কাশ্মীর
ভূস্বর্গ কাশ্মীরে ভ্রমণ: জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান, ঘুরতে যাওয়ার উপায় ও যাবতীয় খরচ
পাহাড় চূড়া, দীঘল উপত্যকা ও এক পশলা হৃদের প্রাণবন্ত ঐকতানের অন্য নাম কাশ্মীর। তুষারাবৃত চূড়া এবং ব্যস্ত-সমস্ত তৃণভূমির অবারিত মোহনীয়তায় নিমেষেই খুঁজে পাওয়া যায় ভূস্বর্গ নামটির মানে। সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও উষ্ণ আতিথেয়তা যে কোনো পরিব্রাজককে আপন করে নিতে যথেষ্ট। ভারতীয় উপমহাদেশের সর্ব উত্তরে অবস্থিত বিশ্ব জোড়া পর্যটকদের এই প্রিয় গন্তব্য নিয়েই এবারের ভ্রমণ কড়চা। চলুন, জেনে নেয়া যাক কাশ্মীর ভ্রমণের আদ্যোপান্ত।
বাংলাদেশ থেকে কাশ্মীরে যাওয়ার উপায়
ভিসা প্রক্রিয়া
কাশ্মীর ঘুরতে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশিদের ভারতের ট্যুরিস্ট ভিসা লাগবে। এর জন্য ভিসা আবেদনকারীর পাসপোর্টটি আনুমানিক প্রস্থানের দিন থেকে ন্যূনতম ছয় মাসের মেয়াদ থাকতে হবে। সেই সঙ্গে পাসপোর্ট বইয়ে কমপক্ষে দুটি পৃষ্ঠা খালি থাকতে হবে।
এই পাসপোর্টের পাশাপাশি জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সও সঙ্গে রাখা যেতে পারে।
ভিসা আবেদনের জন্য একটি পাসপোর্ট আকারের ছবি জেপিজি বা পিএনজি ফাইলের মাধ্যমে আপলোড করতে হবে।
কাশ্মীরে যেয়ে কোথায় থাকা হবে তার একটা প্রমাণপত্র দেখাতে হবে। হোটেলে থাকার ক্ষেত্রে বুকিংয়ের কাগজপত্র প্রিন্ট করে নিতে হবে।
ভারতে প্রবেশ ও ত্যাগ করার সময়টা নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে বিমান বা ট্রেন যেভাবেই যাওয়া হোক না কেন, আসা-যাওয়ার টিকেট দেখাতে হবে।
সর্বোপরি, কাশ্মীরে যাবতীয় খরচ চালানোর জন্য যথেষ্ট ভ্রমণ তহবিল আছে কিনা তার একটা প্রমাণ দেখাতে হবে।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে ভিসা ছাড়াই যেসব দেশে যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা
ঢাকা থেকে কাশ্মীর যাতায়াত
জম্মু-কাশ্মীরের সঙ্গে সংযোগ আছে ভারতের দিল্লী অথবা চণ্ডিগড়ের। ঢাকা থেকে আকাশপথে সরাসরি এই রাজ্যগুলোতে পৌঁছা যায়। স্থলপথে যেতে হলে রেলপথে বা বাসে কলকাতা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে হবে।
কাশ্মীরের জনপ্রিয় জায়গাগুলো ঘুরতে হলে প্রথমে যে পর্যন্ত যেতে হবে সে জায়গাটি হচ্ছে শ্রীনগর। দিল্লী থেকে শ্রীনগর বিমানে যেতে সময় লাগে সর্বোচ্চ ৯ ঘণ্টা। এখানে খরচ হতে পারে প্রায় ২৫ হাজার থেকে সাড়ে ৫৫ হাজার টাকা।
রেলপথে যাওয়ার জন্য ঢাকা থেকে কলকাতার হাওড়ার ট্রেন আছে যেখানে শ্রেণীভেদে জনপ্রতি ভাড়া ২ হাজার ৫৯৯ থেকে ৩ হাজার ৮৯৯ টাকা। তারপর হাওড়া থেকে ট্রেন বদলে যাওয়া যাবে জম্মু। এখানে ননএসি স্লিপারগুলোর ভাড়া ৭৫০ থেকে ৭৯০ রুপি বা ৯৯০ থেকে ১ হাজার ৪২ দশমিক ৮ টাকা (১ ভারতীয় রুপি = ১ দশমিক ৩২ বাংলাদেশি টাকা)।
