মঙ্গলবার রাতে তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার ধানদিয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের মালোপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে ওই গৃহবধূর স্বামী, শ্বাশুড়ি ও ভাসুর পলাতক রয়েছে।
নিহত সুমা হালদার পুলিন হালদারের মেয়ে। তার স্বামী তালা উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের আনন্দ বিশ্বাসের ছেলে সুব্রত।
নিহতের বাবা পুলিন হালদার অভিযোগ করেন, মাত্র একমাস ১৮ দিন আগে সুব্রত বিশ্বাসের সঙ্গে তার মেয়ে সুমা হালদারের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় তার দেয়া পাঁচ ভরি সোনার গয়না নেয়ার জন্য সুমাকে নিয়মিত চাপ দিত তার স্বামী সুব্রত, শ্বাশুড়ি করুনা বিশ্বাস ও ভাসুর বাসুদেব বিশ্বাস। সুমা হালদার তার নিজের ব্যবহারের গয়না দিতে রাজি না হওয়ায় তার স্বামী, শ্বাশুড়ি ও ভাসুর তাকে মঙ্গলবার রাতে পিটিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ঘরের আড়ার সাথে গলায় গামছা দিয়ে ঝুলিয়ে দেয়। পরে তারা এলাকায় প্রচার করে যে, সুমা আত্মহত্যা করেছে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রিজাউল ইসলাম জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর আসল রহস্য জানা যাবে।