এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ, সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি), নাগরিক উদ্যোগ ও জাগো ফাউন্ডেশন যৌথভাবে রংপুরে ‘নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ও যুব এজেন্ডা’ শীর্ষক এ সংলাপের আয়োজন করে।
সিপিডির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল যুব সমাজকে নানা প্রতিশ্রুতি দেয়। তাদের নির্বাচনী ইশতেহারগুলোতে ছিল যুব সমাজের দক্ষতা বৃদ্ধি, প্রয়োজনীয় কর্মসংস্থান সৃষ্টি, তরুণ উদ্যোক্তা নীতি প্রণয়ন, মানসম্মত শিক্ষা ও গবেষণায় সুযোগ বৃদ্ধি ইত্যাদি প্রতিশ্রুতি।
সংলাপে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ও সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন সংলাপে বিশেষ অতিথি এবং রংপুর কারমাইকেল কলেজের অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মলয় কিশোর ভট্টাচার্য সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
নাগরিক প্ল্যাটফর্মের কোর গ্রুপ সদস্য এবং সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সংলাপে স্বাগত বক্তব্য দেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন।
সংলাপে রংপুরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা, যুব প্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি, ব্যক্তিখাতের উদ্যোক্তা, সমাজকর্মী, পেশাজীবী ও গণমাধ্যমকর্মীসহ নাগরিক সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
তারা দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় যুব সমাজের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি ও যুব উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপের জন্য নীতিনির্ধারকদের প্রতি বিভিন্ন পরামর্শ তুলে ধরেন।
নিজের বক্তব্যে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, যেকোনো দেশের উন্নয়নে মূল প্রভাবক হিসেবে কাজ করে সে দেশের যুব সমাজ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা পূর্ববর্তী ও পরবর্তী বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমে যুব সমাজ সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে। দেশের উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করতে হলে যুব সমাজের উদ্ভাবনী ও উদ্দীপনার সদ্ব্যবহার করতে হবে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকারি দল থেকে যুব উন্নয়ন সম্পর্কিত যে সব প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে সেগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকারের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি, যোগ করেন তিনি।
বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ যুব সমাজের অংশ জানিয়ে ড. দেবপ্রিয় বলেন, দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে যুব সমাজের সঠিক ক্ষমতায়ন ও ব্যবহারের মাধ্যমে জনমিতির এ সুবিধাকে কাজে লাগাতে হবে।
২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জন করতে হলে এর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় যুব সমাজের কার্যকর সম্পৃক্ততা প্রয়োজন বলে মত দেন তিনি। এক্ষেত্রে তার পরামর্শ, জাতীয় উন্নয়ন এজেন্ডায় দেশের প্রান্তিক ও গ্রামীণ যুব সমাজের প্রাধিকার ও প্রত্যাশাগুলোর প্রতিফলন ঘটাতে হবে।