ধান কাটা
হাওরের ৯৭ শতাংশ বোরো ধান কাটা শেষ: কৃষি মন্ত্রণালয়
দেশের হাওর অঞ্চলের ৯৭ শতাংশ জমির বোরো ধান কাটা শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণলায় জানায়, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শুধু হাওরে ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে বোরো ধান। এসব জমির ৯৭ শতাংশ ধান কাটা এরই মধ্যে শেষ হয়েছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসককে কৃষি মন্ত্রণালয়ে বদলি
এতে জানানো হয়েছে, এই সাত জেলায় এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৩৮ হাজার হেক্টর জমির ধান কাটা হয়ে গেছে। আর সারা দেশে এখন পর্যন্ত ৩৩ শতাংশ জমির বোরো ধান কাটা হয়েছে। এছাড়া হাওরের ফসলকে ঝুঁকিমুক্ত করতে বর্তমান সরকার বহুমুখী উদ্যোগ বাস্তবায়ন কাজ করে যাচ্ছে। পাকা ধান যাতে দ্রুত কৃষকের ঘরে তোলা যায়, সেজন্য বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার ৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে হাওরের কৃষকদের ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন্ড হারভেস্টার ও রিপার দিয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, হাওর অধিভুক্ত সাত জেলায় এবার ৪ হাজার ৪০০টির বেশি কম্বাইন্ড হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটা চলছে। এর মধ্যে এ বছরই নতুন ১০০টি হারভেস্টার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দেশের অন্য এলাকা থেকেও হাওরের বোরো ধান কাটার জন্য কম্বাইন্ড হারভেস্টার নিয়ে আসা হয়েছে। এর ফলে দ্রুততার সঙ্গে হাওরের ধান কাটা সম্ভব হয়েছে। এ বছর সারাদেশে ৫০ লাখ ৫৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার হেক্টর বেশি। এবার বোরোতে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা হলো ২ কোটি ২২ লাখ টন।
সম্প্রতি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওরে বোরো ধান কাটা উৎসবে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, আমাদের সারা বছরের মোট চাল উৎপাদনের অর্ধেকের বেশি যোগান দেয় বোরো ধান। সেজন্য এ বছরও বোরোর আবাদ ও ফলন বাড়াতে আমরা অনেক গুরুত্ব দিয়েছি। বোরোর আবাদ বাড়াতে ২১৫ কোটি টাকার বীজ ও সার কৃষকদের বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সারা দেশের বোরো ধান সফলভাবে ঘরে তুলতে পারলে দেশে খাদ্য নিয়ে তেমন কোনো ঝুঁকি থাকবে না।
আরও পড়ুন: ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশনের সার্টিফিকেট অব মেরিট সম্মাননা পেল কৃষি মন্ত্রণালয়
শৈত্য প্রবাহ থেকে ফসল রক্ষায় যে পরামর্শ দিল কৃষি মন্ত্রণালয়
৭ মাস আগে
সুনামগঞ্জে হাওরে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে ৬ কৃষক নিহত
সুনামগঞ্জে হাওরে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে ছয় কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ছাতক উপজেলার তিনজন, দোয়ারাবাজারের দুইজন ও তাহিরপুর উপজেলার একজন রয়েছে।
রবিবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে হাওরে ধান কাটার সময় বজ্রপাত এসব নিহতের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে বজ্রপাতে নিহত ১
নিহতরা হলেন-ছাতকের জাউয়াবাজার ইউনিয়নের দেবেরগাঁও গ্রামের হোসাম মিয়ার ছেলে মহিম মিয়া(১৩), বড়কাপন গ্রামের আরশ আলী (৬০), চরমহল্লা ইউনিয়নের চরদুর্লভ গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে আব্দুস সামাদ (৪৫), দোয়ারাবাজার উপজেলার এ রুখাই গ্রামের মিলন মিয়া (১৪), তারা মিয়া (৩২) এবং তাহিরপুর উপজেলার কুকুরকান্দি গ্রামের হাতেম আলীর ছেলে রমজান আলী (১৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকাল থেকে আবহাওয়া খারাপ ছিল। হাওরে পাকা ধান থাকায় সবাই ধান কাটায় ব্যস্ত ছিলেন। সকাল ১০টার পর থেকে দমকা বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়। এসময় তিন উপজেলার হাওরে থাকা ছয় কৃষক বজ্রপাতে নিহত হয়।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ বলেন, রবিবার সকাল থেকেই ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। তিন থানায় ছয়জন মারা গেছেন বলে খবর পেয়েছি।
