কাশ্মীরের আধা-স্বায়ত্তশাসন বাতিলের পর নিরাপত্তা জোরদার ও যোগাযোগে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সময় সব ধরনের মোবাইল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। গত মাসে এ অঞ্চলে ল্যান্ডফোন লাইন সংযোগ চালু করা হয়।
তবে, এ উপত্যাকায় এখনো ২০ লাখেরও বেশি প্রিপেইড মোবাইল সংযোগ এবং ইন্টারনেট সেবার ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করছে, ভারতের কাছ থেকে স্বাধীনতার দাবিতে বিদ্রোহী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা অঞ্চলটিতে বিক্ষোভকে উসকে দেয়ার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিতে পারে।
গত আগস্ট মাসের শুরুতে নয়াদিল্লি আকস্মিকভাবে কাশ্মীরের আধা-স্বায়ত্তশাসনের ক্ষমতা তুলে নেয়। এর ফলে ভারত ও পাকিস্তান উভয়ের পুরো নিয়ন্ত্রণ দাবি করা কাশ্মীরে উত্তেজনা বেড়ে যায়। এরপরই ভারত এ অঞ্চলে হাজারে হাজার অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন, সহস্রাধিক জনগণকে আটক এবং মোবাইলফোন ও ইন্টরনেট সেবা বন্ধ করে দেয়।
এ অঞ্চলের বাসিন্দারা দীর্ঘ সময়ের যোগাযোগ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় একটু স্বস্তি প্রকাশ করছে। তবে এখনো চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
‘এটা একটা স্বস্তি’, বলেন মোহাম্মদ আকরাম নামে এক ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, ‘সরকারকে জনগণের মৌলিক সুবিধা দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
অনেকে এ পরিস্থিতি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। কেউ কেউ বলেছিলেন, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গত দুই মাস প্রস্তর যুগে বসবাস করার মতো ছিল।
‘ধন্যবাদ ভারত। অবশেষে আমাদের ডিজিটাল অধিকারগুলো আংশিকভাবে পুনরায় চালু করে দেয়ার জন্য,’ বলেন কলেজে পড়ুয়া সমীর আহমদ নামের এক শিক্ষার্থী। ‘কবে আমাদের রাজনৈতিক অধিকার পুনরায় ফিরিয়ে দেয়া হবে?’
আন্তর্জাতিক চাপের মুখে, মানুষের দুর্ভোগ কমিয়ে ও স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে আনতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ গত সপ্তাহে ঘোষণা করেছিল যে তারা এ অঞ্চলে পর্যটকদের ভ্রমণের অনুমতি দেবে।
সরকার জানিয়েছে, এ অঞ্চলের পর্যটনের স্থানগুলোতে ইন্টারনেট সুবিধাও চালু করা হচ্ছে।