চীন
সেভেন সিস্টার্স নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা সৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কথাই বলেছেন: হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতের পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্য (সেভেন সিস্টার্স) নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, তা ভিন্নভাবে উপস্থাপিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তার রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি-সংক্রান্ত হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘অত্যন্ত সৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কথাই প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন। এর ব্যাখ্যা যদি অন্যরকম দেওয়া হয়, তাহলে আমরা তা ঠেকাতে পারছি না।’
বুধবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি চীন সফরে গিয়ে দেশটির ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান ড. ইউনূস। সে সময় বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থানের গুরুত্ব উল্লেখ করে বাণিজ্য ও ব্যবসা সম্প্রসারণে সমুদ্রের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘নেপাল ও ভুটান স্থলবেষ্টিত দেশ, যাদের কোনো সমুদ্র নেই। ভারতের সাতটি উত্তর-পূর্বঞ্চলীয় রাজ্যও স্থলবেষ্টিত। সমূদ্রের সঙ্গে তাদের কোনো সংযোগ নেই।’
‘এই অঞ্চলের জন্য সমুদ্রে আমরাই একমাত্র অভিভাবক। সুতরাং, এটি একটি বিশাল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে। সুতরাং, চীনা অর্থনীতির সম্প্রসারণে এটি দারুণ সম্ভাবনাময় হতে পারে।’
আরও পড়ুন: চীন সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশে পণ্য উৎপাদন করুন, বাজারজাত করুন, চীনেও নিয়ে আসুন এবং তা সারা বিশ্বের কাছে নিয়ে যান।’
অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান বলেন, ‘নেপাল ও ভুটানের সীমাহীন জলবিদ্যুৎ রয়েছে, যা এ অঞ্চলের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। কারখানা স্থাপনসহ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে আমরা এটিকে আমাদের পরিকল্পনার মধ্যে নিয়ে আসতে পারি।’
‘বাংলাদেশ থেকে আপনি যেখানে খুশি যেতে পারেন। সমুদ্র আমাদের আঙিনায়। সুতরাং, এই সুযোগটি আপনি নিতে পারেন।’
প্রধান উপদেষ্টার এ মন্তব্য ভালোভাবে নেয়নি ভারত। এর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভারতের বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা।
দেশটির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের মিডিয়া ও জনসংযোগ বিভাগের প্রধান পবন খেরা এক এক্স পোস্টে লিখেছেন, ‘ভারতকে ঘিরে ফেলার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ চীনকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের এই আচরণ (ভারতের) উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য খুবই বিপজ্জনক।’
আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেন, “বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের এই মন্তব্য খুবই আপত্তিকর এবং নিন্দনীয়। এটি ভারতের কৌশলগত ‘চিকেনস নেক’ করিডোরের দুর্বলতা নিয়ে প্রচলিত বর্ণনাকে পুনরায় উসকে দিচ্ছে।”
ভারতের এমন প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে জানতে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে ড. খলিলুর রহমান বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা সেভেন সিস্টার্স নিয়ে এই প্রথমবার কথা বলেননি। তিনি ২০১২ সালেও একই ধরনের কথা বলেছিলেন।’
‘এর চাইতে একটু এগিয়ে গিয়ে ২০২৩ সালে জাপানের প্রধানমন্ত্রী দিল্লিতে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, নর্থ ইস্ট ইন্ডিয়া ও বাংলাদেশ একটি ভ্যালু চেইনে আবদ্ধ করা এবং তিনি এ প্রসঙ্গে একটি একক অর্থনৈতিক অঞ্চলের কথাও বলেছিলেন তিনি, যেটাকে বিগ বে ইনেশিয়েটিভ বলে গণ্য করা হয়।’
আরও পড়ুন: মোদি-ইউনূসের বৈঠক হতে পারে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে
তিনি বলেন, ‘কানেক্টিভিটি এই অঞ্চলের সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে। বিশেষ করে যাদের জন্য সমুদ্রের এক্সেস পাওয়া খুব কঠিন। কিন্তু আমরা কানেক্টিভিটি জোর করে চাপিয়ে দেব না, সেটি করার মতো অবস্থাও আমাদের নেই।’
‘কেউ যদি নেয় খুব ভালো, না নিলে কী করব আমরা? কিছু করার নেই। অত্যন্ত সৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কথাই প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন। এর ব্যাখ্যা যদি অন্যরকম দেওয়া হয়, আমরা সেই ব্যাখ্যা ঠেকাতে পারছি না। আমরা শুধু সবার সমান লাভের জন্য কানেক্টিভিটি দিতে আগ্রহী আছি। কেউ নিলে ভালো, না নিলে নেবেন না।’
আগামী বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার।
