বিস্ফোরণ
বোতল কুড়াতে গিয়ে বিস্ফোরণ, উড়ে গেল কিশোরের আঙুল
মুন্সীগঞ্জে ময়লার স্তূপে বোতল কুড়ানোর সময় বিস্ফোরণে সজিব নামে এক কিশোরের ডান হাতের আঙুলগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) জেলার দক্ষিণ ইসলামপুর এলাকার ময়লার স্তূপে এ ঘটনাটি ঘটে।
আহত অবস্থায় তাকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সজিব মিয়া (১৩) নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ার রাজু শেখের ছেলে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে কারখানায় বিস্ফোরণে ১১ শ্রমিক আহত
তার ভাষ্যে, ‘ময়লার স্তূপে বোতল কুড়ানোর সময় একটা সাদা বলের মতো বস্তু পাই। পরে সেটিকে টান দিলে সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ হয়।’
সজিবের বাবা রাজু শেখ বলেন, ‘দুই ছেলে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়া থেকে আমরা ভ্যানগাড়ি নিয়ে বোতল কুড়াতে আসি। আজ ময়লার স্তূপে বোতল কুড়ানোর সময় হঠাৎ বিস্ফোরণে সজিব আহত হয়। এরপর সঙ্গে সঙ্গে তাকে মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি।’
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. রুহুল আমিন বলেন, ‘বিস্ফোরণে ছেলেটির ডান হাতের আঙুলগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া গোপনাঙ্গেও আঘাত পেয়েছে সে। অবস্থা সংকটাপন্ন বুঝে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেই।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সজিব দে বলেন, ককটেল বিস্ফোরণে ছেলেটি আহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ঠিক কী বিস্ফোরণ হয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ চার
২ সপ্তাহ আগে
নারায়ণগঞ্জে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৬
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ডরগাঁওয়ে একটি বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৬ পোশাক শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে গ্যাস সিলিন্ডার বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে গেলে তারা আহত হন।
আহতরা হলেন- আবুল হোসেন (৫০), শেলী আক্তার (৩৫), মুন্নি আক্তার (২২), জুয়েল (২০), ইসমাইল (২৩) ও তাসলিমা (১৬)।
আরও পড়ুন: পতেঙ্গায় জাহাজে বিস্ফোরণ; ৩ জনের লাশ উদ্ধার
পরে তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে (এসএইচএনআইবিপিএস) নেওয়া হয়।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তরিকুল ইসলাম জানান, আহতদের শরীরের ৫৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী মোগল মিয়া জানান, রাতে কেউ মশার কয়েল জ্বালাতে গেলে ওই বাড়িতে আগুন লাগে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে গ্যাস পাম্পে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ৩, দগ্ধ ২০
১ মাস আগে
পতেঙ্গায় জাহাজে বিস্ফোরণ; ৩ জনের লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ৭ নম্বর ডলফিন জেটির অদূরে ‘বাংলার জ্যোতি’ নামের একটি অয়েল ট্যাংকারের অগ্নিকাণ্ডে ৩ জনের লাশ পাওয়া গেছে।
এর আগে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ইস্টার্ন রিফাইনারির ডলফিন জেটিতে থাকা জাহাজটিতে আগুন লাগে।
নিহতরা হলেন, বিএসসির নিজস্ব মেরিন ওয়ার্কশপের চার্জম্যান চট্টগ্রামের নুরুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জের মো. হারুন এবং বরিশাল মেরিন একাডেমির ক্যাডেট সৌরভ কুমার সাহা।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
বিস্ফোরণের পর জাহাজটিতে আগুন নেভাতে কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও ইস্টার্ন রিফাইনারির নিজস্ব ফায়ার ফাইটিং টিম কাজ করছে।
ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে মো. কফিল উদ্দিন জানান, কর্ণফুলীতে জাহাজে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ, বন্দর, কর্ণফুলী ইপিজেড, সিইপিজেড স্টেশনের ৮টি গাড়ি পাঠানো হয়। এসময় সেখান থেকে ৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বাংলার জ্যোতি জাহাজে আগুন লাগার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের ডিজিএম (ইন্সপেকশান অ্যান্ড সেইফটি) এ কে এম নঈমুল্লাহ।
তিনি বলেন, জাহাজের সবাই নিরাপদে নেমে গেছেন। তবে আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
জানা গেছে, বাংলার জ্যোতি ট্যাংকার জাহাজটি বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) মালিকানাধীন পুরোনো জাহাজ। জাহাজটি মূলত বন্দরের বহির্নোঙরে অবস্থান করা মাদার ট্যাংকার ভ্যাসেল থেকে ক্রুড ইস্টার্ন রিফাইনারিতে পরিবহন করে থাকে।
জাহাজে আগুন লাগার পর কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়লে আশেপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: পাঁচতলা ভবনের লিফটের গর্ত থেকে শ্রমিকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
২ মাস আগে
চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বিএসসির জাহাজে বিস্ফোরণের পর আগুন
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর পতেঙ্গায় পেট্রোলিয়াম বহন করা জাহাজে বিস্ফোরণের পর আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৮ ইউনিট।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় ইস্টার্ন রিফাইনারির ডলফিন জেটিতে পণ্য খালাস করার সময় বাংলার জ্যোতি নামের জাহাজে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরণের পর জাহাজটিতে আগুন ধরে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি এখন পর্যন্ত। আগুন নেভাতে কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও ইস্টার্ন রিফাইনারির নিজস্ব ফায়ার ফাইটিং টিম কাজ করছে।
ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে মো. কফিল উদ্দিন জানান, কর্ণফুলী নদীতে একটি জাহাজে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ, বন্দর, কর্ণফুলী ইপিজেড, সিইপিজেড স্টেশনের আটটি গাড়ি পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে প্রাণ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের আগুন নিয়ন্ত্রণে
এ ঘটনায় ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের ডিজিএম (ইন্সপেকশান অ্যান্ড সেইফটি) এ কে এম নঈমুল্লাহ বলেন, ‘কর্ণফুলী নদীর ইস্টার্ন রিফাইনারির ডলফিন জেটিতে বাংলার জ্যোতি জাহাজে আগুন লেগেছে। জাহাজের সবাই নিরাপদে নেমে গেছেন। তবে আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি।’
জানা গেছে, বাংলার জ্যোতি ট্যাংকার জাহাজটি বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) মালিকানাধীন পুরোনো জাহাজ।
এতে আগুন লাগার পর কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলি আকাশে ছড়িয়ে যায়। এতে আশেপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
জাহাজটি মূলত বন্দরের বহির্নোঙরে অবস্থান করা মাদার ট্যাংকার ভ্যাসেল থেকে ক্রুড ইস্টার্ন রিফাইনারিতে পরিবহন করে থাকে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জের টায়ার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে
২ মাস আগে
মোবাইল ফোন বিস্ফোরণ: কারণ ও বাঁচার উপায়
তথ্য ও প্রযুক্তির বিরামহীন বিকাশের যুগান্তকারী ফলাফল হচ্ছে স্মার্টফোন। উদ্ভাবনের পর থেকে কেবল দুটো মানুষের মধ্যে যোগাযোগের মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকেনি এই ছোট্ট ডিভাইসটি। চার দেয়ালের ভেতরে ও বাইরে স্থির বা চলমান প্রতিটি অবস্থায় এই মুঠোফোন মানুষের ২৪ ঘণ্টার সঙ্গী। প্রসঙ্গ যখন ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নিয়ে তখন স্বভাবতই সেখানে চলে আসে সঠিকভাবে তা ব্যবহারের বিষয়টি। কেননা অসাবধানতা বা অপব্যবহারে সময়ের এই আশীর্বাদটিই পরিণত হতে পারে মৃত্যুঝুঁকিতে। বিশেষ করে স্মার্টফোন বিস্ফোরণের মতো দুর্ঘটনাগুলো প্রায়ই ব্যবহারকারীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। চলুন, মোবাইল ফোন বিস্ফোরণের বিভিন্ন কারণ এবং এ থেকে বাচঁতে করণীয়গুলো সম্পর্ক জেনে নেওয়া যাক।
