পাকিস্তান
জিন্নাহ হাউস হামলা মামলা: ইমরানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির চেয়ারম্যান ইমরান খানকে ৯ মে লাহোর কর্পস কমান্ডার হাউসে (জিন্নাহ হাউস) হামলার বিষয়ে একটি জয়েন্ট ইনভেস্টিগেশন টিম (জেআইটি) তলব করেছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, পাঞ্জাব সরকারের গঠিত জেআইটি খানকে মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় কিল্লা গুজ্জার পুলিশ সদর দপ্তরে তাদের সামনে হাজির হওয়ার জন্য ডেকেছে।
সারোয়ার রোড থানায় ওই হামলার বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি মামলার জেরে এই সমন জারি করা হয়েছে।
ইমরান খানের বিরুদ্ধে কারাগারে থাকাকালীন জিন্নাহ হাউসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগকারী হামলাকারীদের সহায়তা করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
লাহোর ডিআইজি (তদন্ত) কামরান আদিলের জারি করা সমন নোটিশটিতে বলা হয়েছে, ‘জেটিআই’র কাছে হস্তান্তর করা তদন্তে অংশ নেওয়ার জন্য ইমরান খানকে ডিআইজি তদন্তের অফিসে উপস্থিত হতে হবে।’
লাহোরের পুলিশ প্রধান বিলাল সিদ্দিক কামিয়ানা ইমরান খানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হামলায় তার সম্পৃক্ততা সম্পর্কে জানতে ইমরান খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এছাড়া এফআইআর-এ আরও বেশ কয়েকজন পিটিআই নেতাকর্মীর নামও রয়েছে।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করায় পিটিআই’র বিরুদ্ধে ক্র্যাকডাউন চলছে: ইমরান খান
লাহোরের এসএসপি (তদন্ত) ড. আনুশ মাসুদ চৌধুরী কোট লাখপত কারাগার পরিদর্শন করার পরে ইমরান খানকে তলব করা হয়েছে। যেখানে (কোট লাখপত কারাগারে) পিটিআই নেতা ড. ইয়াসমিন রশিদ এবং হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার ফ্যাশন ডিজাইনার খাদিজা শাহ রয়েছেন।
ইমরান খানের তত্ত্বাবধায়ক পাঞ্জাব সরকারের বিরুদ্ধে পিটিআই-এর কারাবন্দী নারী সমর্থকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগের পর এই সফর করা হয়।
পিটিআই নারী রাজনৈতিক বন্দীদের ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছিলেন ইমরান খান।
তিনি বলেন, ‘আমি পিটিআই নারী রাজনৈতিক বন্দীদের ধর্ষণের কথা শুনেছি।’
আরও পড়ুন: ইমরান খানের নাম নো-ফ্লাই লিস্টে যোগ করা হয়েছে: পাকিস্তানের গণমাধ্যম
কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে ইমরান খান
ইমরান খানের নাম নো-ফ্লাই লিস্টে যোগ করা হয়েছে: পাকিস্তানের গণমাধ্যম
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রধান এবং পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানেন নাম নো-ফ্লাই লিস্টে যোগ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের একটি গণমাধ্যমের বরাতে ভারতের গণমাধ্যম এএনআই এ তথ্য জানিয়েছে।
সূত্রের বরাত দিয়ে পাকিস্তান ডেইলি টুইট জানিয়েছে, ‘আইকে (ইমরান খান) নো ফ্লাই লিস্টে যোগ করা হয়েছে।’
পাকিস্তান ডেইলি দেশটির একটি ডিজিটাল নিউজ পোর্টাল, যা প্রধানত পাকিস্তানের রাজনৈতিক আপডেট সম্পর্কে রিপোর্ট করে।
আরও পড়ুন: ইমরান খানকে মুক্তির নির্দেশ পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের
তবে ইমরান খানকে নো-ফ্লাই তালিকায় যুক্ত করার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা পাওয়া যায়নি।
ডন জানিয়েছে, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন যে সরকার ৯মে সংঘটিত ঘটনার জন্য পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে।
ইসলামাবাদে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় খাজা আসিফ বলেন, ‘এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, তবে অবশ্যই পর্যালোচনা চলছে।’
ডন জানায়, তিনি (খাজা আসিফ) ৯মে পাকিস্তানজুড়ে সামরিক স্থাপনায় ভাঙচুরকে পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের করা পরিকল্পনা অনুযায়ী ‘সমন্বিত হামলা’ বলে অভিহিত করেছেন।
এর আগে, ডন জানিয়েছে যে পুলিশ বিভাগ প্রাদেশিক অ্যাসেম্বলির তিনজন প্রাক্তন সদস্যসহ ২৪৫ জন পিটিআই কর্মীর নাম ফেডারেল সরকারের কাছে প্রভিশনাল ন্যাশনাল আইডেন্টিফিকেশন লিস্টে (পিএনআইএল) অন্তর্ভুক্ত করার জন্য পাঠিয়েছে, যাতে তারা দেশ ছেড়ে যেতে না পারে।
ডন বৃহস্পতিবার লিখেছে, রাওয়ালপিন্ডি জেলা পুলিশ তাদের ওয়ান্টেড তালিকায় প্রায় ৩১৯ জনের নাম দিয়েছে এবং ফেডারেল তদন্ত সংস্থার (এফআইএ) হেফাজতে থাকা ২৪৫ জন পিটিআই কর্মীর নাম পাঠিয়েছে। বাকি ৭৪ জনকে এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি।