ঢাকা থেকে বাসে গেলে কলকাতা পর্যন্ত বাস ভাড়া পড়বে জনপ্রতি ১ হাজার ১০০ থেকে ২ হাজার ৬০ টাকা। অতঃপর রেলপথে জম্মু পৌঁছানোর পর শ্রীনগরের বাকিটা পথ গাড়িতে শেয়ার করে কিংবা বাসে করে যেতে হবে। সব মিলিয়ে এভাবে শ্রীনগর পর্যন্ত যেতে সময় লাগতে পারে সর্বোচ্চ ২ দিন ১৯ ঘণ্টা।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়া ভ্রমণ: জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান, ঘুরতে যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
কাশ্মীরের জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানগুলো
শ্রীনগর
কাশ্মীরের প্রবেশদ্বার শ্রীনগরেই মিলবে অপার্থিব অনুভূতির সঞ্চার করা ডাল লেকের স্নিগ্ধতা। এছাড়া এই লেকে রয়েছে এশিয়ার প্রথম ভাসমান সিনেমা হল। শঙ্করাচার্য মন্দিরের চূড়া থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের এই রাজধানী শহরটির প্রায় পুরোটা চোখে পড়ে।
৯ মাস আগে
১০ হাজার টাকা বাজেটে দেশের বাইরে কোথায় ঘুরতে যাবেন?
স্বপ্ন যখন বিদেশ ভ্রমণের, তখন তা পূরণের মূল্যও দুর্গম সীমান্ত অতিক্রমের সমান। আপন দেশ থেকে যতটা দূরে সেই জায়গাটি, ভ্রমণ খরচটাও যেন ঠিক ততটা প্রকাণ্ড হয়ে সামনে আসে। কিন্তু প্রকৃতিপ্রেম বলে কথা; অকৃত্রিম এই আদিম প্রবৃত্তি যেন কিছুতেই ম্লান হবার নয়! অনেকেই খুঁজে বেড়ান, কোথায় সাধ্যের মধ্যে বিদেশ বিভূয়ীয়ের স্বাদ পাওয়া যায়। তাদের জন্যই আজকের ভ্রমণ কড়চা। এখানে একত্রিত করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের মন্ত্রমুগ্ধ কয়েকটি দর্শনীয় স্থান। আলোচনা করা হয়েছে খুব অল্প বাজেটে কীভাবে এই গন্তব্যগুলোতে বিচরণ করবেন। চলুন বিস্তারিত জেনে নেই- মাত্র ১০ হাজার টাকা বাজেটে দেশের বাইরে কোথায় ঘুরতে যেতে পারেন।
১০ হাজার টাকায় দেশের বাইরে ভ্রমণের ১০টি দর্শনীয় স্থান
চেরাপুঞ্জি
মহকুমা শহটির স্থানীয় নাম সোহরা, যার অবস্থান ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পূর্ব খাসি পাহাড়ে। এখানকার চেরাপুঞ্জি গ্রাম, সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হওয়া মওসিনরাম, ডাবল ডেকার রুট ব্রিজ, মোসমাই কেভ, মকডক ভিউ পয়েন্ট বহিরাগতদের প্রধান আকর্ষণ। ঝর্ণার মধ্যে মুগ্ধতা ছড়ায় নোহকালীকাই ফলস, থাংখারাং পার্ক, মোসমাই ফলস, কালিকাই ফলস, রেইনবো ফলস, ক্রাংসুরি ঝর্ণা, এবং সেভেন সিস্টার্স ফল্স।
সোহরায় যেতে হলে ঢাকা থেকে প্রথমে ট্রেনে করে সিলেট পৌঁছে সেখান থেকে বাসে তামাবিল যেতে হবে। ঢাকা থেকে সিলেট রেলপথে সর্বনিম্ন ভাড়া প্রায় ৪০০ টাকার কাছাকাছি, আর সিলেট থেকে তামাবিলগামী বাসে নিবে ৩৫ টাকা।
আরও পড়ুন: আপনি কি মার্কিন ডলার না কিনে বিদেশে ভ্রমণ করতে পারবেন?