মোবাইল ফোন বিস্ফোরণের কারণসমূহ
দীর্ঘক্ষণ ব্যবহারের ফলে অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়া। নথি, হিসাব রক্ষণ, ই-মেইল বা ফাইল ব্যবস্থাপনার মতো হাল্কা অ্যাপগুলোতে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করলে নেতিবাচক প্রভাবটা বেশ হাল্কা থাকে। তবে ভিডিও স্ট্রিমিং এবং গেমের মতো ভারী অ্যাপগুলো অল্প সময় চালালেই ডিভাইস গরম হয়ে ওঠে। সেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এই অ্যাপগুলোতে ডুবে থাকলে ফোনের প্রসেসরের ওপর যথেষ্ট চাপ পড়ে। এতে করে ফোনের অভ্যন্তরে তাপ বাড়তে থাকে।
এই উত্তাপের সবচেয়ে বড় শিকার হয় ফোনের ব্যাটারি। তাপের পরিমাণ ধারণ ক্ষমতার বেশি হয়ে গেলে ব্যাটারি ফুলে গিয়ে বিস্ফোরণের ঝুঁকিতে পড়ে।
উন্নত প্রযুক্তির ফোন মানেই তাতে হাই-এন্ড প্রসেসরের উপস্থিতি। আর অবিরাম ফোন ব্যবহারের ফলে এই প্রসেসরগুলো মুহুর্তে উত্তপ্ত হয়ে যায়। প্রসেসরের একদম সংস্পর্শে থাকায় স্বাভাবিকভাবেই সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে ব্যাটারির।
আরও পড়ুন: অ্যাপল আইফোন ১৬ সিরিজে নতুন কি থাকছে
ওভারচার্জিং
ফোনের চার্জ ১০০ শতাংশের কোঠায় পৌঁছানোর পরেও দীর্ঘক্ষণ প্লাগ-ইন থাকলে ব্যাটারিতে লোড বাড়তে থাকে। অবশ্য বর্তমান সময়ের বেশিরভাগ স্মার্টফোনগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা হয়, যেন একবার পূর্ণচার্জ হয়ে গেলে চার্জ হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু এরপরেও ক্রমাগত চার্জ গ্রহণেরও একটা লিমিট আছে। নিরবচ্ছিন্নভাবে প্লাগ-ইন অবস্থায় থাকলে সেই লিমিট অতিক্রান্ত হয়। আর তখনি ব্যাটারির কর্মক্ষমতা হ্রাস পেতে শুরু করে।
‘ব্যাটারি স্ট্রেস’ নামে পরিচিত এই প্রক্রিয়াটিতে অভ্যন্তরীণ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশগুলো একটু একটু করে তাপ জমা হতে শুরু করে। চক্রাকারে এই ঘটনা ঘটতে থাকলে এক সময় সেগুলো অতিরিক্ত উত্তপ্ত হয়ে বিস্ফোরণ ঘটার আশঙ্কা তৈরি হয়।
অনেকেরই মধ্যে রাতে ফোন চার্জে রেখে ঘুমাতে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এছাড়া ব্যাগের মধ্যে পোর্টেবল চার্জারে ফোন সংযুক্ত রেখে দীর্ঘক্ষণ ফেলে রাখলেও দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।
উত্তপ্ত বা উচ্চ আর্দ্রতার পরিবেশে রাখা
সরাসরি সূর্যের আলোতে, বদ্ধ স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ অথবা প্রচন্ড আঁটসাঁট চাপযুক্ত জায়গা ফোনের ব্যাটারির উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। পরিবেশের উচ্চ তাপ ফোনের কেসিং হয়ে ব্যাটারিতে প্রবেশ করে। এই প্রক্রিয়ার পুনরাবৃত্তি হতে থাকলে ব্যাটারি তাপ ধারণ করার জন্য প্রসারিত হওয়ার চেষ্টা করে। এভাবে এটি ক্রমশ নিরাপদ সীমার বাইরে পরিচালিত হয়ে বিস্ফোরণের দিকে ধাবিত হয়।
আরও পড়ুন: ডিএসএলআর ক্যামেরা খুঁজছেন? কেনার আগে জেনে নিন ফিচার ও দাম
উচ্চ আর্দ্রতা যুক্ত পরিবেশ ব্যাটারির জন্য যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ। নিত্যনৈমিত্তিক জীবনে ফোন বহনের ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে এমন পরিবেশের সৃষ্টি হয়ে থাকে। যেমন-
- গরমের দিনে পার্ক করা গাড়ির ভেতরে ফোন রাখা
- বালিশ বা কম্বলের নিচে ফোন রেখে ঘুমানো
- ফোন টেবিলের কোণে বইয়ের স্তুপ বা জঞ্জালের মাঝে রাখা
- ফোন একসঙ্গে কয়েকটি হাই-ভোল্টেজের যন্ত্রপাতির সঙ্গে রাখা
- গাড়ির ইঞ্জিন বা গিয়ারের কাছাকাছি প্রচন্ড ভিড়ের মাঝে আঁটসাঁট কোনও ব্যাগে ফোন বহন করা
নকল বা নিম্নমানের চার্জার বা কেবল ব্যবহার করা