ডন পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান মিডিয়া হাউস, যা পাকিস্তান সম্পর্কিত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়গুলো রিপোর্ট করে।
ডন জানিয়েছে, মঙ্গলবার লাহোর পুলিশ ৭৪৬ পিটিআই নেতার বিদেশ ভ্রমণে এক মাসের নিষেধাজ্ঞা আরোপের লক্ষ্যে নো-ফ্লাই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছিল। রাওয়ালপিন্ডি পুলিশের অনুরোধের পরে, তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারে এমন পিটিআই কর্মীদের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৯১।
আরও পড়ুন: ইমরান খানকে ২ সপ্তাহের জামিন দিয়েছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট
ডন একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে লিখেছে, পিএনআইএল-এর অধীনে পুলিশের ওয়ান্টেড তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের ৩০ দিনের জন্য দেশের বাইরে যেতে বাধা দেওয়া হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের মামলা পর্যালোচনা করে পুলিশ ৯ মে সহিংসতার সময় ও পরে আটক ২৪৫ জনের নাম চূড়ান্ত করেছে। বিমান, স্থল বা সমুদ্রপথে তাদের ভ্রমণ সীমিত করার জন্য এই নামগুলো এফআইএ-তে পাঠানো হয়েছিল।
ডনের প্রতিবেদন অনুসারে, যাদেরকে পুলিশ এখনও খুঁজছে, কিন্তু এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি তাদের মধ্যে রয়েছেন- পিটিআই-এর সাবেক এমপি রশিদ হাফিজ, শেখ রশিদের ভাগ্নে; ফাইয়াজুল হাসান চোহান, যিনি আগে গ্রেপ্তার হয়ে পরে মুক্তি পেয়েছিলেন এবং উমর তানভীর বাট।
ডন জানিয়েছে, ফেডারেল সরকারকে দেওয়া তথ্যানুসারে জানানো হয়েছে যে জিএইচকিউতে হামলার সঙ্গে জড়িত ৩১ জন সন্দেহভাজনকে আরএ বাজার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে, পুলিশের তালিকায় ২৭ জন ওয়ান্টেড রয়েছে।
ভিডিও ক্লিপ, সিসিটিভি ফুটেজ, গোয়েন্দা তথ্য এবং জিও-ফেন্সিংয়ের মাধ্যমে সহিংস বিক্ষোভে জড়িত পিটিআই সমর্থকদের চিহ্নিত করার পরে পুলিশ অস্থায়ী ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব করেছিল।
নগর পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সিপিও) সৈয়দ খালিদ হামদানীর তত্ত্বাবধানে পুলিশের তদন্ত দল জিএইচকিউ হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১০৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং ২৩ জনের শনাক্তকরণ প্যারেড সম্পন্ন হয়েছে।
ডন জানিয়েছে, ৯ মে সহিংসতার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে, পুলিশ সন্ত্রাসবিরোধী আইনের (এটিএ) ধারা ৭ এর অধীনে নথিভুক্ত সন্ত্রাস-সম্পর্কিত মামলাগুলোর তদন্ত করার জন্য একটি যৌথ তদন্ত দল (জেআইটি) গঠন করার জন্য পাঞ্জাব স্বরাষ্ট্র বিভাগকেও অনুরোধ করেছে।
এসব ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।
এদিকে, কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে পুলিশের দুটি পৃথক দল, প্রতিটি পুলিশ সুপারের তত্ত্বাবধানে, পাঞ্জাব এবং কেপি থেকে পিটিআই নেতা ও কর্মীদের গ্রেপ্তারের জন্য গঠন করা হয়েছে।
ক্যাপিটাল পুলিশ পিটিআই নেতাদের নাম পিএনআইএল এবং এক্সিট কন্ট্রোল লিস্টে (ইসিএল) রাখার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছেও অনুরোধ করেছে, যারা ২০২২ ও ২০২৩ সালের মে মাসে সহিংসতার জন্য তাদের বিরুদ্ধে নথিভুক্ত করা মামলার সঙ্গে জড়িত।
আরও পড়ুন: কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে ইমরান খান
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পৌঁছেছেন জি২০ প্রতিনিধিরা
চীন ও পাকিস্তানের আপত্তিকে অগ্রাহ্য করে ভারত আয়োজিত একটি পর্যটন সভায় অংশ নিতে ২০টি দেশের প্রতিনিধি সোমবার ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পৌঁছেছেন।
২০১৯ সালে নয়াদিল্লি মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলটির আধা-স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নেওয়ার পর থেকে সোমবারের এই বৈঠকটি কাশ্মীরের প্রথম উল্লেখযোগ্য আন্তর্জাতিক ঘটনা।
সভায় প্রতিনিধিরা সবুজ পর্যটন এবং ভ্রমণ ব্যবস্থাপনার মতো বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।
সোমবার এই অঞ্চলের প্রধান শহর শ্রীনগরের রাস্তাগুলোকে পরিস্কার করা হয়েছে, বেশিরভাগ নিরাপত্তা চেকপয়েন্ট অপসারণ করা হয়েছে বা জি২০ সাইনবোর্ড দিয়ে তৈরি কিউবিকলের মতো নিরাপত্তা পোস্ট দিয়ে ছদ্মবেশ তৈরি করা হয়েছে, যার পিছনে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা দাঁড়িয়ে আছেন।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই অনুষ্ঠানের জন্য শত শত কর্মকর্তাকে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যেটিকে তারা ‘অদৃশ্য পুলিশিং’ বলে অভিহিত করেছেন।