তামাবিলে ক্রমান্বয়ে বাংলাদেশ অভিবাসন এবং সীমান্ত পেরিয়ে ভারত কাস্টমসে চেকিং শেষ করতে হবে। তারপর সেখান থেকে ট্যাক্সি বা মিনি বাস ডাউকি বাজার দিয়ে নিয়ে যাবে শিলং। শিলংয়ের ওয়ার্ড্সলেকের গেট পার হয়ে কিছুটা সামনে এগোলেই চেরাপুঞ্জি।
সোহরা মার্কেটের সোহরা প্লাজার হোটেলগুলো কম খরচে থাকার জন্য বেশ ভালো। এ ছাড়া নৈংরিয়াত গ্রামেও হোম স্টে-র ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এখানে ৪ জনের জন্য রুম ভাড়া পড়তে পারে ১ থেকে দেড় হাজার রুপি, যা প্রায় ১ হাজার ৩৩০ থেকে ২ হাজার বাংলাদেশি টাকার সমান (১ রুপি = ১.৩৩ বাংলাদেশি টাকা)। খাবার খরচ একদিনে জনপ্রতি ১৬০ থেকে ২০০ রুপি (প্রায় ২১৫ থেকে ২৬৬ টাকা) পড়তে পারে।
সব মিলিয়ে, প্রায় ৮ থেকে ৯ হাজার টাকায় ৩ দিনের মধ্যে ঢাকা থেকে শিলং দিয়ে চেরাপুঞ্জি ঘুরে আবার ঢাকায় ফিরে আসা যাবে।
দিল্লি
যমুনা নদীর তীরে এই রাজধানী শহরটি একই সঙ্গে ধরে রেখেছে পরিব্রাজকদের জনপ্রিয়তা ও নিজস্ব প্রাচীনতা। দিল্লির জামে মসজিদ, কুতুব মিনার, চাঁদনী চক বাজার, ইন্ডিয়ান গেট, লাল কেল্লা, সম্রাট হুমায়ুনের সমাধি জনবহুল শহরটির সেরা দর্শনীয় স্থান।
স্বল্প খরচে দিল্লি দর্শনের জন্য ঢাকাবাসীদের প্রথমে বাসে করে কলকাতায় আসতে হবে। নন এসি কোচে একজনের জন্য খরচ নিবে ৮৯০ থেকে ৯০০ টাকা। এবার কলকাতার হাওড়া গিয়ে সেখানকার রেল স্টেশন থেকে দিল্লির ট্রেনে ধরতে হবে। ননএসি স্লিপারের জন্য খরচ পড়বে প্রায় ৬৫০ থেকে ৭০০ রুপি (প্রায় ৮৬৫ থেকে ৯৩১ টাকা)।
দিল্লির মোটামুটি সব দর্শনীয় জায়গাগুলো ঘুরে দেখতে ২দিনই যথেষ্ট। এর জন্যে কোনো ট্যুর এজেন্সির সাইট সিইং প্যাকেজ নেওয়াটা উত্তম। এগুলোতে একজনের জন্য ডে ট্যুরের প্যাকেজ থাকে সাধারণত ৩০০ থেকে ৫০০ রূপির (প্রায় ৩৯৯ থেকে ৬৬৫ টাকা) মতো।
এখানে খাবারের জন্য গড় খরচ প্রতিদিন ৩৯০ রুপি (প্রায় ৫১৯ টাকা)। পাহাড়গঞ্জে ৫০০ থেকে ৬৫০ রুপির (প্রায় ৬৫৫ থেকে ৮৬৫ টাকা) মধ্যে ডাবল-বেডের রুম পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সেরা ১০ মনোমুগ্ধকর জলপ্রপাত
১ বছর আগে
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ৩০
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে একটি যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন প্রায় দুই ডজন মানুষ।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) হিমালয়ের একটি মহাসড়ক থেকে বাসটি পড়ে গেলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
দেশটির বেসামরিক প্রশাসক হরবিন্দর সিং জানিয়েছেন, ৪২ আসনের বাসটি কিস্তওয়ার শহর থেকে দক্ষিণ জম্মু শহরের দিকে যাওয়ার পথে প্রায় ৬৬০ ফুট (২০০ মিটার) নিচে পাহাড়ি অঞ্চলের একটি পুরোনো রাস্তায় ছিটকে পড়ে যায়।
আরও পড়ুন: ভারতে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ৪৫
স্থানীয়রা ও কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুত উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
সিং বলেন, আহতদের নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গুরুতর আহত অন্তত ১০ জনকে জম্মুর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে দুর্ঘটনার সঠিক কারণ জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: ভারতে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১৩
