দ্বিতীয় বেল্ট এন্ড রোড ফোরামে যোগ দিতে আগামী সপ্তাহে চীন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।
চীনের ঠিকাদাররা নির্মাণ খরচ এক তৃতীয়াংশ (৪৪ বিলিয়ন রিঙ্গিত বা ১০.৬ বিলিয়ন ডলার) পর্যন্ত কমিয়ে আনতে রাজি হওয়ার এক সপ্তাহ পরেই মালয়েশিয়ার একটি চীনের অর্থায়নে রেল সংযোগ প্রকল্পটি পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হলো।
মাহাথির বলেন, উভয় প্রকল্প চীনের সঙ্গে তাকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করবে এবং অর্থনৈতিক মূল্য বৃদ্ধি করবে।
তিনি আরও বলেন, বন্দর মালয়েশিয়া ৪০ শতাংশ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন। একই কনসোর্টিয়াম অংশীদার, মালয়েশিয়ান ডেভেলপার ইস্কান্দার ওয়াটারফ্রন্ট হোল্ডিংস এবং চীন রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশনের সাথে প্রকল্পটি উন্নত করা হবে। ৫০০ একর (২০২ হেক্টর) প্রকল্প নগর উন্নয়নকে আরও শক্তিশালী করবে।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ‘বেল্ট এন্ড রোড’ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। আনুমানিক ১ ট্রিলিয়ন ডলারের অধিক পরিকল্পনাটির লক্ষ্য হচ্ছে এশিয়া, আফ্রিকা ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চীনের বন্দর, সেতু এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর মধ্যে সংযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা।
মাহাথির বলেন, এই দুটি প্রধান প্রকল্প বেল্ট এন্ড রোড উদ্যোগের ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। প্রকল্পে ১০ হাজার বাসযোগ্য বাড়ি ও একটি পার্ক অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং স্থানীয় নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবহারকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
এটি প্রথমে সিঙ্গাপুর থেকে কুয়ালালামপুরে সংযোগকারী একটি হাই-স্পিড রেল লাইনের প্রধান কেন্দ্রস্থল তৈরি করার জন্য নকশা করা হয়েছিল। যাতে ভ্রমণের সময় ৯০ মিনিট পর্যন্ত কম লাগবে। তবে মাহাথির সরকার রেল প্রকল্পের স্থগিত করেছিল, কারণ এটি খুবই ব্যয়বহুল ছিল।
মাহাথির বলেন, সরকার পরবর্তীতে হাই স্পিড রেল লাইন তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়। তবে রেলস্টেশনে পর্যাপ্ত কক্ষের ব্যবস্থা করা হবে।