বিভিন্ন বাণিজ্য প্রতিনিধি এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মধ্যে বেশ কয়েকটি বৈঠকের পরে শহরের কেন্দ্রস্থলের দোকানগুলোও স্বাভাবিকের চেয়ে আগে খোলা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ সম্মেলন কেন্দ্রের প্রধান রাস্তা দিয়ে বেসামরিক যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে এবং শহরের অনেক স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে।
সোমবারের এসব চিত্র শ্রীনগরের সাধারণ দিনগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার চেয়ে সম্পূর্ণ বিপরীত।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে জি২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক: পার্শ্ব বৈঠক করবেন মোমেন
দেখা যায় পানিতে রাবার বোটে টহলরত অভিজাত নৌ কমান্ডোদের সঙ্গে শ্রীনগরের ডাল লেকের তীরে অনুষ্ঠানস্থলের চারপাশে একটি বিশাল নিরাপত্তা কর্ডন স্থাপন করা হয়েছে।
শহরের বাণিজ্যিক কেন্দ্রটি যেন জেগে উঠেছে, লেকসাইড কনভেনশন সেন্টারের দিকে যাওয়ার রাস্তা ও বিদ্যুতের খুঁটিগুলো ভারতের জাতীয় পতাকার রঙে আলোকিত করা হয়েছে।
জি২০-এর জন্য ভারতের প্রধান সমন্বয়কারী হর্ষবর্ধন শ্রিংলা রবিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা একটি অনন্য বৈঠকের আয়োজন করেছি।’
তিনি বলেন, এই বছরের শুরুর দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও গুজরাট রাজ্যে অনুষ্ঠিত আগের পর্যটন সভাগুলোর তুলনায় এই অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ বিদেশি প্রতিনিধি থাকবে।
গত সপ্তাহে ভারতের কাশ্মীরে জি২০ সম্মেলন আয়োজন নিয়ে জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক ফার্নান্ড ডি ভারেনেস বলেছিলেন, জম্মু-কাশ্মীরে যা চলছে, তার আন্তর্জাতিক অনুমোদনের জন্যই ভারত সেখানে জি-২০ সম্মেলন করতে চাইছে।
তিনি বলেন, এই সভার প্রতিনিধিরা ‘স্বাভাবিকতার মুখোশ’ পড়ে থাকবেন, অন্যদিকে এই অঞ্চলে ‘ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন’ অব্যাহত থাকবে।
জেনেভায় জাতিসংঘে ভারতের মিশন এই বিবৃতিটিকে ‘ভিত্তিহীন’ ও ‘অযৌক্তিক অভিযোগ’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
ভারতের পর্যটন সচিব অরবিন্দ সিং শনিবার সাংবাদিকদের বলেছেন, বৈঠকটি ‘শুধু পর্যটনের জন্য তাদের (কাশ্মীরের) সম্ভাবনা প্রদর্শনের জন্য নয়, এছাড়া বিশ্ববাসীকে এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও স্বাভাবিকতা পুনরুদ্ধার সম্পর্কে জানানোও এর লক্ষ্য।’
এই অঞ্চলটি বিশ্বের সবচেয়ে সংঘাতময় সামরিক অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি। স্বাধীনতা বা পাকিস্তানের সঙ্গে একীভূত হওয়ার চেষ্টা করে ১৯৮৯ সালে এই অঞ্চলে একটি সহিংস বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল। ভারত নৃশংসভাবে এই বিদ্রোহের জবাব দিয়েছে এবং সংঘর্ষে কয়েক হাজার বেসামরিক নাগরিক, সেনা ও বিদ্রোহী নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: জি২০ অর্থমন্ত্রীদের 'সবচেয়ে নাজুক মানুষদের' দিকে মনোনিবেশ করার আহ্বান মোদির
২০১৯ সালে নয়াদিল্লি সরাসরি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর থেকে এই অঞ্চলে ভারতের কর্তৃত্ব বৃদ্ধি পায়।
তারপর থেকে এই অঞ্চলের জনগণ এবং এর গণমাধ্যম অনেকাংশে চুপ হয়ে গেছে। কঠোর সন্ত্রাস বিরোধী আইনের অধীনে কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকটি বাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে এবং শতাধিক লোককে গ্রেপ্তার করেছে।
সরকার বলেছে, একটি ‘সন্ত্রাস ইকোসিস্টেম’ বন্ধ করার জন্য এই ধরনের পদক্ষেপ প্রয়োজন।
এছাড়া, কর্তৃপক্ষ নতুন নতুন আইনও প্রণয়ন করেছে।
বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি নিয়ে গঠিত জি২০-এর একটি রোলিং প্রেসিডেন্সি রয়েছে এবং প্রতিবছর বিভিন্ন সদস্য তাদের অগ্রাধিকার নির্ধারণ করে। ভারত ২০২৩ সালে গ্রুপ পরিচালনা করছে।
ভারত ২০১৯ সালের সিদ্ধান্তের পর থেকে শান্তির প্রতীক হিসেবে কাশ্মীরে পর্যটনের প্রসার করছে। তবে হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত এই অঞ্চলটি কয়েক দশক ধরে শুধুমাত্র একটি প্রধান অভ্যন্তরীণ পর্যটন গন্তব্য। লাখ লাখ দর্শনার্থী প্রতিবছর কাশ্মীরে আসেন এবং সর্বব্যাপী নিরাপত্তা চৌকি, সাঁজোয়া যান এবং টহলরত সৈন্যদের দ্বারা আবৃত এক অদ্ভুত শান্তি উপভোগ করেন!
