বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বাংলাদেশে গুমের আতঙ্ক এখন সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। দুঃশাসন থেকে উৎপন্ন হয় গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার মতো মানবতাবিরোধী হিংস্রতা।’
গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক গুম দিবস উপলক্ষে তিনি এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।
গুমকে একদলীয় দুঃশাসনের নমুনা উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের গড়ে তোলা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পরিচয়ে বিরোধী দলের প্রতিবাদী নেতা-কর্মীদের তুলে নিয়ে যাওয়া এখন নিত্যকার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ‘তারা বিরোধী দল ও মতের মানুষদের অল্পদিন-দীর্ঘদিন অথবা চিরদিনের জন্যে নিখোঁজ করে দেয়।’
তিনি অভিযোগ করেন, বিরোধী দল শূন্য একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার জন্যই গুমকে পথের কাঁটা দূর করার প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, এ নৃশংস গুমের শিকার হয়েছেন সংসদ সদস্য ইলিয়াস আলী, সাইফুল ইসলাম হিরু ও চৌধুরী আলম, সুমন, জাকিরসহ অসংখ্য নেতা-কর্মী।
তিনি অভিযোগ করেন, গুম হওয়ার ঘটনায় মানুষ অজানা আশঙ্কায় ভুগছে। ‘যারা গুম হয়েছেন তাদের পরিবারের শোকসন্তপ্ত সদস্যরা প্রিয়জনদের ফিরে আসার অপেক্ষায় রয়েছেন। রাষ্ট্র সমাজে মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতার বোধ সৃষ্টির জন্যই গুমকে কৌশল হিসেবে ব্যবহার করে নিষ্ঠুর শাসকগোষ্ঠী।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, গুমের অব্যাহত পরিস্থিতিতে দেশে সৃষ্টি হয়েছে এক ভয়ঙ্কর নৈরাজ্য। জনসমর্থনহীন ও ভোটারবিহীন সরকারের টিকে থাকার অবলম্বনই হচ্ছে গুম।
তিনি বলেরন, ‘এ ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ অরাজকতার গভীর অন্ধকারে ডুবে যাবে। মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্পূর্ণভাবে বিপর্যস্ত হয়ে যাবে। আসুন, আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে ঐক্যবদ্ধ হই।’
ফখরুল বলেন, কেবলমাত্র একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রকৃত গণতান্ত্রিক সরকার গঠন হলেই গুম, অপহরণ, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ দূর হবে, জনজীবনে স্বস্তি ফিরে আসব।