তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ এখন এতটাই অভিশপ্ত সংগঠনে পরিণত হয়েছে যে বুয়েটের মতো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েও শুধু ছাত্রলীগের কারণে মেধাবীরা পরিণত হচ্ছে খুনিতে।’
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আরও অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর হোস্টেল ও হলগুলোতে টর্চার সেল গড়ে তুলেছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন যে ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন নয়। এ কথা বললেও দেখা যায় যে ছাত্রলীগের নেতা নির্বাচিত হয় প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রীয় ভবন গণভবনে বসে। আবার গণভবনে বসেই ছাত্রলীগের কোনো কোনো নেতার নেতৃত্ব কেড়ে নেয়া হয়।
রিজভী দাবি করেন, সরকার ভিন্নমতকে দমন করতে ছাত্রলীগকে অস্ত্র, রাম দা, হাতুড়ি ও লাঠিসোটা দিয়ে তাদের ব্যবহার করছে। ‘কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় সাধারণ ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের নিষ্ঠুরতা দেশের জনগণ এখনো ভুলেনি।’
তিনি সরকারকে সতর্ক করে দেন যে এখন জেগে উঠা ছাত্রসমাজ এসব অনাচার আর মেনে নেবে না।
বিএনপির এ নেতা অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ভারত সফরের সময় মানুষকে অন্ধকারে রেখে অনেক ‘দেশবিরোধী চুক্তি’ করেছেন।
ভারতের সাথে গত এক দশকে কী চুক্তি হয়েছে তা জনগণকে জানাতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে রিজভী বলেন, বিএনপি সমমর্যাদার ভিত্তিতে ভারতের সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায়।