ভারতে সড়ক দুর্ঘটনার হার বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। দেশটিতে দুর্ঘটনায় প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ নিহত ও আহত হয়। বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর কারণেই বেশিরভাগ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া, সড়কের দুর্বল রক্ষণাবেক্ষণ ও পুরোনো যানবাহনও দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।
গত বছর ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটে একটি শতাব্দীর পুরোনো ঝুলন্ত ব্রিজ ভেঙে নদীতে পড়ে শত শত মানুষ পানিতে ডুবে যায়। গত এক দশকের মধ্যে দেশের সবচেয়ে ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১৩২ জন নিহত হয়।
আরও পড়ুন: ভারতে বাস দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহত
১ বছর আগে
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পৌঁছেছেন জি২০ প্রতিনিধিরা
চীন ও পাকিস্তানের আপত্তিকে অগ্রাহ্য করে ভারত আয়োজিত একটি পর্যটন সভায় অংশ নিতে ২০টি দেশের প্রতিনিধি সোমবার ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পৌঁছেছেন।
২০১৯ সালে নয়াদিল্লি মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলটির আধা-স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নেওয়ার পর থেকে সোমবারের এই বৈঠকটি কাশ্মীরের প্রথম উল্লেখযোগ্য আন্তর্জাতিক ঘটনা।
সভায় প্রতিনিধিরা সবুজ পর্যটন এবং ভ্রমণ ব্যবস্থাপনার মতো বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।
সোমবার এই অঞ্চলের প্রধান শহর শ্রীনগরের রাস্তাগুলোকে পরিস্কার করা হয়েছে, বেশিরভাগ নিরাপত্তা চেকপয়েন্ট অপসারণ করা হয়েছে বা জি২০ সাইনবোর্ড দিয়ে তৈরি কিউবিকলের মতো নিরাপত্তা পোস্ট দিয়ে ছদ্মবেশ তৈরি করা হয়েছে, যার পিছনে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা দাঁড়িয়ে আছেন।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই অনুষ্ঠানের জন্য শত শত কর্মকর্তাকে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যেটিকে তারা ‘অদৃশ্য পুলিশিং’ বলে অভিহিত করেছেন।
বিভিন্ন বাণিজ্য প্রতিনিধি এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মধ্যে বেশ কয়েকটি বৈঠকের পরে শহরের কেন্দ্রস্থলের দোকানগুলোও স্বাভাবিকের চেয়ে আগে খোলা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ সম্মেলন কেন্দ্রের প্রধান রাস্তা দিয়ে বেসামরিক যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে এবং শহরের অনেক স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে।
সোমবারের এসব চিত্র শ্রীনগরের সাধারণ দিনগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার চেয়ে সম্পূর্ণ বিপরীত।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে জি২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক: পার্শ্ব বৈঠক করবেন মোমেন
দেখা যায় পানিতে রাবার বোটে টহলরত অভিজাত নৌ কমান্ডোদের সঙ্গে শ্রীনগরের ডাল লেকের তীরে অনুষ্ঠানস্থলের চারপাশে একটি বিশাল নিরাপত্তা কর্ডন স্থাপন করা হয়েছে।
শহরের বাণিজ্যিক কেন্দ্রটি যেন জেগে উঠেছে, লেকসাইড কনভেনশন সেন্টারের দিকে যাওয়ার রাস্তা ও বিদ্যুতের খুঁটিগুলো ভারতের জাতীয় পতাকার রঙে আলোকিত করা হয়েছে।
