তিনি বলেছেন, ‘যদি তার চিঠি ২৯ এপ্রিলের মধ্যে সংসদ সচিবালয়ে এসে পৌঁছে থাকে তাহলে তা গ্রহণ করা হবে।’
জাতীয় সংসদে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে স্পিকার এসব কথা বলেন।
ড. শিরীন শারমিন বলেন, যদি ২৯ এপ্রিলের মধ্যে ফখরুল ইসলাম চিঠি না পাঠিয়ে থাকেন তাহলে সংবিধান অনুযায়ী তার সংসদীয় আসনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
সংবিধানের ৬৭ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ থেকে নব্বই দিনের মধ্যে সংসদের কোনো এমপি শপথ গ্রহণ বা ঘোষণা করিতে ও শপথপত্রে বা ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করতে অসমর্থ হলে তার আসন শূন্য হবে। তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ মেয়াদ অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে স্পিকার যথার্থ কারণে তা বর্ধিত করতে পারবেন।
৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে একাদশ জাতীয় সংসদ গঠিত হয়। গত ৩০ জানুয়ারি সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে।
বিএনপি ও গণফোরামসহ আরও কয়েকটি দল জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়। নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে বিএনপি ছয়টি আসনে এবং গণফোরাম দুটি আসনে বিজয়ী হয়।
মির্জা ফখরুল ছাড়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিত সব এমপি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শপথ নিয়েছেন।