বিস্ফোরণ
মুহুর্মুহু বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল শরীয়তপুরের জাজিরা
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুরের জাজিরায় ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত শতাধিক হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। ঘটনাটি শনিবার (৫ এপ্রিল) সকালে জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের দূর্বাডাঙ্গা এলাকায় সংঘটিত হয়। তবে এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিলাসপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারী ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা জলিল মাদবরের সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে এর আগেও বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার সকালে দূর্বাডাঙ্গা এলাকায় একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ফের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় শতাধিক হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন তারা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে, সংঘর্ষ ও হাতবোমা বিস্ফোরণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, একটি খোলা মাঠে উভয় পক্ষের লোকজন মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন। অনেককে হাতে বালতি নিয়ে হেলমেট পরিহিত অবস্থায় দেখা গেছে। তারা বালতি থেকে হাতবোমা নিক্ষেপ করছেন, যা বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে ধোঁয়ার সৃষ্টি করছে।
আরও পড়ুন: সেহরিতে রান্না করতে গিয়ে চুলা জ্বালাতেই বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৩
১১ দিন আগে
নারায়ণগঞ্জে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৮
নারায়ণগঞ্জের ঢাকেশ্বরী ২ নম্বর এলাকায় গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৮ জন দগ্ধ হয়েছেন।
রবিবার (২ মার্চ) দিবাগত রাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাভারে স্টিম বুসার বিস্ফোরণে দুই শ্রমিক নিহত
স্থানীয়রা জানায়, দিবাগত রাত ৩টার দিকে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত ৮ জন দগ্ধ হলে তাদের বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসা হয়।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের ঢাকেশ্বরী থেকে দগ্ধ অবস্থায় ৮ জনকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে। তবে অধিকাংশের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
৪৫ দিন আগে
সাভারে স্টিম বুসার বিস্ফোরণে দুই শ্রমিক নিহত
সাভারে স্টিম বুসার বিস্ফোরণে দুই শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এরা হলেন—ওলিউর রহমান ও হয়জুদ্দিন।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার বিরুলিয়া ইউনিয়নের খাগান এলাকার রহিম আফরোজ কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ জানায়, রাজধানী ঢাকা মেট্রো নেট বাংলাদেশ থেকে মালামাল নিয়ে একটি গাড়ি সাভারে রহিম আফরোজ কারখানায় আসে। পরে দুপুরে কারখানার ভিতরে মালামাল নামানোর সময় হঠাৎ ফায়ার স্টিম বুসার বিস্ফোরণে দুই শ্রমিক নিহত হন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা, নিহত ১
পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। কারখানা কতৃপক্ষ কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিঞা বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
৫০ দিন আগে
আশুলিয়া প্রাইভেটকারের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আহত ৩
