সরকার
বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনে আ. লীগ সরকার বাধা: বিএনপি নেতা মোশাররফ
বিএনপির সিনিয়র নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায় বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছে যারা নির্বাচনে বাধা দেবে তাদের ভিসা দেওয়া হবে না। আমরা এই জনসভা থেকে বলতে চাই, যারা বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন, গণতন্ত্র বা জনগণের ভোটাধিকারে বাধা দিচ্ছে তারাই বর্তমান সরকার।’
শনিবার রাজধানীর এক সমাবেশে বক্তব্যে বিএনপি নেতা আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করে বর্তমান সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি আওয়ামী লীগের জন্য ‘খুবই লজ্জাজনক’।
তিনি বলেন, সরকার তাদের অধীনে আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে বিদেশিদের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, কিন্তু দেশবাসীর পাশাপাশি বিদেশিরাও দেখেছে এর অধীনে অনুষ্ঠিত আগের দুটি নির্বাচনের কোনো মূল্য ছিল না।
‘তাদের (সরকার) পক্ষে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। তাই যুক্তরাষ্ট্রসহ গণতান্ত্রিক দেশগুলো বলছে আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হতে হবে। তারা বুঝতে পেরেছেন শেখ হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন অতীতে হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না।
আরও পড়ুম: গাজীপুর নির্বাচন দেশের প্রকৃত ভোটের চিত্র তুলে ধরে: খসরু
গাজীপুরের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সরকার বিচলিত নয়: কৃষিমন্ত্রী
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আওয়ামী লীগ বিচলিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, গাজীপুরের নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না। সিটি করপোরেশন, পৌরসভার মতো স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ফলাফলে অনেক ফ্যাক্টর কাজ করে। গাজীপুরে সুষ্ঠু সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে, আমরা সেটিই চেয়েছিলাম। আমরা আগের মতো আবারও জাতিকে দেখিয়েছি বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব।
শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে জেলা যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আন্দোলন করে আগামী নির্বাচনকে বিএনপি ব্যাহত করতে পারবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি আন্দোলন করে কোনক্রমেই বৈধ সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না, আগামী নির্বাচনকেও ব্যাহত করতে পারবে না।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে ২-৩ দিনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য হবে। তারপরও বিএনপি যদি ষড়যন্ত্র করে অসাংবিধানিক সরকারকে ক্ষমতায় আনতে চায়, নির্বাচন বানচাল করতে চায়, তাহলে এ দেশের প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা মোকাবেলা করবে। আর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে হতাশ ও উদ্বিগ্ন হওয়ারও কিছু নেই বলে মন্তব্য করেন কৃষিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এটি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নিষেধাজ্ঞা নয়। আমরা যেটি চাই- দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে নির্বাচন, সেটিই যুক্তরাষ্ট্র আগামী নির্বাচনে দেখতে চায়। এক্ষেত্রে বিএনপিই মূল বাধা। আন্দোলন করে, সন্ত্রাস করে বিএনপি নির্বাচনকে ব্যাহত করতে চায়, বানচাল করতে চায়। বিএনপি ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনকে বানচালের চেষ্টা করেছিল। সেরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, সেজন্যই যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে।
সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য মামুনুর রশীদ মামুন, সাবেক টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি, টাঙ্গাইলের বিভিন্ন আসনের সংসদ সদস্যবৃন্দ, যুবলীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: তরুণরাই বাংলাদেশে ‘স্মার্ট এগ্রিকালচারের’ নেতৃত্ব দেবে: কৃষিমন্ত্রী
দেশের অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা রাখবে পার্বত্য চট্টগ্রাম: কৃষিমন্ত্রী
বর্তমান সরকারের মেয়াদেই ভূমি অপরাধ আইন প্রণয়নের চেষ্টা চলছে: ভূমিমন্ত্রী
