শনিবার বিকালে আসামি নবিরুল ইসলাম ও সান্টু কুমারকে দিনাজপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ঘোড়াঘাট আমলি আদালত-৭-এর বিচারক শিশির কুমার বসুর আদালতে হাজির করা হয়।
এর আগে দুপুরে মামলাটি ঘোড়াঘাট থানা থেকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়।
দিনাজপুরের কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. ইসরাইল হোসেন জানান, মামলাটি প্রথম থেকে ঘোড়াঘাট থানার পরিদর্শক মোমিনুল ইসলাম তদন্ত করছিলেন। এখন তা তদন্ত করছেন দিনাজপুর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাম জাফর।
ইমাম জাফর বলেন, ‘মামলাটি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় আমরা আসামিদের অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিচারকের নিকট ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলাম। বিজ্ঞ বিচারক আসামি দুজনকে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। মামলাটি আমরা গুরুত্বের সাথে দেখছি।’
বুধবার রাত আড়াইটার দিকে দুর্বৃত্তরা ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনওর বাসার নাইটগার্ডকে বেঁধে রেখে পেছন দিকের ভেন্টিলেটর ভেঙে ঘরে প্রবেশ এবং ইউএনও ওয়াহিদা ও তার বাবা ওমরকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। পরে তারা জ্ঞান হারিয়ে ফেললে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার সকালে আহতদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ইউএনও ওয়াহিদার অবস্থার অবনতি হলে তাকে জরুরি ভিত্তিতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।