এ বিষয়ে হাই রিপ্রেজেন্টেটিভের বক্তব্য, ‘আশা করা যাচ্ছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের আশাবাদী হওয়ার কারণ আছে। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত বৈঠক না হচ্ছে, এ প্রসঙ্গে আমরা আগ বাড়িয়ে কিছু বলব না।’
১৪ দিন আগে
‘অত্যন্ত সফল’ চীন সফর শেষে রাতে দেশে ফিরছেন প্রধান উপদেষ্টা
চীনে চার দিনের সরকারি সফরকে ‘মাইলফলক’ ও ‘অত্যন্ত সফল’ আখ্যায়িত করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের আজ (শনিবার) রাতে দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
শনিবার (২৯ মার্চ) রাত ৮টা ৪০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে তার।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ইউএনবিকে জানান, বেইজিং ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ড. ইউনূসকে বিদায় জানান চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের চিফ প্রটোকল অফিসার ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী মন্ত্রী হং লেই।
আরও পড়ুন: বিমসটেক ইয়াং জেন ফোরামে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ড. ইউনূস
এর আগে, চার দিনের সফরে ২৬ মার্চ চীন পৌঁছান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার (বিএফএ) মহাসচিবের আমন্ত্রণে ২৬ ও ২৭ মার্চ দেশটির হাইনান প্রদেশে অনুষ্ঠিত বিএফএ বার্ষিক সম্মেলন ২০২৫-এ যোগ দেন তিনি। সম্মেলনের সাইডলাইনে ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন চীনের স্টেট কাউন্সিলের ভাইস প্রিমিয়ার ডিং জুয়েশিয়াং।
তারপর চীন সরকারের আমন্ত্রণে ২৭ থেকে ২৯ মার্চ বেইজিং সফর করেন প্রধান উপদেষ্টা। এর মধ্যে গতকাল (শুক্রবার) চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন অধ্যাপক ইউনূস। সেখানে দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট হান ঝেংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধানের।
বৈঠককালে উষ্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ইস্যুতে মতবিনিময় করে উভয় পক্ষ। আলোচনাগুলোতে দুপক্ষ ব্যাপকভাবে ঐকমত্যেও পৌঁছায়।
আজ (শনিবার) সকালে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ড. ইউনূসকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের উদ্দেশে বক্তৃতা দেন প্রধান উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকুন: ড. ইউনূস
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট, বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের চেয়ারম্যান হে গুয়াংচাইসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট, পরিষদ চেয়ারম্যান ও পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের একটি ছোট্ট দল তাকে স্বাগত জানান। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতাদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত বৈঠকও করেন মুহাম্মদ ইউনূস।
১৮ দিন আগে
২১০ কোটি ডলার বিনিয়োগ, ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি বেইজিংয়ের
চীন সফরকালে দেশটির সরকার ও চীনা কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে বাংলাদেশের জন্য ২১০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ, ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ও বাংলাদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টা চীনের বেসরকারি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের উৎপাদন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানানোর পর দেশটির প্রায় ৩০টি কোম্পানি (বাংলাদেশের) বিশেষ চীনা শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চলে ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের অঙ্গীকার করেছে।
এছাড়া মোংলা বন্দর আধুনিকীকরণ প্রকল্পে আরও প্রায় ৪০ কোটি ডলার, চীনা শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়নে ৩৫ কোটি ডলার এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা হিসেবে আরও ১৫ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। বাকি অর্থ অনুদান ও অন্যান্য ঋণ সহায়তা হিসেবে আসবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-বেইজিংয়ের মধ্যে ১ চুক্তি, ৮ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
প্রধান উপদেষ্টার চার দিনের চীন সফরের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, ‘এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক সফর।’
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, এই সফর বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ বৃদ্ধির নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠককালে চীনের প্রেসিডেন্টকে চীনা বেসরকারি কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য ‘সবুজ সংকেত’ দেওয়ার অনুরোধ জানান ড. ইউনূস।