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান সরকারের মেয়াদেই ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন প্রণয়নের চেষ্টা হচ্ছে। এই আইনের খসড়া পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করে শিগগিরই সংসদে প্রেরণ করা হবে। এই আইন প্রণীত হলে মানুষ অনেক কষ্ট থেকে বাঁচবে এবং ভূমি খাতে আসবে পরিচ্ছন্নতা।
শনিবার চট্টগ্রামের জিমনেশিয়াম হলে ভূমিসেবা সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত এক ভূমি বিষয়ক জনসচেতনতামূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. আমিনুর রহমান, এনডিসি, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ এবং বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম সরোয়ার কামাল বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ভূমিমন্ত্রী আরও বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয় সরকারের একটি কর্মসম্পাদনকারী দক্ষ মন্ত্রণালয়। জনগণকে সেবা প্রদানে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশের শতভাগ সফল ব্যবহারকারী এই মন্ত্রণালয়। আমাদের মৌলিক সেবাগুলোর প্রায় সবগুলো টেকসই করে ডিজিটালাইজ করা হয়েছে। গত ১৪ এপ্রিল থেকে কার্যকর শতভাগ ক্যাশলেস ভূমি উন্নয়ন কর সিস্টেমের মাধ্যমে গত ৪৩ দিনে সরকারের রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩৫০ কোটি টাকা, যা বছরে দুই হাজার কোটি টাকা হবে বলে আমরা আশা করছি।
আরও পড়ুন: ওয়ান স্টপ সার্ভিস শিল্প স্থাপনে ভূমি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত জটিলতা দূর করবে: ভূমিমন্ত্রী
একই সঙ্গে চলমান ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রকৃত জমির মালিকদের দুর্দশা নিয়ে ক্রমবর্ধমান অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভূমিমন্ত্রী এ বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
অনুষ্ঠানে স্মার্ট ভূমিসেবার ওপর একটি সচিত্র উপস্থাপনা করেন চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলাউদ্দিন। প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে ভূমিমন্ত্রী প্রত্যাশী সংস্থার অনুকূলে অধিগৃহীত জমির খতিয়ান ও ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ক্ষতিপূরণ চেক হস্তান্তর করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে ভূমি সেবা গ্রহীতা, চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্তরের ভূমি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, গণমাধ্যমের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন অংশীজনসহ বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ২২ মে থেকে শুরু হওয়া ভূমিসেবা সপ্তাহ-২০২৩ রবিবার ২৮ মে শেষ হবে।
আরও পড়ুন: ভূমি মালিকদের স্মার্ট কার্ড দেয়া হবে: ভূমিমন্ত্রী
সরকার আশা করে অগণতান্ত্রিক শক্তি নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বিপন্ন করার বিভ্রান্তিকর প্রচেষ্টা থেকে বিরত থাকবে
বাংলাদেশ সরকার বলেছে, তারা আশা করে যে স্থানীয় অগণতান্ত্রিক শক্তি; যারা সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসযজ্ঞের অবলম্বন করে, তারা সতর্ক থাকবে এবং সংবিধানের নির্দেশিত নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বিপন্ন করতে তাদের বিভ্রান্তিকর প্রচেষ্টা থেকে বিরত থাকবে।
সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, কঠোর পরিশ্রমে অর্জিত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং দেশে উন্নয়নের সুফল টিকিয়ে রাখা সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের জনগণের ওপর নির্ভর করে।
বৃহস্পতিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত নতুন ভিসা নীতির বিষয়ে প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘সরকার প্রশংসা করে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দৃঢ়ভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর টেকসই প্রতিশ্রুতির পাশে দাঁড়িয়েছে।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নির্বাচনের সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক আচরণে আপস করার জন্য কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা সত্তার দ্বারা কোনো বেআইনি অনুশীলন বা হস্তক্ষেপ প্রতিরোধ ও মোকাবিলার জন্য সরকারি যন্ত্রপাতি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক স্বীকৃত আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের দ্বারা নির্বাচনী প্রক্রিয়া কঠোর নজরদারির মধ্যে থাকবে।
ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড অ্যাক্টের অধীনে তথাকথিত থ্রিসি বিধান অনুসারে ভিসা সীমাবদ্ধতা নীতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণার বিষয়টি বাংলাদেশ সরকার নোট করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সমুন্নত রাখার জন্য সকল স্তরে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তার সরকারের দ্ব্যর্থহীন প্রতিশ্রুতির বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ এই ঘোষণা দেখতে চায়।’
আরও পড়ুন: মোমেনের মানহানির অভিযোগে দৈনিক কালবেলায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের নিন্দা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল দেশ হিসেবে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে ধারাবাহিক নির্বাচন অনুষ্ঠানের অভিজ্ঞতা রয়েছে বলে সরকার জানিয়েছে।
২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর থেকে এটা স্পষ্ট যে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অব্যাহত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে দেশের জনগণ অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে।
এর ফলে ২০০৬ সালের মাথাপিছু দারিদ্র্য ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ২০২২ সালে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ এবং একই সময়ের মধ্যে চরম দারিদ্র্য ২৫ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ৬ শতাংসে নেমে এসেছে।
এখন উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ একটি ‘আন্তর্জাতিক রোল মডেল’, ২০২৬ সালের মধ্যে জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) মর্যাদা থেকে উন্নীত হওয়ার যোগ্য হয়ে উঠেছে।
গত চৌদ্দ বছরে টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচিত হওয়ার কারণেই এসব অর্জিত হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বাংলাদেশের জনগণ তাদের গণতান্ত্রিক ও ভোটাধিকারের ব্যাপারে অনেক বেশি সচেতন।
এতে বলা হয়েছে, ভোট কারচুপির মাধ্যমে জনগণের ম্যান্ডেট হরণ করে কোনো সরকার ক্ষমতায় থাকার নজির নেই।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে একটি রাজনৈতিক দলকে রেখে অন্য রাজনৈতিক দলকে ‘সমর্থন’ করে না যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
জনগণের ভোটাধিকারের অধিকারকে আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রীয় পবিত্রতা বলে মনে করে এবং এই অধিকারের জন্য নিরলস সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের রাজনৈতিক উত্তরাধিকার রয়েছে।
সরকার সব শান্তিপূর্ণ ও বৈধ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য সমাবেশ ও সমিতির স্বাধীনতাকে গুরুত্ব দেয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বাংলাদেশে নির্বাচনী সংস্কার প্রক্রিয়া সমস্ত সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শমূলক পদ্ধতিতে অব্যাহত রয়েছে।
প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেতৃত্বাধীন সরকার কর্তৃক তালিকাভুক্ত ১০ দশমিক ২৩ মিলিয়ন জাল ভোটারের প্রতিক্রিয়ায় ছবিসংবলিত ভোটার আইডি কার্ড ইস্যু করা হয়েছিল।
ভোটারদের পাশাপাশি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও এজেন্টদের মধ্যে আস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের ব্যবহারেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জাতীয় নির্বাচন কমিশন পূর্ণ স্বাধীনতা, বিশ্বাসযোগ্যতা ও দক্ষতার সঙ্গে তার কার্যাবলী সম্পাদন করার জন্য কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে।
বর্তমান সরকার প্রথমবারের মতো প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২ জাতীয় সংসদ কর্তৃক প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়।
এ আইন অনুযায়ী নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশ সংবিধান এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ দ্বারা বাধ্যতামূলকভাবে সম্পূর্ণ নির্বাহী প্রক্রিয়া নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে থাকবে, যাতে তারা নির্দেশিতভাবে তার দায়িত্ব পালনে সহায়তা করতে পারে।
সরকার আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে চায়: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকার আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে চায়, এই নির্বাচনে যারা বাধা দিবে তাদেরকে আমরা অবশ্যই প্রতিহত করব।