কাশ্মীরের অর্থনীতির মূল ভিত্তি এখনও কৃষি, এই অঞ্চলের জিডিপিতে পর্যটন শিল্পের অবদান মাত্র ৭ শতাংশ।
প্রতিবেশি চীন এই অনুষ্ঠানটি বয়কট করেছে এবং পাকিস্তান কাশ্মীরের শ্রীনগরে এই বৈঠক আয়োজনের জন্য নয়াদিল্লির নিন্দা করেছে।
উভয়ের যুক্তি, বিতর্কিত অঞ্চলে এই জাতীয় বৈঠক করা উচিত না।
অন্যদিকে, পাকিস্তানের সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করে ভারত বলেছে, তারা (পাকিস্তান) জি২০ এর সদস্য পর্যন্ত নয়, তাই তাদের এ ধরনের নিন্দা অবান্তর।
ইমরান খানকে ২ সপ্তাহের জামিন দিয়েছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট
পাকিস্তানের ইসলামাবাদের একটি হাইকোর্ট শুক্রবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার থেকে দুই সপ্তাহের জন্য অব্যাহতি দিয়ে জামিন দিয়েছেন।
খানের আইনজীবী বাবর আওয়ান বলেছেন, সুপ্রিম কোর্ট রায় দেওয়ার একদিন পর শুক্রবার আদালত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তিনি বলেন, খান এখন ‘মুক্ত মানুষ’ এবং আদালতের এ রায় ন্যায়সঙ্গত।
খানকে আদালতে উপস্থিত করার পর তাকে ফের পুলিশ হেফাজতে ফিরিয়ে নেওয়া হবে, নাকি তাকে জামিন দেওয়া হবে তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়।
আদালতের এই রায়ের পর কয়েকদিন ধরে সরকার এবং খান সমর্থকদের মধ্যে চলা সহিংস সংঘর্ষ প্রশমিত হয়।
৭০ বছর বয়সী খান দেশটির একজন জনপ্রিয় বিরোধী নেতা, গত মঙ্গলবার একই আদালতে তিনি হাজির হন; যেখান থেকে তাকে টেনে নিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
তাকে গ্রেপ্তারের ফলে দেশব্যাপী বিক্ষোভ শুরু হয় এবং তার সমর্থকরা সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায়, যানবাহন ও অ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়ে দেয় এবং দেশের বিভিন্ন স্থানের ডিপার্টমেন্টাল স্টোর লুট করে। এর প্রতিক্রিয়ায় সরকার প্রায় তিন হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করে।
শুক্রবারের আদালতের অধিবেশন জটিল আইনি কৌশলের একটি সিরিজের অংশ।
এর আগে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট ঘোষণা করেন, খানের গ্রেপ্তার বেআইনি ছিল, কিন্তু তারপরেও ইসলামাবাদ হাইকোর্ট একটি নিম্ন আদালতকে গ্রেপ্তার বহাল রাখার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বলেছিলেন।
সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, শুক্রবার ইসলামাবাদের আদালত যা রায় দেবে তা তারা মেনে নেবেন।
সরকার বলেছে, ইসলামাবাদ হাইকোর্ট তার আগের আদেশ বহাল রাখলে তারা ফের দ্রুত খানকে গ্রেপ্তার করবে।
শুক্রবার ইসলামাবাদ আদালতের একটি প্রাথমিক সংক্ষিপ্ত অধিবেশনে, বিচারকরা দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার থেকে সুরক্ষা চেয়ে খানের একটি অনুরোধের শুনানি করেন। আদালত কক্ষে খানের সমর্থকরা স্লোগান দেওয়ায় বিচারক অধিবেশন দুই ঘণ্টার জন্য স্থগিত করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, খানকে দুর্নীতির মামলায় জামিন দেওয়া হলেও অন্যান্য অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেন তিনি।
সরকারের দাবি, খানের মুক্তি জনতার সহিংসতাকে উৎসাহিত করবে।
শুক্রবার আদালতে খানের প্রধান আইনজীবী বাবর আওয়ান সাংবাদিকদের বলেন, সরকার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করতে অনড় বলে মনে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে ইমরান খান
কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে ইমরান খান
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির চেয়ারম্যান ইমরান খানকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে হিাজির করা হয়েছে।
শুক্রবার পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই-এর বরাতে ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআই এ তথ্য জানায়।
এএনআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদালত প্রাঙ্গণ থেকে গ্রেপ্তার ‘অবৈধ ও বেআইনি’ ঘোষণার একদিন পর হাজিরা দিতে এলেন খান। আদালত তার গ্রেপ্তারকে দেশজুড়ে মারাত্মক সংঘর্ষের জন্য দায়ী বলে মনে করছেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর অস্থিরতা থামাতে সেনা মোতায়েন
এদিকে, ইমরান খানের আবেদনটি বিচারপতি মিয়াঙ্গুল হাসান আওরঙ্গজেব এবং সামান ইমতিয়াজের সমন্বয়ে গঠিত দুই ব্যক্তির বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ শুনবেন।
ইমরান খানের হাইকোর্টে হাজিরা দিতে আসায় রাজধানীতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে ইমরান খান আদালতে পৌঁছান। আদালত চত্বরের বাইরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও আধা-সামরিক বাহিনী রেঞ্জার্স মোতায়েন করা হয়েছে।
এআরওয়াই নিউজের মতে, শ্রীনগর হাইওয়েতে পুলিশ লাইনের কাছে কনটেইনার স্থাপন করা হয়েছে এবং পাকিস্তানের ফৈজাবাদ সেতু, শ্রীনগর হাইওয়ে ও পুলিশ লাইনের নিচে পুলিশ ও রেঞ্জার্স কর্মকর্তাদের একটি ভারি দল মোতায়েন করা হয়েছে। কারণ খানের সমর্থকরা সেখানে জড়ো হয়েছে।