এছাড়া কৃষকদের সচেতন করতে সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
জৈন্তাপুরে বজ্রপাতে ৩ শিশুর মৃত্যু
১ বছর আগে
নেত্রকোণায় ধান কেটে ও বাহারি পিঠা দিয়ে নবান্ন উৎসবের উদ্বোধন
`কাস্তে হাতে মাঠে চলি, নতুন ধান ঘরে তুলি` এই শ্লোগানকে সামনে রেখে নতুন রোপা আমন ধান কেটে নেত্রকোণায় শুরু হয়েছে ধান কাটা ও নবান্ন উৎসব।
অগ্রহায়ণের দ্বিতীয় দিনে সদর উপজেলার মৌগাতি ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামে নেত্রকোনা সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ধান কাটা ও নবান্ন উৎসবের আয়োজন করে। মাঠে ধান কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে নবান্ন উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ।
আরও পড়ুন: সুগারমিলের পতিত জমি চাষের আওতায় আনা হবে: কৃষিমন্ত্রী
এ উপলক্ষে কৃষকদের নিয়ে এক আলোচনা সভারও আয়োজন করা হয়।
নেত্রকোণা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ নূরুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান মানিক, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন, মৌগাতী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান খান আবুনী, কৃষক আমিনুল ইসলাম।
বক্তারা, বর্তমান বৈশ্বিক সংকটকালে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পতিত জমিসহ চাষাবাদের জমিতে বেশী করে ফসল উৎপাদন ও বাড়ির আশপাশে শাক-সবজি আবাদ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
নেত্রকোণায় নবান্ন উৎসব উপলক্ষে বিভিন্ন ফসলের মাঠে মাঠে চলছে ধান কাটা, ধান মাড়াই, ধান শুকানো ও গোলায় ধান ভরার কাজ।
নবান্ন উৎসবের আনন্দকে আরও ছড়িয়ে দিতে বিভিন্ন স্থানে আয়োজন করা হয় বাহারি পিঠা পুলি পায়েস তৈরি এবং পরিবার ও আত্মীয় স্বজনের মাঝে বিতরণ।
এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে আয়োজন করা হয় গ্রামীণ খেলাধুলা, বাউল গান ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
আরও পড়ুন: ফুলবাড়ী: সবুজ রঙে সেজেছে কৃষকের মাঠ
ঘেরের পাড়ে সবজি চাষে স্বাবলম্বী তেরখাদার চাষিরা
২ বছর আগে
মাগুরায় আমন ধান কাটা উৎসব উদযাপন
মাগুরার শ্রীপুরের বরালিদহ ব্লকের হাজরাতলা মাঠে সোমবার আমন ধান কাটা উৎসব ও তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা ও ধান কাটা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ধান কাটা উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে মাগুরা জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম ও বিশেষ অতিথি হিসেবে মাগুরা পুলিশ সুপার মো.মশিউদ্দৌলা রেজা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও,মাগুরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ সুফি মো.রফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো.কামরুজ্জামান, শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সালমা জাহান নিপা, নাকোল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়নুর রশীদ মুহিত সহ অন্যান্যরা।
জানা গেছে,মতবিনিময় সভার আগে হার্ভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াই কার্যক্রমে অংশ নেন অতিথিরা।
আরও পড়ুন: হাওরের ৯০% বোরো ধান কাটা শেষ
হাওরের ৪১ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে: কৃষি মন্ত্রণালয়
সুনামগঞ্জে ঢলের আশঙ্কায় হাওরে দ্রুত ধান কাটার অনুরোধ করে মাইকিং
২ বছর আগে
কৃষকের ফসল ঘরে তুলতে ধান কাটলেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক
চলমান কঠোর বিধিনিষেধের কারণে যান চলাচল বন্ধ থাকায় ধান কাটার শ্রমিক সংকটে পড়েছেন কৃষকরা। যদিও কিছু সংখ্যক শ্রমিক পাওয়া গেলেও তাদেরকে দ্বিগুন পরিমাণ মজুরি দিতে হচ্ছে। এতে করে দরিদ্র কৃষকরা বেশ সমস্যায় পড়ছেন।
এই সংকটের সময়ে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) অতুল সরকার স্বশরীরে কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে শহরের বাইপাস সড়কের পাশে কৃষক রফিকুল ইসলামের ১০ কাঠা জমির ধান কেটে দেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকারসহ কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: সাড়ে ১১ লাখ টন চাল ও সাড়ে ৬ লাখ টন ধান কিনবে সরকার