বৃহস্পতিবার সকালে তিনি কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪ তম জন্মজয়ন্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) কবির সমাধিতে আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠান আয়োজনে নির্বাচন কমিশনকে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি হতাশাগ্রস্ত, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ভয় পায়: কাদের
কবি নজরুলের অসাম্প্রদ্য়িক চেতনা সম্পর্কে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, কবি কাজী নজরুল ইসলামের অসাম্প্রদায়িক মানবতাবাদী চেতনায় আমরা উজ্জীবিত হতে চাই। আজ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে গড়ে তোলার পথে অন্তরায় সৃষ্টিকারী সাম্প্রদায়িক বিশ্বাস, সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষ এখনও বাংলাদেশে শাখা প্রশাখা বিস্তার করে আছে আজকের এই দিনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করব।
আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এস এম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হবে আ.লীগ: কাদের
বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন আ. লীগ সরকারের অধীনেই হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার স্পষ্ট করে বলেছেন যে বাংলাদেশে আগামী সাধারণ নির্বাচন তার আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে এবং তা অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকারের অধীনে অবশ্যই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।’
দোহার র্যাফেলস হোটেলে কাতার ইকোনমিক ফোরামের ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথোপকথন’ শীর্ষক অধিবেশনে তিনি এসব কতা বলেন।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
কাতার ইকোনমিক ফোরামের এডিটর-অ্যাট-লার্জ হাসলিন্দা আমিন সেশনে অ্যাঙ্কর করেন।
বিরোধী দল বিএনপি এবং তার মিত্ররা একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক প্রশাসনের অধীনে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ প্রশস্ত করার জন্য তার সরকারকে পদত্যাগ করাতে রাজপথে আন্দোলনের নতুন প্রচারণা শুরু করার সময় প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য এসেছে।
বাংলাদেশে চলতি বছরের ডিসেম্বরে বা আগামী বছরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর সামরিক স্বৈরশাসকরা সব নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তখন নির্বাচন ছিল একটি খেলা।
তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগ যখন তার অনুপস্থিতিতে তাকে সভাপতি নির্বাচিত করেছিল তখন তিনি দেশে ফিরতে পেরেছেন।
তিনি আরও বলেন, তারপর থেকে আমরা গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটের অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য সংগ্রাম শুরু করি। আমাদের সংগ্রাম ছিল অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা। এবং আমরা আমাদের প্রত্যেকটি মেয়াদে নির্বাচনে তা করেছি।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে হবে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বিরোধী দল বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে কোনো সংগঠন এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলেনি।
তাহলে তখন কি ফল হয়েছিল? যে দলটি (বিএনপি) এখন প্রশ্ন তুলছে তারা সংসদে ৩০০ আসনের মধ্যে মাত্র ২৯টি আসন পেয়েছে।
দৃঢ়কণ্ঠে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে তিনি এখানে এসেছেন, কারণ জনগণই ঠিক করবে কে দেশ চালাবে।
তিনি বলেন, এটা জনগণের ক্ষমতা, আমি জনগণের ক্ষমতা নিশ্চিত করতে চাই। আমি এখানে ক্ষমতা দখল করতে আসি নাই। বরং আমি আমাদের জনগণকে ক্ষমতায়িত করতে চাই।
তিনি বলেন, তাদের (জনগণের) সরকার বেছে নেওয়ার অধিকার থাকতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে হাসিনা উল্লেখ করেন, এখন কিছু দল বলেছে তারা অংশ নেবে না। তারা কিভাবে অংশগ্রহণ করবে? কারণ তাদের আমলে দেশের অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমাদের মানুষ কষ্ট পেয়েছে। তাদের সময়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেড়ে যায়। সর্বত্রই ছিল দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও শোষণ।
তিনি আরও বলেন, তারা কখনো জনগণের কথা ভাবেনি। আমার দেশের জনগণের প্রতিদিন একবেলা খাবার পাওয়াই খুব কঠিন ছিল। এমন ছিল পরিস্থিতি।
