বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে মঙ্গলবার জামিনের আবেদনটি শুনানির জন্য ওঠে। পরে আদালত শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করে।
এর আগে গত সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মিন্নির পক্ষে জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর। বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন। পরে মঙ্গলবার শুনানি দুদিন পিছিয়ে বৃহস্পতিবার ধার্য করেন ওই বেঞ্চ।
গত ২৬ জুন সকালে প্রকাশ্যে বরগুনা সরকারি কলেজ গেটের সামনে রিফাতকে কুপিয়ে আহত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় বরিশাল নেয়ার পর তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলায় এ পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা সবাই ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে প্রধান আসামি নয়ন বন্ড ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। মামলার এজাহারভুক্ত ১২ আসামির মধ্যে এখনো চারজন পলাতক রয়েছেন।
রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী মিন্নিকে ১৬ জুলাই সকাল পৌনে ১০টার দিকে পুলিশ লাইনে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাত ৯টার দিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরদিন তাকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। তবে রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ১৯ জুলাই তাকে আদালতে হাজির করা হয় এবং তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে মিন্নিকে বরগুনা কারাগারে পাঠানো হয়।
তবে মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোরের দাবি, কারাগারে মিন্নি তাদের জানিয়েছেন যে নির্যাতন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তার কাছ থেকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায় করা হয়েছে।
গত ৩১ জুলাই মিন্নির ১৬৪ ধারায় দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন জানানো হয়েছে। আদালত ১৪ আগস্ট পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করে।