জি২০-এর জন্য ভারতের প্রধান সমন্বয়কারী হর্ষবর্ধন শ্রিংলা রবিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা একটি অনন্য বৈঠকের আয়োজন করেছি।’
তিনি বলেন, এই বছরের শুরুর দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও গুজরাট রাজ্যে অনুষ্ঠিত আগের পর্যটন সভাগুলোর তুলনায় এই অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ বিদেশি প্রতিনিধি থাকবে।
গত সপ্তাহে ভারতের কাশ্মীরে জি২০ সম্মেলন আয়োজন নিয়ে জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক ফার্নান্ড ডি ভারেনেস বলেছিলেন, জম্মু-কাশ্মীরে যা চলছে, তার আন্তর্জাতিক অনুমোদনের জন্যই ভারত সেখানে জি-২০ সম্মেলন করতে চাইছে।
তিনি বলেন, এই সভার প্রতিনিধিরা ‘স্বাভাবিকতার মুখোশ’ পড়ে থাকবেন, অন্যদিকে এই অঞ্চলে ‘ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন’ অব্যাহত থাকবে।
জেনেভায় জাতিসংঘে ভারতের মিশন এই বিবৃতিটিকে ‘ভিত্তিহীন’ ও ‘অযৌক্তিক অভিযোগ’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
ভারতের পর্যটন সচিব অরবিন্দ সিং শনিবার সাংবাদিকদের বলেছেন, বৈঠকটি ‘শুধু পর্যটনের জন্য তাদের (কাশ্মীরের) সম্ভাবনা প্রদর্শনের জন্য নয়, এছাড়া বিশ্ববাসীকে এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও স্বাভাবিকতা পুনরুদ্ধার সম্পর্কে জানানোও এর লক্ষ্য।’
এই অঞ্চলটি বিশ্বের সবচেয়ে সংঘাতময় সামরিক অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি। স্বাধীনতা বা পাকিস্তানের সঙ্গে একীভূত হওয়ার চেষ্টা করে ১৯৮৯ সালে এই অঞ্চলে একটি সহিংস বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল। ভারত নৃশংসভাবে এই বিদ্রোহের জবাব দিয়েছে এবং সংঘর্ষে কয়েক হাজার বেসামরিক নাগরিক, সেনা ও বিদ্রোহী নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: জি২০ অর্থমন্ত্রীদের 'সবচেয়ে নাজুক মানুষদের' দিকে মনোনিবেশ করার আহ্বান মোদির
২০১৯ সালে নয়াদিল্লি সরাসরি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর থেকে এই অঞ্চলে ভারতের কর্তৃত্ব বৃদ্ধি পায়।
তারপর থেকে এই অঞ্চলের জনগণ এবং এর গণমাধ্যম অনেকাংশে চুপ হয়ে গেছে। কঠোর সন্ত্রাস বিরোধী আইনের অধীনে কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকটি বাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে এবং শতাধিক লোককে গ্রেপ্তার করেছে।
সরকার বলেছে, একটি ‘সন্ত্রাস ইকোসিস্টেম’ বন্ধ করার জন্য এই ধরনের পদক্ষেপ প্রয়োজন।
এছাড়া, কর্তৃপক্ষ নতুন নতুন আইনও প্রণয়ন করেছে।
বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি নিয়ে গঠিত জি২০-এর একটি রোলিং প্রেসিডেন্সি রয়েছে এবং প্রতিবছর বিভিন্ন সদস্য তাদের অগ্রাধিকার নির্ধারণ করে। ভারত ২০২৩ সালে গ্রুপ পরিচালনা করছে।
ভারত ২০১৯ সালের সিদ্ধান্তের পর থেকে শান্তির প্রতীক হিসেবে কাশ্মীরে পর্যটনের প্রসার করছে। তবে হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত এই অঞ্চলটি কয়েক দশক ধরে শুধুমাত্র একটি প্রধান অভ্যন্তরীণ পর্যটন গন্তব্য। লাখ লাখ দর্শনার্থী প্রতিবছর কাশ্মীরে আসেন এবং সর্বব্যাপী নিরাপত্তা চৌকি, সাঁজোয়া যান এবং টহলরত সৈন্যদের দ্বারা আবৃত এক অদ্ভুত শান্তি উপভোগ করেন!