অতুল সরকার বলেন, করোনাকালীন সময়ে দরিদ্র কৃষকেরা শ্রমিক সংকটে তাদের জমির ফসল ঘরে তুলতে পারছে না। এই সংকটকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দরিদ্র কৃষকের জমির ধান কেটে দেয়া শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, কৃষি উৎপাদনে ফরিদপুর পিছিয়ে নেই। আমরা কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য কৃষকদের ভালোবাসার অংশ হিসেবে আমরা যে তাদের সুখ-দুঃখে সব সময় তাদের সাথে রয়েছি সেটাকে তুলে ধরার জন্য তাদের সাথে মিলিত হয়েছি এবং কিছু পরিমাণ প্রতীকী ধান কাটা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কৃষকের ধান কেটে দিল নওগাঁর যুবলীগ নেতা-কর্মীরা
জেলা প্রশাসক বলেন, শহরের বাইপাস সড়কের পাশে দরিদ্র কৃষক রফিকুল ইসলামের ১০ কাঠা জমির ধান কেটে দেয়া হয়েছে। দরিদ্র কৃষকদের ধান কেটে দেয়া কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
এ সময় জেলা প্রশাসকের সাথে ধান কাটায় অংশ নেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম রেজা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড.হযরত আলী, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল বাশার সহ কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: হাওরে ৯৯ ও সারা দেশে ৩৯ শতাংশ বোরো ধান কাটা শেষ
আরও পড়ুন: হাওরে ধান কাটার পর্যাপ্ত সক্ষমতা রয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
৩ বছর আগে
মুন্সিগঞ্জে কৃষকের ধান ঘরে তুলে দিল স্বেচ্ছাসেবক লীগ
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার আড়িয়াল বিলে কৃষকের জমির পাঁকা ধান কেটে দিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা।
শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে জেলার শ্রীনগর উপজেলার গাদিঘাট এলাকার কৃষক আবুল বেপারির ৬ বিঘা ফসলের মাঠে থাকা পাঁকা ধান কেটে মাড়াই করে ঘরে তুলে দেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে আগাম জাতের বোরো ধান কাটার উদ্বোধন করলেন কৃষিমন্ত্রী
এদিন বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ ও সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমানের নেতৃত্বে আড়িয়াল বিলের কৃষকের জমির ধান কাটতে নামেন ২৫-৩০ জন নেতা-কর্মী।
নির্মল রঞ্জন গুহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা সাড়া দিয়ে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করে যাচ্ছি। করোনা মোকাবিলায় আমরা আড়িয়াল বিলের ধান কেটে দিচ্ছি।
আরও পড়ুন: হাওরে ৯৯ ও সারা দেশে ৩৯ শতাংশ বোরো ধান কাটা শেষ
শুধু আড়িয়াল বিল নয়, সারা দেশের কৃষকের পাশে স্বেচ্ছাসেবক লীগ থাকবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: হাওরে ধান কাটার পর্যাপ্ত সক্ষমতা রয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
এ সময় অন্যদের মধ্যে কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি কাজী শহীদুল্লাহ্ লিটন, কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন, বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ারুল আযিম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এড. সালমা হাই টুনী, উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শ্যামল গোস্বামী, কেন্দ্রীয় সদস্য নজরুল ইসলাম, একেএম আজগর আলী, আবু জাফর, ফয়সাল আহমেদ, জাহাঙ্গীর হোসেন বাবর, মুন্সিগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আল মাহমুদ বাবু, সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম পিন্টু, শ্রীনগর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি জহিরুল হক নিশাদ শিকদার, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম পলাশ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে
হাওরে ধান কাটার পর্যাপ্ত সক্ষমতা রয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