এদিকে, খানের সমর্থকদের ইসলামাবাদ হাইকোর্টের কাছে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে পিটিআই।
পিটিআই জানিয়েছে, ইমরান আদালতে উপস্থিত হওয়ার পরে সমর্থকদের উদ্দেশে একটি ভাষণ দেবেন।
তবে পিটিআই নেতাদের ওপর পুলিশের ধরপাকড় কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
কারণ শুক্রবার লাহোরে গ্রেপ্তার করা হয় আরেক সিনিয়র নারী পিটিআই নেতা এবং পাকিস্তানের পাঞ্জাবের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়াসমিন রশিদকে।
এর আগে পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি ড. শিরীন মাজারিকে তার বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে ইসলামাবাদ পুলিশ।
কর্মকর্তাদের মতে, ইসলামাবাদ পুলিশ শিরিন মাজারির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে।
ইমরান খান, সেনেটর এজাজ চৌধুরী, আসাদ উমর, ফাওয়াদ চৌধুরী, শাহ মেহমুদ কুরেশি এবং আলী মোহাম্মদ খান সহ সিনিয়র পিটিআই নেতাদের গ্রেপ্তারের পর তাকেও হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের গ্রেপ্তারকে ১১ মে সুপ্রিম কোর্ট ‘অবৈধ’ বলে ঘোষণা করেছিল এবং কর্তৃপক্ষকে তাকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
সিদ্ধান্তের পরে, সুপ্রিম কোর্ট পিটিআই প্রধানকে পুলিশ লাইন গেস্ট হাউসে পাঠিয়েছেন এবং তাকে তার পরিবারের সঙ্গে রাত কাটানোর অনুমতি দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ইমরান খান যখন দুইটি মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে উপস্থিত হন তখন ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রাঙ্গণ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর থেকেই পাকিস্তানে নিরাপপত্তা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে।
পিটিআই তার সমর্থকদের ইমরান খানের সমর্থনে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানানোয় দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: ইমরান খান গ্রেপ্তার: বিক্ষোভকারী-পুলিশ সংঘর্ষে নিহত ১০
ইমরান খানের গ্রেপ্তার: পাকিস্তানজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে সহিংসতা
ইমরান খানকে মুক্তির নির্দেশ পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের
পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আদালত জানিয়েছেন, খানকে গ্রেপ্তারের পর থেকে গত দুই দিনে দেশজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। তাই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বন্দিয়াল ইমরান খানকে তার সমর্থকদের শান্তিপূর্ণ থাকার আহ্বান জানাতে বলেছেন।
এদিন তার মুক্তি উদযাপন করতে আদালত ভবনের কাছে খানের সমর্থকদের নাচতে দেখা গেছে।
আইন প্রণেতাদের অনাস্থা ভোটে ক্ষমতা থেকে অপসারিত হওয়ার পর, খান পাকিস্তানি আদালতে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগের সম্মুখীন হন।
পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে হেফাজতে নেওয়ার পর থেকেই সহিংসতা শুরু হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তার সমর্থকদের সংঘর্ষে বহু মানুষ আহত হয় এবং রাতারাতি অভিযানে কয়েকশ’ মানুষকে আটক করা হয়।
সামরিক দখল, রাজনৈতিক সঙ্কট ও সহিংসতায় অভ্যস্ত এই জাতির জন্য এই ধরনের সহিংসতার ঘটনা নজিরবিহীন। এটি রাওয়ালপিন্ডির গ্যারিসন সিটিতে একটি নির্বাচনী সমাবেশে ২০০৭ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোকে হত্যার পরে সৃষ্ট পরিস্থিতির কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। সে সময় তার সমর্থকরা, তার হত্যাকাণ্ডে বিক্ষুব্ধ হয়ে সারা পাকিস্তানে কয়েকদিন ধরে তাণ্ডব চালিয়েছিল।
মঙ্গলবার খানের নাটকীয় গ্রেপ্তারের পর থেকে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে তার অন্তত ১০ জন সমর্থক নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছে। পাশাপাশি ২০০ জনেরও বেশি পুলিশ আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইমরান খান গ্রেপ্তার: বিক্ষোভকারী-পুলিশ সংঘর্ষে নিহত ১০
বুধবার রাতে রাজধানী ইসলামাবাদের উপকণ্ঠে একটি রেলস্টেশন পুড়িয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। বৃহস্পতিবার, তারা পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর লাহোরের আশেপাশের এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে, একটি পুলিশের গাড়িতে আগুন দেয় এবং একটি ট্রেন অবরোধ করে।
পুলিশ বৃহস্পতিবার বলেছে যে ইমরান খানের প্রায় এক হাজার ৬০০ সমর্থককে সারাদেশে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি এবং সামরিক স্থাপনায় হামলার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ফলে মঙ্গলবার থেকে আটককৃতদের সংখ্যা বেড়ে দুই হাজার ৩০০ জনে পৌঁছেছে।
বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় ট্রাক, গাড়ি ও পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে এবং মহাসড়ক অবরোধ করে সরকারি ও সামরিক ভবনে হামলার পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
