তিনি বলেন, ‘১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে ভোটার ছিল ৩৭ শতাংশের বেশি। সেটি বাঙালি জাতির জন্য টার্নিং পয়েন্ট ছিল। বিএনপি নির্বাচনে এলে আরও ভালো ভোটার উপস্থিতি হতো। বিএনপি যেভাবে ভোট থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে, এভাবে পালাতে পালাতে রাজনীতি থেকে পালাতে হয় কিনা, সেই আশঙ্কা রয়েছে।’
সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘গতকাল তৃতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচন মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটার উপস্থিতি নিয়ে বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট থেকে প্রশ্ন তোলা হয়। বিএনপি নির্বাচনে এলে উপস্থিতি আরও ভালো হতো। তবে এখনো যা হয়েছে সন্তোষজনক। প্রথম ধাপে ৪৩ ও দ্বিতীয় ধাপে ৪১ শতাংশ হয়েছে। এবারেও ৪০ শতাংশের উপরে ভোট পড়েছে বলে জেনেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘পশ্চিম বাংলায় স্থানীয় নির্বাচনে ৩০ শতাংশ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। দু’বছর আগে কলকাতা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে রুপা গাঙ্গুলী সভা থেকে পালিয়ে ঘরে লুকিয়ে ছিলেন, আমাদের দেশে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ফখরুল বলেছেন সরকার বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট ভাঙার চেষ্টা করছে, তেল আর পানি এক হয় না, ঐক্যফ্রন্ট ডান-বামদের মিশ্রণে হয়েছে। এটি ভাঙতে উদ্যোগের দরকার নেই। আমরা চাই তারা টিকে থাকুক, গণতান্ত্রিক অবস্থা বজায় থাকুক।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির মধ্যে সিদ্ধান্তহীনতার অভাব রয়েছে। নির্বাচনে অংশ না নিয়ে আত্মহননের সিদ্ধান্ত এবং ভোটে অংশ নিলেও সক্রিয় না থাকা এটি বিএনপির বড় সমস্যা।’