আন্দোলন
তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত
সরকার সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়ার পর এক সপ্তাহের জন্য আন্দোলন স্থগিত করেছেন সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধি দলের বৈঠকের পর গত কয়েকদিন ধরে ঢাকার কার্যক্রম বিঘ্নিত করে চলা ধর্মঘট প্রত্যাহারের এ সিদ্ধান্ত আসে।
বৈঠক শেষে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী নূর মোহাম্মদ।
তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি আদায় না হলে তারা আবারও রাস্তায় নামবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
এর আগে মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করে তাদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।
সোমবার রাতে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল সরোয়ার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কলেজটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরসহ ৬ দফা দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) তারা কলেজের সামনের মহাখালী ও গুলশান লিংক রোড অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় এবং ঢাকায় রেললাইনে ব্যারিকেড দেয়, এতে ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন যোগাযোগ বিঘ্নিত হয়।
দাবি আদায়ে আমরণ অনশনও কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ।
আরও পড়ুন: তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার যৌক্তিকতা পাচ্ছে না সরকার: সিনিয়র সচিব
১ সপ্তাহ আগে
আন্দোলনে আহত আরও ২ জনকে পাঠানো হলো সিঙ্গাপুর
জুলাই আন্দোলনে চোখ ও মেরুদণ্ডে গুলিবিদ্ধ ইমরান ও মহিউদ্দিন নামে আরও দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) তাদের দুজনকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে সকাল ৮টায় সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল আই সেন্টার এবং ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের উদ্দেশে রওয়ানা দেন তারা।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে অর্থাভাবে চিকিৎসা নিতে পারছেন না জুলাই বিপ্লবে আহত সাজিদ
এর আগে চোখে গুলিবিদ্ধ আহত ইমরান হোসাইন জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
অন্যদিকে মেরুদণ্ডে গুলিবিদ্ধ মহিউদ্দিন রাব্বি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (ঢাকা) চিকিৎসাধীন ছিলেন।
২ সপ্তাহ আগে
হাসিনা যাবে, অন্য কেউ ক্ষমতায় আসবে বলে আন্দোলন করিনি: আখতার
হাসিনা যাবে, অন্য কেউ ক্ষমতায় আসবে—এ জন্য মানুষ আন্দোলন করেননি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। সোমবার (২০ জানুয়ারি) আসাদ দিবস উপলক্ষে ‘শহীদ আসাদ থেকে শহীদ আবু সাঈদ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এমন কথা বলেন তিনি।
আখতার বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থান থেকে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপের রাজনীতির রোডম্যাপ হবে পতিত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগকে আর কোনোভাবে রাজনীতিতে প্রসঙ্গিক না করা।’
‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে ‘৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের সূক্ষ্ম পার্থক্য হচ্ছে, ‘২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে কোনো রাজনৈতিক দল স্বনামে সক্রিয় ছিলেন না। জনগণ ছাত্রদের ডাকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে মাঠে নেমেছেন এবং আন্দোলন করেছেন।’
জনগণের প্রত্যাশার প্রসঙ্গে আখতার বলেন, ‘হাসিনা যাবে অন্য কেউ ক্ষমতায় আসবে এজন্য মানুষ আন্দোলন করেনি। মানুষ দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমূল সংস্কার চেয়েছে, তাই পথে নেমেছে।’
‘বিগত দিনের ফ্যাসিবাদী সরকার আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্তু কোনোভাবেই জাতীয় নাগরিক কমিটি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং দেশের সাধারণ জনগণ আওয়ামী লীগকে আগামীতে রাজনীতি করতে দেবে না।’
এই ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার রক্ষাকবচ হিসেবে বাহাত্তরের সংবিধান সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে উল্লেখ করে আখতার বলেন, ‘বাহাত্তরের সংবিধান বাতিল করে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে।’
আরও পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন
বর্তমান সংবিধানে আওয়ামী লীগ এবং ফ্যাসিবাদ বিলোপ সম্ভব নয় দাবি করে আখতার বলেন, ‘সাধারণ ছাত্ররা নতুন সংবিধানের রোডম্যাপ দিতে পারলেও রাজনৈতিক দলগুলো এখন পর্যন্ত এর কোনো রোডম্যাপ দিতে পারেনি।’
‘বাংলাদেশে বহুদলীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থা থাকবে। কিন্তু বিদ্যমান পরিস্থিতিতে রাজনীতি করা যাবে না। রাজনীতি হবে নয়া এক বন্দোবস্তর মাধ্যমে।’
নতুন ব্যবস্থায় রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান আখতার।
৩ সপ্তাহ আগে