শি চীনা কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে তাদের উৎপাদন কারখানা স্থানান্তরে উৎসাহিত করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন বলে জানিয়েছেন আশিক চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘এই সফর অনেক চীনা কোম্পানিকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে রাজি করাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটি কেবল সময়ের ব্যাপার।’
আরও পড়ুন: সুদহার কমাতে ইতিবাচক সাড়া চীনা প্রেসিডেন্টের, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতার আশ্বাস
আজ (শুক্রবার) বেইজিংয়ে ড. ইউনূস ও আশিক চৌধুরী বিশ্বের কয়েকটি বৃহত্তমসহ শতাধিক চীনা কোম্পানির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন, যেখানে বাংলাদেশে উৎপাদন খাতে বিশেষ করে উন্নত টেক্সটাইল, ওষুধশিল্প, হালকা প্রকৌশল ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
তিনটি ইন্টারঅ্যাকটিভ সেশনে তারা বক্তব্য রাখেন। এ ব্যাপারে আশিক চৌধুরী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা অত্যন্ত ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি।’
১৯ দিন আগে
ঢাকা-বেইজিংয়ের মধ্যে ১ চুক্তি, ৮ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিষয়ে একটি চুক্তি ও আটটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার চার দিনের চীন সফরের তৃতীয় দিন শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুই দেশের মধ্যে এই চুক্তি ও স্মারকগুলো স্বাক্ষরিত হয়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সমঝোতা স্মারকগুলোর মধ্যে রয়েছে দুই দেশের কালজয়ী সাহিত্য ও শিল্পকর্মের অনুবাদ ও সৃজন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও খবর আদান-প্রদান, গণমাধ্যম, ক্রীড়া এবং স্বাস্থ্য খাতে বিনিময় সহযোগিতা।
এর পাশাপাশি, প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরে দুই দেশের মধ্যে পাঁচটি বিষয়ে সহযোগিতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়েছে।
এগুলো হলো— বিনিয়োগ আলোচনা শুরু করা, চীনের বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু, মোংলা বন্দরের আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণ, একটি রোবট ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন কেন্দ্র নির্মাণ এবং একটি কার্ডিয়াক সার্জারি গাড়ি অনুদান।
১৯ দিন আগে
চীনে স্কলারশিপ ২০২৫: বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বিনা খরচে উচ্চশিক্ষার সুযোগ
প্রতিবারের ন্যায় ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষেও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা খরচে উচ্চশিক্ষার সুযোগ দিচ্ছে চীন সরকার। দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো মেধাবীদের জন্য স্কলারশিপের ব্যবস্থা রেখেছে। এগুলোর আওতায় টিউশন ফি মওকুফসহ আবাসন, চিকিৎসা সুবিধা এবং মাসিক ভাতারও সুবিধা রয়েছে। এশিয়ার দেশটিতে অধ্যয়নের এমন সুবর্ণ সুযোগ বাংলাদেশি মেধাবীদের জন্যও অফুরন্ত সম্ভাবনার নামান্তর। চলুন, চীনের শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি স্কলারশিপের ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেই।
২০২৫ সালে চীনের উচ্চশিক্ষায় শীর্ষ ১০টি স্কলারশিপ
.
সিএসসি স্কলারশিপ (CSC Scholarship)
এই বৃত্তি প্রকল্পটির পূর্ণরূপ Chinese Scholarship Council। এর মাধ্যমে বিদেশি শিক্ষার্থীরা চীনের ২৮০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক, মাস্টার্স এবং পিএইচডি অধ্যয়নের সুযোগ পান। চীনা সরকার এই স্কলারশিপের অধীনে শিক্ষার্থীদের আবাসন ও মৌলিক স্বাস্থ্য বীমা প্রদান করে থাকে। প্রদেয় মাসিক ভাতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৫০০ চাইনিজ ইউয়ান, যা বাংলাদেশি টাকায় ৫৮ হাজার ৬৪৫ টাকার (১ চাইনিজ ইউয়ান = ১৬ দশমিক ৭৬ বাংলাদেশি টাকা) সমতূল্য।
ইতোমধ্যে যে শিক্ষার্থীরা চীনের কোনও বৃত্তি পেয়েছে তাদের জন্য CSC Scholarship প্রযোজ্য নয়।
এর আবেদনের জন্য নিবন্ধন করতে হবে সিএসসি পোর্টালে-(https://studyinchina.csc.edu.cn/?S8cMF5lUCwGD=1742626962725#/register)। অতঃপর যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ইচ্ছুক সেখানে পৃথকভাবে আবেদন জমা দিতে হবে।
আরো পড়ুন: নিউজিল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
তিয়াঞ্জিন গভর্ণমেন্ট স্কলারশিপ (Tianjin Government Scholarship)
একক ভাবে নান্কাই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীদেরকে দেয়া হয় তিয়াঞ্জিন গভর্ণমেন্ট স্কলারশিপ। স্নাতক, মাস্টার্স ও পিএইচডি লেভেলের জন্য উন্মুক্ত এই প্রকল্পে মাসিক সর্বোচ্চ ২ হাজার ইউয়ান (৩৩ হাজার ৫১১ টাকা) পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
