তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, বাংলার মানুষ শেখ হাসিনাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে স্বাধীনতার চেতনা ও মূল্যবোধের পক্ষে ভোট দেবে।
মঙ্গলবার বিকালে সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নের জৈনপুর হুজুরের মাঠে এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ঐক্যফ্রন্টের প্রধান ড. কামাল হোসেনকে উদ্দেশ করে তোফায়েল বলেন, ‘ড. কামালের মতো লোক, যিনি বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন, তিনি আজকে নীতি পরিবর্তন করে ধানের শীষের দল নিয়েছেন। ধানের শীষ জামাতেরও প্রতীক, আবার ডা. কামাল হোসেনেরও প্রতীক। আমার কাছে লজ্জা লাগে। আমি তাকে ধিক্কার জানাই। ’
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য এবং ভোলা-১ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী তোফায়েল আরও বলেন, ‘আমার কাছে ক্ষমতা বড় না, এমপি বড় না। আমার কাছে বড় আত্মমর্যাদা। সম্মান নীতি, আদর্শ। আমি দল বদলালে মন্ত্রী হতে পারতাম। তার থেকেও বড় কিছু হতে পারতাম। জিয়াউর রহমান চেষ্টা করেছে, এরশাদ চেষ্টা করেছে। সাতবার জেলে গিয়েছি। ফাঁসির আসামির মতো আমাকে জেলের মধ্যে রাখা হয়েছে। কিন্তু আমি মাথা নত করিনি, নীতি পরিবর্তন করিনি। ’
পথসভায় তিনি ভোলাবাসীকে বলেন, আগামী নির্বাচনের পর ভোলা-বরিশাল ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে। তিন বছরের মধ্যে সেতু নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে। সেতুটি হলে খুব সহজেই মানুষ সড়ক পথে বরিশাল হয়ে অল্প সময়ে ঢাকা যেতে পারবে। ভোলাকে কেউ আর তখন বিচ্ছিন্ন জেলা বলতে পারবে না।
ভেলুমিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. আব্দুছ সালাম মাস্টারের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন, জেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন টুলু, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোশারেফ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, ত্রাণ ও সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক সফিকুল ইসলাম, ভেলুমিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্পাদক লিটন মাল প্রমুখ।
এছাড়াও সন্ধ্যার পর ভেদুরিয়া ব্যাংকের হাট বাজারে পৃথক পথ সভায় বক্তব্য রাখেন তোফায়েল।