আন্দোলনে আহতদের সুচিকিৎসা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, ‘জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের পরিবারের ন্য সরকারের একটা বরাদ্দ আছে, সেটা তারা পেয়ে যাবেন। যারা আহত হয়েছেন তাদের বিষয়ে সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে তাদের সঠিক চিকিৎসাটা দেওয়া। সেটা নিয়ে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডাক্তারদের পরামর্শে আহত তিনজনকে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। আরও দুইজনের কথা বলা হচ্ছে। এরপর আরও ২৫ জনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হবে। সর্বোচ্চ প্রায়োরিটি পাচ্ছে সেটা হচ্ছে আহতদের চিকিৎসা।’
সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতে নানা ধরনের বহুমুখী সমস্যা আছে। বিভিন্ন হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোতে পর্যাপ্ত চিকিৎসক নার্সের সংকট রয়েছে। যন্ত্রপাতির সংকট রয়েছে। অনেক জায়গায় এম.আর.আই মেশিন, এক্সরে মেশিন নষ্ট। এসব সমস্যা সমাধানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জানুয়ারিতে হর্নমুক্ত ঘোষণা করা হবে ঢাকার ১০টি রাস্তা: উপদেষ্টা
নূরজাহান বেগম বলেন, আহতদের চিকিৎসার জন্য চায়না, নেপাল, ফ্রান্স, থাইল্যান্ড থেকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এসেছে। নেপাল ৫০ জনের চোখের কর্নিয়া স্থাপনের ব্যবস্থা করছে। এরইমধ্যে দুইজনের চোখে সফলভাবে কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, আন্দোলনে যারা আহত হয়েছেন তাদের মধ্যে অনেক শ্রেণির পেশার মানুষ আছেন। অনেকে হাত হারিয়েছেন, অনেকে পা হারিয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। আহতদের অনেকে নানা ট্রমার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। এটা শুধু মন্ত্রণালয়ের না, পুরো জাতির বিষয়।
কোভিডকালীন সময়ে ডাক্তারদের অবদানের কথা তুলে ধরে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, কোভিডকালীন পরিস্থিতিতে ডাক্তাররা যে সেবাটা দিয়েছেন, অনেক ডাক্তারও কোভিড আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আমরা তাদের স্মরণ করি না। কিন্তু তারা অনেক দিয়েছেন জাতির জন্য। বৈষম্যের যে কথা উঠে এসেছে সেটা নিয়ে আমি বলব শুধু ডাক্তাররা নয়, নার্সরাও বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন।
পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, শিশু বিভাগ, আইসিইউ, ইসিজি রুম, এডাল্ট রিসাসিটেশন রুম, অবজারভেশন রুম, ল্যাবরেটরিসহ হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন করেন এবং হাসপাতালের ভর্তি রোগীদের সঙ্গে চিকিৎসাব্যবস্থা নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেন।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন, চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) অং সুই প্রু মারমাসহ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
৩ মাস আগে
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফ
জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফ করেছে সরকার।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
আরও পড়ুন: বিমানবন্দর সড়কে শিক্ষার্থীদের ওপর উঠে গেল চলন্ত গাড়ি, আহত ৩
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দেশের সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, কারিগরি ইনস্টিটিউট ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় পর্যন্ত আহত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আহত শিক্ষার্থীদের অবশ্যই মেডিকেল সার্টিফিকেটসহ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে আবেদন করতে হবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যাচাই-বাছাই করে দ্রুত টিউশন ফি মওকুফের ব্যবস্থা করবে।
শিক্ষার্থীদের বর্তমান শিক্ষাবর্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য হবে।
আরও পড়ুন: দৌলতপুরে পদ্মা নদীতে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
৩ মাস আগে
আন্দোলনের সময় পুলিশের প্রাণহানি নিয়ে ভুল তথ্যের বিষয়ে সতর্ক করল সরকার
জুলাই-আগস্ট শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন আন্দোলনে নিহত পুলিশ সদস্যের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে জনগণ ও কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সরকার।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বলেছে, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি কিছু সংবাদমাধ্যম এবং ব্যক্তি এই সময়ের মধ্যে পুলিশের মৃত্যুর সংখ্যা সম্পর্কে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে।’
বিক্ষোভ বা সহিংসতার ঘটনায় আহত বা নিহত কর্মকর্তা বা কনস্টেবলদের একটি বিস্তারিত তথ্য সংরক্ষণ করেছে পুলিশ বিভাগ। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নিহতদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে পুলিশ সদর দপ্তর।
অভ্যুত্থানের সময় আরও পুলিশ নিহত হয়েছে বলে কেউ দাবি করলে প্রমাণ দেওয়ার জন্যও আহ্বান জানান কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন:গণঅভ্যুত্থানে হত্যা, ৪ পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের অনুমোদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
৩ মাস আগে
