চীন
চীনে ছুরিকাঘাতে নিহত ৮
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় উক্সি শহরের একটি কারিগরি স্কুলে শনিবার ছুরিকাঘাতে আটজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও ১৭ জন আহত হয়েছেন বলে জানায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উক্সির ছোট শহর ইক্সিংয়ে উক্সি ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট অব আর্টস অ্যান্ড টেকনোলজিতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানায় ইক্সিং পুলিশ।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওই স্কুলের শু নামে ২১ বছর বয়সি এক শিক্ষার্থীকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কর্তৃপক্ষ জানায়, শু পরীক্ষায় ফেল করেছেন।। এছাড়া স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে না পারা এবং তার ইন্টার্নশিপের বেতন পরিশোধ নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন। তারা বলেছেন, শু হতাশ হয়ে সহিংস এ হামলা চালান।
আরও পড়ুন: লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ১১
পশ্চিমা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে, যেখানে ভুক্তভোগীরা রাস্তায় পড়ে রয়েছেন এবং পথচারীরা সাহায্য করার চেষ্টা করছেন।
অন্যদিকে, চীনের সামাজিকমিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো, যেমন উয়েবো, শুধু পুলিশের বিবৃতি প্রকাশ করেছে। কিন্তু ঘটনার কোননো ছবি বা ভিডিও নেই।
সংবেদনশীল বা রাজনৈতিক বিষয়বস্তুর ওপর চীনা সরকারের সেন্সরশিপের কারণে এমনটি হতে পারে। এছাড়া, চীনে গুগলসহ পশ্চিমা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং সার্চ ইঞ্জিনগুলোর প্রবেশাধিকার নেই। কারণ গ্রেট ফায়ারওয়াল নামে পরিচিত দেশের কঠোর ইন্টারনেট নিয়মকানুনের ফলে এই প্ল্যাটফর্মগুলো নিষিদ্ধ বা সীমাবদ্ধ থাকে।
এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে চীনে এটি দ্বিতীয় ভয়াবহ আক্রমণ। এর আগে দক্ষিণ চীনের ঝুহাইয়ে একটি ক্রীড়া কেন্দ্রে মানুষের ওপর গাড়ি তুলে দেন এক ব্যক্তি। ওই ঘটনায় ৩৫ জন নিহত এবং ৪৩ জন আহত হন।
অক্টোবর মাসে, এক ব্যক্তি বেইজিংয়ের একটি স্কুলে শিশুদের ছুরিকাঘাত করে পাঁচজনকে আহত করেন। সেপ্টেম্বর মাসে, সাংহাইয়ের একটি সুপারমার্কেটে ছুরিকাঘাতে হামলায় তিনজন নিহত এবং ১৫ জন আহত হন। সাংহাই হামলার সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি আর্থিক বিবাদের কারণে শহরে গিয়ে ওই হামলা চালান বলে বলা হয়েছে খবরে। একই মাসে, এক জাপানি স্কুলছাত্রকে শেনজেনে তার স্কুলে যাওয়ার পথে ছুরি মেরে হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুন: নেপালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৮
১ সপ্তাহ আগে
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বেইজিংয়ের আরও সক্রিয় ভূমিকা চায় ঢাকা
বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীনের আরও সক্রিয় ভূমিকা চেয়েছে কারণ ঢাকা মনে করে মিয়ানমারের ওপর চীনের অনেক প্রভাব রয়েছে।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীন বাংলাদেশকে সহযোগিতা করছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘মিয়ানমারের ওপর চীনের অনেক প্রভাব রয়েছে। এই বাস্তবতা মেনে নিতে হবে। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে আমরা চীনের আরও সক্রিয় ভূমিকা প্রত্যাশা করছি।’
রোহিঙ্গা সংকটকে বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, তাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) ঢাকায় এক সেমিনারে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, 'আমরা জানি একটিই সমাধান আছে- আর তা হলো তাদের (রোহিঙ্গাদের) নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে- মিয়ানমার।’আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোই একমাত্র সমাধান: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন কামনা করে হোসেন বলেন, অনেক সময় অন্য সমাধানের পরামর্শ দেওয়া হয়, কিন্তু সেসব সমাধানের কোনোটিই কার্যকর নয়।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের পুনরাবৃত্তি যেন না হয় এবং তাদের অধিকার ও নিরাপত্তা দিয়ে তাদের প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে হবে।
হোসেন জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ও চীন সবসময় একে অপরের সঙ্গে সমতার সঙ্গে আচরণ করে এবং একে অপরকে সমর্থন দিয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থান ও লাভজনক সহযোগিতার একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ সৃষ্টি করে।
