আন্দোলন
পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের ভিডিও এসএসসিতে ‘অটোপাশ’ আন্দোলন বলে প্রচার
অটোপাশ চেয়ে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন বলে একটি ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে শিক্ষার্থীদের স্লোগান দিতে দেখা গেছে, ‘লেগেছে, লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’; ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’; ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’।
স্লোগানের কোথাও অটোপাশ দাবি করা হয়নি। শিক্ষার্থীদের হাতে একটি ব্যানার আছে। ব্যানারের সামনে মানুষ থাকায় সেটি পড়তে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। তবে ব্যানারের উপরের অংশে ‘ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩৩ শতাংশ অবৈধ পদোন্নতি দেওয়ার প্রতিবাদে’ লেখা বোঝা যাচ্ছে। ব্যানারের মাঝের ‘পরীক্ষা বর্জন’ ও শেষে ‘রংপুর আইডিয়াল’ লেখা অংশটি বোঝা যাচ্ছে।
ফ্যাক্টচেক
এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অটোপাশ দাবিতে আন্দোলন হচ্ছে বলে দাবি করে এই ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে। অসংখ্য ফেসবুক গ্রুপ, আইডি ও টিকটক থেকে গেল কয়েকদিন ধরেই ভিডিওটি প্রচার করা হচ্ছে।
রবিবার (৬ এপ্রিল) ‘এসএসসি ব্যাচ ২০২৪ অ্যান্ড ২০২৫’ নামের একটি গ্রুপ থেকেও এটি ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভিডিওটি পোস্ট করে লেখা হয়েছে, ‘এবারের এসএসসি পরীক্ষায় আমরা অটোপাশ চাই, কারণ জুলাই বিপ্লবের আন্দোলনসহ পবিত্র রমজান মাসে রোজা রাখা মিলিয়ে আমাদের প্রস্তুতি ভালো হয়নি, সবাই আমরা আন্দোলন গড়ে তুলবো নিজ নিজ জায়গা থেকে,
আমাদের দাবি একটাই অটোপাশ চাই, অটোপাশ চাই।’
‘ড্রিমস মেডিক্যালিয়ান ইনশাআল্লাহ’ নামের একটি গ্রুপ থেকেও এটি পোস্ট করা হয়েছে। কিন্তু বার্তা সংস্থা ইউএনবির ফ্যাক্টচেকের অনুসন্ধানে জানা গেছে, ভিডিওটি রংপুর আইডিয়াল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের।
আরও পড়ুন: মোদির ভিডিও পোস্ট করে হাসিনাকে হিন্দোলে সরিয়ে নেওয়ার প্রচার
গেল ২১ মার্চ ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ পদোন্নতির রায় বাতিলের দাবিতে পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন রংপুরের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা। রংপুর আইডিয়াল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিরর শিক্ষার্থীরাও তাতে অংশ নেন।
সেদিন শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ নিয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) অফিসে যান। এ সময়ে তারা ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ পদোন্নতির রায় বাতিলের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপিও দেন।
প্রথমে ভিডিওটি ছড়ানো হয় টিকটকে ‘জেহাদ১৫৫কে’ নামের একটি আইডি থেকে। ক্যাপশনে লেখা ছিল, ‘ক্রাফট হটাও, পলিটেকনিক বাঁচা’। পরে এটি ‘অটোপাশ’ দাবিতে আন্দোলন বলে চাপিয়ে দিতে সামাজিকমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।
১০ দিন আগে
দেশবিরোধী আন্দোলনে উসকানিদাতাদের গ্রেপ্তার করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকলে এবং দেশবিরোধী ও ধ্বংসাত্মক আন্দোলন-সমাবেশে উসকানিদাতাদের গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ৮ম সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বিশেষ করে আগামীকাল স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণে থাকে, সে বিষয় করণীয় সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত এবং দেশবিরোধী ও ধ্বংসাত্মক আন্দোলন-সমাবেশে উসকানিদাতাদের গ্রেফতার করা হবে।’
আরও পড়ুন: গাম্বিয়ার সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি কূটনৈতিক বিনিময়কে উৎসাহিত করবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধকল্পে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি, টহল জোরদার এবং গোয়েন্দা নজরদারি আরও বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ঈদ নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে ঢাকার বিভিন্ন প্রবেশ পথে চেকপোস্ট বসানো হবে। বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও বস্তিতে অভিযান বৃদ্ধি করা হবে।’
যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সভায়
ঈদের সময় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ অধিদপ্তর এবং প্রযোজ্য অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে। সব কন্ট্রোল রুম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় জয়েন্ট অপারেশন সেন্টার (01320001223) এর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করবে।