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের পর রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে তারা এ দাবি জানান।
একই সঙ্গে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করারও দাবি জানান তারা।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে বিতর্ক এড়ানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় কেন্দ্রীয় সমন্বয়কের মধ্যে সারজিস আলমও এসব দাবি আদায়ে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে নামার আহ্বান জানান।
সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে দুই দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে সারজিস বলেন, 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একটি স্পষ্ট বার্তা দিতে চায় যে, ‘আবারও প্রয়োজন হলে আমরা আমাদের চোখ দিতে প্রস্তুত, পা দিতে প্রস্তুত, হাত দিতে প্রস্তুত, এমনকি জীবন দিতেও প্রস্তুত।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী ছাত্রলীগের উত্থান সহ্য করা হবে না, কারণ তারা আমাদের ভাইদের হত্যার জন্য দায়ী। প্রাণ দিয়ে হলেও আমরা ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ নামের ফ্যাসিবাদীদের প্রতিহত করার জন্য আজীবন লড়াই করে যাব।’
রাষ্ট্রপতি প্রসঙ্গে আরেক সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, ‘আমরা আমাদের বিপ্লব এই শহীদ মিনার থেকেই শুরু করেছিলাম। ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা বিপ্লবের ভয়ে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছেন। সেদিন আপনি সেটা নিশ্চিত করেছিলেন কিন্তু এখন মিথ্য়ে কথা বলছেন কেন? আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই- খুনি হাসিনা যেভাবে পালিয়ে গেছে, তেমনি ছুপ্পুকেও পদত্যাগ করতে হবে।’
বৃহস্পতিবারের মধ্যে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান মাসুদ।
বর্তমান সংবিধান বাতিলের দাবির কথা উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ না করলে তার সরকারি বাসভবন বঙ্গভবন ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দেন।
আরও পড়ুন: হাসিনাকে পুনর্বাসন করতে চান রাষ্ট্রপতি: বিএনপি
৩ মাস আগে
আন্দোলনের মুখে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি পদে যোগ দিতে না পেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে গেছেন ডা. রোবেদ আমিন
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকে কর্মক্ষেত্রে আসছেন না ডা. রোবেদ আমিন।
গত ১৮ আগস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ড. আমিনকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে কর্মকর্তাদের বিক্ষোভের মুখে তিনি এই পদে বসতে পারেননি।
ড. আমিনের বিরুদ্ধে বিএনপির প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেন বিক্ষোভকারীরা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, তিনি অনেকবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গিয়েছেন কর্মক্ষেত্রে যোগদানের জন্য। তবে তাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
গত ১২ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্যকর্মীদের দাবির মুখে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় অধ্যাপক রোবেদ আমিনকে। তাই অসুস্থতাজনিত কারণ দেখিয়ে তিনি ছুটি নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে রোবেদ আমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘আমি মন্ত্রণালয়ে যাই। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যেতে পারিনি।’
তাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি কি না—এই প্রশ্নের উত্তর তিনি খোলাসা না করে বলেন, ‘আমি আমার জবটাই করি। আমার সঙ্গে সরাসরি কারো সঙ্গে এমন কোনো কথা হয়নি।’
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদত্যাগের দাবিতে বিএনপিপন্থী চিকিৎসক-কর্মচারীদের বিক্ষোভ
অতিরিক্ত মহাপরিচালক হিসেবে নাজমূল হাসান দায়িত্ব পালন করছেন বলে তিনি জানান।
ড. আমিন বরেন, ‘আমি অসুস্থতাজনিত কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি নিয়েছি। ওনাকে যেদিন দায়িত্ব দেওয়া হয়, আমি সেদিনই ছুটির দরখাস্ত দিই। এখনো আমাকে কোনো পদ দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়নি।'
বর্তমান অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাজমুল হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোন একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
গত ১২ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্যকর্মীদের দাবির মুখে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় অধ্যাপক রোবেদ আমিনকে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেনকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ওইদিন (বৃহস্পতিবার) স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেনকে তার নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হলো।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তাদের অপসারণ দাবি
৪ মাস আগে
আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকতে ও খুনিদের শাস্তি নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি ফখরুলের আহ্বান