চীনা দূতাবাস সেন্টার ফর চাইনিজ স্টাডিজ (এসআইআইএস-ডিইউ) এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) -এর সহযোগিতায় 'বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক: একটি ভবিষ্যতের দৃষ্টিভঙ্গি' শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: জরুরি সংস্কারের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির পথে ফিরতে পারে বাংলাদেশ: বিশ্ব ব্যাংক
এসআইআইএসের একাডেমিক অ্যাডভাইজরি কাউন্সিলের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইয়াং জিমিয়ান, বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা সম্পর্কিত শ্বেতপত্র কমিটির সভাপতি ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, বিআইআইএসএস’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ইফতেখার আনিস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত ও আন্তর্জাতিক সমাধানের গুরুত্ব তুলে ধরে সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এ সমস্যার সমাধান বাংলাদেশের একার পক্ষে সম্ভব নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হাতেও রয়েছে।
ঢাকার একটি হোটেলে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইউএনবির এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমরা বিষয়টি উত্থাপন অব্যাহত রাখব। মালয়েশিয়া আমাদের এ কাজে সহযোগিতা করবে। আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য অপেক্ষা করতে পারি না। এটি এমন একটি বিষয় যযা আমাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমাধান করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের এই সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। এবং আমরা আসিয়ানের মাধ্যমে, মালয়েশিয়ার সরকারের মাধ্যমে এবং বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মাধ্যমে একসঙ্গে কাজ করি।’
২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে আসিয়ানের পরবর্তী সভাপতি হতে যাচ্ছে মালয়েশিয়া।
সাত বছর আগে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।
বাংলাদেশ এখন কক্সবাজার ও ভাসানচরে ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিচ্ছে।
২০২৪ সালে মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থাগুলো রোহিঙ্গা শরণার্থী ও আশপাশের সম্প্রদায়ের বাংলাদেশিসহ ১৩ লাখ ৫০ হাজার মানুষকে সহায়তার জন্য ৮৫ কোটি ২০ লাখ ডলারের আবেদন করে।
ইউএনএইচসিআর’র মতে, এই আবেদনটির পরিপ্রেক্ষিতে এখন পর্যন্ত পর্যাপ্ত অর্থায়ন করা হয়নি।
আরও পড়ুন: সহযোগিতার গভীর সম্পর্কের 'ঐতিহাসিক সুযোগের' সম্মুখে ঢাকা-বেইজিং: রাষ্ট্রদূত
১ মাস আগে
বাংলাদেশে সোলার প্যানেল উৎপাদনে বিনিয়োগ এবং সম্পর্ক গভীর করতে আগ্রহী চীন
চীন বাংলাদেশে সোলার প্যানেল উৎপাদনে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করতে চায় তার দেশ।
নিউইয়র্ক সময় বুধবার বিকালে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সাইড লাইনে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ বিষয়ে জানান।
আরও পড়ুন: প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে কানাডা: ড. ইউনূসকে জাস্টিন ট্রুডো
বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, 'বাংলাদেশে সোলার প্যানেল উৎপাদনে যদি চীনা বিনিয়োগ আসে তাহলে এটি একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে কারণ এটি একটি বিশাল বিনিয়োগ এবং এটি বিপুল কর্মসংস্থানের সৃষ্টিতে সাহায্য করবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এই বিনিয়োগ থেকে লাভবান হবে এবং বাংলাদেশ হবে সোলার প্যানেলের প্রধান রপ্তানিকারক দেশ।
চীন বাংলাদেশের সঙ্গে 'সমন্বিত কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্ব' জোরদার করতে চায় বলে জানান প্রেস সচিব।
'চীনা জনগণের পুরনো বন্ধু' হিসেবে বর্ণনা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অধ্যাপক ইউনূসকে অভিনন্দন জানান চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি দেশকে ঐক্যবদ্ধ করবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আপনার ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। আপনি জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবেন।’
