বিস্ফোরণ
পাকিস্তানে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উদযাপনের সমাবেশে বিস্ফোরণে নিহত ২১
পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের নবী মুহাম্মদের (সা.) জন্মদিন উদযাপনের একটি সমাবেশে শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে কমপক্ষে ২১ জন নিহত হয়েছেন। একই সঙ্গে ৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দেশটির পুলিশ ও একজন সরকারি কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সরকারি প্রশাসক আতা উল্লাহ জানান, দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বেলুচিস্তান প্রদেশের মাস্তুং জেলায় একটি মসজিদের কাছে এই বোমা হামলা করা হয়েছে। আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আতা উল্লাহ বলেন, নিহতদের মধ্যে একজন জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ নওয়াজও রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, বোমা বিস্ফোরণটি আত্মঘাতী হামলা কি না তা নিশ্চিত করতে কর্মকর্তারা তদন্ত করছেন।
পাকিস্তান ও সারা বিশ্বের মুসলমানরা জনসমাবেশের মাধ্যমে ইসলামের নবী মুহাম্মদের (সা.) জন্মদিন উদযাপন করে। নবীর জন্মবার্ষিকী ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী নামে পরিচিত। এই দিন মুসলমানরা মানুষকে বিনামূল্যে খাবার বিতরণ করে।
নবীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে জঙ্গিরা হামলা চালাতে পারে বলে কর্তৃপক্ষ পুলিশকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বলেছিল। তার কয়েক দিন পরই শুক্রবারের বোমা হামলার ঘটনা ঘটল।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে ট্রেন দুর্ঘটনায় ৩০ জন আহত
এক বিবৃতিতে দেশটির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরফরাজ বাগতি বোমা হামলার নিন্দা করেছেন এবং প্রাণহানির জন্য দুঃখ ও শোক প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, মিলাদুন্নবীর মিছিলে লোকজনকে টার্গেট করা একটি ‘জঘন্য কাজ’।
পাকিস্তানের সরকার নবী মুহাম্মদের (সা.) জন্মবার্ষিকীর দিনটিতে জাতীয় ছুটি ঘোষণা করেছিল।
রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি ও তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল-হক-কাকার পৃথক ম্যাসেজে জনগণকে একতা এবং ইসলামের নবীর শিক্ষা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
তাৎক্ষণিকভাবে কেউ শুক্রবারের বোমা হামলার জন্য দায় স্বীকার করেনি। তবে এই হামলায় পাকিস্তানি তালেবানদের সম্পৃক্ত থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) মূল তালেবানের থেকে একটি পৃথক গোষ্ঠী। কিন্তু তারা আফগান তালেবানের ঘনিষ্ঠ মিত্র।
২০ বছর যুদ্ধের পর ২০২১ সালের আগস্টে মার্কিন ও ন্যাটো সৈন্যরা প্রতিবেশী আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের পর তালেবান দেশটির ক্ষমতা দখল করে।
এ ছাড়া, এর আগে বেলুচিস্তান এবং অন্যান্য জায়গায় বেশ কয়েকটি প্রাণঘাতী হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (ইউএস) গ্রুপ।
আফগানিস্তান ও ইরানের সীমান্তে গ্যাস সমৃদ্ধ দক্ষিণ-পশ্চিম বেলুচিস্তান প্রদেশটি দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বেলুচ জাতীয়তাবাদীদের নিম্ন-স্তরের বিদ্রোহের স্থান।
বেলুচ জাতীয়তাবাদীরা প্রথমে প্রাদেশিক সম্পদের একটি অংশ চেয়েছিল, কিন্তু পরে তারা স্বাধীনতার আহ্বান জানিয়ে বিদ্রোহ শুরু করে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর গাড়িবহরে আত্মঘাতী বোমা হামলা, ৯ সেনা নিহত
পাকিস্তানে পিকআপে বাসের ধাক্কা, আগুন ধরে নিহত ২০
নারায়ণগঞ্জে ডাইং কারখানায় বিস্ফোরণে দুই শ্রমিক দগ্ধ
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ডাইং কারখানার জেনারেটর রুমে পাইপ বিস্ফোরণের ঘটনায় দুই শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ফতুল্লার নরসিংপুর এলাকার জার্জিজ কম্পোজিট নিট ইন্ডাস্ট্রিজ নামে ওই কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন- ওই এলাকার হারুনের ছেলে হায়দার ও ভোলাইলের গেদ্দার বাজার এলাকার শাহাবুদ্দিনের ছেলে মিলন।
আরও পড়ুন: রাজধানীর জুরাইনে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ
তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, রাতে কারখানা চলা অবস্থায় হঠাৎ জেনারেটর রুমে পাইপ বিস্ফোরণ হয়। এসময় শ্রমিকদের মধ্যে ছুটাছুটি শুরু হয়। পরে সেখান থেকে দগ্ধ অবস্থায় দুইজন শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মো. ফখর উদ্দিন বলেন, ডাইং কারখানায় বিস্ফোরণের খবর পেয়ে আমাদের উদ্ধার কর্মীরা ঘটনাস্থলে যায়। কারখানাটির জেনারেটর রুমের গরম বাতাস বাইরে বের হওয়ার জন্য ব্যবহৃত পাইপ লাইন থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে বলে আমরা ধারণা করছি।
তিনি আরও বলেন, তবে আমাদের দল সেখানে যাওয়ার আগে কারখানার লোকজন নিজেরাই আগুন নিভিয়ে ফেলে। আহত অবস্থায় দুইজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেছে বলে তারা আমাদের জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আযম খান বলেন, এ ধরনের কোনো খবর আমাদের জানা নেই। কেউ আমাদের জানায়নি। তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে আমরা খোঁজ নিচ্ছি।
আরও পড়ুন: সিলেটে ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণ: দগ্ধ আরও ২ জনের মৃত্যু
সিলেটে সিএনজি ফিলিং স্টেশনে জেনারেটর বিস্ফোরণে আহত ৯
সিলেটে ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণ: দগ্ধ আরও ২ জনের মৃত্যু
সিলেট নগরীর মিরাবাজারে বিরতি ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণের আগুনে দগ্ধ আরও দুই ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ নিয়ে এই ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু হলো। ৫ জন এখনও চিকিৎসাধীন।
নিহত দু’জন হলেন- সিলেট সদর উপজেলার জাঙ্গাঈল এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে তারেক আহমদ (৩২) ও সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার কাদিরগাওয়ের অর্জুন দাসের ছেলে বাদল দাস (৪১)। তারা রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে মারা যান তারেক। আর সোমবার সকালে মারা যান বাদল।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম বলেন, তারেক ও বাদল উভয়ের শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
আরও পড়ুন: সিলেটে নিজ ঘর থেকে তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর (সোমবার) রাতে সিলেট বিমানবন্দর থানার কোরবানটিলা এলাকার বাসিন্দা রুমেল সিদ্দিক ও মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকাল টুকেরবাজার এলাকার ইমন আহমদ (৩২) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
গত মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে নগরের মিরাবাজার এলাকার বিরতি সিএনজি ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে ওই ফিলিং স্টেশনের সাতজন কর্মচারী ও দু’জন পথচারী দগ্ধ হন।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুত সিলেট তালতলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দু’টি ইউনিট ১৫ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, পাম্প বন্ধের সময়েও খোলা ছিল বিরতি সিএনজি ফিলিং স্টেশন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে ফিলিং স্টেশনটির কম্প্রেসার কক্ষের একটি সেফটি বাল্ব বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এ সময় কম্প্রেসার মেশিনসহ আশপাশের যন্ত্রপাতিতে আগুন ধরে যায়।
সিলেট ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার বেলাল আহমদ বলেন, ফিলিং স্টেশন কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ঘাটতি ছিল। এ কারণে আগুন লাগে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত করে বলতে হবে।
ফিলিং স্টেশনটির সত্ত্বাধিকারী আফতাব আহমদ লিটন বলেন, সন্ধ্যার পর গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। ওই সময় কার্যক্রম শেষ করে সবাই পাম্প বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কম্প্রেসার কক্ষের একটি বাল্ব চেক করার সময় বিস্ফোরণ হয়।
আরও পড়ুন: সিলেট ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ নিহত ২
সিলেটে সিএনজি ফিলিং স্টেশনে জেনারেটর বিস্ফোরণে আহত ৯
সিলেটের মিরাবাজারে একটি সিএনজি ফিলিং স্টেশনে জেনারেটর বিস্ফোরণে ৯ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে মিরাবাজার এলাকার বিরতি সিএনজি ফিলিং স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে ৫ জন সিএনজি পাম্পের কর্মচারী। বাকি চারজন পথচারী। তারা হলেন- রিপন (৩৪), লুৎফুর (৩২), রুমেল (২৮), মিনহাজ (২৭), বাদল দাস (৪২), রাসিমল (১৮), রুমান (২৩), তারেক (৩০) ও মুহিন (৪৫)।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, আহতদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ট্রলারে বিস্ফোরণ: আরও ৩ জেলের মৃত্যু