আবেদনের শেষ সময় সাধারণত মে মাসের শেষের দিকে হয়ে থাকে। আবেদনকারীদেরকে https://tju.at0086.cn/StuApplication/Login.aspx লিঙ্কের মাধ্যমে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে। নান্কাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির চূড়ান্ত অনুমোদনই শিক্ষার্থীদের Tianjin Government Scholarship প্রাপ্তির প্রধান মাপকাঠি। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে- https://sie.tju.edu.cn/en/jxj/tjszfjxj/ লিঙ্কে।
সাংহাই গভর্ণমেন্ট স্কলারশিপ (Shanghai Government Scholarship)
চীনের প্রাদেশিক সরকার কর্তৃক পরিচালিত অনুদানগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে এই সাংহাই গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ। পিএইচডি, মাস্টার্স, এবং নূন্যতম স্নাতকের ক্ষেত্রে প্রদানকৃত এই অনুদান তিনটি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত। টাইপ এ (মাস্টার্স বা পিএইচডি), টাইপ বি (স্নাতক), এবং টাইপ সি (দীর্ঘমেয়াদী উচ্চতর অধ্যয়ন, যেমন চীনা ভাষা কোর্স)।
সাংহাই সরকার এগুলোর মধ্যে দুই ক্যাটাগরিতে স্কলারশিপ প্রদান করে। টাইপ এ’তে ফুল ফান্ডিং দেয় (ভর্তি ফি, আবাসন, চিকিৎসা বীমা এবং মাসিক ভাতা প্রদান) এবং টাইপ বি’তে আংশিক ফান্ডিং (শুধুমাত্র টিউশন ফি ও স্বাস্থ্য বীমা।
আরো পড়ুন: জাপানে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
Shanghai Government Scholarship চীনা ভাষা কোর্সের মতো দীর্ঘমেয়াদী কোনও অধ্যয়নের জন্য প্রযোজ্য নয়।
ডিগ্রী বিশেষে স্কলারশিপের মূল্যমান ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ ইউয়ান (৪১ হাজার ৮৮৯ থেকে ৫৮ হাজার ৬৪৫ টাকা) পর্যন্ত।
আবেদনের সাধারণ সময় জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত এবং আবেদনের প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে- https://www.study-shanghai.cn/c.asp?action=AS_SS_Entry।
বেইজিং গভর্ণমেন্ট স্কলারশিপ (Beijing Government Scholarship)
চীনের প্রাদেশিক সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত প্রথম স্কলারশিপ কর্মসূচি হচ্ছে এটি। সরাসরি বেইজিং সরকার থেকে হওয়া এই অর্থায়নের একমাত্র সুবিধাভোগী হচ্ছে পিএইচডি, মাস্টার্স ও স্নাতক শিক্ষার্থীরা।
স্কলারশিপের আওতায় প্রদেয় আর্থিক সহায়তার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৪০ হাজার ইউয়ান (৬ লাখ ৭০ হাজার ২২৬ টাকা)। সাধারণত প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে জুনের মধ্যে আবেদন কার্যক্রম শেষ করা হয়।
আরো পড়ুন: সুইডেনে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
Beijing Government Scholarship প্রদানকারী সুনির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকা পাওয়া যাবে- https://english.beijing.gov.cn/studyinginbeijing/choices/-লিঙ্কে। এখান থেকে একটি বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনের পর তৎসংলগ্ন ওয়েবসাইটেই পাওয়া যাবে আবেদনের প্রক্রিয়া।
হুবেই গভর্ণমেন্ট স্কলারশিপ (Hubei Government Scholarship)
এই স্কলারশিপটিও স্নাতক, মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য। স্নাতক শিক্ষার্থীরা বছরে ১০ হাজার ইউয়ান (১ লাখ ৬৭ হাজার ৫৫৬ টাকা) এবং মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরা ১৫ হাজার ইউয়ান (২ লাখ ৫১ হাজার ২৩৫ টাকা)। পিএইচডি শিক্ষার্থীরা পান ২০ হাজার ইউয়ান (৩ লাখ ৩৫ হাজার ১১৩ টাকা)। সাধারণ গবেষণা স্কলারশিপ হিসেবে বিভিন্ন মেয়াদের ভিত্তিতে ৫ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ২০ হাজার ইউয়ান (৮৩ হাজার ৭৭৮ থেকে ৩ লাখ ৩৫ হাজার ১১৩ টাকা) প্রদান করা হয়ে থাকে।
স্কলারশিপের জন্য আবেদন গ্রহণ করা হয় প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে। আবেদনের জন্য Hubei Government Scholarship প্রদানকারী বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করার পর সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
আরো পড়ুন: অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
সিআইএস স্কলারশিপ (CIS Scholarship)
শিক্ষা খাতে এই সরকারি প্রকল্পটির পূর্ণরূপ Confucius Institute Scholarship। এর আওতাভূক্ত প্রোগ্রামগুলোর মধ্যে রয়েছে- চীনের বাইরের শিক্ষার্থীদের জন্য পিএইচডি গবেষণা, গবেষণামূলক সফর, আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ, এবং চীনা ভাষা ও সংস্কৃতি কোর্স। ১৫০টিরও বেশি চীনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই আর্থিক সুবিধা গ্রহণের ব্যবস্থা রয়েছে।
CIS Scholarship-এ টিউশন ফি, আবাসন ব্যয়, চিকিৎসা বীমা এবং মাসিক ভাতা অন্তর্ভূক্ত। স্নাতক বা চীনা ভাষা ও সংস্কৃতি কোর্স গ্রহণকারীরা মাসিক ২ হাজার ৫০০ ইউয়ান (৪১ হাজার ৮৮৯ টাকা) পেয়ে থাকেন। মাস্টার্স পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে মাসিক ৩ হাজার ইউয়ান (৫০ হাজার ২৬৭ টাকা)।
সাধারণত মে এবং নভেম্বর মাসের শুরুর দিকে দুটো পৃথক শিডিউলে আবেদন গ্রহণ করা হয়। অনলাইন আবেদনের সাইট: http://www.chinese.cn/page/#/pcpage/project_detail।
