিষয়ে অনুরোধ করেছি।
আরও পড়ুন: বিএনপির সহযোগী সংগঠনগুলোর বিক্ষোভ মিছিল, দাবি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ
২ মাস আগে