কাশ্মীরের অর্থনীতির মূল ভিত্তি এখনও কৃষি, এই অঞ্চলের জিডিপিতে পর্যটন শিল্পের অবদান মাত্র ৭ শতাংশ।
প্রতিবেশি চীন এই অনুষ্ঠানটি বয়কট করেছে এবং পাকিস্তান কাশ্মীরের শ্রীনগরে এই বৈঠক আয়োজনের জন্য নয়াদিল্লির নিন্দা করেছে।
উভয়ের যুক্তি, বিতর্কিত অঞ্চলে এই জাতীয় বৈঠক করা উচিত না।
অন্যদিকে, পাকিস্তানের সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করে ভারত বলেছে, তারা (পাকিস্তান) জি২০ এর সদস্য পর্যন্ত নয়, তাই তাদের এ ধরনের নিন্দা অবান্তর।
১ বছর আগে
কাশ্মীর থেকে সাইকেল চালিয়ে ভারতীয় তরুণী বাংলাদেশে!
চার হাজার কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে শান্তির বার্তা পৌঁছে দিতে ভারতের কাশ্মীর থেকে বাংলাদেশে এসেছেন ছাবিতা মাহাতো নামে এক তরুণী। তিনি ঘুরে দেখবেন রাজধানী ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকেন ভ্রমণপিপাসু সাবিতা মাহাতো। পরে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশনের সকল কার্যক্রম শেষে জয়পুরহাটে উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্লাস্টিকের ভয়াবহতা বোঝাতে বাংলাদেশে ভারতীয় যুবক
১ বছর আগে
কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় দুই শিশুসহ নিহত ৪: পুলিশ
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের একটি গ্রামে জঙ্গি হামলায় দুই শিশুসহ চারজন নিহত এবং পাঁচজন আহত হয়েছেন। সোমবার দক্ষিণ রাজৌরি জেলার ধাংড়ি গ্রামে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার সারারাত জঙ্গিরা ওই গ্রামের কয়েকটি বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এরপরই এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে পাঁচ বছরের একটি ছেলে এবং ১২ বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
পুলিশের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা মুকেশ সিং সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, রবিবার রাতে দুই বন্দুকধারী নির্বিচারে ধাংড়ির তিনটি বাড়িতে গুলি চালায়। এতে চারজন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং পাঁচজন আহত হয়েছেন।
পুলিশ ভারতীয় কেন্দ্র শাসনের বিরুদ্ধে লড়াইরত জঙ্গিদের ধংড়িতে দুটি হামলার জন্য দায়ী করেছে।
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় হামলায় নিহত ১০, কুর্দি বাহিনীর হাতে ৫২ জঙ্গি গ্রেপ্তার
তারা আরও জানায়, হামলাকারীরা আরও বিস্ফোরক রেখে গেছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি।
হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ধাংড়িতে কয়েকশ’ মানুষ জড়ো হয়, হামলাকারীদের নিন্দা জানিয়ে স্লোগান দেয়। দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর জম্মুর অর্ধশতাধিক মানুষও এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করেছে।
নয়াদিল্লির শীর্ষ প্রশাসক মনোজ সিনহা এই হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে নিন্দা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি জনগণকে আশ্বস্ত করছি যে এই ঘৃণ্য হামলার পেছনে যারা আছে, তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।’
ভারত ও পাকিস্তান প্রত্যেকেই অবিভক্ত কাশ্মীরকে নিজেদের অঞ্চল দাবি করে।
আরও পড়ুন: প্যারিসে গুলিতে নিহত ৩, সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার
ইরাকে বিস্ফোরণে ৯ পুলিশ নিহত: কর্তৃপক্ষ
১ বছর আগে
‘ভুল’ করে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ: ভারতীয় বিমানবাহিনীর ৩ কর্মকর্তা বরখাস্ত