আরও পড়ুন: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সুনাকের সঙ্গে শুক্রবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সম্ভাবনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
'আপনার সময় শেষ': সরকারের প্রতি ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতই দেশ সফর করুন না কেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় শেষ।
শুক্রবার রাজধানীতে এক সমাবেশে বক্তব্যে তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। কারণ, দেশের জনগণ এবং গণতান্ত্রিক বিশ্ব বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন চায়।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যতই চিৎকার করুক না কেন এই শাসনের সময় শেষ। আপনি (প্রধানমন্ত্রী) জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কাতার, সৌদি আরব এবং চীনে যান না কেন, আপনি কোন লাভ করতে পারবেন না। আপনার সময় শেষ এবং এটাই বাস্তবতা।’
জনগণকে 'দুঃশাসন' থেকে মুক্ত করতে এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি মেনে নিতে সময় ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ফখরুল।
দলটির দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ তাদের ১০ দফা দাবি আদায়, এবং 'মিথ্যা মামলায়' দলীয় নেতাকর্মীদের হয়রানি ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রাজধানীর শ্যামলী ক্লাব মাঠে ঢাকা উত্তর মহানগর বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করে।
এছাড়াও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের 'গায়েবি' মামলা দায়ের, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ঘন ঘন বিদ্যুত বিপর্যয় এবং সরকারের 'সর্বব্যাপী' দুর্নীতির বিরুদ্ধে দলের প্রতিবাদ জানাতে দেশের আরও ২৭টি মহানগর ও জেলায় সমাবেশ করেছে দলটি।
ফখরুল অভিযোগ করেন, সরকার বারবার ইউটিলিটি সার্ভিসের শুল্ক বাড়ালেও বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সংকটে মানুষ দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, চাল, তেল, ডিম, লবণ, চিনি, পেঁয়াজ, রসুন, আদাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম দুই থেকে তিনগুণ বেড়ে যাওয়ায় মানুষ বেঁচে থাকতে হিমশিম খাচ্ছে।
‘কিন্তু মন্ত্রীরা এবং ক্ষমতাসীন দলের নেতারা যারা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বিলাসবহুল থাকেন তারা বলছেন সবকিছু ঠিক আছে এবং বাংলাদেশের মানুষ খুব ভালো অবস্থায় আছে। ক্ষমতাসীন দলের নেতারা প্রায়ই লোকেদের উপহাস করে এই বলে যে তারা সিঙ্গাপুরের চেয়ে ভাল,’ বিএনপি নেতা বলেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দলের নেতারা তাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় জনগণের স্পন্দন বুঝতে পারছেন না। ‘কোনও রাষ্ট্রীয় প্রোটোকল ছাড়াই মানুষের সামনে দাঁড়ান তাদের চোখ এবং শরীরের ভাষা বুঝতে।’
আরও পড়ুন: সরকারবিরোধী আন্দোলন: রাজধানীতে আবারো পদযাত্রা করল বিএনপি
বিএনপি নেতা বলেন, বর্তমান সরকারের ‘দুঃশাসনে’ মানুষ বিরক্ত হয়ে গেছে। ‘তারা বেঁচে থাকা কঠিন মনে করছে। ‘জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যারা ক্ষমতায় থাকে তারা মানুষকে সম্মান করতে পারে না। যারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিভিন্ন বাহিনীর ওপর নির্ভর করে ক্ষমতায় থাকে তারা পতন না হওয়া পর্যন্ত মানুষের মন শান্ত হতে পারে না।
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার দেশের প্রতিটি সেক্টরকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ‘তারা কুইক রেন্টালের মাধ্যমে বিদ্যুৎ খাত থেকে প্রতি বছর ৭৮ হাজার কোটি টাকা চুরি করে... শিক্ষা ব্যবস্থাকেও ধ্বংস করে দেয়। কলেজ, স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয় সহ কোথাও কোনো একাডেমিক পরিবেশ নেই। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দখল করে রেখেছে ছাত্রলীগের ক্যাডাররা। তৃতীয় শ্রেণীর ডিগ্রিধারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হচ্ছেন।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, সরকার ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাটে লিপ্ত হয়ে স্বাস্থ্য খাতকেও ধ্বংস করেছে।তিনি বলেন, সরকার এখন বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা ও ভুতুড়ে’ মামলা দিয়ে ক্ষমতায় থাকার শেষ অবলম্বন হিসেবে ব্যবহার করছে।
ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে তাদের দলের নেতাকর্মীরা দমন, কারাবরণ ও হত্যার শিকার হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ১৭ ভাই বর্তমান আন্দোলনে তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। আজ (শুক্রবার) খুলনায় আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ গুলি চালিয়েছে বলে আমরা শুনেছি। গুলি করে মানুষের এই আন্দোলন বন্ধ করা সম্ভব হবে না।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ইতোমধ্যে কবরে চলে গেছে এমন মন্তব্যের জন্য ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের নিন্দা করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে, নিজেদের ভোট দিতে এবং সুষ্ঠু ফলাফল নিশ্চিত করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন এদেশের জনগণ মেনে নেবে না।
আরও পড়ুন: আগামী ২৩ ও ২৮ মে ঢাকা ছাড়া সব মহানগরে পদযাত্রা করবে বিএনপি
বিএনপি নেতা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না। ‘আমরা ২০১৮ এবং ২০১৪ সালের নির্বাচন দেখেছি…..তাদের আর বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই। আপনার (শেখ হাসিনা) অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার প্রশ্নই আসতে পারে না।
তিনি বলেন, সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ ভেঙে দিতে হবে, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে এবং ৪০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ফখরুল। ‘তাহলে নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা কোথায়? আপনি কি বাংলাদেশের সব মানুষকে বোকা মনে করেন? আর কতদিন মানুষকে ঠকাবেন? আপনি আর এটা করতে পারবেন না।’
বর্তমান সরকার দেশে ও বিদেশে সমর্থন হারিয়েছে বলে তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কোনো পক্ষপাতমূলক ভূমিকা পালন না করার আহ্বান জানান। ‘দেশের মানুষ এবং গণতান্ত্রিক বিশ্ব একটি সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় এবং তারা জানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তা সম্ভব হবে না। তাই দয়া করে এমন পরিস্থিতি তৈরি করবেন না যেখানে আপনাকে (আইনশৃঙ্খলা বাহিনী) চিহ্নিত করা হবে (আপনার পক্ষপাতমূলক ভূমিকার জন্য)।
শনিবার ঢাকা দক্ষিণ মহানগরী, ২১টি সাংগঠনিক জেলা ও অন্যান্য মহানগরে সমাবেশ করবে বিএনপি।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিএনপির সমাবেশে পুলিশের লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ
সরকার আন্তর্জাতিক বাজার অনুযায়ী বিদ্যুত ও গ্যাসের দাম নির্ধারণ করবে: নসরুল
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সরকার এখন আন্তর্জাতিক বাজারের দামের ভিত্তিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম নির্ধারণের দিকে এগোচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাজারভিত্তিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গ্যাসের দাম নির্ধারণের প্রস্তুতি নিচ্ছি। একইভাবে, বিদ্যুতের শুল্কও বাজার অনুযায়ী নির্ধারণ করা হবে।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে সৌরবিদ্যুৎ সংক্রান্ত কর্মশালার সমাপনী অধিবেশনে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির গৃহস্থালি গ্রাহকদের গ্যাসের দাম আবারও ৪৭ শতাংশ বাড়ানোর বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রস্তাবনা অনুযায়ী, একজন সিঙ্গেল বার্নার ব্যবহারকারীকে বর্তমান মাসিক বিল ৯৯০ টাকার পরিবর্তে ১ হাজার ৩৭৯ টাকা এবং ডাবল বার্নার ব্যবহারকারীকে মাসে ১ হাজার ৮০ টাকার পরিবর্তে ১ হাজার ৫৯১ টাকা দিতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নতুন বাজারভিত্তিক মূল্য ব্যবস্থা শিগগিরই চালু করা হবে, যার অধীনে কখনও কখনও দাম তাদের আন্তর্জাতিক বাজারের দামের ভিত্তিতে বাড়বে এবং আবার কখনও কমবে। এখন গ্যাসের জন্য যে ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে তা থেকে বেরিয়ে আসতে চায় সরকার।
সৌরবিদ্যুৎ খাত সম্পর্কে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক একটি সমীক্ষা চালিয়েছে; যেখানে তারা বেশ কয়েকটি এলাকা চিহ্নিত করেছে যেখান থেকে প্রায় পাঁচ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ২ দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হবে: নসরুল
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বব্যাংককে বলেছি যে সরকারি ও বেসরকারি খাত একসঙ্গে কাজ করতে পারে। তারা সেখানে প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাই করেছে।’
