ফরিদপুরের মতো মফস্বলে আবজালের দুই সুরম্য বাড়িতে চোখ আটকে যায় সবার। এগুলোতে আছে অত্যাধুনিক সব সুবিধা। চারপাশে বসানো হয়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। বাড়ি দুটি ক্রোক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে দুদকের নোটিশ ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। বাড়িগুলো এখনও আবজালের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
শহরের টেপাখোলা লেকপাড়ের বাড়িটিতে বাস করছেন আবজালের বোন জামাই হালিম শেখ। তিনি বলেন, ‘তারা (আবজাল ও তার স্ত্রী রুবিনা খানম) একটু সমস্যায় আছে, এ জন্য বাড়িটি দেখাশোনা করতে আমার পরিবার নিয়ে আছি।’
আদালতের ক্রোক আদেশের পরও কীভাবে বাড়িতে রয়েছেন- এ প্রশ্নের জবাবে কিছু জানাতে পারেননি হালিম।
এছাড়া, রাজধানীর উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর সড়কের ছয় তলা দুইটি বাড়িও ক্রোক করা হয়েছে আট মাস আগে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হয়েও ২০ বছরে কোটি কোটি টাকার মালিক হন আবজাল। বাড়ি কেনেন অস্ট্রেলিয়াতেও। চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। বিদেশ গমনে দেয়া হয় নিষেধাজ্ঞা। এরপরই গা ঢাকা দেন তিনি। গত দশ মাস ধরে তাকে খুঁজে পাচ্ছে না দুদক।
তবে আবজালের বাড়ির কেয়ারটেকার বলছেন, স্ত্রী রুবিনাকে নিয়ে তিনি ১০ জানুয়ারি দেশ ছেড়েছেন। এ দম্পতি নিরাপদে চলে গেছেন অস্ট্রেলিয়ায়। সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছেন নিজেদের বাড়িতে। নিষেধাজ্ঞার পরও কীভাবে তারা দেশ ছাড়লেন, তার ব্যাখা নেই দুদকের ফরিদপুর কার্যালয়ের কাছে।
ফরিদপুরে দুদকের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আবজালের মামলাটি দেখাশোনা করা হয় ঢাকার প্রধান কার্যালয় থেকে। আমাদের কাছে আদালতের নির্দেশনা আসার পরে বাড়িতে নোটিশ টানিয়ে দিয়েছিলাম। তবে এখন কী অবস্থা সেটা দ্রুত সময়ের মধ্যে দেখে দুদকের ঢাকা কার্যালয়কে জানাব।’
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের দায়ে আবজাল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ৩১০ কোটি ৮০ লাখ টাকার আলাদা দুটি মামলা করেছে দুদক।