তিনি বলেন, রাজনীতিতে পাঁচ দশকের অধিক সময়ের যাত্রা থেকে তিনি জেনেছেন যে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যে কোনো উদ্যোগে থাকতে হবে সব দেশের শান্তি-ঐকতান-স্থিতিশীলতার পরিবেশ সৃষ্টি, টেকসই উন্নয়নের সমুদয় দিকে নজর দেয়া, দেশগুলোর অভিন্ন স্বার্থে পারস্পরিক বিশ্বাস ও সম্মানের ভিত্তিতে সংযুক্ত হওয়া, সবার জন্য সম্পদ সৃষ্টিতে নজর দেয়া ও উন্নয়ন অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়া এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়, সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি।
চীনের লিয়াওনিং প্রদেশের বন্দরনগরী দালিয়ানে চলমান ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) ‘অ্যানুয়াল মিটিং অব দ্য নিউ চ্যাম্পিয়ন্স ২০১৯’ শীর্ষক সম্মেলনের প্যানেল আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এ প্রস্তাব তুলে ধরেন।
দালিয়ান আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সেন্টারে ‘লিডারশিপ ৪.০- সাকসিডিং ইন এ নিউ এরা অব গ্লোবালাইজেশন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ১ থেকে ৩ জুলাই তিন দিনব্যাপী ডব্লিওইএফের বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ সম্মেলন ‘ডব্লিউইএফ সামার দাভোস’ হিসেবেও পরিচিত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কখনো কখনো শুধুমাত্র কিছু বড় অর্থনীতির সক্ষমতা ও প্রয়োজন দেখে থাকি। কিন্তু আমাদের যৌথ যাত্রা ও টেকসই বিশ্বের জন্য আমাদের অবশ্যই ছোট গোষ্ঠী বা তুলনামূলক দুর্বল অর্থনীতিগুলোর মূল উদ্বেগগুলো সমাধান করতে হবে।’
তিনি জানান, এটা ব্যাপকভাবে স্বীকৃত যে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকা বিশ্বের সবচেয়ে গতিশীল অঞ্চল। আর ১৫০ কোটি মানুষের বঙ্গোপসাগরীয় এলাকা সমানভাবে সমৃদ্ধশালী ও বর্ধিষ্ণু এক অঞ্চল।
বঙ্গোপসাগরের আশপাশের মানুষদের উন্নতি ও বিকশিত হওয়ার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলাপকালে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ আপসে মিয়ানমার ও ভারতের সাথে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি করেছে।