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিরতি ফিলিং স্টেশনের জেনারেটর হঠাৎ বিস্ফোরিত হলে আগুন লেগে ৯ জন আহত হন।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
সিলেট ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. বেলাল হোসেন বলেন, পাম্পের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ঘাটতি ছিল। প্রাথমিকভাবে গ্যাসের ভাল্বের দুর্বলতার কারণে বিস্ফোরণ হয়ে থাকতে পারে বলে মনে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ট্রলারে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, ১১ জেলে দগ্ধ
কক্সবাজারে ট্রলারে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত ১ জনের মৃত্যু
কক্সবাজারে ট্রলারে বিস্ফোরণ: আরও ৩ জেলের মৃত্যু
কক্সবাজারে মাছ ধরার ট্রলারের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ আরও তিন জেলের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ট্রলারে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত ১ জনের মৃত্যু
এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত দগ্ধ ১২ জনের মধ্যে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মৃত তিনজন হলেন- রহিম উল্লাহ (৩০), আরমান (২২) ও শাহিন (৩৫)।
এর আগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওসমান গণি ও আয়ুব আলী নামে আরও দুই জেলের মৃত্যু হয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, কক্সবাজারে ট্রলারে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ আরও তিন জেলে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
তিনি বলেন, এদের মধ্যে রহিম উল্লাহ আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। তার ৯০ শতাংশ বার্ন ছিল। এছাড়া ২২ বছর বয়সী আরমানের শরীরে ৭০ শতাংশ ও শাহীনের ৬০ শতাংশ বার্ন ছিল। আগুনে সবার শ্বাসনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে কক্সবাজার বিমানবন্দর সড়কের বাঁকখালী নদীর নুনিয়ারছড়া ঘাটে নোঙর করা একটি মাছ ধরার ট্রলারে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ট্রলারটিতে থাকা ১৮ জন জেলের মধ্যে ১২ জেলে দগ্ধ হয়।
আরও পড়ুন: শৈলকুপায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১ জনের মৃত্যু
অবশেষে মারা গেলেন নবীনগরে পেট্রোলে অগ্নিদগ্ধ লতিফা
চট্টগ্রামে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে স্বামীর মৃত্যু, স্ত্রী আহত
চট্টগ্রাম মহানগরীরতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক ব্যক্তি নিহত এবং তার স্ত্রী আহত হয়েছেন। রবিবার (২৮ আগস্ট) দিবাগত রাত ২টার দিকে বন্দর থানার দক্ষিণ মধ্যম হালিশহরে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম আব্দুল খালেক (৬৫) এবং তার স্ত্রীর নাম আনোয়ারা বেগম (৬০)।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, হালিশহর এলাকায় নিজ বাসায় বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ স্বামী ও স্ত্রীকে চমেক হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসক স্বামী আব্দুল খালেককে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, আহত স্ত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিট হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মা-মেয়ের মৃত্যু, দগ্ধ ৪
ফরিদপুরে মাইক্রোবাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ৭
সিলেটে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মা-মেয়ের মৃত্যু, দগ্ধ ৪
সিলেটের গোয়াইনঘাটে বসতঘরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মা-মেয়ে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় একই পরিবারের ৪ সদস্য দগ্ধ হয়েছেন। রবিবার (২০ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার জাফলংয়ের রসুলপুর গ্রামের ইয়াকুব মিয়ার দোকান ও বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ইয়াকুব মিয়ার স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৩০) ও মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (১২)। আহতরা হলেন- জেসমিন আক্তারের স্বামী ইয়াকুব মিয়া, দুই সন্তান জুবাইর, জুনাইদ ও শাশুড়ি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ
আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মধ্যরাতে হঠাৎ গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে ঘরে আগুন ধরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিস ও থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং নিহতদের লাশ উদ্ধার করে।
গোয়াইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম জানান, অগ্নিকাণ্ডে ঘটনাস্থল থেকে দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। আগুনে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ
ফরিদপুরে মাইক্রোবাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ৭
গাজীপুরে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২
গাজীপুরে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে গুরুতর দগ্ধ একজন বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২ জনে।
নিহত মিনারুল ইসলাম (৩৫) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার ছিলেন এবং তিনি গাজীপুর শহরের বোর্ড বাজার এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিনারুল মারা যান। লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ
উল্লেখ্য, গাজীপুরের বোর্ড বাজার এলাকায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জনসহ ৪ জন দগ্ধ হন।
আহতরা হলেন- মিনারুল, তার বাবা ফরমান মণ্ডল (৭৫), মা খাদিজা বেগম (৬৫) ও অজ্ঞাত পরিচয়ে একজন।
তাদের মধ্যে ফরমান মণ্ডল সোমবার বিকালে বিশেষায়িত হাসপাতালে ৯৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
গাজীপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাইভেটকার চালক নিহত
দেশের ৬৩ জেলায় সিরিজ বোমা বিস্ফোরণের ১৮ বছর
বাংলাদেশের ৬৩ জেলায় সিরিজ বোমা বিস্ফোরণের ১৮তম বছর পূর্ণ হলো আজ। এই হামলায় দুইজন নিহত এবং ৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছিল।
২০০৫ সালের এই দিনে ৬৩টি জেলার ৪৩৪টি স্থানে প্রায় ৫০০টি বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) এই হামলার চালিয়েছিল।
দেশ থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূল করার নতুন আহ্বান জানিয়ে সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং রাজনৈতিক দলগুলো দেশব্যাপী বিস্ফোরণের বার্ষিকী পালন করবে।
আরও পড়ুন: জেএমবি সদস্যদের সঙ্গে কারাগারে দেখা হওয়ার পর জঙ্গি নেতা হয়ে ওঠেন ডাকাত
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বোমা হামলার ঘটনায় সারাদেশে বিভিন্ন থানায় ১৫৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে ৯৪টি মামলার বিচার সম্পন্ন হয়েছে যার মধ্যে ৩৩৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, বিস্ফোরণে মোট ৩৪৯ জন অভিযুক্তকে অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ৫ জেএমবি সদস্যের যাবজ্জীবন
বিস্ফোরণে ২৭ জন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং তাদের মধ্যে আটজনকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।
জেএমবি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু ২০০৭ সালে জেএমবির শীর্ষ ছয় নেতার ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম ব্যাপক ধাক্কা খেয়েছে।
ঝালকাঠি জেলার দুই বিচারককে হত্যার দায়ে ২০০৭ সালের ৩০ মার্চ শেখ আবদুর রহমান, তার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাই, সামরিক কমান্ডার আতাউর রহমান সানি, থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক সদস্য আবদুল আউয়াল, খালেদ সাইফুল্লাহ এবং সালাহউদ্দিনকে ফাঁসি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে জেএমবি কমান্ডার এরশাদের ২০ বছর কারাদণ্ড
রাজধানীর জুরাইনে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ
রাজধানীর জুরাইনে গ্যাস পাইপলাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচ সদস্য দগ্ধ হয়েছেন।সোমবার ভোররাতে জুরাইন সরদার বাজারের সলিমুল্লাহ রোডের একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- আলতাফ সিকদার (৭২), তার স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৫০), মেয়ে মুক্তা খাতুন (৩০), তার স্বামী আতাহার (৩৫) ও তাদের মেয়ে আফসানা (৫)।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, আহতদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
তাদের হাসপাতালের পর্যবেক্ষণ ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ
ফতুল্লায় ভবনে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৪, আহত ৬