ঈদের সময় ট্রাফিক ও যানজট নিয়ন্ত্রণে যমুনা সেতু, পদ্মা সেতু এবং ফ্লাইওভারসহ টোলপ্লাজাগুলোতে যানজট নিরসনে ইটিসিসহ (ইলেকট্রনিক টোল সংগ্রহ) দ্রুত টোল আদায়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিবহনকারী বা যাত্রীবাহী যানবাহন ব্যতীত স্থলবন্দর ও নৌবন্দরসহ যেকোনো জায়গা থেকে ছেড়ে আসা নির্মাণ সামগ্রী বহনকারী ও লম্বা যানবাহনগুলো ঈদের পূর্বের তিন দিন এবং পরের তিন দিন যেন মহাসড়কে চলাচল করতে না পারে বা নৌ-রুটে ফেরি পারাপার করতে না পারে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঈদ উপলক্ষ্যে যাত্রী পরিবহন নির্বিঘ্ন করার জন্য সড়ক, নৌ ও রেলপথে যাতে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই না করা হয় ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করা হয়, সে লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগ, দপ্তর, সংস্থাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এবং যাত্রী সাধারণকে সচেতন থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে।
চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতকারীদের কর্মকাণ্ড তথা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে ইউনিফর্মধারী পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য মোতায়েন, বিশেষ বিশেষ রাস্তায় ও মোড়ে চেকপোস্ট স্থাপন, টাকা স্থানান্তরে মানি এস্কর্ট প্রদান, জাল টাকার বিস্তার রোধ ও শনাক্তকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ঈদের ছুটির পূর্বেই গার্মেন্টস/শিল্পকারখানার শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ নিশ্চিত করা হবে। অন্যথায় গার্মেন্টস/কারখানা মালিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। গার্মেন্টস কারখানা, অন্যান্য শিল্প কারখানাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী ও ইন্ধনদাতা মালিক, শ্রমিক এবং বহিরাগতদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইনগত ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। ধর্ষণসহ নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট—‘জিরো টলারেন্স’।
আরও পড়ুন: র্যাব ও এপিবিএন হেডকোয়ার্টার পরিদর্শন করলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধর্ষণসহ সব ধরনের নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ যাবৎ নারীর প্রতি যত সহিংসতা হয়েছে, সেগুলোর তালিকা করে দ্রুত তদন্ত সম্পন্নপূর্বক আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ধর্ষণের ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা এবং কঠোর শাস্তির আওতায় আনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এছাড়া ধর্ষণ মামলার বিচার কেবল দ্রুতই নয়, বিচারটা যাতে নিশ্চিত ও যথাযথ হয় ব্যবস্থা নিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন কঠোর করা হচ্ছে। তাছাড়া সভায় মাদকের অপব্যবহার রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
২২ দিন আগে
উপদেষ্টারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছেন: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন এবং সাম্প্রতিক জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছেন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতৃত্বাধীন গণতন্ত্রপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো ১৫ বছর ধরে যে আন্দোলন চালিয়েছে, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান তারই চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ।’
শনিবার (১৭ মার্চ) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আবারও ফ্যাসিবাদের উত্থান হলে একুশের চেতনাই তা রুখবে: রিজভী
মাগুরায় আট বছরের শিশু আছিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দায়ীদের বিচারের দাবিতে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
রিজভী বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে কথা বলায় এবং বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করতে গিয়ে গত ১৫ বছরে ইলিয়াস আলীসহ বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী গুমের শিকার হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘চূড়ান্তভাবে জুলাই-আগস্টে শিশু-তরুণ ও কিশোররা জীবন উৎসর্গ করে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে। তাই আমি উপদেষ্টাদের কাছে জানতে চাই, আপনারা কেন এই ১৫ থেকে ১৬ বছরের আন্দোলন এবং জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের মধ্যে বিভাজনের রেখা টানছেন?’