সাভার আশুলিয়ার পলাশবাড়ীতে প্রাইভেটকারের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বাবা, মা ও ছেলেসহ তিনজন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পলাশবাড়ীর হাজী জামাল উদ্দিন মটরপার্টস মার্কেট সংলগ্ন হাবীব সিএনজি পাম্পে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- ঢাকার মোহাম্মদপুর কাটাসুর কাদেরাবাদ এলাকার ইমরাম হাসান সানি, তার স্ত্রী মুক্তা আক্তার ও তাদের ১১ বছরের ছেলে কাজী মিনহাজ। তবে তারা গুরুতর নয় বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: সাভারে অ্যাম্বুলেন্স-বাস সংঘর্ষে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, দগ্ধ হয়ে নিহত ৪
স্থানীয়রা জানায়, প্রাইভেটকারটি গ্যাস নিতে পাম্পে প্রবেশ করলে সবাই গাড়ি থেকে নেমে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। গ্যাস নেওয়া শুরু করতেই সিলিন্ডারটি বিস্ফোরিত হয়। এতে প্রাইভেটকারের পাশে থাকা তিনজন আহত হলে তাদের উদ্ধার করে সোহেল স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আলম সিদ্দিক বলেন, গাড়িটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
৬৯ দিন আগে
বোতল কুড়াতে গিয়ে বিস্ফোরণ, উড়ে গেল কিশোরের আঙুল
মুন্সীগঞ্জে ময়লার স্তূপে বোতল কুড়ানোর সময় বিস্ফোরণে সজিব নামে এক কিশোরের ডান হাতের আঙুলগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) জেলার দক্ষিণ ইসলামপুর এলাকার ময়লার স্তূপে এ ঘটনাটি ঘটে।
আহত অবস্থায় তাকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সজিব মিয়া (১৩) নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ার রাজু শেখের ছেলে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে কারখানায় বিস্ফোরণে ১১ শ্রমিক আহত
তার ভাষ্যে, ‘ময়লার স্তূপে বোতল কুড়ানোর সময় একটা সাদা বলের মতো বস্তু পাই। পরে সেটিকে টান দিলে সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ হয়।’
সজিবের বাবা রাজু শেখ বলেন, ‘দুই ছেলে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়া থেকে আমরা ভ্যানগাড়ি নিয়ে বোতল কুড়াতে আসি। আজ ময়লার স্তূপে বোতল কুড়ানোর সময় হঠাৎ বিস্ফোরণে সজিব আহত হয়। এরপর সঙ্গে সঙ্গে তাকে মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি।’
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. রুহুল আমিন বলেন, ‘বিস্ফোরণে ছেলেটির ডান হাতের আঙুলগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া গোপনাঙ্গেও আঘাত পেয়েছে সে। অবস্থা সংকটাপন্ন বুঝে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেই।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সজিব দে বলেন, ককটেল বিস্ফোরণে ছেলেটি আহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ঠিক কী বিস্ফোরণ হয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ চার
১২৯ দিন আগে
নারায়ণগঞ্জে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৬
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ডরগাঁওয়ে একটি বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৬ পোশাক শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে গ্যাস সিলিন্ডার বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে গেলে তারা আহত হন।
আহতরা হলেন- আবুল হোসেন (৫০), শেলী আক্তার (৩৫), মুন্নি আক্তার (২২), জুয়েল (২০), ইসমাইল (২৩) ও তাসলিমা (১৬)।
আরও পড়ুন: পতেঙ্গায় জাহাজে বিস্ফোরণ; ৩ জনের লাশ উদ্ধার
পরে তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে (এসএইচএনআইবিপিএস) নেওয়া হয়।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তরিকুল ইসলাম জানান, আহতদের শরীরের ৫৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী মোগল মিয়া জানান, রাতে কেউ মশার কয়েল জ্বালাতে গেলে ওই বাড়িতে আগুন লাগে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে গ্যাস পাম্পে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ৩, দগ্ধ ২০
১৭৩ দিন আগে
পতেঙ্গায় জাহাজে বিস্ফোরণ; ৩ জনের লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ৭ নম্বর ডলফিন জেটির অদূরে ‘বাংলার জ্যোতি’ নামের একটি অয়েল ট্যাংকারের অগ্নিকাণ্ডে ৩ জনের লাশ পাওয়া গেছে।