ইউনান প্রোভিন্সিয়াল গভর্ণমেন্ট স্কলারশিপ (Yunnan Provincial Government Scholarship)
বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের অধীনে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এই স্কলারশিপ। এর নেপথ্যের প্রতিষ্ঠান হচ্ছে সিএসসি। এই ব্যবস্থায় স্নাতক, মাস্টার্স, ডক্টরেট, প্রশিক্ষণ ও স্বল্পমেয়াদী কোর্সের জন্য আবেদন করা যায়।
আরো পড়ুন: সুইজারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
ফুল ফান্ডিং-এর এই প্রকল্পে রয়েছে টিউশন ফি মওকুফ, বিনামূল্যে অন-ক্যাম্পাস আবাসন, মাসিক ভাতা এবং চিকিৎসা বীমা ও সুরক্ষা সুবিধা। সাধারণত এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত চলে আবেদন গ্রহণ কর্মসূচী।
Yunnan Provincial Government Scholarship-এ আবেদনের প্ল্যাটফর্ম ইউনান নরমাল ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাই; http://ynnu.at0086.cn/student।
জিঞ্জিয়াং উইঘুর অটোনমাস রেজিন গভর্ণমেন্ট স্কলারশিপ (Xinjiang Uygur Autonomous Region Government Scholarship)
স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল সরকার পরিচালিত এই বৃত্তি প্রকল্পে ব্যাচেলর, মাস্টার্স ও পিএইচডির পাশাপাশি চীনা ভাষা কোর্সও বিনা খরচে অধ্যয়ন করা যায়। পূর্ণ অর্থায়নের এই সুবিধায় জীবনযাত্রার ভাতা, আবাসন, চিকিৎসা বীমা ও টিউশন ফি অন্তর্ভূক্ত।
সাধারণত এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ থাকে। স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটির অধীনে নির্ধারিত কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের সবগুলো বিষয়ের জন্য এই আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়। এই তথ্যসহ স্কলারশিপের যাবতীয় কার্যক্রমের জন্য রয়েছে স্বতন্ত্র স্কলারশিপ ম্যানেজমেন্ট ইন্ফরমেশন সিস্টেম।
আরো পড়ুন: থাইল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, পড়াশোনার খরচ, ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
এই সিস্টেম (http://studyinchina.csc.edu.cn/#/register) Xinjiang Uygur Autonomous Region Government Scholarship-এর আবেদনের জন্য নিবেদিত প্ল্যাটফর্ম। একই ভাবে আবেদন জমা দিতে হয় জিঞ্জিয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (http://xju.at0086.cn/StuApplication/Login.aspx)।
নাঞ্জিং গভর্ণমেন্ট স্কলারশিপ (Nanjing Government Scholarship)
এই সরকারি স্কলারশিপটি বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য স্নাতক ও মাস্টার্স পর্যায়ে আংশিক ফান্ডিং দেয়। এর পাশাপাশি অন্য কোনো সংস্থার বৃত্তি একত্রে গ্রহণ করার নিয়ম নেই।
Nanjing Government Scholarship শুধুমাত্র নাঞ্জিং ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে দেয়া হয়। স্নাতক শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি একাডেমিক বছরে সরকার থেকে আসে ১০ হাজার ইউয়ান (১ লাখ ৬৭ হাজার ৫৫৬ টাকা)। অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অতিরিক্ত সহায়তা হিসেবে আসে ৫ হাজার ইউয়ান (৮৩ হাজার ৭৭৮ টাকা)।
মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরা সরকারের পক্ষ থেকে প্রতি বছর ২০ হাজার ইউয়ান (৩ লাখ ৩৫ হাজার ১১৩ টাকা) করে পান। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় তাদের শুধু জীবনযাত্রার ব্যয়টা মওকুফ করে।
আরো পড়ুন: ইতালিতে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
আবেদন কার্যক্রম অব্যাহত থাকে সাধারণত এপ্রিল মাসের মধ্যভাগ পর্যন্ত। প্রার্থীদের আবেদন গ্রহণ করা হয় https://nuist.17gz.org/member/login.do ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। এ সময় প্রোগ্রাম হিসেবে নির্বাচন করতে হয় ‘চাইনিজ লোকাল গভর্ণমেন্ট স্কলারশিপ’।
ইয়াংঝৌ ইউনিভার্সিটি স্কলারশিপ (Yangzhou University Scholarship)
এই বৃত্তির ম্যাধমে ইয়াংজৌ ইউনিভার্সিটি তাদের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া বৈশ্বিক ছাত্রছাত্রীদের পূর্ণ অর্থায়ন নিশ্চিত করে। একাডেমিক ডিগ্রীগুলোর মধ্যে রয়েছে স্নাতক, মাস্টার্স এবং পিএইচডি। এই প্রকল্পের মধ্যে সুবিধা হিসেবে রয়েছে টিউশন ফি মওকুফ, আবাসন ও মাসিক ভাতা।
প্রার্থীদের জানুয়ারি থেকে মে মাসের মাঝামাঝিতেই শেষ করতে হয় যাবতীয় আবেদন প্রক্রিয়া।
Yangzhou University Scholarship-এ স্নাতক পর্যায়ে শুধুমাত্র আবাসনের ব্যয় ও টিউশন ফি মওকুফ করা হয়। মাস্টার্সে টিউশন ও আবাসন ব্যয় ছাড়াও রয়েছে প্রতি মাসে ১ হাজার ৫০০ ইউয়ান (২৫ হাজার ১৩৩ টাকা) করে জীবিকা ভাতা। এটি চলে ১০ মাস পর্যন্ত।
আরো পড়ুন: রাশিয়ায় উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্কলারশিপসহ ও আনুষঙ্গিক খরচ
পিএইচডিতে টিউশন ও আবাসন ব্যয়ের পাশাপাশি গবেষকরা মাসে ২ হাজার ৫০০ ইউয়ান (৪১ হাজার ৮৮৯ টাকা) পর্যন্ত জীবিকা ভাতা পেয়ে থাকেন। এর স্থায়ীত্বকাল ১০ মাস পর্যন্ত।