বলেন, জনগণের কল্যাণে কাজ করা এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিশেষ করে চালের দাম কমানোর দিকে মনোনিবেশ করার জন্য উপদেষ্টাদের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, 'একজন উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের বলেছেন, আপনারা যেভাবে দেশ চালাচ্ছেন, এভাবে পাঁচ বছর চললে দেশ আরও উন্নত হবে। তার মানে এখানে নির্বাচনের কোনো প্রয়োজন নেই।’
রিজভী বলেন, গণতন্ত্র, আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, 'আপনারা তাদের (ছাত্রদের) কী শেখাচ্ছেন? আপনি তাদেরকে ফ্যাসিবাদ বা একনায়কতন্ত্রের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। এটা অন্যায়।’
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তী সরকারই তত্ত্বাবধায়ক সরকার: রিজভী
তিনি বলেন, তার দল চায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করুন, যেখানে তার প্রতি জনগণের আস্থা বজায় থাকবে।
বিএনপি নেতা সতর্ক করে বলেন, ‘জনগণের এমন গভীর আস্থা রয়েছে যে, আপনারা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। তবে বিলম্ব হলে তা ভিন্ন দিকে মোড় নেবে বলে হুঁশিয়ারি দেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ মহাসচিব রিজভী।
রিজভী বলেন, দেশে বর্তমান অসন্তোষ শেখ হাসিনার দুঃশাসনের ফল। ‘আমাদের অবশ্যই এই দুঃশাসনের বিকৃত ফলকে উৎপাটন করে শুদ্ধ সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
৩০ দিন আগে
জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কমিটি নিয়ে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি
জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্র-ঘোষিত নতুন কমিটি নিয়ে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করেছে দুপক্ষ।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) নতুন কমিটিতে স্থান পাওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা জয়পুরহাট প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলন নতুন কমিটির আহ্বায়ক হাসিবুল হক সানজিদ, সদস্য সচিব মুবাশীর আলী শিহাব, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সচিব নিয়ামুর রহমান নিবিড়, যুগ্ম সদস্য সচিব মোবাশ্বের হোসেন, মুখ্য সংগঠক এহছান আহমেদ নাহিদ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় তার বলেন, কেন্দ্র-ঘোষিত কমিটি একতরফা হয়েছে বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন। আন্দোলনের সময় যারা আমাদের সঙ্গে ছিলেন তারাই এই কমিটিতে স্থান পেয়েছেন।
অপরদিকে, নতুন জেলা কমিটিতে পদবঞ্চিতরা শহরের স্থানীয় শহিদ ডা. আবুল কাশেম ময়দানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
আরও পড়ুন: ৫ দফা দাবিতে চমেক হাসপাতালে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি
মানববন্ধন চালাকালে বক্তব্য দেন— ছাত্র আন্দলোনের প্রতিনিধি বোরহান উদ্দীন, আশরাফুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাকিল, রাকিব হাসান, শাহিন আলম, নাঈম হোসেন, সবুজ হোসেন প্রমুখ।
৪৯ দিন আগে
কুয়েটের ভিসির বাসভবনে তালা, আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ৯৮তম সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) রাতে ‘রক্তাক্ত কুয়েট’ চিত্র প্রদর্শনী শেষে শিক্ষার্থীরা এ ঘোষণা দেন। পরে মিছিল নিয়ে ভিসির বাসভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন তারা।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ‘রক্তাক্ত কুয়েট’ সহিংস ঘটনার চিত্র তুলে ধরে এই প্রদর্শনী আয়োজন করেন। তারা জানান, ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটের কিছু শিক্ষার্থীর সহায়তায় বহিরাগতরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর যে হামলা চালায়, তার প্রমাণস্বরূপ এই প্রদর্শনী।
প্রদর্শনী শেষে কুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এক ঘোষণায় বলেন, আমাদের মূলত দাবি ছিল ৬টা। সিন্ডিকেটে কিছু কিছু দাবি কৌশলে এড়িয়ে নিজেদের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যার সঙ্গে শিক্ষার্থীরা কোনোভাবেই একমত না। সুতরাং দাবি না আদায় পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।
এদিন রাত ১০টার দিকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাছুদের বাসভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগসহ ৫ দফা দাবি, একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ
এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা আমাদের ড. মাসুদ স্যারকে (ভিসি) নাকি নির্যাতন করেছি বলে যে অপপ্রচার চালানো হয়েছে— তা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা। আমরা যথেষ্ট সম্মানের সঙ্গে আচরণ করেছি। তার শরীরে একটি টোকা দিয়েছি এমন কোনো প্রমাণ বা ভিডিও কেউ দেখাতে পারবে না।
তারা বলেন, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়টি ইতোপূর্বে সিন্ডিকেট মিটিংয়ে কঠোরভাবে পালনের নির্দেশনা দেওয়া হলেও, তা মেনে চলা হচ্ছে না। তাই এ বিষয়টি প্রশাসনিক অধ্যাদেশ গুরুত্বের সঙ্গে কার্যকর করতে হবে।
