গৃহবধূ
সিলেটের গোলাপগঞ্জে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় লাকি বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ।
শনিবার (৩ মে) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নে হেতিমগঞ্জ মোল্লাগ্রামে একটি কলোনি থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়।
লাকি জকিগঞ্জ উপজেলার ফুলতলি এহলাশাহ গ্রামের আব্দুর রশিদের স্ত্রী। স্বামী আব্দুর পেশায় টমটম চালক। তারা গোলাপগঞ্জ উপজেলার হেতিমগঞ্জ মোল্লাগ্রামে কলোনিতে ভাড়া থাকতেন।
আরও পড়ুন: ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে প্রাণ গেল শ্রমিকের
পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে ঘরের ভেতর থেকে টিনের নিচে স্টিলের সঙ্গে দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় লাকি বেগম নামে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়া তাদের মধ্যে পারিবারিক কোনো মনোমালিন্যের খবর পাওয়া যায়নি বলে জানায় পুলিশ।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মোল্যা বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। লাশ সুরতহাল প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
২১৫ দিন আগে
ঝালকাঠিতে বজ্রপাতে গৃহবধূ নিহত
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউয়িনের জুরকাঠি এলাকায় বজ্রপাতে আসমা আক্তার নামে একজন গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আসমা আক্তার ওই এলাকার ট্রাকচালক রুবেল মাঝির স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননী।
নলছিটি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস ছালাম বলেন, ‘বজ্রপাতে গৃহবধূর মৃত্যুর খবর পেয়েছি। এ ব্যাপারে আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
২১৯ দিন আগে
গৃহবধূকে ধর্ষণের পর চুল কেটে দেওয়া মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূকে শিকল দিয়ে হাত–পা বেঁধে ধর্ষণের পর চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগে হওয়া মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, নির্যাতনের পর তার ঘরে থাকা টাকা, স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। এমনকি পালিয়ে যাওয়ার সময় তারা ঘরের জামাকাপড়েও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ডিবি পুলিশ পরিচয়ে স্বর্ণের দোকানে চাঁদাবাজি, আটক ২
এদিকে এই ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি ইমাম হোসেনকে (২৪) গ্রেপ্তার করে। এরপর শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে ফজলুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নির্যাতনের শিকার ২২ বছর বয়সী ওই গৃহবধূর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে তিন ব্যক্তি। এরপর তারা এই নৃশংস ঘটনা ঘটান।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ওই গৃহবধূ। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেয়ে অভিযোগটিকে মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়। মামলায় দুজনের নাম উল্লেখ করে একজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। রাতেই অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার এজাহারে গৃহবধূ উল্লেখ করেন, তার স্বামী ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে গাড়িচালক হিসেবে চাকরি করেন। গ্রামের বাড়িতে অসুস্থ শাশুড়ি (৭০) ও মেয়েকে (২) নিয়ে বসবাস করেন তিনি। তাদের সঙ্গে আসামি ইমাম হোসেনের দীর্ঘদিন ধরে শত্রুতা চলে আসছে।
ইমামসহ তার লোকজন নিয়ে ওই গৃহবধূ ও পরিবারের সদস্যদের নানাভাবে হয়রানি করে আসছিলেন। তিনি আগেও বেশ কয়েকবার তাকে ধর্ষণের হুমকি দেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে অজ্ঞাতনামা দুজনসহ দেশীয় অস্ত্র, লোহার শেকল, তালা–চাবিসহ তাদের বসতঘরের দরজা ভেঙে গৃহবধূর কক্ষে ঢুকে পড়েন ইমাম। এ সময় আসামি গৃহবধূর মেয়ের মুখে তার জামা ঢুকিয়ে দেন এবং অপর আসামিদের সহযোগিতায় ওড়না দিয়ে তার মুখ বেঁধে ফেলেন। এরপর লোহার শেকল দিয়ে গৃহবধূর হাত–পা বেঁধে তালা মেরে তারা দুষ্কর্ম করেন। ঘটনার সময় ইমাম হোসেন বারবার জাহিদুল্লাহর নাম উচ্চারণ করেন। পরে তার অসুস্থ শাশুড়ি টের পেয়ে চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে এলে তারা পালিয়ে যান।
