মঙ্গলবার রাজধানীর বেইলি রোডে ড. কামাল হোসেনের বাসভবনে জোটের ঊর্ধ্বতন নেতাদের এক বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, তাদের বাকি দুটি কর্মসূচি হলো- শিগগিরই নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের এবং নির্বাচনকালে সহিংসতায় আক্রান্ত এলাকাগুলোতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সফর।
ফখরুল বলেন, জোটের ঊর্ধ্বতন নেতারা প্রথম সফরে সপ্তাহ খানেকের মধ্যে সিলেটের বালাগঞ্জে যাবেন। সেখানে তাদের জোটের এক কর্মী খুন হয়েছেন।
তবে জোট জাতীয় সংলাপ কখন আয়োজন করবে তা জানাননি ঐক্যফ্রন্ট মুখপাত্র।
এসময় ড. কামাল বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের সময় যা হয়েছে তা নিয়ে তারা বৈঠকে আলোচনা করেছেন। ‘আমরা উদ্বেগ জানিয়েছি যে আমাদের আশা ও প্রত্যাশা অনুযায়ী মানুষ নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারেনি।’
তিনি বলেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের নামে অন্যকিছু করেছে এবং তার ফল প্রকাশ করেছে। ‘এমন ফলের ভিত্তিতে একটি সরকারও গঠন করা হয়েছে।’
পরে ফখরুল জোটের একটি লিখিত বিবৃতি পাঠ করেন এবং অবিলম্বে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের নির্বাচনের ফলের কপি জোটকে দিতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতি দাবি জানান।
তিনি বলেন, তাদের কেন্দ্র ভিত্তিক নির্বাচনের ফলের কপি প্রয়োজন। যাতে তারা সেগুলো আদালতে উপস্থাপন করে প্রমাণ করতে পারেন যে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হয়নি।
‘বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা দৃঢ়ভাবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানাই,’ যোগ করেন তিনি।
জাতিসংঘ সনদ ও মানবাধিকার অনুযায়ী একাদশ সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের মানুষের মানবাধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে বলে দাবি করেন ফখরুল।
তার অভিযোগ, নির্বাচন কমিশন সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের মালিক জনগণের সাথে প্রতারণা করেছে।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ক্ষমতার ‘অপব্যবহার’ এবং সেনাবাহিনীকে ‘নিষ্ক্রিয়’ করে রেখে নির্বাচনকে ‘প্রহসনে’ পরিণত করা হয়েছিল।
ড. কামালের সভাপতিত্বে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আ স ম আবদুর রব, আবদুল কাদের সিদ্দিকী, মাহমুদুর রহমান মান্না, সুব্রত চৌধুরী ও মোস্তফা মহসিন মন্টুসহ ঐক্যফ্রন্টের ঊর্ধ্বতন নেতারা উপস্থিত ছিলেন।