তিনটি হোটেল ও তিনটি গির্জায় চালানো ভয়াবহ ওই হামলায় প্রথমে তিন শতাধিক নিহতের কথা জানালেও পরে শ্রীলঙ্কার পক্ষ থেকে বলা হয়, হামলায় কমপক্ষে ২৫০ জন নিহত হয়েছেন।
এক টুইট বার্তায় পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় জঙ্গি গোষ্ঠী ন্যাশনাল তৌহিদ জামাতের নেতা মোহামেদ জাহরান ঘটনার দিন সাংরি-লা হোটেলে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিহত হন।
পুলিশ বলেছে, তারা জঙ্গি গোষ্ঠীর সেকেন্ড-ইন-কমান্ডকে গ্রেপ্তার করেছে। তদন্তকারীরা নিশ্চিত হয়েছেন যে, জঙ্গিরা ‘আর্মি মোহিদীন’ এর কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছে। এই প্রশিক্ষণ বিদেশে এবং শ্রীলঙ্কার পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশে সম্পন্ন হয়েছে।
পুলিশ আরও বলছে, হামলাকারীরা স্থানীয় জিমে কাজ করতো এবং জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ফুটবল খেলতো।
তারা বলেন, রাজধানীর কলম্বো উপকূলে কাদওয়াথার একটি গাড়ি বিক্রেতার কাছ থেকে হামলায় ব্যবহৃত গাড়িটি কেনা হয়। বোমা হামলার সাথে জড়িত গ্রেপ্তার হওয়া তাম্র কারখানার এক অপারেটর মোহিদীনকে উন্নত বিস্ফোরক ডিভাইস তৈরি করতে সাহায্য করেছিল এবং শ্রীলঙ্কার সামরিক বাহিনীর বিক্রি করা খালি কার্তুজ কিনেছিল।
কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিশেনা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আইএস এর সাথে যোগাযোগ আছে এমন ১৪০ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং আইএসআইএস কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করার সক্ষমতা শ্রীলঙ্কার রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা সম্পূর্ণভাবে আইএস কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করবো এবং জনগণকে স্বাধীন ও শান্তিপূর্ণভাবে বেঁচে থাকার পরিবেশে তৈরি করবো।’
এদিকে আবারও হামলার সতর্কবার্তার কারণে শুক্রবার শ্রীলঙ্কায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।