সস্তা ও অনিবন্ধিত অধিকাংশ ফোনেই চার্জার বা কেবলগুলোতে কোনও নিরাপত্তার মান থাকে না। এক্ষেত্রে চার্জার বা তার ক্যাবল ফোনের রেটিংকৃত বিদ্যুৎ পরিবহনের জন্য উপযুক্ত থাকে না। ফলে ব্যাটারির ধারণ ক্ষমতার সঙ্গে ক্যাবল বা চার্জারটি থাকে একদমি অসামঞ্জস্যপূর্ণ। এতে করে প্রয়োজনের তুলনায় কম অথবা বেশি পরিমাণে ফোনে বিদ্যুৎ ঢুকতে পারে।
আরও পড়ুন: হ্যাকিং প্রতিরোধ: অনলাইন কেনাকাটায় ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে সাবধানতা
কম হলে ফোনের আভ্যন্তরীণ সরঞ্জামাদি দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। এ ছাড়া এতে আর তেমন কোনো ভয় থাকে না। কিন্তু বিদ্যুৎ পরিবহন বেশি হলে তাপ বৃদ্ধির মাধ্যমে আগুন ধরে যাওয়ার ভয় রয়েছে।
বাহ্যিক আঘাত থেকে ব্যাটারি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া
ব্যাটারি যদি নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে তৈরি হয় তাহলে শর্ট সার্কিটের মতো বিপজ্জনক পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। বড় রকমের দুর্ঘটনার জন্য একটি শর্ট সার্কিট-ই যথেষ্ট।
একটি দুর্বল মানের ফোন হাত থেকে পড়ে যাওয়া কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয় এর ব্যাটারি। খুব ভালো বিল্ট কোয়ালিটির ফোনও দুই-তিনবার ধাক্কা লাগার ফলে এর আভ্যন্তরীণ কাঠামো নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
প্রতিবার আঘাতে একটি-দুটি করে চিড় বা কাঠামো-বিকৃতি দীর্ঘ মেয়াদে ফোনের স্থায়িত্বের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। প্রচন্ড সংঘর্ষ বা আঘাতে অভ্যন্তরীণ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উপকরণগুলো নষ্ট হতে থাকলে সার্কিট পূরণ সংক্রান্ত সংকট তৈরি হয়। এরপরেও এমন ক্ষতিগ্রস্ত ফোন নিয়ে চলাফেরা করা মানেই যে কোনো সময় আকস্মিক বিপদের সম্মুখীন হওয়া।
আরও পড়ুন: স্মার্টফোনে ভূমিকম্প সতর্কতা চালু করবেন যেভাবে
২ মাস আগে
ময়মনসিংহে মোবাইল বিস্ফোরণে চিকিৎসকের মৃত্যু
ময়মনসিংহে মোবাইল ফোন বিস্ফোরণে তারিকুল আলম নোমান (৪২) নামে এক চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভোরের দিকে নগরীর জমির মুন্সি রোড এলাকার নিজ বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
তরিকুল ঐ এলাকার তাহের উদ্দিনের ছেলে এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাতে মোবাইল চার্জ দিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন তিনি। কোনো এক সময় চার্জকৃত মোবাইল বিস্ফোরণে লাগা আগুনে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
এসময় তার দুই হাত, বুক, নাক-মুখ পুড়ে যায়। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম খান বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে চার্জ দেওয়া অবস্থায় মোবাইল বিস্ফোরণে লাগা আগুনে তার মৃত্যু হয়েছে।
পরিবারের পক্ষ থেকে ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ নেওয়ার আবেদন করলে স্বজনদের কাছে তা হস্তান্তর করা হয় বলে জানান ওসি সফিকুল।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় তেলের ট্যাংক বিস্ফোরণে ৪ শ্রমিকের মৃত্যু
২ মাস আগে
ইরানে কয়লা খনিতে গ্যাস লিক হয়ে বিস্ফোরণে অন্তত ১৯ জন নিহত
ইরানের পূর্বাঞ্চলে একটি কয়লা খনিতে মিথেন গ্যাস লিক হয়ে বিস্ফোরণে অন্তত ১৯ জন নিহত ও ১৭ জন আহত হয়েছেন।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দেশটির জাতীয় টেলিভিশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানী তেহরান থেকে প্রায় ৫৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে তাবাসের একটি কয়লা খনিতে শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
ভেতরে কয়েকজন খনি শ্রমিক আটকা পড়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইরানে বাস উল্টে নিহত ১০, আহত ৩৬