এর আগে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ইস্টার্ন রিফাইনারির ডলফিন জেটিতে থাকা জাহাজটিতে আগুন লাগে।
নিহতরা হলেন, বিএসসির নিজস্ব মেরিন ওয়ার্কশপের চার্জম্যান চট্টগ্রামের নুরুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জের মো. হারুন এবং বরিশাল মেরিন একাডেমির ক্যাডেট সৌরভ কুমার সাহা।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
বিস্ফোরণের পর জাহাজটিতে আগুন নেভাতে কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও ইস্টার্ন রিফাইনারির নিজস্ব ফায়ার ফাইটিং টিম কাজ করছে।
ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে মো. কফিল উদ্দিন জানান, কর্ণফুলীতে জাহাজে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ, বন্দর, কর্ণফুলী ইপিজেড, সিইপিজেড স্টেশনের ৮টি গাড়ি পাঠানো হয়। এসময় সেখান থেকে ৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বাংলার জ্যোতি জাহাজে আগুন লাগার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের ডিজিএম (ইন্সপেকশান অ্যান্ড সেইফটি) এ কে এম নঈমুল্লাহ।
তিনি বলেন, জাহাজের সবাই নিরাপদে নেমে গেছেন। তবে আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
জানা গেছে, বাংলার জ্যোতি ট্যাংকার জাহাজটি বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) মালিকানাধীন পুরোনো জাহাজ। জাহাজটি মূলত বন্দরের বহির্নোঙরে অবস্থান করা মাদার ট্যাংকার ভ্যাসেল থেকে ক্রুড ইস্টার্ন রিফাইনারিতে পরিবহন করে থাকে।
জাহাজে আগুন লাগার পর কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়লে আশেপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: পাঁচতলা ভবনের লিফটের গর্ত থেকে শ্রমিকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
১৯৮ দিন আগে
চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বিএসসির জাহাজে বিস্ফোরণের পর আগুন
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর পতেঙ্গায় পেট্রোলিয়াম বহন করা জাহাজে বিস্ফোরণের পর আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৮ ইউনিট।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় ইস্টার্ন রিফাইনারির ডলফিন জেটিতে পণ্য খালাস করার সময় বাংলার জ্যোতি নামের জাহাজে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরণের পর জাহাজটিতে আগুন ধরে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি এখন পর্যন্ত। আগুন নেভাতে কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও ইস্টার্ন রিফাইনারির নিজস্ব ফায়ার ফাইটিং টিম কাজ করছে।
ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে মো. কফিল উদ্দিন জানান, কর্ণফুলী নদীতে একটি জাহাজে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ, বন্দর, কর্ণফুলী ইপিজেড, সিইপিজেড স্টেশনের আটটি গাড়ি পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে প্রাণ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের আগুন নিয়ন্ত্রণে
এ ঘটনায় ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের ডিজিএম (ইন্সপেকশান অ্যান্ড সেইফটি) এ কে এম নঈমুল্লাহ বলেন, ‘কর্ণফুলী নদীর ইস্টার্ন রিফাইনারির ডলফিন জেটিতে বাংলার জ্যোতি জাহাজে আগুন লেগেছে। জাহাজের সবাই নিরাপদে নেমে গেছেন। তবে আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি।’
জানা গেছে, বাংলার জ্যোতি ট্যাংকার জাহাজটি বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) মালিকানাধীন পুরোনো জাহাজ।
এতে আগুন লাগার পর কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলি আকাশে ছড়িয়ে যায়। এতে আশেপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