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) চিকিৎসাধীন আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে গিয়ে এ দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
তিনি বলেন, 'আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি তারা যেন শহীদ ও আহতদের পরিবারকে সহায়তা করে এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করে।’
গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থী ও জনগণকে দমন করতে আওয়ামী লীগ সরকার 'ভয়াবহ গণহত্যা' চালিয়েছে বলে সমালোচনা করেন তিনি।
দলের পক্ষ থেকে এর আগেও ওই হাসপাতালে আন্দোলনে আহতদের দেখতে গিয়েছিলেন বলে জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গুমের ঘটনা জাতিসংঘের নেতৃত্বে তদন্তের আহ্বান ফখরুলের
তিনি বলেন, ‘আমি আজকেও এসেছি এখানে যারা আছেন তাদের পাশে দাঁড়াতে। আমরা দলের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি।’
দেশকে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদমুক্ত করার আন্দোলনে যেসব শিক্ষার্থী ও জনগণ জীবন দিয়েছেন, রক্ত ঝরিয়েছেন, আহত হয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের পতন সত্যিকার অর্থে জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী একটি সরকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
আরও পড়ুন: ফখরুলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, নির্বাচন নিয়ে আলোচনা
ফখরুল বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
এসময় তিনি আহতদের সঙ্গে কথা বলেন এবং দলের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা দেন।
আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।
৪ মাস আগে
জুলাই আন্দোলনের প্রত্যাশা বাস্তবায়নে জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠন
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সমাজের বিভিন্ন স্তরের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের মঞ্চ হিসেবে রবিবার আত্মপ্রকাশ করে জাতীয় নাগরিক কমিটি।
ঘোষিত ৫৫ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে আজ। এই কমিটি অংশীজনদের মধ্যে রাজনৈতিক মতাদর্শ উপলব্ধি করে তার নিষ্পত্তির জন্য কাজ করবে এবং সব ধরনের ফ্যাসিবাদকে নির্মূল করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।
সংগঠনের পক্ষে কমিটির আহ্বায়ক মুহাম্মদ নাছিরউদ্দিন পাটোয়ারী এ কমিটি ঘোষণা করেন। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য ছিলেন।
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালের বাণিজ্য মেলা জানুয়ারি মাসেই অনুষ্ঠিত হবে: উপদেষ্টা
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন গত বছর গঠিত বিকল্প ছাত্র প্লাটফর্ম গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আখতার হোসেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পেছন থেকে অগ্রণী ভূমিকা ছিল আখতারের।
১৭ জুলাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে তুলে নিয়ে যায় এবং শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করার আগ পর্যন্ত বন্দি ছিল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী সামান্থা শারমিনকে কমিটির মুখপাত্র করা হয়েছে।
কমিটি গঠন উপলক্ষে এক বিবৃতিতে সামান্থা জানান, আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে তারা কাজ শুরু করেছেন।
নেতারা বলেন, অতি শিগগিরই সব মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ছাত্র নেতৃত্বাধীন অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আলোচনা শুরু করা হবে।
আরও পড়ুন: 'মর্যাদাপূর্ণ ও অনন্য' বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান ইউনূসের
মুখপাত্র বলেন, ‘তৃণমূল পর্যন্ত এই কমিটি সম্প্রসারণের মাধ্যমে আমরা ছাত্র অভ্যুত্থানের শক্তিকে সুসংহত করব এবং বাংলাদেশ পুনর্গঠনের লক্ষ্যে কাজ করব।’
জাতীয় নাগরিক কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- আরিফুল ইসলাম আদিব, সাইফ মোস্তাফিজ, মনিরা শারমিন, নাহিদা সারওয়ার চৌধুরী, সারোয়ার তুষার, মুতাসিম বিল্লাহ, আশরাফ উদ্দিন মাহদী, আলাউদ্দিন মোহাম্মদ, অনিক রায়, জাবেদ রসিন, মো. নিজাম উদ্দিন, সাবহানাজ রশিদ দিয়া, প্রাঞ্জল কোস্তা, মইনুল ইসলাম তুহিন, আব্দুল্লাহ আল আমিন, হুজাইফা ইবনে ওমর, শ্রবনা শফিক দীপ্তি, সায়ক চাকমা ও সানজিদা রহমান তুলি;
আবু রায়হান খান, মাহমুদা আলম মিতু, অলিক ম্রি, সাগুফতা বুশরা মিশমা, সৈয়দ হাসান ইমতিয়াজ, তাসনিম জারা, মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া, আজহার উদ্দিন অনিক, মেসবাহ কামাল, আতাউল্লাহ, এস এম শাহরিয়ার, মনজুর-আল-মতিন, প্রীতম দাস, তাজনুভা জাবিন, অর্পিতা শ্যামা দেব, মাজহারুল ইসলাম ফকির, সালেহ উদ্দিন সিফাত, মুশফিক-উস-সালেহীন, তাহসিন রিয়াজ, হাসান আলী খান, আব্দুল আহাদ, ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, মশিউর রহমান;
ফরহাদ আলম ভূঁইয়া, তানজিল মাহমুদ, এস এম সুজা, আরিফুর রহমান, কানেতা ইয়া লাম লাম, সৈয়দা আক্তার, স্বর্ণা আক্তার, সালমান মুহাম্মদ মুক্তাদির, আকরাম হোসেন।
আরও পড়ুন: সমন্বয়কদের প্রত্যাশা বাস্তবায়ন করবে উপদেষ্টা পরিষদ: উপদেষ্টা
৫ মাস আগে