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই এলাকায় জরুরি উদ্ধারকর্মী পাঠানো হয়েছে। বিস্ফোরণের সময় সেখানে প্রায় ৭০ জন কর্মী কাজ করছিলেন। তবে কতজন খনিতে আটকা পড়েছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।
আটকে পড়াদের উদ্ধার ও তাদের পরিবারকে সহায়তা করার জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। এ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ইরানের খনি শিল্পে এমন দুর্ঘটনা এটিই প্রথম নয়। ২০১৩ সালে দুটি পৃথক খনি দুর্ঘটনায় ১১ জন শ্রমিক নিহত হন। ২০০৯ সালে বিভিন্ন ঘটনায় ২০ জন শ্রমিক নিহত হন। ২০১৭ সালে একটি কয়লা খনিতে বিস্ফোরণে অন্তত ৪২ জন নিহত হয়েছিল।
তেল উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে পরিচিত হলেও ইরানের খনিগুলো থেকে প্রতি বছর ১৮ লাখ টন কয়লা উত্তোলন করা হয়। কিন্তু খনি এলাকাগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও জরুরি পরিষেবা না থাকায় প্রায়শই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে থাকে।
আরও পড়ুন: পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চায় ইরান
৩ মাস আগে
সীতাকুণ্ডে জাহাজভাঙা কারখানায় বিস্ফোরণ, অগ্নিদগ্ধ ১২ শ্রমিক
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জাহাজভাঙা কারখানায় স্ক্র্যাপ জাহাজের পাম্প রুমে কাটিং কাজ করার সময় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ১২ জন শ্রমিক।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে জাহাজ ভাঙা কারখানায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুর তেঁতুলতলা এলাকার সাগর উপকূলে অবস্থিত শওকত আলী চৌধুরী মালিকানাধীন এস এন করপোরেশন নামের জাহাজভাঙা কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ ১২ শ্রমিক হলেন- আহাম্মদ উল্লাহ, মোহাম্মদ আল-আমিন, মোহাম্মদ বরকত, হাবিল আহমেদ, মোহাম্মদ নিয়ামুল হক, আনোয়ার হোসেন, আবুল কাশেম, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, মোহাম্মদ খাইরুল, মোহাম্মদ সাগর, মোহাম্মদ রফিক ও মোহাম্মদ সাইফুল।
আরও পড়ুন: তেজগাঁওয়ে গ্যাসের লিকেজ থেকে অগ্নিদগ্ধ স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু
জাহাজভাঙা কারখানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা মো. শওকত আজাদ বলেন, দুপুরে জাহাজের শেষ প্রান্তে থাকা পাম্প রুমের কাটিং কাজ করার সময় পাম্পের ভেতরে থাকা ট্যাঙ্কে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ১২ শ্রমিক দগ্ধ হন। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন বলেন, বিস্ফোরণের খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি কামাল উদ্দিন।
আরও পড়ুন: অবশেষে মারা গেলেন নবীনগরে পেট্রোলে অগ্নিদগ্ধ লতিফা
৩ মাস আগে
বন্যার সময় বিদ্যুৎ ও গ্যাসজনিত দুর্ঘটনা থেকে সাবধান থাকতে করণীয়
বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে বিপদের মাত্রাকে আরও ভয়াবহ রূপ দিতে পারে গ্যাস ও বিদ্যুতের সংযোগস্থলগুলো। প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে স্বাভাবিকভাবেই এসব বিষয় দৃষ্টির বাইরে থেকে যায়। আর এই অসতর্কতাই বুমেরাং হয়ে পড়ে ধ্বংযজ্ঞের সময়ে। উপরন্তু, পানি বিদ্যুৎ পরিবহনের একটি শক্তিশালী মাধ্যম হওয়ায় বন্যার সময়ে রীতিমতো মৃত্যুদূতে পরিণত হয় বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো। সেইসঙ্গে আশঙ্কা তৈরি হয় গ্যাসের লাইনগুলো ভেঙে যাওয়ার। নিদেনপক্ষে অল্প চিড় ধরলেও এই লোহার পাইপগুলো থেকে ঘটতে পারে ভয়ানক বিস্ফোরণ। এমন বিপজ্জনক পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে হলে যথা সম্ভব তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। চলুন, বন্যার সময় বিদ্যুৎ ও গ্যাস-সংক্রান্ত দুর্ঘটনা এড়াতে কার্যকর পদক্ষেপগুলো জেনে নেওয়া যাক।
বন্যার সময় গ্যাস ও বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা এড়াতে করণীয়
.