খানের গ্রেপ্তারের কয়েক ঘন্টা পরে মঙ্গলবার লাহোরে একজন শীর্ষ সেনা কমান্ডারের বাসভবনে উত্তেজিত জনতা আগুন ধরিয়ে দেয়।
সার্বিক দিক বিবেচনায় দেশটির সরকার সহিংস এলাকাগুলোতে বুধবার থেকে সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে।
খানকে ইসলামাবাদের একটি আদালত কক্ষ থেকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় যেখানে তিনি মঙ্গলবার দুর্নীতির অভিযোগের মুখোমুখি হন।
তাকে এখন ইসলামাবাদের একটি পুলিশ কম্পাউন্ডে রাখা হয়েছে। যেখানে একটি অস্থায়ী আদালতে বুধবার একজন বিচারক ৭০ বছর বয়সী খানকে কমপক্ষে আরও আট দিনের জন্য আটক রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
খানের আইনজীবীর কাছ থেকে একটি আবেদনের সংক্ষিপ্ত শুনানির পর, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট খানকে যেভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং কর্তৃপক্ষকে তাকে এক ঘন্টার মধ্যে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে। এতে ধারণা করা হয় এবার খানকে মুক্তি দেওয়া হবে।
খানের গ্রেপ্তারকে বেআইনি বলে যুক্তি দিয়ে তার আইনজীবীরা তার মুক্তি চেয়েছিলেন।
পুলিশ বৃহস্পতিবার খানকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে গেলে, সরকার তাকে হেফাজতে রাখার দাবি জানায়।
শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতিকে উদ্দেশ্য করে তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আপনারা যদি তাকে কোনো ছাড় দেন তাহলে এটা অন্যায় হবে।’
তিনি খানের অনুসারীদের করা সহিংসতার দিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে মুক্তি দিলে আদালত ‘সবাইকে হত্যা করার লাইসেন্স’ দেবে।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার পুলিশ জনতাকে সহিংসতায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে খান এবং তার পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে নতুন করে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ দায়ের করেছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর অস্থিরতা থামাতে সেনা মোতায়েন
বুধবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ বলেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর অনুসারীদের অস্থিরতা ‘সংবেদনশীল সরকারি ও ব্যক্তিগত সম্পত্তির ক্ষতি করেছে।’
মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর শরীফ বলেন, ‘এ ধরনের দৃশ্য পাকিস্তানের জনগণ কখনো দেখেনি। এমনকি রোগীদের অ্যাম্বুলেন্স থেকে বের করে এনে অ্যাম্বুলেন্সে আগুন দেওয়া হয়েছে।’
শরীফ হামলাকে ‘শাস্তিযোগ্য’ বলে অভিহিত করেছেন এবং সতর্ক করেছেন যে সহিংসতায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, খানকে দুর্নীতিতে জড়িত থাকার কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং এই অভিযোগগুলোর স্বপক্ষে প্রমাণ রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বৃহস্পতিবার খানের অনুসারীদের সহিংসতা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তবে তিনি বলেছেন, তাদের (খানের সমর্থকদের) শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করার অধিকার আছে।
তিনি আরও বলেন, ‘যা হয়েছে, হয়েছে। নিজের জন্য বিষয়গুলোকে আরও কঠিন করবেন না।’
সহিংসতার পরে সরকার পাঞ্জাব এবং উত্তর-পশ্চিম খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়। কেননা সেখানে খানের ব্যাপক সমর্থক রয়েছে এবং সেখানেই বেশিরভাগ সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে।
এ পর্যন্ত অন্তত সাতজন বিক্ষোভকারীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে খাইবার পাখতুনখোয়ায় এবং দুইজন পাঞ্জাবের রাজধানী লাহোরে এবং একজন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কোয়েটায়।
সরকার দেশের বিভিন্ন স্থানে ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করেছে।
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মহসন নকভি বলেছেন, ‘যারা আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করেছে আমরা তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করব।’
কর্মকর্তারা বলছেন যে খানের সমর্থকরা বিশেষ করে সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে, কারণ তিনি তার ২০২২ সালের ক্ষমতাচ্যুতির জন্য সামরিক বাহিনীকে দোষারোপ করেছেন।
আরও পড়ুন: ৮ দিনের রিমান্ডে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান
পাশাপাশি খান দাবি করেছেন যে এটি ওয়াশিংটন এবং শরীফের সরকারের একটি ষড়যন্ত্র ছিল।
তবে এ অভিযোগগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং শরীফ উভয়ই অস্বীকার করেছেন।
সামরিক বাহিনীও বলেছে যে তারা খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা পালন করেনি।