পূর্ণ আবেদন সম্পন্ন করার জন্য প্রার্থীদের যেতে হবে-https://yzu.at0086.cn/StuApplication/Login.aspx ওয়েবসাইটে।
পরিশিষ্ট
এই ১০টি চায়না স্কলারশিপ চীনের শিক্ষা খাতে দেশটির সরকারের অবদানকে অর্থবহ করে তুলেছে। বৃত্তি প্রকল্পগুলোর প্রত্যেকটিই ব্যাচেলর থেকে শুরু করে পিএইচডি পর্যন্ত সকল পর্যায়ের মেধাবীদের জন্য প্রযোজ্য।
তন্মধ্যে সরাসরি প্রধান সরকারি প্রকল্পভূক্ত হচ্ছে সিএসসি এবং সিআইএস স্কলারশিপ। তিয়াঞ্জিন, শাংহাই, বেইজিং, হুবেই, ইউনান প্রভিন্সিয়াল, জিঞ্জিয়াং উইঘুর অটোনমাস রেজিন এবং নাঞ্জিং গভর্ণমেন্ট স্কলারশিপগুলো পরিচালিত হয় প্রাদেশিক সরকারের অধীনে। তালিকার একমাত্র বেসরকারি উদ্যোগ হচ্ছে ইয়াংঝৌ ইউনিভার্সিটি স্কলারশিপ।
আরো পড়ুন: লিথুয়ানিয়ায় উচ্চশিক্ষা: ভর্তি, ভিসা, অধ্যয়ন খরচ ও স্কলারশিপসহ নানাবিধ সুবিধা
সর্বসাকূল্যে, এই চাইনিজ স্কলারশিপগুলোর যে কোনওটি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা গ্রহণের পথে উৎকৃষ্ট বাহক।
২৫ দিন আগে
রোগীদের প্রথম দল সোমবার চীন যাচ্ছেন
উন্নত চিকিৎসাসেবা নিতে বাংলাদেশি রোগীদের প্রথম দল সোমবার চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে। উন্নত চিকিৎসা সেবার দেওয়ার জন্য উভয় দেশের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে রোগীরা দেশটিতে যাচ্ছেন।
প্রথম ব্যাচে ১১ জন রোগী থাকতে পারে জানিয়ে একজন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, তারা ১০ মার্চ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন।
ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এদিন দুপুর ১২টায় বিমানবন্দরের সিআইপি বহির্গমন টার্মিনালে সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন।
এ সময় সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রোগী, চিকিৎসক ও ট্রাভেল এজেন্সির প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।
এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, চীনের ইউনান প্রদেশের তিনটি শীর্ষ পর্যায়ের হাসপাতালকে বিশেষভাবে বাংলাদেশি রোগীদের গ্রহণের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
রাজধানীর চীনা দূতাবাসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'সব প্রচেষ্টা যদি সুষ্ঠুভাবে অব্যাহত থাকে, তবে চলতি বছরের মার্চের প্রথম দিকে বাংলাদেশি রোগীদের প্রথম দল চীনে চিকিৎসা নিতে পারে।’
আরও পড়ুন: শিগগিরই চীন, থাইল্যান্ড ও জাপান সফরে যাবেন ড. ইউনূস
তিনি বলেন, উভয় দেশের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো চিকিৎসা সেবা ব্যবস্থা উন্নত করতে কাজ করছে। এর অংশ হিসেবে ভিসা প্রক্রিয়া সহজতর করা, চিকিৎসা প্রক্রিয়া স্পষ্ট করা এবং অনুবাদ দল গঠনসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিগুলো সম্পন্ন করছে।
পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন তার সাম্প্রতিক চীন সফরকালে জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদারের প্রস্তাব দিয়েছিলেন এবং চীনকে চীনকে অনুরোধ করেন যেন—বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা সেবা চীনে সহজতর করা হয় এবং সহায়তাপ্রাপ্ত হাসপাতাল প্রকল্পগুলো যথাযথ বিবেচনা করে।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও সর্বোচ্চ মানের সেবা দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বলেন, 'চীন এসব প্রস্তাবকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়।’
৩৮ দিন আগে
কানাডা-মেক্সিকোর পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর, ঘোষণা ট্রাম্পের
অবশেষে প্রতিবেশী কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর করার ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৪ মার্চ) থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।—খবর এপির।
তবে কানাডার তেল ও জ্বালানি পণ্য এই শুল্কের আওতায় পড়বে না বলে জানানো হয়েছে। এসব পণ্যের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ হারে শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া, গতমাসে চীনা পণ্যে আরোপিত ১০ শতাংশ শুল্ক দ্বিগুণ করার আদেশও একই সঙ্গে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।
ট্রাম্পের আরোপিত শুল্কের জবাবে ২১ দিনের মধ্যে ১০০ বিলিয়নেরও বেশি মার্কিন পণ্যে পাল্টা শুল্কারোপের ঘোষণা দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তবে মেক্সিকো তাৎক্ষণিকভাবে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানায়নি।
ট্রাম্পের অতিরিক্ত শুল্কারোপের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পোল্ট্রি পণ্যে অতিরিক্ত ১৫ শতাংশ শুল্কারোপের ঘোষণা দিয়েছে চীন। আজ (মঙ্গলবার) দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রী জানিয়েছে, আগামী ১০ মার্চ থেকে এই শুল্ক কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: মেক্সিকো ও কানাডার পণ্যে শুল্কারোপ করতে যাচ্ছেন ট্রাম্প