অবিলম্বে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা
বন্যা দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব গ্যাস ও বিদ্যুতের প্রধান সংযোগগুলো বন্ধ করে দেওয়া উচিত। বিদ্যুতের ক্যাবল বা তার পানির সংস্পর্শে এসে শর্ট সার্কিট হতে পারে। একই সঙ্গে অতিরিক্ত বন্যায় পানির চাপে গ্যাস পাইপ ভেঙে গ্যাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। এমতাবস্থায় শুধু একটি স্পার্ক-ই যথেষ্ট ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য। এই বিপদ থেকে বাঁচতে অবিলম্বে সব গ্যাস ভাল্ব ও পাওয়ার সুইচ বন্ধ করে দিতে হবে।
যারা এই সুইচ বা ভাল্বের সঙ্গে অপরিচিত তাদের জন্য উৎকৃষ্ট উপায় হচ্ছে এসব উৎস থেকে অতি দ্রুত নিরাপদ দূরত্বে সরে পড়া। এ সময় সঙ্গে কোনো বিদ্যুৎ বা তাপ পরিবাহী কোনো বস্তু রাখা যাবে না। সম্ভব হলে সহায়তার জন্য পেশাদারদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: বন্যা বা ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বেই যেসব খাবার সংরক্ষণ করা জরুরি
বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ বা উত্তপ্ত বস্তু থেকে দূরে থাকা
বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পরে অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ এবং উত্তপ্ত বস্তুর সান্নিধ্য এড়িয়ে চলতে হবে। পাওয়া অফ করার পরেও অনেক বৈদ্যুতিক যন্ত্রের মধ্যে কিছু চার্জ জমা থাকে। সাধারণ অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ না হলেও পানির সংস্পর্শে সেগুলো হুমকির কারণ হতে পারে।
তাছাড়া বিদ্যুৎ সংযোগবিহীন অবস্থায় অধিকাংশ যন্ত্রাংশেরই উত্তাপ কমে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় পৌঁছাতে কিছুটা সময় লাগে। এই সময়েও ঘটতে পারে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা। তাই সর্বাত্মকভাবে এসব সরঞ্জাম থেকে যত দূরে যাওয়া যায় ততই ভালো।
উচ্চ স্থলভাগে অবস্থান নেওয়া
কোমর থেকে গলা পর্যন্ত জলাবদ্ধ এলাকাগুলোতে উঁচু শুকনো জায়গা খুঁজে পাওয়া প্রায় দুঃসাধ্য। এরপরেও নিমজ্জিত বা ভাসমান না থেকে অপেক্ষাকৃত উঁচু স্থলভাগ খোঁজার চেষ্টা চালানো উচিত। কেননা স্থির পানি যত জায়গা জুড়ে বিস্তৃত থাকে বিদ্যুতের সংস্পর্শে তার পুরোটাই বিদ্যুতায়িত হয়ে পড়ে। অতিরিক্ত জলাবদ্ধ জায়গায় পানির নিচে কোথায় কোনো বৈদ্যুতিক চার্জযুক্ত বস্তু আছে কি না তা বোঝা মুশকিল।
আরও পড়ুন: বন্যা পরবর্তী পানিবাহিত রোগ থেকে সতর্ক থাকার উপায়
এছাড়াও একটু উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিলে বানের পানিতে ভেসে যাওয়া অথবা পানির নিচে ধারালো বা শক্ত কোনো কিছুর সঙ্গে ধাক্কা লাগার আশঙ্কা থেকে বাঁচা যায়। তাই পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটময় হওয়ার পরেও মনকে যথা সম্ভব শান্ত রেখে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য নিজের আশেপাশটা ভালোভাবে খেয়াল করতে হবে।
গ্যাস লিক খুঁজে বের করে দ্রুত মেরামত করা
বন্যার সময় তীব্র বেগে প্রবহমান পানির চাপে কিংবা ভারী কোনো জড় বস্তু ভেসে এসে গ্যাস পাইপগুলোতে লেগে চিড় ধরাতে পারে। প্রচণ্ড প্রতিকূল অবস্থায় পুরো পাইপ ভেঙে বা উপড়েও যেতে পারে। এমতাবস্থায় চিড়যুক্ত পাইপগুলো খুঁজে বের করার জন্য ন্যূনতম সুযোগ পাওয়া গেলেও তার সদ্ব্যবহার করা উচিত।