আরও পড়ুন: কুয়েটের একাডেমিক কার্যক্রম ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত
তারা আরও বলেন, অপপ্রচার চালানো হয়েছে প্রশাসন আমাদের পাঁচটি দাবি মেনে নিয়েছেন। অথচ এটি মিথ্যা। আমাদের কেবল আশ্বস্ত করা হয়েছে। তারা যে কমিটি গঠন করেছে, সেখানে সাধারণ ছাত্রদের কাউকে রাখা হয়নি। এ কমিটির প্রতি আমাদের কোনো আস্থা নেই।
উল্লেখ্য, গেল ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদলের ফরম বিতরণকে কেন্দ্র করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এরপর শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় অংশ নেয় স্থানীয় বহিরাগতরাও। এ নিয়ে কুয়েটের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটের একাডেমিক কার্যক্রম ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়।
৫৪ দিন আগে
তিস্তা বাঁচানোর পদযাত্রায় মানুষের ঢল
তিস্তা রক্ষা আন্দোলন কমিটির উদ্যোগে তিস্তার ন্যায্য হিস্যা আদায় ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচিতে মানুষের ঢল নেমেছে। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় তিস্তা ব্রিজের লালমনিরহাট সীমান্ত থেকে রংপুরের কাউনিয়া পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার সড়কে এ পদযাত্রা হয়।
‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে পদযাত্রায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীসহ তিস্তাপাড়ের মানুষেরা অংশ নিয়েছেন। পদযাত্রায় নেতৃত্ব দেন তিস্তা রক্ষা আন্দোলন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু।
আরও পড়ুন: তিস্তা ব্যারাজে হঠাৎ বেড়েছে পানি, ফসলহানির আশঙ্কা
প্রথম দিনের মতো সমাপনীর দিনও সকাল থেকেই তিস্তা নদীবেষ্টিত রংপুর, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, নীলফামারী ও কুড়িগ্রামের ১১টি পয়েন্টে সমাবেশ, পদযাত্রা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনার আয়োজন করেছে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি।
৫৭ দিন আগে
তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত
সরকার সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়ার পর এক সপ্তাহের জন্য আন্দোলন স্থগিত করেছেন সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধি দলের বৈঠকের পর গত কয়েকদিন ধরে ঢাকার কার্যক্রম বিঘ্নিত করে চলা ধর্মঘট প্রত্যাহারের এ সিদ্ধান্ত আসে।
বৈঠক শেষে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী নূর মোহাম্মদ।
তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি আদায় না হলে তারা আবারও রাস্তায় নামবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
এর আগে মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করে তাদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।
সোমবার রাতে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল সরোয়ার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কলেজটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরসহ ৬ দফা দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) তারা কলেজের সামনের মহাখালী ও গুলশান লিংক রোড অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় এবং ঢাকায় রেললাইনে ব্যারিকেড দেয়, এতে ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন যোগাযোগ বিঘ্নিত হয়।
দাবি আদায়ে আমরণ অনশনও কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ।
আরও পড়ুন: তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার যৌক্তিকতা পাচ্ছে না সরকার: সিনিয়র সচিব
৭২ দিন আগে
আন্দোলনে আহত আরও ২ জনকে পাঠানো হলো সিঙ্গাপুর
জুলাই আন্দোলনে চোখ ও মেরুদণ্ডে গুলিবিদ্ধ ইমরান ও মহিউদ্দিন নামে আরও দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) তাদের দুজনকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে সকাল ৮টায় সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল আই সেন্টার এবং ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের উদ্দেশে রওয়ানা দেন তারা।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে অর্থাভাবে চিকিৎসা নিতে পারছেন না জুলাই বিপ্লবে আহত সাজিদ
এর আগে চোখে গুলিবিদ্ধ আহত ইমরান হোসাইন জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
অন্যদিকে মেরুদণ্ডে গুলিবিদ্ধ মহিউদ্দিন রাব্বি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (ঢাকা) চিকিৎসাধীন ছিলেন।
৭৮ দিন আগে
হাসিনা যাবে, অন্য কেউ ক্ষমতায় আসবে বলে আন্দোলন করিনি: আখতার
হাসিনা যাবে, অন্য কেউ ক্ষমতায় আসবে—এ জন্য মানুষ আন্দোলন করেননি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। সোমবার (২০ জানুয়ারি) আসাদ দিবস উপলক্ষে ‘শহীদ আসাদ থেকে শহীদ আবু সাঈদ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এমন কথা বলেন তিনি।