এদিকে, চীনের পার্লামেন্টের মুখপাত্র লু কুয়ানজিয়ান এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, এই বাণিজ্য যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত চীনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত বিশ্বজুড়ে বানিজ্যযুদ্ধ উসকে দেওয়ার পাশাপাশি মূল্যস্ফিতিও বাড়াবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিবিদরা ট্রাম্পকে এ বিষয়ে সতর্ক করলেও তা পাত্তা দেননি তিনি। শুল্ক আরোপ করেই তিনি আমেরিকার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তুলবেন বলে তার ধারণা। তবে খোদ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির বিশেষজ্ঞরাই মনে করেন এতে সমস্যা কমার বদলে আরও বাড়বে।
এর আগে গতমাসের শুরুতে দেশ দুটির ওপর কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন ট্রাম্প, যা কার্যকর হওয়ার কথা ছিল ১ মার্চ। পরবর্তীতে ৩০ দিনের জন্য ওই আদেশ স্থগিত করা হয়।
৪৪ দিন আগে
বাংলাদেশ থেকে ইলিশ নিতে চায় চীন
বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ‘রূপালি ইলিশ’ আমদানি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীন। ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠককালে তারা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
এ সময় বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, চীন বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার ও বন্ধুত্বপ্রতীম দেশ। অধিক বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও চীনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার সুযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশে কৃষি, পরিবহন, কৃষি-যন্ত্রপাতি ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে চীনা বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান জানান উপদেষ্টা। বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য ব্যবধান বিশাল। তিনি বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানি বৃদ্ধি এবং আমদানিকৃত পণ্যের ওপর সকল ধরণের শুল্ক হ্রাস করার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে সেখ বশির উদ্দিন বলেন, এ দেশে ট্রাক উৎপাদন কারখানা স্থাপন এবং কৃষির আধুনিকীকরণে বিনিয়োগ উভয় দেশের জন্যই সুফল বয়ে আনবে।
চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘৩০টি চীনা কোম্পানি চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করার বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে।’
আরও পড়ুন: ১১ হাজার টন ইলিশ রপ্তানি হবে সৌদি আরব ও আমিরাতে
‘চীনে বাংলাদেশি ইলিশ মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ইলিশ মাছ রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর সুযোগ রয়েছে।’
এ সময় প্রাথমিকভাবে ১ হাজার টন ইলিশ আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, চীন বাংলাদেশ থেকে আম, কাঁঠাল ও পেয়ারা আমদানি করতে এবং বাংলাদেশে এসব খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে চায়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আব্দুর রহিম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
৪৮ দিন আগে
চীনে ভূমিধসে নিখোঁজ ২৯
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সিচুয়ান প্রদেশে ভূমিধসে শনিবার নিখোঁজ হয়েছেন ২৯ জন। রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির কর্তৃপক্ষ এই তথ্য জানায়।
স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে ইবিন শহরের জুনলিয়ান কাউন্টির জিনপিং গ্রামে এই ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, নিখোঁজদের সংখ্যা যাচাই করা হচ্ছে। শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত ভূমিধসে ১০টি আবাসিক বাড়ি ও একটি উৎপাদন কারখানার ভবন চাপা পড়েছে।
গুরুতর ও একজন সামান্য আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে জুনলিয়ানের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলে বন্যা ও ভূমিধসে নিহত ৭
অবিরাম বৃষ্টিপাত এবং ভূতাত্ত্বিক অবস্থার কারণে, উঁচু স্থানের ধ্বংসাবশেষ গড়িয়ে স্রোতে রূপান্তরিত হয়েছে। এই ধ্বংসাবশেষের ঢল প্রায় ১ দশমিক ২ কিলোমিটার পর্যন্ত ছড়িয়েছে। এটির মোট আয়তন ১ লাখ ঘনমিটারেরও বেশি।
ভূমিধসের আকার প্রায় ১০ থেকে ২০ মিটার পুরু এবং প্রায় ১০০ মিটার চওড়া। ভূমিধস এখনও অব্যাহত রয়েছে।
সিচুয়ানে সামরিক বাহিনী, সশস্ত্র পুলিশ, অগ্নিনির্বাপক, জরুরি উদ্ধারকর্মী, পরিবহন, চিকিৎসা, টেলিযোগাযোগ এবং অন্যান্য বাহিনীর ৯৪৯ জন কর্মীকে উদ্ধার প্রচেষ্টা পরিচালনা বা সহায়তা কার্যক্রমে নিয়োজিত করা হয়েছে।
এছাড়াও, উদ্ধার মূল্যায়ন, অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান এবং জরুরি তদন্তে ইঞ্জিনিয়ারিং উদ্ধার সরঞ্জাম এবং জরুরি সামগ্রী পাঠানো হয়েছে।