ওয়াং ই আরও বলেন, বাংলাদেশে সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে চীনা প্রস্তুতকারকদের প্রতি অধ্যাপক ইউনূসের আহ্বানকে চীন গুরুত্ব দেবে।
গত মাসে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলে তিনি এ আহ্বান জানান।
বেইজিং দুই দেশের কোম্পানিগুলোর মধ্যে বৃহত্তর সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বকে উৎসাহিত করবে বলে জানান চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সব পণ্যে শূন্য শুল্ক সুবিধা দেওয়া নিয়ে চীনের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশও লাভবান হবে।
আরও পড়ুন: সম্পর্কের ‘নতুন অধ্যায়’ শুরু করতে প্রধান উপদেষ্টাকে ইতালির প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
তিনি আরও বলেন, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে মারাত্মকভাবে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসার জন্য চীনের রেড ক্রস চিকিৎসকদের একটি দল পাঠিয়েছে।
চীন বাংলাদেশ থেকে আরও শিক্ষার্থীকে স্বাগত জানাবে বলে উল্লেখ করেন ওয়াং ই।
চীনের এই আগ্রহের জন্য ধন্যবাদ জানান অধ্যাপক ইউনূস। কোটি কোটি মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনতে চীনের 'বিস্ময়কর' প্রচেষ্টারও প্রশংসা করেন তিনি।
তিনি বলেন, চীনা সোলার প্যানেল কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বড় আকারে বিনিয়োগ করতে পারে, যা অনেক ধনী দেশের বাজারে প্রবেশাধিকারের সুযোগ করে দেবে।
এসময় অন্যান্য চীনা নির্মাতাদের বাংলাদেশে তাদের কারখানা স্থানান্তরের আহ্বান জানান অধ্যাপক ইউনূস।
এছাড়াও তিনি চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে 'নতুন অধ্যায়ের' শুরুর বিষয়ে জোর দেন।
পাশাপাশি দুই দেশের কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা চীনা কোম্পানিগুলোর সঙ্গে এক হয়ে কাজ করতে পছন্দ করব। আমাদের একসঙ্গে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সংস্কার এজেন্ডা এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে আইএমএফ: অধ্যাপক ইউনূসকে জর্জিয়েভা
১ মাস আগে
চীনের ৫ কোম্পানি এক মাসে ৮০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করেছে: ইয়াও ওয়েন
ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর গত এক মাসে চীনের পাঁচটি কোম্পানি ৮০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করেছে।
একটি সৌজন্য সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিন চীনের সঙ্গে বাংলাদেশসহ কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে এমন সব স্বল্পোন্নত দেশের শতভাগ শুল্ক সুবিধা প্রদানের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের জন্য চীনকে ধন্যবাদ জানান।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নবনিযুক্ত পররাষ্ট্র সচিব জসিমের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ করেন রাষ্ট্রদূত ইয়াও।
তিনি পররাষ্ট্র সচিবকে তার নিয়োগের জন্য অভিনন্দন জানান। চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে পররাষ্ট্র সচিবের অতীতের অবদানের কথা স্বীকার করে চীনের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সান ওয়েইডংয়ের একটি চিঠি হস্তান্তর করেন রাষ্ট্রদূত।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বাংলাদেশের সঙ্গে সুপ্রতিবেশীসুলভ আচরণ ও বন্ধুত্বের বিষয়ে চীনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, চীন ও বাংলাদেশের মধ্যকার বন্ধুত্ব ঐতিহাসিকভাবে গভীর। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় বিনিময় ও সহযোগিতা জোরদার করতে এবং 'ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্ব' আরও এগিয়ে নিতেবাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে চীন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাষ্ট্রদূত ইয়াও বাণিজ্য সমস্যার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, চীন আগামী বছর বাংলাদেশ থেকে আম আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছে।
পররাষ্ট্র সচিব কাঁঠাল ও পেয়ারাসহ আরও কয়েকটি কৃষিপণ্য আমদানির জন্য রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ জানান।
তিনি বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে মানুষে-মানুষে যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন ১৫০ অনিয়মিত বাংলাদেশি
বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার সুযোগ দিতে চীন প্রস্তুত বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত ইয়াও।
রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন বন্যা দুর্গতদের উদ্ধার অভিযানের জন্য নৌকা, বিদ্যুৎ জেনারেটর এবং লাইফ জ্যাকেটের মতো সরঞ্জামও সরবরাহ করতে চায়। পররাষ্ট্র সচিব জসিম চীনের উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
উভয় পক্ষ ২০২৫ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে যথাযথভাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানের একটি তালিকা প্রস্তুত করার বিষয়েও আলোচনা করেছে।
অভিন্ন স্বার্থের আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় ইস্যু এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে একে অপরের প্রার্থিতার প্রতি সমর্থনও তাদের আলোচনায় স্থান পায়।
বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক তৌফিক হাসানসহ ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন প্রতিনিধি দলের সফর: ঢাকা-ওয়াশিংটন বৈঠকে 'বহুমাত্রিক' আলোচনা
২ মাস আগে
বাংলাদেশে পানি ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণে সহায়তা বাড়াবে চীন: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
চীন বাংলাদেশে পানি ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণে সহায়তা বাড়াবে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, চীন দুই দেশের প্রযুক্তিগত সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণ বাড়ানোর প্রস্তাব এবং বন্যায় পানি সম্পর্কিত তথ্য ভাগাভাগির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের তদন্ত দলের প্রস্তাব অনুযায়ী পুলিশে সংস্কার আনা হবে: উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ও পরিবেশ উপদেষ্টার মধ্যে সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় দুই দেশের মধ্যে পানি ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ সুরক্ষায় সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
উপদেষ্টা বলেন, পানি ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা বাড়াতে যৌথ কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মাধ্যমে নদী ব্যবস্থাপনা, বন্যা প্রতিরোধ ও অবকাঠামো প্রকল্পে একসঙ্গে কাজ করা যাবে। পরিবেশ সুরক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় চীনের মতো বন্ধুরাষ্ট্রের সহযোগিতা জরুরি।
চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু এবং এই সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে।
নদী দূষণ নিয়ন্ত্রণ, সৌর শক্তি, বৈদ্যুতিক যানবাহন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও স্মার্ট পানি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
উপস্থিত ছিলেন- পরিবেশ ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবরা, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক এবং চীনা দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের জন্য তিন মাসব্যাপী বিশেষ ওএমএস কর্মসূচি গ্রহণ
সংস্কার এজেন্ডা না জেনে মেয়াদ নিয়ে কথা বলা যাবে না: উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান
২ মাস আগে
সুপার টাইফুন ইয়াগির আঘাতে চীনে ২ জনের মৃত্যু
সুপার টাইফুন ইয়াগির আঘাতে চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ প্রদেশ হাইনানে ভারী বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো বাতাসে অন্তত দুইজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৯২ জন। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দেশটির স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সরকারি তথ্যানুযায়ী, শনিবার সকাল পর্যন্ত ডিং'আন কাউন্টিতে দুজন, ওয়েনচ্যাং সিটিতে ১২ জন এবং হাইকু সিটিতে ৮০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বাতাস ও বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাইনান তার টাইফুন সতর্কতা হ্রাস করে এবং প্রদেশের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দ্রুত উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
১৫ লাখের বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ পুনস্থাপনে ২ হাজার ২০০ কর্মীকে মোতায়েন করা হয়েছে। শনিবার সকাল সাতটা নাগাদ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর এক-পঞ্চমাংশেরও বেশি গ্রিডের সঙ্গে পুনরায় সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: টাইফুন আম্পিল: টোকিওতে ট্রেন ও ফ্লাইট বাতিল