অতঃপর খুঁজে পাওয়ার পর ত্রুটিপূর্ণ পাইপগুলো অবিলম্বে মেরামতের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে সাহায্য নিতে হবে পেশাদারদের। কেননা এর উপর নির্ভর করছে আশেপাশের অনেকগুলো মানুষের জীবন। উন্মুক্ত গ্যাসে সৃষ্ট বিস্ফোরণ ছড়িয়ে যেতে পারে বিশাল জায়গা জুড়ে।
আরো পড়ুন: বন্যাদুর্গতদের সহযোগিতা করার উপায়
ব্যাটারি-চালিত টর্চলাইট ব্যবহার করা
বন্যাকালে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মেঘাচ্ছন্ন আকাশের নিচে দিনের আলো পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ে। ফলে রাতের মতো দিনেও পথ চলতে প্রয়োজন হয় কৃত্রিম আলোর। এই প্রয়োজন পূরণে মোমবাতি বা হারিকেন ব্যবহার করা যাবে না। কারণ অজানা কোনো জায়গায় গ্যাস লিকের ফলে মারাত্মক ঝুঁকির তৈরি হতে পারে। এখানে উৎকৃষ্ট বিকল্প হচ্ছে ব্যাটারি-চালিত টর্চ বা ফ্ল্যাশলাইট, যেগুলোতে আগুন বা চল বিদ্যুৎ সংযোগ কোনোটারই দরকার হয় না।
পরিশিষ্ট
তাৎক্ষণিকভাবে এসব সতর্কতামূলক পদক্ষেপ বন্যার সময় বিদ্যুৎ বা গ্যাস-সংক্রান্ত দুর্ঘটনা এড়াতে অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। যত দ্রুত সম্ভব গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগগুলো বন্ধ করা গেলে শর্ট সার্কিট ও গ্যাস লিকের ব্যাপারে আশঙ্কামুক্ত থাকা যায়। বৈদ্যুতিক উপাদান থেকে দূরে থাকা এবং প্লাবিত অবস্থা থেকে যথেষ্ট উঁচু স্থলভাগে অবস্থান নিয়েও ঝুঁকির মাত্রা কমানো যায়। গ্যাস লিকগুলো সম্ভব হলে শিগগিরই খুঁজে বের করে বন্ধ করা উচিত। অন্যথায়, এমন স্থান থেকে দূরে থাকা এবং আকস্মিক বিস্ফোরণ এড়াতে মোমবাতির পরিবর্তে ব্যাটারি-চালিত ফ্ল্যাশলাইট ব্যবহার করতে হবে।
আরো পড়ুন: বাসা-বাড়ির রান্নায় সিলিন্ডার গ্যাসের খরচ কমাবেন যেভাবে
৩ মাস আগে
মুন্সীগঞ্জে কারফিউ চলাকালে রাতে ককটেল বিস্ফোরণ
কারফিউ চলাকালে রাতের আঁধারে মুন্সীগঞ্জের খালইস্টের সুইপার কলোনির কাছে ৮ থেকে ১০টি ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাত সোয়া ১১টার দিকে এসব ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এলাকায় তল্লাশি চালায়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে আ. লীগ নেতার প্রাইভেটকারে ককটেল হামলা, আহত ২
স্থানীয় এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কারফিউ চলাকালে মুন্সীগঞ্জের খালইস্টের সুইপার কলোনির কাছে রাত সোয়া ১১টার দিকে ৮ থেকে ১০টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে আতঙ্কিত হয়ে উঠে আশপাশের এলাকার মানুষ।
এলাকাটির অবসরপ্রাপ্ত সরকারি এক কর্মকর্তা বলেন, কারফিউ চলা অবস্থায় পুরো জেলাই শান্ত ছিল। তবে এই জেলায় আতঙ্কের তকমা দিতে কারা এই ঘটনা ঘটালো, তাদের আইনের আওতায় আনা দরকার।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব বলেন, এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য বিশেষ একটি মহল এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় কোটা সংস্কারপন্থীদের মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ১০
ভোলায় সংঘর্ষ: ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ৪
৪ মাস আগে