চলতি বছরের মার্চে পাকিস্তানে ভুল করে একটি সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের দায়ে ভারতীয় বিমানবাহিনীর তিন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
তদন্ত আদালত কর্তৃক অভিযোগটি প্রমাণিত হওয়ার পর মঙ্গলবার তাদের বরখাস্ত করা হলো।
গত ৯ মার্চ ভারতের উত্তরাঞ্চলের রাজ্য পাঞ্জাবের বিমান ঘাঁটি থেকে দুর্ঘটনাজনিতভাবে একটি ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের অভ্যন্তরে পতিত হয়েছিল।
এরপর ১১ মার্চ ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতিতে বলে, ‘৯ মার্চে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের সময় প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনায় একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষিপ্ত হয়। ভারত সরকার বিষয়টি কঠোরভাবে দেখছে এবং উচ্চ পর্যায়ের আদালতের মাধ্যমে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।’
সূত্র বলছে, দীর্ঘ ছয় মাসের বেশি সময় পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ৪০০ কিলোমিটার দূরবর্তী জায়গায় আঘাত হানতে সক্ষম ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের জন্য বিমানবাহিনীর তিন কর্মকর্তাকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং বরখাস্ত করে।
এই দুর্ঘটনার পরদিন পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল বাবর ইফতেখার বলেছিলেন, ‘৯ মার্চ সন্ধ্যা ৬টা ৪৩ মিনিটে ভারতের অভ্যন্তর থেকে একটি উচ্চ গতিসম্পন্ন বস্তু উড়ে এসেছে পাকিস্তানে।’
তিনি বলেন, প্রাথমিক গতিপথ বিচ্যুত হয়ে এটি পাকিস্তান সীমায় প্রবেশ করে পাকিস্তানেই আছড়ে পড়ে। ফলে কোনো মানুষ হতাহত না হলেও সাধারণ মানুষের কিছু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিতর্কিত কাশ্মীর এলাকাকে ঘিরে ১৯৪৭ সাল থেকে চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান ও ভারত কমপক্ষে তিনবার বড় ধরনের যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ভারতে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে ৩১ জনের মৃত্যু
ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ তীর্থযাত্রী নিহত, আহত ২০
আমি নির্বাচন নিয়ে ভারত সরকারকে কিছু বলিনি: ড. মোমেন
২ বছর আগে
কাশ্মীরে মুসলমানদের সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করে দিল পুলিশ, কয়েক ডজন আটক
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে রবিবার শিয়া মুসলমানদের সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে কয়েক ডজন লোককে আটক করেছে দেশটির পুলিশ। তারা মুহররম মাস উপলক্ষ্যে শোভাযাত্রায় অংশ নেয়ার চেষ্টা করছিল।
শ্রীনগর শহরের প্রধান কিছু অংশে অনেক মুসলিম কঠোর নিরাপত্তা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এবং ধর্মীয় স্লোগান দিয়ে রাস্তায় নেমে আসে। বিধিনিষেধের মধ্যে শিয়া ধর্মীয় মিছিলের ওপর নিষেধাজ্ঞা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
মুহররম বিশ্বজুড়ে শিয়াদের জন্য পবিত্রতম মাসগুলোর মধ্যে একটি। এই মাসে বর্তমান ইরাকের কারবালার যুদ্ধে নবী মুহাম্মদ (সা.) এর নাতি হোসাইন এবং তার ৭২ জন সঙ্গীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে। তারা তাদের নিজেদের বুকে আঘাত করে এবং স্লোগান দিয়ে শোকপ্রকাশ করার উদ্দেশ্যে বিশাল শোভাযাত্রায় অংশ নেয়।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে হামলাকারীর গুলিতে ২ হিন্দু নাগরিকের মৃত্যু
আশুরার আগে মুহররমের অষ্টম দিন রবিবার মিছিলটি বের হয়।