আরও পড়ুন: শিশু ধর্ষণ ও হত্যার পর মুখে অ্যাসিড: অপরাধীদের সবাই কিশোর
এ বিষয়ে ওই গৃহবধূ বলেন, ‘আমি বারবার তাদের কাছে মিনতি করেছি, আমার ক্ষতি না করার জন্য। কিন্তু তারা আমার কোনো কথাই না শুনে একের পর এক অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে গেছে। আমি এই লম্পটদের বিচারসহ তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে ফজলুল হক বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেয়ে মামলাটি এফআইআর হিসেবে রেকর্ড করা হয়। এরপর শুক্রবার রাতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে ইমাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
‘আমামিকে শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারেও পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছ।’
২২৯ দিন আগে
‘কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায়’ চুরির অপবাদ দিয়ে গৃহবধূকে মারধর
পটুয়াখালীর দুমকিতে কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় চুরির অপবাদ দিয়ে এক গৃহবধূ ও তার স্বামীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আঙ্গারিয়া ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী দম্পতি।
রবিবার (২২ মার্চ) রাতে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
জিয়াউর রহমান আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের রূপাসিয়া গ্রামের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল (শনিবার) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চুরির অপবাদ দিয়ে ওই দম্পতিকে মারধর করেন জিয়াউর রহমান, তার বউ ও ছেলেমেয়েরা। এর আগেও মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে ওই গৃহবধূর পরিবারের কাছ থেকে আড়াই হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে।
এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জিয়াউরের একটি অডিও কল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে অভিযোগকারী গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দিতে শোনা যায় জিয়াউর রহমানকে।
ওই গৃহবধূ বলেন, ‘বেশকিছু দিন আগে জিয়াউর রহমান ফোন করে আমাকে কুপ্রস্তাব দেন। আর তার সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বর্তমানে একটি মোবাইল চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাকে আর আমার স্বামীকে মারধর করেন।’
ভুক্তভোগীর স্বামী বলেন, ‘এই জিয়াউর রহমান খারাপ চরিত্রের লোক। বেশকিছু দিন আগে তার খারাপ চরিত্রের কারণে অন্য একটা সংসার ভাঙ্গে। এছাড়া দলীয় প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে সে। মিথ্যা চুরির অপবাদ দিয়ে আমাদের মারধর করা হয়েছে। আমার এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানাই।’
তবে জিয়াউর রহমানের দাবি, ‘চুরির কারণেই তাদের মারধর করা হয়েছে।’ ভুক্তভোগী গৃহবধূকে কল দিয়ে কুপ্রস্তাবের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওটা তো প্রায় ছয় মাস আগের কথা। ওরা খারাপ বলেই এখন সেই রেকর্ড ভাইরাল করছে।’
পটুয়াখালী জেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মশিউর রহমান মিলন বলেন, ‘ব্যক্তির কারণে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না। তাই এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘চুরির অপবাদ দিয়ে নাকি মারধর করা হয়েছে এবং সে বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তবে ওই গৃহবধূকে কুপ্রস্তাবের বিষয়ে কিছু জানা নেই।
ভুক্তভোগী পরিবার মামলা দিলে তা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
২৫৬ দিন আগে
তিন মাসের শিশুকে জিম্মি করে গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শিশু মাসের সন্তানকে জিম্মি করে গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী দাবি করা ওই নারীর স্বামী।
বুধবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার জালকুড়ি উত্তরপাড়া পানি ট্যাংক এলাকায় ঘটনাটি ঘটে বলে জানিয়েছে ওই নারীর পরিবারের সদস্যরা। এরপর গতরাতে (বৃহস্পতিবার) তার স্বামী সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন— জালকুড়ি উত্তরপাড়া এলাকার বাসিন্দা আরিফ (৩২), ডালিম (৩৫) ও তাদের সহযোগী হিসেবে দেওয়া হয়েছে বেলাল (৩৫) নামের এক ব্যক্তির নাম।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগীরা যে বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছেন, অভিযুক্ত আরিফ ও ডালিমও একই বাসার ভাড়াটিয়া। উভয়পক্ষ এক বাড়িতে থাকার সুবাদে অভিযুক্তদের সঙ্গে বাদীর পরিচয় রয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাকপ্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণ, ৩ আসামি কারাগারে
বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে আরিফ ইফতার সামগ্রী দিতে বাদীর ঘরের দরজায় টোকা দেন। সে সময় তার স্ত্রী দরজা খুলে ইফতার সামগ্রী নিয়ে দরজা লাগিয়ে দেন। ইফতারের পর ফের দরজায় টোকা পড়লে ওই গৃহবধূ আবারও দরজা খোলেন এবং ভুক্তভোগীর তিন মাসের সন্তানকে কোলে নেওয়ার বাহানায় ঘরে ঢুকে দ্রুত দরজা বন্ধ করে দেন আরিফ। এ সময় ফাঁকা ঘরে ওই নারীকে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালান তিনি। পরে গৃহবধূ চিৎকার দিতে শুরু করলে অভিযুক্ত শিশুটিকে ছিনিয়ে নিয়ে তার ঘরে চলে যান। এরপর সন্তানকে সুস্থ ফেরত পেতে হলে ওই গৃহবধূকে তার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়াতে হবে বলে জানান।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে তিনি তার স্বামীকে ফোন করে ঘটনাটি জানান। পরে তার স্বামী দ্রুত এক সহকর্মীকে নিয়ে বাসায় আসেন এবং অভিযুক্ত আরিফের ঘর থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করেন। এরপর অভিযুক্ত আরিফ, ডালিম ও বেলালসহ আরও ১০-১২ জন তাদের ফোন করে ডেকে নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করতে নানা ধরনের হুমকি দেন।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’
২৬৫ দিন আগে
মাগুরায় রান্না করতে গিয়ে আগুনে প্রাণ গেল গৃহবধূর
মাগুরা সদর উপজেলায় রান্না করতে গিয়ে আগুনে পুড়ে ছকিনা বেগম নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার মঘি ইউনিয়নের ছয়চার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ছকিনা বেগম ছয়চার গ্রামের ছালাহ উদ্দীনের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে শিশুর মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, ছকিনা রান্নাঘরে রান্না করতে যান। এ সময় তিনি অসাবধানবসত জলন্ত চুলার মধ্যে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মাগুরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তকে মৃত ঘোষণা করেন।
মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী রাসেল বলেন, ‘এ ব্যাপারে মাগুরা থানায় মামলা হয়েছে।’
২৯৩ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় শিলা খাতুন নামে এক গৃহবধূকে হত্যার পর রেললাইনে ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার (২১ অক্টোবর) সকালে উপজেলার মুন্সিগঞ্জ রেল স্টেশনে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত শিলা খাতুন (২২) উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের রোয়াকুলি গ্রামের রাসেলের স্ত্রী। তিনি এক সন্তানের জননী ছিলেন।
মুন্সিগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) সুবল কুমার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে ১৬ মামলার আসামি লিজন মোল্লাকে কুপিয়ে হত্যা
পরিবারের বরাত দিয়ে এসআই বলেন, ‘রাতে শিলা খাতুনের শশুর বাড়িতে কোনো বিষয়ে নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় বলে জানা গেছে। এরপর ভোর ৫টার পর থেকে শিলা খাতুনকে পাওয়া যাচ্ছিল না। সকালে রেললাইনের ওপর লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। তার শরীরে ধারাল অস্ত্রের আঘাতের জখম রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তাকে কুপিয়ে হত্যার পর লাশ রেললাইনে ফেলে রাখা হয়।
এসআই জানান, ঘটনাস্থল রেল পুলিশের অধীনে হাইওয়ে রেলওয়ের পুলিশকে সংবাদ দেওয়া হয়েছে। রেল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করবে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে মা ও দুই ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা
৪১০ দিন আগে
লক্ষ্মীপুরে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী ও ভাসুর আটক