তিনি আরও বলেছেন, বায়ু অফশোর শক্তিকে কেন্দ্র করে একটি বিকল্প তৈরি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার একটি সমীক্ষাও চালাচ্ছে যে এই ধরনের অফশোর ও অনশোর বায়ু শক্তির সম্ভাবনা থেকে কত দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়।
তিনি আরও বলেছেন, আমাদের দেশের জন্য একটি বড় সুবিধা যে আমাদের উপকূলে অগভীর সমুদ্রের একটি বিশাল এলাকা রয়েছে, যেখানে পানির গভীরতা ৫০-৬০ মিটার।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু পরিবেশগত দিক এবং মৎস্যসম্পদও রয়েছে বলে অনেক বিষয়েই নজর দিতে হবে। বাতাস থেকে সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর আগে আমাদের অনেক বিষয় বিবেচনা করতে হবে।’
নসরুল হামিদ বলেন, সরকার এখন সাশ্রয়ী মূল্যে নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ দিতে কাজ করছে।
‘ইউটিলিটি স্কেল সোলার’- শিরোনামের কর্মশালায় বিশ্বব্যাংকের একজন দলনেতা বলেন, ভূমি পাওয়াই একটি মূল চ্যালেঞ্জ।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক জামালপুরে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে আগ্রহী।
বিশ্বব্যাংক দলের নেতা বলেছেন, ‘আমরা প্রকল্পের জন্য আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন তহবিল সংগ্রহ করতে পারি।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান এবং টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) চেয়ারম্যান মুনিরা সুলতানা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ২০৪১ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে ১৭০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন: নসরুল
প্রতিদিন প্রায় ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে: নসরুল
যুক্তরাষ্ট্র থেকে সাড়ে ১২ হাজার মেট্রিক টন চিনি আমদানি করবে সরকার
অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশ সরকার সাড়ে ১২ হাজার মেট্রিক টন চিনি এবং দুই লাখ ২০ মেট্রিক টন সার আমদানি করবে।
বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামারের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) ভার্চুয়াল একটি বৈঠকে এ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাব অনুসারে, তার অধীনস্থ সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) মোট খরচে একটি আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত টেন্ডার পদ্ধতির মাধ্যমে অ্যাকসেন্টুয়েট টেকনোলজি ইনকরপোরেশন, ইউএসএ (স্থানীয় এজেন্ট: ওএমসি লিমিটেড, ঢাকা) থেকে চিনি আমদানি করবে। এতে খরচসহ প্রতি কেজি চিনি ৮২ দশমিক ৮৫ টাকা হারে মোট খরচ হবে ৬৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বৈঠক সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান বলেন, প্রস্তাবটি অনুমোদনের সময় বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা কোনো দেশ থেকে কোনো পণ্য আমদানি না করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বিষয়টি বৈঠকে আলোচনা করা হয়নি।
কমিটি শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থা বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক মোট ৬০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার এবং ১০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক এসিড আমদানির জন্য দুটি পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
আরও পড়ুন: সরকারের নির্ধারিত দামে চিনি বিক্রি না হলে অভিযান চালানো হবে: টিপু মুনশি
এর মধ্যে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে ১২০ দশমিক ০৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগযুক্ত দানাদার ইউরিয়া সংগ্রহ করা হবে। প্রতি মেট্রিকটন ৩৭১ দশমিক ২৫ ডলারে এবং আরও ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া সার হবে এসআইসি-গ্রিন্টেন্ট কোম্পানি থেকে। সৌদি আরব ১০৬ দশমিক ২৫ কোটি টাকা এবং প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য ৩২৭ দশমিক ৩৩ মার্কিন ডলার।
বিসিআই টিএসপি কমপ্লেক্স লিমিটেড, চট্টগ্রামের জন্য সান ইন্টারন্যাশনাল এফজেডই, ইউএই (স্থানীয় এজেন্ট: মেসার্স এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনপুট, ঢাকা) থেকে ৬০ দশমিক ৯৫ কোটি টাকায় ১০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক অ্যাসিড আমদানি করবে। প্রতি মেট্রিক টন অ্যাসিডের দাম হবে ৫৬৬ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার।