২০২০ সালেও ভারতীয় বাহিনী এমন একটি মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে শটগান পেলেট (গুলি) এবং কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করলে কয়েক ডজন লোক আহত হন।
১৯৮৯ সালে ভারত থেকে ভিন্ন হয়ে এই অঞ্চলের স্বাধীনতা বা প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে একত্রীকরণের দাবিতে একটি সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু হওয়ার পর থেকে কাশ্মীরের ভারত-নিয়ন্ত্রিত কিছু প্রধান অংশে মুহররম মিছিল নিষিদ্ধ করা হয়। এই সংঘাতে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক, বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনী নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে বিদ্রোহীদের হামলায় ভারতীয় সেনা নিহত, ৪ শ্রমিক আহত
কাশ্মীরি মুসলমানরা দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে যে, সরকার আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার অজুহাতে তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা খর্ব করছে।
২ বছর আগে
কাশ্মীরে হামলাকারীর গুলিতে ২ হিন্দু নাগরিকের মৃত্যু
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বৃহস্পতিবার হামলাকারীরা একজন হিন্দু ব্যাংক ম্যানেজার এবং একজন শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করেছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, যারা এই অঞ্চলের ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে তারা এ হামলার জন্য দায়ী।
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ পৃথক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে চাদুরা শহরের কাছে একটি ইট কারখানায় জঙ্গিরা দুই হিন্দু শ্রমিককে গুলি করে আহত করেছে। তাদের হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে বিহারের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার, সন্দেহভাজন জঙ্গিরা দক্ষিণ কুলগাম জেলায় ব্যাংক ম্যানেজার বিজয় কুমারকে গুলি করে হত্যা করেছে। ভারতের রাজস্থান রাজ্যের বিজয় গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর হাসপাতালে মারা যান।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টকৃত সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে একজন মুখোশধারী আততায়ী ব্যাংকে ঢুকে বিজয়ের ওপর গুলি ছুড়ছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে সহিংসতায় ১০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত: জাতিসংঘ
কাশ্মীরে ক্যাব খাদে পড়ে নিহত ৯
২ বছর আগে
কাশ্মীরে ক্যাব খাদে পড়ে নিহত ৯
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পাহাড়ি রাস্তা থেকে একটি ক্যাব গভীর খাদে পড়ে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে, শ্রীনগর-লেহ জাতীয় সড়কের জোজিলা পাসে দুর্ঘটনাটি ঘটে। জোজিলা পাস সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় তিন হাজার ৪০০ মিটার উপরে।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা স্থানীয় মিডিয়াকে বলেছেন, ক্যাবটি কাশ্মীরের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগরের দিকে যাচ্ছিলো। আট যাত্রী ও এক চালককে নিয়ে বুধবার গভীর রাতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলেই পাঁচজনের মৃত্যু হয়। ঘটনায় আহত চালক ও এক সেনাসহ আরও চারজন বৃহস্পতিবার মারা গেছেন।
দুর্ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: উত্তর প্রদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৮
ভারতে লবণ কারখানার দেয়াল ধসে ১২ জনের মৃত্যু
২ বছর আগে