সড়ক মেরামতের কাজও চলছে। অবরুদ্ধ ৮৯টি প্রধান সড়কের মধ্যে এরই মধ্যে ৫১টি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
আশা করা হচ্ছে আজ বিকাল থেকে দ্বীপটিকে ঘিরে দ্রুতগতির রেল পরিষেবা পুনরায় শুরু হবে। আর রবিবার সন্ধ্যার মধ্যে কিয়াংঝো প্রণালীতে ফেরি পরিষেবা পুনরায় শুরু হবে।
টাইফুন ইয়াগির প্রভাব এখনো থাকার কারণে হাইকু মেইলান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রবিবার দুপুর পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে বন্ধ থাকবে। জনপ্রিয় পর্যটন শহর সানিয়া ফনিক্স আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর শনিবার সকাল ১০টা থেকে ধীরে ধীরে ফ্লাইট পরিষেবা পুনরায় শুরু করেছে।
এদিকে, উদ্ধারকারী দলগুলো যোগাযোগ পুনরুদ্ধারের জন্য দৌড়ঝাঁপ করছে। কারণ প্রদেশজুড়ে সাড়ে ১২ হাজারের বেশি বেস স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওয়েনচ্যাং সিটির যোগাযোগ পরিষেবাগুলো।
চলতি বছরের ১১তম টাইফুন সুপার টাইফুন ইয়াগি শুক্রবার চীনে প্রথমে হাইনান ও পরে গুয়াংডং প্রদেশে আঘাত হানে।
আরও পড়ুন: সুপার টাইফুন ‘ইয়াগির’ আঘাতের কারণে ৩০০ ফ্লাইট বাতিল করবে ভিয়েতনাম
২ মাস আগে
চীনের সঙ্গে সকল ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে: উপদেষ্টা
চীন আমাদের সবচেয়ে পুরোনো ও পরীক্ষিত বন্ধু জানিয়ে কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, চীনের সঙ্গে সকল ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আমরা আশাবাদী।
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের বন্যায় ৪০টিরও বেশি জেলায় ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটি কাটিয়ে উঠতে তিনি চীনের সহযোগিতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত মান্টিটস্কির সাক্ষাৎ
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎকালে চীনা রাষ্ট্রদূত জানান, বাংলাদেশ থেকে আম, কাঠাল, পেয়ারাসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফল আমদানিতে তাদের দেশ আগ্রহী।
এছাড়া কৃষি উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম আগামী মৌসুমে চীনে মৌসুমি ফল রপ্তানি করা হবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।
চীনা রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে চীনা নাগরিকদের নিরাপত্তা বিষয়ে উদ্বেগের কথা জানালে উপদেষ্টা তাদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিতের কথা জানান।
চীনের অর্থায়ন ও কারিগরি সহযোগিতায় চলমান প্রকল্পের অফিস, স্থাপনা- সামগ্রীর নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা থাকলেও উপদেষ্টা তা জানাতে বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব ড. মো. মাহমুদুর রহমান, যুগ্মসচিব মোসম্মত জোহরা খাতুন, চীনা দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর সং ইয়াং, হেড অব অ্যাডমিনেস্ট্রেশন জিয়ান ই, পুলিশ লেইজ্ন অফিসার ঝাঁও ই, পলিটিক্যাল এটাচে লিয়াং শুয়িং।
আরও পড়ুন: বন্যায় ২৭ জনের মৃত্যু, ক্ষতিগ্রস্ত ৫৬ লাখ ছাড়িয়েছে: উপদেষ্টা
ভারত ফারাক্কা খুলে দিলেও নতুন কোনো এলাকা প্লাবিত হয়নি: উপদেষ্টা
২ মাস আগে
চীন সফরে যাচ্ছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান আগামী ২৭ থেকে ২৯ আগস্ট চীন সফর করবেন।
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) কেন্দ্রীয় কমিটির পলিট ব্যুরোর সদস্য ও কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র কমিশনের কার্যালয়ের পরিচালক ওয়াং ই'র আমন্ত্রণে সুলিভান এই সফর করছেন।
শনিবার (২৪ আগস্ট) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং এই তথ্য জানিয়েছেন।
মাওয়ের মতে, দুই পক্ষ চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন করে আলোচনায় বসবে।
৩ মাস আগে
চীনে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, পড়াশোনার খরচ ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
সাশ্রয়ী অথচ উন্নত মানের শিক্ষায় শুধু ইউরোপই নয়; এগিয়ে রয়েছে এশিয়ার দেশগুলোও। পৃথিবীর বৃহত্তম এই মহাদেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোরও স্থান রয়েছে বিশ্বের প্রথম সারির বিদ্যাপীঠগুলোর তালিকায়। এগুলোর মধ্যে সর্বাপেক্ষা এগিয়ে চীনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। যুগ যুগ ধরে স্বতন্ত্র শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি ক্যারিয়ার গঠনের সুযোগ নিয়ে দেশটি স্বাগত জানিয়ে আসছে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের। চলুন, চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
