এছাড়া আন্দোলনের মাধ্যমে নিরপেক্ষ প্রশাসনের অধীনে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের দাবি পূরণ করা হবে বলে জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা স্বচ্ছ নির্বাচন চাই, যার মাধ্যমে জনগণ তাদের পছন্দের সরকার প্রতিষ্ঠা করবে। কিন্তু সরকার পরিস্থিতি জটিল করেছে। আমাদের নেত্রীকে (খালেদা জিয়া) সাজা বাড়ানোর বিষয়টি জানানো হয়েছে। তিনি বলেছেন, কোনো কিছুর কাছেই তিনি মাথা নত করবেন না। কত বছর কারাগার দেয়া হয়েছে সেটা বিষয় নয়।’
গণঅনশন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেয়ার সময় বিএনপি নেতা আরো বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধ হয়ে বর্তমান শাসকদের পরাজিত করতে হবে।’
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সাজার রায়ের প্রতিবাদে দেশব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীতে ছয় ঘণ্টার গণঅনশন কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু হয়, শেষ হয় বিকাল সোয়া ৩টায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি এমাজউদ্দিন আহমেদের দেয়া পানি পান করে বিএনপি নেতা-কর্মীরা অনশন ভাঙেন।
পুলিশের কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে বিএনপির কয়েকশ’ নেতা-কর্মী এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।
এছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতা, বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীরা এই কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
দেশের অন্যান্য জেলা ও মহানগর শহরেও অনুরূপ কর্মসূচি পালন করা হয়।
খালেদার রায়ের প্রতিবাদে গত বুধবার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন করে বিএনপি। মঙ্গলবার দেশের সব জেলা সদর ও মহানগরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে তারা।
খালেদা জিয়াকে দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করার প্রতিবাদে গত সোমবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মানববন্ধনসহ দেশব্যাপী তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ আরও তিনজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। এছাড়া তাদের প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়।