সহিংসতার মধ্যে খানের সমর্থকরা রাওয়ালপিন্ডিতে সামরিক সদর দপ্তর এবং উত্তর-পশ্চিমে নিরাপত্তা চৌকিতে হামলা চালিয়েছে, আফগানিস্তানের সীমান্তে নিরাপত্তা চাকদারা দুর্গে আগুন দিয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে লাহোরে, বিক্ষোভকারীরা আঞ্চলিক কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল সালমান ফাইয়াজ গনির বাসভবন ভাঙচুর করে ও পুড়িয়ে দেয়।
বুধবার সেনাবাহিনী পূর্ণ শক্তি দিয়ে বিক্ষোভকারীদের আক্রমণের জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করে।
তারা বলেছে, তাদের স্থাপনাগুলোতে আক্রমণগুলো একটি সাজানো পরিকল্পনা অনুসারে করা হয়েছে এবং এই সহিংসতা দেশের ইতিহাসে একটি ‘কালো অধ্যায়’।
ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে দেশটি স্বাধীনতা লাভের পর থেকে সামরিক বাহিনী ৭৫ বছরের অর্ধেকেরও বেশি সময় ধরে সরাসরি পাকিস্তান শাসন করেছে এবং বেসামরিক সরকারগুলোর ওপর প্রভাব বিস্তার করে রাখে।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর অস্থিরতা থামাতে সেনা মোতায়েন
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে আদালতের কক্ষ থেকে টেনে নিয়ে গ্রেপ্তার, দেশজুড়ে সহিংসতার সূত্রপাত এবং তার আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর – সার্বিক দিক বিবেচনায় দেশটির সরকার সহিংস এলাকাগুলোতে বুধবার সামরিক বাহিনীকে আহ্বান জানিয়েছে।
জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, ইমরান খানের সমর্থকদের অস্থিরতা 'সংবেদনশীল সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করেছে', যার ফলে তিনি রাজধানী ইসলামাবাদ, পাঞ্জাবের সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের অস্থিতিশীল অঞ্চলে সেনা মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছেন।
মঙ্গলবার ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর ইসলামাবাদ ও অন্যান্য বড় শহরগুলোতে জনতা রাস্তা অবরোধ করে, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় এবং পুলিশের চেকপয়েন্ট ও সামরিক স্থাপনায় আগুন ধরিয়ে দেয়। বুধবার বিক্ষোভকারীরা উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পেশোয়ারের একটি রেডিও স্টেশনে হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: ৮ দিনের রিমান্ডে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান
মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর শরিফ বলেন, ‘পাকিস্তানের জনগণ এ ধরনের দৃশ্য কখনও দেখেনি। এমনকি রোগীদের অ্যাম্বুলেন্স থেকে বের করে আনা হয় এবং অ্যাম্বুলেন্সে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।’
এ ধরনের হামলাকে 'ক্ষমার অযোগ্য' আখ্যায়িত করে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সহিংসতায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।
শরিফ বলেন, দুর্নীতিতে জড়িত থাকার কারণে খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং এই অভিযোগগুলোর সমর্থনে প্রমাণ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইমরান খানের গ্রেপ্তার: পাকিস্তানজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে সহিংসতা
ইমরান খানের গ্রেপ্তার: পাকিস্তানজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে সহিংসতা
দুর্নীতির একাধিক মামলায় অভিযুক্ত পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে মঙ্গলবার আদালত থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এতে রাজনৈতিক উত্তেজনা নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং সারা দেশে তার ক্ষুব্ধ সমর্থকদের দ্বারা সহিংস বিক্ষোভের সূত্রপাত করে।
২০২২ সালের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হলেও বিরোধী দলের শীর্ষ নেতা ইমরান খানের গ্রেপ্তার পাকিস্তানকে বিপর্যস্ত করার সর্বশেষ সংঘাতের প্রতিনিধিত্ব করে, যেখানে বছরের পর বছর ধরে সাবেক প্রধানমন্ত্রীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপ রয়েছে।
বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী কোয়েটায় বিক্ষোভকারী ও সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে একজন নিহত হয়েছেন, সেখানে আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। করাচি, পেশোয়ার, রাওয়ালপিন্ডি এবং লাহোরে অনুরূপ সহিংসতায় প্রায় ১৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।
আরও পড়ুন: ইসলামাবাদের আদালত থেকে ইমরান খান গ্রেপ্তার
সহিংসতার মধ্যে পাকিস্তানের টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিয়ন্ত্রকরা টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং রাজধানী ইসলামাবাদ ও অন্যান্য শহরে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দিয়েছে। বুধবার কিছু বেসরকারি স্কুলের ক্লাস বাতিল করা হয়।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ফাওয়াদ চৌধুরী জানান যে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোর নিরাপত্তা এজেন্টরা ইমরানকে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট থেকে গ্রেপ্তার করে একটি সাঁজোয়া গাড়িতে নিয়ে যায়।
