বুধবার দুপুর ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত চলে এই বইমেলা। আগামীকাল বৃহস্পতিবারও মেলা চলবে।
দুপুরে বইমেলায় উপস্থিত ছিলেন শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দীন আহমেদ, কথা-সাহিত্যিক অধ্যাপক জাফর ইকবাল, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ফারাজানা সিদ্দিকা রনি, স্থাপত্য বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অভিক সোবহান প্রমুখ।
এসময় শাবি উপাচার্য বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ এই বইমেলা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বই পড়ার বড় একটা সুযোগ। বইমেলার বেশিরভাগ বই মুক্তিযুদ্ধ নির্ভর। ছেলে-মেয়েদের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ইতিহাস জানতে এরকম বইমেলা সত্যি অনেক ভালো দিক।’
দেশের সর্বস্তরের মানুষের দ্বারপ্রান্তে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যেই ভিন্নধর্মী এ বইমেলার আয়োজন করেছে শ্রাবণ প্রকাশনী ও বইনিউজ। দেশজুড়ে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত চলবে ভ্রাম্যমাণ মুক্তিযুদ্ধের বইমেলা।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি সিলেট শহরের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ এ বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে। মেলায় মুক্তিযুদ্ধের ওপর বাছাই করা ৫ শতাধিক বই প্রদর্শন ও বিক্রি করা হবে। মুক্তিযুদ্ধের নির্বাচিত গ্রন্থসমূহ ২০ শতাংশ কমিশনে মেলায় পাওয়া যাবে।
গত ৮ ডিসেম্বর থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা শহর, উপশহর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা বইভর্তি গাড়ি নিয়ে ছুটে বেড়াচ্ছে শ্রাবণ প্রকাশনীর ভ্রাম্যমাণ বইমেলার গাড়ি। একাত্তরের দিনগুলি, আমি বীরাঙ্গনা বলছি, বীরাঙ্গনার জীবনযুদ্ধ, ফিরে দেখা একাত্তরসহ পাঁচ শতাধিক মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-সংবলিত বই নিয়ে সাজানো এ ভ্রাম্যমাণ বইমেলার গাড়ি।
ভ্রাম্যমাণ বইমেলার মিডিয়া পার্টনার হিসেবে রয়েছে চ্যানেল আই অনলাইন, একাত্তর টিভি, সমকাল, নিউএজ ও জাগরণীয়া। সহযোগিতায় রয়েছে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। ৪ মাসব্যাপী এ বইমেলার ‘শ্রাবণ বইগাড়ি’ দেশের ৬৪ জেলা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পর্যায়ক্রমে ভ্রমণ করবে।