বরগুনা
বরগুনায় সেতু ধস: ৬ মাসের সাবরিন জানে না তার মা নেই
সব শিশুর কাছেই মা তার স্বর্গ। কিন্তু ৬ মাসের সাবরিন জানে না, তার স্বর্গ পৃথিবী ছেড়ে সত্যিই চলে গেছে স্বর্গে।
শনিবার বরগুনার আমতলী উপজেলায় হলদিয়া সেতুর ওপর লোহার তৈরি সেতু ভেঙে পড়ার পর কনেযাত্রী বহনকারী মাইক্রোবাস নদীতে পড়ে ৯ জনের মৃত্যু হয়।
সেই দুর্ঘটনায় সোহেল খানের স্ত্রী রাইতির মৃত্যু হয়। এ দম্পতির ৬ মাস বয়সি কন্যা সাবরিন। এখন মায়ের যত্ন ছাড়া ছয় মাসের শিশু সাবরিনকে কীভাবে বড় করবেন তা নিয়ে চিন্তিত সোহেল।
বেঁচে যাওয়া শিশু সাবরিনের বাবা সোহেল খান জানান, আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে একটি মাইক্রোবাসে ছিল সাবরিন ও তার মা রাইতি। লোহার সেতু ভেঙে মাইক্রোবাসটি যখন নদীতে ডুবে যাচ্ছিল তখন রাইতি কোল থেকে সাবরিনকে খালের উপর ভাসমান কচুরিপানার মধ্যে ফেলে দেয়। পেছনে একটি অটোতে সোহেলসহ দুইজন আত্মীয় ছিল। তারাও পানিতে ডুবে যাচ্ছিল। সোহেল কোনোভাবে সাঁতরে ওপরে উঠে আসতেই কচুরিপানার ওপর তার চোখ পড়ে। দেখেন কচুরিপানার ওপর সাবরিন, সঙ্গে সঙ্গে নিজের সন্তানকে উদ্ধার করেন।
আরও পড়ুন: বরগুনায় পিস্তলসহ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আটক
সোহেল খান আরও বলেন, ‘এভাবে আমার সবকিছু কেড়ে নিল আল্লাহ! ছোট মেয়েটাকে নিয়ে আমি এখন কীভাবে বাঁচব?’
জানা যায়, কনের বাড়ি আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়ন থেকে পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ছেলের বাড়িতে বউ ভাতের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মাইক্রোবাস ও অটোরিকশাযোগে যাচ্ছিলেন কনে পক্ষের লোকজন।
এসময় উপজেলার ৫ নম্বর চাওড়া ইউনিয়ন এবং ৪ নম্বর হলদিয়া ইউনিয়নের সংযোগ সেতু হলদিয়া ব্রিজ ভেঙে একটি মাইক্রোবাস ও অটোরিকশা পড়ে যায় নদীতে। এসময় মাইক্রোবাসের মধ্যে থাকা দুই শিশুসহ ৯ জন নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- রুবিয়া (৪৫), রাইতি (২২), ফাতেমা (৫৫), জাকিয়া (৩৫), রুকাইয়াত ইসলাম (৪), তাহিয়া মেহজাবিন আজাদ (৭), তাসফিয়া (১৪), ঋধি (৪) ও রুবি বেগম (৩৫)।
এদের মধ্যে রুকাইয়াত ইসলাম ও জাকিয়ার বাড়ী উপজেলার দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামে। অপর নিহত ৭ জনের বাড়ী মাদারিপুর জেলার শিবচর উপজেলার কোকরার চর গ্রামের বাসিন্দা। এরা কনে হুমায়রার মামা বাড়ির আত্মীয়স্বজন।
জীবিত উদ্ধার হওয়া মাহবুব খান জানান, হলদিয়া ইউনিয়নের গুরুদল গ্রাম থেকে মাইক্রোবাসে শনিবার (২২ জুন) দুপুর ১টার সময় ভাগ্নি জামাইয়ের আমতলীর বাড়ির অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য রওনা দেন। দুপুর আনুমানিক দুইটার দিকে সময় হলদিয়া সেতুর মাঝখানে মাইক্রোবাসটি পৌঁছালে কচুরি পানায় ভর্তি খালে পড়ে যায়।
তিনি বলেন, ‘এরপর আর কিছুই বলতে পারি না। জ্ঞান ফিরে দেখি হাসপাতালে। আল্লায় মোগো বাঁচাইলেও সব শ্যাষ অইয়া গ্যাছে।’
আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, সেতু ভেঙে মাইক্রোবাস নদীতে ডুবে নিয়ে বিয়ের কনে পক্ষের ৯ জন মানুষ মারা গেছে। নিহতদের আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আমতলী উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন ভেঙে পড়া সেতু সম্পর্কে জানান, হালকা যান প্রকল্পের আওতায় ২০০৫-০৬ অর্থবছরে দৈর্ঘ্য ৮৫ মিটার এই লোহার সেতুটি নির্মিত হয়েছিল। প্রকল্পটির পরিচালক ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। ১৯ বছর আগে নির্মিত সেতুটিতে চলাচলে সতর্কতা নোটিশ টাঙানো ছিল। সেতুটির দুই প্রান্তেই গাছে সতর্কীকরণ নোটিশ টাঙানো রয়েছে। তাতে লেখা রয়েছে, ‘ঝুঁকিপূর্ণ সেতু, ভারী যানবাহন চলাচল নিষেধ।’ সেটি উপেক্ষা করার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: বরগুনায় সেতু ভেঙে ৯ জন নিহতের ঘটনায় ঠিকাদারের বিচার দাবি
বরগুনায় সেতু ভেঙে কনেযাত্রীবাহী মাইক্রোবাস নদীতে পড়ে নিহত ৯
৫ মাস আগে
বরগুনায় সেতু ভেঙে কনেযাত্রীবাহী মাইক্রোবাস নদীতে পড়ে নিহত ৯
বরগুনার আমতলী উপজেলায় সেতু ভেঙে কন্যাযাত্রীবাহী মাইক্রোবাস নদীতে পড়ে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ১০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে চাওড়া নদীর উপর নির্মিত হলদিয়া হাট সেতু ভেঙে গেলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- রুবিয়া (৪৫), রাইতি (২২), ফাতেমা (৫৫), জাকিয়া (৩৫), রুকাইয়াত ইসলাম (৪), তাহিয়া মেহজাবিন আজাদ (৭), তাসফিয়া (১৪), ঋধি (৪) ও রুবি বেগম (৩৫)।
আরও পড়ুন: সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ বাংলাদেশি শ্রমিক নিহত
এদের মধ্যে রুকাইয়াত ইসলাম ও জাকিয়ার বাড়ি উপজেলার দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামে। অপর ৭ জনের বাড়ি মাদারিপুরের শিবচর উপজেলার কোকরার চর গ্রামে। লাশগুলো আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে।
নিহতদের স্বনজনরা জানায়, কাউনিয়া ইব্রাহিম একাডেমির সহকারী শিক্ষক ও উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের মাসুম বিল্লাহ মনিরের মেয়ে হুমায়রা আক্তারের বিয়ের অনুষ্ঠান হয় শুক্রবার। শনিবার আমতলী পৌর শহরের খোন্তাকাটা এলাকার বাসিন্দা হুমায়রার স্বামী ডা. সোহাগের বাড়ি যাচ্ছিলেন কনেযাত্রীরা। হলদিয়া সেতু পার হওয়ার সময় সেতুর মাঝের অংশ ভেঙে মাইক্রোবাস ও অটোরিকশা নদীতে পড়ে যায়। এতে অটোরিকশায় থাকা যাত্রীরা সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও মাইক্রোবাসের যাত্রীরা নদীতে তলিয়ে যায়। মাইক্রোবাসে ১৬ জন ও অটোতে ৩ জন যাত্রী ছিলেন।
খবর পেয়ে আমতলী ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। ততক্ষণে মাইক্রোবাসে থাকা কনে পক্ষের ৯ যাত্রী মারা যান।
মাইক্রোবাসে থাকা সোহেল মিয়া বলেন, ‘মাইক্রোবাসে কনে পক্ষের ১৬ জন যাত্রী বরের বাড়ি যাচ্ছিলাম। হলদিয়া হাট সেতুতে উঠামাত্রই মাঝখান দিয়ে ভেঙে মাইক্রোবাসটি নদীতে পড়ে যায়। আমিসহ ৩ জন সাঁতরে কিনারে উঠতে পেরেছি। পরে স্থানীয় লোকজন, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে।
একই পরিবারের তিন নিহতের স্বজন আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমার কিছুই রইল না। আমার দুই কন্যা ও স্ত্রী মারা গেছে। সব হারিয়ে আমি এখন অসহায়।’
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
প্রত্যক্ষদর্শী ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম স্বপন ও নাসির উদ্দিন বলেন, মাইক্রোবাস ও অটোটি সেতুর মাঝখানে এলে সেতু ভেঙে নদীতে পড়ে যায়। তাৎক্ষণিক আমরা স্থানীয়দের নিয়ে উদ্ধারের চেষ্টা চালাই। পরে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ এসে উদ্ধার কাজে অংশ নেয়।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই ওই ৯ জন মারা গেছেন।
আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
আমতলী ফায়ার সার্ভিসের ওয়ার ইনচার্জ মো. হানিফ বলেন, চার ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়েও মাইক্রোবাস উদ্ধার করতে পারিনি। উদ্ধার চেষ্টা অব্যাহত আছে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) তারেক হাসান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। উদ্ধার কাজের তদারকি করছি।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় চট্টগ্রামের যুবক নিহত
৫ মাস আগে
বরগুনায় পিস্তলসহ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আটক
বরগুনার বেতাগী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী নাহিদ মাহামুদ হোসেন ওরফে লিটু সিকদার ও তার গাড়িচালক সজীবকে অবৈধ বিদেশি পিস্তলসহ আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৪ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বেইলি সেতু এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে এই অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সিলেটে যুবক খুন, চাচাতো ভাইসহ আটক ৪
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেতাগী শহরের বেইলি সেতুসংলগ্ন এলাকায় পুলিশ চেক পোস্ট বসিয়ে সব যানবাহনে তল্লাশি চালায়। এসময় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থীর গাড়িটি তল্লাশিকালে ড্রাইভারের সিটের পাশে একটি বিদেশি পিস্তল পাওয়া যায়। পিস্তলটি কাপড় দ্বারা পেঁচানো ছিল৷ এসময় পুলিশ অস্ত্রসহ ব্যবহৃত প্রাইভেট কারটি (ঢাকা মেট্রো গ ১৯-২৬৫০) জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আসন্ন বেতাগী উপজেলা পরিষদ নিবার্চনে দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী নাহিদ মাহমুদ হোসেন লিটু সিকদার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা স্বপন সিকদার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুর রহমান বলেন, নাহিদ মাহমুদ হাসান ও তার ড্রাইভার সজীবকে জিজ্ঞাসাবাদকালে পিস্তলের কোনো লাইসেন্স বা বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র রাখার দায়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী নাহিদ মাহমুদ ও ড্রাইভার সজীবকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে অটোরিকশাচালককে ছুরিকাঘাতে হত্যা, রিকশাচালক আটক
গাজীপুরে হাসপাতালের লিফটে আটকে রোগীর মৃত্যু
৭ মাস আগে
বরগুনা প্রেস ক্লাব দখলের চেষ্টার মামলায় ৭ আসামি কারাগারে
বরগুনা প্রেস ক্লাব দখলের চেষ্টা ও হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাত আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হারুন অর রশিদের আদালত এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, বরগুনা প্রেস ক্লাবের অধিকাংশ সদস্য বার্ষিক শিক্ষা সফরে ভারতে থাকার সময় ১৯ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় এক ইউপি সদস্য মাসুদ তালুকদার ও মুশফিক আরিফের নেতৃত্বে বরগুনা প্রেস ক্লাবে হামলা চালায় একটি মহল।
এ ঘটনায় আহত হন বরগুনা প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও এনটিভির স্টাফ রিপোর্টার সোহেল হাফিজ, যমুনা টেলিভিশনের রিপোর্টার ফেরদৌস খান ইমন ও সময় টেলিভিশনের রিপোর্টার সাইফুল ইসলাম মিরাজসহ ৭ জন সংবাদকর্মী। পরে এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫০ জনকে অভিযুক্ত করে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করে বরগুনা প্রেস ক্লাব।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে স্কুলের গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাতের মামলায় প্রধান শিক্ষক কারাগারে
বৃহস্পতিবার আসামিরা হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হারুন অর রশিদ কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন- মুশফিকুল ইসলাম (মুশফিক আরিফ), এম হারুন অর রশিদ রিংকু, সগীর হোসেন, শাজনুস শরীফ, আল-আমিন, জাফরুল হাসান রুহান (রুদ্র রুহান) ও রাকিবুল হাসান রাজন খান।
বাদী পক্ষের মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী গোলাম মোস্তফা কাদের ও আসামি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এ কে এম শফিকুল ইসলাম নেছার।
এ ব্যাপারে বরগুনা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাফর হোসেন হাওলাদার বলেন, বরগুনা প্রেস ক্লাবে হামলার ঘটনার ১৩ দিন পর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান মামলার ১ নম্বর আসামি মাসুদ তালুকদার। এই স্বাভাবিক মৃত্যুকে ষড়যন্ত্র করে হত্যা মামলা সাজিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করে ওই মহল। এছাড়াও বরগুনা প্রেস ক্লাবের প্যাড ও লোগো ব্যবহার করে আসামিরাসহ বাইরের কিছু সাংবাদিকদের নিয়ে বরগুনা প্রেস ক্লাবের নামে একটি ভুয়া কমিটির ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন: চেক জালিয়াতির মামলায় সীতাকুণ্ডের ইউপি সদস্য বাবলু কারাগারে
৮ মাস আগে
বরগুনায় সাংবাদিক নিহতের ঘটনায় ৭ সহকর্মী কারাগারে
১৯ ফেব্রুয়ারি বরগুনা প্রেসক্লাবে হামলায় আরেক সাংবাদিক নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আত্মসমর্পণ করে বরগুনা প্রেসক্লাবের ৭ সদস্যকে কারাগারে পাঠিয়েছে বরগুনার একটি আদালত।
বৃহস্পতিবার আসামিদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে বরগুনার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হারুন-অর-রশীদ এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, দায়ের হত্যা মামলায় উল্লেখিত ১৩ জন আসামির মধ্যে ৮ জন বৃহস্পতিবার সকালে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
আরও পড়ুন: বরগুনার সব রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস ধর্মঘট চলছে
আদালত আসামি সোহেল হাফিজ, আরিফুল ইসলাম মুরাদ, মো. কাশেম হাওলাদার, সাইফুল ইসলাম মিরাজ, অলিউল্লাহ ইমরান, সোহাগ হাওলাদার ও সগীর হোসেন টিটুর জামিন না-মঞ্জুর এবং অপর আসামি জাফর হোসেন হাওলাদারের জামিন মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, বরগুনা প্রেসক্লাবের অধিকাংশ সদস্য বার্ষিক শিক্ষা সফরে ভারতে অবস্থানরত অবস্থায় গত ১৯ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় এক ইউপি সদস্য মাসুদ তালুকদার ও কথিত সাংবাদিক মুশফিক আরিফের নেতৃত্বে বরগুনা প্রেসক্লাবে হামলা চালিয়ে দখলের চেষ্টা চালায় একটি মহল।
আরও পড়ুন: বরগুনার বজ্রপাতে নদীতে ছিটকে পড়া জেলের লাশ উদ্ধার
এ ঘটনায় আহত হন বরগুনা প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও এনটিভির স্টাফ রিপোর্টার সোহেল হাফিজ, যমুনা টেলিভিশনের রিপোর্টার ফেরদৌস খান ইমন এবং সময় টেলিভিশনের রিপোর্টার সাইফুল ইসলাম মিরাজসহ ৭ সংবাদকর্মী।
পরে এ ঘটনায় ২৯ ফেব্রুয়ারি ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫০ জনকে অভিযুক্ত করে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করে বরগুনা প্রেসক্লাব।
আরও পড়ুন: বরগুনায় পিকনিকের বাস খাদে পড়ে ব্যবসায়ী নিহত, আহত ১৮
৯ মাস আগে
বরগুনার সব রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস ধর্মঘট চলছে
বরগুনায় সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতি।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো. ছগীরের ওপর হামলা এবং বাস মালিক সমিতির অফিস ভাঙচুর করার প্রতিবাদে এ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা পৌর বাস টার্মিনালে মালিক সমিতির অফিসে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
সংগঠনটির সভাপতি গোলাম মোস্তফা কিসলু জানান, একটি ফেস্টুন সাঁটানোকে কেন্দ্র করে বরগুনা জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হাসান শিপন তার লোকজন নিয়ে ছগীরের ওপর হামলা চালায়। এ সময় অফিস থেকে নগদ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও করেন তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের ৩ জেলার ২৬ রুটে পরিবহন ধর্মঘট চলছে, ভোগান্তিতে মানুষ
কিসলু বলেন, ‘এটি একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। এরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন আমরা আর কখনও হইনি। আমাদের অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। স্ত্রী সন্তানের সামনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (বশেমুক) হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। হামলার সময় অফিস থেকে নগদ অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
এ দিকে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের ওপর হামলার কারণে সোমবার সকাল থেকে জেলার সব সড়কে পরিবহন শ্রমিকরা বাস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত বরগুনা জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হাসান শিপনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বাস মালিক সমিতির পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: খুলনায় জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের তিন দফা দাবিতে ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার
১০ মাস আগে
অবরোধ: দুই জেলায় দু’টি গাড়িতে আগুন
বগুড়ার শিবগঞ্জ ও বরগুনার আমতলী উপজেলায় বিএনপিসহ সমমনা বিরোধী দলের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের মধ্যে বুধবার রাতে দুটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মিডিয়া সেলের স্টেশন অফিসার তালহা বিন জসিম বলেন, বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার চন্ডিহারা এলাকায় একটি ট্রাকে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
রাত ৮টা ৫৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায় বলে ফায়ার সার্ভিসের ওই কর্মকর্তা জানান।
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে শিবগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের দু’টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে বাসে আগুন দিয়েছে অবরোধকারীরা
এদিকে বরগুনার আমতলী উপজেলায় বুধবার রাতে সাকুরা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে।
রাত ৯টা ২২ মিনিটের দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়া যায় বলে স্টেশন অফিসার তালহা জানান।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে আমতলী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের দু’টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
৪৮ ঘণ্টার সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধের মধ্যে বুধবার সন্ধ্যা থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে একাধিক স্থানে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: বনানীতে মিনিবাসে আগুন
অবরোধ: তাঁতিবাজারে বাসে আগুন
১ বছর আগে
বরগুনার বজ্রপাতে নদীতে ছিটকে পড়া জেলের লাশ উদ্ধার
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় বজ্রপাতে ট্রলার থেকে ছিটকে বিষখালী নদীতে পড়ে নিখোঁজ হওয়া জেলের লাশ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।
রবিবার বেলা ১১টার দিকে বিষখালী ও বলেশ্বর নদের মোহনাসংলগ্ন লালদিয়ার চর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানান কোস্টগার্ডের পাথরঘাটা স্টেশনের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার ফিরোজুজ্জামান জানি।
আরও পড়ুন: নাটোরের গুরুদাসপুরে নিখোঁজ কৃষকের লাশ উদ্ধার
নিহত আউয়াল (৩৮) পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের চরলাঠিমারা গ্রামের আব্দুল হামিদ হাওলাদারের ছেলে।
জানা যায়, শনিবার নদীর লালদিয়া চর থেকে দক্ষিণে একটি ট্রলারে মাছ ধরছিলেন আউয়াল, জাহাঙ্গীর মাঝি, শাকিল ও রনি। সে সময় বজ্রপাত হলে ট্রলার থেকে ছিটকে নদীতে পড়ে যায় আউয়াল। বাকি তিনজন জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। কয়েকঘণ্টা পর জ্ঞান ফিরলে তারা আউয়ালকে খোঁজাখুঁজি করেও পাননি।
কোস্ট গার্ডের কমান্ডার ফিরোজুজ্জামান জানান, খবর পাওয়ার পর থেকে আউয়ালকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করা হয়। অভিযানে রবিবার তার লাশ উদ্ধার হয়। আহত তিন জেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মেঘনায় ট্রলারডুবি ঘটনায় শিশুসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার
মুন্সীগঞ্জে ট্রলারডুবি: আরও ২ জনের লাশ উদ্ধার, এখনো নিখোঁজ ৩
১ বছর আগে
বরগুনায় পিকনিকের বাস খাদে পড়ে ব্যবসায়ী নিহত, আহত ১৮
বরগুনার আমতলীতে পিকনিকের বাস খাদে পড়ে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ১৮ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) ভোর ৫টার দিকে পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের ঘটখালী নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যবসায়ী মো. ইসলাম হোসেন (৫২) নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার সল্পের চর গ্রামের শামসুদ্দিন বেপারীর ছেলে। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
আহতদের আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। জানা গেছে, তাদের সবার বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সল্পের চর গ্রামে।
আহতরা বলেন, নারায়ণগঞ্জ বন্দর থেকে পরিবার নিয়ে পিকনিক করতে বুধবার রাতে কুয়াকাটা রওনা দেন। তাদের বহনকারী সেন্টমার্টিন বাসটি আমতলী উপজেলা চাওড়া ইউনিয়নের ঘটখালী নামক স্থানে পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে পিকনিকের বাস উল্টে নিহত ২, আহত ২০
তারা আরও বলেন, এ সময় ওই বাসে ৪৫ জন যাত্রীর মধ্যে ১৮ জন গুরুতর আহত হন। আহতদের চিকিৎসক পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পটুয়াখালী থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে ইসলাম হোসেন নামের একজন ব্যবসায়ী নিহত হন।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. ইমরান বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ১৮ জন হাসপাতালে এসেছিলেন। তাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছি।’
আমতলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল বারেক বলেন, ‘আমরা খবর শুনে আমতলী হাসপাতালে যাই এবং যারা গুরুতর আহত তাদেরকে পটুয়াখালী হাসপাতালে প্রেরণ করি এবং ওখানে নিহতের কোনো খবর আমরা পাইনি।’
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাখাওয়াত হোসেন তাপু বলেন, দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি জব্দ করা হয়েছে। যারা গুরুতর আহত ছিল তাদেরকে পটুয়াখালী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পিকনিকের বাস উল্টে আহত ২০
বিদ্যালয়ের পিকনিক বাস দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৪০
১ বছর আগে
বরগুনায় নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে
বর্ষা ও পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে বরগুনার গুরুত্বপূর্ণ নদ-নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় জেলার নিম্নাঞ্চলের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ার শঙ্কায় রয়েছে। নদীর পানি বাড়ায় বাঁধ ভাঙার শঙ্কায় কাটছে তাদের দিন।
তা ছাড়া পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে গেলে এইসব এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দেবে বলে বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) আশঙ্কা প্রকাশ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো), বরগুনা।
বরগুনার মাঝের চর এলাকার বাসিন্দা আলি আকবর বলেন, ‘আমাদের জমাজমি নেই। তাই নদীর চরে বাড়ি করেছি। ভাবছিলাম এবার বন্যা হবে না, কিন্তু পানি যেভাবে বাড়ছে তাতে বোরো আবাদ মনে হয় বন্যায় খেয়ে যাবে। রাতে ঘুম হয় না, খুব দুশ্চিন্তায় আছি।’
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত
১ নম্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান রাজা বলেন, ‘মাঝের চরের বরগুনা অংশের কিছু এলাকার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। খুব শিগগিরই এই মৌসুমে এডিপির অর্থ দিয়ে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হবে।’
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক মো. মাহাতাব হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) গৌরীচন্না ইউনিয়নের দক্ষিণে অবস্থিত খাকদন নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, বেতাগীর বিশখালী নদীর পানি ৩১ সেন্টিমিটার, বরগুনার আমতলীর বুড়েশ্বর/পায়রা নদীর পানি ১৭ সেন্টিমিটার, বরগুনার বিশখালী নদীর পানি ৪৩ সেন্টিমিটার এবং পাথরঘাটার বিশখালী নদীর পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ৫৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপরে
কাজিপুরে বিপৎসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে যমুনার পানি
১ বছর আগে