৭১ বছর বয়সী সাবেক ক্রিকেট তারকার গ্রেপ্তারকে 'অপহরণ' বলে আখ্যায়িত করেছেন ফাওয়াদ চৌধুরী। পাকিস্তানের স্বাধীন জিও টিভি খানকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ভিডিও সম্প্রচার করেছে।
আদালতের বাইরে খানের সমর্থক ও পুলিশের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। চৌধুরী বলেন, সংঘর্ষে খানের কয়েকজন আইনজীবী ও সমর্থক আহত হয়েছেন এবং বেশ কয়েকজন পুলিশ আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোর কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খানকে ইসলামাবাদের নিকটবর্তী রাওয়ালপিন্ডিতে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, তার নিয়মিত মেডিকেল চেকআপও হওয়ার কথা ছিল।
দুর্নীতি মামলায় অভিযোগের মুখোমুখি হতে নিকটবর্তী লাহোর থেকে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে এসেছিলেন ইমরান খান।
আরও পড়ুন: ইমরান খানের বাড়িতে পুলিশের অভিযান, গ্রেপ্তার ৬১
ইসলামাবাদের আদালত থেকে ইমরান খান গ্রেপ্তার
পাকিস্তানের ইসলামাবাদের আদালত থেকে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার দল তেহরিক ই ইনসাফের কর্মকর্তারা গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
মঙ্গলবার দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদের আদালতে একাধিক দুর্নীতি মামলার অভিযোগে আদালতে হাজির হওয়ার সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে সরকারবিরোধী সমাবেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গুলিবিদ্ধ
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির একজন সিনিয়র কর্মকর্তা ফাওয়াদ চৌধুরী বলেছেন, ৭২ বছর বয়সী খানকে মঙ্গলবার আদালতের প্রাঙ্গণে দেশটির দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা জাতীয় জবাবদিহি ব্যুরোর এজেন্ট গ্রেপ্তার করেছে।
গত বছরের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন খান। তিনি তার ক্ষমতাচ্যুতকে অবৈধ এবং পশ্চিমা ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন।
আগাম নির্বাচনের দাবিতে তার উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েছেন।
আরও পড়ুন: দুবাইয়ের আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খানের ১০ বছরের কারাদণ্ড
ভারতের মণিপুরে সহিংসতায় নিহত বেড়ে ৬০, কয়েক হাজার বাস্তুচ্যুত
'পাকিস্তান' শব্দ যুক্ত থাকা আইনের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
দেশের প্রচলিত আইনে যেগুলোর মধ্যে ‘পাকিস্তান’, ইসলামিক রিপাবলিক অব পাকিস্তান’ ও ‘ইস্ট পাকিস্তান’ শব্দ যুক্ত রয়েছে সেগুলোর তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট।
এক আইনজীবীর করা রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মুহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন।
আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এসব আইনের তালিকা করতে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করতে বলেছেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর দুর্নীতি বিরোধী ভাষণগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে রুল জারি হাইকোর্টের
আর ৬০ দিনের একটি তালিকা দাখিল করত নির্দেশ দিয়েছেন।
এছাড়া রুলে আইন অনুসারে দেশের প্রচলিত আইন থেকে পাকিস্তান, ইসলামিক রিপাবলিক অব পাকিস্তান এবং ইস্ট পাকিস্তান শব্দ বাদ দিয়ে সংশোধন করতে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়েছেন।
চার সপ্তাহের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. রবিউল আলম।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মাসুদ ও আইনজীবী কামরুল ইসলাম।
আইনজীবী কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, দেশ স্বাধীনের পর প্রচলিত (পাকিস্তান আমলের) আইনগুলো অ্যাডাপ্ট করা হয়। তখন ১৯৭৩ সালের বাংলাদেশ লজ (রিভিশন ও ডিক্লারেশন) অ্যাক্ট এ পাকিস্তান, ইসলামিক রিপাবলিক অব পাকিস্তান এবং ইস্ট পাকিস্তান শব্দগুলো বাদ দিতে বলা হয়।
এরপর কিছু আইনে বাদ দেওয়া হয়। তবে এখনও অনেক আইনে শব্দগুলো রয়েছে।
যেমন-দ্য ক্যাটল (প্রিভেনশন অব ট্রেসপাস) অর্ডিন্যান্স ১৯৫৯, দ্য ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি অর্ডিন্যান্স ১৯৬১, দ্য এগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটি অর্ডিন্যান্স ১৯৬১, দ্য এগ্রিকালচারাল পেস্টস অর্ডিন্যান্স ১৯৬২, দ্যা ইনডিসেন্ট অ্যাডভার্টাইজমেন্টস প্রভিহিশন অ্যাক্ট ১৯৬২, দ্য সেন্সরশিপ অব ফিল্মস অ্যাক্ট ১৯৬৩, দ্য পাইলটেজ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯ এবং দ্য গভর্নমেন্ট লোকাল অথরিটি ল্যান্ডস অ্যান্ড বিল্ডিংস (রিকভারি অব পজেশন) অর্ডিন্যান্স ১৯৭০ উল্লেখযোগ্য।
এগুলোয় এ সব শব্দ থাকাটা ১৯৭৩ সালের আইনের লঙ্ঘন বিধায় আইনজীবী মো. রবিউল আলম রিট করেন।
আদালত শুনানি নিয়ে রুলসহ আদেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হাত হারানো শিশুটিকে ৪ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের রুল
সিলেটে রাস্তার পাশ থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার