তিনি বলেন, ‘সামাজিক সংগঠনগুলো মানববন্ধন এবং কালো পতাকা কর্মসূচি পালন করে ব্যাভিচারের প্রতিবাদ জানাতে। একজন রাজনৈতিক নেত্রীর মুক্তির জন্য মানববন্ধন কি যথেষ্ট? প্রতিবাদের ভাষা ওই জায়গায় (মানববন্ধন) সীমাবদ্ধ থাকার তো কোনো কারণ নাই।’
এক আলোচনা সভায় ব্ক্তব্য প্রদানকালে বিএনপি নেতা আরও বলেন, ‘শুধুমাত্র শান্তিপূর্ণ এবং ঘরোয়া রাজনৈতিক কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারব না। বিএনপির মতো দল যে আন্দোলন করার যোগ্যতা রাখে সেই আন্দোলন যতদিন পর্যন্ত না করবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত খালেদা জিয়াকে শেখ হাসিনা মুক্তি দেবে না।’
ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘অপরাজেয় বাংলাদেশ’ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করতে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দল নিশ্চয়ই আন্দোলনের ডাক দেবে। আর দল যদি ডাক না দেয় তাহলেও আমাদের-আপনাদের সবাইকে মাঠে নামতে হবে।’
বিএনপি নেতা বলেন, গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা পুনপ্রতিষ্ঠার জন্য একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনিবার্য। ‘সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য আমাদের অবশ্যই বর্তমান সরকারের পতন নিশ্চিত করতে হবে।’
ডেঙ্গুর প্রকোপ সম্পর্কে গয়েশ্বর বলেন, ডেঙ্গু নির্মূলে সরকার ও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।
‘ডেঙ্গু মোকাবিলায় সরকারের যে ব্যবস্থা নেয়ার কথা ছিল সেটা তারা নেয়নি। সরকার যথাসময়ে সঠিক ব্যবস্থা নিলে আজ ডেঙ্গুর এই অবস্থা হতো না,’ যোগ করেন তিনি।