জাহাজটি মূলত বন্দরের বহির্নোঙরে অবস্থান করা মাদার ট্যাংকার ভ্যাসেল থেকে ক্রুড ইস্টার্ন রিফাইনারিতে পরিবহন করে থাকে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জের টায়ার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে
১৯৯ দিন আগে
মোবাইল ফোন বিস্ফোরণ: কারণ ও বাঁচার উপায়
তথ্য ও প্রযুক্তির বিরামহীন বিকাশের যুগান্তকারী ফলাফল হচ্ছে স্মার্টফোন। উদ্ভাবনের পর থেকে কেবল দুটো মানুষের মধ্যে যোগাযোগের মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকেনি এই ছোট্ট ডিভাইসটি। চার দেয়ালের ভেতরে ও বাইরে স্থির বা চলমান প্রতিটি অবস্থায় এই মুঠোফোন মানুষের ২৪ ঘণ্টার সঙ্গী। প্রসঙ্গ যখন ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নিয়ে তখন স্বভাবতই সেখানে চলে আসে সঠিকভাবে তা ব্যবহারের বিষয়টি। কেননা অসাবধানতা বা অপব্যবহারে সময়ের এই আশীর্বাদটিই পরিণত হতে পারে মৃত্যুঝুঁকিতে। বিশেষ করে স্মার্টফোন বিস্ফোরণের মতো দুর্ঘটনাগুলো প্রায়ই ব্যবহারকারীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। চলুন, মোবাইল ফোন বিস্ফোরণের বিভিন্ন কারণ এবং এ থেকে বাচঁতে করণীয়গুলো সম্পর্ক জেনে নেওয়া যাক।
মোবাইল ফোন বিস্ফোরণের কারণসমূহ
দীর্ঘক্ষণ ব্যবহারের ফলে অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়া। নথি, হিসাব রক্ষণ, ই-মেইল বা ফাইল ব্যবস্থাপনার মতো হাল্কা অ্যাপগুলোতে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করলে নেতিবাচক প্রভাবটা বেশ হাল্কা থাকে। তবে ভিডিও স্ট্রিমিং এবং গেমের মতো ভারী অ্যাপগুলো অল্প সময় চালালেই ডিভাইস গরম হয়ে ওঠে। সেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এই অ্যাপগুলোতে ডুবে থাকলে ফোনের প্রসেসরের ওপর যথেষ্ট চাপ পড়ে। এতে করে ফোনের অভ্যন্তরে তাপ বাড়তে থাকে।
এই উত্তাপের সবচেয়ে বড় শিকার হয় ফোনের ব্যাটারি। তাপের পরিমাণ ধারণ ক্ষমতার বেশি হয়ে গেলে ব্যাটারি ফুলে গিয়ে বিস্ফোরণের ঝুঁকিতে পড়ে।
উন্নত প্রযুক্তির ফোন মানেই তাতে হাই-এন্ড প্রসেসরের উপস্থিতি। আর অবিরাম ফোন ব্যবহারের ফলে এই প্রসেসরগুলো মুহুর্তে উত্তপ্ত হয়ে যায়। প্রসেসরের একদম সংস্পর্শে থাকায় স্বাভাবিকভাবেই সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে ব্যাটারির।
আরও পড়ুন: অ্যাপল আইফোন ১৬ সিরিজে নতুন কি থাকছে
ওভারচার্জিং
ফোনের চার্জ ১০০ শতাংশের কোঠায় পৌঁছানোর পরেও দীর্ঘক্ষণ প্লাগ-ইন থাকলে ব্যাটারিতে লোড বাড়তে থাকে। অবশ্য বর্তমান সময়ের বেশিরভাগ স্মার্টফোনগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা হয়, যেন একবার পূর্ণচার্জ হয়ে গেলে চার্জ হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু এরপরেও ক্রমাগত চার্জ গ্রহণেরও একটা লিমিট আছে। নিরবচ্ছিন্নভাবে প্লাগ-ইন অবস্থায় থাকলে সেই লিমিট অতিক্রান্ত হয়। আর তখনি ব্যাটারির কর্মক্ষমতা হ্রাস পেতে শুরু করে।
‘ব্যাটারি স্ট্রেস’ নামে পরিচিত এই প্রক্রিয়াটিতে অভ্যন্তরীণ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশগুলো একটু একটু করে তাপ জমা হতে শুরু করে। চক্রাকারে এই ঘটনা ঘটতে থাকলে এক সময় সেগুলো অতিরিক্ত উত্তপ্ত হয়ে বিস্ফোরণ ঘটার আশঙ্কা তৈরি হয়।
অনেকেরই মধ্যে রাতে ফোন চার্জে রেখে ঘুমাতে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এছাড়া ব্যাগের মধ্যে পোর্টেবল চার্জারে ফোন সংযুক্ত রেখে দীর্ঘক্ষণ ফেলে রাখলেও দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।
উত্তপ্ত বা উচ্চ আর্দ্রতার পরিবেশে রাখা
সরাসরি সূর্যের আলোতে, বদ্ধ স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ অথবা প্রচন্ড আঁটসাঁট চাপযুক্ত জায়গা ফোনের ব্যাটারির উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। পরিবেশের উচ্চ তাপ ফোনের কেসিং হয়ে ব্যাটারিতে প্রবেশ করে। এই প্রক্রিয়ার পুনরাবৃত্তি হতে থাকলে ব্যাটারি তাপ ধারণ করার জন্য প্রসারিত হওয়ার চেষ্টা করে। এভাবে এটি ক্রমশ নিরাপদ সীমার বাইরে পরিচালিত হয়ে বিস্ফোরণের দিকে ধাবিত হয়।
