বোরো ও আমনের মাঝামাঝি সময়ে আউশ আবাদ করায় কৃষকরা একে ‘বোনাস ফসল’ বলে উল্লেখ করেছেন।
বুধবার বিকালে সদরের ভাতশালা ইউনিয়নের হাওড়া বিশ্ববাজার এলাকায় রাজস্ব খাতের অর্থায়নে বাস্তবায়িত আউশ প্রদর্শনী প্লটের ধান কাটা উপলক্ষে মাঠ দিবস পালিত হয়।
এতে স্থানীয় কৃষক মোকাররম আলীর দুই বিঘা জমির ব্রি-ধান-৪৮ কেটে শুকনা অবস্থায় হেক্টর প্রতি সাড়ে ৪ মেট্রিক টন ফলন পাওয়া যায়। কৃষক আউশে এমন ফলন পেয়ে দারুণ খুশি।
এ উপলক্ষে শেরপুর সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজিত প্রদর্শনী প্লটের পাশে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় কৃষি কর্মকর্তারা বলেন, এখন ধান উৎপাদনে খরচ কমাতে সেচ নির্ভর ধানের আবাদ কমাতে হবে। তাছাড়া লাইন ও লোগো পদ্ধতিতে ধান রোপন এবং ক্ষেতের বিভিন্ন স্থানে ডালপালা পুঁতে পোকা-মাকড়ের উপদ্রব কমাতে পাখি বসার জন্য পার্চিং করে কীটনাশকের ব্যবহার কমাতে হবে। এজন্য তারা কৃষকদেরকে বৃষ্টি নির্ভর আউশ ধানের আবাদ বাড়ানোর পরামর্শ দেন।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রেজিয়া খাতুনের সঞ্চালনায় ভাতশালা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন- স্থানীয় খামারবাড়ীর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আশরাফ উদ্দিন, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পিকন কুমার সাহা, সদরের কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রিয়াসাত সাদাত, কৃষক ফিরোজ মিয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। মাঠ দিবসে এলাকার অর্ধশতাধিক কৃষক-কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব মতে, সদর উপজেলায় এই বছর এক হাজার ৬৪০ হেক্টর জমিতে আউশ আবাদ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৫০০ হেক্টর বেশি।