লক্ষ্মীপুরে পারিবারিক কলহের জেরে ফাতেমা বেগম নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী রাজু ও ভাসুর বাবলুর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) ভোরে সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদনগর গ্রামের একটি পুকুরে ফাতেমার লাশ ভাসতে দেখা যায়।
ফাতেমা মোহাম্মদনগর গ্রামের মৃত সাইফুল্লাহ মওলানার মেয়ে। তাদের সংসারে রুবি নামে চার বছরের এক মেয়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে চোরাই চিনির ট্রাক ছিনতাইকালে বিএনপির দুই নেতা আটক
অভিযুক্ত রাজু ও বাবলু একই ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মাইজের বাড়ির মোসলেহ উদ্দিনের ছেলে। রাজু পেশায় সিএনজি অটোরিকশা চালক। তার আরও এক স্ত্রী রয়েছে। ফাতেমা তার প্রথম স্ত্রী।
স্বজনদের অভিযোগ, ৫ বছর আগে ফাতেমার সঙ্গে রাজুর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করত। এতে পরিবারের পক্ষ থেকে জমি বিক্রি করে রাজুকে বিদেশে পাঠানো হয়। তবে এক মাসের মাথায় দেশে ফিরে এসে রাজু আবার নির্যাতন শুরু করে। কয়েক মাস আগে রাজু অন্য জায়গায় বিয়ে করায় অশান্তি আরও বেড়ে যায়।
যৌতুকের জন্য নির্যাতন করেই ফাতেমাকে হত্যা করা হয়ছে বলে স্বজনরা অভিযোগ করেন।
তারা আরও জানান, সোমবার ভোরে ঘরের পাশের একটি পুকুরে ফাতেমার লাশ পাওয়া যায়। তার স্বামীই হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে দেয়। ফাতেমার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তার স্বামী রাজুকে ও ভাসুর বাবলুকে বেঁধে রাখে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসে পুলিশ।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়সার হামিদ বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: কসবা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর সময় সাবেক স্পিকারের যুগ্ম সচিব আটক
৪১৬ দিন আগে
সাতক্ষীরায় গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা, স্বামীসহ আটক ৭
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে কমলা খাতুন নামে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্বামীসহ ৭ জনকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) উপজেলার দরগাহপুর গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: পলাশবাড়ীতে অটোভ্যান ছিনতাই করতে চালককে হত্যা
নিহত কমলা খাতুন (৫২) দরগাহপুর গ্রামের মোবারক গাজীর স্ত্রী।
নিহত ওই নারীর স্বামী মোবারক আলী বলেন, পারিবারিক বিরোধের জেরে কমলা খাতুনের সঙ্গে তিনি এক ঘরে থাকতেন না। শুক্রবার তিনি কমলার ঘরের দরজা খোলা দেখতে পান। পরে তাকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে অল্প দূরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে কমলার গলাকাটা লাশ দেখতে পান।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, কমলা খাতুনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, কমলা খাতুনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: রুপ হত্যা মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কারাগারে
৪১৯ দিন আগে
লালমনিরহাটে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে আরফিনা বেগম নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার মদাতী ইউনিয়নের কিসমত এলাকার নিজ বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত আরফিনা বেগম (২৩) ওই এলাকার সম্রাট মিয়ার স্ত্রী।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাতে স্বামী সম্রাট মিয়ার সঙ্গে স্ত্রী আরফিনা বেগমের কথা কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে হাতাহাতি হলে আরফিনা বেগম অন্য ঘরে চলে যান। সকালে তার স্বামী বাহিরে চলে গেলে পরিবারের লোকজন আরফিনা বেগমকে ডাকাডাকি করেন। পরে ঘরে ঢুকে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসীকে খবর দেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীর খিলগাঁওয়ে জবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
দুপুরে গলায় ফাঁস দেওয়া লাশটি উদ্ধার করে লালমনিরহাট মর্গে পাঠায় পুলিশ। এদিকে এ ঘটনার পর থেকে আরফিনার স্বামী সম্রাট মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। লাশটি লালমনিরহাট মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বরিশালে ভূমি কর্মকর্তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
৪২০ দিন আগে