গণফোরামের তিন নেতা- জগলুল হায়দার আফ্রিক, এএইচএম শফিকুল্লাহ ও মোস্তাক আহমেদ চিঠিটি নিয়ে রবিবার দুপুর ১২টার দিকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমণ্ডির কার্যালয়ে যান।
ইউএনবির সাথে আলাপকালে মোস্তাক আহমেদ জানান, তারা অফিস সহকারী মাসুদ আলাউদ্দিনের কাছে চিঠিটি হস্তান্তর করেছেন।
তিনি আরও জানান, চিঠিতে ড. কামাল হোসেন আগামী সাধারণ নির্বাচন বিষয়ে ঐক্যফ্রন্টের সাথে ছোট পরিসরে সংলাপের আয়োজন করতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এর আগে শনিবার রাতে ড. কামাল হোসেনের মতিঝিল চেম্বারে জোটের পরিচালনা কমিটি এক বৈঠক করে এবং তাতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পুনরায় চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈঠত শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তার (প্রধানমন্ত্রী) সাথে ১ নভেম্বর সংলাপ করেছিল এবং বৈঠকে আলোচনা হয়েছে যে আমাদের সাথে ছোট পরিসরে আবারও একটি সংলাপ হতে পারে। এর ওপর ভিত্তি করে প্রধানমন্ত্রীকে আগামীকাল (রবিবার) আরেকটি চিঠি দেয়া হবে।’
এর আগে শনিবার বিকালে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে ড. কামাল হোসেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার কাছে একটি চিঠি পাঠান। এতে চলমান সংলাপ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আগামী সাধারণ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না করতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) অনুরোধ জানানো হয়।
গত ১ নভেম্বর গণভবনে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের ২৩ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের সাথে ড. কামাল হোসেন নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের ২০ সদস্যের সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
সংলাপ শেষে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা বলেছিলেন, তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে তাদের সাত দফা দাবি তুলে ধরলেও সভা-সমাবেশ নিয়ে কিছু ভালো কথা শোনা ছাড়া সুনির্দিষ্ট কোনো সমাধান পাননি।
নির্বাচনের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে ড. কামাল হোসেনের দেয়া চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী ২৯ অক্টোবর আরেক চিঠি দিয়ে জোটের নেতাদের সংলাপে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।