কেন চীন উচ্চশিক্ষার অন্যতম সেরা গন্তব্য
সভ্যতা, শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ চীন। আর্থ-সামাজিক দিক থেকেও দেশটিতে জীবনধারণের মান এশিয়ার অন্যান্য দেশ থেকে অনেকটা উন্নত। দেশটির অপরাধ সূচক ২৪ দশমিক ৪ এবং শান্তি সূচক ২ দশমিক ১০১।
গোটা এশিয়ায় স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ পিকিং ইউনিভার্সিটি ওয়ার্ল্ড কিউএস র্যাংকিং-এ ১৭ নাম্বারে রয়েছে। সিংহুয়া ইউনিভার্সিটির অবস্থান ২৫ এবং ঝেজিয়াং ইউনিভার্সিটি রয়েছে ৪৪ নাম্বারে। ৫০তম স্থানে আছে ফুডান ইউনিভার্সিটি আর তার পরেরটি সাংহাই জিয়াও টং ইউনিভার্সিটি।
আরো পড়ুন: টোফেল পরীক্ষার নিবন্ধন করবেন যেভাবে
চীনে উচ্চশিক্ষায় আবেদনের পূর্বশর্ত
স্নাতকে ভর্তির জন্য ডিপ্লোমা, উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের সনদধারী হতে হবে। স্নাতকোত্তরের জন্য লাগবে ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রি। অপরদিকে স্নাতকোত্তর শেষ করে আবেদন করা যাবে পিএইচডির জন্য।
এমবিএর জন্য স্নাতকের পাশাপাশি দরকার হবে দুই বছর বা তার বেশি কাজের অভিজ্ঞতা।
অতিরিক্ত সংযুক্তি হিসেবে জিম্যাট বা জিআরই স্কোরের প্রয়োজন হতে পারে। কোনো কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রবেশিকা পরীক্ষা বা অনলাইন সাক্ষাৎকার নিতে পারে।
ইংরেজি ভাষা যোগ্যতার জন্য আইইএলটিএস একাডেমিক বা টোফেল আইবিটি আবশ্যক।
আরো পড়ুন: কীভাবে আইইএলটিএস পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করবেন?
চীনের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় এবং চাহিদাসম্পন্ন কোর্সের তালিকা
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যে চীনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সর্বাধিক বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে, সেগুলো হলো-
· পিকিং ইউনিভার্সিটি
· সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়
· ঝেজিয়াং ইউনিভার্সিটি
· ফুডান ইউনিভার্সিটি
· সাংহাই জিয়াও টং ইউনিভার্সিটি
· সিংহুয়া ইউনিভার্সিটি
· ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অব চায়না
· নানজিং ইউনিভার্সিটি
· সিচুয়ান ইউনিভার্সিটি
· হুয়াজং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি
আরো পড়ুন: কর্মক্ষেত্রে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উপায়
৩ মাস আগে
চীনে রপ্তানির অনুমোদন পেল বাংলাদেশি আম
বাংলাদেশি আম চীনে রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে দেশটির জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমস।
বাংলাদেশ থেকে আম আমদানির ক্ষেত্রে ফাইটোস্যানিটারি প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে শুক্রবার (২৬ জুলাই) চীনের জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমস এ ঘোষণা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বর্তমান সমস্যার স্থায়ী সমাধান চেয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ঢাকার ১৪টি বিদেশি মিশনের চিঠি
এর আগে, গত ১০ জুলাই বাংলাদেশ ও চীনের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে ‘প্রটোকল অব ফাইটোস্যানিটারি রিকোয়ারমেন্টস ফর এক্সপোর্টিং অব ফ্রেশ ম্যাঙ্গো ফ্রম বাংলাদেশ টু চায়না’ নামের একটি চুক্তি সই হয়।
সোমবার (২৯ জুলাই) ঢাকায় অবস্থিত চীনা দূতাবাস জানায়, এই ঘোষণাটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরের ফলাফল বাস্তবায়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বাংলাদেশের ভালো মানের আমের জন্য চীনে এটি বিশাল এক ভোক্তা বাজার সৃষ্টি করবে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের রপ্তানি বহুমুখীকরণ লক্ষ্য অর্জনেও এটি সহায়তা করবে।
দূতাবাস বলেছে, এটি দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতার পারস্পরিক লাভজনক ও উপকারী ফলাফলের প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্যগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরে।
আরও পড়ুন: সরকার প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের জবাবদিহির আওতায় আনবে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
৩ মাস আগে