গত বছরে মতো এবারও হাওরের ধান কাটার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন জেলা থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রমিকদেরকে নিয়ে আসা হয়েছে। ধান কাটার জন্য পর্যাপ্ত শ্রমিক সরবরাহ ও কম্বাইন হারভেস্টার, রিপারসহ পর্যাপ্ত ধান কাটার যন্ত্র হাওরে এ বছর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: খামারিদের দেয়া সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে: কৃষিমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার অনলাইন বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে এ বছর ধান চালের উৎপাদন বাড়াতে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। আমাদের চেষ্টার কোন কমতি ছিল না। বেশি জমি চাষের আওতায় আনা, উন্নত জাতের ও হাইব্রিড জাতের ধান চাষে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল। বীজ, সারসহ নানা প্রণোদনা কৃষকদেরকে প্রদান করা হয়েছে। হাইব্রিড ধানের বীজ সহায়তা বাবদ ৭৬ কোটি টাকার প্রণোদনা কৃষকদেরকে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা কৃষিকে দিয়েছেন নতুন দিগন্ত: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, এসব উদ্যোগের ফলে গত বছরের তুলনায় এ বছর ১ লাখ ২০ হাজার হেক্টরেরও বেশি জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। একই সাথে, গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩ লাখ হেক্টরেরও বেশি জমিতে হাইব্রিডের আবাদ বেড়েছে। আশা করা যায়, গত বছরের তুলনায় এ বছর বোরোতে ৯-১০ লাখ টন বেশি উৎপাদন হবে।
এ বছর সারা দেশে বোরো ধান আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৮ লাখ ৫ হাজার ২০০ হেক্টর, আবাদ হয়েছে ৪৮ লাখ ৮৩ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে। এ বছর বোরোতে ২ কোটি ৫ লাখ টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী এ সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে ধান কাটায় এগিয়ে আসার ও এ বিষয়ে যার যার অবস্থান থেকে সহযোগিতার আহ্বান জানান।
সভায় জানানো হয়, চলমান ২০২০-২১ অর্থবছরের আরএডিপিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় ৮২টি প্রকল্পের অনুকূলে মোট ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। মার্চ ২০২১ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে ৪৯.১০ শতাংশ, যেখানে জাতীয় গড় অগ্রগতি ৪১.৯২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ফুল চাষিদের সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলামের সঞ্চালনায় এ সময় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং সংস্থাপ্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে
খুলনায় মাঠে মাঠে সোনালি ধান কাটার উৎসব
দিগন্ত জোড়া সোনালি ধান। পাকা ধানের শীষ দুলছে বাতাসে। ধানের ঘ্রানে মৌ মৌ চারদিক। খুলনার মাঠে মাঠে ধুম পড়েছে বোরো ধান কাটার। ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। ধান কাটা চলবে এপ্রিলের শেষ সময় পর্যন্ত।
খুলনায় টানা ৮ মাস অনাবৃষ্টি, কালবৈশাখীর ঝাপটা, লবণাক্ততা ও তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে চলতি মৌসুমে বোরো আবাদ চাষির অনুকূল ছিল না। তবু বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে বোরো ধানের সোনালি শীষ স্বপ্ন দেখাচ্ছে হাজারো কৃষক পরিবারকে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধান উঠবে বলে আশাবাদী কৃষি বিভাগ।
আরও পড়ুন: হাওরে ৯৯ ও সারা দেশে ৩৯ শতাংশ বোরো ধান কাটা শেষ
খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বিগত বছরগুলোতে বোরো মৌসুমে বৃষ্টিপাত হয়েছিল। এবার বীজতলা থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত বৃষ্টির দেখা মেলেনি। পুরো মওসুমই সেচের ওপর নির্ভরশীল থাকতে হয়েছে। তারপরও ধানের ফলন ভালো হয়েছে।
এবার খুলনা জেলায় ধানের আবাদ হয়েছে ৬০ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে। আর ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৭৪ হাজার ৮২১ মেট্রিক টন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় শত্রুতা করে বোরো ধানের ৬ বিঘা বীজতলা নষ্টের অভিযোগ
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া এলাকার কৃষক মতিয়ার রহমান শেখ বলেন, ধান কাটা শুরু হয়েছে। এবার ধানের ফলন ভালো হয়েছে। এবার সুরভী-১ নামে একটি নতুন জাতের ধান লাগিয়েছি। এর আগে ২৮ ধান লাগাতাম। তবে রোগবালাই, পোকার আক্রমণের কারণে এবার সুরভী ধান লাগিয়েছি। ধানটি খুব পুষ্ট (পুরু) হয়েছে। দেড় বিঘা জমিতে ধান লাগাতে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে।