সিসিজিপি মোট এক লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন বিভিন্ন ধরনের সার আমদানির জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক স্থাপিত বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মোট ছয়টি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
এর মধ্যে, বিএডিসি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির অধীনে ২২৯ দশমিক ৩৩ কোটি টাকা, ৫৩২ মার্কিন ডলার ব্যয়ে সৌদি আরবের ম্যাডেন থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানি করবে।
এটি মরক্কোর ওসিপি, এস.এ. থেকে ১২৬ দশমিক ৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার আমদানি করবে, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির অধীনে যার প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য ৩৯১ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার। এবং মরক্কোর একই কোম্পানি থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানি করা হবে। যার প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য ৫৪১ দশমিক পাঁচ মার্কিন ডলার হারে মোট মূল্য ২৩৩ দশমিক ৪২ কোটি টাকা।
এছাড়া রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির অধীনে ২২৫ দশমিক ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে বিএডিসি কানাডিয়ান কমার্শিয়াল কর্পোরেশন থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন মিউরিয়েট অব পটাশ (এমওপি) সার আমদানি করবে। এতে প্রতি মেট্রিক টটের মূল্য পড়বে ৪১৮ মার্কিন ডলার।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত ‘বাংলাদেশের ২৩টি পৌরসভায় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্পের জন্য সিসিজিপি স্থানীয় সরকার বিভাগের পরামর্শকের ব্যয় ১১ দশমিক এক কোটি টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
প্রকল্পের পরামর্শক হিসাবে ১. রানহিল, ২. ফারহাত এবং ৩. ডিডিসি-এর যৌথ উদ্যোগকে নিয়োগ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: চিনি আমদানিতে শুল্কছাড়ের মেয়াদ বাড়াতে এনবিআরকে চিঠি দেওয়া হবে: বাণিজ্য সচিব
শ্রম আইন সংশোধনে জোরালোভাবে কাজ করছে সরকার: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, সরকার যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধন নিশ্চিত করার জন্য জোরালোভাবে কাজ করছে।
তিনি বলেন, আইন সংশোধন একটি জটিল প্রক্রিয়া। বিশেষ করে শ্রম আইন যা ত্রিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যম ঘটে থাকে। তাই এই আইন সংশোধনে যুক্তিসঙ্গত সময়ের প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সমালোচনাগুলো বিবেচনা করা হবে: আইনমন্ত্রী
মঙ্গলবার (১৬ মে) রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে শ্রম আইন সংশোধন বিষয়ক টেকনিক্যাল নোট ও গ্লোবাল গুড প্রাকটিস নিয়ে ত্রিপক্ষীয় আলোচনা সভার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেক শ্রমিকের কাজের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শ্রম মান এবং মৌলিক নীতি ও অধিকার অনুযায়ী শ্রম খাতকে উন্নত করার জন্য সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা নিয়ে কোনো অস্পষ্টতা নেই।
মন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আইএলও গভর্নিং বডিতে তিনি বাংলাদেশের শ্রমের মান উন্নয়নে যে অগ্রগতি হয়েছে, তা তুলে ধরেছেন।
শ্রমবিষয়ক আইনি কাঠামো উন্নয়নের বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, এরই মধ্যে বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা সংশোধন করা হয়েছে। ইপিজেড শ্রম বিধিমালা জারি করা হয়েছে।
শ্রম বিধিমালা সংশোধনের প্রথম রাউন্ডে বিশেষজ্ঞ কমিটির বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ বিবেচনায় নেওয়া হয়।
এছাড়া, আগামীতেও তাদের পর্যবেক্ষণ বিবেচনায় নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
অনুষ্ঠানে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, শ্রম সচিব মো. এহছানে এলাহী, আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর তোমো পুটিআইনেন, বাংলাদেশ এমপ্লোয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি আরদাশির কবির, এনসিসিডব্লিউই’র সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
আরও পড়ুন: মানুষ যেন দ্রুত ন্যায়বিচার পায়: আইনমন্ত্রী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে না: আইনমন্ত্রী