আখতার বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থান থেকে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপের রাজনীতির রোডম্যাপ হবে পতিত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগকে আর কোনোভাবে রাজনীতিতে প্রসঙ্গিক না করা।’
‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে ‘৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের সূক্ষ্ম পার্থক্য হচ্ছে, ‘২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে কোনো রাজনৈতিক দল স্বনামে সক্রিয় ছিলেন না। জনগণ ছাত্রদের ডাকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে মাঠে নেমেছেন এবং আন্দোলন করেছেন।’
জনগণের প্রত্যাশার প্রসঙ্গে আখতার বলেন, ‘হাসিনা যাবে অন্য কেউ ক্ষমতায় আসবে এজন্য মানুষ আন্দোলন করেনি। মানুষ দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমূল সংস্কার চেয়েছে, তাই পথে নেমেছে।’
‘বিগত দিনের ফ্যাসিবাদী সরকার আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্তু কোনোভাবেই জাতীয় নাগরিক কমিটি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং দেশের সাধারণ জনগণ আওয়ামী লীগকে আগামীতে রাজনীতি করতে দেবে না।’
এই ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার রক্ষাকবচ হিসেবে বাহাত্তরের সংবিধান সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে উল্লেখ করে আখতার বলেন, ‘বাহাত্তরের সংবিধান বাতিল করে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে।’
আরও পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন
বর্তমান সংবিধানে আওয়ামী লীগ এবং ফ্যাসিবাদ বিলোপ সম্ভব নয় দাবি করে আখতার বলেন, ‘সাধারণ ছাত্ররা নতুন সংবিধানের রোডম্যাপ দিতে পারলেও রাজনৈতিক দলগুলো এখন পর্যন্ত এর কোনো রোডম্যাপ দিতে পারেনি।’
‘বাংলাদেশে বহুদলীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থা থাকবে। কিন্তু বিদ্যমান পরিস্থিতিতে রাজনীতি করা যাবে না। রাজনীতি হবে নয়া এক বন্দোবস্তর মাধ্যমে।’
নতুন ব্যবস্থায় রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান আখতার।
৮৬ দিন আগে
আন্দোলনে আহতদের সুচিকিৎসা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, ‘জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের পরিবারের ন্য সরকারের একটা বরাদ্দ আছে, সেটা তারা পেয়ে যাবেন। যারা আহত হয়েছেন তাদের বিষয়ে সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে তাদের সঠিক চিকিৎসাটা দেওয়া। সেটা নিয়ে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডাক্তারদের পরামর্শে আহত তিনজনকে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। আরও দুইজনের কথা বলা হচ্ছে। এরপর আরও ২৫ জনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হবে। সর্বোচ্চ প্রায়োরিটি পাচ্ছে সেটা হচ্ছে আহতদের চিকিৎসা।’
সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতে নানা ধরনের বহুমুখী সমস্যা আছে। বিভিন্ন হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোতে পর্যাপ্ত চিকিৎসক নার্সের সংকট রয়েছে। যন্ত্রপাতির সংকট রয়েছে। অনেক জায়গায় এম.আর.আই মেশিন, এক্সরে মেশিন নষ্ট। এসব সমস্যা সমাধানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জানুয়ারিতে হর্নমুক্ত ঘোষণা করা হবে ঢাকার ১০টি রাস্তা: উপদেষ্টা
নূরজাহান বেগম বলেন, আহতদের চিকিৎসার জন্য চায়না, নেপাল, ফ্রান্স, থাইল্যান্ড থেকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এসেছে। নেপাল ৫০ জনের চোখের কর্নিয়া স্থাপনের ব্যবস্থা করছে। এরইমধ্যে দুইজনের চোখে সফলভাবে কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, আন্দোলনে যারা আহত হয়েছেন তাদের মধ্যে অনেক শ্রেণির পেশার মানুষ আছেন। অনেকে হাত হারিয়েছেন, অনেকে পা হারিয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। আহতদের অনেকে নানা ট্রমার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। এটা শুধু মন্ত্রণালয়ের না, পুরো জাতির বিষয়।
কোভিডকালীন সময়ে ডাক্তারদের অবদানের কথা তুলে ধরে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, কোভিডকালীন পরিস্থিতিতে ডাক্তাররা যে সেবাটা দিয়েছেন, অনেক ডাক্তারও কোভিড আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আমরা তাদের স্মরণ করি না। কিন্তু তারা অনেক দিয়েছেন জাতির জন্য। বৈষম্যের যে কথা উঠে এসেছে সেটা নিয়ে আমি বলব শুধু ডাক্তাররা নয়, নার্সরাও বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন।
পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, শিশু বিভাগ, আইসিইউ, ইসিজি রুম, এডাল্ট রিসাসিটেশন রুম, অবজারভেশন রুম, ল্যাবরেটরিসহ হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন করেন এবং হাসপাতালের ভর্তি রোগীদের সঙ্গে চিকিৎসাব্যবস্থা নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেন।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন, চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) অং সুই প্রু মারমাসহ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
১৬৩ দিন আগে