২০০ জনেরও বেশি দুর্গতকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং ১৫৫ জনকে জুনলিয়ানের একটি স্কুলের অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ৩০টি জরুরি জেনারেটর, ১০০টি সুতির তাঁবু, ৪০০ শয্যা এবং ১ হাজার ১০০ কুইল্ট মোতায়েন করেছে- যাতে খাদ্য, আশ্রয় এবং গরম করার মতো প্রয়োজনীয় চাহিদা নিশ্চিত করা যায়। অবশিষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুবান্ধবদের থাকার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে।
চলমান তাপমাত্রা হ্রাস, অবিরাম বৃষ্টিপাত এবং ভূমিধসের পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জিনপিং গ্রাম এবং আশেপাশের অঞ্চলে বিপদজনক অঞ্চল নির্ধারণ করেছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভূমিধসের উভয় পাশের পাহাড়ি ঢালের বিষয়ে রিয়েল-টাইম পর্যবেক্ষণও বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ছোট আকারের বিপর্যয় রোধ এবং চলমান উদ্ধার অভিযানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জরুরি সরিয়ে নেওয়ার রুট এবং সংকেত রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার বালিতে ভূমিধসে নিহত ৫
৬৭ দিন আগে
দেশের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে ভারত-চীনকে বাঁধ নির্মাণের আহ্বান উপদেষ্টার
ভারতের অরুণাচল প্রদেশের সিয়ান নদী ও চীনের তিব্বত সীমান্তে বাঁধ নির্মাণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে বাঁধ নির্মাণের আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেছেন, ‘একদিকে পদ্মার অন্যদিকে তিস্তার পানি কমে গিয়েছে। এখন যদি ব্রহ্মপুত্রের পানি কমে যায় তাহলে বাংলাদেশের বৈশিষ্ট্য হারিয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘কাজেই উভয় দেশের কাছে আমরা চাইব, আমাদের দেশের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে কাজ করে সে বিষয়ে নিশ্চিত করা হবে।’
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের সার্কিট হাউজের কক্ষে প্রতিষ্ঠানটির বোর্ড সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ভারতের অরুণাচল প্রদেশের সিয়ান নদী ও চীনের তিব্বত সীমান্তে বাঁধ নির্মাণের ক্ষেত্রে দেশে পানি সংকট ও খড়ায় কোনো প্রভাব পড়বে কি-না? এমন প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, চীনের তিব্বতে সর্ববৃহৎ জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের প্রকল্পের বিষয়ে তথ্য চেয়ে চীনকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে। সে পরিপ্রেক্ষিতে চীন আমাদের বলেছেন, তাদের এই প্রকল্পে লোআর রিপারিয়ান (নিম্ন জলজ ভূমি এলাকা) দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
তারপরও আমরা পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে তারা যেন তথ্য-উপাত্ত চায়। অন্যদিকে ভারতে যেখানে বাঁধ নির্মাণের কথা বলা হচ্ছে, সেখানে অভ্যন্তরীণ বিরোধ রয়েছে।
নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের নতুন কাজের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, নদী গবেষণাকে কয়েকটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যেটা তাদের ভিজিবিলিটি বাড়াতে সহায়তা করবে। যেমন শিল্পপ্রবণ এলাকায় নদী কি পরিমাণ দূষিত হয়ে থাকে, ঢাকার বড় বড় নদীগুলো দূষণের বিষয়ে জিপিএস পয়েন্ট দিয়ে এই প্রতিষ্ঠান জানাবে। তাহলে দাতা সংস্থা থেকে লোন নিয়ে কাজ করার প্রয়োজন হবে না।
এছাড়া নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর ইকোসিস্টেমের ওপর কি ধরনের প্রভাব পড়বে এবং ওই বিষয়ে এড়িয়ে চলার ক্ষেত্রে এই প্রতিষ্ঠানকে কাজ করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে রাজনৈতিক মেঘ কেটে গেছে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা
তিনি আরও বলেন, কিছু কিছু গবেষণা সরকারি পর্যায়ে হয়ে থাকে। সে গবেষণাগুলো দেখা যায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা অন্যান্য সংস্থা দিয়ে করিয়ে থাকে। কিন্তু আজ সিদ্ধান্ত হয়েছে যেখানে এই প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা রয়েছে সেখানে কাজ করতে বলা হবে এবং সেটা সরকারি যে সংস্থা যাকেই চুক্তি দেওয়া হোক না কেন সে বিষয় চুক্তিপত্রে লেখা থাকবে।
অপরদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের সহিংসতার ক্ষেত্রে সকলকে ধর্য্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন সৈয়াদা রিজওয়ানা হাসান।
এ সহিংসতার পেছনে কোনো উসকানি রয়েছে কিনা সে বিষয়ে সরকারি সংস্থা কাজ করছে বলে তিনি জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক এস এম আবু হুরায়রা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক তাহমিদুল ইসলাম, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ, ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্লা।
৭৯ দিন আগে