বর্তমানে ধানের মণ ১ হাজার টাকা বলে তিনি জানান। তিনি এবার ৪০ মণ ধান পাবেন বলে আশাবাদী।
একই মাঠে ধান কাটছিলেন মো. রাকিবুল হাসান শেখ।
তিনি বলেন, আমি কৃষি, ঘের ও রাজমিস্ত্রির কাজ করি। এখন ধান কাটার মৌসুমে ধান কাটছি। আশপাশের অনেক মাঠের ধান বৈশাখের ১৫ তারিখ পর্যন্ত কাটা হবে। সুরভী ধানটি খুবই সুন্দর। ভালো ফলন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে আগাম জাতের বোরো ধান কাটার উদ্বোধন করলেন কৃষিমন্ত্রী
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. মোছাদ্দেক হোসেন বলেন, বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করার ফলে ডুমুরিয়া উপজেলায় বোরো আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছরের তুলনায় ৫৫৫ হেক্টর ধানের আবাদ বেশি হয়েছে। ধানের বর্তমান অবস্থা খুব ভালো।
তিনি বলেন, গত বছর ডুমুরিয়া উপজেলায় বোরো আবাদ হয়েছিল ২১ হাজার ২০৫ হেক্টর। এ বছর আবাদ হয়েছে ২১ হাজার ৬৬০ হেক্টর। যা গতবারের তুলনায় ৫৫৫ হেক্টর বেশি। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৩৪ হাজার ২৯২ টন। আর চালের লক্ষ্যমাত্রা ৮৫ হাজার ৬৩২ টন। উপজেলায় চালের বার্ষিক চাহিদা রয়েছে ৫৫ হাজার টন। এর মধ্যে আউশ আবাদ হয় ৩২০ হেক্টর এবং আমন ১৫ হাজার ৬২৫ হেক্টর।
তিনি বলেন, এ বছর ৮ হাজার কৃষককে প্রণোদনার আওতায় ২ কেজি করে হাইব্রিড এসএলএইটএইচ বীজ, ৫৪০ জন কৃষককে ২ কেজি হাইব্রিড ধান বীজ, ২০ কেজি ডিএপি সার, ১০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২ হাজার কৃষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। তাছাড়া মাঠে গিয়ে নিয়মিত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে। আর ১০-১৫ দিন বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে কৃষক অন্যবারের তুলনায় বাম্পার ফলন পাবেন।
তার উপজেলাটি খাদ্য উদ্বৃত্ত একটি উপজেলা বলে তিনি মন্তব্য করেন।
খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, মধ্য অক্টোবর থেকে মধ্য মার্চ পর্যন্ত রবি শস্যের মৌসুম। আর এই সময় যে ধান রোপণ করা হয় সেটি বোরো ধান। খুলনা জেলা একটি লবণাক্ত এলাকা। এখানে লবণসহনশীল ধান রোপণ করা হয়।
তিনি বলেন, এবার ৫৭ হাজার ৫২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা ৬০ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছেন। প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। এখানে হাইব্রিড ধানের ফলন ভালো হয়। মধ্য অক্টোবর থেকে ধান রোপণ শুরু হলেও কেউ কেউ দেরি করে বীজতলা প্রস্তুত করেছেন। যে কারণে মধ্য মার্চের পরিবর্তে এবার মধ্য এপ্রিল পর্যন্ত ধান কাটা চলবে। ইতোমধ্যে ধান কাটা শুরু হয়েছে। তিন শতাংশ ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। এবার এক হাজার ৪০ টাকা মণ ধানের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
হাফিজুর রহমান বলেন, প্রথম দিকে আবহাওয়া ভালো ছিল। কিন্তু প্রায় সাত মাস বৃষ্টি নেই এখানে। কৃষকরা খাল থেকে পানি নিয়ে থাকেন। কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় খালের পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। খালগুলোতে পানির গভীরতাও কমেছে। কোথাও কোথাও তাপদাহে ফুল ঝরে গেছে, দেখা দিয়েছে চিটা। লবণাক্ততা ও পানি সংকটে কৃষকরা দুর্ভোগে পড়েন। তারপরও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধান উৎপাদন হবে বলে আশাবাদী এই কৃষি কর্মকর্তা।
৩ বছর আগে
মানিকগঞ্জে কৃষকের ধান কেটে দিল ছাত্রলীগ
করোনাভাইরাসের প্রভাবে মানিকগঞ্জে ধান কাটা শ্রমিক সংকটের এ সময়ে কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছে জেলা ছাত্রলীগ। তারা দরিদ্র কৃষকদের খেতের পাকা ধান কেটে দিচ্ছেন।
৪ বছর আগে
নড়াইলে নিজস্ব অর্থায়নে ৬ কৃষকের ধান কেটে দিলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা
নড়াইলের ৩নং চন্ডিবরপুর ইউনিয়নে নিজস্ব আর্থিক সহযোগিতায় শ্রমিক দিয়ে রবিবার ৬ কৃষকের ধান কেটে দিলেন ঢাকার ব্যবসায়ী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সৈয়দ তরিকুল ইসলাম।
৪ বছর আগে