আরও পড়ুন: ডিএসএলআর ক্যামেরা খুঁজছেন? কেনার আগে জেনে নিন ফিচার ও দাম
উচ্চ আর্দ্রতা যুক্ত পরিবেশ ব্যাটারির জন্য যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ। নিত্যনৈমিত্তিক জীবনে ফোন বহনের ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে এমন পরিবেশের সৃষ্টি হয়ে থাকে। যেমন-
- গরমের দিনে পার্ক করা গাড়ির ভেতরে ফোন রাখা
- বালিশ বা কম্বলের নিচে ফোন রেখে ঘুমানো
- ফোন টেবিলের কোণে বইয়ের স্তুপ বা জঞ্জালের মাঝে রাখা
- ফোন একসঙ্গে কয়েকটি হাই-ভোল্টেজের যন্ত্রপাতির সঙ্গে রাখা
- গাড়ির ইঞ্জিন বা গিয়ারের কাছাকাছি প্রচন্ড ভিড়ের মাঝে আঁটসাঁট কোনও ব্যাগে ফোন বহন করা
নকল বা নিম্নমানের চার্জার বা কেবল ব্যবহার করা
সস্তা ও অনিবন্ধিত অধিকাংশ ফোনেই চার্জার বা কেবলগুলোতে কোনও নিরাপত্তার মান থাকে না। এক্ষেত্রে চার্জার বা তার ক্যাবল ফোনের রেটিংকৃত বিদ্যুৎ পরিবহনের জন্য উপযুক্ত থাকে না। ফলে ব্যাটারির ধারণ ক্ষমতার সঙ্গে ক্যাবল বা চার্জারটি থাকে একদমি অসামঞ্জস্যপূর্ণ। এতে করে প্রয়োজনের তুলনায় কম অথবা বেশি পরিমাণে ফোনে বিদ্যুৎ ঢুকতে পারে।
আরও পড়ুন: হ্যাকিং প্রতিরোধ: অনলাইন কেনাকাটায় ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে সাবধানতা
কম হলে ফোনের আভ্যন্তরীণ সরঞ্জামাদি দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। এ ছাড়া এতে আর তেমন কোনো ভয় থাকে না। কিন্তু বিদ্যুৎ পরিবহন বেশি হলে তাপ বৃদ্ধির মাধ্যমে আগুন ধরে যাওয়ার ভয় রয়েছে।
বাহ্যিক আঘাত থেকে ব্যাটারি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া
ব্যাটারি যদি নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে তৈরি হয় তাহলে শর্ট সার্কিটের মতো বিপজ্জনক পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। বড় রকমের দুর্ঘটনার জন্য একটি শর্ট সার্কিট-ই যথেষ্ট।
একটি দুর্বল মানের ফোন হাত থেকে পড়ে যাওয়া কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয় এর ব্যাটারি। খুব ভালো বিল্ট কোয়ালিটির ফোনও দুই-তিনবার ধাক্কা লাগার ফলে এর আভ্যন্তরীণ কাঠামো নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
প্রতিবার আঘাতে একটি-দুটি করে চিড় বা কাঠামো-বিকৃতি দীর্ঘ মেয়াদে ফোনের স্থায়িত্বের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। প্রচন্ড সংঘর্ষ বা আঘাতে অভ্যন্তরীণ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উপকরণগুলো নষ্ট হতে থাকলে সার্কিট পূরণ সংক্রান্ত সংকট তৈরি হয়। এরপরেও এমন ক্ষতিগ্রস্ত ফোন নিয়ে চলাফেরা করা মানেই যে কোনো সময় আকস্মিক বিপদের সম্মুখীন হওয়া।
আরও পড়ুন: স্মার্টফোনে ভূমিকম্প সতর্কতা চালু করবেন যেভাবে
২০০ দিন আগে
ময়মনসিংহে মোবাইল বিস্ফোরণে চিকিৎসকের মৃত্যু
ময়মনসিংহে মোবাইল ফোন বিস্ফোরণে তারিকুল আলম নোমান (৪২) নামে এক চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভোরের দিকে নগরীর জমির মুন্সি রোড এলাকার নিজ বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
তরিকুল ঐ এলাকার তাহের উদ্দিনের ছেলে এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাতে মোবাইল চার্জ দিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন তিনি। কোনো এক সময় চার্জকৃত মোবাইল বিস্ফোরণে লাগা আগুনে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
এসময় তার দুই হাত, বুক, নাক-মুখ পুড়ে যায়। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম খান বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে চার্জ দেওয়া অবস্থায় মোবাইল বিস্ফোরণে লাগা আগুনে তার মৃত্যু হয়েছে।
পরিবারের পক্ষ থেকে ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ নেওয়ার আবেদন করলে স্বজনদের কাছে তা হস্তান্তর করা হয় বলে জানান ওসি সফিকুল।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় তেলের ট্যাংক বিস্ফোরণে ৪ শ্রমিকের মৃত্যু
২০১ দিন আগে